এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাবা মা

    Du
    অন্যান্য | ২৫ জুলাই ২০১৬ | ৪৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:১৪716845
  • ছাত্রীদের প্রথমে স্কুল থেকে সাসপেন্ড করা হলেও পরে আবার ফিরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে - এটা পড়লাম। নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এবার এটাও দেখা দরকার এই ছাত্রীরা যেন এই ঘটনাটার কারণে স্কুলে একঘরে না হয়ে যায়।

    নেশার জিনিস চিরকালই সহজলভ্য। যে খায়, সে খোঁজ রাখে। আমাদের সময়েও ছিল। "লেখাপড়ায় ভালো", "ছাত্রী", "মদ খেয়েছে", "স্কুলে"। এখানে চারটে প্যারামিটার নিয়ে খেলা হচ্ছে। লেখাপড়ায় ভালো ছাত্রী মদ খেয়েছে অবধি আমার কোনও প্রবলেম নেই, সম্ভবত এখানে কারুরই কোনও প্রবলেম নেই :) আমাদের সময়ে ছাত্রীরা সেই অর্থে এত এক্সপোজার পেত না তাই সেভাবে খেত না, তবে লেখাপড়ায় ভালো ছাত্ররা দেদার মদ খেত, মানে যে খাবার সে খেত, বাকিরা নাক সিঁটকাতো। ও সব যুগেই হয়, আমাদের বাবার আমলেও হত। হস্টেলে সবাই হাতে গাঁজা সিগারেট পায়, যে খাবার সে খায়, যে না খাবার সে খায় না।

    গল্পটা হচ্ছে, "স্কুলে" যে এটা খেতে নেই, সেই জিনিসটা মেয়েগুলো ভাবলো না, সেইটুকুতে কাউন্সেলিং খুব দরকার। এটা উচিত অনুচিতের থেকেও বড় হচ্ছে মূল্যবোধের ব্যাপার। আপনি পানু দেখুন, ক্ষতি নেই, অফিসের কম্পিউটারে পানু দেখবেন না। কমন সেন্স, মূল্যবোধ, কনসিকোয়েন্সের ধারণা - যা-ই বলুন, ইশকুলে মদ খাওয়াটা সেই পর্যায়ে পড়ে। ইশকুলে পানু বই আমরাও হাতে পেয়েছি কিন্তু ইশকুলে খুলে দেখার সাহস পাই নি, পেলেও সেটা ছুটির পরে, স্কুলের পেছনে খালের ধারে - যেখানে ধরা পড়বার জাস্ট কোনও চান্স নেই। ক্লাসরুমে খোলার হিম্মত ছিল না। এটা তো বাবা মা শিখিয়ে দেবে না, মরাল এডুকেশনেও এটা শেখাবে না। এটা কমন সেন্স।

    মেয়েগুলো হয় খুব ওভার কনফিডেন্ট হয়ে ছিল - কেউ জানতে পারবে না, ধরা পড়ব না - এই ধারণা করে ক্লাসরুমে মদ খেতে গেছিল। খাবার কি জায়গা কম পড়েছিল? একটা স্কুল কম্পাউন্ড অনেক বড় জায়গা হয়, কোথাও লুকিয়ে খেয়ে নেওয়াই যেত।
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:১৬716846
  • তবে হ্যাঁ কিছুদিন ধরে আস্তে আস্তে মরাল ডাইলেমায় ভুগতে শুরু করেছি, এবং আমার ঘরেও এই নিয়ে আস্তে আস্তে আলোচনা শুরু হয়েছে। মেয়ে অনেকটা বড়ো হয়েছে, কিন্তু আমি চাইনা মেয়ের সামনে মদ খাওয়া ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হোক। আগে ফ্রিজে মদের বোতল রাখতাম, এখন আর রাখিনা। বাড়িতে পার্টি হলে বন্ধুবান্ধবরা ছাদে গিয়ে মদ খাই, ঘরে একেবারেই না। কিন্তু কথা হচ্ছে, এগুলো কতোদিন লুকবো? এটা যেহেতু বাবামাদের নিয়ে টই, তাই জানতে ইচ্ছে করে আমাদের মাবাবারা এরকম ডাইলেমা কিভাবে হ্যান্ডল করতো (স্পেসিফিকালি মদ নিয়েই হতে হবে তা নয়, এই ধরনের যেকোন কাজ যা এক সময়ে নিজেরা করেছে কিন্তু পরে ছেলেমেয়ের সামনে সেসব করতে চায়নি, ভুল এক্সাম্পল সেট করার ভয়ে)।

    ডিঃ এই নিয়ে ভাটেও আলোচনা হচ্ছে, কাজেই ভাটের আলোচনা টইতে আনার জন্য কেউ কিছু মনে করলে আমার কিছু করার নেই।
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:১৯716847
  • সিকি - আমি স্কুলে ক্লাসরুমে লাস্ট বেঞ্চে বসে দেদার পানু বই পড়েছি :p গোলপার্কে অনেক পুরনো বইয়ের দোকান ছিল, সেখানে লুডলাম আর ফরসাইথের সাথে পানু বইও অনেক পাওয়া যেত।
  • pi | 233.231.32.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:২০716848
  • গ্রুপে একজন দিয়েছেন। খবরের সত্যিমিথ্যে জানিনা ঃ)

    'শিলিগুড়ির কোন এক পার্কে একজন নাবালিকা কে পুলিশ উদ্ধার করেছে, থানায় সূত্রে খবর স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি মদ্যপ হয়ে পার্কের বেঞ্চি তে পড়েছিল। সংগের মদের বোতলটি ও উদ্ধার হয়েছে। আপনি এটুকু পড়ে ভাববেন আজকালকার ছেলেপিলে পুরো বখে গেছে, জেনারেশন টাই শেষ, ইত্যাদি। কিন্তু পিকচার আভি বাকি হ্যয় মেরে দোস্ত।
    থানা থেকে মেয়েটির বাড়ীতে খবর দেওয়া হলে তার বাবা এসে মেয়েটিকে যথারীতি বকাঝকা করে। মেয়েটির বাবার বক্তব্য হল "এত টাকা হাতখরচা দিই, পার্কে বসে খাওয়ার কি দরকার ছিল? বারে গিয়ে খেতে পারিস না? মানসন্মান শেষ করে দিলি আমার..."'
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:২২716849
  • এঃ এটা পুরনো জোক :d
  • lcm | 83.162.22.190 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:২৩716850
  • অনেক বাড়িতেই বাচ্চাদের চা-কফি খেতে দেয় না, বাচ্চারাও চা-কফি লুকিয়ে খাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে না।
    কিন্তু, অ্যালকোহল - ভারতীয় উচ্চবিত্ত/উচ্চমধ্যবিত্ত মহলে স্ট্রং লিকার (৪০%+ অ্যালকোহল কন্টেন্ট) খাওয়া নিয়ে ট্যাবু আছে - যেন কি না কি খাওয়া হচ্ছে - বাড়িতে দামী মদ এলে এক্কেবারে হৈ চৈ কান্ড, বন্ধুবান্ধবদের ডেকে মোচ্ছব, হ্যাংলাপনা --- এসব দেখে শুনে বাচ্চাদের মনে হয় বড়রা সবাই যখন এত হৈ চৈ করে নিশ্চয়ই খুব দারুণ কিছু একটা ব্যাপার, একবার একটু টেস্ট করতেই হচ্ছে।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩১716851
  • ছোটবেলায় ঐ সিগারেট খাওয়া লোকজনেদের মধ্যে দুটো জিনিস অবজার্ভ করতাম - বাবা সমেত। এক হচ্ছে, তাদের সিগারেট খাওয়া, কিভাবে দেশলাই জ্বালিয়ে দু হাতে আড়াল করে সিগারেটে আগুন লাগাচ্ছে, অল্প হলেও কেতা লাগত জিনিসগুলো, পরে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে দু হাতে আড়াল করে পুরো কাঠি পুড়িয়েছি ঐ রকম ভঙ্গীতে, (কিন্তু সিগারেট খাই নি যদিও) - আর অন্য জিনিসটা দেখতাম, ঘরে বা ভিসিনিটিতে বয়েসে বড় বা শ্রদ্ধেয় টাইপের কেউ এসে পড়লে প্রাণপণে সিগারেট লুকনো, হাত নাড়িয়ে ধোঁয়া বিদেয় করা, মানে আমি যে সিগারেট খাচ্ছিলাম সেই ব্যাপারটাকেই তাড়াতাড়ি ভ্যানিশ করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। আর বড়জনও সামনে এসে দাঁড়াতেন, যেন কিছুই টের পান নি এ রকম ভঙ্গীতে কথা শেষ করে চলেও যেতেন।

    আমাকে এই দ্বিতীয় বিহেভিয়রটা টানত। এমন জিনিস, যা নাকি বড়দের সামনে খাওয়া যায় না, লুকিয়ে ফেলতে হয়, যেন খুব অপরাধের বিষয় আর কি - তো সে জিনিস খাওয়া কেন বাপু? এটাই আমার মনে হত। কই, চা খাবার সময়ে বড় কেউ এলে তো আমরা চায়ের কাপ লুকোই না? বরং চা অফার করি।

    পরে মদের বোতলের ক্ষেত্রেও ঐ একই গল্প দেখেছি। লুকিয়ে খাওয়া, বাইরে কেউ বড়জন আসছে টের পেলেই প্রাণপণে বোতল গেলাস লুকিয়ে ফেলা - কিন্তু সমবয়েসী বা ছোটজনের কাছে সব ওকে। কিচ্ছু লুকনোর দরকার নেই। বাবা আমায় দেখে সিগারেট লুকোত না, সিনিয়ররা জুনিয়রদের দেখলে মদের গ্লাস লুকোয় না।

    আরও পরে জানলাম, এমন বন্ধুও আছে, যাদের সঙ্গে বাবারা একসঙ্গে বসে জিন কনিয়াক ভডকা খায়, ছোট থেকেই খেয়েছে। "আমাদের তো বাড়ির ফ্রিজেই থাকে" - কেমন রূপকথা শুনছি মনে হয়েছিল।
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৪০716852
  • সিকির এই সবকটা অবসার্ভেশান আমিও করেছি। ইনক্লুডিং এমন বন্ধু যারা বলতো "আমাদের তো বাড়ির ফ্রিজেই থাকে", শুধু তাই না, সেরকম দুয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে মদ অফারও করা হয়েছে। আর সেজন্যেও এখন মাঝে মাঝে মজা লাগে - এক সময়ে আমি ছোট ছিলাম, আমার বাবা যেমন বিহেভ করতো, এখন বোধায় আমার মেয়েও তার বাবাকে সেরকমই বিহেভ করতে দেখে।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৪১716853
  • নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের কৌতুহল বরাবরের। মদ সিগারেট বাচ্চাদের কাছে সবচেয়ে সহজলভ্য। বাড়িতে বড়োরা হয়ত খায় তাই বাড়ি থেকেই পায়।
    সিগারেটের নেশা নিয়ে অনেক রকম ব্যাপার আছে। কারো বাবা চেইন স্মোকার কিন্তু সে নিজে জীবনে সিগারেট ছুঁলো না এমন কেস প্রচুর, আবার বাবার হাফ খাওয়া সিগারেট জ্বালিয়ে খেয়ে খেয়ে সিগারেট খেতে শেখা মানুষও আছে, তেমনি টোটাল ননস্মোকার পেরেন্টের স্মোকার সন্তানও হয়। আমি নিজেই এরকম একজন।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৪৯716855
  • আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, একটা অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাচ্ছি। আমরা দুই বোন একই পরিবেশে মানুষ হয়েছি অন্ততঃ আঠারো বছর বয়স অবধি। একই বাপমা, একই বাড়ি, একই স্কুল দশ ক্লাস অবধি, একই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, একরকম খাবারদাবার, দুজনেই মেয়ে তাই জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশনও ছিলনা, তবে এরকম কেন হলো? সে মদ সিগারেট খায় না, আমি খাই। কেন হলো? আমি যেসব বন্ধুদের সঙ্গে মিশেছি তাদের থেকে শিখেছি, ও যেসব বন্ধুদের সঙ্গে মিশেছে তারা এসব খেত না।
  • dc | 116.213.130.131 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৫২716856
  • আপনাদের কমন ফ্রেন্ড সার্কল ছিলনা?
  • cm | 127.247.98.200 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৫৯716857
  • কোরিলেশন আর কসালিটি গুলিয়ে ফেলা মনে হয় ঠিক হবেনা।
  • pi | 233.231.32.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০১716858
  • মদ নিয়ে একটা ট্যাবু আছে। ওটা খুব খারাপ জিনিস। যারা খায় তাদের চরিত্র খারাপ ইঃ। মানে আগে তো আরোই বেশি ছিল। আর সেজন্যই ঐ নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি অত আগ্রহ। আমরা যখন বড় হচ্ছিলাম, আমাদের বন্ধু যেসব ছেলেরা ছিল ( এও বোধ্হয় আমাদের ঐ হাউসিং এ প্রথম , যে ছেলেদের মেয়েদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল, একসাথে এক গ্রুপে থাকতো, নইলে তো ছেলেরা, মেয়েরা পুরো দুটো আলাদা জগত, ক্রস কানেকশন কিছু সফল ও ততোধিক হাফসোল কেস দিয়ে), তারা আর সবেতে আমাদের সাথে একসাথে ঘুরলে ফিরলে গ্যাঁজালে টিউশন কি ক্যুইজ করলেও ঐ একটি ব্যাপারে আলাদা হয়ে গেছিল। কোন কোন ছুটির দিনে, কালেভদ্রেই কারুর বাড়িটাড়ি ফাঁকা পেলে কীসব যেন করতো। চেপে ধরতে বেরোলো মদের ঠেক বসত। এসব শোনার পর তো আর ছাড়ান ছোড়ান হয়না, বলা হল আমাদেরও ভাগ দিতে হবে। কত হবে তখন ? ক্লাস নাইন টেন কি ইলেভেন ?
    প্রথমে গররাজি, পরে নিমরাজি, তারপর আর কি, এক বান্ধবীর ফাঁকা বাড়িতে সেই আসর বসল। সে আমাদের এমনিতেই বসতো। আড্ডা, খেলাধুলা, পড়াশুনা কি ক্যুইজের জন্য। কিন্তু এটা তো ইস্পেশাল ছিল। তার উপর ঐ নিষিদ্ধ ব্যাপার। তার আগে কী উত্তেজনা আমাদের, কী না কি। পার্টি তো হয়েছিল, মজাও হয়েছিল। কিন্তু ঐ , খেয়েটেয়ে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনি, এটা কী জিনিস, যার জন্য এত মুখিয়ে থাকা। মানে খেতে তো ভাল নয় মোটেই। তারপর এটা বারণ করারি বা কী আছে আর এটা খাওয়া নিয়ে লোকের এত উত্তেজনা, এর তরে এত হা হুতাশ, চাতকগিরি করারই বা কী আছে সেটাও বুঝিনি। বন্ধুদের জিগিয়ে টিগিয়ে যা বুঝেছিলাম, ঐ এক তো এটা নিষিধ্হ বস্তু, তাই এত আকর্ষণ। তার উপর ছেলেদের মধ্যে একটা নোশান ছিল, এটা খাওয়া মানে বড় হওয়া, একটা পুরুষালি ব্যাপার স্যাপার, এমনি কিছু।

    আর পার্টিতে কেউ মাতাল হয়ে গেলে আর খুব বেসামাল হয়ে না পড়লে তাদের নিয়ে মজা, তাদের ছড়ানো নিয়ে পরে জাবর কাটা, এই সব মজা আর কি।

    তবে ওটার করে মদ নিয়ে তার আগে যে ট্যাবুটা ছিল ( কেউ খায় শুনলেই, ওরে ওরে, উনি, জানিসতো/জানোতো , মদ খান ! ইশশ ! ), সেটা অনেকটাই কেটেছিল। আবার তেমন খাওয়ার ইচ্ছেও আর হয়নি। খাইওনি ইন ফ্যাক্ট। বাইরে ওয়ার্কশপে গিয়ে প্রফেসর আর স্টুডেন্টদের পাল্লায় পড়ার আগে)

    সিগারেট না খাওয়াটা ঠিক সে অর্থে বা ঐ লেভেলে ট্যাবু নয়। বড়দের সামনে না খাওয়াটা অনেকটাই বড়দের মুখের উপর ধোঁয়া ছাড়া মানে অসম্মান,অভ্দ্রতা এমনি কিছু। তাই আড়াল। তবে সেটা বাদেও আড়াল থাকতো নিষেধ ছিল বলে।
  • sinfaut | 11.39.14.149 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০২716859
  • ডিসি,
    লুকিয়ে ছাতে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং অ্যালকোহল ক্যাজুয়ালি খাওয়ার জিনিস কিন্তু মাইনরদের কাছে অফ লিমিট, তার কারণ সহ বলে দিলে কাজের হতে পারে। আমরা যদিও খুবই কম মদ্যপান করি, এবং প্রায় কখনোই বড় গ্রুপের সাথে আনুষঙ্গিক হুল্লোড় বা 'মস্তি' জুড়ে করিনা, তাই মাল খাওয়ার সময় মেয়ে জিগালে কোন অতিরিক্ত সতর্কতা না নিয়ে বিয়র খাচ্ছিবা রাম ভোদকা খাচ্ছি এসব বলতে পারি। মেয়েও রেসতোরান্ট এ গিয়ে বলে বাবা তুমি তো বিয়র খেতে ভালোবাসো, খাবে না? কিন্তু প্রায় দৈনিক মদ্যপায়ীদের বা পার্টিপায়ীদের ক্ষেত্রে মাল এর সাথে এক্সট্রা 'টাল' টা ম্যানেজ করা মুস্কিল।
  • sinfaut | 11.39.14.149 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৫716860
  • আর ঐ নিষিদ্ধ হুঁ হুঁ বাবা বস্তু চেপেচুপে রাখি এসব করতে গেলেই আগ্রহ দশগুণ হয়ে যাবে।

    কিন্তু, একক ফ্যামিলিতে ক্রাইমের হিস্ট্রি আছে কিনা এই ডেটা দেখতে চায় কেনো?
  • cb | 208.147.160.75 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:০৯716861
  • আরে সিগারেট লুকোনো একটা খুব সহজ উপায়ে ইগো ম্যাসাজিং করা, দু পক্ষেরই। এমনতে পাছু ফিরলেই শালা শুয়ারের বাচ্ছা বলবে কিন্তু ঐ সিগুটি লুকিয়ে জুনিয়র ভাবল এই তো কেমন সম্মান দিলুম। হাম হ্যায় পোকিতো শিক্ষিত। আর সিনিয়রটি ভাবলেন, হুম তালে নিশ্চই ঝাঁট জ্বালাই নি বিশেষ যখন হামকো স্পেশাল রেসপেক্ট দে রহা হ্যায়। আরে জুনিয়ররা তো এইটুকু বিড়ি সিগারেট খাবেই। আমি কেমন উদারমনস্ক লোক দেখলে? জ্যোতি বাবুর ন্যায় "এমনটি তো ঘটতেই পরে" বলে কাটিয়ে দিলাম
  • Ekak | 53.224.129.53 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:১০716863
  • সেট দুটো আলাদা করার জন্যে । যে , ফ্যামিলি হিস্ট্রি একেবারে সাদা ধপধপে অথচ সন্তান স্মার্টফোনের লোভে ছিনতাইবাজ এরকম কেস গুলো আলাদা করার জন্যে । ঘুষখোর পলিটিশিয়ানদের ছেলে ডাকাত হয়ে মার্সিডিজ ছিনতাই করলে .......মার্সিডিজের লোভে ছেলেরা ছিনতাইবাজ হচ্ছে এরকম ভুলভাল মিক্সড সেটে যাতে পরে না যেতে হয় , সেই কারণে ।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:১০716862
  • আমরা দুজন বিপরীত মেরুর লোক। সবকটা বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে বলা যায়। শান্ত দুরন্ত, লক্ষ্মী জাঁহাবাজ, ফর্সা কালো, স্বল্পাহারী পেটুক, ঘরকুনো উড়নচণ্ডী, বিনয়ী উদ্ধত, মিষ্টভাষী খিস্তিবাজ, ননস্মোকার স্মোকার, লাজুক বেহায়া, পড়ুয়া ফাঁকিবাজ, ভদ্রসভ্য অভদ্রঅসভ্য, চিংড়িতে অ্যালার্জি নো অ্যালার্জি, কমবন্ধুবান্ধব হ্যাহ্যাহিহিপার্টি, ছেলেবাজ সতী, সংকোচময় ডেয়ারডেভিল, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, লম্বাটে মাঝারিহাইট, চশমা চশমাহীন, খেটেপড়েপরীক্ষাদেওয়া টুকলিবাজ, ইত্যাদি ইত্যাদি। কমন বন্ধু হওয়া অসম্ভব ছিলো। মাঝে কয়েকটা বছরের গ্যাপের পর, বিদেশে একই শহরে দুজনে থেকেছি, ক্ষেত্রবিশেষে একই ঘরেও, তখন আমার বন্ধুরাও একবাক্যে বলেছে যে আমাদের চরিত্র বিপরীত মানে টোটাল বিপরীত, এবং একই বাপমায়ের থেকে এরকম বিপরীতার্থক ব্যাপার তৈরী হলো কীকরে সে এক অপার বিষ্ময়।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:১২716866
  • আগের পোস্ট ডিসির কোশ্চেনের উত্তরে।
  • Ekak | 53.224.129.53 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:১২716864
  • আগের পোস্ট সিঁফোর প্রশ্নের উত্তরে ।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৪716867
  • হুঁ। রাজকাপুর এই নিয়ে একটা সিনিমা করেছিল। আওয়ারা। মূল প্রতিপাদ্য ছিল, অপরাধীর ছেলে তো অপরাধী হবেই। ভদ্রঘরের ছেলে কখনও অপরাধী হয় না। এই বলে জজসাহেব একজনকে জেল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেন। তখন সেই প্রতিপাদ্য মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য একজন অপরাধী জজসাহেবের ছেলেকে কিডন্যাপ করে নিজের সন্তানের মতন করে প্রতিপালন করেন। চুরি ছিনতাই পকেটকাটা এইসবে শিক্ষা দিতে থাকেন।

    পরে সেই ছেলে বড় হয়ে রাজকাপুর হয়। তারপর তো নার্গিস আসে, সিনেমা তৈরি হয় এবং প্রতিপাদ্যকে সফল করে রাজকাপুর আলটিমেটলি ভদ্রলোক হয়ে যায়।
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৭716868
  • সিঁফো ঠিকই বলেছেন। এমনিতে মদ খাওয়া নিয়ে আমার ম বা স্ত্রী কারুরই কোন ইন্টারেস্ট নেই, মা বহুকাল আগে থেকেই জানতো, আর বিয়ের পরেও কয়েক বছর আলাদা থেকেছি, তাই কোন অসুবিধেও হয়নি। আর আমি এমনিতেই হুল্লোড় বা দারুপার্টির ধারে কাছেও থাকিনা। ছাদে গিয়েও যেটা খাই সে দুতিনজন বন্ধুর সাথে, একটু বার্বিকিউ করলাম, একটু আড্ডা মারলাম, একটু মদ খেলাম, এই। আসলে অসুবিধেটা পুরোটাই আমার দিক থেকেই হচ্ছে, কিন্তু কিভাবে কাটাব সেটাও বুঝতে পারছিনা।

    পাইয়ের সাথে অনেক কিছু কমন পড়লো। তবে আমরা ছেলেরা আসর বসালে সাধারনত মদের সাথে একটা ভাড়া করা ভিসিপি আর কয়েকটা ফিলিমও থাকতো :d

    সে, আচ্ছা।
  • dc | 132.174.98.244 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৮716869
  • মনে পড়লো, সেরকম এক আসরে ক্যালিগুলা দেখে গা গুলিয়ে উঠে বমিও করে ফেলেছিলাম ঃ(
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৪716870
  • এককের ঐ ফ্যামিলি হিস্ট্রিমূলক টপিকটা আমার নিজের ওপরে খাটালে একটাদুটো ক্যারেকটার আমার মেজজ্যাঠার সঙ্গে মেলে, আর বাকিগুলো একটাও মেলে না, যেমন চেহারা থেকে শুরু করে কোনো কিছুর সঙ্গেই গোটা ফ্যামিলির (মায়ের দিক কি বাপের দিক) কারোর সঙ্গে মিল নাই। কাজেই ফ্যামিলি হিস্ট্রিটা আমার ক্ষেত্রে খাটেনি। মায়ের বাড়ি বা বাবার বাড়ি কোনোদিকেই কেউ মদ খেত না। দুএকজন সিগারেট খেত।
  • sinfaut | 11.39.14.149 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৫716871
  • সাদা ধপধপে ফ্যামিলির প্রচুর কিশোর বা যুবক ওয়ান অফ ক্রাইম করে ফ্যালে, মানে রীতিমতন হোমিসাইড। সেট তৈরী করে কী হবে?
  • sinfaut | 11.39.14.149 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৯716872
  • আর ক্রাইম হিস্ট্রি প্রচুর ফ্যামিলির ধপধপে, ইদিকে রাস্তায় কুকুর দেখলে পিটিয়ে আনন্দ পায়, কিংবা বউ বা নিজের সন্তান। চোর ধরা পড়লে সানন্দে যোগদান করে। এদিকে ধপধপে। হিস্ট্রি দেখবে না ট্রেইট দেখবে? ট্রেইট এর হিস্ট্রি পাবে কোথায়? অ্যানেকডোটে?
  • Cm | 127.247.98.200 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৪৪716873
  • সে-র লিস্ট পড়ে মনে হচ্ছে একজন ম্যাটার আর অন্যজন অ্যান্টিম্যাটার দিয়ে তৈরি। ( নাকি পার্টিকল বললে ভাল হত)
  • Ekak | 53.224.129.53 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৪৪716874
  • আমার বাবা টিটোটালার । এদিক ওদিক দু একজন সিগারেট ছাড়া কিছু খায়না ।ফ্যামিলি হিস্ট্রির কথা কোনোকিছু ধরে মেলানোর জন্যে বলা হয়নি । ডিপেন্ডেন্স গুলো আলাদা করে দেখার জন্যে বলা । ওভাবে কোনো হিস্ট্রি / সমাজ / বাড়িরই শিক্ষা কোনোকিছুই খাটে বা খাটে না । সবকটা আলাদা আলাদা করে বিচার করলে মোট ফলাফলের উপর কার প্রভাব কতটুকু , কোনটা কোন ধরণের শিশুর ক্ষেত্রে ডোমিন্যান্ট তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় । গুলিয়ে থাকলে যেটা পাওয়া যায়না ।
  • সিকি | 165.136.80.37 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৬716875
  • ট্রেইট ইজ দা ওয়ার্ড। ট্রেইট বোধ হয় প্যাটার্ন ম্যাচ করে চলে না।
  • সে | 198.155.168.109 | ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৬716877
  • চান্দুমিঞা ঠিকই বলেছেন হয়ত। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের কাছে এ এক আশ্চর্য ব্যাপার বলে গন্য হয়। আমাদেরকে পাশাপাশা দেখলে কেউ মানতে চায় না যে আমরা কোনোভাবে রিলেটেড।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন