এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দেশবিদেশের খাওয়াদাওয়ার অভিজ্ঞতা

    Paramita
    অন্যান্য | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ | ৭২৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Paramita | 143.127.3.10 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৪:৫৭693689
  • মেক্সিকান খাবারটার নামের উচ্চারণ খুব সম্ভবত: পোজোল (pozole) - আপিশ ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়া, তাই প্রিপারেশানটা সাদামাটা ছিলো। কিন্তু উপকরণে দেখলাম স্বাস্থ্যকর জিনিসপত্তর - স্যালাড সাবস্টিটিউট হিসেবে একে নেওয়া যায় কি যায়না মনস্থির করতে না করতেই লাইনে আমার টার্ন এসে গেল, ঝাঁ করে ওটাই অর্ডার করে দিলাম। বলছে পর্ক, মুলো, বাঁধাকপি আর "হোমিনি" বলে একটা বস্তু আছে ওতে। গরম তাওয়ায় ধোঁয়া ওঠা তেলে চোখের সামনেই সিজলড হতে থাকলো জিনিসপত্তর। হোমিনির আকৃতি প্রথমে দেখতে পাইনি, হঠাৎ দেখি নকুলদানার মতো সাদা বড়ি গাদাখানেক কড়াইতে ঢেলে দেওয়া হলো। সব ভাজা ভাজা হয়ে গেলে স্টু টাইপের সুপ ঢেলে দেওয়া হলো ওপরে।

    খেতে সুস্বাদু। যেগুলোকে নকুলদানা ভেবেছিলাম সেগুলো আসলে ভুট্টা। ধবধবে সাদা হয়ে গেল কোন মন্ত্রে জানি না। সসটা সুপের মতো শেষকালে চুমুকে শেষ করলাম। এই বস্তুটি আগে কখনো খাইনি বা মেক্সিকান রেস্টোরেন্ট মেনুতে পাইনি। ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে মেক্সিকোর রাণী চিহুআপিলি রাজ্যজয়ের পর নরমাংস সহকারে এটি পরিবেশন করেছিলেন। পুরোহিতরা সেটা জানতে পেরে নরমাংসের বদলে বরাহ সার্ভ করবার আদেশ দেয়। তবে ক্যাফেতে নিরামিষাশীদের জন্য আরেকটি ভার্শান ছিলো, পর্কের জায়গায় টোফু দিয়ে।

    টামালে খেয়েছো কেউ? কেমন লাগে? মাংসভরা লম্বাটে ইডলির রোল বলতে পারো।

  • Tirthankar | 130.207.93.156 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:০৭693700
  • তখন বরোদায় থাকি। স্কুটারে স্টার্ট দিতে গিয়ে পা ফস্‌কে মাটিতে লেগে ভারী অগৌরবজনক ফ্র্যাকচার হয়েছে। পায়ে প্লাস্টার বেঁধে বাড়ীতে ব'সে থাকতে হবে শুনে গিন্নি বললেন, "এমনিতেই যা মুটোচ্ছ, দিনরাত শুয়ে ব'সে থাকলে আর দেখতে হবে না! আজ থেকে স্ট্রিক্ট ডায়েটিং!'
    ব্যাজার মুখ ক'রে সামান্য কয়েক চামচ ভাত আর সবজি সেদ্ধ খেতে লাগলাম দুই বেলা। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত কিডনিতে স্টোন ধরা পড়ার শাস্তিস্বরূপ রোজ সকালে বড় এক গেলাস কুলত্থ কলাইয়ের জল। তাতে ছোটবেলায় দেখা কলসী বেয়ে উপচে পড়া ফেনায়িত তাড়ির গন্ধ।

    গিন্নি অবিশ্যি নির্দয় নন, তিনি ঐ কুলত্থ কলাইটা বাদ দিয়ে একই জিনিস একই পরিমাণে খাচ্ছেন। দিন দশেক এমনভাবে অতিবাহিত হবার পর দেখা গেল পেটুক স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে। সারাক্ষণ তিরিক্ষি মেজাজ। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনলে মনে হয় ক্যাকোফনি। কেউ বাড়ীতে খবর নিতে এলে মনে হয় লাঠি বাগিয়ে একপায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে তাড়া করি। কেউ মধুর হাসলে ঘ্যাঁক ক'রে তার ভুঁড়িতে কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অতীব ঘোরালো। অবস্থা সম্পুর্ণ আয়ত্বের বাইরে চ'লে যাবার আগেই আমরা বুঝে ফেললাম এই দুর্দশার জন্য একমাত্র দায়ী ডায়েটিং। অতএব একটা বড়সড় প্রায়শ্চিত্ত করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়ল। এক শনিবার আমার পায়ের প্লাস্টার কাটা হল। তার পরেরদিন বেলা বারোটায় আমরা পৌঁছে গেলাম সায়াজীগঞ্জে সায়াজী হোটেলের সাততলায় কালাঘোড়া রেস্টুরেন্টে।

  • Tirthankar | 130.207.93.156 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:০৮693711
  • মহারাজা সায়াজীরাওয়ের নামের এই তিনতারা হোটেলটি থাকার সুব্যবস্থার জন্য যত না বিখ্যাত, তার চেয়েও প্রসিদ্ধ খাবারদাবারের জন্য। রোজ দুপুরে বারোটা থেকে তিনটে সাততলার রেস্টুরেন্টে থাকে বুফে লাঞ্চের ব্যবস্থা।

    রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই একগাল হেসে ম্যানেজার পদম সিং পানোয়ার এগিয়ে এলেন। সাদরে বসালেন রবিবারের স্পেশ্যাল বার-বি-কিউ কাউন্টারের কাছাকাছি একটি টেবিলে। সেই কাউন্টারের ওপর তখন শোভা পাচ্ছে তন্দুরি চিকেনের লাল লাল ঠ্যাং, নানাবিধ কাবাব, ফিশফ্রাই ...

    প্রথমে ওয়েলকাম ড্রিংক ফ্রুট পাঞ্চ। ভারী মোলায়েম ফ্লেভার। চিকেন হট অ্যান্ড সাওয়ার স্যুপ। টক এবং ঝাল একেবারে নিঁখুত। এবার প্লেট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো মেন কোর্সে। একদিকে স্যালাড বার। তাতে অন্তত: কুড়ি রকমের দেশি-বিদেশি স্যালাড। আলু-ছোলার চাট থেকে শুরু করে চীজের টুকরোতে উপচে পড়া গ্রীক স্যালাড, সেদ্ধ ডিম আর ক্যাপসিকাম দিয়ে বানানো এগ-মেয়োনীজ স্যালাড, রাশিয়ান স্যালাড, কোলস্ল, চিকেন স্যালাড, ...

    স্যালাডের পাশে একদিকে পালক পনীর, ভেজ জয়পুরী, চানা মসালা, আলু-গোবি, ডাল-মাখানি, ভেজ বিরিয়ানি ... ধুস্‌স্‌স্‌ বিরিয়ানি কখনও মটরশুঁটি আর গাজর দিয়ে হয়? ইয়ার্কি মারার জায়গা পাও না? এইতো, এপাশেই আছে চিকেন কোলহাপুরী, হান্ডি মাটন, কিমা মটর, মাট্‌ন্‌ বিরিয়ানি - অ্যাঅ্যা, এবার পথে এসো বাবা! টেবিলে আবার রেখে যাচ্ছে গরম গরম তুলোর মত নান। চাইলে প্লেন তন্দুরী রুটিও পাওয়া যায় অবিশ্যি।

    বার-বি-কিউ কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ালেই সাদা টুপি পরা শেফ হাসি হাসি মুখে প্লেটে তুলে দিচ্ছে তন্দুরী চিকেন, সবুজ-সবুজ হরা-ভরা কাবাব - আ:, কি স্বাদ তার, চিকেন রেশমি কাবাব, মুর্গ আচারি কাবাব আর সুরমাই মাছের ছোট ছোট গরম মুচমুচে ফিশফ্রাই। চাইলে আবার ঈষৎ গোলাপী আভাযুক্ত সাদা টার্টার সসও মেলে।

    আমাদের মনোভাবও আলিবাবা নাটকের কাশেমের মত "এখন আমি কি করি? এটা নিই কি সেটা নিই! হীরে নিই কি মোহর নিই! মোহর নিই কি জহর নিই! আমি সব নেবো কিচ্ছু ছাড়বো না, কিচ্ছু ছাড়বো না!' তাই আমদের টেবিলে ক্রমে ক্রমে জমে উঠছে পর্বতপ্রমাণ হাড়ের স্তুপ, পাশের টেবিলে আহাররত পরিবার ইতিমধ্যেই দু'বার বদল হয়ে গেছে, ওয়েটার এবং পদম সিং-এর বিস্ফারিত দৃষ্টিকে তুচ্ছ করে আমরা একে একে গুঁড়িয়ে দিচ্ছি সবার রেকর্ড - পন্টিং, স্টিভ ওয়া, লারা, গাওস্কর, সচিন ...। এখন আর উঠে গিয়ে খাওয়ার অবস্থাও নেই, "লে-আও' গোছের হুঙ্কার দিয়ে প্লেট বাড়িয়ে দিচ্ছি অনতিদূরের বার-বি-কিউ কাউন্টারে, রেপ্লেনিশমেন্ট চলে আসছে সাথে সাথে।

    শেষে ওয়ালডর্ফ স্পঞ্জ পুডিং, গরম গুলাবজামুন, পায়েস খেয়ে যখন বেরোলাম ঘড়ি বলছে আড়াইটে। বাড়ী ফিরে দুজনে নির্বাক অবস্থায় পাশাপাশি দুটি গজকচ্ছপের মত চিৎপাত হয়ে রইলাম ঘুরন্ত পাখার ঠিক নিচে উদরদেশ রেখে। কলিযুগে বকরাক্ষসদের পুনরাবির্ভাব ঘটল।

    সেদিন সন্ধ্যায় আমরা ব্যলকনিতে পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে ব'সে প্রেমের গান গাইলাম। ষাট পাওয়ারের বাল্‌বের আলোকে মনে হল কোজাগরী পুর্ণিমার জ্যোৎস্না। মহা টেঁটিয়া ধোপা শৈলেশ কাপড় ইস্ত্রি ক'রে ফেরৎ দিতে এল, তাকে দেখে মনে হল প্রেমের ঠাকুর সাক্ষাৎ শ্রীচৈতন্য। দূর থেকে ভেসে আসা কুমার শানুর কোষ্ঠকাঠিন্যমার্কা কণ্ঠ যেন বসন্তের আবাহন গান হয়ে কর্ণকুহরে মধু ঢেলে দিল।

  • Paramita | 143.127.3.10 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:১১693722
  • গুজরাটি থালি আসবে নাকি? ওয়াও। শান্তিসাগরের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, নব্বই দশকের ব্যাঙ্গালোরের।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:১৯693733
  • পুরো দেশে বিদেশে কেস। খাবার কেমন ছিলো জিগেস করে লাভ নেই।
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:২৩693744
  • তামালে খেয়েচি। এখানে সিঙ্কো দি মায়ো উপলক্ষ্যে যে মেলা বসে তাতে খুব ভালো করে। রেগুলার দোকানের গুলো সো সো। আমার গো-তামালেই বেশী ভাল্লাগে। চিকেন-তামালেটা ক্যামন অপভ্রংশ অপভ্রংশ খেতে।
  • Sh | 141.218.208.240 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৬:২৪693755
  • তীর্থদা যে কি করে! মনটা যে এখন বিচ্ছিরি রকম আকুপাকু করছে - সামাল দিই কি করে!!
  • d | 61.246.28.188 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৮:৫৯693757
  • অবস্থা দেখো! এমনিতে তীর্থঙ্করের দেখা পাওয়া যায় না ..... খাওয়াদাওয়া দেখেই অবস্থা দেখো!
  • d | 61.246.28.188 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ০৯:২৯693758
  • এই এলেন বিবেকানন্দের চ্যালা। পুরীর সমুদ্রে খামোখা তালগাছের মত ঢেউ উঠতে যাবে কেন? জন্মে নিজের চোখে না দেখলে নেড়ি কুকুরকেও রয়াল বেঙ্গল টাইগার মনে হয়।

    প্লেনে না চাপতে চাইলে হেঁটে হেঁটে চলে যাও না। কেউ মানা তো করে নি।
  • b | 59.145.136.1 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১০:৫৩693690
  • বরোদার এই হোটেলে আমরা একটা ট্রেনিং করেছিলাম ২৪ দিন। কি মিল কি মিল।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১২:০৫693691
  • এবার আগরতলায় গিয়ে খেলাম :
    কুমড়ো পাতার বড়া সিদল-এর পুর দিয়ে। তার সাথে মোটা সেদ্ধ চালের ভাত। ওহ, এক্করে ওম্মোত্তো। এক একটা বড়া দিয়ে এক এক থাল ভাত..... হুশ হাশ।
    সকালে উপোষ-ভাঙ্গা খাওয়া - ঐ ভাতে গতরাতে জল ঢেলে রাখা পান্তা, কাগজী নেবু-নংকা আর আবারো সিদল তরকারী (গতো রাতের পুরটাই) দিয়ে..... সপ সপ সপ্পাত।
    ঢাকার সদরঘাটে - স্টিমারঘাটার উল্টোদিকে, যেকোনো রাস্তার দোকানে (যাদের পরিষ্কার পরিষ্কার বাই আছে। দয়া করে যেও না) শূল্যপক্ক গো.... উহ, সাথে চাকা চাকা প্যাঁজ-নংকা......এক কামড় এদিকে অন্য কামড় ওদিকে...উল্‌স।
    কলকাতার নিজামের পুরোনো এবং নতুন মালিক দুটোকেই টাডায় জম্মের মতো জেলে পাঠানো উচিৎ। নতুন মালিকটা(হালায় হোগামারাইন্যা) গরু বন্ধ করে দিয়েছে। এই কারনে নতুনটাকে, আর ওটাকে বেচার জন্য পুরোনোটাকে (যা বোঝা যাচ্ছে, এটও চার অক্ষরের বোকা)- কালোহাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।
    দক্ষিণ কলকাতায় রাসবিহারী মোড় থেকে লেক মার্কেটের দিকে যেতে বাঁ ফুটে ""পলস ইটিং হাউস"" পাবে (আবারও,যাদের পরিষ্কার পরিষ্কার বাই আছে। দয়া করে যেও না)। শ্বেতপাথরের টেবিলে কলাপাতায়, ডাল-ভাত-আলুভাজা-ছোটো মাছের ঝাল.....পুরো ঝক্কাস।
    আবাপ-র আপিস থেকে বেরিয়ে সে¾ট্রাল এভেনিউএর দিকে যেতে, ডান হাতে একটা ছোট্টো চইনিজ রেস্তঁরা পড়ে। ওটা বারও বটে। গরমকালে বিয়র, অন্য সময়ে, রুচিমতো হুইস্কি-ব্র্যান্ডি-জিন-রাম-ভোড্‌কা-রেড ওয়াইন(শেরী বা ভারমুথ হলেই ভালো)-এর সাথে, ঝাল শুয়োর....লি: ।
    গুয়াহাটিতে : পানবাজারের মোড়ে ""যাস্ট ফিস"" উফফফ, যে কোনো মাছ, যে-এ এ এ এ এ কোনো.... লোঈট্যা শুঁটকি(তরকরীর সাথে বা স্রেফ ঝাল) থেকে পুঁটি/ছোটো ট্যাংরার ঝোল/ঝাল থেকে কুচো চিংড়ির চচ্চড়ি........গর ফিরদৌস বর রুয়েঁ জমিনস্ত/ওয়া হমিনস্ত হমিনস্ত হমিনস্ত।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:৪৫693693
  • তীর্থদা , হুল্লাট। কত্ত খেয়েছি ঐ কালাঘোড়ায়। সব মনে পড়িয়ে দিলে গো। পোড়া ডুবলিনে বসে মনটা এক্কেরে হু হু করে উঠল।
  • kallol | 220.226.209.2 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:১১693694
  • উদয়পুরে রানাদের ভিন্টেজ গাড়ির প্রদর্শনীর লাগোয়া রেস্তোঁরায় মেওয়ারী থালী। সব পদই ভালো, ডালবাটি আর গাঠ্‌ঠা কা সব্জী - স্বর্গীয়।
    আলোয়ারে বাজারের ঘড়ি মোরে, ঘড়ির দিকে পেছন করে দক্ষিণ মুখো দাঁড়ালে বাঁহাতের রাবড়ীর দোকানের (রাবড়ীর দোকানে আর কি পাওয়া যাবে - মুলো ছেঁচকি না লালুপ্রসাদ?)। ২০০৩-এও ১০০ টাকা কিলো। শীতল রাবড়ী। অ্যালুমেনিয়ামের ট্রেতে, বরফের চাঙড়ের উপর রেখে ঠান্ডা করা। ফ্রিজে রাখা রাবড়ীর মতো, আঠা আঠা মিস্টি ব্লটিং পেপার হয়ে যায় না। এটা স্বর্গের লিস্টে নেই, তাই স্বর্গে যাওয়ার কোনো-ই ইচ্ছে নেই।
    ভুবনেশ্বরে, ইন্দিরা গান্ধী পার্কে ঢোকার মুখে বাঁ হাতে সকাল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত কল ওঠা ছোলা, কাঁচা মুগ ভিজা, ছোলার সাইজে কুচিয়ে কাটা আপেল, এক মুঠো সাদা বেদানা; বিটনুন, কাঁচালংকা কুচি(চাইতে হবে), লেবু দিয়ে মাখা - সমস্ত ওড়িষ্যাবাসীকে পরমাত্মীয় মনে হবে। ওখানেই একটা জড়িবুটির চা পাওয়া যায় খবরদার ছোঁবে না।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৩৭693695
  • চলে যাও কুর্গের যে কোনো প্রত্যন্ত গ্রামে।ঠিক সন্ধ্যের মুখে তিরতিরে ঝরনা পেরিয়ে ছায়া-ছায়া পাহাড়ী রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে খুঁজে ফেরো গ্রামের বার। ঝাঁক ঝাঁক জোনাকী চারদিকে , টিমটিমে বারের আলো। এবারে একদল মত্ত অতি-সুদর্শন কুর্গী মর্দদের মধ্যে বসে অর্ডার দাও বারওয়ালার বৌএর নিজের হাতে তৈরী এইল। হোয়াচোর ফ্লেভা ?? জিন্‌জার , পাইন-অ্যাপ্যেল ? সাথে অর্ডার দাও ঝাল ঝাল কোলি কারি। আদতে চিকেন বই নয়। দেখে বোঝার উপায় ও নেই। ঝাল ঝাল , গায়ে মাখা-মাখা মশলা।নিরামিষিরা নাও কোম্মু কারি। ঐ একই রকম শুধু চিকেনের বদলে মাশরুম।
    এইল শেষ ? রাত হয়ে এলো বলে ? তুরতুরে কাঁপানো শীতে কাঁপতে কাঁপতে বারওয়ালা রাতের শেষ অর্ডার নিতে এসে গেছে ? বলে দাও কুর্গের বিখ্যাত রাইস বল । ধপধপে সাদা ভাতের ছোট্ট ছোট্ট বল। নরম নরম । সাথে কি খাবে ?
    সবচেয়ে ভালো যায় পোর্ক কারি। ঠেসে কালো মরিচ , আদা , মংকা দিয়ে রাঁধা ঝাল ঝাল চর্বির স্তরওয়ালা শুয়োরের মাংস। সাথে নাও নারকেল আর লাল লংকা দিয়ে রাঁধা এঁচোড়ের শুকনো তরকারি কাডগি চাক্কো। আর একটু অ্যাডভেনচারাস হতে চাইলে নিতে পারো কীরলা চাক্কো। এঁচোড়ের বদলে তাতে আছে বাঁশের শুট। হু হা ঝালে প্লেট শেষ হলে হুট করে দাম দিয়ে বেরিয়ে যেও না। বারের তাকগুলো ভালো করে দেখে নাও , বারওয়ালাকে জিগাতেও পারো। তারপর খুব শস্তায় কিনে ফেলো একবোতল জিনজার কিম্বা পাইন-অআপেল এইল , সাথে বারওয়ালার উঠোনে বোনা গোলমরিচ আর কফি।টাটকা মধুও পেতে পারো। এবারে ঝুপসি অন্ধকারে হাত-ধরাধরি করে ফিরে যাও নিজ-নিকেতনে। কফি-গন্ধভরা রস্তা দিয়ে।

  • r | 61.95.167.91 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:০৬693696
  • পোর্ক কারি আবার কি? পান্ধি কারি। আর রাইস বল কেন? কুদুম্বু। তবে পান্ধি কারির সাথে আক্কি রোটিও বেশ ভালো লাগবে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:১৭693697
  • ইয়েস্‌স রাঙ্গা ইয়েস্‌স। কিচুতেই ঐ নামদুটো মনে কত্তে পারি নি। FC FC :-)
  • d | 61.246.28.188 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ২২:২৪693698
  • জনপথ এর সর্বানন্দ ভবনের তামিল থালি। আহা তুলনা নেই।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৬ ০০:১৯693699
  • লুচি, রুটি বানানো আমার একদম আসে না। নেহি আতা। কিন্তু রোববার সকালের একটা পেশাল ব্রেকফাস্ট রিচুয়াল না থাকলে জীবন কেমন পানসে লাগে। তাই যস্মিন দেশে যদাচার। রোববার সকালে উঠে স্টারবাকসমুখো হই। পাশেই নোয়াজ বেগেলের দোকান। বহু প্রাচীন চেন, নিউ ইয়র্ক, ফিলিতে শুরু এখন পূব ও পশ্চিম ঊপকূল সর্বত্র। পুরু করে ক্রিম চীজ লাগিয়ে দেয় গরম বেগেলে। যে বেগেলগুলো সবচেয়ে বেশী ট্রাই করি : অনিয়ন বেগেল, গার্লিক বেগেল, এগ বেগেল, পোস্তোদানা বেগেল(স্ব-ইচ্ছেয় নয় শেষেরটা)। এছাড়া সসেজ ভর্তি বেগেল, হ্যালাপিনো দেওয়া ঝাল ঝাল বেগেল(অতো সকালে হ্যা হ্যা করতে ভাল্লাগে না আমারো), সিনামন বেগেল সমস্তই মিলবে। স্বাস্থ্যসচেতন হলে ক্রিম চিজের জায়গায় হালকা মাখন বা মার্জারিন লাগিয়ে দেবে। ঐসঙ্গে হুইপড ক্রিম দিয়ে শর্ট মোকা স্টারবাকসের। মেয়ের জন্যে "অনজেঞ্জ জুস"।

    ক্রিসপি ক্রিম ডোনাটের কথাও এই প্রসঙ্গে বলে রাখি। নরম তুলতুলে দেবভোগ্য। ওপরে চকোলেট, গুঁড়ো রঙবেরঙের ক্যান্ডি আর সাদা চিনি দেওয়া আইসিং থাকতে পারে।

    এইসব খেয়ে ঢেঁকুর তুলে পাশের লেকে গিয়ে হাঁস দেখা। বা বেগেল দোকানের পাশেই লাইব্রেরি, মেয়েকে ছোটদের সেকশানে ছেড়ে দিয়ে উল্টেপাল্টে বই দেখা। মেয়ে বড়ো হলে ওর স্মৃতিতে লুচি-আলুদ্দমের রোববার সকাল বলতে এই দাঁড়াবে, যা মনে হয়।

  • d | 61.246.45.87 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৯:২৯693701
  • ঐ গোটা ডোনাট ফ্যামিলিতে ক্রিসপি ক্রিম ডোনাটটাই যা একটু ভদ্রগোছের খেতে হয়। বাকীগুলোর সম্পর্কে বিশেষ কিছু না বলাই ভাল।
  • ® | 203.197.96.50 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৬ ১২:০০693702
  • হায়দ্রাবাদে চারমিনারের কাছে একটা দোতলা রেস্টু আছে তার বিরিয়ানি। দুরন্ত।
    দ্বারকায় মিশ্রজীর দোকানের কেশর কুলফি। দেবভোগ্য।
    হিমাচলের চাম্বায় ময়দানের পাশে ঠেলাগাড়ীতে করে মোমো বেচে।অনবদ্য
    দেওঘরের বাজারের ঘড়িটাওয়ারের কাছে নাম ভুলে যাওয়া মিষ্টির দোকানের বিশাল সাইজের পেঁড়া আর জাম্বো সাইজের গরম গরম গুলাবজামুন। আহা
    অমৃতসরে গোল্ডেন টেম্পলের গেটের বাইরে পনীর পরান্ঠা,আলু পরান্ঠা ,গোবি পরান্ঠা। বল্লে বল্লে
    হরিদ্বারে হর কি পৌরি ঘাটের কাছে ছোলে বটোরে তারপর একগ্লাস লস্যি।চমৎকার
    সান ফ্রান্সিস্কো পিয়ার ৩৯ এ সিফুড রেস্টু তে টাউট ফিস , ক্র্যাব আর লব্‌স্‌টার ।ফাটাফাটি
    হাওয়াই দ্বীপের কুহিও স্ট্রীটের অ্যালোহা ফুড্‌পার্কে মাহী মাহী উইথ রাইস ।উল্‌প্‌স
    ফলসমে ইন্টেল কাফেটেরিয়ার কফি আর ডোনাট্‌স।টাইম পাশ
  • Paramita | 64.105.168.210 | ০১ ডিসেম্বর ২০০৬ ১২:১৭693703
  • এমন এক লাইনে লেখো কেন? খুব কি শীত পড়েছে?
  • dri | 199.106.103.254 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৩:৪৮693704
  • ডোনাট এবং ব্যাগেলকে ভাল বলার প্রতিবাদে আমি এক মিনিটের নীরবতা পালন করছি।
  • tania | 151.151.73.169 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৫:২০693705
  • দ্রি কে এই বেলা আমি ইস্যু বেসড সাপোর্ট করছি। অর্থাৎ বেগেলের জন্য নীরবতা পালনে আম্মো আছি। ডোনাটের ব্যাপারে, ইয়ে, মানে, একটু ঘুরে আসি, অ্যাঁ?
  • dri | 199.106.103.254 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ০৫:৪০693706
  • এইটুকু বলা যেতে পারে যে ডোনাট বেগেলের চেয়ে মার্জিনালি ভালো। কিন্তু যেখানে ভালোর স্ট্যান্ডার্ড হরা-ভরা কাবাব, কুচো চিংড়ির চচ্চড়ি আর আলু প্রান্ঠা, সেখানে ডোনাট সান্ত্বনা পুরস্কারও পাবে না।

    ক্রিসপি ক্রীমের সদ্য বানানো গরম গরম ডোনাট চলতে পারে। তাও অ্যাট অ্যা টাইম একটার বেশী নয়। এবং খাওয়ার পরই লিস্টারিন দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করে মুখ ধুতে হবে।

    আর বাসি ডোনাটের কথা (সামান্য বাসি হলেও) যত কম বলা যায় ততই ভালো। আমাদের এখানকার একজন চেনা মহিলা পুজোর দিন রাত থাকতে উঠে বাসি ডোনাট আর চা খেয়ে ন্যান। যাতে করে দুপুর একটার অঞ্জলি পর্য্যন্ত আর ক্ষিদে না পায়।
  • d | 61.246.22.182 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৬ ১৯:২৬693707
  • অমৃতসরের এম জি রোড থেকে বেশ কিছুটা ডান বাঁ ডান বাঁ করার পর, এক নাম না জানা দোকানের লস্যি।
    অমৃতসরেই ব্রাদারস ধাবার ট্রাডিশনাল পাঞ্জাবী থালি।
    বিয়াস স্টেশান থেকে বেশ খানিক এগিয়ে এক ধাবায় ফিশ অমৃতসরী অথবা ফিশ টমাটো।
    গুরগাঁওয়ের ব্যাপার কেন্দ্রের বালাজী রেস্টুরেন্টের "হারাভরা দম আলু" আর "মাঈ কি রোটি"।
    বারিস্তার হট ব্রাউনি উইথ হট চকোলেট স্যস অ্যান্ড কোল্ড ভ্যানিলা আইসক্রীম।
    মাইক্রোসফ্‌ট্‌ বিল্ডিঙের "পাঞ্জাবী বাই নেচার" এর সর্ষোঁ কি দাল আর মক্কি কি রোটি।

  • Jhor | 202.146.93.35 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ ১২:৪০693708
  • বা কু তে! অর্থাৎ কিনা পর্ক রিবসের স্যুপের সঙ্গে সাদা ভাত! এক কথায় অমৃত।
    ব্যাং এর ঠ্যাং ভাজা! আহা কি তার স্বাদ!
    IPOH চিকেন রাইস, অতুলনীয়, অনবদ্য!
  • Du | 67.111.229.98 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ ২২:১৫693709
  • মনে রয়ে গেছে চেরাপুঞ্জির canteen এ খাওয়া ডাল ডিমের কারি আর শশার স্যালাদ। কি যে ছিলো তাতে ,কে জানে ! কুয়াশা মাখা দিন, নাকি ধোয়া ওঠা ভাতের গন্ধ !
  • Arjit | 128.240.229.3 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ ২২:১৮693710
  • ফতেপুর সিক্রীর মেন দরজা দিয়ে নীচে নেমে যে বাজার এলাকাটা আছে, সেখানে বাসস্ট্যাণ্ডের কাছ আলুর পরোটা।

    মানালিতে GMVN (সম্ভবত) গেস্ট হাউজে আলুর পরোটা আর দই - সক্কালবেলা। নয় জনা ছিলুম - গোটা পঞ্চাশ পরোটা নিমেষে উড়ে গেসলো।

    নৈনিতালে তন্দুরি স্টাইলে আলুর পরোটা, ঘি মাখিয়ে।
  • I | 59.93.196.92 | ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ ২২:২১693712
  • এক্‌খুনি খ্যাটন কমা-সব চর্বি মাথায় উঠে যাচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে গাড়োয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের বাংলো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন