এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নারীবিদ্বেষী এক দানবের নাম এনার্সি

    Prativa Sarker লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৩৩৬ বার পঠিত
  • দেশের মধ্যে আসামে এনার্সি হয়েছে। বারো লক্ষ মানুষ রাষ্ট্রহীন । তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো শুরু হয়েছে নারীপুরুষ বাছাই না করেই। গতকালের টেলিগ্রাফ লিখেছে এই ক' মাসেই ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃতের সঙখ্যা ছাব্বিশ ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশে লাগু হলে এ সংখ্যা কতো হবে সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু যেটা দূরে বসে অনুমান করা কষ্ট সেটা হলো এনার্সির চাপে মেয়েদের অপরিসীম দুর্দশা।

    লোক আদালতের বিচারক হিসেবে ঘন ঘন কলকাতা কর্পোরেশনে যেতে হয়। সেখানে এখন জমির ট্যাক্স মিটিয়ে দলিলপত্র ঝাঁ চকচকে রাখবার প্রবণতা এবং বিপুল ভিড় নজরে পড়ছে মাস ছয়েক হলো। এর কারণ অবশ্যই মাথার ওপর ঝুলে থাকা এনার্সির খাঁড়া। যে কটি ডকুমেন্ট আসামে চাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ জমিজায়গার দলিল। জমি পিতা থেকে সন্তানে হাতবদল হয় এবং সবসময় তার প্রমাণ থাকে। ফলে জমির দলিল ঠিকঠিক থাকলে চিন্তা অনেক কমে।

    কিন্তু মেয়েদের চিন্তা ? সেটা কমার কোনো উপায়ই নেই। কলকাতা সহরের লোক আদালতে যতো সম্পত্তির মালিক ঝামেলা মেটাতে আসেন তাদের মধ্যে মহিলা অতি কম। কারণ মেয়েদের নামে সম্পত্তি কেনা এখনও জলচল নয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে খুব কম। আমাদের কাছে যে কজ লিস্ট দেওয়া হয় হিসেব করে দেখেছি তাতে ৬২ জনের মধ্যে ১৭ জন মহিলার নাম। ২৬% মালিকানা এই কলকাতা শহরে, যার বয়স তিনশ বছরের বেশি, সংস্কৃতি ও প্রগতিতে যে দিশা দেখাতো সারা দেশকে। যেখানে এইসবের ফয়সালা হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশনের সেই কাউন্সিলরস রুমে আসন অলংকৃত করতেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁদের ব্যবহার করা চেয়ারে এখনো কারো বসা বারণ। এই পরিবেশে মহিলা সম্পত্তিমালিক যদি ২৬% হয়ে থাকে, তাহলে সুদূর মফস্বলে বা গ্রামেগঞ্জে, আসামের চর এলাকায় মহিলাদের কোন সম্পত্তির মালিকানা থাকবে না এটাই তো স্বাভাবিক।

    কেন থাকে না তার কারণ অনেকগুলো। একে তো পিতৃতান্ত্রিক সমাজ পুত্রের তুলনায় কন্যাকে পিছিয়ে রাখে। মেয়েরা সম্পত্তির দেখভাল করতে পারবে না এটা সাধারণ ধারণা। এছাড়া লেখাপড়া বিয়েতে টাকা খরচ করলে আবার সম্পত্তি ভাগ করাটা অনেকের বাড়াবাড়ি মনে হয়। জামাইয়ের সঙ্গে পুত্রের কোনো তুলনা হয়না, সেটাও এক কারণ। মেয়েকে দেওয়া মানে তো আর মেয়েকে দেওয়া নয়, জামাইবাবাজির ভোগে লাগবে সে সম্পত্তি। ভাগ হলে ছেলেদের মধ্যেই হোক। এই মানসিকতায় সম্পত্তি একহাতে না হলেও এক পরিবারের পুরুষদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে। বাবার পর ছেলে, তারপর নাতি।

    মেয়েদের যে জমির মালিক হওয়া কতো জরুরি বুঝিয়ে দিল এনার্সি। নিজে উত্তরাধিকারী হতে পারলে খুব সহজেই লিগ্যাসির ব্যাপারটা মেটে। বাবা লিগ্যাসি পার্সন। তার এই পরিমাণ জমি তিনি আমায় দানপত্র করে দিয়ে গেছেন। ব্যস নাগরিকত্ব একেবারে বাঁধা।
    কিন্তু যাদের বাবা কিছু দিয়ে যায়নি অথবা যে হতদরিদ্রদের জীবন কেটেছে বন্ধুয়া শ্রমিক বা চরের চাষি হিসেবে, চর ডুবে গেলে যার চাষবাস খতম, সে কী দিয়ে যাবে সন্তানকে ? মেয়েসন্তানকে এক ছটাক জমি তারা থাকলেও দেবে না। কেননা রেওয়াজ নেই।

    এইখানে একটি খটকা পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো । এনার্সি একজন মানুষের মায়ের পরিচয়কে কোন পাত্তা দেয়না। এ হোলগে লৌহকঠিন পিতৃতন্ত্রের প্রযোজনায় অনুষ্ঠিত এক রাষ্ট্রীয় পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা যেখানে একমাত্র সেই ডকুমেন্টগুলোই গ্রহণযোগ্য হবে যাদের সম্পর্ক রয়েছে লিগ্যাসি পার্সন পিতার সঙ্গে। তাহলে জমি নেই। মেয়েরা আর কী দিতে পারে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে। স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট ? ক'টা মেয়ের তা আছে ? যে দেশে কিছুদিন আগেও ব্যাপক বাল্যবিবাহ চালু ছিল, এখনও লুকিয়েচুরিয়ে হয়েই চলেছে সেখানে কটা মেয়ে স্কুলকলেজের চৌকাঠ ডিঙোতে পারে ? তাহলে কাট অফ ইয়ারের আগের ভোটার লিস্ট। আসামে কাট অফ ইয়ার ছিল ১৯৭১, যা শোনা যাচ্ছে গোটা দেশে এনার্সি হলে কাট অফ ইয়ার হবে ১৯৫৫। অতোদিন আগের ভোটার লিস্টে বাবার নাম খুঁজে বার করে সে দিয়ে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ মেয়েদেএ পক্ষে সম্ভব হবে তো ? সব মেয়ের তো বিয়ের রেজেস্ট্রিও হয়না, যে সে সার্টিফিকেটে বাবার নাম খুঁজে পাওয়া যাবে। মুসলমান মেয়েদের কাবিননামায় বাবার নাম থাকে, কিন্তু গরিবের ঘরে বন্যা ও অন্য দুর্যোগে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    দেখা যাচ্ছে গরীব হলে এবং পড়াশুনো না জানলে মেয়েদের গলায় ফাঁস হয়ে বসতে পারে এনার্সি। বিয়ের পর অন্য রাজ্যে চলে গেলে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষীণ হয়ে আসে। মেয়ে যদি এখন নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য জমিসংক্রান্ত কাগজপত্র চায়, বায়না ধরে আমার নাম বংশলতিকায় তোল, তাহলে বাপ ভাইদের টনক নড়ে, এ বোধহয় এতোদিন পর সম্পত্তির দাবীদার হয়ে ফিরে এলো।

    আসামে বহু মেয়ে এইভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে গেছে। কেউ কেউ ছাড়া পেয়েছে বটে কিন্তু বেশির ভাগই কষ্টে পাগলিনী হয়ে আছে। সন্তান স্বামীকে পেছনে ফেলে আসবার কষ্ট, গৃহপালিত পশুটির যত্নের অভাবের কষ্ট। শুধু সংসার নিয়ে থাকা মেয়েদের কী কষ্টের শেষ আছে ! হর্ষ মান্দার ডিটেনশন ক্যাম্পে গিয়ে দেখে এসেছেন এদের দুরবস্থা। তাকে দেখে একসঙ্গে বিলাপ করে ওঠা এই হতভাগীদের প্রেতিনীর মতো কান্নায় তিনি হতবাক হয়ে পড়েছিলেন।

    এমন তো নয় আসামের সঙগে পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের বিশাল কোন ফারাক আছে। ওখানে যা হয়েছে, এখানে এনার্সি হলে তারই পুনরাবৃত্তি হবে ধরেই নেওয়া যায়। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো লিগ্যাসি ডাটার অপ্রতিরোধ্যতা। একবার যে ডাটা দেওয়া হবে তা ফ্রোজেন অর্থাৎ তার আর কোন নড়চড় নেই। কোনো মহল্লায় একই নামের দুজন লোক থাকতে পারে। তারা দুজনেই লিগ্যাসি পার্সন হলে দুপক্ষের সন্তানসন্ততি দের মহা মুশকিল। ভুলবশত যদি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চলে আসে তাহলে বুধোকে উদোর পরিচয়েই বাঁচতে হবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়া না যাওয়া নির্ধারিত হবে। একজন মহিলার পক্ষে এ বড় সাংঘাতিক কথা।

    আর মানসিক কষ্টের তো শেষ নেই। আজ আসাম ডিটেনশন ক্যাম্পের খবর, একটি নবজাত শিশুকে হারাবার পর মা আজ খবর পেল সে বিদেশী নয়।
    ঘরে ফেরার পথে তার পা উঠবে ?

    নিপাত যাক এই ভয়াবহ নারীবিদ্বেষী দানবীয় আইন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৩৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 237812.69.453412.38 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২২50897
  • ...
  • শামীম আহমেদ | 237812.69.453412.56 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০২50898
  • একদম। নিপাত যাক এই ভয়াবহ নারীবিদ্বেষী দানবীয় আইন।
  • সে | 236712.158.015612.39 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০৭50899
  • ভারত থেকে মানুষ দলে দলে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

    একি সত্যি?
  • মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় | 237812.69.453412.26 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩৪50900
  • ভাবাই যায় না কী ভয়াবহ অবস্থায় আছেন অসমে মেয়েরা। এমনিতেই অধিকাংশ মেয়ের নিজের ঘর হয় না। বাপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি তারপর এই জেলখানা।
    যথার্থ লেখা ঠিক সময়ে।
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.676712.160 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১০50901
  • উফ! কি ভয়ংকর!
  • :-( | 237812.69.90067.51 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২০50902
  • কিন্তু নর্থ ইস্টে মাতৃ তান্ত্রিক ব্যবস্থা শুনেছিলুম। মেয়েরাই তো জমিজমা পায় সেখানে। তাইলে মেয়েদের ভয়াবহ অবস্থা কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন