এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আওধের শেষ নবাব?

    অরিন
    অন্যান্য | ২৫ নভেম্বর ২০১৯ | ২২৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | 8990012.41.893423.117 | ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২১729384
  • সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে এলেন বেরীর আওধ এবং এক পরিবারের গল্প নিয়ে একটা লেখা বেরিয়েছে, পড়েছেন হয়ত। লেখাটা শেয়ার করছি:
    https://www.nytimes.com/2019/11/22/world/asia/the-jungle-prince-of-delhi.html

    "দিল্লির রেল স্টেশনে ১৯৭০ এর কোন এক বসন্তে বিলায়ত নাম্নী জনৈকা বেগম এসে উপস্থিত, তিনি আওধের শেষ বেগম বলে নিজেকে দাবী করলেন। বেগম দাবী করে বসলেন যতদিন না তাঁকে তার বিষয়সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তিনি স্টেশনের ভি আই পি ওয়েটিং রুম ছাড়বেন না। এলেন বেরী লিখছেন,
    "She settled in the V.I.P. waiting room, and unloaded a whole household there: carpets, potted palms, a silver tea set, Nepali servants in livery, glossy Great Danes. She also had two grown children, Prince Ali Raza and Princess Sakina, a son and a daughter who appeared to be in their 20s. They addressed her as “Your Highness.

    ...
    The begum was an arresting-looking woman, tall and broad-shouldered, with a face as craggy and immobile as an Easter Island statue. She wore a sari of dark, heavy silk and kept a pistol in its folds. She and her children settled on red plastic chairs, and waited. For years.


    শুধু কি তাই?
    "The begum’s behavior was imperious and dramatic. She refused direct conversation, demanding that queries be written on embossed stationery, placed on a silver platter and carried to her by a servant, who read them aloud. If the station master gave her any trouble, she threatened to kill herself by drinking snake venom."

    এসব ক্ষেত্রে যা হয়, সে সময়ের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বেগমকে তুষ্ট করার কম চেষ্টা হয়নি, তবু ভবি ভোলবার নয়,
    "In 1975, that (১০, ০০০ টাকা) was a big sum, ... But she got angry and threw the envelope. The notes were flying everywhere, and my public relations officer had to catch this note here, that note there. She said no, she would not go, the amount was very little.”

    In the months that followed, Mr. Rizvi tried to persuade the begum to accept a four-bedroom house in Lucknow, but she refused, saying it was too small.

    He was getting anxious. Muslims were mobilizing; once, Mr. Rizvi visited during Muharram, an annual ritual of mourning, and found her surrounded by pilgrims, flagellating themselves with chains to which razor blades had been attached."

    শেষে ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী বেগম আর তাঁর ছেলেমেয়েদের থাকার জন্য দিল্লিতে জঙ্গলে ঘেরা একটি পুরনো কেল্লায় থাকার বন্দোবস্ত করে দেন। এর পরের ইতিহাস বা গল্প যাই বলুন, ভারি বিচিত্র। প্রতি বছর একজন করে বিদেশী সাংবাদিককে নাকি তাঁরা ডেকে সাক্ষাতকার দিতেন। এলেন ব্যারীর ডাক এসেছিল ২০১৬ সালে, যখন বেগমের পুত্র সাইরাস তাঁকে সাক্ষাতকার নিতে ডাকেন।

    কিন্তু গল্পটার টুইস্ট অন্যত্র। ভারত থেকে বিদায় নেবার পর ব্যারী সাইরাসের মারা যাবার খবর পান, এবং তারপর পরিবারের খোঁজখবর করতে অযোধ্যায় যান, সাইরাসের পুরনো কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন যে সেই পরিবারকে নিয়ম করে বিলেত থেকে কেউ অর্থসাহায্য করত। ব্যারী লিখছেন,
    "I returned to Lucknow, and took a cab to a warren of residential streets tucked behind the grand shrines and palaces of the old city.

    This is where I had encountered witnesses who could remember Cyrus and his family. Horses pulled carts through the narrow lanes, and I could hear tinny music playing on a radio. Nostalgia for Oudh was a cottage industry here. Everywhere I went, I saw the image of the last nawab, Wajid Ali Shah, his expression dreamy, one nipple poking out of his shirt.

    Then there were the descendants. Because Wajid Ali Shah had hundreds of wives and concubines, people identifying themselves as descendants are all over the place in Lucknow, fighting like polecats over the veracity of one another’s claims.

    When I asked about the family, I encountered instant recognition: Yes, three of them had moved into this complex for a few months in the 1970s"

    দেশভাগের এক বিচিত্র কাহিনি, এ এক অদ্ভুত ইতিহাসের আলো-আঁধারির খেলা। খুঁজতে গিয়ে ব্যারী গেলেন ইয়র্কশায়ারে শাহিদ নামে সাইরাসের এক ভাইয়ের বাড়ি।
    "I took a train to Bradford, and walked to the address on the envelope. It was a gray, windblown day, and the walk took me past pawnshops, cheap Chinese takeout joints and dinky rowhouses of yellow brick, nearly all of them occupied by immigrants from India and Pakistan.

    I arrived, finally, at a small, neat brick house that was surrounded by a large collection of ceramic garden gnomes, teddy bears, Yorkies, mermaids and fairies.

    I was so nervous that I paced in front of the house for a while before ringing the bell.

    The door swung open, and before me stood a man in tiger-print pajamas. He was barrel-chested and broad-shouldered, and looked to be in his mid-80s. He did not look well: His eyes were rheumy, his chest sunken.

    But he had Cyrus’s face, the same jutting cheekbones and hawk nose."

    আসলে এরা কেউ আওধের নবাব পরিবারের কেই ছিল না, কোনকালে। সাইরাস, "was plain old Mickey Butt"

    একটা দেশ ছিল। তাকে টুকরেো টুকরেো করতে গিয়ে নানান সর্বনাশের এও এক গল্প। পড়তে গিয়ে মনে হল এ কাহিনি অনায়াসে সাদাত হাসান মান্টো লিখতে পারতেন।
    "Wilayat followed her husband, Shahid told me, but she never accepted his decision to leave India. She was obsessed with what she had left behind. In her mind, the grudge sprouted and germinated, and her behavior became volatile. Then her husband suddenly died. Now with all restraining influence on her gone, furious over the expropriation of her property, she accosted Pakistan’s prime minister at a public appearance, Shahid said, and slapped him.

    This changed things for Wilayat. She was no longer a well-connected widow, but something shadier.

    She was confined to a mental hospital in Lahore for six months after that — the only way, Shahid said, to avoid a long prison sentence. Shahid remembers visiting her there, among the wails and curses of the patients. “It was horrible,” he said. “Women tied up with chains. One poor girl was chained up to a wall. It was four chains. And she was swinging. And spitting at everybody who went past.

    When she was free, Wilayat gathered up her youngest children without warning, packed trunks with carpets and jewelry, and smuggled it all back into India, with the goal of reclaiming her property. Shahid set out with them but eventually walked away. He could not put into words why he left. His story flickers out here.

    Early this month, Shahid died in the front room of his house, holding Camellia’s hand.

    It was Partition that ruined his mother, set her on the course toward the ruined palace, Shahid had told me. “We had to start all over again,” he said.

    In the early 1970s, still empty-handed, increasingly bizarre in her behavior, Wilayat announced to the world that she was the queen of Oudh, demanding the vast properties of a kingdom that no longer existed.

    বাকী গল্পটা আমরা জানি।
    ধর্ম, হানাহানি, মানুষে মানুষে বিভেদ একটা অসাধারণ উপমহাদেশকে একবার তছনছ করেছে ।
    আর যেন না হয়।
  • | 236712.158.566712.203 | ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩০729395
  • শামিম আহমেদ এর আখতারনামা উপন্যাস। রেকমেন্ডেড। স্ট্রাকচার এ একটু সমস্যা থাকলেও ফ্যাসিনেটিং উপন্যাস। অবধ এর ডায়নাস্টির গল্প।

  • | 236712.158.676712.40 | ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৪729406
  • নিউ ইয়র্ক টাইমস এর এই স্টোরি টা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

    জেনেরালি যেটা জানতাম, ওয়াজেদ আলি শাহ এর পরিবার এর একটা অংশ পেনশন ইত্যাদি ফাইট এর জন্য বিলেত গেছিলেন, তাদের একজন এর কবর আছে প্যারিসে সম্ভবত, প্যারিসে ছিলেন কোন কারণে। ঠিক মনে পড়ছে না।

    এমনিতে কলকাতার শহরের ইতিহাসে, সুতানুটি ইত্যাদি গপ্পে, ওয়াজেদ আলি শাহ এবং টিপু সুলতানের বংশধর দের পার্ট দুটো-ই বেশি নেই। আলাদা আলাদা করে কাজ হচ্ছে। গালিবের চিঠি গুলো নিয়ে মেনলি কাজ হয়েছে, কিন্তু পপুলার কাজ যে কটা টুকরো টাকরা পড়েহ্হি ভালো লাগে নি, কোয়ালিটি।

    বিবিসি বা চ্যানেল ফোর নব্বই এর দশকে টিপু সুলতানের বংশধর এবং আনোয়ার শাহ রোডের মাজার নিয়ে কাজ করেহ্হিল। আমি ভেগলি কোথায় পড়েছি বা দেখেছি মনে পড়ছে না।

    একজন বড় করে করছেন আমি জানি, কিন্তু শেষ হয়ে থাকলেপ পেপার দেখি নি।

    আমি বাংলায় ওয়াজেদ আলি আর টিপুর ডিসেন্ডেন্ট এর উপরে কি কাজ হয়ে্ছে, তার একটা তালিকা করার চেষ্টা করব। এটা বেশ ইন্টারেস্টিং টপিক। থ্যাংক ইউ।

  • অরিন | 8990012.41.893423.111 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৩729417
  • আপনি মালিকা কিশওয়ারের কথা বলতে চাইছেন সম্ভবত। ইনি, ওয়াজিদ আলি শাহের মা, ছেলের তখত যাবার পর মহারাণীর দরবারে ফরিয়াদ জানাতে গিয়েছিলেন। সেও আরেক দীর্ঘ কাহিনি, পরে ইংরেজ চালাকি করে তাঁকে বিলিতি পাসপোর্ট দিতে চায়, যাতে করে আওধের Annexation এর পথ সুগম হয়। তিনি নেননি, তথাপি বিলেত থেকে মক্কা হয়ে দেশে ফেরত আসতে চাইছিলেন, সেটুকুও ইংরেজরা মেনে নেয়নি। শেষে ফরাসিরা তাঁকে প্যারিস হয়ে মক্কার রাস্তায় ভারত আসার ব্যবস্থা করে দেয়, কিন্তু প্যারিসেই তাঁর মৃত্যু ও সমাধি হয়।
    আওধের নবাবদের কাহিনি পড়বার মতন ব্যাপার, কিন্তু আমি যে কারণে লিঙ্কটা শেয়ার করলাম, তার সঙ্গে মূল আওধ নবাবীর ততটা সম্বন্ধ নেই। তার চেয়েও যেটা বড় হয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেশভাগের একটা অদ্ভুত দিক, আর তাকে কেন্দ্র করে অদ্ভুত সব ব্যাপার! এতগুলো বছর ধরে এই পরিবারটি নিজেদের একটা কল্পিত রাজবংশের অবতংশ মনে করে দিল্লির একটা পরিত্যক্ত কেল্লায় বছরের পর বছর অমানুষের জীবন কাটিয়ে গেল, পুরোটাই একটা মস্ত ফাঁকি। দেশভাগ নিয়ে এরকম বিচিত্র কাহিনি আর কত আছে কে জানে? কত জীবন? কত পরিবার?
  • Atoz | 236712.158.678912.17 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৭729428
  • ইন্দিরার তো এদের ধরে "আদর করে খাঁচায় পুরে" রাখার কথা মানে জেলে রাখার কথা! প্রাসাদে রাখল কেন?
  • অরিন | 8990012.41.893423.99 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৮729439
  • ঠিক বলেছেন।

    তবে এরা যেখানে থাকত সে জায়গাকে প্রাসাদ বলা তো দূরস্থান, জঙ্গলের ভেতরে একটা বড়জোর ভাঙাচোরা বেওয়ারিশ হান্টিং লজ বলে চালানো যেতে পারে। লেখাগুলো পড়ে মনে হয়, সরকার থেকে এক পয়সাও ঠেকাত না, কাজেই জেলে পোরার থেকে কম খরচায় স্টেশন থেকে ভাগিয়ে দেওয়া গেছে মনে হয়। এদের আলো ছিল না, ইলেকট্রিসিটির কোন ব্যাপার ছিল না, যদিও একটা টেলিফোনের লাইন ছিল ।

    কিন্তু কেউ বছরের পর বছর ধরে দিল্লির মত জায়গায় রেল স্টেশনের ভি আই পি ওয়েটিং রুম দখল করে পড়ে থাকে, কেউ উঠিয়ে দেয় না, মনে করে দেখুন এমারজেন্সির বছরগুলোতেও এরা জবরদখল চালিয়ে গেছে।

    স্রেফ পার্টিশান আর আওধের নবাবীর উত্তরাধিকারের বাজে গল্প দিয়ে ?!
  • Atoz | 236712.158.788912.86 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২১729442
  • এরকম আরো কত ধান্দাবাজ ছিল খুঁজে দেখুন। নানা গাঁজাগুল্প দিয়ে দাঁও মেরে নিয়েছে নানাদিক থেকে।
    এদেরকে তো পুলিশ দিয়ে হাজতে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিংরুম থেকে। নাকি নাটক দেখছিল সব? দাসদাসী চাকরচাকরানী নিয়ে যাত্রাদলের বেগম এর নাটক?
  • র২হ | 236712.158.566712.177 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:০১729443
  • কত কত মানুষের বাড়ি ঘর পরিচয় বিশ্বাস চিরচেনা পরিবেশ, নিশ্চিত জীবন সবকিছু এক ধাক্কায় চলে গেল - কেউ প্রতিবাদটুকু করতে পারেনি, করার কথাও ভাবেনি।
    এঁরা যেভাবেই হোক রাষ্ট্রকে চাপ দিয়ে কিছু একটা আদায় করেছেন, বেশ করেছেন।আরো লক্ষ লক্ষ লোকের এমন কিছু না কিছু দাবি নিয়ে চাপ তৈরী করা উচিত ছিল।
    দেশভাগ না হলে এই ছেলেমেয়েরা সুস্থ স্বাভাবিক সফল মানুষ হতো, এই নি:সঙ্গ করুণ মৃত্যুর অপেক্ষা করার বদলে।

    অ্যালেন বেরিকে বোধয় এই খবরটা না বেচলেও পারতেন।
  • র২হ | 236712.158.786712.21 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:০৭729444
  • *অ্যালেন বেরি বোধয়

    একদিকে মনে হয় পার্টিশনের নিষ্করুণ প্রভাব, মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়া - এইসব সামনে আসা উচিত।

    কিন্তু ফোকাসটা যখন কারনের বদলে ফলের প্রতি দোষারোপ চলে যায় এবং নেতা, লবি, র্যাডক্লিফের বদলে একজন বিধ্বস্ত সর্বস্বান্ত গৃহবধূ আর তার পরিবারের ডেসপারেশনের ‘ধান্দাবাজির’ দিকে চলে যায়, তখন মনে হয়, একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক কি এই মানবচরিত্র জানতেন না?
  • অরিন | 8990012.41.893423.99 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৩729385
  • "কত কত মানুষের বাড়ি ঘর পরিচয় বিশ্বাস চিরচেনা পরিবেশ, নিশ্চিত জীবন সবকিছু এক ধাক্কায় চলে গেল - কেউ প্রতিবাদটুকু করতে পারেনি, করার কথাও ভাবেনি।"

    লেখাটা পড়ে সবথেকে আগে এই জায়গাটা আমাকে অভিভূত করে দিয়েছে।
    এমন আরো কত জীবন, আরো কত মানুষ আছে/ছিল, কে জানে।

    কিন্তু যে জায়গাটা আমি বুঝতে পারিনি, একটা অসত্যের আশ্রয় নেবার কি প্রয়োজন ছিল? আর রাষ্ট্রই বা কেমন রাষ্ট্র, যারা কিছু মানুষকে প্রশ্রয় দেয়? কিসের ভিত্তিতে?
  • Atoz | 890112.162.783423.147 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৫729386
  • শ খানেক বেগম, তাদের কত ছেলেমেয়ে উপরওয়ালাই জানেন। এরা যদি রাষ্ট্রের পয়সার হকদার হয়, তাহলে বিজয়মাল্যরা টাকা মেরে পালানোতে কিছু আশ্চর্যের তো নেই! ওরাও তোএখন মদের গেলাস হাতে নিয়ে বিলাতী প্যালেসে বসে হি হি হা হা করতে করতে বলছে, বেশ করেছি। ক্যাঁচকলা দেখিয়ে পালিয়েছি টাকা মেরে। ছাগলের দল, কী করবি কর! কেশাগ্রটাও বাঁকা করতে পারবি না।
  • র২হ | 236712.158.786712.69 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৬729387
  • সত্যের আশ্রয় নিলে বড়জোর করুণা জুটতো, তাও জুটতো কিনা সন্দেহ। তার ওপর তখন তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক।
  • র২হ | 236712.158.786712.69 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৮729388
  • এটুজি কি রিপোর্টটা পড়েছেন?

    এঁরা নবাব বাদশা কিছু ছিলেন না, সাধারন সরকারী কর্মচারীর পরিবার, পার্টিশনের দায়ে দেশছাড়া।
  • Atoz | 890112.162.783423.147 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৯729389
  • এই অদ্ভুত প্রশ্রয় অত্যন্ত বিপজ্জনক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নবাব আর তার কোটি কোটি বংশধর কিছু পাবার হকদার হতেই পারে না, এরা সত্যিকার বংশধর হলেও। রাষ্ট্রের তো এদের বলার কথা, "খেটে খান। যেমন যুগযুগান্তর ধরে প্রজা পিটিয়ে খেয়েছেন, এখন আর তা কোনোমতেই হবে না।"
  • | 236712.158.566712.203 | ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪৫729390
  • আহেম 'দাঁওমারা' 'রাষ্ট্রের পয়সার হকদার' ইত্যাদি ট্যান কার সম্পর্কে বলছে? ইন্দিরা গান্ধী তথা রাষ্ট্র এদের দিল্লির একপ্রান্তে একটি জঙ্গলের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। প্রকৃতই অউধের নবাবের কেউ কিনা খুঁজে দেখে নি বা দেখার চেষ্টা করে নি হয়ত। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জমি টমি তো উচ্ছেদ হওয়া লোকজন থাকতে শুরু করেইছেন। উপায়ই বা কি? আমাদের ওখানে গোটা নবগ্রামই এইভাবে লোকজন এসে বসে যাওয়ায় গড়ে উঠেছে।

    এঁদের কোনওরকম আর্থিক সহায়তা ভারত রাষ্ট্র থেকে করা হয় নি, চরম অর্থাভাবেই থাকতেন যা রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছে। এঁদের মা যিনি পাকিস্তানে মানসিক চিকিৎসালয়ে ছিলেন তার বর্ননা হাড়হিম করে দেবার মত।, ওসোম্ভিব দোরিদ্র এই পরিবরটিকে এঁদের মাসিক টাকা পাথাতেন সাইরাসের আরেক ভাই, যেটা পরে সাংবাদিক খুঁজে বের করেন।
    অদ্ভুত দুর্ভাগা পরিবার!!
  • Atoz | 236712.158.678912.17 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮729391
  • স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিংরুমে ঐ অত চাকরবাকর? খানদানি নানা কায়্দা? প্লেটের উপরে করে নির্দেশ নিয়ে বেগমকে দেওয়া? এরা কি সব ভার্চুয়াল? বাক্স প্যাঁটরা সোনাদানা হীরেমোতি? কী হল সেসবের?
    একে তো মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে কোন নবাবের বেগম বলে, তার উপরে আবার এত চাকরবাকর নিয়ে স্টেশনে নবাবী !
  • Amit | 236712.158.23.209 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:১৮729392
  • ইন্ডিয়াতে , পাকিস্তানে সব জায়গাতে নামেই শুধু ডেমোক্রেসি। পালক রা সেবক হন না কখনো।

    এখনো রাজা গজা দের রাম রাজত্বই চলছে তো গ্রামে গঞ্জে, তেনারা অনেকে নেতা ও হয়ে গেছেন লিগালি, আমরা শাইনিং শহুরে লোকজন তার আঁচ পাইনা। এই যে ধরেন দ্বিগবিজয় সিংহ, কর্ণ সিংহ, সিন্ধিয়া, বসুন্ধরা রাজে থেকে শুরু করে হাজার গন্ডা আছে এ রকম, সব নেতা মন্ত্রী হয়ে বসে আছে, ওনাদের পেছনে সব পার্টি ঘুরে বেড়ায়, কখন কাকে জয়েনও করবেন সেই আশায়। ওনাদের রাজ্যের ম্যাংগো লোকে এনাদের চোখে দেখলেও এক্কেরে উলুত পুলত হয়ে যায়, সাক্ষাৎ ভগবানের বংশধর। ওনাদের আবার উল্টে ফুর্তি ফার্তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করবে, কার ঘাড়ে কটা মাথা ? রাজা ছেড়ে দ্যান, দু একবার বিহারের বা ঝাড়খন্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে দেখেছি বলিউড মুভি এক্কেবারে ঠিক ঠাক দেখায় সব। সামান্য গ্রামের কোনো দু এক খান এক্স জমিদার রা নিজেকে এখনো ওখানকার রাজা গজা ভাবে।

    পব তে বরং গত ৪০-৫০ বছরে যত ফালতু মিডল ক্লাস লোকজন নেতা হয়ে গিয়ে যে এখানে সাধারণ লোকের স্বভাব খারাপ করে দিয়েছে। আভিজাত্যের কোনো ট্রাডিশন ই রইলো না আর।
  • Atoz | 236712.158.678912.221 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:২৬729393
  • যুগযুগান্তর ধরে প্রজা পিটিয়ে আর প্রজা পুড়িয়ে মহানন্দে রাজত্ব করে চলেছেন রাজাগণ।
    আজই পড়ছিলাম "ফসিল" গল্পটা। নেটিভ স্টেট অঞ্জনগড়ের কাহিনি। সেখানে ভীল আর কুর্মী প্রজারা দুইদিক থেকেই মার খায়, রাজামশাই প্যায়দা পাঠিয়ে পেটান আর মাইনিং করতে আসা সাহেবরা খনিতে কাজ করতে পাঠিয়ে ধ্বসিয়ে দেন। জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ।
  • Atoz | 236712.158.678912.251 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৮729394
  • ভাবুন একবার, সেই ১৯৭৫ সালে যখন কিনা ১০ পয়সায় জোড়া সিঙারা পাওয়া যেত, স্কুলশিক্ষকের মাসমাইনে ছিল ষাট টাকা, সেই আমলে ওই বানোয়াট বেগমকে দশ হাজার টাকা অফার করা হয়েছিল! স্রেফ খামে করে দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এসব আসে কোত্থেকে? মাফিয়ার দেশ যেন!
  • রঞ্জন | 236712.158.9005612.19 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:১৭729396
  • এতোজ,
    এটাকে বা এইধরণের কাহিনীগুলোকে হেরে যাওয়া মানুষের আত্মকরুণার গল্প হিসেবেও দেখা যেতে পারে । রবি ঠাকুরের নয়নজোড়ের দু'আনির উঠে যাওয়া জমিদারি নিয়ে "ঠাকুর্দা' গল্পটি বা তারাশংকরের " সিংহচর্ম" গল্পটি মনে করুন, যেখানে ক্ষিদের জ্বালায় একজন মানুষ নিজের বাহাদুরির গালগল্প শুনিয়ে বেঁচে থাকে।
    আমার বাবা নিজের যৌবনে দিল্লিতে দেখেছিলেন এক অভিজাত চেহারার দরিদ্র মানুষকে --- উনি নাকি মুঘল সম্রাটদের বংশাবতংস। পুরনো দিল্লির কোন হাভেলির খুপরিতে মুখ গুঁজে থাকতেন। রাত্তিরে বেরিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যেতেন কারও মুখের দিকে না তাকিয়ে , বা বলা যায় আকাশের দিকে মুখ তুলে; মুখে একটি ধ্বনি-- আল্লা দিলওয়া দে ! হাতের প্রসারিত বাটিতে টুপটাপ যা পড়ত তাই নিয়ে শান্ত মহিমায় ফিরে যেতেন নিজের কোটরে।
    আমার দেখা দুটি লঘু কথাঃ
    ১ নাকতলায় আমাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সালটা ১৯৬৬। এলাকাটা তখন বেশ গ্রাম গ্রাম, বাসরাস্তা বাদ দিলে সব কাঁচারাস্তা। ইঁট বওয়া ট্রাক ফেঁসে জায়। একটা ছোট মত মিউনিসিপ্যাল অফিসে কলেরার টিকে দিচ্ছে। ভদ্রলোক সিটে নেই । অফিসের অন্য লোকেরা ওনাকে নিয়ে হাসছিল। উনি নাকি ময়মনসিং এর লোক, প্রাক্তন জমিদার।সব রিফিউজিরাই এদেশে এসে নিজেদের জমিদার বলে দাবি করে! এদিকে ঘরে ছুঁচোর কেত্তন।
    ময়মনসিং শুনে আমার কাকা উৎসাহিত হয়ে খোঁজ নিতে গেলেন। দেখা গেল উনি আমার বাবার এক মামাতো ভাই ; দ্যাশে ওঁদের অবস্থা সত্যিই ভাল ছিল।
    ২ নাকতলায় আমাদের পাশের প্লটে এক ব্রাহ্মণ পরিবার। কত্তাগিন্নি ও ছ'টি বাচ্চা মেয়ে । অভাবের সংসার। একদিন কানে এল মা মেয়েদের বলছেন --এটা ছোটলোকদের পাড়া। বেশির ভাগ পাকাবাড়িওলারা জাতে ছোট; শুঁড়ি।
    মনে রাখবি আমরা গরীব হতে পারি, কিন্তু উঁচু জাত ওদের মতন না ।
    সে পাড়ায় সাহা পরিবারের আধিক্য ছিল।
  • ঃ-) | 237812.69.563412.229 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৩729397
  • ৭৫; এ টিচারদের মাইনে ৬০ টাকা? কোন দোকানের গাঁজা খান? বেশ কড়া তো।
    ৭৫ এ মাইনে ৫ হাজারের একটু কম ছিল।
  • lcm | 237812.68.9008912.246 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৪০729398
  • ১৯৭৫ সালে স্কুল টিচার মাসে ৫০০০ টাকা বেতন পেত ! কোন রাজ্যে ভাই? কোন স্কুলে?
  • Amit | 236712.158.23.211 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৫২729399
  • তবে মানতে হবে। জালি পরিচয় দিয়ে ও বেশ কয়েক বছর দিল্লী স্টেশন এ মুফতে রাজত্ব করে গেলেন তেনারা, মর্কট কিছু পাবলিক আবার তাদের সাথ ও দিলো সেই সব জায়গায়, নিশ্চয় ওদের ও কিছু পাওয়ার আশা ছিল, মাগনা কেন সেবা করবে। সবই র্যাকেট এর পার্ট।

    তবে এরকম কেস ইউনিক কিছু না। বহু দেশেই আছে রাজা গজার নাম, আইডেন্টিটি ভাঁড়ানো। আলাদা করে এনার জন্যে আমার কোনো সিম্প্যাথি নেই, দেশ ভাগের সময় কোটি কোটি সাধারণ লোক কষ্ট পেয়েছে, জাস্ট রাজা র কোনো তুতো বংশ হওয়ার সুবাদে কেও স্পেশাল খাতির আশা করবেন, এসব জাস্ট নুইসেন্স।

    এ রকম আর এক খান ইতিহাস বই পড়েছিলাম কদিন আগেই। রাশিয়ার ১৯১৮ রেভোলুশন এর পর জার্ নিকোলাস, তার স্ত্রী আর ছেলে মেয়েদের মস্কো থেকে অনেক দূরে একটা ছোট শহরে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সেই জার্ ফ্যামিলি যারা ৫০০ বছর রাজত্ব করলো, তারা নাকি আবার অরিজিনেট করেছিল জার্মানি র একটা জায়গায়, সেখান থেকেই আবার ব্রিটেন এর রাজ্ বংশের ও একটা ফ্যামিলি টাই উপ আছে, আরো বেশ কটা রয়েল ফ্যামিলি র বাকি ইউরোপ এ। পুরো সাংঘাতিক সব খানদানি ব্যাপার স্যাপার আর কি। রাজবংশের খনি যাকে বলে।

    তো এবার রাশিয়া বিপ্লবের পরে, তাদের রইস সব আত্মীয় স্বজনেরা বাইরের দেশগুলো থেকে সমানে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কিভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা যায় অথবা রুশ বিপ্লব কে জ্যান্ত কবরে পাঠিয়ে আবার কিভাবে তেনাদের ই গদিতে বসানো যায়। ৫০০ বছরের রাজ্যত্ব , কম কথা! সেসব দেখে শুনে কমিউনিস্ট লিডার রা ঠিক করলেন, ঢের হয়েছে। জল বেশি ঘোলা হওয়ার আগেই সব কটাকে স্বর্গে পাঠানো যাক। তো এক রাত্তিরে কয়েক জন ঢুকে গুলি করে সবাইকে সাবাড় করে দিলো। এবার সবাইকে গভীর জঙ্গলে অজানা জায়গায় কবর দিয়ে দিলো যাতে ডেড বডি নিয়ে আবার কোনো রকম হুজ্জুতি না হয়।

    তার ঠিক ৩-৪ বছর পরে জার্মানি তে মিউনিখ এ একটা মেয়ে , ১৮-১৯ বছর হবে, সে ইনজুরড হয়ে একটা হাসপাতাল এ ছিল অনেক দিন ধরে। সে ক্লেম করে বসলো ও নাকি নিকোলাস এর ২নড মেয়ে(নাম ভুলে গেছি)। মাথায় আঘাত লেগে নাকি আগের সব স্মৃতি এতদিন ভুলে ছিল। সেই গুলি বৃষ্টি থেকে নাকি একজন কমিউনিস্ট লিডার ই তাকে বাঁচায়, সে নাকি ভেতরে ভেতরে আসলে জারের ভক্ত ছিল। তার পর মেয়ে টিকে নিয়ে ফিনল্যাণ্ড , তারপর জার্মানি তে পালিয়ে আসে, কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্য নাকি খুব সুবিধার ছিলো না। মেয়েটা একদিন তার খপ্পর থেকে পালায়, পালাতে গিয়ে আসিডেন্ট করে। তো যখন জারকে মারে, তখন সেই মেয়েটার বয়স ১৩-১৪ ই হবে, সুতরাং বয়স, একটু মুখের আদল নাকি মিলে ও যাচ্ছে।

    তো এটা একটা বিরাট ব্যাপার তখন যদি সত্যি হয়, পলিটিকাল ইমপ্যাক্ট মারাত্মক হতে পারে। জার্মান পুলিশ এক্কেবারে ওপর মহল থেকে হুড়কো খেয়ে আদা- জল খেয়ে লেগে পড়লো রহস্য ভেদ করতে। বহুদিন ধরে জারের অনেক আত্মীয় স্বজন পুরো ইউরোপ খুঁজে কন্ট্যাক্ট করে, বাচ্চা গুলোর পার্সোনাল টিচার ইত্যাদি দের জিগেশ টিগেশ করে অনেক দিন পরে বললো যে কেসটা জালি। মেয়েটা কোনো ভাবে জারের কোনো পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট র থেকে অনেক কিছু ফ্যামিলি র ইনফো জেনে নিয়ে , তারপর নকল সেজে দিব্যি ক্লেম করে গল্প ফেঁদেছিলো। এতটাই পার্সোনাল সব ইনফো জোগাড় করেছিল যে নিকোলাস এর এক তুতো বোন নাকি সেই ২নড মেয়েকে কি ডাকনামে ডাকতো, সেটা পর্যন্ত ওনার সাথে দেখা হওয়ার পরে বলেছিলো। তো সবাই শুরুতে ভেবেছিলো যে হয়তো সত্যি ই বলছে। কিন্তু তারপর আরো সব ভেরিফাই করে করে গল্পটা দাঁড়ালো না শেষে। রাশিয়া তে যারা গুলি চালিয়েছিল, তারা ও বলেছিলো যে কেও বাঁচেনি। ওই গুলি বৃষ্টির মঘ্যে কারোর বেঁচে বেরোনো অসম্ভব। কিন্তু তখন ডিএনএ স্যাম্পলিং ও ছিলো না, আর ওদের কবর ও কেও খুঁজে পায়নি যে গুনে দেখবে কটা ডেড বডি আছে বা সত্যি একটা মেয়ে র বডি মিসিং কি না।

    কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, পুলিশ থেকে উড়িয়ে দেওয়ার পরেও কিন্তু মেয়েটি আরো ৪০-৫০ বছর বেঁচেছিল, জার্মানি তেই ছিলো, ২নড ওয়ার্ল্ড ওয়ার র মধ্যেও টিকে গেসলো। শেষ অবধি নাকি সবাইকে বলে গেছে যে ও জারের ই মেয়ে। কেও বিশ্বাস করুক আর না করুক।

    মিথ্যেটা একবার দাঁড়িয়ে গেলে দিব্যি আর কোনো চিন্তা ছিলো না, রোমানোভ ফ্যামিলির প্রচুর ইনফ্লুয়েনটিয়াল বন্ধু বান্ধব ছিলো পুরো ইউরোপ জুড়ে যারা ওকে সাহায্য করতে পারতো। কিন্তু সব প্ল্যান ভেস্তে গেলো।
  • Atoz | 236712.158.788912.6 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৮729400
  • নির্দিষ্ট নিকনেমহীন যে লোকটা বলে বসল ১৯৭৫ সালে স্কুল টিচার এর মাইনে ছিল মাসে পাঁচ হাজার টাকা, চিন্তা করে দেখুন কী লেভেলের ফেরেব্বাজ এরা! সম্ভবতঃ এরা একটা দলের হয়ে কাজ করে।
  • Atoz | 236712.158.678912.221 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:০৩729401
  • রঞ্জনদা, নিজে নিজে মেহেরালি হয়ে বাদশার বংশধর বলে ঘুরলে কী আসতো যেত? সেই লোক তো পথে পথে ঘুরে মাধুকরী করত! কিন্তু এই বানোয়াট বেগম তো বিশাল সম্পত্তি দাবী করছিল আর স্টেশনের ভিআইপি ওয়েটিংরুম অকুপাই করে বসে চাকরবাকর ইত্যাদি নিয়ে নবাবী করছিল! দুটো ব্যাপারের তফাৎটা বুঝুন।
  • Atoz | 890112.162.783423.87 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:০৯729402
  • রঞ্জনদা,
    আপনি শেষে যে উদাহরণটা দিলেন সেটা জাতপাতের ব্যাপার, আর্থিক অবস্থা যেমনই হোক উচ্চবর্ণ সামাজিকভাবে নিজেদের উঁচু মনে করত সমাজের প্রশ্রয়েই। "ও বাবা আপনি বামুন? পদধূলি দিন ঠাকুর, পদধূলি দিন।" ঃ-)
    আরে প্রভাতকুমারের লেখাতেই তো পড়ি, "এই যে কায়েৎবাবুরা, এবারে আপনেরা আসুন পংক্তিভোজে, বামুনঠাকুরেরা খেয়ে উঠেছেন।" ঃ-)
  • ঃ-] | 236712.158.786712.69 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:২৬729403
  • ৬০টাকার ফেরেব্বাজিটা করার সময় খেয়াল হয় নি ঠকবাজটার।
  • Atoz | 890112.162.893423.238 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৩১729404
  • সেই নোংরা কুকুরটা!!! আবার এসেছে! মুগুর দিয়ে পিটানি দিয়ে দৌড়ানি দিয়ে দিতে হয়।
  • Amit | 236712.158.23.215 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৪১729405
  • অটোজ, ছাড়ান দ্যান। এগুলোর কাজই নেই। যেখানে যায়, নোংরা করে আসে।
  • ঃ-( | 236712.158.676712.20 | ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৪729407
  • কুকুরিটা আজ চেগে আছে। কুকুরে কি আর সান্ত হবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন