এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাবা মা

    Du
    অন্যান্য | ২৫ জুলাই ২০১৬ | ৪৪৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 183.74.26.17 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ০৮:১৯716821
  • যদিও নাম পড়ে আমাদের মা বাবার কথাই মনে হবে -- কিন্তু আমরা নিজেরাও অনেকেই বাবা মা -- অনেকদিন থেকেই। আর কে না জানে মানুষের বড় হওয়াতে বাবা মায়ের দায় দায়িত্ব তাদের রোল অনেক বেশি। কিন্তু বাবা আর মা দুটো মানুষ, তাদের ধ্যান ধারনা, মানসিকতা আবার গড়ে ওঠে তাদের অভিজ্ঞতার ওপর। কি হওয়া উচিত বা কি কি হওয়া উচিত তা? দুটো রোল এ পার্থক্য থাকা উচিত নাকি একই হওয়া উচিত? বাবাকে কি হতে হবে ? মাকেই বা কি? তারাই বা কি নিজেদের ছোটবেলার থেকেই তুলে আনবেন রোল মডেল? নাকি বানাবেন নতুন করে? কেউ কেউ বাবার ছোটবেলায় মা বাবাকে একসাথে দেখার সুযোগও পাননি তেমন্ভাবে, সেটাই বা কেমন এফেক্ট ফেলতে পারে? এইসব নিয়েই পড়তে চাই এই পাতায় - অধিকারী এবং অনধিকারীদের কাছ থেকেও। দাদু দিদিমা থেকে এখনও যারা ছেলে মেয়ে তাদের কাছ থেকেও।
  • সে | 204.230.159.99 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১২:৫৭716832
  • এইটা সুন্দর এবং দরকারী একটা টপিক।
  • d | 144.159.168.72 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৩:৪৮716843
  • Ekak | 53.224.129.40 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৪:১১716854
  • বাংলা কাগজে মাঝেমাঝেই এরকম মরাকান্না ছাপে । ক্রাইমে ইয়ুথ পার্টিসিপেশন বেড়েছে সেটা ফ্যাক্ট হতে পারে কিন্তু "আধুনিকতার ফলে " এটা পুরো মনগড়া ভাট । এরা সেই ডিডি২ তে রাত্তিরে এডাল্ট সিনেমা দেখানোর সময় ও এরকম কিছু "বিশেষজ্ঞ " জোগাড় করে বলতো কিভাবে যুবসমাজের মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে । আর যাঁরা এসব পড়ে এ এই জায়গায় পৌঁছবে নাচবেন নাচুন , জেনে রাখবেন সব বিশেষজ্ঞ আর পোবোন্ধই ঘুরেফিরে কোয়ালিটি টাইম ফাইম মাড়িয়ে এই জায়গায় পৌঁছবে যে এডোলেসেন্স এর অমুক সময়টা বাচ্চারা মায়ের অনুগত থাকে বেশি , বিশেষত পুং বাচ্চা , অতএব হে মাতাগণ আপ্নেরা লেট্ নাইট স্কেডিউল করে বাড়ি ফেরা বন্ধ করুন । পাট্টি ফাট্টি তো নৈব নৈব চ । বাংলা কাগজের এই ক্লোসেট মেসোমসাইগিরি বহুক্কাল দেকছি ।
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৪:২৯716865
  • আচ্ছা এতো রাগার কি আছে? 15-16 বছরের ছেলেরা মদ খাবে, রেভ পার্টি করবে-সেটা চিন্তার বিষয় নয়? ভয়ঙ্কর চিন্তার বিষয়। কারণ টাকা ফুরিয়ে গেলেই; নেশার টানে দুস্কর্ম করবে। এটা একদম ফ্যাক্ট। আমাদের সময় অবস্থা পন্ন ঘরের কিশোর ছেলে পূলে- বাইক ছিনতাই বা হার ছিনতাই করতো না।
    আজকেই একটা কাগজে পড়লাম; নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে এক পড়ুয়া কিশোর, রাস্তার ভিখিরি কে মাথা থেঁতলে খুন করে, টাকা চুরি করে ধরা পড়েছে।
    এতো ভয়ঙ্কর অবক্ষয়।
    অনেক শিশুর কাছেই বাবা মা রোল মডেল। বাবা কে সন্ধ্যে বেলা থেকে মদ খেতে দেখলে, ছেলের মদ্যপানের ওপর ইনহিবিশন কমে যায়।আবার বাবা-মা কে দেরি করে পার্টি শেষ করে বেসামাল অবস্থায় দিনের পর দিন ফিরতে দেখলে; সন্তানের মনেও লেট্ নাইট পার্টি বা রেভ পার্টি তে ইনহিবিশন কমতে বাধ্য।
    এসব ই বিসিএস সাইকেল। ওসব ফালতু বলে উট পাখির মতো মুখ গুঁজে থাকলে সমস্যা কিছুতেই কমবে না।
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৪:৩০716876
  • #ভিসিয়াস
  • Arpan | 233.227.62.171 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৫:২৩716887
  • মদ্যপান আর মাতলামির মধ্যে তো তফাৎ আছে। সেটা বাবা মা হিসেবে বোঝানো উচিত।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৫:৩৬716898
  • বাপমাকে দেখে দেখে বাচ্চারা শেখে। এটার পেছনে সায়েন্টিফিক পেপার/আবিষ্কার থাকতে পারে, কিন্তু সেসবে যাচ্ছি না। সংসারে সন্তানকে মানুষ করে তোলা সবচেয়ে শক্ত কাজ। পয়সা রোজগার করা, কি ঝামেলাবাজ জ্ঞাতি/আত্মীয় কে পোষ মানানোর চাইতেও ঢের ঢের শক্ত হল সন্তানের ঠিকমত লালন পালন। এর মানে এই নয় যে দেদার বিলাসের সামগ্রী এনে দিতে হবে, দামী খাবার, দামী জামাজুতো, দামী ইস্কুল, দামী খেলনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। বরং এসব খুব বেশি বেশি দিলে হিতে বিপরীতই হয়। মোটামুটি ঠিকঠাক মূল্যবোধ একটা শিশুকে যত কম বয়স থেকে শেখানো যায়, ততই মঙ্গল। চুরি না করা, অন্যের জিনিস দেখে লোভ লাগতে পারে, তাই বলে সেটা চুরি করতে যেও না, বাবা মায়ের কাছে চাইতে পারো, যদি না দিতে পারেন, তবে গোঁ ধরে কেঁদেকেটে একসা হলেই যে সেটা পাওয়া যাবে তা নয়, বাপমায়ের সামর্থ বুঝতে শেখো, এসব জিনিস বাপমায়েই শেখাতে পারে। শেখাখাতে পারে যে, অন্যের দামী জিনিসে লোভ করাটা ঠিক নয়। কিন্তু এরকম করে আজকাল বেশিরভাগ বাপমা ভাবে না। বাচ্চা যেটা চাইছে ঝপ্ করে কিনে দিচ্ছে। সবসময় সেধ্যে হয়ত কুলোয় না তবু কিনে দেয়। বাচ্চারো এক্সপেক্টেশন বাড়তে থাকে। এর কোনো আপার লিমিট নেই। বাচ্চার শখের/লোভের সামগ্রী কিনবার ব্যাপারে বাপমায়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি ঝগড়া বিবাদ পর্যন্ত হয়, বাচ্চারা সেটা লক্ষ্য করে, সুবিধে বুঝে জিনিস আদায়ের জন্য কখনো মায়ের ন্যাওটা হয় কি কখনো বাপের। বাচ্চারা বাপমাকে সুবিধেমত ম্যানিপুলেটও করে। এগুলো বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভালো সিম্পটম নয়। কথায় কথায় বায়না করার প্রবণতা আজকাল খুব বেড়ে গেছে বাচ্চাদের মধ্যে। বন্ধুদের মধ্যে স্টেটাস মেইনটেন করাটাও দরকার হয়ে পড়েছে। বাচ্চার বয়স যত বাড়বে তার শখের সামগ্রীর দামও তত বাড়বে। কতদিন পারবে বাপমা এসব জোগাতে? ভারতে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা তো আর ১৮ বছরে স্বনির্ভর হয় না, অ্যাডাল্টও হতে পারে না। চাকরিবাকরি পেতে পেতে মিনিমাম ২২/২৩ বছর বয়স হয়ে যায় লাক ভালো থাকলে। অনেক ক্ষেত্রে আরো বেশিদিন অবধি এদের ব্যয়ভার টানতে হয় বাপমাকেই। কেউ কেউ হয় খুচখাচ টিউশন করল হাতখরচের জন্য, কিন্তু সবাই তা করছে না। পিয়ারপ্রেশার থেকে স্চেটাস মেইনটেন করবার ব্যাপার থাকছে, ভালো বাইক, ভালো স্মার্টফোন, সিনেমা দেখার খরচ, বাইরে খাওয়া, দামি পোশাক, দামি জুতো, দামি সানগ্লাস, এগুলোর খরচ সব পরিবার বইতে পারে না। সংসারে অশান্তি হয়, বাপমায়ের ওপরেও আর্থিক চাপ পড়ে। কিন্তু এই সমস্যা তৈরী করতে বাপমায়ের অবদানও কম না।

    আমার জানা অনেক ঘটনা আছে।
    বাপ মা দুই ছেলে পিঠোপিঠি। দুই ছেলেই সমান অবাধ্য। ভালো ভালো ইস্কুলে পড়ানো হয়েছে। তারা পড়াশুনোয় তুখোড় তো নয়ই বরং বেশ কাঁচা। পড়াশুনোয় মন নেই, সর্বক্ষণ বিভিন্ন গ্যাজেটের দিকে লোভ। সব কিনে দেয় বাপমা। বাপ চাকুরে, মা বাচ্চাদের ইস্কুলে পড়াচ্ছে। বাচ্চারা ফেল করলে বছর নষ্ট করতে না দিয়ে অন্য ইস্কুলে "ব্যবস্থা" করে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মা নামকরা একটা ইস্কুলে ছাত্র ভর্তি করবার চ্যানেলের কাজও করে কমিশন বেসিসে। কাঁচা টাকা আসতে লাগল প্রতি বছরের গোড়ায়। ব্ল্যাকমানি। ছেলেরা ১১ ক্লাসে ভালো স্কুলে ভর্তি হল, দামী বাইক কেনা হল তাদের জন্য। ছেলেরা বাসে করে কিছুতেই ইস্কুলে যাবে না, প্রেস্টিজের বারোটা বেজে যাবে, বন্ধু হবে না কেউ, এসমস্ত বুঝিয়ে বাইকের সাজগোজ (নানারকম সময়োপযোগী স্টিকার, পালিশ, হ্যানত্যান) এবং পেট্রলের জন্য খরচ শুরু হলো। পড়াশুনোয় মন নেই, জেদি এবং বায়না ধরলে কিছুতেই ভোলানো যায় না। ফ্যাশনেবল কাপড়জামা দেওয়া হচ্ছে তবু গার্লফ্রেণ্ড হচ্ছে না কেন, মা ভেবে ভেবে অস্থির। একবার দুই ভাইয়েরই জন্ডিস হলো। দুজনেই ভর্তি হলো দামী নার্সিংহোমে, বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করালে মান থাকবে না। নার্সিংহোমের খাবার তাদের মুখে রোচে না, বিরিয়ানী আসছে লুকিয়ে জন্ডিসরোগীর জন্য। বিলিরুবিন কাউন্ট প্রচণ্ড বেড়ে যাচ্ছে, তবু হেলদোল নেই। কী? না ছেলেরা রোজ দোকানের বিরিয়ানী খেয়ে অভ্যস্থ, বাড়ীর রান্না ভালোবাসে না, নার্সিং হোমেও তার অন্যথা হতে দেবে না। ফাইনালি সেই ছেলেদুটো পাশটাশ করে চাকরি বাকরি করছে ঠিকই, কিন্তু বাপমাকে নাকে দড়ি দিয়ে প্রচুর ঘুরিয়েছে। একটা টাইমে বাপমায়ের ডিভোর্স হয়ে গেল, তখন দুপক্ষ থেকেই টাকা জিনিস নিচ্ছে ছেলেরা, ডবল লাভ। এটা কোলকাতার ঘটনা।

    আরেকজন জার্মানীতে। বাবা চেক মা জার্মান। টাকাপয়সার গণ্ডগোলে বাপমায়ের ডিভোর্স হল যখন বাচ্চারা ছোট ছোট। মা বাচ্চাদের নিয়ে অন্য সংসার পাতল। ছেলেদের খরচ বাবদ বাপ টাকা পাঠাতে লাগল। মায়ের নতুন সংসার খুব খুব ধনী। টাকা উড়ছে। ছেলেরা দুদিক থেকেই পাচ্ছে। কিন্তু বেসিক কিছু জিনিস বাপমা শেখায় নি। যেমন চুরি করা খারাপ। বুকশপে পছন্দের বই চুরি করতে গিয়ে বড়ছেলে ধরা পড়ল। মা গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনল। মা নিজেও বুঝছে না যে চুরি করে ছেলে ভালো কাজ করেনি। মায়ের যুক্তি হচ্ছে, আহা ও তো পড়তে খুব ভালবাসে, বইটা খুব পছন্দ হয়েছিল কিন্তু সেদিন পকেটে এনাফ টাকা ছিলনা তাই বইটা না বলে তুলে নিয়ে আসছিল দোকান থেকে।
    যাইহোক, ১৯/২০ বছর বয়সে ছেলেরা ঘাড় থেকে নেমে গেছে মায়ের, তারা আলাদা থাকে, আলাদা জীবন।
    ওপরের দুটো কেসেই বাপমা এতদিনে বুড়ো হয়েছে সবাই রিটায়ার্ড। ছেলেরা বাপমাকে দেখে না, সেরকম কোনো প্রশ্নই নেই।
  • cb | 11.39.37.161 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪৬716909
  • দেবানন্দবাবু এবার আমাকে আর মিসেসকে বাড়িতে ডেকে খাওয়ালেন। এককালে বিড়ি খেয়ে গুচ্ছ ক্যাল খেয়েছি ওনার হাতে। উনি বললেন ওটা দরকার ছিল। ঐ বয়েসের পরই পিতা থেকে বন্ধু হয়ে যাওয়াটা নিয়ম, উনি তাই করেছেন
  • Ekak | 53.224.129.40 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৬:০৪716822
  • যার সাজে , সে আলো জ্বেলে পাদে । এর মধ্যে সমস্যা কী ? বাপ-মা গুলো ছেলে মেয়ের বাইক থেকে স্মার্টফোন সব আবদার এফোর্ড করতে পারছে মানে নিশ্চই পকেটের জোর আছে । দামী ইস্কুলে ভর্তি করলে সেরকম স্টাটাস ওয়ালা বন্ধুবান্ধব হবে । সেরকম পিয়ার প্রেসার । এগুলোকে মোটিভেশন হিসেবে দেখলে মোটিভেশন আর খারাপ মনে করলে মিশনের কুমড়োর চর্চরি বা সৈনিক ইস্কুলের রুটি ডাল খাওয়াতে পাঠালেই হয় । পুষবেন সেন্ট বার্নার্ড আর আশা করবেন সে লেড়ো বিস্কুট খেয়ে থাকবে এতো হয়না :))

    "আধুনিক জীবনযাপন " এর যাঁরা দোষ খুঁজছেন তাদের প্রশ :

    এরকম ঘটনা গণহারে ঘটছে কী , যেখানে ছেলে -মেয়েরা নেশা বা স্মার্টফোনের জন্যে চুরি-খুন -রাহাজানি করছে এমন পরিবার থেকে এসে যেখানে অলরেডি কোনো ক্রাইম ব্যাকগ্রাউন্ড নেই ?

    উত্তর দেবার আগে প্রশ্ন আবার পড়ুন । বেলগাছিয়ার কোন বস্তিতে কোন কিশোর কাকে ছুরি মেরেছে , বা কোন কোটিপতি স্মাগলারের মেয়ে নেশা জোগাড় করতে গিয়ে ছিনতাই করেছে .......তাদের টেনে লাভ নেই । আধুনিকতা অর নো আধুনিকতা , তারা অপরাধকে মিন্স বলে জেনেছে ,ব্যবহার করেছে । নো প্রব্লেম ।

    এমন উদাহরণ কটা যেখানে , ক্রাইম ব্যাকগ্রাউন্ড নীল এরকম পরিবারে শুধু স্মার্টফোন -রেভ পার্টি এসবে মেতে গিয়ে ছেলেমেয়েরা অপরাধী হয়ে উঠছে । একমাত্র সেক্ষেত্রেই "আধুনিক জীবনযাপন " আদৌ প্রাসঙ্গিক কিনা ভাব যাবে । নইলে , না । ফার্স্ট জেনারেশন ক্রিমিনাল দের কোনো ডেটা পাওয়া গেলে ভালো হয় ।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৬:৩০716823
  • না। আমি বোঝাতে পারিনি।
    বাবামায়ের সবসময় সাধ্যে কুলোয় না, বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড। দুই, বাবামায়ের দোষ আছে সেটা বারবার লিখেছি, কাজেই সেন্ট বার্নার্ড পোষার তুলনাটা ভুল হলো। তিন, বাবামা সাধ্যাতীত করতে গিয়ে নিজেরাও অসদুপায় অবলম্বন করছে, আমার বেশ কিছু কেস স্টাডিতে আছে। চার, মানুষ কিন্তু কুকুর নয়, মানুষের পেডিগ্রি হয় কি? কুকুরের হয়, শুধু তাইই নয়, কুকুরের পেডিগ্রি নিয়ে আলোচনা আরেকটা নতুন টই দাবী করতে পারে। পাঁচ, পকেটের জোর থাকুক কি না থাকুক বেসিক পয়েন্টটা অন্যখানে, সেটা হচ্ছে মানুষ বানাতে গিয়ে বাঁদর তৈরী করা। কুমড়োর ঘ্যাঁট খেয়েও বাঁদর তৈরী হয়, ঠ্যাঙানি খেয়ে গাঁট তৈরী হয়, সেসব জানা আছে। কিন্তু ড্রাগস নেওয়া, কি চুরি করা, ছিনতাই্, খুনখারাপি করবার শিক্ষা পাওয়াটাও খুব কাজের জিনিস নয়। আমরা কেউই চাইব না যে আমাদের প্রিয়জন (এক্ষেত্রে সন্তান, এবং সাধারণত সন্তান সব বাপমায়ের কাছেই প্রাণাধিক প্রিয় হয়, ব্যতিক্রম বাদ দিলে) ড্রাগ অ্যাডিক্ট, চোর, খুনী, ছিনতাইবাজ হোক। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এটা চাইতে পারে না। মদ খাওয়া (হার্ড ড্রিংক্স) শেখানোর ব্যাপারেও ঐ একই। অ্যালকোহলের নেশা কিন্তু তাবড় তাবড় ড্রাগের নেশা ছাড়ানোর চেয়েও ঢের ঢের কঠিন।
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৬:৫০716824
  • একক কি বলতে চাইছেন?আধুনিক জীবন যাপন ও বিলাসিতা , নেশা কুনো ফ্যাক্টর নয়?সিটি তে জুভেনাইল ক্রাইম বাড়ার পিছনে, বিলাসিতা,বিলাসময় দ্রব্যের চাহিদা, নেশা, বাবা মায়ের অবহেলা এগুলো তো আছেই।শুধু ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ালা পরিবার থেকেই ক্রাইম হচ্ছে এমন তো নয়।
    দেখাযাক , এন জি ও যারা কাজের মধ্যে আছেন; তারা কি বলছে।

    But NGOs dealing with young offenders have noticed a new trend. "Nowadays, it's not only street children who take to crime. Even children from well-off middle class and upper middle class families are turning to crime. Peer pressure and crime thrill plays a pivotal role in leading them astray,'' says an NGO worker.
    Child psychology experts attribute this to the discrepancy between crime and punishment with criminals going scot-free in high-profile criminal cases. "So, the fear barrier no longer exists,'' says a psychologist.
    http://timesofindia.indiatimes.com/city/delhi/Juvenile-crime-cases-rising/articleshow/4083393.cms
    আর পারিবারিক ব্যাক গ্রাউন্ড নিয়ে যত সামান্য ডেটা। কারণ ইন্ডিয়া তে এসব খুব কম ই মেন্টেন করা হয়।
    Of the total number of juveniles arrested in 2011 under different sections of IPC and Special and Local Laws (SLL), 6,122 were illiterate, 12,803 were primary passouts, 10,519 were above primary and below matriculation qualified and 4,443 were matric and higher secondary qualified, the data said.

    A total of 27,577 juveniles, who were held for criminal acts, were living with parents, 4,386 were living with guardians and 1,924 were homeless, the data said giving details of their family background.
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:০১716825
  • সে, র ওপরের পোস্ট টা বেশ সত্যি কথা। কড়া করে লেখা, কিন্তু বাস্তব সত্য।যারা নেশা ইজ ইকুয়াল টু ব্যক্তি স্বাধীনতা দেখে; তাদের নেশার প্রকৃত মরণ ক্ষমতা নিয়ে সম্যক কোনো ধারণাই নেই।কারণ কর্মসূত্রে এরকম প্রচুর পেশেন্ট ও ফ্যামিলির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
    পশ্চিমে বড় বড় অনেক শহরে লোকে থাকতে ভয় পায় -সৌজন্য, ড্রাগ আর এলকোহল এর নেশা।টিন এজ এর ছেলে মেয়েরা মূর্তিমান বিভীষিকার মতো টাউন সেন্টার,অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
    ওই উচ্ছন্নে যাওয়া সমাজের ব্যর্থ অনুকরণ এখন ভারতের সিটি গুলোতে দ্রুত রূপায়ণ হতে চলেছে বা চলছে ।
  • Ekak | 53.224.129.40 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:১০716826
  • একবার ও বলিনি ফ্যাক্টর না । প্রশ্ন ভালো করে পড়েন আরেকবার :)

    আমি কোনো এনেকডট এ বিশ্বাস করতে রাজী না । ওসব দিয়ে গপ্পো -চুটকি অবধি ঠিকাছে । আমি জাস্ট এইটুকু প্রথম স্টেপে বুঝতে চাইছি যে ফার্স্ট জেনারেশন ক্রিমিনাল দের ক্ষেত্রে আধুনিক জীবনযাপনের আকর্ষণ কতটা কারণ । এই "সেস আ সাইকোলজিস্ট " টাইপ রিপোর্ট অত্যন্ত ভাটের । বেসিস টা কী ?

    প্রশ্নটা বোঝার ইচ্ছে থাকলে বুঝুন । আমার পাশের বাড়ির একজন ঘুষখোর সারা জীবন কর্পোরেশনে অফিসার হয়ে দুহাতে ঘুষ খেলেন । ওনার ছেলে আলমারি ভেঙে গয়না হাতিয়ে পালিয়েছে । এবার পালানোর কারণ আধুক মোটরবাইক না সাম্প্রদায়িক তা দিয়ে কী করবো !! ? ওর ক্ষেত্রে মোটরবাইকের আকর্ষণ আর বাপের ঘুষ দুটো প্যারামিটার মিলেমিশে আছে । ওই খিচুড়ি থেকে কোষ ইফেক্ট বোঝা মুশকিল ।

    আধুনিক জীবন যাপনের ফলে যুবক -যুবতীদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে এইটা এস্ট্যাব্লিশ করতে গেলে আমার ডেটা দরকার ! প্রথমে দরকার এস্ট্যাব্লিশ করা যে সব মিলিয়েই ইয়ুথ ক্রাইম বাড়ছে । তারপর দরকার দেখা তাদের ডিপেন্ডেন্সি কী কী । ধরা যাক দুটো পাওয়া গেলো ।

    পরিবারে ক্রাইম ব্যাকগ্রাউন্ড ।
    আধুনিক জীবন যাপনের লোভ ।

    এবার এগুলো ক্রস করাতে হবে তো ! ওরকম আনতাবরী এখন ওখান থেকে কোট করলে হবে নাকি :( এতো এতো বিওশেষজ্ঞ চারপাশে , এনাদের কাছে রিসার্চ ডেটা নাই ? ডকুমেন্টেড স্যাম্পল নাই ? সবই এনেকডট :( ?

    "কারণ নয় " একবার ও বলছিনা। হতেই পারে কারণ । জাস্ট যুক্তি ও ডেটা দিয়ে বুঝতে চাইছি । অমুকের বাড়ি কী হয়েছিল তমুকের বাড়ি কী হয়েছিল এসব লোকাল ট্রেনের গপ্পো শুনে কী করবো । ডিসিশন নিতে গেলে প্রপার একটা প্রসেস চাই ।
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:২০716827
  • মুশকিল হচ্ছে গাড়োল এর সঙ্গে বেশিদূর তর্ক করা যায় না।আপনি জগা খিচুড়ি করতেই পারেন; কিন্তু যারা এই ফিল্ডে করছে,তারা ওখান থেকেই কিছু কিছু মূল পয়েন্ট ছেঁকে নেবেন। মনোবিদ রাও সেইটে ই ফলো করবে।যদি দেখে ব্রোকেন ফ্যামিলি থেকে বেশি হচ্ছে; তাহলে সেটা একটা কারণ হিসাবে ভাববে।
    যদি পুলিশ দেখে নেশা, রেভ পার্টি আর ক্রাইম পাশা পাশি চলছে; তাহলে তারাও সেটা কে কারণ বলে ভাববে।ওগুলো ভ্যাট বলে উড়িয়ে দেবার পেছনে আপনার কাছে কোনো শক্ত পোক্ত স্ট্যাট আছে কি?
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:২১716828
  • একটা ঘটনা বলি। তখন আমার ছবছর। আমার বোনের পাঁচ। পুজোর ছুটি পড়তে একদিন বাকি। মন্তেস্যরীতে পড়ি আমরা। আমাদের ক্লাসে সেদিন আরতিদি পড়ালেন "পূজার সাজ" কবিতাটি "শিশু" থেকে।
    আমরা গোটা ক্লাস কুড়িটা বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে হাঁ করে শুনি কবিতাটা মন দিয়ে। ঐটে মুখস্ত করতে হবে বললেন। তখন পুজোর টাইমে বৃষ্টি হতো না। সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে পড়া করতে বসে কবিতাটা পড়তে পড়তে অনেক কিছু শিখে গেছলাম। কিন্তু পুরোটা পড়া হলো না, বাবা অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরেছে ছটা বাজতে না বাজতেই পুজোর বোনাস পেয়েছে, এবার আমরা জামা কিনতে যাব। সেবার বালবটম্ প্যান্ট খুব উঠেছিল বাচ্চামেয়েদের। আমরা বেরোলাম বাজার করতে, বাবামা ও দুই বোন। অনেক আত্মীয় স্বজনের জন্য শাড়ী ধূতি কিনতে হতো, বাড়িতে ঠাকুর চাকর বাসনমাজার ঝি সবার জন্য শাড়ি ধূতী কেনা। কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটের প্রসন্ন বস্ত্রালয় ছিল এই পুজো শপিং এর জন্য বাঁধা। সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের ফুটে কটা বাড়ি ছেড়ে এই দোকান। কুড়ি পঁচিশটা ধনেখালি শাড়ি, গোটা পনেরো কুড়ি ধুতী, এইসমস্ত কিনবার পরে, আমাদের জামা কিনতে যাওয়া হবে। বাবামা দুজনের হাতেই ভারীভারী প্যাকেট। প্রথমে যাওয়া হয়েছিল নিউ ভ্যারাইটি স্টোর্স (সে দোকান এখন বহুকাল হল উঠে গেছে)। পরিষ্কার মনে আছে আমার তখন মনে পড়ছে মধুবিধুদুইভাই এর ওপর কবিতাটা। ভ্যারাইটি স্টোর্সে একই ডিজাইনে দুইবোনের মাপের জামা পাওয়া গেল না। এদিকে আমাদের পা ব্যাথা করছে। তখন মা সমস্ত শাড়ি ও ধুতীর প্যাকেট নিয়ে রিকশা করে বোনকে নিয়ে বাড়ী চলে গেল। বাবা আমাকে নিয়ে ট্রামে করে গেল শ্যামবাজার। ওখানে কেসি দাসের একটা দোকান ছিল, মূলতঃ টেলার্স। সেখানে কাউন্টারে কাজ করতেন কেনারামবাবু। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন। সেখানেই দুবোনের জামা কিনে দিল বাবা। কেনারামবাবুর অনেক সন্তান, সবাই দেশের বাড়ীতে থাকে মেদনীপুরে। বাবা খুব গল্প করছিল কেনারামবাবুর সঙ্গে। ওঁর চেহারা আমার আজও মনে আছে, পরে একবার সস্ত্রীক দুজন বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাড়ী এসেওছেন। দোকান থেকে বেরিয়ে নতুন জামার প্যাকেট হাতে নিয়ে আমরা একটা সরু গলি দিয়ে শর্টকাট করে আপার সারকুলার রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। এভাবে পুজোর বাজারের ভিড় এড়ানো যায়। তখন বাবা বলেছিল, কেনারামবাবুর কোনো ছুটি নেই পুজোতে, কেসিদাসের দোকান পুজোর দিনগুলোতেও খোলা থাকবে। আরও বলেছিল যে কেনারামবাবুর বাচ্চাদের পুজোর জামা এখনো কেনা হয়নি, পুজো হয়ে গেলে দোকানে যে জামা প্যান্টগুলো বিক্রি হবে না সেখান থেকে উনি কম দামে কিনে নিয়ে যাবেন দেশের বাড়িতে, দশমীর দিন। সেদিন আরো জেনেছিলাম, এমন অনেক অনেক লোক আছে যাদের পুজোতে নতুন জামা হয় না, বা এমন লোকও আছে যারা পুজোর দিনেই কোনমতে টাকা জোগাড় হলে বাচ্চাদের জামা কিনতে বেরোয়, ষষ্ঠী সপ্তমী অষ্ঠমী এমনকি নবমী দশমীও হয়ে যেতে পারে তাদের জামা কিনবার টাকা পেতে পেতে।
    তখন আমার ছবছর। কিন্তু ঐ কবিতাটা এবং তারপরে বাবার সঙ্গে জামা কিনতে বেরোনো, এই দুটো ঘটনা কোনোদিনো ভুলব না। লোভ যে কখনো সখনো হয় নি তা অস্বীকার করব না, কিন্তু তা সংবরণ করতে শিখেছি।
    এখন তোমরা হয়ত বলবে, এতে কী লাভ? আমি বলব, লাভ লোকসানের কথা যদি ওঠে সেটা দেখবার অ্যাঙ্গেলনির্ভর। আমি শিখে গেছলাম বাবামার যা সামর্থ যতটুকু দেবার সেটুকু দেবে, তার বেশি লোভ করব না, চাপ দেবো তাদের। সেরকম চাপ দিয়ে জিনিস আদায় করায় আনন্দ তেতো হয়ে যায়।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:২৬716829
  • বেলবটম্*
    ইশ্ জঘন্য টাইপো!
  • Ekak | 53.224.129.40 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:২৭716830
  • যাক এতদিনে তবু একমত হয় গেলো যে গাড়লের কাছে ডেটা -স্যাম্পল এসব চাওয়া অর্থহীন ।

    কাগজে যেগুলো বিষজ্ঞের মতামত হিসেবে লিখেছে বুলেট পয়েন্ট করে আর সরাসরি যা কোট করেছে তা আলাদা । কেদার বাবু কলকাতার টপ সাকায়াট্রিস্ট দের একজন । উনি বলার মধ্যে বলেছেন ফেসবুকে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব হচ্ছে কোথায় কি কন্ট্রোল রাখা মুশকিল । এইটুকু কথাকে ব্যাকগ্রাউন্ড করে প্রতিবেদনে আধুনিকতার বিরুদ্ধে বেলুন ফোলানো হয়েছে এরকম প্রতিষ্ঠিত গাড়োল দের কথা মাথায় রেখেই যারা "বিশেষজ্ঞ " শব্দটা দেখলেই অর্গ্যাজম ঘটিয়ে ফ্যালে । নইলে তো পুলিশের মতে খোলামেলা পোশাক পরলে রেপ বাড়ে সেটাও মেনে নিতে হয় । কারণ পুলিশ পাশাপাশি দেখেছে । এসোসিয়েশন মানেই প্রুফ !

    যত মুখ খোলে ততো প্রকাশিত হয় :)) এই জন্যেই এটার সঙ্গে কথা বাড়াই না । প্রতিষ্ঠিত আবাল একটা । এবার মারাক নিজের মতো ।
  • sm | 233.223.157.16 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:৩১716831
  • এই তো , গাড়োল নিজেকে চিনতে পেরেছে । যাক বাবা, ইনসাইট লস হয়নি তাহলে ;-)))
  • সে | 198.155.168.109 | ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৭:৪৪716833
  • আনেকডোট বলে উড়িয়ে দিলে তো চলবে না। এই আনেকডোটগুলো জুড়ে জুড়েই ডেটাবেস।
    সোভিয়েত ইউনিয়নে বিদেশীদের হোস্টেলের বাইরে বিকেল হলেই প্রচুর যুবতী মেয়ে এসে দাঁড়াত। এরা কেউ গরীব মেয়ে নয়। বড়োলোকও নয়। এরা ফরেনার ছেলেদের ঘরে যেত সেক্সের বিনিময়ে ফরেন জিনিসপত্র পাবার জন্য। বেশ্যাবৃত্তি বললে বেশ্যাবৃত্তি। তবে টাকা নিত বলে শুনিনি। ফরেনাররা ফ্যাশনেবল পোশাক পরে, বিদেশী সিগারেট খায়, বিদেশি পারফিউম মাখে, বিদেশি জিনিসের লোভে এগুলো করত। আর ছেলেরা চুরি করত জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ক্যালকুলেটর, মিউজিক সিস্টেম, ভিডিও রেকর্ডার। দিশি জিনিস ওদেশে যা পাওয়া যায় তাতে তুষ্ট নয়। এখন চুরি করা যদি খারাপ কাজ হয় তাহলে সেটা করত লোভে পড়ে। বেশ্যাবৃত্তি যদি ভালো কাজ হয়, সেটাও লোভে পড়েই করত। বিদেশি জিনিসপত্র খোলা বাজারে পাওয়া যেত না, অথচ চোখে পড়ছে ফরেনাররা সেগুলো ব্যবহার করে, দেখে লোভ হয়, তখন বাধ্য হয়ে চুরি কি বেশ্যাবৃত্তি করে সেগুলো পাওয়া চাই।
    আমাদের ক্লাসে একটা ছেলে একবার এক ফরেনারের ক্যালকুলেটর ঝেড়ে দিল। প্রমাণাভাবে ছেলেটাকে ধরা গেল না। তার কয়েক মাস পর থেকে ছেলেটা আর ক্লাসে আসেই না আসেই না। পরীক্ষার সময়েও এলো না। পরে জানা গেল জেল খাটছে, কার বাড়ির জানলা ভেঙে বিলিতি টিভি কি ভিডিও চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল, তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ছেলেটা আগেও বাড়ীতে এটা ওটা সেটা এদিক ওদিক থেকে চুরি করে নিয়ে যেত নাকি, তাতে ওর বাবামা কোনো আপত্তি করেনি, জানতে চায়নি পর্যন্ত কোত্থেকে পেলো জিনিসগুলো।
  • Du | 183.74.26.17 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৯:৩২716834
  • ঐ কবিতাটা আমার জীবনেও একটা খুব মনে থেকে যাওয়া শিক্ষা। কিন্তু জানি না, গল্পটা কেউ বললে সেই অনুভূতি আসবে কিনা।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ০৯:৪৭716835
  • কবিতাটা আমারও মনে দাগ কেটে যাওয়া অনেকগুলো কবিতার মধ্যে একখানা। লাইন বাই লাইন মনে আছে।

    এসএমকে একটা অনুরোধ, মতের অমিল হওয়া মানেই কি গাড়োল বলে শুরু করতে হবে? ওটুকু বাদ দিয়েও তো তক্কাতক্কি করা যায়। একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১০:১৫716836
  • দেখুন মতের অমিল কোনো কারণ নয়।
    ধরুন, রামকৃষ্ণ টোই তে এতো খিল্লিত হবার পর ও একি ঘ্যান ঘ্যানে পোস্ট করে যাচ্ছিলো।
    আগের দিন কিশোর/কিশোরী দের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে- এর কারণ হিসাবে, বিলাস ময়তা,অপ্রাপ্তি,ল্যাক অফ গুড প্যারেন্টিং,ড্রাগ-এলকোহল ,রেভ পার্টি- এগুলোর কথা বলা হয়েছিল।
    এদের মধ্যে যারা কাজ করছে; এমন এনজি ও বা মনোবিদ দের রেফারেন্স ও দেওয়া হয়েছিল।
    তা, গাড়োল এর মতো বার বার বলা হতে লাগলো- এদের কথা গুলো ভাট আর রেফারেন্স এর ডেটা কৈ?
    তা, আমি জিগালাম, এগুলো যে ভাট- তার স্বপক্ষে কোনো ডেটা-স্ট্যাট দেওয়া যাবে কি? সেটার কিন্তু উত্তর এলো না।
    আবার এক ই বিরক্তিকর ঘ্যান ঘ্যান।
    এবার ধরুন আমি কোনো রিপোর্ট, যাতে স্ট্যাট বা ডেটা দেওয়া আছে -এমন জিনিস পোস্ট করি-তাতে কি ঘ্যান ঘ্যানানি কমবে?
    A report has revealed that young offenders committed more than a million crimes in a single year. They were behind half of all robberies, and one in three burglaries.

    The Home Office research paper on youth crime in England and Wales in 2009/10 shows that youngsters commit a ‘disproportionate’ amount of crime, as under-18s make up a tenth of the population but are responsible for 23 per cent of offences.

    Read more: http://www.dailymail.co.uk/news/article-2150187/Under-18s-commit-quarter-crimes-Young-offenders-responsible-million-crimes-just-year.html#ixzz4FUCgnlOi
    Follow us: @MailOnline on Twitter | DailyMail on Facebook
    এবার শেষের প্যারা টা লক্ষ করুন-
    The report admits that ‘the estimate of both the proportion and the extent of youth crime is likely to be an under-estimate’, as many incidents go unreported.

    The research revealed that young offenders were more likely to commit so-called ‘acquisitive’ crimes, such as street muggings of schoolchildren for their mobile phones and other gadgets.

    Read more: http://www.dailymail.co.uk/news/article-2150187/Under-18s-commit-quarter-crimes-Young-offenders-responsible-million-crimes-just-year.html#ixzz4FUFoNZBH
    Follow us: @MailOnline on Twitter | DailyMail on ফেইসবুক
    http://www.dailymail.co.uk/news/article-2150187/Under-18s-commit-quarter-crimes-Young-offenders-responsible-million-crimes-just-year.html
  • cm | 127.247.96.29 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১০:২৮716837
  • কি কুক্ষণেই যে গুগল তৈরি হয়েছিল। গুণ, গুপ্ত, দাশগুপ্তর বইগুলোর লিঙ্ক দিয়ে দেন কেউ।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১০:৫৩716838
  • এসএম, বেশ তো - একই রকমের ঘ্যানঘ্যান যদি করেই থাকে, ইগনোরও তো করা যায়। এখানে অনেকেই অর্থহীন ভাট বকে। বক্তব্যের সপক্ষে ডেটা চাইলেন, ডেটা পেলেন না, আপনার তো আর কোনও দায় থাকে না।

    খামোকা গাড়োল টড়োল বললে আপনার তরফের কথাগুলোও কেমন ডাইলিউট হয়ে যায় না? মানুষ স্ল্যাং কখন ইউজ করে? যুক্তি কম পড়লে।

    মানে, অনেস্টলি, আমিও এক সময়ে রেগে গেলে টুকটাক বাজে কথা লিখি নি এমন নয়, কিন্তু পরে বুঝেছি, ওতে লাভ হয় না কিছু। অনুভূতিটুকু শেয়ার করলাম আর কি :)
  • umesh | 72.254.195.217 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১১:২২716839
  • আজকালে লেখা প্রচেত গুপ্তের লেখাটা ভালো লাগলো।
    সবাই যখন আজকের জেনারেশন কে গালাগালি দিতে ব্যস্ত, তখন প্রচেত গুপ্ত তাদের হয়ে কলম ধরেছে।

    ফোন থেকে লিন্ক দিতে পারলাম না, আজকালে লেখাটা আছে, কেউ পারলে এখানে লিন্ক টা দিয়ে দাও।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১১:২২716840
  • এককের দর্শনের সাথে আমি বেশির ভাগ সময়েই একমত হই না, তবে ওটা একটা দর্শন, বা দৃষ্টিভঙ্গী, দেখতে চাইলে ওভাবে দেখাই যায়। জুভেনাইল ক্রাইম বা জুভেনাইল সাইকোলজি এক বিশাল বড় জিনিস, আমরা এ বিষয়ে খুব খুব কম জানি, আমাদের ভরসা হয় কিছু অ্যানেকডোট, নয় তো কিছু লিংক। লিংক মানেই অ্যাবসোলিউট সত্য, তাও তো নয়। স্ট্যাটিসটিক্স, কিছুটা আইডিয়া দেয়, তবে বিশেষ কিছুকেই কারণ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া যায় না, কারণ মানুষ মাত্রেই আলাদা হয়। মূল্যবোধ অনেকটাই ঘর থেকে নিয়ে বড় হয় সন্তান, অনেকটাই সময়ের সাথে, পারিপার্শ্বিকের থেকে কালেক্ট করেও মূল্যবোধ তৈরি হয়।

    এক সময়ে আমার এক কলিগ ছিল, তার বাবা দিল্লি পুলিশের এক হর্তাকর্তা। জন্ম থেকে সে দেখে আসছে বাড়িতে বড় বড় লোকের আনাগোনা, মদের বোতল, দারু পার্টি। নিজে কোনওদিন এক ফোঁটাও মদ ছোঁয় নি। অফিস কোলিগরাও মাঝেমধ্যে রেস্তুরেন্টে যেতাম, খানাপিনা হত, মদ ছুঁত না ওই দুজন, সেই ছেলেটা আর আমি। আমি জীবনে কোনওদিন আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কাউকে মদ খেতে দেখি নি। ইহা অ্যানেকডোট।

    আমার বাবা চেন স্মোকার ছিল। পরে ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দিয়েছিল, তারপরে ১৯৯৭তে প্রথম মাইল্ড অ্যাটাকের পরে একেবারে ছেড়ে দেয়। বাড়িতে সিগারেটের প্যাকেট সবসময়েই রিচের মধ্যে থাকত। সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে পেন স্ট্যান্ড, অ্যাশট্রে ইত্যাদি বানিয়েছি, কিন্তু বললে পেত্যয় যাবেন না - আমি আজ পর্যন্ত একটা বিড়ি বা সিগারেট, এমন কি টাচ করেও দেখি নি। লিটারেলি স্পর্শ করি নি।

    অ্যানেকডোট।
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১১:৪৪716841
  • ইউএসএ -- স্ট্যাট --

    ALCHOHOL, DRUG, CRIME

    Alcohol and drugs are implicated in an estimated 80% of offenses leading to incarceration in the United States such as domestic violence, driving while intoxicated, property offenses, drug offenses, and public-order offenses.
    Our nation’s prison population has exploded beyond capacity and most inmates are in prison, in large part, because of substance abuse:

    - 80% of offenders abuse drugs or alcohol.
    - Nearly 50% of jail and prison inmates are clinically addicted.
    - Approximately 60% of individuals arrested for most types of crimes test positive for illegal drugs at arrest.

    Alcohol is a factor in 40% of all violent crimes today, and according to the Department of Justice, 37% of almost 2 million convicted offenders currently in jail, report that they were drinking at the time of their arrest.

    Alcohol, more than any illegal drug, was found to be closely associated with violent crimes, including murder, rape, assault, child and spousal abuse. About 3 million violent crimes occur each year in which victims perceive the offender to have been drinking and statistics related to alcohol use by violent offenders generally show that about half of all homicides and assaults are committed when the offender, victim, or both have been drinking.

    Two-thirds of victims who were attacked by an intimate (including a current or former spouse, boyfriend or girlfriend) reported that alcohol had been involved, and only 31% of victimizations by strangers are alcohol-related.

    Juvenile Crime

    Four of every five children and teen arrestees in state juvenile justice systems are under the influence of alcohol or drugs while committing their crimes, test positive for drugs, are arrested for committing an alcohol or drug offense, admit having substance abuse and addiction problems, or share some combination of these characteristics.

    ...
    https://www.ncadd.org/about-addiction/alcohol-drugs-and-crime
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১১:৫৫716842
  • আমিও সিগারেট একেবারে খাইনা, যদিও আমার বাবা অনেক খেত, সিওপিডিও বাঁধিয়ে ফেলেছিল।

    আমার বাবা কোনকালে মদ-গাঁজা খেয়ে দেখেনি (আমার জানার মধ্যে, স্টুডেন্ট লাইফে এক্সপেরিমেন্ট করেছিল কিনা জানিনা)। আমি এককালে নানান সাবস্ট্যান্স ট্রাই করে দেখছি, কয়েক বছর হলো আর সেসব করিনা, কিন্তু মদ এখনো রেগুলার খাই, বন্ধুদের সাথেও খাই।

    আরো অ্যানেকডোট।
  • pi | 233.231.32.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১১:৫৭716844
  • ভাটে দেওয়া দুটো লিংক থেকে রইলো।

    'সংশয়হীন, শঙ্কাহীন কৈশোর শুধু সংযমের অভ্যাসেই পাওয়া সম্ভব।' - এই লাইনটার মানেই ঠিক বুঝলাম না।
    সংশয়হীন, শঙ্কাহীন কী ? কিছু সংশয় থাকা তো ভাল। আর এরা কী শঙ্কায় ভোগে ?

    'আজকের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এই জায়গাটাতেই অসুবিধা চোখে পড়ছে। অর্থাৎ, মা-বাবার আদরের সীমা প্রকট, কিন্তু নিষেধের বেড়াজাল ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে। ফলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি— অনেক অনেক আবেশ হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের ছবি থেকে। নানা ভাবে, নানা কারণে। এই দুর্ঘটনাগুলোয় একটা দুটো বিষয় বারবারই চোখে পড়ছে। কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খলতা ও সেই আচরণের পরিধিতে মাদকের ব্যবহার। কোথা থেকে শিখছে ওরা? আর কেনই বা এমন আচরণ? মনস্তত্ত্বের বিচার বলছে অনেক কথা।...

    কৈশোরের অপরিণত মন প্রবৃত্তির তাগিদে সারাক্ষণ সুখ খুঁজছে। আজকের সমাজে ওরা সারা দিন উত্তেজনার খোরাক খুঁজতে ব্যস্ত, হয় মোবাইল নিয়ে, নয় ভিডিও গেম, না হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ। প্রায় প্রতি মুহূর্তে হোয়্যাট্সঅ্যাপে চোখ রেখে, ফেসবুক পেজ খুলে সারা পৃথিবীর খবর রাখছে ওরা। এটাই নাকি জীবন চলার ধরন। সবাই তা-ই করে, সকলের সঙ্গে সকলে সারা দিন যুক্ত হচ্ছে, যুক্ত থাকছে। কে কী করল, কোথায় গেল, কোথায় যাবে— তার হদিস ছড়াতেই হবে। এ ছাড়া আছে উত্তেজনা-প্রণোদিত আলোচনা, খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস, পারস্পরিক যোগাযোগে অনেকটা সময় ব্যবহার করা ইত্যাদি। প্রবৃত্তি বলছে, এগুলো কর। ওরা করছে। এক বারও ভেবে দেখছে না শান্ত হয়ে থাকার অনভ্যাস তার কত বড় ক্ষতি করছে। উদ্দাম শব্দে গান শোনা, উদ্দাম ভাবে নাচ, সবই উত্তেজিত রাখার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা। সেখানে একটু-আধটু নেশার খোরাক শরীর-মনকে কিছুটা অবশ করে, ঠান্ডা রাখে। ফলত মাদকদ্রব্যের ব্যবহার।

    আর এখানেই একটা বড় কারণ মা-বাবার দায়িত্বের গাফিলতি। আজকাল যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে মদ্যপানের ব্যবস্থা প্রায় স্টেটাস সিম্বল। বড়দের এত খোলাখুলি মদ্যপান করতে দেখেও ছোটরা একে স্বাভাবিক ব্যবহার মনে করে। মা-বাবা নিশ্চয়ই নিজেদের উৎসাহে ওদের এই উপাদান গ্রহণ করতে শেখান না। তবে এ বয়সের কিশোর-কিশোরীকে তাঁরা শাসনের আওতায় কঠিন ভাবে ধরেও রাখেন না। তাই ওরা নিজেরা ঠিক করে ডিজে পার্টিতে যায়, বন্ধুদের সঙ্গে নাইট-আউট করে। অভিজাত পরিবারে বলতে শুনেছি, ছেলেমেয়েরা অল্প বেশবাশে সারা রাত হুল্লোড় করে একই ঘরে পাশাপাশি শুয়ে পড়েছে। ফলে মনে হয় আত্মসংযম, নিজস্ব নিয়মের সীমারেখা, সঙ্কোচ, অস্বস্তির মানসিক অবস্থানগুলো নিয়ে এদের ভাবার অবকাশই নেই। সহজাত প্রবৃত্তি তো সবাইকে সারাক্ষণ হাতছানি দেবেই আপাত সুখের গণ্ডিতে পা রাখার জন্য। কিন্তু প্রকৃত সুখ বোঝার জন্য যে শাসন প্রয়োজন। বড়রা নিজেদের আচরিত ধর্মে সংযমের প্রয়োজনীয়তা দেখাতে না পারলে, ওরা যে মানছে না, মানবে না। ঘটনা-দুর্ঘটনায় বারেবারে পর্যবসিত হবে। সংশয়হীন, শঙ্কাহীন কৈশোর শুধু সংযমের অভ্যাসেই পাওয়া সম্ভব। কৈশোরের সবুজ আভা, না ছোট-না বড়র মাঝের যে হাল্কা সুখ— তা-ই জীবন। সেখানে মাদক নিয়ে ওরা ভাল-টা ভুলে থাকবে কেন? একটু ভাবব না আমরা?'
    http://www.anandabazar.com/calcutta/abesh-death-adults-should-control-themselves-1.442500
    ------

    '
    সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রূপশ্রী ঘোষ শুধু বলেন, ‘‘আমরা উদ্বিগ্ন। যে ছাত্রী ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে লেখাপড়ায় খারাপ নয়। তদন্তে দেখা গিয়েছে, মেয়েটি বাড়ি থেকেই মদ এনেছিল। অ্যাডভে়ঞ্চারের টানেই তিন ছাত্রী ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা অভিভাবকদের অনুরোধ করেছি সন্তানদের দিকে ঠিকমতো নজর দিতে। না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারে।’’
    সানি পার্কের ঘটনার পরে বারংবার সামনে আসছে কিশোর-কিশোরীদের মদ্যপানের প্রতি আসক্তির কথা। নাবালক হলেও কী ভাবে তাদের হাতে মদ কিংবা অন্যান্য নেশার জিনিস এসে পৌঁছচ্ছে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। দমদমের ওই স্কুলের ঘটনা স্পষ্ট করছে যে, শুধুই উচ্চবিত্তদের মধ্যেই নয়, মধ্যবিত্ত সমাজের কচিকাঁচাদের নাগালের মধ্যেও নেশার জিনিস ক্রমেই সহজলভ্য।'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন