এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #সফরনামা-৪

    Roshni Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ | ১২০৯ বার পঠিত
  • ফেসবুকে এই মুহূর্তে অসংখ্য জনপ্রিয় পেজ আছে। তাদের লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার। হিউম্যান্স অফ নিউ ইয়র্ক (হোনি) এরমই একটা পেজ।পেজটা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রতিষ্ঠাতা ব্র্যান্ডন স্ট্যান্টন, ২০১০ এ রিসেশনের জেরে চাকরি চলে যাওয়ার পর শিকাগো থেকে ডেরাডাণ্ডা তুলে পাকাপাকি ভাবে নিউ ইয়র্ক চলে আসেন ফোটোগ্রাফি করতে। সারাদিন ক্যামেরা কাঁধে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন আর যাকেই পছন্দ হতো তার ইন্টারভিউ নিয়ে, ছবি সমেত ইন্টারভিউ হোনির ফেসবুক পেজে আপলোড করতেন। আজ ২০১৬ তে এসে পেজটার প্রায় ১৭ মিলিয়ন ফলোয়ার, সারা পৃথিবীর সব শহরেই একটা করে হিউম্যান্স অফ.... পেজ গজিয়ে উঠেছে, তাদের কয়েকটা তো রীতিমতন ভালো।

    আপনারা নিশ্চই ভাবছেন, আমি হঠাৎ হোনি নিয়ে এতো গল্প ফেঁদে বসেছি কেন? আসলে আজকে যেটা বলতে যাচ্ছি হোনি না থাকলে সেই গল্পটাই হতোনা। যাকগে সেকথাতেই আসছি এবার। গত দুবছর ধরে হোনির জনপ্রিয়তা দেখে ইউনাইটেড নেশন্স ব্র্যান্ডনকে তাদের য়্যাম্বাসেডর নির্বাচিত করে আর তাকে পৃথিবীর ৫০ টি দেশে পাঠায়, সেসব দেশের সাধারণ মানুষের গল্প পৃথিবীকে জানানোর জন্য। আমি হোনি রেগুলারলি ফলো করি। তা ওই ওয়ার্ল্ড টুরের সময় ব্র্যান্ডন একটা গ্রূপ অফ মার্কিন ল স্টুডেন্টদের ইন্টারভিউ নিয়েছিল যারা সারা পৃথিবীর রিফিউজিদের আমেরিকাতে এসাইলাম পেতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ল স্কুলের ছাত্রছাত্রী তাদের স্কুলের কোনো প্রফেসরের আন্ডার এ কাজ করে, শরণার্থী মানুষটির ইন্টারভিউ নিয়ে তার কাগজপত্র তৈরি করে মার্কিন সরকারকে জমা দেয় মানুষটির পাকাপাকি আশ্রয়ের জন্য। আমার মা বাবা দুজনেই রিফিউজি, ১৯৪৭ আর ১৯৭১ এ বাংলাদেশ থেকে এসে পাকাপাকি ভাবে ভারতে আশ্রয় নেয়। তাই রিফিউজি তা সে যে দেশেরই হোকনা কেন সেব্যাপারে আমার একটা আলাদা দুর্বলতা আছে।

    গতবছর ল স্কুলে জয়েন করার পরেই আমি ওই গ্রূপটিতে যোগাযোগ করে ওদের মেম্বার হয়ে যাই। শুধু লইয়ার নয়, আমি এই গ্রূপটিতে অনুবাদকেরও কাজ করি। যদি দক্ষিণ এশিয়ার কোনো শরণার্থী আসে তাহলে তাদের সাথে হিন্দি বা বাংলায় কথা বলে সেটা বাকি লইয়ার বা স্টুডেন্টদের বোঝানোও আমার কাজ। তা জয়েন করার পর প্রথমদিকে আমাকে খুব একটা কাজ করতে হয়নি। একটু আধটু কাগজ পত্র ট্রান্সলেট করেছি খালি। তা এই সপ্তাহের শুরুর দিকে একটা মেইল এলো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে এক শরণার্থী যোগাযোগ করেছেন যদি এসাইলাম পেতে আমরা সাহায্য করি। যেহেতু আমি বাংলা হিন্দিতে সড়গড় তাই আমি টিম মেম্বার আর সাথে আরো দুজন ল স্টুডেন্টও আছে। আমাদের কাজ হলো মানুষটির ইন্টারভিউ নিয়ে সিনিয়র এটর্নিকে দেওয়া। তারপর যদি উনি গ্রিন সিগন্যাল দেন তাহলে এসাইলামের কাগজপত্র বানানো।

    খুব উত্তেজিত লাগছিলো। আফটারঅল জীবনের প্রথম ক্লায়েন্ট বলে কথা. যাহোক যথা সময়ে ফোন করলাম। স্কাইপের তিন প্রান্তে তিনজন। আমি, আরেকজন স্টুডেন্ট ও মানুষটি। প্রায় ঘন্টা তিনেকের ইন্টারভিউ। আপনাদের বরং সংক্ষেপে বলি গল্পটা।

    ছেলেটি জন্মেছিলো আমার আপনার মতনই একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাড়ির বড় ছেলে, বংশের প্রথম সন্তান। স্বভাবতই খুব আদরের। খেলনাপাতির বন্যা বয়ে যায় তার জন্য। গাড়ি,বন্দুক, পিস্তল আরো কতকি। কিন্তু ছেলের সেগুলোয় মন ওঠে না. তার মন পরে থাকে পাড়ার মেয়েদের খেলনাগুলোতে। মায়ের লিপস্টিক চুরি করে মাখতে তার অনেক বেশি আনন্দ। আত্মীয়স্বজন প্রথমে প্রমাদ গুনলেন, বোঝালেন যে মেয়েদের জিনিসপত্রে তার আগ্রহ না। কিন্তু ভবি ভোলার নয়. ফাঁক পেলেই ছেলে ছুটে যায় পাড়ার মেয়েদের সাথে খেলতে। প্রথমে ধমকধামক, তারপরে মারধর। পিঠ রক্তাক্ত হয়ে গেছে দিনের পর দিন। আরেকটু বড়ো হতে শুরু হলো সহপাঠীদের উৎপাত আর শিক্ষকদের মারধর। যে ছেলে মেয়েদের মতন আচরণ করে, তার ওপরে ইচ্ছেমতন উৎপাত তো করাই যায়, তাই না?

    ১৫ বছর বয়েস হতেই বাবা সটান বলে দিলেন বড় পুত্রকে তিনি ত্যাগ করলেন। ততদিনে ছেলেটির একটি ভাই হয়েছে যে গাড়ি, বন্দুক নিয়ে খেলে,গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করতে ভালোবাসে। তাই ছেলের মতন ছেলে পেয়ে মেয়েলি প্রথম সন্তানকে এক কাপড়েই বাড়ির থেকে বের করে দিলেন তিনি। সমাজের বদনামের থেকে মেয়েলি ছেলের দাম অনেক কম। অসহায় ছেলেটির জীবনযাপনের টাকা দাদু দিতেন বাড়ির কারোকে না জানিয়ে, চোরের মতন লুকিয়ে।

    ১১ এ ছেলেটি ভর্তি হলো কলেজে, এখানেই সে প্রথম পরিচিত হলো এলজিবিটি শব্দটির সাথে। প্রথম বুঝলো যে সে সমকামী। তার ছেলেদের কে ভালো লাগে। আর সাথে এটাও জানলো নিজে ছেলে হয়ে আরেকটা ছেলেকে চাওয়া শুধু যে তার ধর্ম বা সমাজে বারণ তা নয়, দেশে চোখেও সেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অল্পবয়েসী বুদ্ধিতে ছেলেটির মনে হয়েছিল, লোককে বুঝিয়ে বললে তারা নিশ্চই বুঝবে একটা মানুষের আরেকটা মানুষকে চাওয়াটা অন্যায় নয়। ছেলেটি তাই ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে এলজিবিটি আন্দোলনে। আন্দোলনের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠে সে। আর সেকারণেই ১২ এর পরে কলেজে সুযোগ পায়না সে। কারণ এরকম ঝামেলাবাজ প্রকাশ্য সমকামী ছেলেকে কলেজের বদনাম হতে পারে।

    আর এই রকম সময়েই ছেলেটি জড়িয়ে পরে দিন বদলের আন্দোলনের সাথেও। ফলস্বরূপ মারধর তো বটেই, পুলিশের কাছে গণধর্ষিতও হয় সে। মেয়েদের মতন সাজে যখন, তখন ধর্ষণ করাটা আর এমন কি অন্যায়। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেছিলো সে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে। উল্টে জেনে ফেরত এসেছিলো অভিযোগ করলে উল্টে তাকেই শ্রীঘরে ঢোকানো হবে সমকামের অভিযোগে। ছেলেটি ডাক্তারের কাছেও যেতে পারেনি সেই ভয়ে। সে এখনো জানেনা তার কোনো রোগ হয়েছে কিনা সেদিনের ধর্ষণের পর। দিনদিন আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠায়, এবার আসতে থাকে প্রাণনাশের হুমকিও। তাতেও ছেলেটি দমে যায়নি কিন্তু যেদিন চোখের সামনে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে এলজিবিটি আন্দোলনের দায়ে খুন হতে দেখলো আর দেখলো পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার কোনো চেষ্টা করছে না, সেদিন তার মনোবল ভেঙে গেলো। রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেলো প্রতিবেশী দেশে। সেখানে সে এখন অবৈধ নাগরিক হিসেবে আছে, চাকরি বা পড়াশুনার উপায় নেই। যে শেল্টারে আছে সেখানে রেঁধে দেয় বদলে দুবেলা দুমুঠো জোটে। ভয়ে রাস্তায় বেরোতে পারেনা কারণ পুলিশ ধরলে তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠাবে যেখানে তার প্রাণের কোনো গ্যারান্টি নেই। ছেলেটির বয়েস এখন ২০। ফোনটা রাখার সময় ছেলেটি বললো " দিদি, আপনি তো বাঙালি? আপনাকে দুর্গাপুজোর অনেক শুভেচ্ছা। আমি আপনাদের মঙ্গলের জন্য ঠাকুরের জন্য প্রার্থনা করবো।"

    ফোনটা রেখে স্তব্ধ হয়ে দুমিনিট বসে ছিঁলাম আমি আর অন্য ল স্টুডেন্টটি। আমরা ভাবতেই পারছিলাম না যে, যে মানুষটার কোনো ঠিকঠিকানা নেই, ভবিষ্যৎ অন্ধকারের গর্ভে, জানেনা সে কোনো মারণ রোগে আক্রান্ত কিনা বা তার আয়ু আর কতদিন, সেই মানুষটা যার এতো কিছুর পরে ঈশ্বর নামের ওপর সব বিশ্বাস উঠে যাওয়া উচিত উচিত, সেই মানুষটা আমাদের মঙ্গলের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছে। একবারও কিন্তু তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেনি সে।

    আমি সাধারণত পুজো করিনা, আমার বাড়িতে ঠাকুরের আসনও নেই, কিন্তু একটা প্রেয়ার ব্যাগ আছে। আমার এক মুসলিম বন্ধু একটা দরগার থেকে একটা ব্যাগ এনে দিয়েছিলো। তাতে যে আমাকে আশীর্বাদী বা ঠাকুর সংক্রান্ত যা জিনিস দেয় সব রাখি। তাতে বৈষ্ণদেবীর শালুর টুকরো, সেলিম চিস্তির দরগার সুতো, লোকনাথ বাবা, শ্রীরামকৃষ্ণ আর সারদামায়ের ছবি, ভ্যাটিকানের ক্রস, সোকা গাক্কাইয়ের প্রেয়ার বুক সবাই আছে. কালকে ফোনটা রেখে ওই প্রেয়ার ব্যাগটা হাতে নিয়ে প্রানপন প্রার্থনা করছিলাম যেন এবারের পুজোয় ঠাকুর আমার প্রার্থনা শোনেন, যেন ছেলেটি এই বাধাবিপত্তি কাটিয়ে একটা সুস্থ জীবন পায়.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ | ১২০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:৪৪54897
  • :-((( তারপর কী হল? পুজো তো অনেকদিন চলে গেছে? কিছু করতে পারলেন?
  • Roshni Ghosh | 34.38.10.6 (*) | ১৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:১৩54898
  • একটা গ্রূপ অফ এস্টাব্লিশড হিউমান রাইটস লইয়াররা এখন কেসতা হ্যান্ডেল করছেন। তবে রেজাল্ট আস্তে বছরখানেক অন্তত লাগবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন