এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছাত্র রাজনীতিতে পলিটিক্যাল পার্টির লেজুরদের অনুপ্রবেশ বন্ধ হৌক

    bip
    অন্যান্য | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৪৫৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:০৫704242
  • এর মধ্যে একদিন লাঞ্চে দুজন ভারতীয়, দুজনেই ইয়াং - তাদের মধ্যে তর্ক। একজনের বক্তব্য আফজল গুরু-কে শাস্তি দিয়ে সরকার সঠিক এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে, আর একজনের মতে এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর প্রতিবাদ করা দরকার। কিন্তু দুজনেই খুবই কন্ট্রোল্‌ড, আস্তে আস্তে কথা বলে (এমনিতে জনগণ এত তাড়াতাড়ি বলে যে অর্ধেক কথা বোঝা যায় না), এবং পরস্পরের কথা মন দিয়ে শোনে। বিরল হয়ে উঠছে এই সহজ সরল কথোপকথন স্টাইল।
  • Ekak | 113.6.157.185 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২০704243
  • #আলপটকা

    আমার ধারণা এতে ইন্টারনেট এর ভুমিকা আছে। মানে আমি ইন্টারনেট কে দোষী সাব্যস্ত করছি তা নয়, কিন্তু এই যে ধরুন গত পাঁচ -আট বছরে পৃথিবীব্যাপী টেক্সট বেসড কথোপকথন বেড়ে যাওয়া এবং অনেকের ক্ষেত্রে সেটাই প্রায় একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠা ,এর কিছু সাইড এফেক্ট তো আছেই।

    ১ ) বক্তব্যের সঙ্গে যথাযথ ভয়েস মডুলেট করা এবং ইমোশন কন্ট্রোলে রাখা , এই ব্যাপার টা একদম উপেক্ষিত হয়েছে।
    ২) চিন্তা করার ক্ষমতা বেশ বেশ কমে এসেছে। তার জায়গা নিয়েছে লিংক কপি পেস্ট । এ লিংক বি লিংক কে সাপোর্ট করে । বি , সি কে । এবং সি এ কে :((
    ৩) ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন এর জায়গা নিচ্ছে ইমোটিকন কাজেই পেশকারী ব্যাপারটা যে বক্তার এক্সপ্রেশন এর সঙ্গেও যুক্ত সেটা লোকে ভুলে যাচ্ছে।

    ফলত :

    এই লোকগুলো যখন পাশাপাশি হাঁটে , মুখোমুখি কথা বলে -তর্ক করে , টক শো তে যায় তখন এদের এই ফাঁকি ও ফাঁক গুলো ধরা পরে যায়। লিংক খোঁজার সময় পায় না । রিয়েল টাইম এক্সপ্রেশন-ভয়েস মডুলেট করার অভ্যেস নেই বলে খুব দ্রুত আলোচনা থেকে ঝগড়া রূপ নেয়।

    "বিরল হয়ে উঠছে এই সহজ সরল কথোপকথন স্টাইল" এর কারণ আমার এটাই বলে মনে হয়। তবে আমি একেবারেই আশাহত নই। কমিক্স এর ইতিহাস ও বিবর্তন নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা বহুদিন ধরেই এই স্টেজ টা নিয়ে কথা বলেছেন। ধীরে ধীরে ভয়েস কল ফ্রি হওয়া - অভতার পার্সনিফিকেষণ বাড়া- ভার্চুয়াল রিয়ালিটির প্রসার ....এইভাবে মানুষ আবার দৃশ্য-শ্রাব্য ও স্পর্শের জগতে ফিরবে। তখন পথে আসবে।
  • নন্দকিশোর মুন্সী | 117.167.108.171 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২২704244
  • কিছু কিছু ইস্যু থাকে যেখানে আলপটকা মন্তব্যে হু হু করে ঝাঁট জ্বলে যায়। ল্যাদোষদা এখানে সিচুয়েশনটা বুঝতে পারবে না হয়তো।

    ব্রতীনকে বলবো শুধু আজকের টেলিগ্রাফটাই একটু মন দিয়ে পড়তে। তারপর দেশবিরোধী ইঃ নিয়ে কথা বলা যাবে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২৮704245
  • নন্দ ঠিক বলেছে- আগাপাস্তারা না বুঝে কোনো র‌্যান্ডম কমেন্ট সহজেই যথেষ্ট বিরক্তি উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু আজকের এই ইন্টারনেটের অসীম শব্দসমুদ্রে (একক আগের পোস্টে যার কথা লিখেছে) তাতে এমন হবে, এগুলো একটু ...
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৩১704246
  • টেলিভিশন টক-শো গুলো প্রায়ই খুবই ক্যাওটিক - যেখানে অ্যান্কর, ডিবেটর সবাই একসাথে তারস্বরে কথা বলছে...
  • T | 165.69.191.254 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৫704247
  • সো প্রেডিকটিভ। মাক্কালী আমি জানতাম ওই লাইনের পর # আলটপকা চালু হবে। সো প্রেডিকটিভ।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৬704248
  • তা হবে না, প্রেডিকটিভ অ্যানালিটিক্স - এ হল এখন যাকে বলে হট জার্গন।
  • b | 135.20.82.164 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:৫৩704249
  • এককের ২ নং পয়েন্টে ক্ক।
  • ঊমেশ | 118.171.128.168 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:৪৭704250
  • দেশপ্রেম আর মোদিপ্রেম টা এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। একা ব্রতীন কে টারগেট করে লাভ নেই, এটাই এখন বেশীর ভাগ শিক্ষিত (?) ভারতীয়'র মনের কথা।

    Fb থেকে ঘরোয়া আড্ডা সবখানেই তে হিন্দুপ্রেম/মোদিপ্রেম আর দেশপ্রেম নিয়েই আলোচনা।
    বাংলাদেশের মতো অবস্থা এখনো হয়নি, এখনো নাস্তিকদের লক্ষ্য বানায় নি। তবে খুব বেশীদিন নেই সেই অবস্থায় পৌঁছাতে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:৫২704252
  • কিন্তু দেশপ্রেম বা দেশভক্তি খারাপ হবে কেন, সে তো ভালো জিনিস। নিজের দেশের বা গোষ্ঠির লোকজনের কেউ যদি ভালো চায়, তাদের উন্নতি বা উপকারের জন্য কাজকর্ম করে, সে তো ভালো কথা।
    নট নেসেসারিলি এ ব্যাড থিং।
  • Ekak | 113.6.157.185 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৪:০৩704253
  • নাথিং ইস ব্যাড । বিট ফানি ,এই আর কি। ক্ষমতা পাল্টালেই কিছু জনতা ভাবে এইবার শালা পাল্টা ক্যালাবো। অজুহাত গুলো শুধু পাল্টে যায়। এরা ভুলে যায় পতাকার রং বদলালেও ছক বদলায় না । কাল যার গাঁড়ে লেগেছি আগামীকাল ও লাগব। যাকে কন্গু দের আমলে খিস্তি মেরেচি , চাড্ডি দের আমলেও মারবো :P :P
  • pi | 233.176.100.79 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:১৮704254
  • ব্রতীন্দা, ডট, ডট ডট ডট দের জন্য এই লেখার কিছু অংশ রইলো। এটা নিয়ে মতামর জানতে আগ্রহী।
    মানে, এই কথাগুলো নিয়েও কি আপত্তি আছে ?

    'এই ‘মা, মা’ নাটুকে সম্বোধনটা বারবার আবৃত্তির মধ্যে একটা খুব বিপজ্জনক ফতোয়া নিহিত আছে। তা হল: ভারত যেহেতু আমাদের মা, সেহেতু তার নামে কিচ্ছুই বলা চলবে না। ধরা যাক, কারও মা পকেটমার। বা বিচ্ছিরি রকমের অভদ্র। বা খুনি। সে ক্ষেত্রে সন্তানের কর্তব্য কি হাতজোড় করে তাঁকে পুজো করা ও বলা, ‘মা যেমনই হোক, যা-ই করুক, আমি তবু মা’কে ভালবেসে চলব’? না কি, প্রকৃত সন্তানের কর্তব্য, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বলা, ‘মা, তোমার এই কাজগুলো আমার ভাল লাগছে না, এগুলো করলে কিন্তু আমি তোমাকে আর শ্রদ্ধা করতে পারব না।’ সন্তানের কাজ কি মা’কে নিঃশর্ত প্রেম ও শ্রদ্ধা করা, মা’র কাজ কি নয় সন্তানের প্রেম ও শ্রদ্ধার যোগ্য হয়ে ওঠা? আসলে, এক বার বদন ভরে ‘মা’ বলে দিলেই একটা আবেগ-থরথর চারিয়ে দেওয়া যায়। হাওয়ায় হিস্টিরিয়া বেড়ে যায়। এটা সচেতন ভাবে করা হয়, যাতে এই উত্তেজনাটা কাজে লাগিয়ে, অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলো চেপে দেওয়া যায়, আর সমালোচকদের ওপর অত্যাচারটা জাস্টিফাই করে নেওয়া যায়।
    জেএনইউ-এর কিছু ছাত্র কী করেছেন? আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদ করেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ও পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিয়েছেন। কাশ্মীরকে স্বাধীনতা দাও, এ স্লোগানও তোলা হয়েছে। তাতে ঝামেলাটা কোথায়? আমি যদি ভারতকে ভীষণ ভালবাসি, তা হলেও তার যাচ্ছেতাই নিন্দে করতে পারি। তাকে আরও ভাল করে তোলার জন্য, শোধরানোর জন্য, আমার মতে তাকে এক আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য, রোজ তার তুমুল নিন্দে করে চিৎকার জুড়তে পারি। অনেকে বলছেন, ‘যেখানকার ভাত খেয়েছ, সেখানটাকে অপমান করছ কেন?’ আরে, এখানকার ভাত খেয়েছি খাচ্ছি খাব বলেই তো সেই ভাতে পোকা পড়লে চেঁচাবার অধিকার আমার সবচেয়ে বেশি! আমার বাড়ির সামনে নর্দমা খোলা থাকলে আমি চেঁচামেচি করব না তো কে করবে? আমার দেশ যদি বদ হয়, অসভ্য হয়, অসৎ হয়, অপদার্থ হয়, বা আমার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, আমি রে-রে করে উঠব না? অবশ্যই করব। ভাত খেয়েছি বলে দাসখত লিখে দিইনি। আমি দেশের চাকর নই। আমি দেশের দায়িত্ববান নাগরিক। নাগরিকের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল, দেশের ভুল দেখলে, তা নিয়ে সরব হওয়া। যাঁরা উদ্ধত ভাবে বলছেন, ‘হয় চুপ করে থাক, নইলে পাকিস্তানে চলে যা!’, তাঁরা ভাবছেন, অন্ধ ভাবে সরকারের হ্যাঁ-য়ে হ্যাঁ মিলিয়ে যাওয়াকে বলে দেশপ্রেম। আর চারিদিকে চেয়ে দেখে ভুল ধরাকে বলে দেশদ্রোহিতা। বরং উলটো। দেশপ্রেম মানে স্তাবকতা নয়। ফেল করা ছেলেকে যে লোক পিঠ চাপড়ে ‘বহুত অাচ্ছা’ বলে, সে তার উন্নতি চায় না, অধঃপাতের রাস্তাটাই সুগম করে। দেশ খারাপ কাজ করলে, তার নিন্দে না করে চুপ করে থাকাটাও অনেক সময় দেশদ্রোহ। দেশের নিন্দে করা আর দেশকে না-ভালবাসা এক নয়।
    আবার, দেশকে না-ভালবাসার অধিকারও আমার আলবাত আছে। ভারতে থেকে আমি ভারতকেও ভালবাসতে পারি, ভারত এবং ব্রাজিলকে ভালবাসতে পারি, আবার ভারতকে না ভালবেসে শুধু বেলজিয়ামকে ভালবাসতে পারি। আবার, কোনও দেশকে না ভালবেসে, সব দেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিরাসক্ত থাকতেও পারি। আমি কাকে ভালবাসব, আর কাকে ভালবাসব না, তা ঠিক করে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। ‘এক্ষুনি ভালবাস বলছি, নইলে পেটাব’— এ তো ধর্ষকের উচ্চারণ। ভারতে থেকে আমি যদি পাকিস্তানকে ভালবেসে গলা ফাটাই, তা আমার অধিকার। নিজের মতো ভাবনার অধিকার। মত প্রকাশের অধিকার, বাক্‌স্বাধীনতার অধিকার। আমেরিকা যখন ভিয়েতনামের সঙ্গে যুদ্ধ করছে, সারা পৃথিবীর কোটি কোটি লোক আমেরিকার বিরুদ্ধে চিৎকার করে গলা ফাটিয়েছে। আমেরিকার মধ্যেও লাখ লাখ আমেরিকান, আমেরিকার বিরুদ্ধে চিৎকার করেছে। ‘যুদ্ধবাজ, দাদাগিরি-করা, জঘন্য রাষ্ট্র’ বলে গাল দিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ যদি বলত, ‘আমি আমেরিকায় থাকব বটে, কিন্তু এর কাজকম্ম দেখে আমার ভালবাসা ঘুচে গেছে, আজ থেকে একে প্রাণ দিয়ে ঘেন্না করব’, তাতে অন্যায় কী? ঠিকই, একটা জায়গায় জন্মে গেলে, লোকে সাধারণত সেই জায়গাটাকে ও চারপাশের লোকজনকে ভালবেসে ফেলে। বাচ্চা প্রথম থেকে বাবা-মা’কে দেখে, তাদের ভালবেসে ফেলে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাভাবিক বলেই বাধ্যতামূলক হবে কেন? সন্তানকে এই ফতোয়া দেওয়া যায় কি, ‘মা-বাবাকে না ভালবাসলে তোর মুন্ডু ছিঁড়ে নেব’? বড়জোর বলা যায়, ‘বুড়ো বয়সে মা-বাবাকে তোমায় দেখতেই হবে।’ অর্থাৎ, অনুশাসনটা কর্তব্য বিষয়ে, ভালবাসা বিষয়ে নয়। আমি যদি নাগরিকের যা যা কর্তব্য সব পালন করি, ট্যাক্স দিই, দেশের সম্পত্তি নষ্ট না করি, অন্য নাগরিককে না মারি-ধরি, তা হলে আমি ‘অ্যায় মেরে বতন কে লোগো’ শুনে কাঁদছি, না, ‘যত্ত প্যানপেনে আদিখ্যেতা’ বলে খ্যালখ্যাল হাসছি, তা দেখে সরকারের লেঠেল তো আমায় তাড়া করতে পারে না।
    আরও: স্রেফ কাছ-ঘেঁষাঘেঁষির চোটে যে ভালবাসা, তার চেয়ে বুঝেশুনে যে ভালবাসা, তা কি অ-কুলীন? আমি যদি অনেকগুলো দেশের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে ওজন বিশ্লেষণ বিচার করে, তার পর মনে করি সুইডেনই পৃথিবীর সেরা দেশ, তা হলে সুইডেনের প্রতি আমার যে ভালবাসা, তা হল জেনে, দেখে, ভেবে ভালবাসা। আর সিঁথির মোড়ে জন্মেছি বলেই সিঁথির মোড়ের প্রতি আমার যে ভালবাসা, তা বরং একটু মাঠো, সংকীর্ণ, প্রতিবর্ত-ক্রিয়া টাইপ ভালবাসা। ভাবা দরকার: ওটা ভালবাসা তো, নাকি স্রেফ একটা অভ্যাস, রোজ ন’টায় বাথরুম যাই বলে শরীর ন’টাতেই ‘বেগ এসেছে’ বলে ওঠে যে রকম। কেউ ভৌগোলিক গণ্ডি নির্ধারিত ভালবাসাকে উড়িয়ে দিয়ে বলতেই পারে, আমি সারা পৃথিবীর সম্তান, কোনও নির্দিষ্ট দেশের প্রতি আমার আনুগত্য নেই, যখন যেটাকে ভাল দেখব, ভালবাসব, যা খারাপ দেখব, খারাপ বলব। ভারতের সব, সমস্ত জিনিসকে আমার খারাপ লাগে, তবু আমি এখানে থাকব। কারণ এটা পৃথিবীর একটা অংশ, আমি থাকতেই পারি। আমাকে এখান থেকে উৎখাত করার গা-জোয়ারি যে দেখাবে, সে গুন্ডা। অন্য জায়গায় যাচ্ছি না কেন? হয়তো সামর্থ্য নেই। একটা এঁদো ড্যাম্প দশ ফুট বাই দশ ফুট বাড়িতে থাকি বলে প্রতি দিন নিয়ম করে ‘ইস, সাউথ সিটির তেত্রিশ তলা এর চেয়ে অনেক ভাল’ বলতে পারব না?
    কেউ বলতেই পারেন, বাপু, দেশে থেকে দেশকে যাচ্ছেতাই নিন্দে করার অধিকার যদি তোমার থাকে, তোমার ওপর ভয়াবহ রেগে যাওয়ার অধিকারও তো আমার আছে। আমি দেশকে ভালবাসি, তা তো আমার অপরাধ নয়। অবশ্যই নয়। দেশকে আপনি উন্মত্ত ভালবাসতে পারেন, এবং জেএনইউ-এর স্লোগান-দেওয়া ছাত্রদের প্রতি প্রকাণ্ড রেগে যা-তা বলতে পারেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মিছিল করুন, মিটিং করুন, কাগজে চিঠি লিখুন, টিভিতে ইন্টারভিউ দিন। তাঁরা যত চিৎকার করেছেন তার দশ গুণ চিৎকার করুন। এও তো বাক্‌স্বাধীনতাই। কিন্তু পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হল কেন? ছাত্র সংসদের নেতাকে গ্রেফতার করা হল কেন? দেশদ্রোহের চার্জ আনা হচ্ছে কেন? দেশের নিন্দে ও অন্য দেশের সমর্থন মানে তো দেশদ্রোহ নয়। ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পর শিখদের এক সভায় খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান তোলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে তা-ও সিডিশন বা দেশদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হয়নি। আইন অনুযায়ী: হিংসা বা গণ-বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা দিলে, তবেই তা দেশদ্রোহ। অর্থাৎ, কেউ যদি ব্রিজ উড়িয়ে দেয়, সেটা দেশদ্রোহ। কেউ যদি বলে, চলুন এই মিছিলের সবাই মিলে গিয়ে এক্ষুনি অমুক সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগাই, এবং সবাইকে তা করতে উসকানি দেয়, তা হলে সেটা দেশদ্রোহ।
    এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, উসকানি কাকে বলে? কতটা ওসকালে তবে ‘সিডিশন’? কেউ বলতেই পারে, আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলাও এক রকম উসকানি, তা থেকে অনেকের মনে ভারতবিরোধী আবেগ জেগে উঠতে পারে, আর তারা সবাই হিংসাত্মক হয়ে দেশের মানুষ ও সম্পত্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তা পারে, কিন্তু ওই রকম ভাবে দেখতে গেলে তো কেউ যদি বলে ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা ভাল লাগে না’, তা হলে তা থেকে প্রেরণা সংগ্রহ করে কেউ বিশ্বভারতীতে আগুন লাগিয়েও দিতে পারে। সেই আশঙ্কায় রবীন্দ্রনিন্দুকটিকে এক্ষুনি দমকলের লোক গিয়ে পেটাতে শুরু করতে পারে কি? পৃথিবীর যে কোনও মতামতের মধ্যেই কাউকে চটিয়ে দেওয়ার উপাদান থাকতে পারে, রাজনৈতিক মতামতের মধ্যে তো বটেই। পৃথিবীর যে কোনও উঁচু-গলায় নিন্দে বা স্লোগানের মধ্যে এই ইচ্ছেও নিহিত আছে: অনেক লোক আমার এই মতকে সমর্থন করুক। আভিধানিক ভাবে প্রতিটিকেই প্ররোচনা ভাবা যায়। ব্যাপারটা এত ভাসা-ভাসা বলেই আমাদের দেশে চমৎকার নিয়ম: কংগ্রেস বাক্‌স্বাধীনতার দুর্দান্ত সমর্থক যত ক্ষণ তা বিজেপিকে কামড়ে দিচ্ছে, বিজেপি বাক্‌স্বাধীনতার পেল্লায় সমর্থক যত ক্ষণ তা তৃণমূলকে ল্যাং মারছে, তৃণমূল বাক্‌স্বাধীনতার সোল্লাস সমর্থক যত ক্ষণ তা সিপিএমের গায়ে কালি ছেটাচ্ছে। নিজের গায়ে আঁচ লাগলেই তখন দ্রোহ-র সংজ্ঞাটা হঠাৎ খুব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আর প্রশাসনের লাঠিসোটা কাজে লাগিয়ে লোকটার টুঁটি টিপে ধরার মধ্যে কোনও অন্যায়ই দেখা যাচ্ছে না। অসীম ত্রিবেদী যখন ২০১২ সালে কার্টুনে আঁকছেন ভারতমাতাকে গণধর্ষণ করছে নেতা ও আমলা, ইউপিএ সরকার তাঁকে দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করছে। আর বিজেপি নেতা আডবাণী অবাক হয়ে বলছেন, এ তো ইমার্জেন্সির চেয়েও খারাপ! আবার, হিন্দু মহাসভা যখন নাথুরাম গডসের মূর্তি গড়তে পয়সা তুলেছে, গাঁধী-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে, তখন বিজেপির মাথায় দেশদ্রোহের অভিযোগ আনার কথা আসেইনি।
    আসলে, এই গোছের ধরপাকড় সব সভ্য দেশ তুলেই দিয়েছে। ভারতে কিছু ক্ষমতাওয়ালা আছে, গণতন্ত্রের মানেটাই জানে না, অশিক্ষা ও জঙ্গিপনা মিলিয়ে ক্ষমতার কেক কামড়ায়, আর বিরোধিতা দুরমুশ করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে, এগুলো প্রয়োগ করে। এদের আবার হাতে-গরম পাবলিক-খেপানো মন্তরটি হল: ‘পাকিস্তানকে ঘেন্না করো। পাকিস্তানকে ভালবাসা মানেই দেশদ্রোহ।’ এটাই ভারতের দেশপ্রেমের ঠিক সংজ্ঞা, কারণ তা প্রেম দিয়ে নয়, ঘেন্না দিয়েই নির্ধারিত। (তাই তা তুমুল তীব্রতায় ফোটে ভারত-পাক ম্যাচের সময়, কিন্তু অ্যাক্সিডেন্টে পড়ে থাকা দেশবাসীকে বাঁচাবার বেলায় এর টিকিটি মেলা ভার)। কিন্তু তা হলে তো বলতে হয়, কেউ যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে, কিচ্ছুটি না-বলেকয়ে, আচমকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে হাসি-হাসি মুখে হাজির হয়ে যান, দেশদ্রোহের অভিযোগে প্রথমে তাঁকেই হাতকড়া পরিয়ে জেলে পুরে দেওয়া উচিত!

    http://www.anandabazar.com/editorial/a-write-up-on-jnu-incident-by-chandril-bhattacharya-1.310085
  • ranjan roy | 229.64.67.28 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৫:৪২704255
  • মাই কান্ট্রি, রাইট অর রং!
  • এত | 132.177.142.206 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:০২704256
  • লম্বা লেখা পোস্ট করে কি আদৌ কোনও লাভ হয়? যাদের জন্য দেওয়া তারা তো লেংথ দেখেই স্কিপ করে বেরিয়ে যাবে।
  • pi | 192.66.28.154 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:০৭704257
  • খিল্লির থেকে ডায়লগ বেটার মনে হয়। খিল্লিও খুব লাভজনক মনে হয় না তো।

    বিটিডব্লু, এখানে কোথাও গুরুর মেলার কথা কেউ এনেছেন দেখলাম। কেন এনেছেন বোঝা গেল না। সিকি ব্রতীন্দাকে কখন কী বলছে না বলছে, তার সাথে গুরুর মেলার তো কোন সম্পর্ক নেই।
  • hard facts | 89.141.164.4 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২০704258
  • গুরুর কাজ করতে ব্রতিনদাস নিজে ভলান্টিয়ার করেছে কেউ ধরে করায়নি। করাতে চাইলেও লাভ হত না, কেননা গুরুতে ব্রতিনদাস ভ্যালু অ্যাড করে না। গুরুর কাজ একা হাতে তোলা ব্রতিনদাসের ক্ষমতার বাইরে। ব্রতিনদাস গুরুর কাজে নিজেকে জুড়তে চায় 'আমিও কেমন কলচর করি' দেখানোর জন্য। বইমেলার
    টই থেকে তার আধপয়সা কাজ করে কুড়ি পয়সা ফাটানোর চেষ্টার ইতিহাস তুলে দিলাম।

    Name: ব

    IP Address : 213.132.214.84 (*) Date:21 Jan 2016 -- 04:43 PM

    কল্লোল দা, মহীনের ঘোড়া গুলো রিলেটেড কিছু লেখা টাইপালুম। তোমার টাও । খুব ভালো লাগলো। অনেক অজানা ইতিহাস জেনে।

    বইমেলায় কবে আসছো। একটু জমিয়ে গান বাজনা হবে তো?
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: pi

    IP Address : 74.233.173.193 (*) Date:21 Jan 2016 -- 05:50 PM?

    ও ব্রতীন্দা ,কল্লোলদার কোন লেখাটা আবার টাইপ করলে ? ঃ(
    মানে কল্লোলদার কোন লেখা তো টাইপের দরকার পড়েনি ! কল্লোলদা নিজেই টাইপিয়ে দিয়েছিল।
    ________________________________________

    Name: Stall No. 542

    IP Address : 69.160.210.3 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:01 PM

    "কিছু" আবার কী? ব্রতীন্দাস একটিই দেড়পাতার লেখা টাইপেছে। টাইপানোর পর তারচেয়ে বেশি সময় বাকিদের লেগেছে তার টাইপোগুলো সামলাতে। তারপরেও ফাইনাল কপিতে ৩-৪ টে গোলমাল গেছে।
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: ।ব

    IP Address : 213.99.211.81 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:30 PM

    সোমনাথ, বয়স্ক লোক। ক্ষমা ঘেন্না ইত্যাদি প্রভৃতি ঃ)

    আরে প্রথম যে লেখা টা দিলে মানে যে হাতের লেখা টা খুব বাজে। সেটা কার?

    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: ব

    IP Address : 213.99.211.81 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:32 PM

    আর দেড় পাতা কি দু পাতা সেটা আসল নয়। আসল হয় ইনভলমেন্ট।ঃ))

    তোমাদের মতোন বয়েসে কত টাইপেছি।। ঃ)
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: পি

    IP Address : 74.233.173.203 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:34 PM

    বুলাদা। মহীনের আদি ঘোড়াদের একজন।
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: ব

    IP Address : 213.132.214.83 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:40 PM

    ও আচ্ছা ।
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: : ব

    IP Address : 213.132.214.83 (*) Date:21 Jan 2016 -- 06:48 PM

    না এটা সোমনাথ নয় সিকি।

    কিন্তু তাতেও আমার বক্তব্য পাল্টায় না ।। ঃ)
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌

    Name: না

    IP Address : 192.69.246.234 (*) Date:21 Jan 2016 -- 07:30 PM

    সিকি নয়।
    ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌
  • ওয়াও | 132.177.142.206 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৫704259
  • পার্সোনাল অ্যাটাকেরও একটা লিমিট থাকে বলে জানা ছিল। ব্রতীনকে পছন্দ না-ই হতে পারে, তার লেখা পোস্ট নিয়ে খিল্লি করতে কেউ মানা করছে না, কিন্তু এটা তো সরাসরি নোংরামো!

    গুরুতে অনেক লোকই স্বেচ্ছায় কাজকর্ম নিজের কাঁধে নেয়, করে। বইমেলা অর নো বইমেলা। ব্রতীন একা নয়। সে কী করেছে, কতটুকু করেছে সেটা ফ্যাক্ট নয়, কিন্তু করেছে। এখানে অনেক গুরু ও চণ্ডাল আছে(ন) যাঁরা সেটুকুও করে(ন) না। তার জন্য যেমন তাঁদের কেউ দোষারোপ দেন না, তেমনি ব্রতীন কী ভেবে গুরুর কাজে নিজেকে জড়াতে চেয়েছে, বা গুরুর কাজ একা হাতে ব্রতীন সামলাতে পারে কিনা - এইসব বলা অত্যন্ত বাজে রুচির পরিচয়।

    প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম। ছিঃ!
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৬704260
  • পাই-এর দেওয়া লম্বা লেখাটা সেল ফোন থেকে পড়লাম আজ, ভাল লাগল।
    লেখা ইন্টারেস্টিং হলে দীর্ঘ হলেও কিছু লোক পড়বে
  • হুঁ | 132.177.142.206 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৭704261
  • লেখাটা চন্দ্রিলের। কালকের আনন্দবাজারে বেরিয়েছে। অত্যন্ত সুন্দর লেখা। জনে জনে ডেকে পড়ানো উচিত।
  • pi | 192.66.28.154 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৮704263
  • আমারো আপত্তি রইলো।

    'গুরুতে অনেক লোকই স্বেচ্ছায় কাজকর্ম নিজের কাঁধে নেয়, করে। বইমেলা অর নো বইমেলা। ব্রতীন একা নয়। সে কী করেছে, কতটুকু করেছে সেটা ফ্যাক্ট নয়, কিন্তু করেছে। এখানে অনেক গুরু ও চণ্ডাল আছে(ন) যাঁরা সেটুকুও করে(ন) না। তার জন্য যেমন তাঁদের কেউ দোষারোপ দেন না, তেমনি ব্রতীন কী ভেবে গুরুর কাজে নিজেকে জড়াতে চেয়েছে, বা গুরুর কাজ একা হাতে ব্রতীন সামলাতে পারে কিনা - এইসব বলা অত্যন্ত বাজে রুচির পরিচয়।'

    ক।
  • Abhyu | 106.32.177.222 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩১704264
  • এটা বাজে হয়েছে।
  • s | 77.59.60.122 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩২704265
  • কয়েকদিন আগে বিরাট কোহলির এক পাকিস্তানি ফ্যান ছাদে ভারতীয় পতাকা টাঙ্গানোয় গ্রেফতার হয়।
    http://tribune.com.pk/story/1035006/kohlis-pakistani-fan-arrested-for-hoisting-indian-flag-on-rooftop/
    এই বিতর্কে সেই ঘটনার কোন উল্লেখ দেখতে পেলাম না।

    গত বছর কাশ্মীরে ভারতীয় পতাকা তোলার জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
    http://www.crosstownnews.in/post/1040/youth-detained-for-rasing-indian-flags-in-srinagar-kavinder-gupta-hits-out-at-jak-police-and-said-they-should-arrest-those-who-raise-pakistan-flags-not-indian-flags.html
    এই ঘটনাও আলোচনার বাইরে।

    গিলানীর জন্য গত বছর কাশ্মীরে ভারত বিরোধী জমায়েতে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয় এবং পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
    http://timesofindia.indiatimes.com/india/Separatists-raise-Pakistan-flag-in-Srinagar-insult-India-but-no-arrests-yet/articleshow/46938231.cms
    বিপ্লবীরা মৌন।

    আফজল গুরুর ফাঁসী হয় কংগ্রেস সরকারের আমলে। কপিলবাবু, সুশীলবাবু এবং চিদুদা আফজলের ফাঁসি রদের দাবী নাকচ করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন। সেই কংগ্রেস আজ পথে নেমেছে আফজলের ফাঁসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমর্থনে।
    On 23 June 2010, the Ministry of Home Affairs recommended the president's office to reject the mercy petition. On 7 January 2011, a whistle-blowing site indianleaks.in leaked a document which stated that the mercy petition file was not with President of India. This was rubbished by Kapil Sibal in an interview with NDTV. This was confirmed by Home Minister P. Chidambaram in New Delhi on 23 February 2011. With the death penalty handed to Ajmal Kasab, the speculation was that Guru was next in line.

    On 10 August 2011, the home ministry of India rejected the mercy petition, and sent a letter to the President of India recommending the death penalty. .
    On 7 September 2011, a high intensity bomb blast outside Delhi high court killed 11 people and left 76 others injured. In an e-mail sent to a media house Harkat-ul-Jihad al-Islami, an Islamic fundamentalist organisation, owned responsibility for the attack and claimed the blast was carried out in retaliation to Parliament attack convict Guru's death sentence.

    "We own the responsibility for today's blasts at Delhi high court. Our demand is that Mohammed Afzal Guru's death sentence should be repealed immediately else we would target major high courts and the Supreme Court of India."

    On 16 November 2012, the president had sent seven cases back to the Ministry of Home Affairs (MHA), including Afzal Guru's. The president requested Sushil Kumar Shinde, home minister, review the opinion of his predecessor, P. Chidambaram. On 10 December, Shinde indicated he would look at the file after the winter session of the Parliament was finished on 20 December. Shinde made his final recommendation to execute Guru on 23 January 2013. On 3 February 2013, Guru's mercy petition was rejected by the President of India.

    Afzal Guru was hanged six days later on 9 February 2013 at 8 am.

    গুরুর ফাঁসির পর নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঝামেলা হয় এবং জেনেইউর কতিপয় ছাত্র আফজলের এবং আজাদ কাশ্মীরের সমর্থনে নারা দেয়। পুলিশ লাঠি চালায়। এ সবই সেকুলার সরকারের আমলে। সেই সময় আশ্চর্য জনক ভাবে এই বিতর্ক জাতীয় বিতর্কের রূপ নেয়নি।
    Mosques throughout the region were used for public announcements and curfew information. SAR Geelani, who was co-accused in the attacks on the Indian parliament and later acquitted by the Supreme Court, was taken into preventive custody by the Delhi Police. Several leaders from the separatist movement were also detained. However, protests flared up in parts of the Valley—Guru's hometown of Sopore, Baramulla in North Kashmir and Pulwama in South Kashmir—and groups of young men broke curfew and threw stones at security forces. Police fired at protesters, and 36 people were injured, including 23 policemen, said a police spokesperson, particularly around Guru's home district where most of the violence was concentrated.

    There were scuffles in Delhi too, where Bajrang Dal and Vishva Hindu Parishad (VHP) members were celebrating the hanging of Afzal Guru. Soon Kashmiri students from Delhi University and Jawaharlal Nehru University accompanied by members of CPI(M-L), Peoples Union for Democratic Rights (PUDR) and National Confederation of Human Rights Organisations (who were condemning capital punishment) started a counter-protest in support of Afzal Guru and chanted slogans in support of an independent Kashmir. Tensions escalated as the rival protests took on a communal hue when both groups raised religious slogans and scuffled with each other as police struggled to keep them separated. Protesters holding protests on different issues too joined the foray against the Kashmiri students. The situation was brought under control by policemen in riot gear who bundled the students into waiting buses and drove them away. Delhi police lathicharged protestors at Jantar Mantar. The police detained at least 21 Kashmiri students. Female students were also assaulted.

    তাহলে কি চার রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনের জন্য এই বিতর্ক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল?
    বিরোধীরা কি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রোটি-কাপরা-মকান জাতীয় কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না?
    সন্দেহ হচ্ছে।
  • dd | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৩704267
  • রাজনীতি নিয়ে কোনো টই বেশীদিন চল্লেই দেখেছি ক্রমেই পোস্টগুলো জঘন্য রকমের পার্সোনাল হতে শুরু করে আর একটানা অচেনা নামের লোকের পোস্ট পড়তে শুরু করে।

    আমি তো সভয়ে এই টইগুলো এভয়েড করি। জানিনা, এই কারনেই এইসব টই কিছুদিন পরেই ঐ তিন চার জনের মধ্যেই খিস্তি খাস্তাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায় কি না।
  • nipa | 219.249.180.198 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৩704266
  • এই ব্রতীনই তো একটা হারামজাদার হেল্প নিয়ে সাইট খুলেছিল। এখন চালাতে না পেরে আবার এসে ভিড়েছে। অন্য গুরু/চন্ডালদের সাথে কি এর তুলনা হয়?
  • S | 117.151.152.210 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৭704268
  • কি একটা যেন লিখবো ভাবছিলাম। কেমন যেন গুলিয়ে গেল। টইটা ঠিক কিসের আর বুঝে উঠতে পারছিনা।
  • pi | 192.66.28.154 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৯704269
  • নীপা, সে খুলেছিল, খুলেছিল।
    কী এসে গেল?

    আর এগুলো এই টইয়েই বা কেন ?

    হারামজাদা ফাদা গালাগালগুলোই বা কেন ?

    পার্সোন্যাল আটাক আর খিস্তি ছাড়া কি কথাবার্তা বলা এতই মুশকিলের ?
  • ঈশান | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৪০704270
  • এগুলো কী হচ্ছে? এই টইয়ের সঙ্গে গুরুর কাজ, বইমেলা, অন্য সাইট জড়িয়ে ফেলে লাভটা কি হচ্ছে?
  • naam likhate bhaalaage naa | 108.192.41.166 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৪১704271
  • Name: s IP Address : 77.59.60.122 (*) Date:17 Feb 2016 -- 09:32 AM

    'আফজল গুরুর ফাঁসী হয় কংগ্রেস সরকারের আমলে। কপিলবাবু, সুশীলবাবু এবং চিদুদা আফজলের ফাঁসি রদের দাবী নাকচ করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন। সেই কংগ্রেস আজ পথে নেমেছে আফজলের ফাঁসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমর্থনে।'

    ধুর মশাই আপনি কিছু বোঝেননি।

    এই বিতর্কে বিরাট কোহলির ফ্যান বা কাশ্মীরে ভারতীয় পতাকার প্রসঙ্গ আসবেই বা কেন? অন্যান্য দেশের থেকে চোথা করতেই হবে এমন কোন মানে আছে নাকি?
  • s | 77.59.60.122 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৪২704272
  • সবই freedom of speech। আটকালে চলেবে?
  • Abhyu | 106.32.177.222 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:৪৫704274
  • না, ফ্রীডম অফ স্পীচের দোহাই দিয়ে লাগাতার ব্যক্তি-আক্রমণ করে যাওয়া ঠিক নয়। এগুলো বন্ধ করুন প্লিজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন