এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাবা মা

    Du
    অন্যান্য | ২৫ জুলাই ২০১৬ | ৪৪৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Phutki | 212.142.90.67 | ২৯ জুলাই ২০১৬ ০৯:১৬716878
  • আমার বাবা মা । কেমন সে আজও বুঝে উঠ্তে পারি না। ছোটো ছিলাম যখন তখন জানতাম পৃথিবীর সবথেকে ভয়ানক অপরাধ হল রঙ্গোলি কিম্বা সুপারহিট মুকাবিলা দেখা।
    সেই বাবা মা ই কেমন এখন বদলে টদলে গিয়ে আমার সাথে বসে সিঙ্গল মল্ট খেয়ে ফেলল। বাবা আবার বেশি কথা না বলে আমার বটল ওপেনার কালেকশন বানাচ্ছে। মা তো তাতে কিছু বলে না। অথচ বাবা বন্ধুবান্ধবদের সাথে একদিনও বোতল খুললে মা কে কি অশান্তি করতে দেখেছি!
    থই পাই না। ঠিক যে কেমন আমার বাবা মা।
  • aka | 34.96.82.109 | ২৯ জুলাই ২০১৬ ০৯:২৭716879
  • সাবসন্টেস অ্যাবিউজের জেনেটিক ফ্যাক্টর আছে, কাইণ্ডা প্রমাণিত।
  • SS | 160.148.14.3 | ২৯ জুলাই ২০১৬ ১৮:১৩716880
  • সাবস্টেন্স অ্যাবিউজের উপর জেনেটিক প্রভাব এখনও বিতর্কিত। জেনেটিক ফ্যাক্টরের থেকেও এনভায়র্নমেন্ট বেশি প্রভাব তৈরি করে বলে মনে করা হয়। সাধারণত, যে সব জিন অ্যালকোহল মেটাবলাইজিং প্রোটিন তৈরি করে, সেই জিন খানিকটা প্রভাব ফেলতেও পারে, কিন্তু কালচার আরো বড় মিটিগেটর। যেমন এশিয়ানদের (চাইনিজ, জাপানী বা কোরিয়ান) অ্যালকোহল মেটাবলিজম অনেক স্লো, কিন্তু জাপানীদের ড্রিংকিং কালচারের জন্যে এদের মধ্যে অ্যালকোহল অ্যাবিউজ বেশ হাই।
    ন্যাশনাল ইন্সটিউট অন ড্রাগ অ্যাবিউজের পেজে অ্যাডিকশান সায়েন্স নিয়ে খুব ভাল লেখা, ভিডিও, টেড টক ইত্যাদি আছে। গত বছর নেচারের একটা স্পেশাল এডিশান বেরিয়েছিল অ্যাডিকশান নিয়ে। লিংক দিলাম, কেউ ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন।

    https://www.drugabuse.gov/related-topics/addiction-science
    http://www.nature.com/nature/outlook/addiction/

    আর এই পেপারটা -
    Genetics: No more addictive personality

    http://www.nature.com/nature/journal/v522/n7557_supp/full/522S48a.html
  • pi | 24.139.209.3 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১০:৪৯716881
  • সবই দেখি এক্সট্রীমে যায়! এই লেখাটা অনেকজায়গায় দেখলাম। কাল টিভিতেও দেখালো মনে হয়, মেয়র আর আব্দুল মান্নানের কথাও মোটামুটি একই সুরে !
    -------

    "আবেশ কবে মারা গেছে ?

    শনিবারের ক্লাব পার্টি করে ফেরার পথে?
    ---- ভুল । আবেশ মারা গেছে সেদিন যেদিন ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়া ১২ বা ১৩ বছরের বালক হওয়া সত্ত্বেও বাবা-মা তার হাতে একগুচ্ছ টাকা তুলে দিয়েছে বন্ধুদের সাথে পার্টি করার জন্য ।

    আবেশ মারা গেছে সেদিনই যেদিন ক্লাস এইটে উঠতে না উঠতে হাতে পেয়ে গেছে দামী মোবাইল ।

    আবেশ মারা গেছে সেদিন ই যেদিন টিউশনের নাম করে ক্লাব রেস্তোরাঁতে ঘুরে রাত করে বাড়ি ফিরলেও মা এর একগোছা প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়নি ।

    আবেশ মারা গেছে সেদিন ই যেদিন রাত জেগে বান্ধবীদের সাথে চ্যাট করার পরও মা তাকে জিজ্ঞাসা করেনি --- এত রাত জেগে কি করছিস ? শুয়ে পড়, সকালে স্কুল আছে ।

    আবেশ মারা গেছে সেদিন ই যেদিন স্কুলের ক্লাস টিচার শুধু ইংরাজি র নম্বর দেখে মুগ্ধ হয়ে বলতে ভুলে গেছেন -- বাবা মানুষ হ ।

    আবেশ মারা গেছে সেদিনই , যেদিন পাখি সব কলরব করে ওকে ঘুম ভাঙাতে ভুলে গেছে ।

    আবেশরা বেঁচে ছিল কবে ? ওরা তো কবেই মরে গেছে ।

    পাখির কুজন ওদের কানে ঢোকে না , ঠাকুরমার ঝুলির গল্প ওদের হেডফোন ভেদ করে ঢুকতে পারে না ।

    ওরা সূর্য কে উঠতে দেখেনি , পূর্ণিমার চাঁদ ওদের মনকে ভিজিয়ে দেয় না । জন্মদিনে ওরা নেমন্তন্ন পায় না, পার্টি করে । সে পার্টিতে মদ ঢেলে দেয় প্রগতিশীল পরিবারের স্বল্পবাস বান্ধবীরা । সে পার্টিতে মন দেওয়া নেওয়া চলে না , শরীর দেওয়া নেওয়া চলে । তাই নিয়ে মারামারিও হয় । ওসব না হলে সোসাইটিতে বাবা মায়ের মান পড়ে যায় ।

    তাই যে ঠাকুরমার কোলে পিঠে বড় হয়ে ওঠা -- তিনি চিরতরে বিদায় নেওয়ার দুদিনের মধ্যেই আধুনিক বান্ধবীর ফ্ল্যাটে জন্মদিনের সেলিব্রেশন করতে বিবেক দংশন হয় না ।

    আবেশদের সোসাইটিতে বাচ্চা ছেলে মেয়েদের একসাথে প্রকাশ্যে মদ খেতে দেখলেও পাড়ার জ্যেঠু কাকুরা বলেন না ---- এই তোরা কি করছিস? দাঁড়া এক্ষুনি বাড়িতে খবর দিচ্ছি ।

    আবেশরা মারা যাচ্ছে , দিন দিন প্রতিদিন । আধুনিক সমাজ , পারিবারিক শিক্ষার অভাব , মা বাবার আপাত ব্যস্ততা ,স্কুলে নীতিশিক্ষার অভাব , সামাজিক নজরদারির অভাব ,তুচ্ছ বিষয়ে রাজনীতির অনুপ্রবেশ মেরে ফেলছে শত শত আবেশ কে ।

    শরীরে বর্তমান থাকলেও জগতের কোন তাপ উত্তাপ ওদের স্পর্শ করে না । অশীতিপর ঠাকুমা কে ডাক্তার দেখাতে ওদের পাওয়া যাবে না , নিঃসন্তান পাড়াতুত জ্যেঠিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ওদের পাওয়া যাবে না , বাড়ির বাজার দোকান করে দেওয়াতে ওদের পাওয়া যাবে না । ওরা তো মৃতই ।

    তাই তো বিচার চাওয়া মা'দের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়া ছেলের হাতে আপনি ১৮০০ টাকা তুলে দিলেন ?

    একবার ও যদি জিজ্ঞাসা করতেন , কিসে লাগবে অতগুলো টাকা !

    --- ছেলেটা প্রানে বেঁচেও যেতে পারত!"
    '
  • sm | 53.251.91.253 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১২:০৭716882
  • একটা আবাসনের পার্কিং লটে; প্রকাশ্যে মদ খাওয়া চলছিল কিভাবে? তাও কয়েকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের মধ্যে। আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীরা কি করছিলো? সেক্রেটারি বা অন্যান্য কমিটির লোকজন কে খবর দেয় নি কেন? সোসাইটির নিশ্চয় গাইড লাইন আছে, প্রকাশ্যে মদ খাওয়া নিয়ে।
    যা বোঝা যাচ্ছে, এটা হয়তো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার; তাই নিরাপত্তা রক্ষীরা অতটা গা করেনি।
  • Arpan | 24.195.226.27 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১২:১০716883
  • "পাখি সব কলরব " - ক্ষী কাব্যি! তাও যদি কুজনকে কূজন লিখত।
  • kc | 198.71.253.181 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১২:২৫716884
  • তসলিমা নাসরিন--

    "আবেশের মা আবেশকে পার্টি করার জন্য টাকা দিয়েছিল বলে আবেশকে মরতে হয়েছে? কেন যে লোকে হাবিজাবি কথা বলে। বাবা মা’রা সন্তানদের দামি দামি মোবাইল কমপিউটার কিনে দিলে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়? জন্মদিনের পার্টিতে গেলে, বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে হৈ হেল্লা করলে, মদ খেলে ছেলে খারাপ হয়ে যায়? এত খারাপ যে ১৭ বছর বয়সী ছেলের মরে যাওয়াটাকেও যৌক্তিক বলে মনে হয়? রাত জেগে বান্ধবীর সঙ্গে চ্যাট করলে ছেলে খারাপ? কোচিংএ যাওয়ার নাম করে কখনও ক্লাবে রেস্তোরাঁয় ঘুরলে ছেলে খারাপ? বন্ধেুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাত করে বাড়ি ফিরলে ছেলে খারাপ? পাখির কুজন কানে না ঢুকলে, ঠাকুরমার ঝুলির গল্প পছন্দ না করলে ছেলে খারাপ? ভোরের সূর্যোদয় না দেখলে ছেলে খারাপ? শরীর দেওয়া নেওয়া হলে ছেলে মেয়েরা খারাপ? কী আশ্চর্য। ছেলে মেয়েদের জন্য এসব অতি স্বাভাবিক, বরং এসব না করে, অভিভাবকের অতি বাধ্য হলেই, যাহা দেওয়া যায় তাহাই খাইলেই বরং হতো দুশ্চিন্তার বিষয়।

    যারা ফেসবুকে পাখির কুজন টুজন নিয়ে স্টেটাস দেয়, যারা শেয়ার করে, যারা এসব অর্বাচিন কথাবার্তা বিশ্বাস করে, তারা সমাজের বিবর্তনে বিশ্বাস করে না। তারা তাদের নিজেদের ছোটবেলাকেই আইডয়িাল ছোটবেলা বলে মনে করে, শাসনে শোষণে তারা বড় হয়েছে, তারা চায় ওভাবেই সব যুগে সব ছেলেমেয়ে বড় হোক। ওই পদ্ধতিই যেন সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। তারা ভুলে যায় যে এক একটা যুগ থেকে আরেকটা যুগ আলাদা। এক প্রজন্মের মানসিকতা থেকে আরেক প্রজন্মের মানসিকতা ভিন্ন । এখনকার ছেলেমেয়ের জীবনযাপন, চিন্তাভাবনা, রুচিবোধ, নীতিবোধ আমাদের মতো নয়। নয় বলেই বুঝতে হবে সমাজ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। আমরা কৈশোরে যা করিনি, বা করতে ভয় পেয়েছি, এখনকার কিশোর কিশোরীরা তা অবলীলায় করছে বা করতে চাইছে। এদের জগতটা তথ্য প্রযুক্তির জগত। আমাদের জগতে পাখির কুজনে ঘুম ভাঙা ছিল, বিকেলের কাশবন ছিল, ডিঙি নৌকো ছিল। এদের জগতে ্ওসব নেই বলে এরা আমাদের চেয়ে কিছু কম জ্ঞানী, কিছু কম সংবেদনশীল -- তা ভাবাটা বোকামো। বিয়ের আগে সেক্স করা এখনকার ছেলেমেয়ের কাছে স্বাভাবিক, যা আসলেই স্বাভাবিক। এভাবেই সমাজ বিবর্তিত হয়। বিবর্তন সবসময় আগের চেয়ে ভালো কিছু, পারফেক্ট কিছু নিয়ে আসে তা নয়। তবে যা-ই নিয়ে আসে, আমাদের তা গ্রহণ করতে হবে। গ্রহণ করাটাই স্মার্টনেস। গ্রহণ না করে বকবক করাটা আফশোস করাটা আনকুথ ব্যাপার। একসময় ছেলেমেয়েরা হয়তো আর বিয়েই করবে না। এটিকে আজ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না, কোনও একদিন এই নিয়মকে স্বাভাবিক মনে হবে। বড়রা মদ খাচ্ছে, ছোটরা শিখছে। এটিও খুব স্বাভাবিক । তবে ছোটরা বড়দের মতো প্রতি সন্ধেবেলা খেতে বসে না, পার্টিতে কদাচিৎ খায়। মাচ বেটার।

    দুর্ঘটনায় আবেশ মারা গিয়েছে, অথবা কেউ তাকে মেরে ফেলেছে। এরকম মরে যাওয়া মেরে ফেলা অহরহই ঘটছে। কী করে আবেশের মৃত্যুটা হলো তা না হয় জানতে চেষ্টা করি।
    আর, যে কথাটি বলার জন্যে এই পোস্টটি দেওয়া, সেটি হলো, পুরো প্রজন্মকে ঠাকুরমার ঝুলি না পড়ার জন্য বখে গেছে বলে দোষ দেওয়া, ছেলেমেয়েদের কড়া শাসন না করার জন্য বাবা মাকে দোষ দেওয়া, ’উচ্ছৃঙখল’ জীবন যাপনের জন্য বিত্তকে দোষ দেওয়া বা ইংরেজি মাধ্যম ইসকুৃলকে দোষ দেওয়া ---- একেবারেই ঠিক নয়। কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটলেই কিছু প্রাচীনপন্থী লোক ট্র্যাডিশানের সুনাম গাইতে থাকে। যেন এ যুগেই দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের ট্র্যাডিশান মানা যুগে কেবল শান্তির পায়রা উড়তো"
  • cm | 127.247.98.118 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১২:৫০716885
  • ওনার লেখা অনেক সময়েই পছন্দ হয়না, তবে এটা বেশ লাগল।
  • sm | 53.251.91.253 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩:১৩716886
  • বেশ ভালো করে ঘুলিয়ে দেবার প্রচেষ্টা। মদ খাওয়ার চেয়েও বড় কথা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক দের মধ্যে মদ খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া। যেখানে আইনি বাধা নিষেধ রয়েছে; অন্তত কেনার ব্যাপারে।মাঝে মধ্যে/কদাচিৎ খায় মানে কি? এটা কি এক ধরণের প্রশ্রয়?আপনি কি তাহলে বাবা - মা হয়ে সন্তান কে বাজার থেকে মাঝে মধ্যে মদ কিনে দেবেন ? এটা কোনো যুক্তি হলো?
    এক স্টেপ বাড়িয়ে বলছি; ড্রাগ হলে কি বলা হতো ? ছেলে পিলেরা মাঝে মধ্যে ড্রাগ খায়- তাবলে কি তারা কম সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে?
    আর শেষে তো উনি বলেই দিয়েছেন বড়োরা মদ খাচ্ছে, ছোটো রা শিখছে - সেটাই স্বাভাবিক।অর্থাৎ বড়দের বাচ্চারা অনুকরণ করেই থাকে।
    সুতরাং বাবা - মা হিসাবে নিজেদের রক্ষণশীল(আপনি আচরি ধর্ম) না হয়ে তো উপায় নেই।তার ওপর ,নজর দারি তো চালাতেই হবে।পিয়ার গ্রূপ কেমন, হাতে অতিরিক্ত টাকা কেন লাগছে, গভীর রাত অবধি কেন পার্টি; তার ছানবিন না করে তো উপায় নেই।
  • | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৮716888
  • তসলিমার লেখাটা বেশ ঠিকঠাক।

    আর এই শোভন!! ব্যটা নিজে লাখ লাখ ঘুষ খায়। এরই ভাইঝি মাতাল হয়ে গাড়ি চালিয়ে একসিডেন্ট করে আবার পুলিশকে গালিগালাজ করে গেছিল না? এও জ্ঞান কপচাচ্চে! লজ্জা হায়া কিসুই নাই।
  • sm | 53.251.91.253 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৪716889
  • যদি ভাইজি হয়েই থাকে তাতেই বা সত্যি কথা বলতে বাঁধা কোথায়? এতে লজ্জা পাবার ই বা কি আছে?
  • kc | 198.71.253.181 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩৮716890
  • এসেম, সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের আঠার বছর বয়স, কবিতাটা পড়েছেন তো?
  • sm | 53.251.91.253 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৩:৪৫716891
  • অরে ওটা তো স্কুলের পাঠ্য কবিতা। গড় গড় করে বলতে পারি। জ্বালা তো বুঝি।কিন্তু জ্বালা টাকে সৃজনের দিকে না ঠেলে; ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে দিলে তো, অবস্থা খারাপ।
    একটা সোজা সাপ্টা প্রশ্ন সকল কেই করতে চাই। যাদের অন্তত অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে আছে। তারা কি লেট্ নাইট বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি,মদ ধরেছে জেনেও পয়সার যোগান দেওয়া;সামর্থ থাকলেই চাহিদা মতো গ্যাজেট কিনে দেওয়া সমর্থন করেন? নাকি রাশ টানার চেষ্টা করেন?
  • Arpan | 233.227.100.11 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৪:২৫716892
  • ভাইঝি আর মেয়ের মধ্যে তফাত আছে।

    (শোভন বা তার ভাইজিকে ডিফেন্ড করবার জন্য এই পোস্ট না)
  • | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৪:৩১716893
  • অর্পন তখনই এইসব লিল্হলে শোভন হত আর কি।
  • sovan | 132.177.163.45 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৫:০৫716894
  • Apnar kotha sune gyan kopchate hobe Naki.mataler jonno Naki kanna
  • সে | 198.155.168.109 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ১৫:২৮716895
  • ঠাকুমার মৃত্যুর দুদিনের মধ্যে বার্থডে পার্টি করা এবং খুব অল্প বয়সে মাদকের অভ্যাস তৈরী করানো- এই দুটোতে আপত্তি আছে। নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে একটু সহানুভূতিশীল হওয়া যায়। এগুলোর সঙ্গে যুগের পরিবর্তন কি প্রগতিশীলতা কি পাশ্চাত্ব সভ্যতার কোনো যোগ নেই। যেসব পরিবারে ঠিকঠাক শিক্ষা আছে তারা এগুলো বাচ্চাকে শেখাবে না, বরং এরকম বায়াড়া আবদার করলে বারণ করবে কি বোঝাবে যে মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এগুলো মুলতুবি রাখা যেতে পারে। সন্তান মানুষ করা সহজ কাজ নয়।
  • Du | 183.74.26.17 | ৩১ জুলাই ২০১৬ ২৩:২৭716896
  • কলকাতার ঘটনাটায় এই টইটা একটু অন্যরকম হয়ে গেল -- কিন্তু সব সময়েই এত ভয়ংকর কিছু হয় না। কিন্তু তবুও তাদের জীবন আমাদের সেই বেড়ে ওঠার দিনের হিসেবে বিলাসী তো বটেই। কিন্তু মা বাবারা যে চাইলে (প্রতিদিন চাইলেও) একটা লালমোহন কিনে দিতেন দোকান থেকে ছোটবেলায় -- আজ বড় হয়ে সেই স্মৃতি সুবাস দেয় --বাবার ভালোবাসার। এইটা ও কি দরকার নেই? বাবা নিজে তার ছোটবেলায় হয়তো ঐ চিড়ে মুড়ির নাড়ুই খেয়েছেন বড়জোর। বেয়াড়া আবদার গুলো ধরছি না -- সে বেশির ভাগ বাচ্চাই করে না আমার বিশ্বাস কিন্তু কিছু কিছু জিনিস যেমন সেলফোন -- এইগুলো এখন এমনভাবে এই জীবনের অংশ --যে এগুলো আটাকাতে 'অন্যরকম' হয়ে যেতে হয় । সেটাই বা কতদুর যাওয়া সম্ভব -- গায়ের জোর না দেখিয়ে? পড়েছি - বিল গেটস , স্টিভ জবস এরা নিজেদের বাড়িতে গ্যাজেট বাচ্চাদের হাতের বাইরে রাখেন-- কিন্তু কতবছর পর্য্যন্ত সেটা সম্ভব?
  • π | ৩১ জুলাই ২০১৬ ২৩:৫৩716897
  • মেয়েটির মা কথা সেদিন কোন চ্যানেলে শোনাচ্ছিল। তাতে উনি বলেন, মেয়ের বন্ধুরা যখন ঐ পার্টির কথা তাঁদের( বা তাঁকে ) বলে, তখন উনি ভেবেছিলেন, বন্ধুরা আসুক না, বাড়িতেই, ভালোই হবে, মেয়েটির জন্য ডিস্ট্র্যাকশন হবে ( এই শব্দটাই ব্যবহার করেছিলেন, শুনেছি), এরকম ভেবেছিলেন। বাড়িতেই বন্ধুদের আসার কথা ছিল, কিন্তু তারপর বাড়িতে আত্মীয় স্বজন এসে যাওয়াতে বাইরে যাবার পরিকল্পনা হয়।
  • π | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০০:০২716899
  • আর ঐ কুজনের পোস্টের সারমর্ম সেদিন আবেশের মাকে শোনানো হয়েছিল, উনি বললেন ১৫০০ টাকা দিয়েছিলেন, সেটা এমন কিছু বেশি টাকা তো নয়। এমনিতে রোজ ২০০-৩০০ টাকা দিতেন, ট্যাক্সিভাড়া হিসেবে। আর ঐ ১৫০০, পার্টিতে সবাই মিলে শেয়ার করার জন্য।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫১716900
  • হুজুগটা কেটে যাক, টই আবার নিজের মূল টপিকে ফিরে আসবে।
    এনিওয়ে, এখানে শিশুটক টিনটক ইত্যাদি টইপত্র আছে, সেগুলোও ঘুরে ফিরে বাবামা টইই। বিভিন্ন বয়সের সন্তানের বাপমায়ের অভিজ্ঞতা সেগুলো, সন্তান যখন বেড়ে উঠছে সে নতুন কী কী বলছে, কী কী করল, এইসব। সব বাপমায়ের কাছেই সেগুলো এক্কেবারে নতুন ব্যাপার, প্রতিটি অভিজ্ঞতার মধ্যেই আছে আনন্দ মেশানো একটা ব্যাপার, একেই বাৎসল্য বলে কিনা জানিনা। লক্ষ্য করুন একেবারে বাচ্চা বয়সে বাচ্চার কথাবার্তাচলাফেরা নিয়ে আমরা যতটা লাফাই, টিন বয়সে সেই জিনিসটা কমতে থাকে এবং তারপরে আর এসব নিয়ে কথা হয় না। যদিওবা হয়, তা সে পুরোনো শিশুবেলা কি টিনবেলার রেফারেন্স টেনে টেনে। বড়োবেলার কথা আমরা তেমন বলতে চাই না। অন্ততঃ খোলাখুসি তো নয়। শুধু এখানে নয়, আরো অনেক জায়গায় এগুলো দেখেছি। আমার বন্ধুদের মধ্যেও যাদের সন্তানেরা টিনকাল পেরিয়ে আরেকটু বড়ো হয়ে গেছে, তারা আর নিজের ছেলেমেয়েদের গল্প তেমন তড়বড়িয়ে করে না। একটা দুটো ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু কী এমন হয়, যে টিনকাল পেরোতে না পেরোতেই বাপমায়েরা সন্তানের গল্প আর তেমন করে পাঁচজনের সঙ্গে শেয়ার করতে চান না? এইটে খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার। তখন হয়ত বাপমায়ের সঙ্গে সংযোগটা বেশ খানিকটা কমে যায়, কিন্তু সেটাই কি মূল কারণ? বা ছেলেমেয়েদের প্রসঙ্গ উঠলে ছোট্ট একটা বাক্যে কোনোমতে সেরে ফেলা, যে বাবামা আগে হয়ত সামান্য কোনো প্রসঙ্গ উঠলে বাচ্চার গল্প আর বর্ণনা থামাতেই পারতেন না। কেন এমনটা হয় সেটা আমাকে ভাবাচ্ছে।
  • Abhyu | 34.158.252.133 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৯:১৭716901
  • ব্যালান্স রাখার জন্যে। বাচ্চার গল্প যেমন শুনতে হয় তেমনি যদি ধেড়ে বজ্জাতদের গল্পও শুনতে হয় তাহলে তো মারামারি হয়ে যাবে :)
  • sm | 53.251.91.253 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৯:৫৬716902
  • পাই,এই পার্টিকুলার কেস নিয়ে কাঁটা ছেঁড়া করতে একেবারেই অনাগ্রহী।কারণ চতুর্দিকে কাটা ছেঁড়া চলছেই।
    কথা হলো; ধরা যাক আমি বা আপনি; যখন বুঝতে পেরে গেছি সন্তান কোনো নেশা করতে শুরু করেছে বা সম্ভবনা রয়েছে তখন যেকোনো অজুহাতেই এক্সট্রা টাকা হাতে তুলে দেব কিনা?
    এর জন্যেই চাই ভালো নজরদারি। ধরুন পিয়ার গ্রূপের সঙ্গে, বাবা মায়ের হালকা আলাপ। বুঝে নেওয়ার চেষ্টা- গ্রূপ টি কেমন।দরকার পড়লে, ছেলে মেয়ে অনুমতি দিলে ফেসবুকে চোখ বুলোনো; কোন ওয়েব সাইটে যাতায়াত করছে - এই সব আর কি।
    কারণ ; হটাৎ করে আমার মেয়ে যদি বলে গভীর রাত্রি অবধি বার্থ ডে পার্টি সেলিব্রেট করবো, বাড়ির বাইরে-অবশ্যই আমি কমিয়ে সেটা রাত্রি 9-10 টা,না হলে নিজে অন্তত বন্ধুর বাড়ির বাইরে রাস্তায় অপেক্ষা করবো।
    মানুষের ডিসিশন নিতে ভুল হতেই পারে; কিন্তু যদ্দুর সম্ভব সতর্ক তো থাকতে হবে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:০০716903
  • আমার ইস্কুলজীবনের সহপাঠিনীদের সঙ্গে সোশ্যালমিডিয়ার কল্যাণে দীর্ঘ কয়েকযুগ বাদে ফের যোগাযোগ রমরমিয়ে উঠেছে। ইস্কুলে যাদের সঙ্গে তেমন ঘনিষ্টভাবে বন্ধুত্ব ছিল না তারাও এখন প্রাণখুলে গল্প করে। সময়। মাঝখানে একটা বিরাট গ্যাপের পরে ছোটোখাটো দুষ্টুমি কম্পিটিশান রেষারেষি এসব আমরা ভুলে গেছি। সবাই দুনিয়ার নানান জায়গায় ছড়িয়ে গেছি। কোনোকোনো বন্ধু দুনিয়ার বাইরেও চলে গেছে অকালে। মোটামুটি সকলেরই সংসার রয়েছে আর রয়েছে তাদের সন্তানেরা। কারো সন্তান ইস্কুলে পড়ছে, কারোর সন্তান কলেজ কি ইউনিভার্সিটি যায়, কেউ কেউ শাশুড়ি বনে গেছে, কেউ অ্যাডপ্টিভ চাইল্ডকে বড়ো করছে, কয়েকজন আবার ঠাকুমা কি দিদিমা বনে গেছে। ইস্কুলের তিনটে সেকশান মিলিয়ে এবং আরো কিছু বন্ধু মিলিয়ে প্রায় শখানেক মায়ের কথাবার্তা আলোচনা দেখতে পাই। প্রায়ই যেটা নজর কাড়ে সেটা হচ্ছে সন্তানের থেকে কোনো আশা না রাখা। কেউ সেটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলে, কারোর ক্ষেত্রে এটা জাস্ট বলতে হয় বলেই বলছে, ফাঁকা আওয়াজ, তেমন গভীরে গিয়ে ভেবে বলেনি। বা বুঝতে পারেনি আদতে এর অর্থটা ঠিক কী। যা বলছে, তার জন্য কি সে প্রস্তুত সত্যি সত্যিই? এই যে কোনো আশা না রাখা, এটার গুরুত্ব ও পরিণতি সম্ভবত বোঝা সম্ভব নয়, যতক্ষণনা তা বাস্তবে ঘটছে। যতক্ষণ সন্তানকে মানুষ করছি, আমার ছেলে/ আমার মেয়ে ভেবেই করছি। মনের খুব ভেতরে কোথাও এই বড়ো করে তোলাটা যেন একটা ইনভেস্টমেন্ট, মুখে বলছি যে - হ্যাঁ হ্যাঁ জন্ম দিয়েছি যখন, মানুষ করে তোলাটা কর্তব্য, কর্তব্যটুকু পালন হয়ে গেলেই আমার কাজ শেষ, সন্তানের মুখাপেক্ষি কক্ষনো হবো না, কেন হতে যাব, আমার নিজস্ব বাড়ী/ ফ্ল্যাট রয়েছে, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কি পেনশনের যা চাকা পয়সা পাব তাতে বুড়োবুড়ির চমৎকার চলে যাবে ডাল ভাত খেয়ে, ওদের বড়ো করে দিলাম, ওরা নিজেদের সংসার কাজকারবার নিয়ে সুখে থাকুক, ব্যস আর কিছু চাই না।
    ঘুরে ফিরে এরকমই বলে সকলে। তারই মধ্যে যাদের বাচ্চাগুলো একটু ছোটোছোটো তারা এখনো বাচ্চা মানুষ করতে হাঁসফাঁস করছে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। সন্তানের ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া পুষ্টি অসুখ বিসুখের চিন্তা, পড়াশুনো ভালো ইস্কুল প্রাইভেট কোচিং মাস্টার কেরিয়ান প্ল্যান স্বদেশে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিযোগিতার চিন্তায় হিমসিম। কিছুটা প্রকাশ করছে, কিছুটা চেপে যাচ্ছে, তাতে আরো বেশি করে প্রকাশ পাচ্ছে সেই চেপে যাওয়া। এতে হয়ত একটু লজ্জা পায়, কিন্তু লজ্জা পাবারই বা কী রয়েছে এতে সেটা বুঝিনা, হয়ত ইস্কুল লাইফের সেই কম্পিটিশান এখন অন্যরূপে উপস্থিত, নিজেদের পাশফেল বেশিনম্বর কমনম্বর পাবার কম্পিটিশান এখন নিজের নিজের সন্তানদের মধ্যে লড়িয়ে দিলো। ঘুরে ফিরে আমরা সেই পুরোনো মদই নতুন গেলাসে ঢেলে ঢেলে খাচ্ছি। কিন্তু কেমন যেন মনে হয়, এসবের পেছনে আমাদের প্রত্যেকের একটা দুটো করে প্রত্যাশা আশঙ্কা উৎকণ্ঠা রয়েছে। এই ইনভেস্টমেন্ট খুব যত্নের এবং প্রচণ্ড রিস্কি। রিটার্ণ কতটুকু কী আসবে, কি একেবারেই আসবে না কেউ জানি না।
  • Abhyu | 34.158.252.133 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:১৫716904
  • ইনভেস্টমেন্ট কথাটা পছন্দ হল। কিন্তু নতুন না, স্বয়ং বিদ্যাসাগর বলেছিলেন। সেই জন্যেই বলছি ফেলে দেওয়ার মত কথা নয়।
  • d | 144.159.168.72 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৩১716905
  • ইনভেস্টমেন্টই তো।
    আর পদবী হল গিয়ে ব্র্যান্ডিঙ। কোম্পানি ব্র্যান্ডিঙের মত বাবার পদবী ছাপ মেরে দেওয়া যে এই হাউসের প্রোডাকশান।
  • Abhyu | 34.158.252.133 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪৪716906
  • আমি একটা গল্প জানি। আমেরিকান হাসপাতাল। দেশি বাবা মা। আলাদা আলাদা পদবী। বাচ্চা হতে হাসপাতাল থেকে বাচ্চার মায়ের পদবী অ্যাসাইন করে দিয়েছে। বাচ্চার বাবা প্রতিবাদ করাতে বলে আমরা তো দেখি নি বাচ্চার বাবা কে, কিন্তু বাচ্চা কোথা থেকে বেরিয়েছে সেটা দেখেছি সুতরাং ...

    তবে কিনা, শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল পদবী বদলাতে বাধ্য হয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৫০716907
  • এই যে মায়েদের কথা লিখছি, তারা কেউ অধ্যাপনা করে কলেজে ইউনিভার্সিটিতে, কেউ ইস্কুলে পড়াচ্ছে, কেউ গৃহবধূ, কেউ উকিল, কেউ সরকারী অফিসার, কেউ ডিফেন্সে, কেউ বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার, ব্যবসায়ী, প্রাইভেট টিউটর, কেউ পোলিটিশিয়ান, কেউ গায়িকা, কেউ নিয়মিত কাজের সূত্রে দেশ বিদেশে ঘুরছে, মোদ্দা কথা গুটিকতক বাদ দিলে সকলেই রোজগেরে। সবার হাতে স্মার্টফোন ট্যাব ইত্যাদি রয়েছে। নিয়ম করে এই মায়েরা প্রতি মাসে দুবার কি তিনবার দলে দলে কোথাওনা কোথাও মিট করে, শপিং মলের ফুডকোর্ট বা কোনো বন্ধুর বাড়ীতে। কখনো কোলকাতায় তো কখনো হায়দ্রাবাদ, কি দিল্লি, মুম্বই, বালাসোর, চেন্নাই , রাঁচি, বিশাখাপত্তনম, যখন যেখানে দলবেঁধে কজন পৌঁছে যেতে পারবে, সেখানেই জমবে আড্ডা। যারা বিদেশে থাকে তারা দেশে গেলেও আড্ডায় অ্যাডেন্ডেন্স মাস্ট। তো এমনি করতে করতে বন্ধুদের মাথায় প্ল্যান এলো বৃদ্ধাশ্রমের। বুড়ো বয়সে সব বন্ধুরা মিলে যদি একটা বৃদ্ধাশ্রমে থাকা যায়। ভাবনাটার পেছনে কতটা সিরিয়াসনেস কাজ করছিল জানিনা, কিন্তু যেই ভাবা সেই কাজ, পাঁচ ছলাখ হুট করে বের করে দেওয়া এদের কাছে সেরম কোন ব্যাপার নয়, ঠিক হলো যে সস্তায় একটা জমি কিনে বেশ নিরিবিলিতে একটা বাড়ি বানানো হবে। তারপরে সেটাই হবে বৃদ্ধাশ্রম। বীরভূমের কোনো এক গ্রাম পেরিয়ে ফাঁকা মাঠে সস্তায় জমি দেখে আসা হলো এবং সব হিসেব টিশেব কষা হতে লাগল। সমস্তই প্ল্যানিং স্চেজে ছিল। তারপরে যা হয় বাঙালীর, এ ওকে কী বলল, তার উত্তরে কে কী বলেছে, এইসব করতে করতে ঝগড়া বিবাদ মনকষাকষি, কে আগে সরি বলবে, এইসব করে প্ল্যান ভণ্ডুল।
    মোটকথা পরে যা জানা গেল, এই বৃদ্ধাশ্রমের প্ল্যানটা ছিল টোটালি অপরিনামদর্শী। যেখানে বাড়িটা বানানো হবে সেখানে জলকষ্ট খুব। অনেক দূর অবধি কোনো হাসপাতাল কি নার্সিংহোম নেই, ডাক্তারের অভাব যেহেতু অধিকাংশ ডাক্তারই কোলকাতায় বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে থেকে প্র্যাক্টিস করে, আধুনিক জীবনের সুযোগসুবিধা অনেকাংশেই কম, তবে বছরে কয়েকবার পিকনিক করতে যাবার হলে ঠিক আছে। বৃদ্ধবয়সে গোটা তিরিশ চল্লিশ বুড়িকে অ্যাকোমোডেট করা শক্ত। তাদের অনেকেরই ব্লাড প্রেশার, ব্লাডশুগার, ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, বাত, হার্টের সমস্যা, অ্যার্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকবে। সেসব সামলানোর জন্য অন্যরকম প্ল্যান চাই। জাস্ট একটা বাড়ি বানিয়ে ফেললেই বৃদ্ধাশ্রম হয় না। এবং এই বন্ধুরা তাদের বুড়ো বয়স নিয়ে তেমন একটা সিরিয়াসও নয়। মুখে যা ই বলুক না কেন, সন্তানদের থেকে প্রত্যাশা মনে মনে প্রত্যেকেরই আছে। এই মুহূর্তে আমরা বয়সকে চোখে ধুলো দিয়ে চেপে রাখি। বয়স নয়, বয়সের চিহ্নগুলোকে। মাথায় কলপ, চোখে কনট্যাক্ট লেন্স, মুখে এজ ডিফাইনিং প্রসাধন, সাজগোজ, নিয়মিত সেলফি নিয়ে ডিওপি বদলাচ্ছি। এগুলোকে খারাপ বলছি না, ভালোই। হয়ত এর মধ্যে আছে কিছুটা ডিনায়াল, বয়স যে বাড়ছে সেটা মেনে নিতে পারছি না। এটা মিড লাইফ ক্রাইসিস হয়ত। কিন্তু সমস্ত ছাপিয়ে একটা জিনিস আমরা অস্বীকার করতে পারিনা, সেটা সন্তানের থেকে এক্সপেক্টেশন। যে ছেলেটা মধ্য টিনেও মামা'জ বয় ছিলো, সে কেন বদলে যাচ্ছে। কলেজে ঢুকবার পরে তার পার্সোনাল স্পেস অনেক বেড়ে গেল, সেই স্পেসে মা আর নেই, থাকলেও নগন্য, বা অভিনয়। এটা স্পেসের ব্যাপার। সেটার বাইরে আছে কর্তব্যের হিসেব। সত্যিই কি সন্তানেরো কর্তব্য আছে বাপ মায়ের প্রতি? থাকলে কতটা? না থাকলে, সেটাই বা কেন? তাহলে প্রত্যাশা কেন পুষে রেখে দেয় বাপমা মনে মনে? এইসব প্রশ্ন মনে আসে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:২২716908
  • পদবী জিনিসটা ব্র্যাণ্ডিং নিশ্চয়ই। তবে আমাদের সকলের চেনা একজন গুরুভাই কিন্তু নিজের ছেলের পদবী তার নিজেরটা না দিয়ে বাচ্চার মায়েরটা রেখেছে। সেরকম পরিবর্তনও হচ্ছে। ছেলে বড়ো হয়ে নিজে ঠিক করে নেবে সে কোনটা নেবে। আদৌ পদবী রাখবে কি না।
    কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম ঘটতেই পারে না। প্রথমত বিয়ের পরে মডার্ণ মডার্ণ মেয়েরাও অনেক যুক্তি তক্কোর পরে পদবীটা বদলে নেয়। যারা বদলায় না, তারাও বাচ্চা জন্মানোর পরে বাচ্চার পদবীটা বাপের পদবীই রাখতে চায়, বাপমা দুজনেই সেরকম চায়। এটাই পরম্পরা। সব দেশেই। কিছু কিছু দেশে সে দেশের আইনই ওরকম। কোনো কোনো মা ভাবে বাপের পদবীই থাকুক, অন্ততঃ বিয়ে করবার পরে বাচ্চা হয়েছিল সেই প্রমাণটুকু ঐ পদবী, নইলে লোকে ভাববে বিয়ে না করা বাপমায়ের সন্তান। এটা সামাজিক ইনসিকিওরিটি থেকে আসে। বংশ সিস্টেমের মডেল এটা। সারা দুনিয়াতেই নানান ফর্মে চলে আসছে। পিতৃপরিচয়। খুব দরকারি ব্যাপার। মাতৃপরিচয় কাইণ্ডা সেকেণ্ডারী ব্যাপার। যে কারণে ভারতে আজও ফাদার ইজ দ্য লিগ্যাল গার্ডিয়ান, মাদার ইজ দ্য ন্যাচারাল গার্ডিয়ান। ফাদার্স আইডেনটিটি খুঁজতে যে পরিমানে ডিএনএ টেস্টিং হয় তা বড়ো একটা সংখ্যা। মাদার্স আইডেন্টিটি প্রমাণ করতে ডিএনএ টেস্ট সে তুলনায় কটা হয় বা হয়েছে অদ্যাবধি? খুব খুব রেয়ার কেস ছাড়া হয় নি।
  • d | 144.159.168.72 | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:৫২716910
  • গুরুর সিঁফো-সাহানা মেয়ের কোনও পদবীই দেয় নি। দুটোই নাম। ফলে ফার্স্ট আর লাস্ট নেমের ম্যান্ডেটরী ফিল্ড ভর্তি করতেও কোনও অসুবিধে নেই।
    আমার এইটাই সবচেয়ে পছন্দ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন