এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রম্য রচনা - মাকালীর চেলা--

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ নভেম্বর ২০১৬ | ১৭৩৮ বার পঠিত

  • (স্মৃতি বিস্মৃতি – ১৭)

    মাকালী’র চেলা—
    ___@গৌতম দত্ত
    ===========

    খবরের কাগজে কালীপুজোর চাঁদা নিয়ে খবর আর ছবি দেখে খুব হাসি পায় আমার। এতো কবে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু দাদাদের দয়ায় সে আর বন্ধ হল কই ?

    খুব সম্ভবতঃ ঊনিশশো চুরাশি সাল।

    এই রকমই এক কালী পুজোর রাত। তখন আমাদের বাড়িতে এই কালীপুজোর দিনে লক্ষ্মীপুজো হত। বরানগরেই আমরা তখন। চাকরীতে ছ বছর হয়ে গেছে। ১৯৬৫ সাল থেকে বরানগরে থাকার সুবাদে সে বছর আর কলকাতার পুরোনো পাড়ায় যাই নি, ছাতুবাবুর বাজারের বাজি পোড়ানো দেখতে। সন্ধ্যে ঠিক সাতটায় আকাশের বুকে একটা রকেট উঠে একটা বোমা ফাটত। বাজি পোড়ানোর শুরুর সংকেত। তারপর একঘন্টা ধরে ছাতুবাবুর বাজারে চলতো বাজি’র রোশনাই। আমাদের কলকাতার বাড়ির ছাদ থেকে ঘন্টাখানেক পাড়াশুদ্ধু মানুষজন তখন সব বাড়ির ছাদে। কত রকমের বাজির খেলা ! কত যে হাউই দীপাবলীর রাতের আকাশের বুক চিরে কত রকমের আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দিত সে সব এখন যেন রূপকথা। তার আগে বিকেলবেলায়, নান’দের কালীমন্দির থেকে আকাশে উড়ত কত রকমের কাগুজে ফানুশ। বিভিন্ন তার আকৃতি। কোনোটা হয়ত ঘড়ি, আবার কোনোটা সেই জুল ভার্নের বেলুন-ই। ফানুশের তলায় একটা গোল ফ্রেমে জ্বলত একটা আগুনের পুঁটলি। খুব সম্ভবতঃ কাপড়ের একটা গোল্লা বানিয়ে কোনও কেমিক্যালে চুবোনো থাকতো সেটা। আর কালীপুজোর দিন বিকেল বেলায় আকাশে ওড়ানো হত ওই সব রঙিন বেলুনগুলো। কেমিক্যালটা যতক্ষণ জ্বলতো ততক্ষনই তার থেকে একটা গ্যাস তৈরী হয়ে বেলুনগুলোকে ঠেলে তুলে দিত হেমন্তের নীল আকাশে। সিমলে পাড়ায় যাঁরা থাকতেন তাঁদের কাছে এটাও একটা স্মৃতি আজ।

    কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘এই সময়’ পত্রিকার ২২শে অক্টোবর, ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত
    শ্রী জয়ন্ত সাউ এর ‘বাজি বিলাস’ থেকে কিছুটা অংশ তুলে দেবার লোভ সামলানো গেল না :-

    “ছাতুবাবুর বাজারের ছাদ থেকে শোঁ শোঁ শব্দে উপরে উঠে গেল একাধিক হাউই৷ ছড়িয়ে গেল আলোর ফুল-মালা৷ হেমন্তের আকাশে ঝকমকে তারাগুলোকে দুয়ো দিয়ে৷ আলোর মালায় তৈরি হল নায়াগ্রা ফলস৷ ঝরে পড়ল নানা রঙের ঝরনা৷ বাজারের ছাদের মধ্যে রাখা ছিল বাঁশের তৈরি কদম গাছের কাঠামো, আগুন ধরাতেই এক একটা ফুল বাজি হয়ে সশব্দে ফুটে উঠল৷ গাছ জুড়ে যেন আলোর কদমফুল৷ আশেপাশের বাড়িগুলোতে তখন শুধু কালো মাথার সারি৷ হাততলি আর হইহই এখনও ছাতুবাবু লাটুবাবুদের বাড়ির বর্ষীয়ান সদস্য হরিহর দেবের কানে বাজে৷
    হুতোম লিখেছিলেন, কলকাতায় দু'শো মজা৷ সময়ের সঙ্গে কলকাতার বাবুদের বাড়িতে মজার উপলক্ষ বদলেছে৷ বদলেছে শহরবাসীর রুচি৷ কালীপুজোর দিন ছাতুবাবু লাটুবাবুদের বাড়ির সদস্যদের বাজি বিলাস শহরের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে ওঠে আগের শতাব্দীর গোড়ায়৷ বাজি পোড়ানো ঘিরে এমন মাতামাতি কলকাতা আগে-পরে, কখনওই দেখেনি৷ শুধু ওই পরিবার নয়, উত্তর কলকাতার বহু বর্ষীয়ান বাসিন্দার স্মৃতিতে আতসবাজির সেই প্রদর্শনী এখনও দীপাবলির আলোর মতো উজ্জ্বল৷ ষাটের দশকে নানা কারণে এই বাজি পোড়ানো বন্ধ হয়ে যায়৷ ১৯৮১ সালে বাজারের শতবর্ষ উপলক্ষে আবার শুরু হয়েছিল৷
    কিন্ত্ত ২০০৩ সাল নাগাদ আবার তা বন্ধ করে দিতে হয়৷ হরিহর দেব বলছিলেন, 'কালীপুজোর দিন আলো নিভে আসার পর থেকে ভিড় জমত ছাতুবাবু বাজারের (অনাথনাথ দেবের বাজার) সামনে৷ ঠিক সন্ধে সাতটায় শুরু হয়ে যেত বাজির ভেল্কি৷ প্রতিবেশীদের বাড়িতেও তখন মানুষ ভিড় করে চেয়ে আছেন আকাশের দিকে৷ কখন আশমান গোলাটা আকাশে গিয়ে ফাটবে৷ এক একটা আশমান গোলা আকাশে ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার থেকে বেরিয়ে আসবে মালা, তারা, সাপ৷ কখনও বা হুইসল বাজিয়ে অসংখ্য রকেট৷'
    ভারত-চিন যুদ্ধের পর পর আসে প্যাটন ট্যাঙ্ক, মিরাজ যুদ্ধবিমান৷ এগুলোর কাঠামোয় আগুন লাগালেই শুরু হত আলোর-যুদ্ধ৷ প্যাটন ট্যাঙ্ক থেকে সারি সারি রঙিন রং-মশাল জ্বলে উঠত৷ তার পর বেশ কয়েকটা রকেট ধেয়ে যেত মিরাজ যুদ্ধবিমান থেকে, পাল্টা কয়েকটা আগুনের গোলা ছুটত মিরাজকে লক্ষ্য করে৷ এ যেন ভারত-চিনের যুদ্ধ মানুষ সত্যিই প্রত্যক্ষ করছেন ছাতুবাবু-লাটুবাবুদের বাজারের আকাশে৷ যুদ্ধ শেষ হতেই জ্বলে উঠত প্রায় ১০-১২ ফুট উচ্চতার রঙিন হাত -চরকি৷ কোনওটা নীল, কোনওটা লাল আবার কোনওটা হলুদ৷ এই হাত-চরকি ঘোরার নিয়ম ছিল কখনও ক্লক ওয়াইস৷ আবার কখনও অ্যান্টি ক্লক ওয়াইস৷

    হরিহরবাবুর মতে, বাংলার শিল্পকর্মের ছাপ থাকত সেসব আতসবাজিতে৷ তার অন্যতম কারিগর ছিলেন রামবাগানের ডোমেরা৷ বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল পাঁচু ডোমের বাজি৷ মৌচাক বাজিতে তাঁর হাতযশ ছিল৷ পাঁচু কাজ করতেন রয়্যাল ইন্ডিয়া ফায়ার ওয়ার্কসে৷ তাঁর তৈরি সেই বাজি আকাশে উঠে আগুনের ফুলকি হয়ে ছড়িয়ে পড়ত আকাশ জুড়ে, মৌচাকে ঢিল মারলে যে ভাবে মৌমাছিরা উড়ে যায়৷
    ছাতুবাবুর বাজারের বৃদ্ধ দোকানি বদ্রীনাথ হাজরার স্মৃতিতেও ভেসে ওঠে তার ছোটবেলার সেই আনন্দের মুহূর্তগুলো৷ তিনি বলছিলেন, 'আমার সবথেকে প্রিয় ছিল মৌচাকের ভেল্কি৷ মনে আছে, কালীপুজোর দিন দুপুর থেকেই বাবা আমাদের বলতেন, তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে৷ দুপুর থেকেই রাস্তা খালি করে দেওয়া হত, দু'দুটো দমকলের গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে যেত বাজারের গেটের মুখে৷ মায়ের হাতে তৈরি সুতির পাঞ্জাবি পরে চলে যেতাম বাজার থেকে একটু দূরে রাঙা জেঠুদের বাড়ির ছাদে৷ হাঁ করে চেয়ে থাকতাম আকাশের দিকে৷ যেন আকাশের বুকে কোনও এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী আমরা৷ একদম প্রথমে বেশ কয়েকটা রকেট উড়ে গিয়ে আকাশের বুক ফুঁড়ে নীল রঙে লিখে দিত নমস্কার, তার পর ছুটে যেত আশমান গোলা৷ অপেক্ষায় থাকতাম কত ক্ষণে মৌচাক জ্বালানো হবে৷ মৌচাকে আগুন ধরালেই হাততালি দিয়ে উঠতাম সকলে৷ লক্ষ লক্ষ সোনালি মৌমাছিতে ছেয়ে যেত অন্ধকার আকাশটা৷ বাজি পোড়ানো চলত প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে৷ যখন লেখা হত অনাথনাথ দেব ট্রাস্ট তখন বুঝতাম খেলা এ বার শেষ হল৷ বাজারের এই বাজির খেলা শেষ হলেই শুরু হত পাড়ার ছেলে ছোকরাদের বাজি পোড়ানো৷'

    ছাতুবাবুর বাজারের ছাদে 'বাজি প্রদর্শনী'র স্মৃতি গেঁথে আছে ঈশ্বর মিল লেনের বাসিন্দা দিলীপকুমার বসুর মনেও৷ রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন কর্মী দিলীপবাবু বলছিলেন, 'বাবার হাত ধরে বাজি পোড়ানো দেখতে যেতাম৷ শহরের বহু বনেদি বাড়ির বাসিন্দারাও সেখানে যেতেনে৷ উপরে উঠে আলোর মালায় রাজা-রানি হয়ে যাওয়া বাজিটার কথা ভুলিনি৷' ”

    আবার আমার স্মৃতি’তে ফিরি...।

    তা সেই ১৯৮৪ সালে আমাদের বাড়ির উল্টোদিকে কয়েকটি কিশোর মিলে আরম্ভ করলো বারোয়ারি কালীপুজো। তখন কিন্তু আমাদের বরানগর পুরোপুরি বাম বা আরো পরিষ্কার করে বললে সি পি আই (এম) এর কব্জায়। ফাটাকেষ্ট’র পুজোয় শুনতাম চাঁদার খুব জোর জুলুম হত। আমরা বুঝিনি এতদিন বরানগরে থাকার সুবাদে। সেই চুরাশি’তে বুঝলাম। তখন আমাদের যৌথ সংসার। সুতরাং কমন ফাণ্ড থেকেই সব চাঁদা দেওয়া হত। তা ওই পুজোর সাথে চাঁদা নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছিল। এবং আমার বাবা খুব সম্ভবতঃ ওদের চাওয়া দিতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরের দল “দেখা নেব...কি করে চাঁদা আদায় করতে হয়” বলে শাসিয়ে গেছিল তার আগে।

    ভাইবোনেরা মিলে ছাদে বাজি পোড়ানো শেষ করে আমি রাতের খাওয়া সেরে চলে গেছিলাম কালীপুজো দেখতে। বেলঘরিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে। ওই অল্প বয়সে সারা রাত ধরে অমন একটা সুন্দর পুজো আর তার সাথে সাথে ছাত্র, ভক্ত আর মহারাজদের নাচ আর গান মিলে এক জমাটি রাত কাটতো আমার। ভোরে খিচুড়ি-প্রসাদ খেয়ে তারপরে বাড়ি ফিরতাম। সে পুজো এখনো হয় তবে আর যাওয়া হয় না আমার।

    হইহই করা রাত কাটিয়ে ৭৮সি নং বাস ধরে সকালবেলা বাড়ি ঢুকতে গিয়েই কেমন যেন সন্দেহ হল আমার। একতালার বাইরের শার্সিগুলোর অনেক কাঁচ ভাঙা। কি ব্যাপার ! বাড়ি ঢোকার পর সব কিছু জানলাম।

    রাতে ওই রাস্তার ধারের ঘরে মা, বাবা আর বোন শুয়ে পড়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় চকলেট বোমার যথেচ্ছ আক্রমন। সরাসরি জানলা লক্ষ্য করেই। তার সাথে ইঁট ছুঁড়ে জানলার কাঁচ ভাঙা। এক একটা পটকা ফাটছে আর কিশোরের হৈ হৈ করে জানান দিচ্ছে চাঁদার না দেওয়া অঙ্ক। বাবা, মা বোন ভয়ে বিস্ময়ে সারা রাত কুঁকড়ে বসে আছে কারণ ওই কিশোরদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস ছিল না কারো। ওদের বয়স সবার তখন সতের-আঠের হবে। কিন্তু ওই পুজোর দাদা ছিল ওরাই।

    সারা রাত ওই ভাবে কাটিয়ে বাবা সকালে উঠেই থানায় গেছিলেন। বরানগর থানা তখন কুঠিঘাটে তবে আমাদের বাড়ির কাছাকাছি ছিল পালপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি যেটা এখন বরানগর থানা হয়েছে। ফাঁড়ির যিনি বড়কর্তা ছিলেন তিনি সব শুনেটুনে বাবাকে জানান যে তাঁর কিছুই করার নেই। তখন আমাদের অঞ্চলের এক অবিসংবাদী নেতার নাম করে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে বললেন। বিষণ্ণ মুখে বাবা বাড়ি ফিরে এলেন। বাবা কোনোদিনই পার্টি বা রাজনীতি করেন নি। সুতরাং সেই নেতার সাথে বাবার পরিচয় ও ছিল না। শুধুমাত্র নাম শোনা ছিল। যেহেতু বাবারা ১৯৬৫ তে বরানগরে চলে আসেন বাড়ি করে তাই এখানে তখন বাবার পরিচিতিও খুব সামান্য ছিল। আমার যদিও কিছুটা পরিচিতি হয়েছে কিন্তু কোনো রাজনীতির নেতাদের সাথে আমারও কোনো পরিচয় তখন হয়নি। তবে বড়কর্তা উল্লিখিত ওই নেতার নাম আমরা সকলেই জানতাম।

    এরপরে নেতার বাড়ি খুঁজে বাবা গেলেন। ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে নেতার কাছে। তাঁকে কিছু বলার আগেই তিনি গম্ভীর মুখে বাবাকে বলে দিলেন যে, আপনি তো আগেই থানায় চলে গেছেন এখন আর আমি কি করব। যা করার থানাই করবে। বাবা অনুনয় বিনয় করাতেও সেই নেতার কোনো হেলদোল হল না। উলটে বাবার মনে হয়েছিল যে উনি ওই কিশোরদেরই সাপোর্ট করছেন যেহেতু ওটা তাঁরই পাড়া।

    বাবা বাড়ি ফিরে এলেন করুন মুখে। কার বুদ্ধিতে জানি না বাবা পরে গিয়ে ওই নেতার পাশের বাড়ির আরেকজনের সাথে দেখা করতে গেলেন যিনি কিছুকাল আমার ঠাকুর্দার সাথে আলাপিত ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর বাড়ি যাওয়ার পথেই শুনতে হল ওই কিশোর দলের ব্যঙ্গবিদ্রুপ। অবশেষে ওই ভদ্রলোক সবকিছু শুনে ব্যাপারটা মেটানোর চেষ্টা শুরু করলেন। পাশের বাড়ি’র ওই নেতার কাছে গিয়ে কি বললেন জানি না, তবে ওই কিশোরদের চাওয়া সেই চাঁদা বাবাকে দিতেই হল শেষ পর্যন্ত।

    সেদিন থেকেই বুঝলাম রাজনীতির নেতাদের আর তাঁদের সাথে কানেকশনের জোর !

    @গৌতম দত্ত
    ২৯শে অক্টোবর, কালীপুজো, ২০১৬।
    কলকাতা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ নভেম্বর ২০১৬ | ১৭৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন