এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • ইসলাম ও ইসলামফোবিয়া

    3-dots
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ১৫২৬৮ বার পঠিত
  • প্যারিস থেকে চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিনঃ
    "এত ভয় আগে কখনও পাইনি। এত অসহায় আগে কখনও মনে হয়নি নিজেকে। মুম্বইতে যে রকম হামলা হয়েছিল, প্যারিসে হুবহু সে রকমই দেখলাম। মুম্বইয়ের ঘটনা টিভিতে দেখেছিলাম। ভয়ঙ্কর! এ বার প্যারিসে নিজেই সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম। এমন জঘন্য কাজ কারা ঘটাতে পারে! কোন ধরনের মানুষ তারা? অথবা আদৌ মানুষ কি? আমার সত্যিই আতঙ্কের ঘোর কাটছে না। গোটা রাত ঘুমতে পারিনি। এখন কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ব, তেমন মানসিক স্থিতিতে পৌঁছতে পারছি না।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.209.3 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৩৩687885
  • মামু এটাকে লেখা করতে পারে তো !
  • d | 144.159.168.72 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৪২687886
  • না না ঠিক আছে, পরে এক করে দিও। এখন টুকরো টুকরো থাক। দিনের বেলাটা যে সব গালিয়াতরা এসে প্রবল গালিগালাজ করে যায় তাদের জন্য এই টুকরো টুকরো লেখাই পড়তে সুবিধে হবে।

    হ্যাঁ বলছিলাম যে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের গ্রামগুলোর কাঁধে বন্দুক রেখে প্যালেস্টাইনের প্রতিরোধ গড়ে ওঠাও আসবে তো এই গ্রান্ড ডিজাইনের মধ্যে।
  • ঈশান | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১১:০২687887
  • বাওয়ালের উপকরণ ৮।

    এইসব করে দুনিয়ায় খুব বিপর্যয় কিছু হয়নি। কারণ নব্বই পর্যন্ত দুনিয়াটা ছিল দ্বিমেরু। সোভিয়েত বনাম মার্কিনী লড়াইয়ে নানা জঙ্গী ইসলামী (সুন্নি) সংগঠন ছিল দাবার ঘুটি মাত্র। তারা লড়ছিল ভালই। অন্যদিকে যারা ছিল, তার একটা পক্ষে নানা বিচিত্র ঘরানার শক্তি ছিল। ধরুন পিএলও বা ধরুন লিবিয়ার গদ্দাফি, বা ইরাকের সাদ্দাম, এরা নানা গোত্রের শক্তি হলেও, কেউই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদী নয়। আরও একটি পক্ষ ছিল ইরান ধরণের। তারা ইসলামী এবং গোঁড়া হলেও, নানা দেশে সন্ত্রাসবাদ চালান করছে বলে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে একটা সাম্যাবস্থা বিরাজ করছিল। হিসেবটা দুম করে হঠাৎ উল্টে গেল, যখন সোভিয়েত হঠাৎ নিজের ঝাঁপ ফেলে দিল। সেটা কেন হল সে এক রহস্য। আমেরিকার মতো সোভিয়েতও দুনিয়ার নানা জায়গায় নানা অমার্জনীয় দাদাগিরি ঘটালেও (যেগুলো এই লেখায় নেই), সেটা নিজের ঝাঁপ নিজে ফেলে দেবার ব্যাখ্যা হতে পারে না। কিন্তু সেই রহস্য আপাতত রহস্যই থাক, শুধু ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামানো যাক। সোভিয়েত দুম করে ঝাঁপ ফেলে দেওয়ায় দুনিয়ার ইকুইলিব্রিয়ামটা সম্পূর্ণ ঘেঁটে গেল।

    মধ্য-পূর্ব এশিয়ায় এই সাম্যাবস্থা ঘেঁটে যাবার প্রথম প্রকাশ্য বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল আফগানিস্তানে। খুব সহজ করে বললে ব্যাপারটা দাঁড়াল এইঃ সোভিয়েত ফৌজ একদিন হঠাৎ করে আফগানিস্তান ছাড়ল। নাজিবুল্লার পতন ঘটাতে মুজাহিদিনদের সঞ্চিত শক্তির ব্যবহার হয়ে দাঁড়াল মশা মারতে কামান দাগার মতো। সামান্যই এফর্ট লাগল নাজিবুল্লাকে হটাতে। বস্তুত মুজাহিদিনদের যুদ্ধ ছাড়াও সেটা ঘটানো যেত। এবং মুজাহিদিন ও তালিবান নামক যৌথ লড়াকু বাহিনীও দুম করে বেকার ও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ল। পশ্চিমী শক্তি এদের বাদ দিয়েই "শান্তিপূর্ণ"ভাবে আফগানিস্তান চালাতে সক্ষম, ফলে এই খুনে বাহিনীইই হয়ে উঠল পথের কাঁটা।

    পুরোটা অবশ্যই এক নিঃশ্বাসে ঘটেনি। এদের "গণতান্ত্রিক" পথে আনতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওয়াহাবি মতাদর্শে দীক্ষিত এই খুনে বাহিনীর ভারি দায় পড়েছে মুক্ত বাজারের আদর্শে দীক্ষিত হবার। তারা ক্ষমতা দখল করে চালাতে থাকে নিজেদের শাসন। বেকার বন্দুকবাজদের মতো ডেঞ্জারাস জিনিস পৃথিবীতে নেই, যদি আবার তারা আদর্শে দীক্ষিত হয়। তাদের বিন্দুমাত্র বিরোধিতা করার একটাই ফল, বন্দুকের নল ঘুরে যায় আমেরিকার দিকে।

    এসব একদম সাম্প্রতিক ইতিহাস। বিশদে বলার দরকার নেই। শুধু এইটুকুই বলার, যে, এই পুরো দিকবদলটা এত সহজ নয়, বরং বহুস্তরীয়। শোনা যায়, পাকিস্তানে ইন্টালিজেন্স এবং মিলিটারিতে সরকারি যুদ্ধঘোষণার পরেও তালিবানি এবং আলকায়দার সমর্থন তীব্র। সৌদির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
  • ঈশান | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১১:২৮687888
  • বাওয়ালের উপকরণ ৯।

    আমরা মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের কথা নিশ্চয়ই এতক্ষণের মধ্যে ভুলে যাইনি। এর মধ্যে সেই কমপ্লেক্সে আরও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ঘটে, যেটা সোভিয়েত পতনের চেয়ে কম কিছু না। নব্বই পর্যন্ত এই কমপ্লেক্সটির অস্তিত্ব শুধু আভাসে ইঙ্গিতে টের পাওয়া যেত। রাজীতিকরা, বিশেষ করে আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা শিল্পমহলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন, কিন্তু সরাসরি নয়। ডেমোক্রাটরা তো বেশ দূরত্বই রাখতেন এবং রাখেন। নব্বইয়ে প্রথম এই ঘরানা বদলাল, যখন বড়ো বুশ ক্ষমতায় এলেন। তার পরে ক্লিন্টনের ক বছর পার করে আবার ক্ষমতায় এলেন ছোটো বুশ।

    বাকিদের সঙ্গে বুশের তফাত কি? এই টইতে আগেও লিখেছি, আরও একবার লিখি। বুশেদের 'জাতীয়' নিরাপত্তার ভেক নিয়ে ব্যবসা করে খাওয়া, দীর্ঘদিনের ট্র্যাডিশন। বড়ো বুশের একটি কোম্পানি ছিল, তার নাম জাপাস্তা। সে কোম্পানি দীর্ঘদিন সিআইএর আন্ডার-কভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। বিনিময়ে ব্যবসাও পেয়েছে। এ আজ আর কোনো ক্লাসিফায়েড ইনফর্মেশন নয়।

    এছাড়াও, আপনারা এখনও যারা একটু আধটু অতীতকে মনে রেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানির কথা ভোলেননি, যাদের সুবাদে লাতিন আমেরিকার অনেকগুলো দেশকে ব্যানানা রিপাবলিক বলা হত। এই কোম্পানিটি বহু দেশে ক্যু ঘটিয়েছে (বা এর বকলমে মার্কিন সরকার), তাদের মধ্যে গুয়াতেমালা সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। গুয়াতেমালার আরবেনজ সরকারকে যখন ফেলা হয় ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানির মদতে, তখন, চে ওখানে ছিলেন। কথিত আছে, এই কোম্প্নাইর কীর্তি দেখেই চে সিদ্ধান্তে আসেন, যে লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণভাবে কিছু করা যাবেনা আর। ফলে লাতিন আমেরিকার চে-পন্থী গেরিলা যুদ্ধের তত্ত্বকে উসকে দেবার কৃতিত্বের অন্যতম দাবীদার এই ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানি।

    তা বড়ো বুশের সঙ্গে এই ইউনাইটেড ফ্রুট কোম্পানির সম্পর্ক নিবিড়। কেউ কেউ বলেন এক সময়ের মেজর শেয়ার হোল্ডার, কেউ কেউ বলেন কিনে মালিক হন। আসল তথ্য আর পাওয়া যায়না, কারণ এই কোম্পানির একটি দশকের (বা ওই আট নয় বছর) সমস্ত রিটার্নের কাগজপত্র নাকি ভুল করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বড়ো বুশের আমলে।

    এছাড়াও বুশ পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসার বন্ধুত্ব সৌদি রাজপরিবারের বহুদিনের। বড়ো বুশের ব্যক্তিগত বন্ধু হলেন প্রিন্স বান্দার। আর ছোটো বুশ একটি এনার্জি কোম্পানি খুলেছিলেন, ১৯৭৭-৭৮ সালে, জেমস বাথ নামক এক ভদ্রলোকের সঙ্গে পার্টনারশিপে। তার নাম আরবুস্তো এনার্জি। সেই কোম্পানির পার্টনার জেমস বাথ ছিলেন সালেম-বিন-লাদেন এবং মহম্মদ-বিন-লাদেন(পরিবারের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে কোন ফেমিলি) নামক দুই আরবী ব্যবসায়ীর প্রতিনিধি। পরে এই ফেলু কোম্পানি অনেক বদলে টদলে নাম নেয় হারকেন। সেই কোম্পানি সৌদি আরবে ব্যবসা করে এবং নানা তেল কোম্পানিতে ইনভেস্ট করে।

    ফলে বুশরা (বাবা এবং ছেলে), ঠিক শিল্পমহল এবং মিলিটারিকে তোল্লাই দিয়ে চলেন এমন না, এঁরা সরাসরি বহুজাতিকের মুনাফাভোগী। মিলিটারি, অর্থাৎ সিক্রেট সার্ভিসের সঙ্গেও এঁদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আর তেল ব্যবসায় তো নিজেরাই জড়িত।

    ফলে, এ কোনো আপতিক ঘটনা নয়, যে, রাষ্ট্রের স্বার্থ আর বহুজাতিকের স্বার্থ এক্কেবারে এক হয়ে যাবে বাবা ও ছেলের জমানায়। ১৯৭৩ এ জাতীয়করণের যে "অন্যায়" করা হয়েছিল, তার শোধ তুলতে দুখানা ইরাকি যুদ্ধ হবে, এবং দুটোই হবে, বাবা ও ছেলে বুশের জমানায়। মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের এঁরা তো ঠিক ফুট সোলজার নন, বরং অগ্রণী জেনারেল। আর ইতিমধ্যে মাঠ ফাঁকা করে দিয়ে চলে গেছে সোভিয়েত। বাঘ আর শিকারের মধ্যে কোনো বাধা নেই। ক্লিন্টন নয়, ওবামা নয়, দুই বুশই তাই খুঁজে পাবেন নানা অজুহাত, কারণ যুদ্ধটা নিজেদের প্রফিটের স্বার্থে ওঁদের করতেই হবে।

    শুধু এটুকুই না, যুদ্ধ বস্তুটাকে এক চরম জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে ছেলে বুশের জমানায়। সেটা না বললে এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে এদের সম্পর্ক নিয়ে কিসুই বলা হবেনা। সেটা লিখব পরের পর্বে।
  • ঈশান | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১১:৩১687889
  • আজ আর না। শেষটুকু কাল।
  • SC | 117.206.249.8 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:১৪687890
  • অন্য একটা toi আলোচনা হচ্ছিল, যুক্তিবাদ ইত্যাদি নিয়ে।failure কারণ এই যে যারা এর কথাতে গলা মেলাচ্ছে, তারা সকলে আপনাদের যুক্তিবাদী সমাজের আইডিয়া টাকে জোরগলা তে reject করেছে, আল্লাহর বাণীর মধ্যেই বাঁচার রসদ খুঁজে পেয়েছে, আপনাদের সায়েন্স এর মধ্যে নয়। সেটা যুক্তিবাদী সেক্যুলার দের failure ই তো বলব।
    যুক্তিবাদী সমাজে, newtonian কসমিক clockwork এর ফ্রেমওয়ার্ক এর মধ্যে নিশ্চয় ওরা কিছু পাননি, যা ওরা মসজিদে পেয়েছেন।
  • PT | 213.110.242.5 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৩:৪০687891
  • উঃ খুব বেঁচেছি!! failure-টা আমার একার নয়-"যুক্তিবাদী সেক্যুলার দের failure।
    এখন কিছু failure তো থাকবেই। ঐ ধর্মীয় বাণীর সঙ্গে সঙ্গে একধরণের কাশির সিরাপের-ও নাকি ভীষণ চাহিদা বাংলাদেশে। সেদেশে নাকি যথেষ্ট নেশা করার বস্তু সহজে না মেলায় এই কাশির সিরাপটি ব্যবহৃত হয়। কলকাতা থেকে নাকি ট্রাক ভর্তি কাশির সিরাপ চালান হয়।
    (তিনবার "নাকি" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে!!)
  • Ekak | 113.6.157.186 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৫০687892
  • কোরেক্স হাজারে হাজারে চালান যায় দুটো জায়গায় । এক বাংলাদেশ আরেক নেফা । সস্তায় নেশা । এতো বহু বহু কালের কথা । আজ থেকে দশ বছরের ও বেশি আগে অসমের জঙ্গলে আমার পরিচিত এক এমআর প্রানে বেঁচেছিল শুধু শখানেক স্যাম্পল ফাইল ভেট দিয়ে । কিন্তু এসব কথার প্রসঙ্গিকতা কী ? সস্তার নেশা তো অনুন্নত অঞ্চলে জনপ্রিয় হবেই ।
  • de | 69.185.236.52 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৫:৫৩687893
  • মামুর অ্যানালিসিসটা ভালো হচ্ছে!
  • PT | 213.110.243.21 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৫:৫৫687895
  • ধর্ম আর কোরেক্স-দুটোতেই সস্তায় নেশা করা যায়। অনুন্নত দেশে দুটোরই জনপ্রিয়তা প্রবল!!
  • PM | 53.251.89.168 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:২১687896
  • "১৯৭৩ এ জাতীয়করণের যে "অন্যায়" করা হয়েছিল, তার শোধ তুলতে দুখানা ইরাকি যুদ্ধ হবে, এবং দুটোই হবে, বাবা ও ছেলে বুশের জমানায়। "--এইটা অতিসরলীকরন, এক্কেবরে একমত নই। ইরাক যুদ্ধের অনেক কারন ছিলো যেমন সাদ্দামের ডলার ছাড়া অন্য কারেন্সিতে তেলের বিক্রি যা আমেরিকার পক্ষে খুব ক্ষতিকারক। তার পরে কুয়েত অক্রমন তো ছিলই।
  • 0 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:২৯687897
  • বাওয়ালের উপকরণ সিরিজ দারুণ হচ্ছে। শুধু নামটাই এট্টু কেমন যেন! তবে গুরুসুলভ তো বটেই :-)
    "মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিনী আর্থসাম্রাজ্যবাদের পশ্চাদপট" - এর'ম পোবোন্ধো গোছের নাম হলে সেটাও মোটেও ভালো হতো না :-)
  • Ekak | 113.6.157.186 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:৪৫687898
  • ইরাক যুদ্ধ নিয়ে সরলীকরণে আম্মো একমত নই তবে ফ্রিডম্যান সম্বন্ধে ইশেনের সঙ্গে একমত যে উনিও বাম দের বিপক্ষে গিয়ে একটা পাল্টা বিল্পবের ছক বানিয়েছিলেন । মুশকিল টা ওই , দার্শনিক গোছের লোকদের হাতে ভুলেও ইম্প্লিমেন্টেশন দিতে নেই । একটা নির্ভুল ভাবে বিপজ্জনক জিনিস নাবাবে ও রক্তপাত অনিবার্য্য ।
  • dd | 116.51.225.141 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ২০:১০687899
  • না ঈশেন। এটা জমলো না। নোপ নোপ।

    এই "কী যাতনা বুশে বুঝিবে সে ঠেসে,যবে দুই বুশে চাপিবে তায়" থিউরীটা পছন্দ হল না। আমেরিকা কী নর্থ কোরিয়া যে প্রেসিডেন্ট যা খুসী তাই করে পার পেয়ে যাবে?উইথ আউট পাবলিক আর এস্টাব্লিশমেন্ট সাপোর্ট? এখন তো বুশ নেই,সে ও অনেকদিন হয়ে গেলো। তো আম্রিগার ফরেন পলিসি পাল্টে গেছে?

    আর এই প্রতিশোধের থিউরী দিয়ে ইরাণের সাথে মার্পিট ফিট করে না। একচুয়ালি ওয়ান কন্স্পিরেসী থিউরী ফিটস অল - এরম বোধয় করা খুব মুষ্কিল।

    হয় নি। আবার লেখো।
  • দ্রি | 47.187.73.137 | ২৬ নভেম্বর ২০১৫ ২৩:৫৭687900
  • " War is a racket. It always has been. It is possibly the oldest, easily the most profitable, surely the most vicious. It is the only one international in scope. It is the only one in which the profits are reckoned in dollars and the losses in lives." -- Smedley Butler, Major General, US Marine Corps

    ঈশেন, লেখাটা শেষ করো দেখি।
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০০687901
  • "হয় নি। আবার লেখো।" পুউরো স্কুলের মাস্টারমশাইয়ের হোমওয়ার্ক ইস্টাইল!
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০৯687902
  • :-) প্রতিশোধ কথাটা ঠিক লিখিনি। ব্যবসায়ীরা প্রতিশোধ নেবার জন্য কিছু করেনা। সবই হিসেব নিকেশের খেলা। ওটা "প্রতিকার" লিখলে ভালো হত। তেল জাতীয়করণের অপরাধের "প্রতিকার"।

    এর তো হার্ড প্রমাণ হয়না। নিছক ঘটনাচক্র গুলিকে পাশাপাশি রাখুন।

    ক। সোভিয়েত ব্লক বাদ দিলে তেলের পৃথিবীতে দুটো দেশ তেল উৎপাদন এবং অন্যান্য শিল্পের জাতীয়করণের স্পর্ধা দেখিয়েছে। সত্তরে ইরাক, অনেক পরে ভেনিজুয়েলা।

    খ। দুটো দেশকেই প্রবল পশ্চিমী বিরোধিতার (কু, যুদ্ধ ইত্যাদি) সম্মুখীন হয়েছে। দুটো ক্ষেত্রেই এসবের নানারকম "কারণ" বা "বৈধতা" পাওয়া গেছে। যেমন শ্রমিক অসন্তোষ, ওয়েপনস অফ মাস ডেসট্রাকশান, ইত্যাদি।

    গ। উভয় ক্ষেত্রেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতির পদবী বুশ।

    ঘ। বুশ পরিবারের তেল এবং অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি মালিকানা এবং প্রফিট পাবার স্বার্থ জড়িয়ে।

    পুরোটাই একই দিকে আঙুল দেখায়। তবে এসব কোনো "প্রমাণ" নয়, সবই ঘটনাচক্র হতেই পারে। :-) এবং এর পরে আরও কিছু ঘটনাচক্র আছে, যা পরে লিখছি। এসব দেখলে সত্যিই মনে হবে, দেশটি আমেরিকা না, অন্য কিছু। এবং আমেরিকার ফরেন পলিসি সত্যিই অনেক বদলেছে ওবামা আমলে। এসব ঠিক কনস্পিরেসি ও না, আমেরিকায় ডেমোক্রাট এবং রিপাবলিকানদের পলিসির সত্যিই পার্থক্য আছে, সে ট্র্যাডিশনাল বামপন্থীরা যতই "সবাই বুজ্জোয়া" বলুন না কেন।

    যাই হোক, এসব থাক, আমি পরের পর্বে বাকিটা লিখব। অর্থাৎ, বাকি ঘটনাচক্র ইত্যাদি।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৫৪687903
  • বাওয়ালের উপকরণ ১০।

    যুদ্ধের জগতে কী বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন বুশরা? সেটা দেখার আগে, তেলের সঙ্গে বুশেদের কী সম্পর্ক একবার ঝট করে দেখে নেওয়া যাক। আগেই বলা হয়েছে, ছোটো বুশ একটি তেল কোম্পানি খুলেছিলেন, যার নাম আরবুস্তো। কোম্প্নানিটি ছিল মূলত ফেলু কোম্পানি। তাকে বাঁচানোর জন্য নানারকম মার্জার টার্জার হয়। ১৯৮৬ সালে শেষ মার্জারের পর এটি হারকেন এনার্জির অংশ হয়। ছোটো বুশের তাতে বড়ো অংশীদারিত্ব ছিল এবং তিনি ছিলেন অন্যতম বোর্ড মেম্বার। বড়ো বুশ তখন উপরাষ্ট্রপতি। বড়ো বুশ রাষ্ট্রপতি হন ১৯৮৯ সাল নাগাদ, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাহরিনের ইউএস রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগে হারকেনের সঙ্গে বাহরিন সরকারের একটি মিটিং হয়। কিছু পরে, জানা যায় বাহরিনের তেল ড্রিল করার এক্সক্লুসিভ রাইট পায় হারকেন।

    নিছক ঘটনাচক্র? হবেও বা। কিন্তু ব্যবসা, স্পেসিফিকালি তেলের ব্যবসার সঙ্গে ছোটো বুশের সম্পর্কটি স্রেফ "গাড়ি চালাই, তেল ভরি" ধরণের নয়, বরং ব্যবসা ও স্বার্থের, এটা এখান থেকেই বোঝা যায়।

    তা, এ হেন ছোটো বুশ স্বয়ং ক্ষমতায় আসেন, ২০০১ সালে। সেই বছরই টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসবাদী হানা হয়। গোটা আমেরিকা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। হামলাকারীরা বেশিরভাগই ছিল সৌদি নাগরিক। প্রভাবশালী সৌদি নাগরিকদের সযত্নে এবং গোপনে নিজেদের দেশে পাঠিয়ে বুশ বন্ধুকৃত্য করেন। এবং তারপরেই প্রথমে ঘোষিত হয় "আতঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"। এবং তার পরে ইরাক যুদ্ধ। এই দুই যুদ্ধকে অস্বাভাবিক দ্রুততায় বুশ পরিণত করেন ব্যবসায়।

    যুদ্ধ যে একটি ব্যবসা, সে তো আমরা ছোটো থেকেই জানি। তাতে নানা জিনিসের চাহিদা বাড়ে, বিশেষ করে মারণাস্ত্রের। মারণাস্ত্র ব্যবসায়ীরা ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়। এ সাম্প্রতিক কালের সমস্ত যুদ্ধের ক্ষেত্রেই সত্য। কিন্তু ইরাকী যুদ্ধ, আর সামগ্রিক ভাবে "আতঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" এই জন্য বৈপ্লবিক, যে, এখানে ব্যবসা শুধু মারণাস্ত্রের নয়। গোটা যুদ্ধ প্রক্রিয়াটিই এখানে ব্যবসার অংশ। যুদ্ধের সমস্ত অংশ, যেমন সৈনিকদের হেলথ কেয়ার, ইনশিওরেন্স থেকে শুরু করে বন্দীদের জেরা, ইলেকট্রনিক নজরদারির অ্যানালিটিক্স, যা যা ভাবতে পারেন, সমস্তই বিভিন্ন কোম্পানির হাতে আউটসোর্স করা হয়। আমেরিকানরা ভয় পেয়েছিল, আতঙ্কই হয়ে ওঠে একটা ব্যবসা। ইরাক থেকে বহুদূরে আমেরিকার মাটিতে ফুলে-ফেঁপে ওঠে একটি ব্যবসা, যার নাম হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। স্রেফ শুকনো সংখ্যা দিয়ে জিনিসটা দেখলে বিষয়টা এরকমঃ
    ২০০৩ সালে আমেরিকান সরকার নানা বেসরকারি সংস্থাকে ৩৫০০টি নিরাপত্তাজনিত কনট্র্যাক্ট দেয় নানা কারণে। ২০০৫-২০০৬ -- এই দুই বছরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৫০০০। হ্যাঁ, ভুল পড়ছেন না, মোটামুটি ৩০০০% বৃদ্ধি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি হয়ে দাঁড়ায় ২০০ বিলিয়ান ডলারের ব্যবসা, যেটাকে ২০০১ এর আগে ব্যবসার ক্ষেত্র বলেই কেউ মনে করতনা।

    আমেরিকান নাগরিকদের বড়ো অংশ এতে আপত্তি করেননি। নজরাদারিতে আপত্তি করেননি, প্রোফাইলিং এ আপত্তি করেননি, সোসাল সিকিউরিটির কাটছাঁটে আপত্তি করেননি। কারণ তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে যা হয়েছে, যুদ্ধ এবং নিরাপত্তার হুজুগে ২০০ বিলিয়ন ডলার নানা দরকারি তহবিল থেকে সরিয়ে জমা করা হয়েছে বেসরকারি কোম্পানির লাভের খাতায়।

    এটা শুধু আমেরিকার মাটিতে, এবং একটি সেক্টরে। বাকি সেক্টরেরে এবং বিশ্বজুড়ে অবিকল একই জিনিস ঘটে। যুদ্ধই হয়ে ওঠে ব্যবসা।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৩687904
  • বাওয়ালের উপকরণ ১১।

    বিশ্বজুড়ে এই কনট্রাকটর রাজটা আসলে কিরকম? যতটা ভাবা যায় তাই। যুদ্ধের উপকরণ সাপ্লাই, খাবার দেওয়া, ইনশিওরেন্স থেকে শুরু করে যুদ্ধের পরের কাজকর্ম, ইশকুল তৈরি থেকে হাসপাতাল, তেলের রাইট থেকে আলপিন বানানোর অধিকার অবধি সব। এক কথায় ওয়ার্ল্ডস লারজেস্ট আউট অফ বিজনেস সেল এবং সঙ্গে সঙ্গে সরকারের দেওয়া নতুন বিজনেস। সরকার মানে ইরাকি আমেরিকান ইউরোপিয়ান সব সরকার (ইরাকের খরচাটা বলাবাহুল্য বেশি)। এ একেবারে ফ্রিডম্যানোত্তর পোস্টমডার্ন দুনিয়া। সরকার শুধু বিজনেসকে রেগুলেট করা বন্ধ করছে তাই ই না, তার সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগের ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবেও কাজ করছে। এখানেই শেষ নয়, বহু ক্ষেত্রে সরকারই আবার এই বিজনেসের ক্লায়েন্টও।

    সব মিলিয়ে এই নতুন বিজনেস অপারচুনিটির আর্থিক মূল্যটি কি? অর্থাৎ, নানা দেশের সরকার, এবং পাবলিক ঠিক কত টাকা ব্যয় করেছে, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছয়? তেলের দাম, সিকিউরিটির খরচ, কনস্ট্রাকশন, সব ধরলে, একটা এস্টিমেট জানাচ্ছে, ২০০ ট্রিলিয়ন ডলার। অবশ্যই সঠিক সংখ্যাটা কেউ জানেনা, এটা এস্টিমেটই।

    এই টাকা পেল কারা? প্রথম সারিতে সেই হ্যালিবার্টন, বেখটেলের মতো কোং রা। আছে তেল কোম্পানিরা। এছাড়াও লতায় আতায় জড়ানো নানা বিগ বিজনেস। ফুট সোলজাররা অবশ্যই তেমন কিছু পায়নি। প্রফিটটা যাদের পকেটে ঢুকেছে, তাদের এই আতঙ্ক, এই যুদ্ধটা প্রয়োজন ছিল।

    কিরকম প্রয়োজন ছিল? একটি বহুজাতিকের কথাই বলা যাক। হ্যালিবার্টন। যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ মাস, অক্টোবর ২০০৬ সাল। হাজার হাজার ইরাকি মারা গেছেন সে মাসে। একজন মার্কেট অ্যানালিস্ট সে মাসেই দেখছি ঘোষণা করছে, Iraq was better than expected। সেই কোয়ার্টারেই হ্যালিবার্টনের ইরাক থেকে আয় হয়েছিল, সার্চ করে দেখলাম, ৬১১ মিলিয়ন ডলার।

    প্রসঙ্গত বলে রাখা যাক, হ্যালিবার্টন নামক বহুজাতিক সংস্থাটির সিও পদ ছেড়ে ২০০১ এ বুশ প্রশাসনে যোগ দেন এক ভদ্রলোক। মোটা বেনিফিট প্যাকেজ এবং স্টক অপশন, সবই পেয়েছিলেন তিনি চাকরি ছাড়ার সময়। ভদ্রলোকের নাম, ডিক চেনি। তিনি ছিলেন যুদ্ধের সময় আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপতির তেল কানেকশন সর্বজনবিদিত। উপরাষ্ট্রপতির প্রাক্তন কোম্পানি যুদ্ধ থেকে পেয়ে চলেছে কনট্র্যাক্ট। এবং যে কারণে যুদ্ধ, সেই ওয়েপন অফ মাস ডেস্ট্রাকশন একটি গুল। বিশ্বের বহু জায়গায় এর একশভাগের একভাগ যোগাযোগের কারণেরি চাকরি যায় রাষ্ট্রপ্রধানদের। যেমন ধরুন ভারতর্ষের রাজীব গান্ধী। লোকে ঠিক বিশ্বাস করেনা, এসব নেহাৎই ঘটনাচক্র। কিন্তু বুশ চেনি কেউই পদত্যাগ করেননি। আমেরিকার লোকে ভয় পেয়েছিল। ভয় পেলে, কে না জানে বাস্তববুদ্ধি কাজ করেনা। ভয় আর ভক্তিতে গণেশকে দুধ খাওয়ানোর মতো বিজনেসও জমে যায়।
  • riddhi | 146.165.153.26 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৩687906
  • পিটী যথারীতি হাফ বা পুরো না বুঝে এস-সির পয়েন্ট টাকে ট্রিভিয়ালাইজ করলেন। নাস্তিকদের জীবনে (স্ট্রং আইডিওলজি না থাকলে) চরম লক্ষ্য গোছের কোন জিনিস থাকে না। খাবার, বাড়ির প্রয়োজন মিটলেও, এই ভয়েড টার সাথে কোপ করা চাপ।এটাকে 'আফিং' টাফিং নেশা ইঃ বলা একরকম ট্রিভিয়ালাইজেশান।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:১৪687907
  • বাওয়ালের উপকরণ ১২।

    বুশ চেনিকে নিয়ে যা লিখলাম, কোনোটাই স্পেকুলেশন নয়। ফাঁস হওয়া তথ্যও নয়। সবই পাবলিক ডোমেনে মেলে। ফলে এসব কনস্পিরেসিও না। খুল্লামখুল্লা বুক বাজিয়ে জানানো। দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে যা দেখানো হয়েছিল, সেটা গুল প্রমাণিত হবার পরেও, এই খুল্লাম্খুল্লা বুক বাজানোতে কোনো ছেদ নেই।

    এর কারণ একটাই। আমরা ইরাক যুদ্ধের হাত ধরে ঢুকে পড়েছি ফ্রিডম্যানোত্তর এক অলীক দুনিয়ায়। পৃথিবীর ইতিহাসে বুশের অবদান এইটুকুই, সেজন্যই তিনি অনন্য। এর আগে, আমরা দেখেছি, কট্টর শাসকের সঙ্গে হাত মেলানো, সে, ধর্মান্ধই হোক বা ডিক্টেটর, দরকার ছিল অর্থনীতিকে পছন্দমতো শেপ দেবার জন্য। সেজন্য যুদ্ধ বা কু প্রয়োজন ছিল। বুশ দেখালেন, যে, শুধু সেটুকুই না, যুদ্ধ নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি হয়ে উঠতে পারে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, কনস্ট্রাকশন, রেসকিউ, ইনশিওরেন্স, ইত্যাদি প্রভৃতি এবং আরও বহু বহু কিছু, সব মিলিয়ে। এবং এই ইন্ডাস্ট্রি প্রো-অ্যাকটিভলি তৈরি করা যায়, জনসমর্থন তেমন না হারিয়েও, যদি ঠিকঠাক আতঙ্কের বাতাবরণ থাকে। এটা অনেকটা উনবিংশ/বিশ শতকের গোড়ার জাতীয়তাবাদ ঘরনার পুনরুত্থান, কেবল আন্তর্জাতিক মোড়কে।

    বুশ এটা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন, কিন্তু কেলো হল তারপরে। ভোটের রাজনীতি বড়ো মজার, ক্ষমতায় এলেন ওবামা। তাঁর পলিসি আবার একেবারে উল্টো। ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে দিলেন দুম করে। এতে করে ইতিমধ্যেই যে কন্ট্র্যাক্টগুলি হয়ে গেছে, তার উপরে কোনো প্রভাব পড়ার কথা নয়। কিন্তু মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের কাছে একটা বড়ো পাইয়ের টুকরো হাতছাড়া হবার লক্ষণ। পৃথিবী শান্ত হয়ে ২০০১ এর আগের অবস্থায় এলে স্রেফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিইতেই ২০০ বিলিয়ান ডলার বিজনেস কমবে। পুনর্গঠন ইত্যাদি যোগ করলে সংখ্যাটা অনেক বাড়বে। ফলে অনেকেই অসন্তুষ্ট হলেন, বলাই বাহুল্য। রিপাবলিকান নেতাদের প্রতিক্রিয়া দেখলে সে অসন্তোষের খবর মিলবে।

    কিন্তু আমেরিকার জনমত তখন ওবামার পক্ষে। অনেক্দিন আতঙ্কের তেমন খবর নেই। কিন্তু তবুও ওবামা রাজত্বের প্রথম বছরগুলি কাটল প্রত্যাহারের সঠিক সময় কখন এই ডিলেমায়। তারপর ইরাকের সরকারকে ইরাকে বসিয়ে ২০১১ নাগাদ মার্কিন সৈন্যরা দেশে ফিরে এল। ছেড়ে এল পর্বপ্রমাণ বিজনেস অপারচুনিটি। আমেরিকার পাবলিকের বেশিরভাগই এই সময়ে ইরাক যুদ্ধকে "ভুল" বা "অপ্রয়োজনীয়" মনে করলেও অনেকের কাছেই যুদ্ধটা ছিল "প্রয়োজনীয়"। ফলে উত্তর ফ্রিডম্যানীয় বিজনেসকুলপতিগণ এই ব্যবস্থায় অসন্তুষ্ট হলেন বইকি। প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয়, এই বিতর্ক আমেরিকায় তীব্রতর হয়ে উঠল।

    এই করতে করতে ঘনিয়ে এল পরবর্তী নির্বাচনের ছায়া। এই তীব্র মতপার্থক্যের প্রভাব নির্বাচনের প্রাথমিক প্রচারেও দেখা গেল। একদিকে রিপাবলিকান পক্ষে উত্তর-ফ্রিডম্যানিয় শিল্পপতিকুলের প্রতিনিধি হিসেবে সবচেয়ে প্রমিনেন্ট প্রার্থী হিসেবে উঠে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সব দিক থেকেই বুশের এক কাঠি বাড়া। খুল্লামখুল্ল কাটথ্রোট শিল্পপতি, যুদ্ধ করে সন্ত্রাসবাদীদের গুঁড়িয়ে দেবার পক্ষপাতী, বুশের যোগ্য উত্তরসূরী। এটা প্রত্যাশিতই, কিন্তু উল্টো দিকে হিলারি ক্লিন্টনকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলে ক্যাম্পেনে উঠে এলেন স্বঘোষিত সোসালিস্ট বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের ডাকই দিয়ে ফেলেছেন প্রায়। ইন্টারেস্টিং যেটা, একটা বড়ো অংশের মানুষ এখনও পর্যন্ত বার্নিকে সরাসরি সমর্থন করছেন। আমেরিকায় এ জিনিস শেষ দেখা গিয়েছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, যখন যুদ্ধবিরোধী র‌্যাডিকালদের হয়ে প্রাইমারিতে লড়ছিলেন, দুর্ভাগা কেনেডি ভ্রাতা, তিনিও নিজেকে সোসালিস্ট বলে ঘোষণা করেনই। প্রচারের সময়ই খুন হন ভদ্রলোক। বার্নি কদ্দুর এগোতে পারেন, দেখা যাক।

    তা, কথা হল, বুশের শেষদিকে এবং ওবামা শাসনকালে জনমানসে ফ্রিডম্যানিয় প্যারাডাইমটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অন্তত আমেরিকায়। একটা খুল্লামখুল্ল যুদ্ধ আসন্ন, সে বোঝাই যাচ্ছিল। এমন সময় ঘটল প্যারিস। প্রোফাইলিং, জাতীয় নিরাপতা, যুদ্ধ, এইসব আবার শোনা যেতে শুরু হয়েছে দেশপ্রেমিকদের মুখে। আতঙ্ক ক্রমে ঘনাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়, এবং বিজনেসের আরও একটি সুযোগ দরজায় দন্ডায়মান।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:১৫687908
  • "সোসালিস্ট বলে ঘোষণা করেনই" নয়, "সোসালিস্ট বলে ঘোষণা করেননি" হবে।
  • Cthulhu | 151.0.13.176 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:২১687909
  • একটা হিসেবই মিলছে না - ষাটের দশকে ইরানে একটা ক্যু ঘটানো হয়েছিলো না? যেটার ফলে শাহ ক্ষমতায় আসেন? অ্যাপারেন্টলি, সিআইএ সরাসরি যুক্ত ছিলো। নাকি টাইমফ্রেমে গোলমাল করছি?
  • Cthulhu | 151.0.13.176 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:২৭687910
  • যতদূর মনে পড়ছে - যাঁকে সরিয়ে শাহ-কে আনা হয়, নামটা ভুলে গেছে, তিনিও তেলের জাতীয়করণ গোছের অপরাধগুলো করেছিলেন।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৭687911
  • বাওয়ালের উপকরণ ১৩।

    এই পুরো ছবিতে আইসিসকে কোথায় প্লেস করব? তথ্য বলতে এইটুকু জানা, যে, আইসিসের জন্ম একরকম করে হয়েছিল, ইরাকের মার্কিনী যুদ্ধশিবিরে। আবু বকর আল বাগদাদি কে বন্দীশিবিরে প্রচার করার সুযোগ দেওয়া হয়, এবং তিনি সাঙ্গোপাঙ্গো সমেত বেরিয়ে আসেন। ইরাকে কিছু হামলা করেন। সিরিয়ায় আসাদকে আক্রমন করেন। তারপর ইরাক দখল করতে হুহু স্পিডে এগিয়ে আসেন।

    শোনা যায়, সৌদিদের একটি অংশ আইসিসকে সমর্থন করেছে। অর্থ এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছে। কেউই এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেননি, কিন্তু এই খবর বা স্পেকুলেশন, যাই বলুন, এর পিছনে যথেষ্ট যৌক্তিক ভিত্তি আছে। প্রথমত, এটা সৌদি, বকলমে মার্কিনীদের চালু প্র্যাকটিস, যে, ওয়াহাবি সুন্নিদের মতাদর্শগত ভাবে এবং অন্যান্য ভাবে সাহায্য জোগাতে হবে। আইসিসের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবার কোনো কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, খুব গুরুত্বপূর্ণ যেটা, ইরাকে মার্কিনী জয়লাভের পর চালু হয় শিয়া রাজত্ব। কট্টরপন্থী সৌদিদের পক্ষে পাল্টা গ্রুপকে সমর্থন করা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া (যেমন পাকিস্তান শুধু মুজাহিদিনদের ট্রেনিং দিয়েই ক্ষান্ত দেয়নি, লশকর-এ-তৈবার মতো সংগঠঙ্গুলিকেও তোল্লাই দিয়েছিল)। এবং তৃতীয়ত, মার্কিনী মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের একটি অংশ সরাসরি চায় ওবামা পন্থার পরাজয়। তাদের পক্ষে এদেরকে তোল্লাই দেওয়া লজিকাল (মনে রাখতে হবে, সিক্রেট সার্ভিস বহু ক্ষেত্রেই সরকারী নীতির তোয়াক্কা করেনা)।

    এই কারণগুলি সবই, এই মুহূর্তে যৌক্তিক অনুমান। কারণ ডকুমেন্ট সবই ক্লাসিফায়েড। কিন্তু একটা জিনিস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, যে, জর্জ বুশ ইরাক নামক "ক্যান অফ ওয়ার্ম্স" টি খুলেছিলেন মিলিটারি-বিজনেস কমপ্লেক্সের বিজনেসের চাহিদায়। ফ্রিডম্যানীয় বা ফ্রিডম্যানোত্তর দুনিয়া প্রতিষ্ঠার ধর্মযুদ্ধের অংশ হিসেবে। যেখানে মুক্ত বাজার = স্বাধীনতা। গণতন্ত্র যেখানে বেকার বাত। আতঙ্ক যেখানে প্রো-অ্যাকটিভ যুদ্ধের হাতিয়ার। আর যুদ্ধ বিজনেসের। এই অপকম্মোটি না ঘটালে আইসিস নামক দানবের জন্ম হতনা। যেমন আফগানিস্তান না ঘটলে জন্মাতনা আল কায়দা। আর সৌদির সঙ্গে আমেরিকার আঁতাত না হলে দুনিয়া জুড়ে ওয়াহাবি ইসলামী গোঁড়ামির চাষবাস অনেক কম থাকত।

    (শেষ)
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৮687912
  • ইরানের ওই সময়ের গপ্পোটা পরে লিখব। সেটাও ইন্টারেস্টিং। বড্ডো আমেরিকা ব্যাশিং হয়ে যাচ্ছে আর বড়ো হয়ে যাচ্ছে ভেবে এখানে বাদ দিয়েছি। :-)
  • শ্যাম | 188.162.193.233 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:৫১687913
  • "১৯৭৩এ জাতীয়করন এর প্রতিশোধ নিতে বা প্রতিকার করতে দুটো যুদ্ধ হবে।"

    এটা পড়ে প্রথম গালফ ওয়ার নিয়ে কিছু প্রশ্ন মনে এলো। তবে "শিল্পের জাতীয়করণের স্পর্ধা" কিন্তু আমাদের দেশেও দেখানো হয়েছে, শুধু তেলের দুনিয়াতেই না। ইন্দিরা গান্ধী ব্যাংক জাতীয়করন করেন ১৯৬৯এ।

    যাই হোক, প্রশ্নটা ছিল প্রথম গাল্ফ ওয়ার কেন হয়েছিল? সাদ্দাম কুয়েত দখল করেছিলেন, সাদ্দামকে কুয়েত থেকে হটানোর জন্য। সাদ্দাম কেন কুয়েত দখল করেছিলেন?

    এর আগে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়ে কুয়েত ইরাককে অনেকদিন ধরে সাপোর্ট করেছিল। কুয়েত ইরাকের তেল এক্সপোর্ট করতে সাহায্য করত, আর তার থেকে বড়ো কথা অনেক কোটি টাকা ধার দিয়েছিল। এই সময়ে ইরাককে অস্ত্র, টাকা আর মিলিটারি ইনটেলিজেন্স দিয়ে আরেকটা দেশ সাহায্য করেছিল - ইরানের শত্রু আমেরিকা। রেগ্যান অ্যাডমিনিস্ট্রশনে যিনি সাদ্দামের সাথে দৌত্য করতেন তাঁর নাম ডোনাল্ড রামসফেল্ড। নোন-আননোন খ্যাত রামসফেল্ড। আর এই পুরো সময়টায় রেগ্যানের ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি ছিলেন তাঁর নাম বাবা বুশ। বাবা বুশ প্রেসিডেন্ট হন ১৯৮৯এ আর সে বছরের অক্টোবরে হোয়াইট হাউস থেকে যে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিরেক্টিভ জারি হয় তাতে ছিলঃ "Normal relations between the United States and Iraq would serve our longer-term interests and promote stability in both the Gulf
    and the Middle East. The United States Government should propose
    economic and political incentives for Iraq to moderate its
    behavior and to increase our influence with Iraq. At the same
    time, the Iraqi leadership must understand that any illegal use
    of chemical and/or biological weapons will lead to economic and
    political sanctions, for which we would seek the broadest
    possible support from our allies and friends. Any breach by Iraq
    of IAEA safeguards in its nuclear program will result in a
    similar response. Human rights considerations should continue to
    be an important element in our policy toward Iraq. In addition,
    Iraq should be urged to cease its meddling in external affairs,
    such as in Lebanon, and be encouraged to play a constructive role
    in negotiating a settlement with Iran and cooperating in the
    Middle East peace process. " (http://fas.org/irp/offdocs/nsd/nsd26.pdf) দেখা যাচ্ছে মোটামুটি ১৯৯০ এর শুরু পর্যন্ত, যখন বাবা বুশ প্রেসিডেন্ট, আমেরিকা ইরানকে প্রধান শত্রু মনে করত আর ইরানকে কাউন্টার করতে ইরাককে সাহায্য করত। তাহলে প্রথম গালফ ওয়ার কেন শুরু হলো?

    আশির দশকের শেষের দিকে দেখা গেল দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালানোর ফলে ইরাকের ভাঁড়ার ফাঁকা। আরেকটা কারন বলা যায় (অন্তত আমার মতো লোকেরা বলবে) যে, ইন্ডাস্ট্রি ন্যাশনালাইজেশনের ফলে ইরাকের ইকনমি এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হতো কারন বেশীরভাগ দেশে দেখা গেছে যে ন্যাশনালাইজড ইন্ডাস্ট্রি সাধারনত ইনেফিসিয়েন্ট হয় আর ইনোভেটিভ হয়না। যাই হোক, দ্বিতীয় কারনটা মুলতুবি থাক, লিংক চাহিয়া বিব্রত করিবেন না, ওটা অন্য তর্ক। অয়েল প্রোডাকশন কোটা নিয়েও ইরাক আর কুয়েতের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। নব্বুইয়ের শুরুতে ইরাক কুয়েতের লোন ফেরত দিতে অসমর্থ হয়, তখন সাদ্দাম কুয়েতকে অনুরোধ করে লোনটা মকুব করে দিতে। কিন্তু কুয়েত অতো বড়ো লোন মকুব করতে রাজি হয়নি, ফলে সাদ্দাম বিস্তর চটে যান। তখন তিনি এক অছিলা বের করেন, কুয়েত স্ল্যান্ট ড্রিলিং করে ইরাকের তেল চুরি করছে। আর ১৯৯০ এ কুয়েত অভিযান শুরু করেন।

    তাহলে প্রশ্ন হলো, সাদ্দাম হুসেন যদি কুয়েত দখল না করতেন তাহলে কি বাবা বুশ যুদ্ধ শুরু করত? কুয়েত দখল না করলে সাদ্দাম কিন্তু অনায়াসেই আমেরিকার কোভার্ট সাপোর্ট পেতো, যা আগে পাচ্ছিল, কারন আমেরিকা ইরানকে বেশী বড়ো শত্রু মনে করত।

    তাই ভাবছিলাম, ১৯৭৩ এ জাতীয়করনের প্রতিকারের জন্য বাবা বুশ সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন, এরকম একটা গাঁজাখুরি লাইন লেখক কোত্থেকে আমদানি করলেন।
  • শ্যাম | 188.162.193.233 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:০২687914
  • আর প্রথম অয়েল শক ১৯৭৩ এ ওপেকের এমবার্গোর ফলে আর কিছুটা ব্রেটন উডস কোল্যাপসের ফলে (যার জন্য ডলারে র‌্যাপিড ডিভ্যালুয়েশন হয়েছিল তাই ওপেক গোল্ডের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল) হলেও দ্বিতীয় অয়েল শক হয়েছিল ১৯৭৯ এ ইরানে ক্যু এর ফলে। দ্বিতীয় অয়েল শক ওভারকাম করা হয়েছিল মোটামুটি সেই সময়ের ফেড চেয়ারম্যান পল ভোলকারের হাত ধরে যিনি ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করেছিলেন। তারপর ২০০৫ থেকে আবার প্রাইস শক, সেটা অনেক গ্র্যাজুয়াল, সেটার বড়ো কারন বাড়তে থাকা এনার্জি ডিম্যান্ড আর কমোডিটি স্পেকুলেশন। তো ১৯৭৩এ জাতীয়করনের প্রতিকারের জন্য গালফ ওয়ার, এই ওয়ান সাইজ ফিটস অল থিওরিটি কিন্তু প্রায় কোন কিছুতেই ফিট করছেনা।
  • ঈশান | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:০৫687915
  • এ কথা সত্যি যে ইরাক-ইরান যুদ্ধে, আমেরিকা ইরাকের পক্ষে ছিল। তাতেও অনেক জটিলতা ছিল। শোনা যায় ওটায় সৌদির চাপ ছিল (শিয়া সুন্নি বিবাদ)। রেগন সৌদির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন, বুশ হননি।

    কিন্তু তারপরেও যদি ধরে নিই, যে, প্রথম যুদ্ধের কারণ হল কুয়েত দখল, সেটা কেবল প্রথম যুদ্ধের জাস্টিফিকেশন হল। দ্বিতীয় যুদ্ধের কারণটা আমাকে একটু বুঝিয়ে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। :-) (আমি এখানে দিীয় যুদ্ধটার উপরেই ফোকাস করেছি মূলত)।
  • শ্যাম | 208.7.62.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:১২687918
  • ও সরি আমি ভেবেছিলাম প্রথম যুদ্ধটার ওপর ফোকাস করা বা প্রথম যুদ্ধের কারন খোঁজা বেশী জরুরি ছিল। প্রথম যুদ্ধটা না হলে দ্বিতীয়টাও হতো না কারন ইন্টারন্যাশনাল প্রিসিডেন্সও তৈরি হতো না। সাদ্দাম যদি কুয়েত দখল না করতেন তো আমেরিকার (আর বাবা বুশের) কোভার্ট প্যাট্রনেজ এনজয় করতেন, আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে ইরাককে আগের মতো ব্যাবহারও করতে থাকত, বিজনেস অ্যাস ইউজুয়াল সিনারিও আর কি। সাদ্দামের কেমিকাল ওয়েপন ব্যবহার নিয়েও অ্যামেরিকা আর বাবা বুশ চোখ বুজে থাকত। হিসেবগুলো উল্টে দিল কুয়েত অভিযান।

    আর দ্বিতীয় যুদ্ধে ছেলে বুশ স্রেফ একটা অছিলা বের করে নিজের বিজনেস ইন্টারেস্ট বাড়িয়েছিল, ওটা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে সাদ্দাম কুয়েত দখল না করলে পরবর্তী ঘটনাক্রমও হতো না আর ছেলে বুশ সেই অছিলাটা পেতোনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন