এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #সফরনামা-৩

    Roshni Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৬ | ১২৯১ বার পঠিত
  • "অত ঘাবড়ে যাচ্ছ কেন? ওই তো তোমার সুটকেস।" মুখ না তুলেই কথাকটি আমার দিকে ছুড়ে দিলেন প্রৌঢ়। আর আমি তখন হতভম্বের মতো ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি, কারণ ওনার কথা বর্ণে বর্ণে সত্যি। আমাকে আরো হতভম্ব করে প্রশ্ন করলেন "কলকাতা যাবে তো?"

    একটু ব্যাকট্র্যাক করি তাহলে বুঝতে সুবিধে হবে. বহুদিন ধরেই বাড়ির জন্য মন কেমন করছিলো কিন্তু ভিসা গ্রিন কার্ডের চক্করে আসতে পারছিলাম না. তাই যেই খবর পেলাম সে ঝামেলা মিটেছে, তক্ষুনি একটা বৃহস্পতিবার, তিনদিন পরের একটা টিকিট কেটে বসলাম বাড়ি যাওয়ার জন্য। এরম হুট্ করে আগে কখনো প্ল্যান করিনি বাড়ি আসার, ছুটিটাও হঠাৎ করে নেওয়া, তিনসপ্তাহের ছুটি, দুসপ্তাহ বাড়ি আর এক সপ্তাহ ইতালি। তাই আসার আগে পর পর প্রায় দু তিন রাত জেগে কাজ করেছি। জে এফ কে থেকে যখন রওনা দিয়েছি তখনই দুচোখ জুড়ে এসেছে। চ্যাট খুব চিন্তায় পরে গেছে আমাকে দেখে, বারবার করে বলছে, "একটু সাবধানে যাস. প্লেনে পারলে ঘুমিয়ে নিস্। দিল্লিতে নেমেই এস এম এস করিস। একা একা যাচ্ছিস, খুব চিন্তা লাগছে আমার।" তা অনেক চেষ্টার পরেও প্লেনে ঘুম হয়নি। এক কাঁদুনে বাছা সারারাত সানাই বাজিয়ে গেছে কানের পাশে। তাই যখন নিউ দিল্লিতে নেমেছি ঘুমের চোটে প্রায় টলছি।

    তা কোনো মতে পেপারওয়ার্ক সেরে গেলাম লাগেজ কালেক্ট করতে আর সেখানেই বিপত্তি। সবার সুটকেস এসে চলে গেলো, আমারটা আর আসে না. ভয়ে ভয়ে একজন এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীর কাছে গেছি কোথায় জিগেস করবো খোঁজ নিতে তখনই ভদ্রলোক আমি কিছু বলার আগেই কথাকটা আমার দিকে ছুঁড়ে দিলেন। যতক্ষণে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভাবছি যে ভদ্রলোকের সাথে আমার কোথাও আলাপ হয়েছে কিনা, কারণ তা নাহলে এরম ভাবে আমার সুটকেস চিনলেন কি করে বা আমি কলকাতা যাবো বুঝলেন কি করে, ততক্ষনে ভদ্রলোক আমার সুটকেস উদ্ধার করে ট্রলিতে তুলে ফেলেছেন। তারপরই খুব প্রশান্তির হাসি হেসে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন "হ্যালো, আমি নরেশকুমার। এয়ার ইন্ডিয়াতে ৩৭ বছর চাকরি করছি।"আমি তখনো বেশ ঘাবড়ে আছি, থমকে থমকে একটু ধন্যবাদ দিতে গিয়ে মনে চাপা থাকা প্রশ্নটা আর আটকাতে পারলাম না. "আমি রোশনি। আচ্ছা, আপনি জানলেন কি করে ওটাই আমার সুটকেস? আর আমি কলকাতা যাবো সেটাই বা বুঝলেন কি করে?" ভদ্রলোক এবার আবার হেসে ফেললেন, আগের বারের মতন স্মিত নয় বেশ দমখোলা হাসি। হাসতে হাসতেই বললেন "৩৭ বছর চাকরি করছি, এক্সপেরিয়েন্সের একটা দাম আছেতো, নাকি?" বাকি আশেপাশের এয়ার ইন্ডিয়ার লোকগুলো ও দেখি খুব মাথা নাড়িয়ে সমর্থন করছে।

    তা আমি আরেকবার ধন্যবাদ দিয়ে "আসি আঙ্কেল" বলে যেই পা বাড়াতে যাবো, ভদ্রলোক খপ করে ট্রলিটা চেপে ধরলেন, "যাবে মানে? মজাক হচ্ছে? ঘুমে তো পড়ে যাচ্ছ। চলো, আগে এক কাপ কফি খাবে।" সত্যি বলতে কি, গত ৩-৪ বছরে দিল্লির যেসব ঘটনা পেপারে পড়ছিলাম, তাতে এই অর্ডারে বেশ ঘাবড়েই গেছিলাম। দুতিন বার না না করলাম। কিন্তু ভদ্রলোক ও ততোধিক নাছোড়বান্দা কফি উনি খাওয়াবেনই। তখন ভাবলাম ঠিক আছে যাওয়াই যাক, সেরম গন্ডগোল বুঝলে নয় দৌড় দেব। ভদ্রলোকের সাথে গল্প করতে করতে চললাম, কফি খেতে।

    প্রচুর গলি খুঁজি গোলকধাঁধা পেরিয়ে যে জায়গাটায় কার্ড সোওয়াইপ করে ভদ্রলোক ঢোকালেন, বুঝলাম সেটা এয়ার ইন্ডিয়া কর্মচারীদের প্রাইভেট লাউঞ্জ। আর গিয়েই সটান অর্ডার "বাচ্চিকে এক কাপ কফি আর দুটো আলু পরাঠা দাও.নিউ ইয়র্ক থেকে এসেছে, কলকাতা যাবে।" বলাইবাহুল্য ততক্ষনে আমার হাঁড়ির খবর জানা হয়ে গেছে ওনার। কিন্তু আমার চক্ষু চড়কগাছ দুটো কারণে "প্রথমত আমার মতো বত্রিশ বছরের ধেড়ে মহিলাকে কেউ বাচ্চি বলবে সেটা ভাবা স্বপ্নেরও অতীত, আর দ্বিতীয়ত দুটো আলুর পরাঠা খাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। তা সে ঝাঁপিয়ে পরে আলুর পরাঠার বদলে চিপস এ রফা হলো কিন্তু আঙ্কেল কিছুতেই দাম দিতে দিলেন না আমায়, উল্টে চোখ পাকিয়ে এক ধমক "আমি বড়ো না? তোমার তো খুব সাহস, যে আমার সামনে পার্স বের করছ।" কি আর উত্তর দেব একথার,চুপ করে রইলাম।

    তা কফি খেতে খেতে ওনার সাথে গল্প করছিলাম। ৩৭ বছর এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি করছেন, সামনের বছর রিটায়ার করবেন। দুই মেয়ে ছেলে সবাই বেশ ভালো ভালো চাকরি করে, সবার বিয়েশাদী শেষ, নাতি নাতনীও আছে। তা ওনার ইচ্ছে রিটায়ারমেন্টের পরেও কন্ট্রাক্টে কাজ করবেন। উনিও ইতিমধ্যে আমার মা, বাবা, বোন, বর, চাকরি বাকরি সব খবর নিয়ে ফেলেছেন। তা কফিটা শেষ করে বললাম, "চলি তবে আঙ্কেল, এবার তো ডোমেস্টিক লাউঞ্জে যেতে হবে কলকাতার ফ্লাইট ধরতে। " আঙ্কেল দেখি বলছেন "চল তোমায় পৌঁছে দিয়ে আসি." খুব লজ্জায় পরে গেলাম, আমার পেছনে ওনার কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে। মিনমিন করে সেটা বলতে গিয়েই আরেক ধমক, "আরে ৩৭ বছর চাকরি করছি, এখন আমি ইচ্ছে মতন একটু ব্রেক নিতেই পারি। একদম তর্ক করবে না, চল।"

    অগত্যা নিজের হ্যান্ডব্যাগটা নিয়ে আঙ্কেলের পেছন পেছন দৌড় মারি। ট্রলি তো বহুক্ষণ ধরেই ওনার কাছে। আবার খানিক গলিখুঁজি ধরে যেতে যেতে আঙ্কেল বললেন "একা এলে তুমি ককখোনো এই রাস্তায় আসতে পড়তে না. এটা আমাদের শর্টকাট।" কথাটা ঠিকই, একা এলে সত্যিই এতো তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারতাম না। ডোমেস্টিক লাউঞ্জে পৌঁছে চেক ইন করতে গিয়ে দেখি আরেক বিপত্তি, আমার বোর্ডিং পাসের ম্যাগনেটিক রিডার খারাপ হয়ে গেছে। যে কর্মচারী দেখছিলেন আমাকে রীতিমতো ফুটিয়ে দিলেন, যে প্লেনটা ওভারবুকড, কাজেই এই ফ্লাইটে আমায় জায়গা দিতে পারবেন না, পরেরটায় দেখবেন। এবারেও আঙ্কেল পরিত্রাতার ভূমিকায়। ওই কর্মচারীকে বলে, বকে, বুঝিয়ে আমার বোর্ডিং পাস উদ্ধার করলেন উনি, আর একটা আইলের সিটও।

    তারপর বললেন, "চলো, তোমায় গেটে ছেড়ে দিয়ে আসি।" আমি ততক্ষনে প্রতিবাদ করা ছেড়ে দিয়েছি, কারণ প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। এক্ষুনি বলবেন "আমার ৩৭ বছরের চাকরি ......" গেটে পৌঁছে যতক্ষণ না প্লেনে উঠছি, আঙ্কেল বসে রইলেন আমার সাথে। ততক্ষনে ওনার ফোন নাম্বার দিয়ে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আমার কোনো আত্মীয়স্বজন এলে তাদের সব দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও।

    এরই মাঝে বোর্ডিং কল এলো, প্লেনে উঠতে যাচ্ছি, আঙ্কেল বললেন "প্লেনে উঠে একটু ঘুমিয়ে নিও, একা একা যাচ্ছ এভাবে, খুব চিন্তা হচ্ছে আমার, কলকাতা পৌঁছেই একটা ফোন করে দিয়ো কিন্তু।" চোখে জল চলে এসেছিলো আমার, কোনোমতে সামলে ঘাড় নাড়লাম। মনের মধ্যে একটা কথাই ঘুরছিলো, যেখানে রাস্তাঘাটে আমার এতো আঙ্কেল, এতো শুভানুধ্যায়ি ছড়িয়ে আছেন, সেখানে আর আমি একা কোথায়?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ নভেম্বর ২০১৬ | ১২৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • boka | 233.191.58.85 (*) | ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:২৮54820
  • দেবদূতরা আমাদের মধ্যেই আছেন, কখনো জাগেন কখনো না !! ঝরঝরে লেখা আপনার - পড়তে ভালো লাগছে !
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১২ নভেম্বর ২০১৬ ১১:০৫54821
  • সত্যি সত্যিই একলা পথে বেরোলে এরকম কেউ না কেউ শুভানুধ্যায়ী ঠিক জুটে যায়। একলা বেরোতে আমার আর ভয় লাগেনা তাই। অসুবিধেও হয়না।
  • সিকি | 192.69.253.19 (*) | ১২ নভেম্বর ২০১৬ ১১:১৬54822
  • পথে বেরোলে এ রকম দু চারটে হাত জুটে যায় - অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। দারুণ লাগল।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.252.166.34 (*) | ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ১১:১৮54823
  • রোশনি,

    আপনার সে দিনটা ভালই ছিল বলতে হবে ! কারন আমি এয়ার ইন্ডিয়ায় যতবার এসেছি - দিল্লি দিয়েই তো আসতে হয়েছে ! তাই দিল্লি যে কি জায়গা - আমি বোধয় কিছুটা জানি !

    দিল্লি যে দিলওয়ালীর নয় - সেটা তো জানি ! দিল্লিতেই কলকাতার যাত্রীদের মাল বেশি চুরি হয় ! একবার তো আমার ল্যাপটপ ঝেড়ে দেওয়ার মতলব করেছিল । - তারপর ঠিক চেকিং এর জায়গাতেই এমন চ্যাঁচামেচি করেছিলাম - আমাদের হ্যারাস করা হচ্ছে বলে ! - ধরা পড়ে গিয়ে কোনও লজ্জা নেই !

    দিল্লিতে আমি ঘুরতে গেছিলাম আটষট্টি সালে ! কখন শহরটাকে ভদ্র বা সভ্য মনে হয় নি ! - তবু আপনার ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম তো হয়েছেই ! - সেটুকুই ভালো !

    মনোজ
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:০৯54824
  • আঃ দিল্লী এয়ারপোর্ট আমার অন্যতম ফেভারিট জায়গা। দিল্লী থেকেই প্রথম 'অনসাইট' দিল্লী থেকেই প্রথম ইউএস ট্যুর। আমার সত্যি বলতে কি কোনওদিনই ওখানে কোনও অসুবিধে হয় নি। অবশ্য আমার কোম্পানিরা কস্মিনকালেও এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট দেয় নি। বরং এক কোম্পানির ক্লায়েন্ট ছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তো সেইসময় আমরা অফিসের আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দিব্বি গটগটিয়ে গ্রীন চ্যানেল দিয়ে বেরোতাম। কেউ ভুলেও কোনওদিন একটুও হ্যারাস তো করেই নি, বরং সহযোগীতাই করেছে।

    এমনিতেও আমি বছর কয়েক দিল্লী গুরগাঁও অঞ্চলে থেকেছি। ভাল অভিজ্ঞতার সংখ্যা অজস্র। আর আপনার মতন আমারও পথে ঠিক সাহায্যের হাত এগিয়ে এসেছে।

    আপনার পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী খুব ভাল লাগছে।
  • Nina | 84.209.30.85 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:১৫54826
  • জিন্ক্সড করবনা--তবে দিল্লী আমার চিরকালের প্রিয় শহর---সেই ছোটবেলাথেকে আজ অব্দি -- দিল্লী তে কখনও কোনোদিন অসভ্যতার মুখোমুখি হতে হয়নি ----আর বটম লাইন হল আজও পৃথিবীতে ভাল মানুষজনের অভাব নেই --পৃথিবী আজও তাই সুন্দর :-)

    লেখাটা খুব ভাল লাগল-----
  • reek | 94.246.168.11 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:০১54825
  • বাহ্ :) এটাও দারুন :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন