এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramkrishna Bhattacharya | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ২০:৪৪686227
  • জানেন তো- কোলকাতার বিরিয়ানি তে একটা করে ন্যাজ থাকে ? জানি- অবাক হবেন !‍

    ভাবছেন- এ ব্যাটা পুঁই চচ্চড়ি খেয়ে থাকে আর পরের হেঁসেলে মুরগী রান্না করে কেতা নিচ্ছে !

    হ্যাঁ ! অবরে সবরে মুরগীটা- পাঁঠাটা জোটে বটে তবে, বিরিয়ানি সম্বন্ধে লিখতে তো দোষ নেই !
    তার চেয়ে বড় কথা- আমি তো আর নদে বা শান্তিপুরের গোঁসাই নই যে- এসব খাওয়া নিষেধ !
    পুরোপুরি শাক্ত (বাবা অবশ্য নিরামিষ শাক্ত ছিলেন ) ! তাইলে লিখতে দোষ কি?

    তবে, ভীতুর মরণ – বিরিয়ানির প্লেটে, বুইলেন কিনা মহায় ।
    তা ন্যাজ নিয়ে কথা হচ্ছিল ! কোলকাতার বিরিয়ানিতে আলুটাই ন্যাজ বা টেইল ।
    আলু না দিলে – কোলকাতার বিরিয়ানিতে ব্যাকরণের গলতি হয় ।
    তা বাপু, বাঙালি- তোরা তো আলু বলতে রাঙা আলু বুঝতিস ! সেই “সুসভ্য” ইংরেজদের মধ্যে একজন টমাস রো জাহাঙীরের দরবারে আলু এনেছিল । তার আগে তো ছেল নি !

    বাঙালির পূর্বপুরুষেরা বিবর্তনের সময় গাছ থেকে নামতে গিয়ে ন্যাজ বর্জন করেছিল কিনা সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে আমার ।

    কিন্তু- আলু বিরিয়ানিতে বর্জন করে নি । রসিকতা থাক, দেখি কোলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর ব্যবহার কেন ?

    ১৮৫৬ সালে নবাব ওয়াজেদ আলী লক্ষ্ণৌ থেকে নিজের বাওর্চি কে সাথে এনেছিলেন ।
    বাঙালিরা শিখলো কি ভাবে বিরিয়ানি বানাতে হয়, তবে গরীবেরা মাংস পাবে কোথায়! তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো । মাংসের বদলে আলু ! নাকের বদলে নরুণ !

    সেই রেওয়াজই চলে আসছে বংশ পরম্পরায় । তাই কোলকাতার বিরিয়ানিতে আলু ন্যাজ হয়েই থেকে গেলো আজ পর্যন্ত ।
    দই দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখা হয় মাংসের টুকরো গুলো, সাথে জাফরান ।

    জাহাঙীরের পূর্বপুরুষ বাবর নাকি বিরিয়ানি এনেছিলেন ভারতে । যদিও এই নিয়ে বাদানুবাদ আছে ।

    সংস্কৃত সাহিত্যে আমরা পলান্ন কথাটা পাই – মানে হলো গিয়ে মাংস মিশ্রিত অন্ন ।
    তাই, পরে পণ্ডিতেরা পেঁয়াজের নাম রেখেছিলেন – পলাণ্ডু ।

    পণ্ডিতদের কথাই যখন উঠলো- তখন বলি, বিরিয়ানি কথাটা এসেছে পার্সিয়ান “বিরিঞ্জ” থেকে মানে- ভাত ।
    ওদিকে অন্যেরা বলেন – শব্দটা পার্সিয়ান ঠিকই তবে, বিরিয়ান বা বেরিয়ান থেকে! অস্যার্থ – ভাজা বা রোষ্ট করা ।

    তা যাকগে ! শব্দটার মূল যে পার্সিয়ান, সে সম্বন্ধে পণ্ডিতেরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন ।
    তবে, বিরিয়ানির উৎস যে কোথায়- সেটা আজও অজানা । মোঘোল আমলে লেখা ষোড়োশ শতাব্দীর আইন- ই- আকবরীতে বিরিয়ানি আর পোলাওর কোনো তফাৎ নেই !
    বাঙালিরা অনেক আগে আধসেদ্ধ মাছের সাথে কাঁচা চাল মিশিয়ে মাটির হাঁড়িতে রান্না করতো । এটাকে বলা হতো – দমে বসানো ।
    বলে নেই – আলুর দম কথাটা কিন্তু এখান থেকেই এসেছে । ( আবার সেই ন্যাজ )।
    উত্তর ভারতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই নাকি “ দমপোক্ত” কথাটা এসেছিল । মুসলিম শাসন কালে দিল্লিতে - মোঘলাই কায়দা আর লক্ষ্ণৌতে আওয়াধী কায়দা আসে বিরিয়ানির ।

    আবার - ভাত , ভারতের যে সব জায়গায় প্রধান খাদ্য, সেই কর্ণাটকা ( কর্ণাটক থেকে কিন্তু সেন বংশ এসেছিল বাংলায়- এটা ভুললে চলবে নি কো ) , তামিলনাড়্ , আন্ধ্রার তেলেঙ্গানা অংশে এবং কেরালায় বিভিন্ন ধরণের বিরিয়ানি পাওয়া যেত ।

    ধারণা করা হয় – পোলাও বা পলান্ন ছিল, মধ্য যুগের সৈন্য সামন্তদের খাবার । তরিবত করে বিভিন্ন পদ দিয়ে যে খাবে সৈন্যরা তার উপায় ছিল না । তাই একপদেই বিভিন্ন মাংস এবং সব্জীর ব্যবহার ছিল । পেটের তুষ্টি এবং দেহের পুষ্টি দুটোই এক সাথে হতো ।

    উত্তর পূর্ব তামিল নাডের ভেলোর জেলায় অম্বুর / ভানিআম্বাডি ( দুটো শহরের নামে নাম) বিরিয়ানির চল আছে এখনও ।
    তবে, এখানে বিরিয়ানি খাওয়া হয় – ধলচা আর পাচিডির সাথে ।

    ধলচা হলো, বেগুণের তরকারি ব্রহ্ম টক দিয়ে তৈরি । আর পাচিডি হলো – অনেকটা দই, কুচি পেঁয়াজ, কুচো ঝাল লংকা, টম্যাটো আর লবণ দিয়ে তৈরি এক ধরণের রায়তা । দুটো থেকেই এক অপূর্ব সুগন্ধ ভেসে আছে । “খালি খাইতে মুঞ্চায় ।”
    এই বিরিয়ানিতে ভাতের থেকে মাংসের পরিমাণ বেশী ।
    সমুদ্র উপকূলের কর্ণাটকাতে ভটকালি বিরিয়ানি বিখ্যাত । এখানে পেঁয়াজের ব্যবহার বেশী । বিভিন্ন ধরণের মাংস এখানে দেওয়া হয় ।

    মাটির পাত্রের নীচে পেঁয়াজের কাত্থ দিয়ে চাল ওপরে তার পরে মাংস দিয়ে রান্না করা হয় । দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, হলো মূল মশলা । এর সাথে মিষ্টি দইয়ের রায়তা দেওয়া হয় ।

    মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব দক্ষিণ ভারত জয় করার পর সর্ব প্রথম যাত্রা শুরু হয় জিভে জল আনা সুস্বাদু বিরিয়ানির। মুঘল ও তেলেগু রান্নার সংমিশ্রনে ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদের তৎকালীন শাসন নিজামের রান্নাঘর থেকেই এর উত্থান। তাই, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীর একটা আলাদা জায়গা আছে ভারতে ।
    এই ভারতেই প্রচুর রকমারি আছে বিরিয়ানির ।
    বাংলাদেশের বিরিয়ানিতে ঘিয়ের বদলে সরষের তেল ব্যবহার করা হয় শুনেছি – তবে জানি না সঠিক কিনা !

    কিন্তু, থাক – আর না ! সুকুমার রায় ( বাঙালির কাছে অবতার) বলেছিলেন :-

    বেশ বলেছ, ঢের বলেছ
    ঐখেনে দাও দাঁড়ি ।
    হাটের কাছে ভাঙবে কেন
    বিদ্যে বোঝাই হাঁড়ি !

    ( মাফ করবেন- সিতু মিঁয়ার ভাষা একটু চলেই আসে লেখার সময় ! এটা আমার গর্ব না দুর্বলতা- ঠিক বুঝতে পারি না )
  • Bratin | 11.39.36.215 | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ২১:১৩686238
  • রামকৃষ্ণ দা, মুখবই তে আগেই পড়েছি।

    চমৎকার লেখা। ধন্যযোগ। ঃ))
  • Blank | 24.96.15.23 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১৩686249
  • ওয়াজেদ আলির নাতি পুতি রা জানাচ্ছে যে বিরিয়ানি তে আলু দেওয়ার এক্সপেরিমেন্ট নবাবের বার্বুচিরাই করেছিল। হয়তো কস্ট কাটিং এর জন্য অথবা যাস্ট বৈচিত্র আনার জন্য। এমনিতেও কস্ট কাটিং এর জন্য নবাব কে পোলাও ছেরে বিরিয়ানি অভ্যেস করতে হয়।
  • robu | 11.39.37.169 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১২:২৬686260
  • লেখাটা একটু অসম্পূর্ণ আর কায়দাটাও ভাল লাগল না।
    "এটা ভুললে চলবে নি কো" ধরণের বাক্যে লেখার ন্যাচারাল ফ্লো নস্ট হয়ে আমায় দেখ আমায় দেখ করছে মনে হয়। ভূমির শহুরে উচ্চারণের লোকগীতির মত।
  • blank | 24.99.171.36 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৪৮686271
  • তথ্যগত আরো ত্রুটি -
    আলু - এটা কে ভারতে আনে পর্তুগীজরা। থমাস রো ভারতে আসার অনেক আগে। এডওয়ার্ড টেরির ট্রাভেলগে আছে যে থ্মাস রোর সন্মানে আজমীরে আসফ খান যে ডিনার পার্টি দেন, তাতে আলু ছিল।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৫২686282
  • কলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর গপ্পো আছে না। নবাবের আমন্ত্রিত অনেকে এসেছেন, এদিকে মাংস কম পড়েছিল, তখন বিরিয়ানিতে আলু দিয়ে ম্যানেজ করা হয়। কিন্তু সেই থেকে বিরিয়ানিতে আলু কলকাতায় খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
  • | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:১৫686293
  • হুঁ আলু ঐ কস্ট কাটিঙের জন্য বাবুর্চীই মিশিয়েছিল। পরে এটা কলকাতা বিরিয়ানির জঁর হয়ে যায়। ওয়াজেদ আলি শাহের কলকাতার আস্তানায় আসোজন বসোজন লেগেই থাকত আর যেই আসে তাকেই বিরিয়ানির দাওয়াত দেন নির্বাসিত নবাব। এদিকে যে ভাতা দেয় ইংরেজ তাতে অত মাংস কেনা হয় না, তাই বাবুর্চী আলু মেশায়।
    এই গল্প হয় রাধাপ্রসাদ গুপ্ত নয়ত অমিতাভ মালাকার এর লেখায় পড়েছি। ন্যাড়াদা দেখলে কনফার্ম করতে পারতেন।

    আর দক্ষিণ ভারতের বিরিয়ানির রকমফের নিয়ে রোবু লিখেছিল 'করিমসের বিরিয়ানি একটি নির্মোহ ব' টইতে আছে। ঐ টইতেই শিবাংশুর হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি ট্যুর নিয়ে লেখা ছিল।
  • aka | 80.193.120.61 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:১২686297
  • প্রতিভা করণের বিরিয়ানি বোধহয় সবথেকে অথেন্টিক লেখা। একটু বেশি দাম।

    কলকাতার বিরিয়ানির আলু ডিম ইত্যাদি তো আছেই। কিন্তু স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদিই আসল। যেমন ঢাকার বিরিয়ানিতে আলু দিলেও তা কলকাতার বিরিয়ানি হবে না। জায়গা থেকে জায়গায় এই স্বাদ, গন্ধ বা বর্ণের পার্থক্য বেশ বেশি। কাশ্মীরি বিরিয়ানি বা বোম্বে বিরিয়ানি আবার এক নয়।

    পারসিয়ান মাঙ্গস ভাত মানে পোলাও টাইপ খেয়েছি সে অন্যরকম। তাতে মাঙ্গস হল পোড়া। পাকিস্তানি বিরিয়ানি কোনদিন খাই নি মানে অথেন্টিক জায়গা থেকে।

    বিরিয়ানির সাথে বেগুন খাওয়ার চল কি বাঙ্গলাদেশেও আমাদেরেক পারিবারিক বন্ধু ফ্যামিলি বিরিয়ানি রান্না করলে বেগুন করবেই করবে।
  • Arpan | 125.118.223.162 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:২২686298
  • কলকাতার বিরিয়ানিতে কবে থেকে ডিম থাকে?
  • san | 113.245.13.162 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:৩৭686228
  • কোলকাতার কোন একটা বিরিয়ানিতে যেন ডিম থাকে , সেটা সিরাজ না রহমানিয়া ? আর্সালানে থাকেনা।
  • pi | 126.202.215.234 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:৫৬686229
  • আমিনিয়াতে আছে।
  • কল্লোল | 125.242.132.140 | ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ২৩:৫৯686230
  • সিরাজ, রেহমানিয়া দুয়েতেই বিরিয়ানিতে ডিম থাকে, তবে ইসস্পেসাল বিরিয়ানিতে। আমাদের লুরুতে কোরমঙ্গলা নিউ লাজিজেও ডিম থাকে।

    পর্তুগিজ আমদানী - আলু, টমেটো, পেয়ারা, সবেদা এবং অবশ্যই পাঁউরুটি।
  • | 24.99.236.64 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০০:২২686231
  • ছোট দোকান গুলো যেমন আলিবাবা ইত্যাদি ডিম অবধারিত...
  • Blank | 24.99.48.197 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫১686232
  • আলিবাবা কোলকাতার বিগেস্ট চেন আর ডিম ছারা
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৭686234
  • কল্লোলদা,
    পাঁউরুটি, চা, বিস্কুট - শুনেছি ব্রিটিশদের আমদানি।
  • Arpan | 74.233.173.63 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৭686233
  • জিশান আর আর্সালান ছাড়া কলকাতার বাকি সব বিরিয়ানি ধুর। আর এককালে আমিনিয়া ছিল।

    তারা কোনকালে ডিম দেয় না।
  • pi | 126.202.215.234 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৮686235
  • আমিনিয়া দু'দিন আগে খেয়েছি। ডিম ছিল।
    এবং বেশ ভাল ছিল।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:০৯686236
  • আমিনিয়ায় খুব উজ্জ্বল হলুদ কালার দেয়
  • aka | 34.96.82.109 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০১:১৭686237
  • ইসে ধররা ছড়ানোর পরে গোটানোর প্রবল ইচ্ছে সত্বেও আরও ছড়াইয়া থাকেন। ঃ)
  • সে | 94.75.173.148 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০১686239
  • পোলাও ও বিরিয়ানির মধ্যে কোনো তফাৎ আছে কি?

    পোলাও নানান দেশের (সেসব দেশে গিয়ে) খেয়েছি তাতে আলু বা ডিম কখনো পাই নি। গাজর বিভিন্ন রঙের পেয়েছি, নানারকমের কিশমিশ, গোটা রসুন, আখরোট, গোরু বা ভেড়ার মাংস, চিকেন, পেঁয়াজ ইস্তক কী নেই? কিন্তু আলু নৈব নৈব চ। ডিম পেয়েছি এগ্ফ্রায়েডরাইসে।
    আলু দেয়া বিরিয়ানির মূল কারন মনে হয় কম খরচে পেট ভরানো।
    যাইহোক, পোলাও ও বিরিয়ানির মধ্যে কোনো তফাৎ আছে কি নেই সেটা বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে উৎসুক রইলাম।
  • সে | 94.75.173.148 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:১২686240
  • ম্যাগো নামের একটা টই ছিল যদ্দূর মনে পড়ছে। ডিম দেয়া বিরিয়ানির স্থান ওখানেই।
  • কল্লোল | 125.242.165.128 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২০686241
  • লসাগু।
    চা নিশ্চিত ভাবেই বৃটিশ আমদানী চীন থেকে। বিস্কুট নিয়ে জানিনা। তবে বেকারী ব্যাপারটা ভারতে এনেছে পর্তুগিজরা। সেটা কোঙ্কন কোস্টে গেলে ভালো বোঝা যায়। কাজেই বিস্কুট ইংরেজদের আনা কিনা তা নিয়ে সন্দো আছে।
    পাউঁরুটি অবশ্যই পর্তুগিজ। নামেই মালুম।
    তলার লিংকে ইংরাজিতে Bread লিখলে পর্তুগিজে আসবে Pão।
    https://www.google.co.in/?gfe_rd=cr&ei=C4QtVriqKqGl8weAwKrABg#q=english+to+portuguese
    পাও মানে রুটি। পাঁউরুটি একটি দ্বিত্ব শব্দ। যা একটি বিদেশী ও বাংলা শব্দ মিলিয়ে তৈরী যাদের অর্থ একই। যেমন - হাটবাজার, তত্বতালাশ, ভাইবোরদার ইঃ।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৯:৫১686242
  • ও আচ্ছা, পাউঁরুটি হল পর্তুগিজ।
  • b | 135.20.82.164 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১০:২৪686243
  • পুরনো লখনউ (আব্দুল হালিম শরর এর বই ) তে শুনেছি রইসরা পোলাও খেতেন। মানে সে মাংস দেওয়া ভাত-ই, কিন্তু বিরিয়ানি নয়। বোধ হয় এই অতি সূক্ষ ভাগ নির্ভর করে মশলার পরিমাণের উপর, লখনৌ এর রইসরা বিরিয়ানিতে অত্যন্ত মশলা দেওয়া হয় বলে নাক সিঁটকোতেন।
  • sm | 233.223.159.253 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১০:৪৮686244
  • পোলাও এবঙ্গে সবচেয়ে ভালো তৈআরি হয়। পোলাও হবে জাফরান দেওয়া, হালকা সোনালী বর্ণের ও সুগন্ধি। কিশমিশ, কাজুতে ঠাসা থাকবে আর স্বাদ হবে হালকা মিষ্টি। কোনো রকম পিয়াজ, রসুন, আদা, মাংশ কিচ্ছু থাকবে না। সম্পূর্ণ স্বাত্তিক।
    এর সঙ্গে যুক্ত হবে, ঘোর তামসিক কষে কষা খাসির মাংশ।
    শেষ পাতে একটু রাবড়ি। তবে হইলো গিয়ে ভোজন।
    এর সঙ্গে আলু, ডিম দেওয়া বিরিয়ানির কোনো তুলনাই চলে না।
  • কল্লোল | 125.248.76.233 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:০০686245
  • এসএম যে পোলাওএর কথা লিখেছেন সেটি বঙ্গজ পোলাও। এটির একটি নোনতা সংস্করণও আছে। তবে বিরিয়ানির সাথে এই পোলাওয়ের তুলনাই চলে না। দুটো আলাদা রকম। যেমনটি এসএম বলেছেন ঐ পোলাও কষা মাংস দিয়েই খেতে হয়। বিরিয়ানির সাথে কষা মাংস একেবারেই চলে না। কেউ কেউ চাঁপ সহযোগে বিরিয়ানি খেয়ে থাকেন বটে, আমার মতে সেটি বিরিয়ানির স্বাদে বিঘ্ন ঘটায়। বিরিয়ানি এম্নি এম্নিই ভালো। নেহাৎ সাথে কিছু খেতে হলে রেজালা চলতে পারে। বিরিয়ানির সাথে রায়তা-টায়তা কোনকালেই চলে না। ওসব কেমং ইয়ে গোছের। হ্যাঁ, ভরপেট বিরিয়ানি খেয়ে এক পাত্তর বুরহানি পান করা যেতেই পারে। বুরহানি হলো গিয়ে নুন দেওয়া ঘোল। অল্প কাঁচা লঙ্কা কুচিও থাকে।
  • সে | 94.75.173.148 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৪০686246
  • আফগানিস্তানে যে খাদ্যটিকে পোলাও বলা হয়, তা তুলতুলে মাংসে রাঁধা জাফরানসহ। সে এক স্বর্গীয় খাদ্য। আরেকধরণের আফগানি পোলাওয়ে জাফরান দেয় না, ক্যারামেলাইজ করা চিনির মধ্যে রাঁধা হয় - এর রং হয় হালকা বাদামি এবং একেবারেই মিষ্টি নয়।
    ইয়েমেনের পোলাওয়ে দেয় বিভিন্ন লেয়ার এবং টক ক্রীম ব্যবহার করে রান্নার শেষ পার্টে। মধ্যএশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে পোলাও। ভেড়ার মাংস পেঁয়াজ ঝিরিঝিরি করে কাটা হলুদ ও কমলা গাজর এবং সেদ্ধ চাল এর মূল উপকরণ। জলের ব্যবহার নিষিদ্ধ। মাংস কাটা হয় পোলাও তৈরী হয়ে যাবার পরে। ঘি নয়, তেল দিয়ে রান্না করা হয়ে থাকে এই পোলাও।
  • Ekak | 125.99.196.27 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১৩:০১686247
  • "পোলাও বা পলান্ন "

    এটা খুব পরিচিত একটা ভুল । পোলাও শব্দের সঙ্গে পলান্ন শব্দের কোনো যোগ নেই । পলান্ন যা ভারতভূমিতে বৌদ্ধ যুগে হত তা একরকম ভাতে মাংসে মেশানো গায়ে লাগা লাগা জিনিস । এদেশের লোক ঝরঝরে ভাত বানাতেই শিখেছে অনেক পরে । আমরা যেটা পোলাও বলে এখন জানি ওটা পিলাফ । একেবারেই পাশত-আফগান অরিজিন এর রান্না এন্ড নট নেসেসারিলি মাংস দিয়েই হতে হবে । এই পোলাও কে পলান্ন -র তদ্ভব বানানো টা বামন্দেব বাবুর কীর্তি । এটা ঠিক না ।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১৩:৩২686248
  • প্লভ
  • সে | 204.230.159.157 | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:০১686250
  • প্লোফ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন