এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুদ্ধদেব বনাম শঙ্কারাচার্য্য

    ব্রতীন
    অন্যান্য | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৪৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 236712.158.566712.177 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২২729224
  • আমরা সাধারণ ভাবে যেটা জানি তা হল হিন্দু ধর্মেে প্রচুর ভুলভাল প্রথা ছিল যেমন যাগ যঙ্গ ( বানান টা কায়দা করতে পারছি না), এটা ওটা রিয়চুয়ালস - কী কী জানি না (একক, রন্জন দা,পিটি দা অন্য কেউ প্লিজ হাইলাইট করুন)।

    কিন্তু সোর্স হল মেনলি বেদ এর দুটো পার্ট - বেদান্ত আর উপনিষদ।
    হিন্দু দের একটা অংশ
    তিতিবিরক্ত।

    এই অবসৃহায়
    বুদ্ধদেব মার্কেট এ এলেন। তারপরে .....
  • Atoz | 236712.158.678912.107 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৬729235
  • একধরণের যজ্ঞকে বলা হত সোমযাগ। সেখানে প্রচুর সোমরস ব্যবহার করা হত মনে হয়।
    বহু যজ্ঞে পশুবলি দেওয়া হত। সেটাই বুদ্ধের প্রধান বিরোধিতার জায়্গা ছিল। এত পশুবলির উনি প্রচন্ড বিরোধিতা করেন।
    সেই যে জয়দেবের লেখায়, "নিন্দসি যজ্ঞ বিধেরহহ শ্রুতিজাতম্‌/ সদয় হৃদয় দর্শিত পশুঘাতম্‌ / কেশব ধৃত বুদ্ধ শরীর / জয় জগদীশ হরে।"
  • | 237812.69.453412.44 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১২729246
  • ধন্যবাদ আটোজ। আমি শালা একটা ইয়ে আসল লোকের ই নাল লিখতে ভুলে গেছি।

    গুড ইনফো আটোজ।আরে একটু
    পড়াশোনা করো এই ব্যাপারনটাই আমার দারুন উতসাহ
  • Atoz | 236712.158.788912.174 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৫729257
  • আরে না না ব্রতীন, আতোজ দুটো ফচকেমি করেছে বলে কি আর তত জানে? এসব ব্যাপারে অর্থাৎ বুদ্ধ ও শঙ্করাচার্য্যের ব্যাপারে অথরিটি হলেন শিবাংশুদা। উনি একেবারে সাইটে গিয়ে গিয়ে সব দেখেশুনে আসেন, তারপরে লেখেন।
  • | 237812.68.454512.228 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৩০729268
  • ইয়েস।
    দাঁড়াও
    ধরে
    আনছি শিবাংশু দা কে
  • Arin Basu | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৯729279
  • @ব্রতীন ও @Atoz: "একধরণের যজ্ঞকে বলা হত সোমযাগ। সেখানে প্রচুর সোমরস ব্যবহার করা হত মনে হয়।
    বহু যজ্ঞে পশুবলি দেওয়া হত। সেটাই বুদ্ধের প্রধান বিরোধিতার জায়্গা ছিল। এত পশুবলির উনি প্রচন্ড বিরোধিতা করেন।"

    এই কথাগুলো দারুণ তাত্পর্যপূর্ণ। বুদ্ধদেবের দেখানো পথের অনুগামী হয়ে আমিও না হয় দু পয়সা দিই, :-)।

    শাক্যমুনি গৌতম যখন বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হননি, তিনি তখন ২৪ বছর বয়সী রাজপুত্র, ক্ষত্রিয়সন্তান,বিবাহিত, এক সন্তানের জনক, রাজত্ব পাবেন, প্রায় স্থির । (প্রায় সমসাময়িক মহাবীর জিন (জৈন ধর্মের সংস্থাপক), ইনিও ক্ষত্রিয়।), এটাও ঠিক যে গৌতম/সিদ্ধার্থ (এখন আমরা তাঁকে এই নামেই জানব, ক'দিন পরে তিনি বুদ্ধদেব হবেন), বাল্যকাল থেকেই বিষন্ন প্রকৃতির, মা-হারা সন্তান, মাসির কাছে মানুষ। কিন্তু এহেন যুবক মন্ত্রী উদায়ীকে কেন বলছেন সব ছেড়ে দিয়ে রাজপুরী থেকে বেরিয়ে যাবেন? সমাজ বা মনের কোন জায়গা থেকে জরা, মৃত্যুর অবলোকন, তাঁকে ভাবায় যে এই পৃথিবীর সবকিছু অনিত্য। প্রাচুর্যে লালিত রাজপুত্রের বিরক্তি কোথা থেকে আসছে? একজন রাজার ছেলে বেরিয়ে যাচ্ছেন রাজপুরী থেকে, এবং অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিত পড়লে বুদ্ধত্ব প্রাপ্তির পর (এর মধ্যে পাঁচ বছর কেটে গেছে):

    “অটল উপস্থিতিতে ঋজু পদক্ষেপে তিনি নগরে প্রবেশ করে, মহাসন্ন্যাসীর প্রথানুযায়ী অন্নভিক্ষা করতেন, তৃপ্ত নিবিষ্ট মনে তদ্গত চিত্তে, কম ভিক্ষা পেলেন না বেশী ভিক্ষা পেলেন তা নিয়ে কোনরূপ চিন্তা ছিল না; যা পেতেন, মূল্যবান হোক, সামান্য হোক, তাকে ভিক্ষাপাত্রে রাখতেন, তারপর অরণ্যে ফিরে গিয়ে সেই অন্ন গ্রহণ করতেন ও তরণীর জলপান করতেন, অতঃপর আনন্দিত চিত্তে পর্বতে অধিষ্ঠান করতেন।”
    পূজ্যপাদ অশ্বঘোষ লিখেছেন,
    অলোলচক্ষুর্যুগমাত্রদর্শী নিবৃত্তবাক্যমত্রিতমন্দগামী
    চচারভিক্ষম সা তু ভিক্ষুভার্যনিদায় গাত্রাণী চলঞ্চচিত"
    (আমি বেশ কয়েক বছর আগে বুদ্ধদেবের জীবনীর অনুবাদ করেছিলাম, :-), সেখান থেকে তুলে দিলাম)

    বুদ্ধ ও মহাবীর জিন, দুজনেই ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চরিত্র । বুদ্ধদেবের বেলায় সেই প্রতিবাদ মূর্ত হয় যেদিন তিনি শ্রমণ হলেন, শুধু তাই নয়, পরিব্রাজক ভিক্ষু শ্রমণের ট্র্যাডিশন, যে ঘর থেকে বেরিয়ে, অনেকে মিলে সংঘ সংস্থাপন করে সমবেত ধর্মের পথে চালিত করার পুরো স্ট্রাকচারটার মধ্যে সমস্ত ট্র্যাডিশন ভেঙে বেরিয়ে এলেন। বেরিয়ে এলেন তো বটেই, অপেক্ষাকৃত তরুণ ও যুবকদের ঘরছাড়া করলেন, সংঘ গড়লেন। একটা ব্রাহ্মণ কন্ট্রোলড এলাহী কায়েমি ধর্মের ঘেরাটোপ থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসার অনুপ্রেরণা দিলেন, রাস্তা দেখালেন (যার জন্য অষ্টাঙ্গ-মার্গ, শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করুন)।

    এবং এই জায়গাটিতে পরপর সোমযাগ, সোমরস, পশুবলি আর সেখানে বুদ্ধের বিরোধিতার জায়গাটা কত প্রবল, বৌদ্ধধর্মের একেবারের প্রথম দিকে প্রণীত "অঠ্ঠাকভগ্গ" (ক্ষুদ্দক নিকায়ের অন্তর্গত, ত্রিপিটকের প্রথম ভাগ), পড়লে বোঝা যাবে। সে গ্রন্থের একেবারে প্রথম পংক্তিটিতে দেখুন,
    "“
    When desire for sensual pleasure
    Is fulfilled
    One will surely be delighted.
    —The mortal’s obtained what the mortal wanted.

    But if this pleasure fades away,
    The person with this desire,
    —Who gives birth to this desire—
    Is pained as if pierced by an arrow.

    Sidestepping sensual desire
    —As one would the head of a snake with one’s foot—

    “Through greed for fields, goods,
    Gold, cows and horses,
    Servants, women, relatives,
    And lots of sensual pleasures,”

    (Gil Fronsdal. “The Buddha before Buddhism.” )

    শেষের চারটে লাইন লক্ষ্য করুন, জমি, ধনসম্পদ, স্বর্ণ, গাভী, ..., sensual pleasures, ব্রাহ্মণ্যবাদের স্ট্যাটাস কো, তার বিরুদ্ধে সরাসরি টেনে কথা বলা।

    গৌতমের গৃহত্যাগের সময় নাকি মহারাজ বিম্বিসার শুদ্ধোদনকে নাকি বলেছিলেন, দেখি কতদিন টেকে।

    ২৫০০ বছর তো টিকে গেল। আরো শ পাঁচেক বছর গেলে নতুন মৈত্রেয়র আসার অপেক্ষা, :-)
  • :-/ | 237812.68.9008912.108 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০০729290
  • “তরণীর জলপান করতেন”। এর অর্থ?
    তরণী মানে নৌকা এবং উইদাউট স্পেস জলপান ইজ ইক্যুইভ্যালেন্ট টু জলখাবার।

    তটিনীর জল পান করতেন বললে তবু অনুবাদের কিছু মানে হলেও হতে পারে।

    বাণী বসুর উপন্যাসের শেষে যদ্দুর পড়েছিলাম মৈত্রেয়র আসতে আরও আড়াই হাজার বছর দেরী।

    আর টইএর নামটা কেমং যেন। এঁদের আসা পরস্পরকে কপ্লিমেন্ট করতে, “বনাম” আবার কী?
  • Arin Basu | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০৭729298
  • ঠিক বলেছেন, অনুবাদটা হাবিজাবি।
    ২৫০০ বছর, ৫০০ বছর, মৈত্রেয়ের আসা নিয়ে এত রকমের চিন্তাভাবনা আর ক্লেম যে এর শেষ নেই। আপনি হয়ত ঠিকই বলেছেন, ২৫০০ বছরই হবে, কাল অনন্ত। আমিও মনে করে উঠতে পারছি না ৫০০ বছরের হিসেবটা কোথা থেকে পেয়েছি। :-)
  • শিবাংশু | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:০৯729299
  • 'বুদ্ধ' বিষয়ে কিছু লিখতে গেলে ঠিক করে নিতে হবে, 'কোন বুদ্ধ'?

    মানব বুদ্ধ, ইতিহাসের বুদ্ধ,পুরাণের বুদ্ধ, অশ্বঘোষের বুদ্ধ, মহাযানের বুদ্ধ, থেরবাদের বুদ্ধ, জাতকের বুদ্ধ, তন্ত্রের বুদ্ধ, বিষ্ণুর নবম অবতার বুদ্ধ, য়ুরোপিয় বুদ্ধ, সহজিয়া বুদ্ধ? প্রতিটি কিন্তু ভিন্ন প্রপঞ্চ। এদেশ থেকে একেবারে উধাও হয়ে যাবার পর, দুশো বছর আগে সাহেবরা যখন বুদ্ধকে আবার এদেশে ফিরিয়ে আনেন, তাঁরাও খুব অসহায় বোধ করতেন। 'কে বুদ্ধ' এই প্রশ্নটি তাঁদের দীর্ঘদিন তাড়না করেছে।

    'ভারততত্ত্ব' নামক সামগ্রিক জ্ঞানচর্চার একটি সুবিপুল শাখার কেন্দ্রে আছে বুদ্ধচর্চা। 'ভারতবর্ষ' নামের ধারণাটি সন্ধান করতে গেলে আর অন্য কিছু চর্চা না করে যদি গভীরভাবে বুদ্ধচর্চা করা যায় তবে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যাবে। এভাবে বিচ্ছিন্ন আলোচনায় কোথাও পৌঁছোনো যাবেনা।

    রঞ্জনকে যদি এই আলোচনায় আনা যায় তবে খুব ভালো হয়। ওঁর বুদ্ধ সম্বন্ধে নির্ভেজাল আগ্রহ আছে। সত্যি কথা বলতে কি আমার 'বুদ্ধ-এক অনন্ত অডিসি' বইটি তিনি আমার থেকেও বেশি অভিনিবেশ নিয়ে পড়েছেন এবং বিভিন্ন পরিসরে আলোচনাও করেছেন।
  • অরিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩০729225
  • @শিবাংশু: "মানব বুদ্ধ, ইতিহাসের বুদ্ধ,পুরাণের বুদ্ধ, অশ্বঘোষের বুদ্ধ, মহাযানের বুদ্ধ, থেরবাদের বুদ্ধ, জাতকের বুদ্ধ, তন্ত্রের বুদ্ধ, বিষ্ণুর নবম অবতার বুদ্ধ, য়ুরোপিয় বুদ্ধ, সহজিয়া বুদ্ধ? প্রতিটি কিন্তু ভিন্ন প্রপঞ্চ। "

    আবার সেখানেও ... অক্ষোভ্য বুদ্ধ, অমিতাভ বুদ্ধ, সম্ভোগকায়, নির্মাণকায়, ধর্মকায় অমিতায়ু বুদ্ধ, রত্নসম্ভব, বৈরোচন, ...
  • শিবাংশু | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:২৫729226
  • @অরিন,
    উল্লেখিত নামগুলি মহাযানী 'দেবতা' বুদ্ধের বিভিন্ন সংস্করণ। তাঁদের সঙ্গে শাক্যমুনি বুদ্ধের ন্যূনতম সম্বন্ধও নেই।
  • ৱঞ | 237812.69.5656.195 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৩729227
  • বুদ্ধদেব = লেনিন, শংকর =ইয়েলৎসিন
  • | 236712.158.676712.134 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৩729228
  • অরিণ দা অনেক ধন্যবাদ। আরো দু/ তিন বার পড়তে হবে
    আত্মীকরণ করতে।
  • | 237812.68.454512.144 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০২729229
  • শিবাংশু দা খুন অকুপায়েড। এই বই মেলায় ওনার নতুন বই আসছে হিন্দু দের প্রধান
    পাঁচ দেব দেবী নিয়ে। যথা দুর্গা, কালী, সরস্বতী আর ব্রহ্মা কিন্তু বিষ্মু নয়।

    সেটা নিয়ে কথা হল।

    সেটা নিয়ে পরের পোস্ট লিখছি এখন বাইরে।
  • র২হ | 236712.158.455612.192 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:১৫729230
  • @:-/ 04 Dec -- 09:00 AM - ও কিছু না, ব্রতীনদার একটু বনাম না হলে জুত হয় না। কিন্তু টইটা হয়েছে ভালো।

    এমনিতে সোমযাগ তো বেশ জিনিস মনে হচ্ছে। যত সোমরস তত ভালো। কোন সাহেবের যেন বেশ ব্যাকাস পুজোর ছবি আছে। ওদিকে চণ্ডীতে যে আছে, টুকুনি দাঁড়াও বোকা__, দু’পাত্তর সাবড়ে দিয়েই পেঁদিয়ে বৃন্দাবন দেখাচ্ছি - কি যোশ। সোমরস না থাকলে কি হতো? পশুবলি দেখতে শুনতে খুব খারাপ। কিন্তু একটু সাত্ত্বিক মতে রান্না করলে খেতে ভালো।

    ওদিকে বুদ্ধদেব জরা ব্যধি মৃত্যুর কোন সুরাহা তো করলেন না, খামোখা অহিংসা টহিংসা চৌষট্টি ফৈজৎ।

    শংকরকে নিয়ে বিশেষ কিছু জানি না। না জেনে নিন্দে করাটা ঠিক হবে না। এই টই পড়ে কিছু জানা যায় কিনা দেখি।
  • মানিক | 890112.162.674523.124 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:২০729231
  • বুদ্ধ এত পশুবলির বিরোধী ছিলেন, কিন্তু আজকে সব বৌদ্ধ দেশেই প্রচুর মাছ মাংস খাওয়া হয়। শ্রমণরা অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরামিষ খান।

    প্রশ্ন হল, বুদ্ধের প্রভাবে যদি ভারত নিরামিষাশী হয়ে থাকে, তাহলে থাইল্যান্ড, চীন, জাপান বা শ্রীলংকা হল না কেন? ভারতেও নেপাল বা বাংলা নিরামিষাশী হয় নি। বিহারের ব্যাপারটা ঠিক জানিনা। কিন্তু এক বন্ধু বলেছিল ওরা নাকি গুজ্জুদের মত ততটা ভেজু না।
  • Atoz | 236712.158.678912.221 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৪৪729232
  • বৌদ্ধধর্ম অবলম্বন করল অন্যান্য নানা দেশ। ভারত সনাতন ধর্মেই থেকে গেল মোটামুটি। এর কারণ নিশ্চয় কিছু আছে, খুবই গুরুতর কারণ!
  • Atoz | 236712.158.678912.221 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৪৯729233
  • বাংলার নিরামিষাশী হতে পারা সোজা না। দরিদ্র জনসাধারণের পুষ্টির বেশিরভাগটাই আসতো নানারকম মাছ, কাছিম, শামুক, গুগলি, কাঁকড়া, চিংড়ি থেকে। এগুলো সহজলভ্য ছিল। বছরের কোনো কোনো সময় যখন আর কিছু সহজে মিলত না, তখনও এগুলো মিলত জলের দেশ বাংলায়। এ জিনিস ছেড়ে দিলে তো অপুষ্টি, অনাহার আর অস্বাস্থ্যে আক্রান্ত হবে!
  • Atoz | 890112.162.783423.147 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০০729234
  • বুদ্ধের ব্যাপারটা মনে হয় যজ্ঞে পশুবলির প্রসঙ্গেই। এমনি খাদ্যের জন্য পশুমাংসে আপত্তি করেছিলেন কি? অনেক বনচারী নৃগোষ্ঠী তো বনের পশু শিকার করেই খেত। তাদেরও তো বৌদ্ধমতে গ্রহণ করতেন শোনা যায়।
  • Atoz | 236712.158.678912.29 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২১729236
  • এক বর্ষীয়ান সেনাপতির কাছে গিয়ে রাজপুত্র বলছেন, " এই যে প্রতি বছর শুষ্ক দিনে নদীর জলের অধিকার নিয়ে আত্মীয়ে আত্মীয়ে যুদ্ধ, এ আর সহ্য হচ্ছে না। আমি আর যুদ্ধ করতে চাই না।"
    সেনাপতি বললেন, "কিন্তু তুমি যুদ্ধ না করলে জাতিদ্রোহী বলবে তোমাকে। আরো কিছুও করতে পারে। অনেক ঝামেলা হবে তোমার।"
    রাজপুত্র তবু বলেন, "সে আমাকে যা খুশি বলুক, মেরে ফেলুক, তাতেও কিছু এসে যায় না। এইভাবে আত্মীয়হত্যা করতে আর আমার প্রাণ চায় না।"
    সেনাপতি বললেন, "রাজপুত্তুর, তোমার অভিজ্ঞতা কম, কাঁচা মন, নরম হৃদয়, তাই আবেগের বশে এইসব বলছ। তুমি ক্ষত্রিয়, যুদ্ধ তো তোমার কর্তব্য। তাতে আত্মীয়পর দেখলে চলবে কেন? জ্ঞাতি হলেও তারা যখন শত্রুপক্ষে, তখন তো তারা শত্রুই। আরে গীতাটা পড়লেও তো পারো! মহাভারতটা তো জানো। "
    কিন্তু রাজপুত্র ম্রিয়মান, বলেন, "সে আপনি যাই বলুন, আমার সহ্য হচ্ছে না। এত হত্যা, এত যুদ্ধ, অনর্থক। কোনো উপায় নেই এসব থামানোর? অন্য কোনো সমাধান নেই?"
    "আরে সমাধান করতে পারলে কি আর এরকম করতে হয় ফি বচ্ছর? তুমি যুদ্ধ না করলে শুধু তুমি বিপদে পড়বে তা না, তোমার বংশটাকেও তখন জাতিদ্রোহী আখ্যা দেবে। তোমার নির্দোষ বাপখুড়ো ভাইবোনেরা ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাবে। তাই চাও?"
    রাজপুত্র শিউরে ওঠেন, বলেন, "না না। তা চাই না। কিন্তু যুদ্ধ করতেও চাই না। কোনো উপায় কি নেই আমার?"
    সেনাপতি অধৈর্য্য হয়ে বলেন, " তবে যাও, সন্ন্যাস নাও। তাহলে আর সংসারজীবনের কোনো দাবী তোমার উপরে খাটবে না। "
    রাজপুত্র শুনে লাফিয়ে উঠে বর্ষীয়ান সেনাপতির গলা জড়িয়ে ধরলেন। এমন সুযুক্তি তাঁর মাথায় আসে নি কেন?
    সেনাপতি সিরিয়াসলি বলেন নি, তিনি ঘাবড়ে যান। বলেন, "আরে সত্যি সত্যি না, এমনি বলেছিলাম। তা কেউ পারে নাকি?"
    রাজপুত্র লাফাতে লাফাতে বলেন, "পারে মানে? সেটাই হবে। আরে সেটাই তো হবে। কালই আমি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস নেবো। "

    তারপরে কী হইল, জানে শ্যামলাল। ঃ-)
  • অরিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২২729237
  • ভারি চমত্কার আলোচনা হচ্ছে।

    @শিবাংশু: "উল্লেখিত নামগুলি মহাযানী 'দেবতা' বুদ্ধের বিভিন্ন সংস্করণ। তাঁদের সঙ্গে শাক্যমুনি বুদ্ধের ন্যূনতম সম্বন্ধও নেই।"
    হ্যাঁ, তাই তো, কিন্তু আপনি যেহেতু 'বু্দ্ধ' বলতে কাকে বোঝান হচ্ছে লিখেছিলেন, সেইজন্য ওই নামগুলো লিখলাম।

    তবে আমি যতদূর তিনটে নিকায় ক্ষুদ্দকনিকায়া, মঝ্ঝিমানিকায়া, দীঘনিকায়া (সবকটাই ইংরে্জী অনুবাদ, মূলত ভিক্ষু বোধির করা,আরো অন্য কতগুলো বই) পড়ে দেখেছি, "বু্দ্ধ"র বংশলতিকার কনসেপ্ট আমি কিছুই বুঝতে পারি না। কেমন যেন একেক জায়গায় একেক রকম।

    একটা উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন ধরুন, আপনি যদি ক্ষুদ্দ নিকায়ার বুদ্ধবংশ চ্যাপটার (?? নাকি বই) দেখেন, সেখানে ২৪ জন বুদ্ধের কথা বলা আছে যাঁরা বারো কল্পে গোীতম বুদ্ধের আগে অবতীর্ণ (??) হয়েছিলেন (দীপংকর, কোন্ডন্ন, মঙ্গল, সুমন, রেবত, শোভিত, অনমদর্শী (অনমদশশি), পদুম (প্রদ্যুম্ন??), নারদ, পদুমুত্তর (??), সুমেধ, সুজাত, প্রিয়দর্শী (পিয়দশ্শী), অথ্থদশশী, ধম্মদশ্শী, সিদ্ধাথ্থ (এ কিন্তু আমাদের সিদ্ধার্থ গৌতম নন), তিষ্য, ফুষ্য (?? কেমন যেন চাইনিজ চাইনিজ, কারণ চৈনিক আগম ??, :-) ), বিপাশ্যি, শিখি, ভেশশাভু, কাকুসন্ধ, কোংগমন, কশ্যপ), তার পর আসবেন গৌতম বুদ্ধ। তাঁর পর মৈত্রেয়। আবার দীঘ্ঘনিকায়ায় কেবল শেষের ছ'টা নাম পাওয়া যাচ্ছে।

    শিবাংশুবাবু, যদি, ব্যাপারটিতে একটু আলোকপাত করেন তো বড় ভাল হয়।

    @মানিক: "বুদ্ধ এত পশুবলির বিরোধী ছিলেন, কিন্তু আজকে সব বৌদ্ধ দেশেই প্রচুর মাছ মাংস খাওয়া হয়। শ্রমণরা অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরামিষ খান।" , @Atoz, : "(বুদ্ধদেব) খাদ্যের জন্য পশুমাংসে আপত্তি করেছিলেন কি?"

    আমি যতটুকু পড়েছি, বু্দ্ধদেব নিজে মাংস খাওয়া না খাওয়া নিয়ে বাছবিচার করতেন বলে মনে হয় না, শ্রমণদের জীবনযাত্রায় সেটা সম্ভবও ছিল না কারণ তিনি নিজে ও ভিক্ষুরা গৃহস্থ বাড়িতে গিয়ে সদ্ধর্ম বিষয়ে আলোচনা করতেন, তারপর সেই গৃহস্থ যা দিতেন, তাই তাঁরা আনন্দকরে নিয়ে এসে মিলিয়ে মিশিয়ে খেতেন। তো বাছবিচার করার জায়গাটা কোথায়?

    আবার এদিকে:

    সদ্ধর্ম পালন বা ধ্যান করার পাঁচটা প্রাথমিক শর্তাবলী আছে: (বোধিসত্ত্বের পাঁচ precept) (মোটামুটি এই রকম ধরুন):

    ১| কোনভাবে প্রাণ হত্যা করা চলবে না, (প্রাণী)-হিংসা নিষিদ্ধ!
    ২| যা আপনার নিজের নয়, যা আপনাকে দেওয়া হয়নি, যা আপনার প্রাপ্য নয়, তাকে নিজের বলে চালাবেন না (চুরি টুরি চলবে না)
    ৩| মিথ্যা কথা, বাজে কথা বলা, একদম নয়!
    ৪| অবৈধ, বা অনৈতিক যৌন সংসর্গ (??) নিষিদ্ধ!
    ৫| নেশা, বা যাতে নেশা হয়, নিষিদ্ধ।

    এখন এরকম নিয়ম পালনের কারণও আছে, কারণ বৌদ্ধ দর্শণে 'যথাযথ দেখার ও চিন্তার' একটা সাংঘাতিক ইম্পর্ট্যান্স, কাজেই যে কোন রকমের distraction থেকে যত দূরে থাকা যায়।

    এবার আপনি যদি 'শপথ' নেন, যে, আপনার কারণে কোন প্রাণহত্যা হবে না, তাহলে প্রাণী বধ করে তার মাংস খাচ্ছেন, এ ব্যাপারটা গোটা ভাবে প্রথম শর্ত টাই লাঘব করছে। অতএব গাছের ফল বা শস্য কেন্দ্রিক খাদ্য গ্রহণ করাই বিধেয়। যার জন্য বহু বৌদ্ধ আলু বা ওইরকম খাবারও খেতে চান না, কারণ মাটি খুঁড়ে আলু/গাজর, বের করতে গেলে পোকা মাকড় মারা যেতে পারে। সে যাই হোক, বুদ্ধদেবের খুব সম্ভবত অনুশাসন ছিল যে কেউ শুধু তার নিজের সুখহেতু, অন্যপ্রাণ হত্যা করে তাকে খেতে পারবে না, যে কারণে যজ্ঞে পশুবলির ব্যাপারটা খুবই প্রাসঙ্গিক। তার মানে আপনি যদি 'পারেন' তাহলে মাছ মাংস খাবেন না, কিন্তু কোন জবরদস্তির ব্যাপার নেই। যেখানে সম্ভব নয়, কি করবেন?
  • Atoz | 890112.162.893423.112 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩৬729238
  • কিন্তু যদি লোকে বলে, "নৌকা চলতে পারবে না, এত মাছ হবে। তাই জাল ফেলে ধরে খেয়ে নিই। "
    "এত ছাগল, মাঠ ভরে শুধু ছাগল আর ছাগল। চলা যায় না, ছাগলের গায়ে ধাক্কা লাগে। গাছপালা মুড়িয়ে খেয়ে সব শেষ করে দিল রে। ছাগল মেরে খেয়ে নিই। "
    ঃ-)
  • | 236712.158.676712.20 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১১729239
  • শঙ্করাচার্য্য কে

    " প্রচ্ছন্ন বুদ্ধ "
    বলা হয় ।

    কেন কাল লিখবো
  • :-& | 237812.68.343412.29 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৩729240
  • না শঙ্করকে না, তাঁর গুরুর গুরু গৌড়পাদকে বলা হয় অজাতবাদ তত্ত্বের জন্য।
  • অরিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:১২729241
  • @atoz: "কিন্তু যদি লোকে বলে, "নৌকা চলতে পারবে না, এত মাছ হবে। তাই জাল ফেলে ধরে খেয়ে নিই। "
    "এত ছাগল, মাঠ ভরে শুধু ছাগল আর ছাগল। চলা যায় না, ছাগলের গায়ে ধাক্কা লাগে। গাছপালা মুড়িয়ে খেয়ে সব শেষ করে দিল রে। ছাগল মেরে খেয়ে নিই। "

    মোক্ষম যুক্তি।

    তবে কিনা একই যুক্তি দিয়ে (কু)লোকে যদি বলে, ভাবে ও করে, "ওরা বড্ড বেড়েছে, এতদূর বেড়েছে যে আমাদেরই "ডিসপ্লেস" করে দিচ্ছে, যাই সাবমেশিনগানটা ঝেড়ে মুছে বের করে কটাকে সাবাড় করে দিই!" তখন কি বলবেন? মানুষের ক্ষেত্রে এক নিয়ম, আর ছাগলের ক্ষেত্রে নিয়ম অন্যরকম?

    এইখানে বৌদ্ধধর্মের দুটো থিওরী আছে, যেখান থেকে হিংসা (শরীর, মন, বাক্য) পরিহার করার একটা কেস খাড়া করা যায়।
    এক, আমাদের কারো আলাদা করে "আমি" বলে কোন অস্তিত্ব হতে পারে না ("অনাত্ত") । আমার শরীরের, আমার মনের, কোনটা আমি? কোনটাই নই, সবটাই? আমার শরীরের মধ্যে কোথায় আমি? জগতের সমস্ত কিছুই একটা সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের "চিরকালীন" পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চলেছে। প্রতিটি শ্বাস আমার শেষ শ্বাস হতে পারে, হয় নি কি আশ্চর্য, প্রতিটি দিন আমার নশ্বর শরীরটাকে কালক্রমিক শেষ দিনটির দিকে নিয়ে যায়।

    এ তো একটা দিক। এক থেকেও যে কথাটা বড়, আপনি না থাকলে আমার আলাদা করে কোন অস্তিত্ব নেই। অতএব, আমাদের "প্রতীচ্চসমুপপদ", "dependent arising", শূন্যতা থাকলে তবেই পূর্ণতার প্রকাশ। প্রতিটি প্রাণ, প্রতিটি অপ্রাণ, আমরা প্রত্যেকে একে অন্যকে পূর্ণ করছি, প্রতি মুহূর্তে। যে শ্বাস আপনি নিচ্ছেন, যে প্রশ্বাস আপনার শরীর থেকে নির্গত হল এইমাত্র, সে আর কারো শরীর ছুঁয়ে আপনার কাছে এসেছিল, আপনার শরীরে সে কিছুক্ষণ ছিল, এবার সে অন্য একটি শরীরে প্রবেশ করবে, :-)।

    এই যে গোটা জগতের ব্যাপার, যেখানে আমি আপনি আলাদা করে কেউ কোথাও নেই, অথচ আছি, এবং অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে, সেখানে শুধুই মৈত্রী, প্রীতি, আর করুণা (empathy) ছাড়া আর কিই বা বাস্তব? থিক নাট হান একে "interbeing" বলেন।

    এই worldview/lebensraum মানলে পরস্পর বৈরিতার জায়গাটা কোথায়?
  • Atoz | 236712.158.678912.29 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৬729242
  • কিন্তু খেতে তো হবে! জীবনরক্ষার জন্য। আমিষ বা নিরামিষ যাই খাওয়া হোক না কেন, সবই তো জীব! প্রাণীহত্যা বা উদ্ভিদহত্যা ---সবই তো জীবহত্যা ।
  • Atoz | 236712.158.678912.149 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৪729243
  • আর, "মৈত্রী, করুণা ও ভালোবাসা"র দ্বারাই যদি খাওয়া হয়, তাহলে প্রাণীই বা কী, উদ্ভিদই বা কী? সবই সমান!
  • b | 236712.158.786712.195 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৫২729244
  • এই আমিষ নিরামিষ খাদ্যাখাদ্য ভেদ বিচারে জৈনরা অনেক বেশি গোঁড়া। বৌদ্ধদের থিওরী জানি না, তবে এক জৈন বন্ধুর সাথে কথায় বলছিলোঃ যে কোনো জীবেই ইন্দ্রিয় আছে। কারুর এক, কারুর দুই।এরকম করে পাঁচ অবধি। প্রাণীদের একের চেয়ে বেশি। যারা একেন্দ্রিয় (শুধু স্পর্শেন্দ্রিয় আছে) তাদের আহারার্থে ( নির্বিচারে নয়) হত্যা করা যেতে পারে।

    এখন যদি বলেন কি করে বুঝলেন মশায় গাছ শাকসবজীর শুধু একটাই ইন্দ্রিয়, তবে আমি জানি না। জৈনদের বলুন গে'।
  • Atoz | 236712.158.788912.174 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৫৬729245
  • জৈনদের নিয়মে তো গাজর, আলু, মিষ্টিআলু, মুলো, শালগম, শাকালু ইত্যাদি ইত্যাদি যা যা মাটির নিচ থেকে তুলতে হয়, সবই নাকি আমিষ!
  • b | 236712.158.786712.117 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:০০729247
  • না। ওগুলো তুললে প্রাণীহত্যা হবে (পিঁপড়ে ও আরো পোকা মেরে ফেলতে পারেন)। তাই নিষিদ্ধ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন