এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একটা অ-সমাপ্ত গল্প (পর্ব - ৮)

    Kaushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • ৮।

    জানলা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়ার সাথে সাথে সিনেমার গানের কলিও ভেসে আসছে দূরাগত কোনো উৎস থেকে। খুব সম্ভবত রেডিও। রাগ আশ্রয়ী গান। গানের কথা গুলো বোঝবার চেষ্টা করল বিশ্বনাথ। কান খাড়া করে জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো পায়ে পায়ে। ভালো করে বোঝবার আগেই হাওয়ার অভিমুখ পাল্টে গেল। বিরক্ত হয়ে ফিরে এসে খাটের ওপর বসল আবার। চাইলে টেবিলের ওপরে রাখা মার্ফির রেডিওটাতে স্টেশনটা ধরতেই পারত, কিন্তু ইচ্ছে হলনা।
    সন্ধ্যের পরে তেমন কোনো কাজ থাকেনা ওর। সকালটা রেওয়াজ করে কেটে যায়। তারপর দিনের বেলাটা স্নান খাওয়া ইত্যাদির মতন কাজগুলো তে কাটে। বিকেলেটায় এদিক ওদিক বেড়িয়ে আসে কিন্তু তারপর কেমন যেন খালি খালি লাগতে থাকে। রাতের খাওয়ার আগে অবধি করার মতন কিছুই নেই। সত্যি কথা বলতে সারাদিন এক গান ছাড়া ওর করার মতন আছেটাই বা কি?
    নাদনঘাটের দিকে যাওয়ার থাকলেও সে মাসে একবার। তা ছাড়া আর তেমন কোনো কাজ ওর নেই। আজকে গান গাইতেও ইচ্ছে করছে না। সচরাচর এমনটা হয়না। মনটা কি তা হলে আজ বিক্ষিপ্ত? ঘরের বাতিটা নিভিয়ে দিয়ে বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে পড়ল ও। এবার থেকে জমিজমা,ব্যবসার কাজে একটু বেশি সময় দিলে কেমন হয়? মানে কোনোরকম জোরাজুরি থাকবেনা; কিন্তু গানের পর যেটুকু সময় থাকবে সেই সময়টা এদিকে মনোনিবেশ করলে সময়টাও কাটে আর বাবার ওপর থেকে চাপও খানিকটা সরে যায়। তবে ঠিক কোন কাজটা করবে তা ভাবেনি এখনও। হিসেব পত্রের ব্যাপার গুলো ওর বড্ড নিরস লাগে। তা হলে? সেদিন ম্যানেজার কাকার কথায় সুবোধ বাবুদের বাড়িতে গেছিলো বটে ভাড়া আদায় করতে কিন্তু ওতে আর কতটাই বা সময় কাটবে? আর তা ছাড়া ওটা ওর যোগ্য কাজও নয়।

    সুবোধ বাবুদের কথাটা মনে পড়তে খাট থেকে উঠে বসল বিশ্বনাথ। সেদিন ম্যানেজার কাকা জোর করে পাঠিয়েছিলেন তাই, নইলে হয়ত ওঁনাদের সাথে কোনোদিন আলাপই হতনা! তাতে ক্ষতিবৃদ্ধি ছিলনা কোনো, কিন্তু ওনাদের সাথে আলাপ হওয়াতে ওর এতদিনের কিছু ধারনা না বদলালেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে অবশ্যই।
    সুবোধ বাবু কাঠ বাঙাল। অথচ ওনার স্ত্রী খাস কলকাতার লোক। ঘটি আর বাঙালে বিয়ে হয়? ম্যানেজার কাকার কথা শুনে সেদিন যখন বিশ্বনাথ ওঁনাদের ওখানে পৌঁছোল, তখন সন্ধ্যে হয় হয়। ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়েছিলেন বাড়ির রোয়াকে। সরাসরি ভাড়া চাইতে একটু সঙ্কোচই হচ্ছিলো ওর। জিজ্ঞেস করেছিলো, সুবোধ বাবু আছেন? তখনও বাড়ি ফেরেননি শুনে একটু ধন্দেই পড়ে গেছিলো। মাসিমা ওর পরিচয় শুনে ঘরে এনে বসিয়েছিলেন। ওঁনাদের ক্ষমতা অনুযায়ী আপ্যায়নও করেছিলেন। মেসোমশাই আসা অবধি এটা ওটা গল্প করছিলেন। ভদ্রমহিলা যথেষ্ঠ রুচিশিলা। বিশ্বনাথ গান করে শুনে গান বাজনা নিয়ে বেশ কিছুটা আলাপ আলোচনাও হয়েছিলো সেদিন। তখনই কথায় কথায় জানতে পেরেছিলো যে ওনার বাপের বাড়ি কলকাতায়। মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন ভিড় করেছিলো, কিন্তু প্রশ্নগুলো করা শালীনতার পরিপন্থী বলে আর করা হয়নি।
    গরিব বা বড়লোকের যে ছবিগুলো ওর মনে আঁকা ছিলো এতদিন, তারও যেন জায়গায় জায়গায় অসঙ্গতি দেখা দিচ্ছে ওঁনাদের সাথে কথা বলার পর। গরিবের এতটা ব্যক্তিত্ব তো ও আগে কখনও দেখেনি! বিশ্বনাথ সিংহ। জীবন সিংহের ছেলে। এই পরিচয়ই ও এতদিন দিয়ে এসেছে অধঃস্তন লোকেদের আর তার পরক্ষণেই পেয়ে এসেছে সেই সম্ভ্রম যাতে ও অভ্যস্ত। কিন্তু মাসিমা ওর পরিচয় শুনে এতটাই আন্তরিক ভাবে ওকে ঘরে বসতে বললেন যেন বিশ্বনাথ ওনাদেরই সমতুল্য আর যে কেউ। ওর তাৎক্ষণিক মনোভাবের মধ্যে আট আনা বিস্ময়, পাঁচ আনা বিরক্তি আর তিন আনা কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা মিলেমিশে ওকে পায়ে পায়ে নিয়ে গিয়ে ফেলেছিলো ওঁনাদের ঘরের ভেতর।
    সুবোধ বাবু এসে যাওয়ার পড়ে বিশ্বনাথ বলেছিলো, ম্যানেজার কাকা আজ আসতে পারেননি, তাই আমাকেই পাঠালেন। এ মাসের ভাড়াটা…।।।
    সুবোধ বাবু ”আরে হ হ, নিশ্চয় নিশ্চয়” বলে সেই যে গল্প জুড়লেন, তা মাসিমা এসে মাঝে মাঝে ”ওর দেরি হয়ে যাবে” বলে তাড়া না লাগালে কতক্ষণ যে চলত কে জানে! গল্প করতে অবশ্য মন্দ লাগছিলোনা বিশ্বনাথের। শুধু ঐ বাঙাল কথাগুলো বড্ড কানে লাগছিলো। বিশেষ করে ইংরাজি শব্দ গুলো। আর সব কিছুর মতন এরা এদের ভাষাটাকেও যদি ওপারেই ফেলে আসতো তাতে লোকের সুবিধা বই অসুবিধা হত কি কোন? ভদ্রলোকের গান বাজনায় কোনো উৎসাহ নেই। ওঁনার গল্পের বিষয় বস্তু পড়াশোনা। বিশ্বনাথ কি পড়েছে, বি এ তে সাবজেক্ট কি কি ছিলো,রোম্যান্টিক পিরিয়ডের কোন কবি ওর প্রিয় বা কিটস কে রোম্যান্টিক কবি বলা চলে কিনা - এই সব নিয়ে অনেক্ষণ আলোচনা করেছিলেন সেদিন। এহেন পরিস্থিতি বিশ্বনাথের কাছে অভূতপূর্ব। ওকে কেউ কোনোদিন এত প্রশ্ন করেনি। লেখাপড়া নিয়ে ত নয়ই। ওর প্রাপ্য সম্মানের কোটাটা ওনারা আন্তরিকতা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন বলে বারবার বিরক্ত হতে চেয়েও হতে পারছিল না সেদিন। কেন কে জানে, ঐ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে ওর খুব একটা খারাপ লাগছিলোনা। সেদিনের ওই অনাস্বাদিত পরিস্থিতি আর অনুভূতি নিজের অবচেতনে উপভোগ করে চলেছিলো সমানে। অনাস্বাদিত; কারন আরো অনেক কিছুর মতই, লেখাপড়া জানা গরীবও বিশ্বনাথ আগে দেখেনি।

    খাওয়ার সময় হয়েছে। নিচে খাওয়ার ঘরে চলে এল বিশ্বনাথ। বাবা আর কাকারা আগেই এসে বসে আছে। খুড়তুতো ভাই দু জনেও খাবার ঘরে ঢুকলো প্রায় ওর সাথে সাথেই। বাবার পাশে নিজের নির্দিষ্ট আসনটায় গিয়ে বসল বিশ্বনাথ। খেতে বসে টুকটাক গল্প হয় সকলের সাথে। বিশেষ কিছু নয়, সাধারন ঘরোয়া কথা বার্তা বা ব্যবসাপাতির হালহকিকত। রাজনীতির অলোচনাও হয় কদাচিৎ। ছোটোকাকা যেমন আজ বলছেন কামরাজের কথা। কংগ্রেসের প্রতি ওনার অবদান প্রচুর। নেহেরুজীর মৃত্যুর পর যেভাবে পার্টিটাকে চালিত করছেন উনি, তা এককথায় অতুলনীয়। পার্টির নেতাদের শুধু পদ অলঙ্কৃত করে রাখার বিরুদ্ধে কামরাজ। ওনার নেতৃত্বে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তিও মজবুত হয়েছে। আগামী তিনটে নির্বাচনে অন্তত কংগ্রেসের ধারে কাছে কোনো দলকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। '৫৭ তে কেরলে সিপিআই সরকার গড়েছে বটে কিন্তু ওই অবধিই। এবারও তো কেরলে সিপিএম চল্লিশটা সিট পেল - লাভের লাভ কিছু হল কি? সেই তো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হল! আর পশ্চিম বাঙলায় তো কম্যুনিষ্টরা লাফালাফি করছে বেশি; কাজের কাজ কিছুই করে উঠতে পারবেনা।

    রান্নার ঠাকুরটা নতুন কিন্তু রান্নার হাতটা বেশ। পাঁঠার মাঁসটা আজ বানিয়েছে খাসা। আরেকটু নেওয়ার ইচ্ছে ছিল বিশ্বনাথের কিন্তু বাকিদের পাতে চাটনি পড়ে গেছে; কেমন যেন একটু সঙ্কোচ হল তাই। তা ছাড়া ওরা উঠলে তবে মা আর কাকিমারা খেতে বসবে। চাটনিটা টাগরায় অল্প ঠেকিয়ে উঠে পড়ল। আঁচিয়ে নিয়ে মুখে অল্প মুখশুদ্ধি দিয়ে বাগানে চলে এল ও। রাতে খাওয়ার পর একটু পায়চারি করা ওর অভ্যেস। বাগানের মধ্যে দাঁড়িয়ে ঝিঁঝিঁ র ডাকের অতিরিক্ত আর কিছু শোনা গেলনা। কার্তিকের রাতের শীত বাতাস বেয়ে নেমে আসছে বাগানের মধ্যে। হাঁটতে হাঁটতে পুকুর পাড়ে এসে থামল বিশ্বনাথ। ঘাটের পাশে সিমেন্টের বসবার জায়গাটায় গিয়ে বসল। বাগান পেড়িয়ে বাড়িটার দিকে তাকাল একবার। কিছু কিছু ঘরে আলো জ্বলছে, কিছু ঘর আবার অন্ধকার। সামজস্যহীণ দাবার ছকের মতন লাগছে অনেকটা। আকাশের দিকে তাকাতে চোখা চোখি হল অযুত নক্ষত্রের সাথে। নাকি অর্বুদ? আকাশে মোট তারার সংখ্যা কত? দেশের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি কি? বর্তমানে ভারতের লোকসংখ্যা আটচল্লিশ কোটি। এত মানুষ থাকে এই দেশে! কই আশে পাশে তাকালে তো তেমনটা মনে হয়না! এরপর কি লোকসংখ্যা আরো বাড়বে? বাড়তে বাড়তে একসময় ভীড়টা বোঝা যাবে নিশ্চয়ই। সেটা কবে নাগাদ? সে তো এক বিচ্ছিরি পরিস্থিতি হবে! ব্যাপারটা কল্পনা করতেই মনটা অস্থির হয়ে উঠল। ঝট করে নিজের জায়গা থেকে উঠে পড়ল ও। হাঁটা দিলো নিজের দোতলার ঘরটার দিকে।

    ঘরে ঢুকে দড়জাটা দিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে অস্থিরতাটাকে চাপা দিতে চাইল বিশ্বনাথ। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্থিরতার সাথে সাথে একটা দম বন্ধ করা অনুভূতিও জাঁকিয়ে বসল ওর মনের বুকে। এই দমবন্ধ অনুভূতিটা আজকাল ওর প্রায়ই হয় চুপচাপ ঘরে বসে থাকলে। ওর কোন বন্ধু নেই বলেই কি? সমবয়সি নাই বা হোল, কিন্তু কারুর একটা সাথে অর্থপূর্ণ বাক্যালাপের অবকাশ থাকলে হয়ত এমন অনুভূতি আকছার চেপে ধরত না ওকে। শুধুই সঙ্গীত কি ওর মনকে ভরিয়ে রাখতে পারছেনা তার মানে? আরো কিছু চাই অবশ্যই, কিন্তু সেটা ঠিক যে কি; তা জানেনা বিশ্বনাথ।
    বাড়িতে সমমনস্ক মানুষের অভাব। আর যার তার সঙ্গে আলাপ জমাতে ও পারেনা কোনোদিনই। ম্যানেজার কাকাকে বলে এবার থেকে সুবোধ বাবুদের ওখানে ভাড়াটা আদায় করতে ও নিজেই যাবে ঠিক করল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৩ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন