এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফ্যাসিবাদ,, নিও ফ্যাসিবাদ, কানহাইয়া কুমার ও কমঃ কারাত

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১০৯৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৫৮723429
  • [ দুটো ঘটনা ঘটেছে।
    এ বারের জে এন ইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে রেকর্ড ভোট পড়েছে, প্রায় ৬৫%। এবং সমস্ত পোস্ট গুলো পেয়েছে আইসা ও এস এফ আইয়ের যুক্তফ্রন্ট। এদের প্রচারের এজেন্ডা ছিল বিজেপির উগ্র ফ্যাসিস্ত রাষ্ট্রবাদকে প্রত্যাখ্যান করে জে এন ইউ য়ের গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখা আর এবিভিপির এজেন্ডা ছিল বিগত ৯ তারিখের রাষ্ট্রবিরোধী দেশদ্রোহী ঘটনার মুখোশ খুলে (যাতে কানহাইয়া কুমার, অনির্বাণ ও উমর খালিদদের সিডিশনের চার্জে গ্রেফতার করা হয়েছিল) জে এন ইউয়ে অন্য ইউনিভার্সিটির মত ন্যাশনালিস্ট অ্যাকাডেমিক আবহাওয়া ফিরিয়ে আনা। বলাবাহুল্য, বিজেপির ছাত্রফ্রন্টের সব সদস্য বিরাট মার্জিনে পরাজিত। আবার আম্বেদকার পন্থী ইউনিয়ন কোন সিট না পেলেও ভাল পার্সেন্টের ভোট পেয়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছে।
    আবার দিল্লি ইউনির সংসদে গত দশবছরের মত এবারও বিজেপির সাফল্য অব্যাহত; কিন্তু এখানেও ওদের মার্জিন কমেছে এবং একটি সীট কংগ্রেসের ইউনিয়নের কাছে খুইয়েছে।
    দ্বিতীয়টি হল, সিপিএম এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখে বলেছেন যে মোদী সরকার অ্যাগ্রেসিভ হিন্দুত্ববাদী নিও-লিবেরেল ইকনমির প্রবক্তা। কিন্তু তাকে ক্লাসিক্যাল সংজ্ঞায় "ফ্যাসিস্ত" বলা ভুল। বাম চিন্তাবিদদের মধ্যেই সরকারকে যারা বর্তমান বিজেপি সরকারকে ফ্যাসিস্ত বলছেন তাঁরা ভুল করছেন, বাম শিবিরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। সঠিক রণনীতি হবে বাম শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াই করা। প্রয়োজনে অন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ব্যাপক সমঝোতায় আসা। এর জন্যে বড় রাজনৈতিক দলটির সঙ্গে আঁতাত অপ্রয়োজনীয়।
    স্পষ্টতঃ উনি নাম না করলেও কংগ্রেসের সাথে সমঝোতার বিরুদ্ধে পরামর্শ দিচ্ছেন।
    এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কমঃ প্রকাশের বক্তব্যটিকে একটু নেড়ে চেড়ে দেখব।]
  • Ranjan Roy | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬723440
  • চোখে পড়ল কানহাইয়া কুমার কোলকাতার মহাজাতি সদনে একটি সভায় বলেছেন যে বাংলার কমরেডরা পথে নেমে আন্দোলন করুন, মার খান, জেলে যান-- তাহলে বুঝবেন যে শ্ত্রুকে ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন।
    আর কারাতের প্রবন্ধটি নিয়ে কানহাইয়ার বক্তব্যঃ
    আপনি যদি বিজেপি সরকারকে ফ্যাশিস্ত না মনে করেন , যদি ওদের সঙ্গে খালি নির্বাচনে মোকাবিলা করেই সন্তুষ্ট থাকতে চান, তবে পেছনে সরে যান। আমরা এই ফ্যাসিস্ত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।
    আসুন, আমরা কমঃ প্রকাশের মূল বক্তব্যে ফিরে যাই।
    এক, এই সরকার কেন ফ্যাশিস্ত নয়?
    কারাত ৪০ এর দশকের জর্জি দিমিত্রভের দেওয়া ডেফিনেশন কোট করে বলছেন-- ফ্যাসিজম হল পুঁজিবাদের সবচেয়ে নগ্ন রূপ , যাতে একচেটিয় পুঁজি অন্য সমস্ত পুঁজিবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধেও আক্রমণ চালায় ও বুর্জোয়া ডেমোক্র্যাসির সমস্ত সংস্থাগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
    বর্তমান মোদী সরকার এরকম কিছুই করছে না। বরং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা এই সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব। এরা উগ্র হিন্দুত্ববাদী এবং আধিপত্যবাদী বটে, কিন্তু উপরোক্ত কারণে ফ্যাসিস্ত বলার সময় আসেনি।
    দুই,
    তবে প্রকাশ মানছেন যে একচেটিয়া পুঁজি এখন আগের কায়দা বদলে সরাসরি অন্য দেশে সৈন্য না পাঠিয়ে দেশি এজেন্টদের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

    আমার বক্তব্যঃ
    ১)জর্জি দিমিত্রভের ৪০ দশকের সংজ্ঞার আক্ষরিক ব্যাখ্যা করে আজকের ফ্যাসিবাদকে চিনতে গেলে ভুল হবে।ফ্যাসিবাদও আজকে তার বাইরের ভোল পাল্টেছে।
    প্রকাশ খালি নির্বাচনের সুযোগটা এখনও রয়েছে এই বিন্দুতে জোর দিয়েছেন। হিটলারও প্রথমে নির্বাচনে জিতেই ক্ষমতায় এসেছিলেন।তখন কি ওঁর ন্যাশনাল সোস্যালিস্ট পার্টির দর্শন ফ্যাশিস্ত ছিল না?
    ইন্দিরা গান্ধী কিভাবে ক্রমশঃ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে করতে জরুরী অব্স্থা জারি করলেন তা কি প্রকাশের মনে নেই?
    খেয়াল করুন, মোদী ধীরে ধীরে নির্বানে অহেতুক জনগণের পয়সা অপব্যয় হয় অজুহাতে সারা দেশজুড়ে কেন্দ্রীকৃত একটাই নির্বাচনের কথা তুলছেন। এই ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের এজেন্ডাই হল ফ্যাসিজমের দর্শন
    ২) প্রকাশ কি খেয়াল করছেন যে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসা মোদী সরকার ক্রমশঃ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছ্ন?
    এক, সুপ্রীম কোর্টের সঙ্গে বিচারপতি নিযুক্তিতে সরকারের ভেটো পাওয়ার বাড়ানোর লাগাতার চেষ্টা।
    দুই, ইতিহাস পরিষদ দর্শন পরিষদ ও বিজ্ঞান পরিষদে নিজেদের প্রফেশনালি অযোগ্য লোকজনকে বসিয়ে বিতর্কের পরিবেশ নষ্ট এবং অকেজো করে দেওয়া।
    তিন, সংস্কৃতি-শিক্ষা, ইতিহাসের পুনর্লিখনের মাধ্যমে একটি একমাত্রিক বিকৃত ছবির প্রচার করা ও বিতর্ক বন্ধ করে দেওয়া।
    চার, বিজ্ঞান চর্চায় গণেশের শুঁড় ও বৈদিক এরোপ্লেনের ডিজাইন,---!
    পাঁচ, বিরোধী মত ও কন্ঠস্বর চেপে দেওয়ার জন্যে দেশদ্রোহী তকমা লাগানো--জে এন ইউয়ের ঘটনা!
    ছয়, হিটলারের ইহুদী ও পড়শি বিদ্বেষের মত দেশের প্রগতির শত্রু হিসেবে মুসলমান বিদ্বেষ ও পাকিস্তান বিদ্বেষ খুঁচিয়ে তোলা।
    সাত, হিটলারের থাইসেন-ক্রুপ সিমেন্সের মত মোদীর আদানি ও আম্বানীর জন্যে দাঁড়ানো।

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মোদী সরকারের চরিত্র ও বামেদের দিক থেকে রণনীতি কি হওয়া উচিত?
  • bip | 183.67.3.44 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫২723451
  • বামেরা ডাইনোসর। বামেদের জনআন্দোলন গড়ার কোন ক্ষমতা নেই এখন। মৃতদেহের ওপর বসে কি করিতে পাড়িত, আলোচনা করে লাভ আছে? জেন এন ইউ বিলুপ্তপ্রায় প্রানীদের স্যাংচুয়ারী।

    মোদির মতন শক্তিকে রুখতে আপের মতন জনগণতান্ত্রিক শক্তির দরকার-যাদের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র । তবে আপ নিজেও ডুবছে। কেজরিওয়াল নিজেই একটা সম্ভাবনাকে ধ্বংস করল। এখন ভরসা মমতা আম্মা, নীতিশ, বিজু-এরা যদি একটা ফ্রন্ট গড়ে তুলতে পারে।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:০০723462
  • রঞ্জনদা, প্রথাগত মার্ক্সবাদী ধারণায় ফ্যাসিবাদকে একটা বিশেষভাবে ডিফাইন করা হয়, সেটা লুজলি আমরা যেভাবে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা দেখলেই 'ফ্যাসিস্ট' বলি - ঠিক সেরকম তো নয়। আমরা যখন কথাচ্ছলে ফ্যাসিস্ট বলি তখন ফ্যাসিবাদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মার্ক্সবাদ কিভাবে দেখেছে সেটাকে অতটা মাথায় না রেখেই বলি। প্রকাশ কারাতের লেখাটা পড়িনি। কিন্তু আর্গুমেন্টের ধরণটার সাথে পরিচিত, এবং সেটাকে ঠিক বলেই মনে হচ্ছে। বিজেপির মধ্যে ফ্যাসিস্ট প্রবণতা আছে - এটা বলা, আর ফ্যাসিবাদ এসে গেছে অতএব এখনি 'ফ্যাসিবাদবিরোধী যুক্তফ্রন্ট' এর সময় এসে গেছে - এটা বলা - এই দুটো যে প্রথাগত মার্ক্সবাদের চোখে এক নয়, আমার ধারণা কারাত সেটা বলতে চেয়েছেন। মাওবাদীরা সিপিএমকে সোশাল ফ্যাসিস্ট বলত। সিপিএমের স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতাকে ওদের মত করে একটা টার্ম দিয়েছিল - যেটা আমার মতে খুবই কনফিউজিং, যদি আপনি ক্লাসিকাল মার্ক্সবাদী ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে আপনার তত্ত্ব তৈরী করেন। কারণ সেখানে ফ্যাসিবাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি বলে যেটা সংজ্ঞায়িত সেটাই একভাবে 'ফ্যাসিবাদ' এর নির্ধারক। আপনি যেভাবে ডিফাইন করতে চাইছেন সেভাবে করতে হলে আপনাকে প্রথমে বলতে হবে পুরোনো মার্কসবাদী ডেফিনিশনকে (যার একটা সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক চরিত্র আছে, শুধু স্বৈরতন্ত্র, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন, ইত্যাদি নয়) আপনি কেন বাতিল করছেন। একচেটিয়া পুঁজির সংকটকে আপনি কিভাবে দেখছেন? চল্লিশের সংকট আর এখনকার সংকটের চরিত্র কি এক? আর এক রকম আর্গুমেন্ট হতে পারে, আপনি বল্লেন - 'ওসব বেস/সুপারস্ট্রাকচার মানি না। আমার মতে স্বৈরতন্ত্র, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন - ইত্যাদি দিয়েই ফ্যাসিবাদকে নতুন করে ডিফাইন করতে হবে। অর্থনৈতিক ভিত্তি কো মারো গোলি।' কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনি প্রথাগত মার্ক্সবাদী যুক্তিবিন্যাস থেকে বেরিয়ে আসছেন। ঃ-) স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতাগুলো তো এমনিতে সবাই দেখতে পাচ্ছে, প্রকাশ কারাত দেখতে পাচ্ছেন না - এমন ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ওটা উনি পশ্চিমবঙ্গের কমরেডদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন বলে মনে হয় - যারা এখন যেকোনো অজুহাতে কংগ্রেসের হাত ধরতে উদগ্রীব। আর এই অজুহাতগুলোর মধ্যে যেটা তাত্ত্বিক মোড়কে আসছে, সেটা হল বিজেপির ফ্যাসিবাদ। ঃ-)
  • সৌভিক | 24.96.51.4 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৫৯723473
  • বিজেপি শাসনে কয়েকটি ফ্যাসিবাদী প্রবণতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের যে মূল বনিয়াদ - পুজিবাদের চরম রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে বুর্জোয়া গণতন্ত্রকে বাতিল করে ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের মধ্য দিয়ে তাকে টিকিয়ে রাখা - ক্ল্যাসিক ফ্যাসিবাদের যে বৈশিষ্ট্য জার্মানী ইতালিতে দেখা গিয়েছিল - তা সমকালীন ভারতে প্রযোজ্য নয়। এখানে বুর্জোয়া শ্রেণি শাসনের সামনে কোনও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সঙ্কট এখনো সেভাবে পেকে ওঠেনি যা বিদ্যমান শ্রেণি ভারসাম্যকে পালটে দিতে পারে। অন্যদিকে সংখ্যাগুরুর চরম সাম্প্রদায়িকতার মতো বৈশিষ্ট্য ভারতে অবশ্যই অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেস ভারতের শাসক শ্রেণির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার এবং তারা বিজেপির সঙ্গে অদল বদল করে কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশি বিদেশি একচেটিয়ার স্বার্থ রক্ষা করে। এই রকম একটি শক্তির নেতৃত্বে বিজেপি শাসনের অবসান ঘটানো বামেদের মূল প্রোগ্রাম হতে পারে না। স্বাধীন গণ আন্দোলনের রাস্তায় না গিয়ে কংগ্রেসের পেছনে থেকে বিজেপি হটানোর কেবল সংসদীয় কসরত বামেদের জন্য এবং দেশের আর্থিক নীতির জন্য ভালো কোনও খবর নিয়ে আসবে না। বিজেপিকে শুধু কমিউনালইজম এর প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়া নয়, তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়াটাও অতি বিশেষ জরুরী। সেই কাজটা কংগ্রেসের দোসর হয়ে হয় না, স্বাধীন বাম আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
    বামেদের রাজনৈতিক মিত্র হতে পারে দলিত আন্দোলন, আদিবাসী আন্দোলন, বিভিন্ন স্থানীয় আন্দোলন, সংখ্যালঘু আন্দোলন, অতি কেন্দ্রিকতার বিরুদ্ধে ফেডারালইজমের পক্ষে আন্দোলন এর শক্তি সমূহ। কিন্তু এই সমস্ত শক্তি সমূহ শক্তিশালী বাম আন্দোলন ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার মুখে দাড়িয়েই বামেদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে বাস্তবে দৃঢ় করতে আগ্রহী হবে। ভারতের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইতিহাসে সেটাই বাস্তবতা। বামেদের শক্তিবৃদ্ধির সঙ্গে তাদের দোদুল্যমানতা কমার সম্ভাবনা। দুর্বল ও গতানুগতিক অভ্যাসবাদী বাম আন্দোলন আত্মশক্তির জাগরণ বা মিত্র সন্ধানের কোনও কাজই ভালোভাবে করতে পারবে বা। আর নিজেদের ব্যর্থতার ভার লাঘবের জন্য কংগ্রেসী শক্তির সঙ্গে সমঝোতার একটিই দিক থাকতে পারে। নিজেদের বহু আয়াসে অর্জিত গণভিতের একাংশকে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির শরিক করে নিজেকে ক্রমশ আরো দুর্বল ও রাজনৈতিকভাবে ভেদশক্তিহীন ও অপাংক্তেয় করে তোলা।
  • সিকি | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:১৪723484
  • দাদা, অঙ্ক কী কটিন!
  • Ranjan Roy | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৯723488
  • পিনাকী ও শৌভিক,

    ১০০% সহমত। প্রকাশ কারাত মোটামুটি ক্লাসিক ফ্যাসিবাদের বিশ্লেষণ প্রশ্নে পুঁজিবাদের তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে এর নিরসন ভারতে কর্পোরেট স্বার্থ করতে পারবে কি না--সেই প্রশ্নই তুলেছেন। ওনার মতে এখনও ভারতীয় পুঁজিপতিরা স্বচ্ছন্দে পারছে। আর অর্থনৈতিক উদারবাদের ভারতে মূল প্রবক্তা অবশ্যই কংগ্রেস। আসলে প্রকাশ এখানে বেঙ্গল লাইনকে একহাত নিয়েছেন।
    ১) আর রণনীতি নির্ধারণের প্রশ্নে শৌভিকের এই পংক্তি কটিঃ

    " বিজেপিকে শুধু কমিউনালইজম এর প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়া নয়, তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়াটাও অতি বিশেষ জরুরী। সেই কাজটা কংগ্রেসের দোসর হয়ে হয় না, স্বাধীন বাম আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
    বামেদের রাজনৈতিক মিত্র হতে পারে দলিত আন্দোলন, আদিবাসী আন্দোলন, বিভিন্ন স্থানীয় আন্দোলন, সংখ্যালঘু আন্দোলন, অতি কেন্দ্রিকতার বিরুদ্ধে ফেডারালইজমের পক্ষে আন্দোলন এর শক্তি সমূহ। কিন্তু এই সমস্ত শক্তি সমূহ শক্তিশালী বাম আন্দোলন ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার মুখে দাড়িয়েই বামেদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে বাস্তবে দৃঢ় করতে আগ্রহী হবে। ভারতের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইতিহাসে সেটাই বাস্তবতা।"
    ২)
    আর পিনাকীর সাজেশান যে যদি কেউ মার্ক্সবাদের তাত্ত্বিক কাঠামোর বাইরে দাঁড়িয়ে অন্য প্যারাডাইম থেকে বলতে চায়ঃ
    'ওসব বেস/সুপারস্ট্রাকচার মানি না। আমার মতে স্বৈরতন্ত্র, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন - ইত্যাদি দিয়েই ফ্যাসিবাদকে নতুন করে ডিফাইন করতে হবে। অর্থনৈতিক ভিত্তি কো মারো গোলি।' কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনি প্রথাগত মার্ক্সবাদী যুক্তিবিন্যাস থেকে বেরিয়ে আসছেন।
    আমার একটু গোপন ইচ্ছা ছিল ওইরকম একটি আলাদা তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করে বিতর্ক শুরু করার। কিন্তু ক্ষ্যামতায়, ধৈর্য্যে ও মনোযোগে কুলোবে না।
    যদি কেউ এইরকম ডিসকোর্স এখানে তৈরি করে ভাল লাগবে। ঈশান, কল্লোল, দেবব্রত বা অন্য কেউ। ঃ))))
  • PT | 213.110.242.23 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১১723489
  • যদি ধরে নিই যে সশস্ত্র সংগ্রামের দিন শেষ, তাহলে এই সব কঠিন তাত্বিকতার পরে রাস্তায় নেমে ভোট চাইতে হবে ফ্যাসিবাদিদের (নতুন কিংবা পুরাতন) ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্যে। তাত্বিক আলোচনা এ যাবৎ বহুত হয়েছে কিন্তু সিপিএমের বাইরে অন্য কোন বাম দল ভারতের কোথাও সাধারণ মানুষের মানসিকতায় বিশেষ জায়গা করে নিতে পারেনি। কিন্তু এই তাত্বিক কচকচি মূলতঃ সিপিএমের মুন্ডুপাতের দিকেই গড়িয়ে যায়, যার নিছুটা আভাস ওপরে পাওয়াই যাচ্ছে।

    সমস্ত তাত্বিকতার সঙ্গে এটাও আলোচনা হোক যে ক্ষমতা দখলের লড়াইতে (দরকার হলে সিপিএমকে বাদ দিয়ে) অন্য বামেরা, যারা প্রায়শঃই অনেক বেশী সময় ব্যয় করে এনালিসিস করার জন্য, কি অবস্থান নিতে চায়?
    গত বিধানসভার ভোটে এসিউসি, "বাম তত্বের সম্মান রক্ষার্থে টর্চ চিহ্ণে" ভোট চেয়ে প্রায় সব আসনেই বেশ কিছু বাম ভোট কেটে নতুন ও পুরাতন ফ্যাসিবাদিদের বিশেষ উপকার করে দিয়েছে। আর কিষেণজীর চ্যালারা প্রায় বছর পাঁচেক পরে স্বীকার করেছে যে তারা শ্রেণী চরিত্র চিনতে ভুল করেছিল।

    তাত্বিক কচকচি করার পরে ফ্যাসিবাদীদের ক্ষমতা থেকে সরাতে না পারলে সেই তাত্বিকতার গুরুত্ব কতটা?
  • কল্লোল | 233.227.12.170 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:০২723490
  • সমস্যাটার দুটো দিক আছে।
    ১) যে ভাবে পিটি বলছে - দিনের শেষে বিজেপি হঠাও। সে ধ্রূপদী ফ্যাসিবাদ হোক বা নাহোক।
    ২) বিজেপিকে শুধু কমিউনালইজম এর প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়া নয়, তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়াটাও অতি বিশেষ জরুরী।

    প্রথমটার ক্ষেত্রে ধরে নেওয়াই হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে বিজেপিকে হারানো। সেক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে এক্জোট হতে হবে। তাতে কং, মায়াবতী থেকে নীতিশ-লালু হয়ে মমতা এবং বাম। তার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
    তবে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে বিরশ্রদ্ধ মানুষ উল্টোদিকে ভোট দিতেও পারে। সেক্ষেত্রে আবার কং বা মিলিজুলি কং।

    দ্বিতীয়টা নিয়ে ভাবার আছে। আদৌ কি প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে এই লড়াইটা সম্ভব? কর্পোরেট ও সাম্প্র্দায়িকতার কাছে এদের সকলকেই কোন না কোনভাবে হাত পাততে হয়। ফলে এটা করতে গেলে অন্য ধরনের আন্দোলন দরকার, যেটার কিছুটা ধারনা নানান দেশে WTO বিরোধী আন্দোলনগুলো দিয়েছে।
    ভারতের প্রেক্ষিতে ভাবলে সে আন্দোলনের ভিত্তিভূমি খুব সবল নয়।
    আমি মাওবাদীদের এই আলোচনায় রাখছি না। কারন ওদের লড়াইয়ের তাত্বিক জায়গাটাই এখন বাতিল হবার মুখে।
    তবু, নানান পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন, অধিকারের আন্দোলন বাড়ছে, সেটুকুই যা আশার। এটা সময় সাপেক্ষ।
  • PT | 213.110.242.8 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:২০723431
  • শুধু বিজেপি "ফ্যাসিবাদি" এমন কথা লিখিনি তো!! আমার সমস্যা তো ঘরের কাছের ফ্যাসিবাদিকে নিয়েও যাকে কল্লোলদা "ধ্রুপদি" ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল করতে চায়।

    যারা কর্পোরেটের বিরুদ্ধে ডাকা "ধর্মঘটকে ব্যর্থ করুন" বলে পোস্টার দেয় আর লুম্পেনদের রাস্তায় নামিয়ে ধর্মঘট ভাঙ্গে তাদের সঙ্গে নিয়ে "তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে" ধাক্কা দেওয়া যাবে?

    কিষেণজী জীবন দিয়ে শ্রেণী চরিত্র বুঝেছিলেন। অন্যরা কবে বুঝবে?
  • h | 213.132.214.84 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৪723432
  • অরুন্ধুতি রায় এর একটা ইনটার ভিউ তে , সম্ভবত জিমারম্যান কে দেওয়া, ভুলে গেছি কাকে দেওয়া, একটা মজার কথা আছে, (প্যারাফ্রেজড), যে ভারতে গণতন্ত্রপ্রেমী দের ভরসা হল, আমাদের ফাসিস্ত রা খুব অর্গানাইজ্ড না ;-) আমি তার সঙ্গে যোগ করি এক লাইন, করে একটা মিটিং এ একটি বাচ্চা ছেলের কাছে বেশ বকুনি খাই, যে তারা ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজ্ড ও সেরকম না, মানে তাদের মূল সাপোর্ট বেস ট্রেডিং কমিউনিটি, আর মজাটা হল, বড় ব্যাবসায়ী যাঁরা গ্লোবালাইজেশনের পরে হয় এ দল নয় ও দল এর ফেবারিট হিসেবে উঠে এসেছেন, তাঁদের সঙ্গে সব সময়ে এঁদের ইন্টারেস্ট মিলবে না। তো এই সব মজার ডাইমেন্সন ১৯৩৩ এর জার্মানী তে কত টা ছিল ব আরো পিছিয়ে গিয়ে লিবেনখ্ট যখন বেঁচে ছিলেন, তখন কতটা ছিল, আমার একটু সন্দেহ আছে। ব্রেখ্টের লেখা, একটা প্রোপাগান্ডা ফিল্ম , কুলে ওয়াম্পে, রঞ্জনদা দেখেছেন, তাতে জার্মানী সম্পর্কে প্রায় রবীন্দ্রনাথের সুরে সুর মিলিয়ে বলা, জার্মানী কলোনী নেই, সেটা একটা প্রবলেম, সেই দেরিতে হাঁপাইতে হাঁপাইতে আশিয়া দেখিলো কিছু পড়ে নাই। তো আমি কারাত ভক্ত না, আমি কানহাইয়া ভক্ত, সরাসরি ভেমুলা/উমর/শিলা/ব্যন/নাগা ভক্ত, মানে অসম্ভব ফ্যান (ডিস্গ্রীএ করলেও) বচ্চারা যেরকম টিন এজে ফিল স্টার দের দেখলে ভেতরে ভেতরে কাঁপে আমার ওদের বক্তৃতা শুনলে তাই হয় এই স্তেঁহ মূলক শেষ বয়সে, কিন্তু তবু বলবো, সমাজের সংস্কারাচ্চন্নতা, কাস্ট ইত্যাদি, এগ্রিকালচারাল রিলেশন্স, আদিবাসী বৈচিত্র, এশব অনেক কম্প্লিকেশন আমাদের দেশে আছে, তাত্ত্বিক ফর্মুলেশন অত সোযা না। একটা অ্যাসপিরেশন হয়েছে বটে, কিন্তু সেটাই একমাত্র শত্রু না, মুসলমান বিদ্বেশ এর বিরোধীতা করতে গিয়ে তাহলে সব রকম শক্তি কে এক সাথে আনার চেষ্টা করতে হত না, কানহাইয়ার যে ওয়াইড অ্যাকেসপ্টেবিলিটি, এমনকি আমার টিন এজ মেয়েদের মত বুক কাঁপা, সেটা কানহাইয়া মনিপুরী হলে হত কিনা সন্দেহ, অত ভালো বক্তব্য সত্ত্বেও, এবং আজাদী র প্রশ্নে কানহাইয়া যে বুদ্ধি করে বিতর্ক ঘুরিয়ে দেয়, সেটা অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী স্বীকার করে নিলেও সমস্যা হল দেশের গঠনের যে সমস্যা আছে, তাকে কতদিন মেনস্ট্রীম রাজনীতির প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাড্রেস করা যাবে, কতদূর করা যাবে, এই বৈচিত্রের মুখ্কে দাঁড়িয়ে তাতে সমস্যা আছে।

    আরেকটা কথা ইন্দিরা গান্ধী কে আধা ফ্যাসিস্ত বলা হয়েছিল, এবং কন্ধমাল ও গুজরাটের ঘটনা, হালে মুজফ্ফর পুরের ঘটনা, এই গুলো ছাড়া সমসাময়িক কালে 'পোগ্রোম' এর মডেলের ছায়া কম, সব লাগানো দাঙ্গা কিন্তু পোগ্রোম নয়, অতএব ভাবনা চিন্তা করে শব্দ ব্যবহার করা খারাপ না। হায়ার এডুকেশনের ইন্স্টিটিউশনের কন্ট্রোল এর প্রিসিডেন্স, আর আদিবাসী র বহিরাগত সম্পর্কে কনসার্ন এক ই ওভার আর্কিং মডেলে ফর্মুলেট করলে, কানহাইয়া বুড়ো আর আপনি বড় হলে, আপনি ই তখন গাল দেবেন, ইউরোপ থেকে যে ধারণা আসিয়াছিল তাহা র স্থানীয় ভাবে ব্যাবহার্য্য ছিল কিনা তাঁহারা দ্যাখেন নাই ঃ-)))) কি বিপদ মাইরি। অতএব ইলেকটোরাল ব্রড অয়লায়েন্স, আর স`স্ম্কার অশিক্ষা ডিসএন্ফ্রানচাইজমেন, এবং রাষ্ট্রের গঠনের অ্যানোমালি, সব কিছুতে অ্যাড্রেস করা আরেকটু স্লাইট টাফ মাইরি।
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০২723433
  • বাক আপ হনু!
    আমি নিজে ভাবছি ৪ও শের হাইলি ইন্ড্রালিয়ালাইজড কান্ট্রির সংকট আর আজকের বিশাল ভারতের সংকট একই মাপকাঠিতে মাপা যায় না। নতুন প্যারাডাইম দরকার। নতুন অ্যাপ্রোচ!
    ইকনমিক ক্রাইসিস একটা জরুরী মাপকাঠি হলেও এটাই সব নয়। বরং সামাজিক সাংস্কৃতিক বিভাজন অনেক বড় ইস্যু। শেষবিচারে ভুগতে হয় মানুষকে।
    কমঃ কারাতের কেরল লাইন অনেক মেকানিক্যাল বলে মনে হচ্ছে।
    তুমি ঠিকই ধরেছ-- আম্বেদকর বাদী পলিটিক্সের সামনে র সারিতে উঠে আসা একটা ইম্পর্ট্যান্ট ফেনোমেনন। এটাকে এড়িয়ে কোন প্যারাডাইম শিফট হতে পারে না।
    দলিতরা যেমন বলেন কম্যুনিস্টরা আমাদের কষ্টের জায়গাটা ছুঁতে পারে না। আমরা ডাবলি অপ্রেসড্‌! গরীবের একটা বড় অংশই অন্ত্যজ আর তারা আর্থিক ও সামাজিক দুইদিক থেকেই পীড়িত হয়।
    এখন অ্যান্জেলু'র 'আই নো হোয়াই দ্য কেজেড বার্ড সিঙ্গস্‌" পড়তে গিয়ে দেখছি একই ব্যাপার। দক্ষিণের সম্পন্ন নিগ্রো পরিবারগুলোও শ্বেতাঙ্গদের হাতে নিত্যনৈমিত্তিক অপমানিত সন্ত্রস্ত।
    ভারতে দলিতরা একটা বিরাট ফ্যাক্টর।এটা নিয়ে কারাতবাবুদের কোন আলাদা লাইন নেই।
    কেসি, অজ্জিত, পোটকে ও অন্যান্যরা বলুন। আমার এলেম শে্ষ। প্রশ্ন তুলে কাটছি। আপনাদের ভয়েস শোনার আশায় আছি। নতুন করে ভাবতে চাইছি।

    ২)
    পিটি বলছেনঃ
    শুধু বিজেপি "ফ্যাসিবাদি" এমন কথা লিখিনি তো!! আমার সমস্যা তো ঘরের কাছের ফ্যাসিবাদিকে নিয়েও যাকে কল্লোলদা "ধ্রুপদি" ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে সামিল করতে চায়।

    যারা কর্পোরেটের বিরুদ্ধে ডাকা "ধর্মঘটকে ব্যর্থ করুন" বলে পোস্টার দেয় আর লুম্পেনদের রাস্তায় নামিয়ে ধর্মঘট ভাঙ্গে তাদের সঙ্গে নিয়ে "তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে" ধাক্কা দেওয়া যাবে?

    কিষেণজী জীবন দিয়ে শ্রেণী চরিত্র বুঝেছিলেন। অন্যরা কবে বুঝবে?

    --আলতু-ফালতু লোকেদের বোঝানোর পন্ডশ্রম করে সোজা কমঃ কারাত আর কেরলের ইউনিটকে (সিসিতে মেজরিটি) এই প্রশ্নটি করুনঃ তোমরা কবে বুঝবে?
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১৭723434
  • ডিঃ সরি! "পন্ডশ্রম না করে"
  • h | 213.132.214.88 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:২৩723435
  • যথারীতি রঞ্জনদা পোস্নো তুলে বলতে নেই কংগ্রেস প্রশনে ঠিক কারাতের মতই কেটে পড়লেন।

    কেন 'মেকানিকাল' মনে হচ্ছে আপনি বলবেন, কেরালার এক্সপেরিয়েন্স এর ইউনিকনেস ও অ্যান্থনি দের দম হল, কংগ্রেস মূল শত্রু, কিন্তু সেটা সত্ত্বেও কারাত রা ২০০৪ এ কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম করেছে। আপনার যখন তখন সেন্টু খেয়ে যাকে তাকে মেকানিকাল মনে হলে হবে না মাইরি।

    রাজ্য কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্য, প্রতিটি দলের মধ্যেই নানা নিও লিবেরাল অংশ, ওভারল ম্যাক্রো ইকোনোমিক স্ট্রাকচারের যা অবস্থা তাতে রাজন কে প্রগতিশীল মনে হচ্ছে, নীতি আয়োগ নতুন করে ৪৪ টি পাবলিক সেকটর তুলে দেবে বলছে, দলিতের পাবলিক সেকটরে মাথা ব্যাথা নাই, কারণ তার এজেন্ডা সামাজিক, কিন্তু এডুকেশন প্রাইভেটাইজ্ড হওয়ায়, তার উপকার হচ্ছ্হে কিনা সেই বলতে পারবে, এদিকে কেন্দ্রীয় ভাবে শিক্ষায় বাজেট নেই, সেই প্রশ্নে ছাত্র রা ধর্মঘট করলে, আপনি ই বলবেন মেকানিকাল আর কানহাইয়া রা পি এইচ ডি ফেলোশিপ বাড়ানোর কথা বল্লে যেহেতু তারা একই সাথে অন্য অনেক কিছুও বলছে এবং বয়স কম তখন আপনার আমার ই তাকে সেক্সি লাগছে। তো এগুলো পারসেপশন, মেকানিকাল এর ব্যাখ্যা বিসেস কিসু নাই, উত্তরভারতের দলিত আর কেরালার দলিতের যদি এক্সপেরিয়েন্স এক না হয় তাইলে তার অর্গানাইজেশন ও অন্যরকম হবে। এবার বড় নেতা দের কাজ হল বড় প্ল্যাটফর্ম গড়া সমস্ত কনফ্লিকট এর উপরে একটা ওভার রাইডিং স্টোরি তৈরী করে, তো বড় শত্রু থাগলে তাতে সুবিধেও হয়, তবে ঐ আর কি পলিসি ফর্মেশন আর যৌবন এক কথা না।

    দ্যাখা যাক, আমরা বেঞ্চি না থাকা সত্ত্বেও চেয়ার থেকেই দেকছি ;-)

    সত্যি ১০০ টি ছাত্র স্ট্রাইকের পরে এডুকেশন অ্যাজ আ প্র্পোরশন অফ জিডিপি অ্যালোকেশন হিসেবে বেড়েছে কতটুকু। ইত্যাদি।

    এ অবস্থায় আপনি যা করছেন কারাত ও তাই করছে, পোস্নো করছে আর কেটে পড়ছে।
  • PT | 213.110.242.6 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪০723436
  • কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই কারাটের চারপাশে আবর্তিত হওয়া কেন? এটা কি এক অর্থে মেনে নেওয়া যে অন্যান্য বামেরা যতই বক্তিমে ঝাড়ুক না কেন, তাদের কোন ক্ষমতাই নেই ফ্যাসিস্ট এবং/অথবা কর্পোরেট লবির বিরুদ্ধে অন্দোলন গড়ে তোলার?
    তাহলে তো সেই ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান............
  • Ranjan Roy | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪৯723437
  • আরে আমার পশ্চাদদেশে দম নেই (সমরেশ বসুঃ জগদ্দল)। হদ্দ বুড়ো!
    কিন্তু তোমরা?
    কোথায় নতুন পোলেমিক্স বা প্যারাডাইম শিফ্ট নিয়ে কথা বলবে , তা না!ঃ))
    প্রত্যেক আন্দোলনেরই (দলিত, শ্রমিক, কৃষক, নারী) ক্ষেত্রবিশেষে সময় বিশেষে আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে; থাকেই। কিন্তু একই সঙ্গে কমন প্রেক্ষিতও থাকে। রণনীতি তৈরি হবে কমন পারস্পেক্টিভ নিয়ে, আর রণকৌশল তৈরি হবে স্পেসিফিক বা পার্টিকুলারিটি নিয়ে।
    কেন মেকানিক্যাল?
    চল্লিশের দশক থেকেই কমিউনিস্ট নেতাদের রাজনৈতিক প্রবন্ধ লেখার একটা টেমপ্লেট আছে।
    প্রথমে একটি বা দুটি শব্দবন্ধে প্রবন্ধের অবজেক্টিভ বলা। তারপর কিছু সংজ্ঞা বা নোমেনক্লেচারের ক্লাসিক্যাল মার্ক্সীয় দলিল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে সেটাকে রেখাংকিত করা। তারপর দেখানো আলোচ্য বিতর্কের পূর্বপক্ষের হাইপোথেসিস ক্লাসিক্যাল থেকে কতটা বিচ্যুত। অবশেষে সেই পূর্বপক্ষকে ( অমার্ক্সীয় প্রমাণ করে) ধ্বস্ত করা। বক্সিং রিং এ রেফারির মত বিজয়ীর হাত ধরে শূন্যে তুলে দেওয়া--কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেরই হাত।
    কমঃ কারাত এর প্রবন্ধটি এই টেমপ্লেটের বাইরে বেরোতে পেরেছে এমন (অন্ততঃ ব্যক্তি আমার) মনে হল না।
    যদিও মাওএর এই নিয়ে একটি ছোট প্রবন্ধ আছে Opposed Eight Legged Essays", এবং যদিও ওঁর প্রবন্ধগুলি এই ধারায় একেবারে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম-- কিন্তু কানু সান্যাল যখন ১৯৬৮তে "তরাইয়ের কৃষক আন্দোলনের তদন্ত রিপোর্ট" লেখেন তখন সেটা আবার অনিবার্য ভাবে মাওয়ের "হুনান কৃষি আন্দোলনের তদন্ত রিপোর্ট" এর কথা মনে পড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ আরেকটি টেমপ্লেট!
    দ্বিতীয়তঃ কন্টেন্ট।
    নারীমুক্তি প্রশ্নে , জাতি সমস্যা ও ন্যাশনালিটির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এর প্রশ্নে ভারতীয় কমিউনিস্ট আন্দোলন বেশির ভাগ সময় এই ইস্যুগুলোকে উপেক্ষা করে সমাজতন্ত্র এলেই এইসব সমস্যার আপনাআপনি সমাধান হয়ে যাবে--এমন একটা স্ট্যান্ড নিয়েছে। পরবর্তী কালে সমস্যাগুলোকে স্বীকার করেও তার স্পেসিফিক সমাধানের বদলে একটা জেনেরিক লাই ন দিয়েছে।
    আমি চাইছি এর সঙ্গে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নের ইস্যু যুক্ত করতে। এগুলো বাদ দিয়ে আজ কোন সর্বাঙ্গীণ স্ট্র্যাটেজি হয় না।
    কারাতের প্রবন্ধটি সেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নতুন বোতলে পুরনো মদের কথাঅই মনে করিয়ে দিল।
    ইস্যুভিত্তিক ও শ্রেণীভিত্তিক বিকল্প রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ছাড়া শুধু বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টির থেকে নির্বাচিত কারও সঙ্গে সমঝোতাই কি আজ কম্যুনিস্ট পার্টির রণনৈতিক লক্ষ্য হবে?
  • কল্লোল | 233.227.11.26 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:৩১723438
  • খুব হাসি পেলো। কর্পোরেট বিরোধীতা করেও যদি কর্পোরেটকে বেআইনীভাবে জমি দেওয়া যায়। মানুষের ওপর দমন পীড়্ণ নামানো যায়, তাহলে ধর্মঘট বিরোধীতা করেও কর্পোরেট বিরোধী হওয়া যায়।

    কিন্তু কিন্তু কিন্তু
    আমি তো কর্পোরেট বিরোধী আন্দোলনে এদের কাউকেই ধরিনি। আমি লিখেছিলাম -
    ২) বিজেপিকে শুধু কমিউনালইজম এর প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়া নয়, তীব্র কর্পোরেট বান্ধব অবস্থানের প্রশ্নে ধাক্কা দেওয়াটাও অতি বিশেষ জরুরী।
    দ্বিতীয়টা নিয়ে ভাবার আছে। আদৌ কি প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে এই লড়াইটা সম্ভব? কর্পোরেট ও সাম্প্রদায়িকতার কাছে এদের সকলকেই কোন না কোনভাবে হাত পাততে হয়। ফলে এটা করতে গেলে অন্য ধরনের আন্দোলন দরকার, যেটার কিছুটা ধারনা নানান দেশে WTO বিরোধী আন্দোলনগুলো দিয়েছে।

    আর শুধু কেন্দ্র থেকে বিজেপি হঠাতে গেলে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টে তৃণমূলকে চাই। যেমন কংকেও চাই। কর্পোরেট, সাম্প্রদায়িকতা যে যার জায়গাতেই থাকবে।

    পিটি পড়াশুনা করছে না ;-((
  • PT | 213.110.242.8 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:৪৭723439
  • "কর্পোরেট বিরোধীতা করেও যদি কর্পোরেটকে বেআইনীভাবে জমি দেওয়া যায়।"
    there you go...... আলোচনার কেন্দ্রে সেই সিপিএম। অর্থাৎ কিনা এই দলটি ছাড়া বিজেপি/কর্পোরেটের সঙ্গে লড়ার জন্যে আর কোন বামকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না!!

    তাহলে হাতে রইল কংগ্রেস আর তিনো, কর্পোরেট আর বিজেপির সঙ্গে লড়ার জন্যে, যারা কখনই বেআইনী কিছু করেনি...........
    সোনার পাথরবাটিতে করে যদি কাঁঠালের আমসত্ব খাওয়া যেত.....!!!!
  • কল্লোল | 233.227.3.119 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:২৮723441
  • আবারও কুলকুল করে হাসি পাচ্ছে।
    কংগ্রেস আর তৃণমূলের শ্রেণীচরিত্রের ফারাকটা বুঝিয়ে বলবে ভাআআই।

    কিন্তু তুমি পড়া করছো না ঃ-((
    আমি তো কর্পোরেট ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত মূলধারার রাজনৈতিক দলকেই অযোগ্য বলে মনে করেছি। কারন তারা কোন না কোনভাবে সাপ্রদায়িকতা ও কর্পোরেটের কাছে হাত পাতে। আমি মাওবাদীদেরও এই লড়াইয়ে যোগ্য নয় বলে মনে করি। কারন এদের লড়াইয়ের ধরনটাই বাতিল হয়ে গেছে।
    এর বাইরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেটা বেশ শক্ত ব্যাপার কিন্তু এ ছাড়া পথ নাই।
  • কল্লোল | 233.227.3.119 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৪১723442
  • কেন্দ্রে বিজেপিকে ভোটে হারানো অন্য অ্যাজেন্ডা। তার সাথে কর্পোরেট বিরোধীতা বা সাম্প্রদায়িকতা বিরোধীতার কোন সম্পর্ক নাই। এমন নয় যে বিজেপি বিরোধী দলগুলো কর্পোরেট ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী।
    হ্যাঁ, সেই বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল থাকবেই।
  • ranjan roy | 132.162.116.133 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:২০723443
  • মুশকিল হল কেন্দ্রে বিজেপি হঠানোর লড়াইতে আমরা চাই বা না চাই--তিনো এসে পড়েছে।
    সংসদে ওদের লোক সিপুএম এর থেকে বেশি, আর এফডি আই, হ্যানোত্যানো প্রশ্নে, যতগুলো নিয়ে সিপিএম সংসদে বলে তার অনেকগুলো নিয়ে বলছে। সিপিএম স্টাইলে কেন্দ্রের বঞ্চনা বলে চেঁচাচ্ছে। তাই মূলায়েম/ আম্মা/ নীতিশ কেজরি ঈখন সিপিএম এর জয়গায় তিনোকে হাওয়া দিচ্ছেন, চাই বা না চাই। সংসদীয় রাজনীতিতে বামেরা এখন যে জায়গায় এসেছে! তারপর রয়েছে সংখ্যালঘু রাজনীতি। এব্যাপারে তিনোরা সিপিএম এর চে৩য়ে বেশি এগিয়ে আছে। ওদের নাস্তিক সাজার দায় নেই। তাই কালীঘাট-ঈদ সব নিয়ে লড়ে যাচ্ছে।
    কিন্তু দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতা ও নিও লিব্যারেল ইকনমির বিরুদ্ধে লড়াই? এর জন্যে অবশ্যই আলাদা চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ দরকার। কারণ, রাহুল সোনিয়া মন্দিরে পূজো দিয়েই রাজনৈতিক সভাতে যাচ্ছেন। আর বাবরি মসজিদের গায়ে রামললার মন্দিরে নেহরুর লাগানো তালা যিনি খুলে ছিলেন তাঁর নাম রাজীব গান্ধী। একইভাবে শাহবানো কেসে যিনি এক-পা এগিয়ে দুই-পা পিছিয়ে এলেন তাঁর নাম রাজীব গান্ধী।
  • cm | 127.247.99.240 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:২৫723444
  • যার দরকার সে নিজেই এগুবে, অত চিন্তা করবেননা।
  • Pinaki | 148.221.250.75 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৩৯723445
  • ইন ফ্যাক্ট ইয়েচুরি লাইন এর ফ্যালাসিটাই এটা। উদ্দেশ্য যদি ফ্যাসীবাদবিরোধী বৃহত্তর জোট হয়, তাহলে তিনোরা বাদ কোন যুক্তিতে? কংগ্রেসের বেলায় যদি কেরালায় কুস্তি বাংলায় দোস্তি করা যায়, তাহলে একই লজিকে তিনোদের সাথে রাজ্যে কুস্তি কেন্দ্রে দোস্তি করা যাবে না কেন?
  • cm | 127.247.99.240 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৫৫723446
  • এর উত্তর খুব সোজা,জমি ছাড়া অন্য কোন ইস্যুতে তিনোদের কোন ঘোষিত নীতি নেই। আর কংগ্রেসকে যদি প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে হয় সোশাল ডেমোক্রেসির দিকে ঘোষিতভাবে ঝুঁকতে হবে।
  • PT | 213.110.242.20 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৩১723447
  • "এর বাইরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেটা বেশ শক্ত ব্যাপার কিন্তু এ ছাড়া পথ নাই।"
    পোড়ানোর মত সাত মণ তেলও নাই তাই রাধার নাচার কোন প্রশ্নই নাই।
    তাহলে ততদিন থাকুক বিজেপি দিল্লীতে আর রাজ্যে রাজ্যে তার ক্ষমতা বাড়াক।
    পড়ে আনন্দ পেলাম যে একদা আআপ বলতে গলে মাখন হওয়া পন্ডিতেরা আআপের নামোচ্চারণও করছেন না!!
  • ranjan roy | 132.162.116.133 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৯723448
  • পিটি সত্যিই পড়া করছেন না।
    আমার পোস্টে "তাই মূলায়েম/ আম্মা/ নীতিশ কেজরি ঈখন সিপিএম এর জয়গায় তিনোকে হাওয়া দিচ্ছেন, চাই বা না চাই। "

    --কেজরির নাম নেওয়া মানে আপের নাম নেওয়া নয়?

    আর এই টইটা তো হীরকরাণীর টই নয়।এটা ঘোষিত ভাবে কমঃ কারাত, কমঃ কারাত ও তাদের আলাদা অবস্থান--আজকের বামেদের রণনীতি--ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার টই।
    তা এতে কারাতের নাম বারবার আসবে না তো কী?
  • Pinaki | 105.199.15.45 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৩৯723449
  • "এর উত্তর খুব সোজা,জমি ছাড়া অন্য কোন ইস্যুতে তিনোদের কোন ঘোষিত নীতি নেই। আর কংগ্রেসকে যদি প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে হয় সোশাল ডেমোক্রেসির দিকে ঘোষিতভাবে ঝুঁকতে হবে। "

    একেবারেই বোঝা গেল না। কংগ্রেসের কী এমন নীতি আছে যা সোশাল ডেমোক্রেসির দিকে ঝোঁকা, আর তিনোদের উল্টো? কংক্রীট উদাহরণ পাওয়া যাবে?
  • ranjan roy | 132.162.116.133 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৮723450
  • পিনাকী,
    কং কি (অঘোষিত বা ঘোষিত) কোন ভাবে ঝুঁকে আছে? বরং আজকের বাম শিবির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাসির দিকে ঝুঁকছে।
    আর ভুললে চলবে না যে তিনোরাও তৃণমূল কং; কংগ্রেসেরই স্পিন অফ। তাই অতি সহজে কং থেকে তিনোতে চলে যায়। মানস তো কং কেই তিনোদের ন্যাচারাল অ্যালি বলে ঘোষণা করেছেন। ২০১১তে এই কংগ্রেসই তিনোদের সঙ্গে মিলে বাম সরকারকে উৎখাত করেছিল।
    ভবিষ্যতে তিনোর হাত ধরলে আশ্চর্যের কিছু নেই।
    ত্রিপুরাতে কং লোকজনই তিনো হয়ে গিয়ে তিনোদের একটা লেজিটিমেসি দিয়েছে, বামেদের বিরুদ্ধে।
  • cm | 127.247.99.240 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৫৬723452
  • ঝুঁকতে হবে বললামতো। নইলে হাওয়া হয়ে যাবে। তৃণমূলের প্রধান সমস্যা দলের আভ্যন্তরীণ কাঠামোয় গণতান্ত্রিকতার বড়ই অভাব বোধ হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন