এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • asmita | 162.79.255.200 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০৮55432
  • "আমার স্বামী বরাবর সাহায্য করে থাকে" -discrimination স্বীকার না করলেও এই কথাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কিন্তু। ঘরের কাজ দুজনেরই সেখানে পুরুষে করলে সাহায্য আর মহিলা করলে দায়িত্ব? স্বামী কথাটাই তো মেয়েদের জন্যে derogatory, তাই না?
    কোনো কোনো বাবারা করেন - কেউ কেউ বউকেও অসুখে সেবাও করে থাকেন। তবে সেটা করলে তাঁদের সবাই বেশ bigger than life বলে প্রশংসাও করে থাকেন। অনেকেই বা বেশিরভাগই করেন না - তখন কিন্তু তাঁদের দোষ দেওয়া হয় না, বলা হয় -আহা ও বাচ্চা সামলাতে পারে না। কিন্তু কোনো মা যদি বলেন আমি বাচ্চা সামলাতে পারি না - সমাজের চোখ এখনও মাথায় ওঠে।
    Exception আছে বলেই discrimination নেই এটা কিন্তু সত্যি নয়। সংখ্যাটা এখনো মারাত্মক ভাবে এক দিকে বাঁকা। সেটা স্বীকার না করতে পারলে সেটা কোনো দিনই শোধরাবে না।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১৮55433
  • সব সমাজের চোখই মাথায় ওঠে। ঠিক কথা। শুধু একসেপশন দিয়ে চলে না। তাহলে সলিউশনটা কী বা কীভাবে? নিজের ছেলেকে ঘরের কাজ শেখান, ঘরের কাজে অভ্যস্থ করে তুলুন। তাই কি?
  • π | 233.176.39.159 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৩৫55434
  • এক্স্পেক্টেশন ও পারসেপশনেই বিপুল ডিস্ক্রিমিনেশন আছে। ওয়ার্কিং কাপলের ক্ষেত্রে দুজনে কাজ শেয়ার করলে সেটাকে মনে করা হয় ছেলেটার সাহায্য করা এবং মেয়েটার ভাগ্য। মেয়েটি করলে, না না করবে সেটাই তো স্বাভাবিক। একা করলে সেটাও।
    হয়তো বহু ছেলে করেনা এগুলোর কারণেই। মানে এই স্বাভাবিক ভাবনাতেই ছোট থেকে অভ্যস্ত হওয়াতে।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১০55435
  • জ্বর জারি হলে চিরকাল বাবা দেখেছেন ।বাবার অফিস থেকে ফিরতে মাঝরাত্তির হতো , এমনিতে চিরকাল ঘুমের মধ্যে কেও একটা বাড়ি ফিরছে জেনে অভ্যেস । জ্বর হলে চুপ করে বাবার জন্যে বসে থাকতুম । এইরকম বাড়িশুদ্ধু অসুস্থ কিন্তু নিজে টুক করে গিয়ে শুয়ে পড়লো , এটা আমার এক মাসির বরের ক্ষেত্রে দেখেছি , দেখিনি তা নয় , কিন্তু সেটা সবাই বেশ খারাপ চোখে দেখতো । কোনোদিনই এগুলো চারপাশে ঘটছে মনে হয় নি । সেদিন আবার কে যেন বলছিলেন , মেয়েরা রান্না ছেড়ে দেওয়ায় মোচা , এঁচোড় খাওয়া উঠে গেছে । এদিকে এই সমস্ত খটোমটো রান্না মোচা থেকে এঁচোড় থেকে তালের বড়া সবকিছুই বাবাকে ছুটির দিন বেছে করতে দেখে বড়ো হলুম ।

    আরেকটা ব্যাপার আছে । যেটা একজনের চোখে কেয়ার সেটাই আরেকজনের চোখে আদিখ্যেতা বা প্যানপ্যানানি । কাজেই বাচ্চাকে খাবার দেওয়া হয়েছে । এক কোথায় খেয়ে নেবে । তাকে যদি বাবাসোনা মাসোনা না করলে না খায় সেটা যিনি ওই বাজে হ্যাবিট গ্রো করাচ্ছেন তাঁর দায়িত্ব । অন্যজনের দায় পড়েনি আদিখ্যেতা করার ।

    আজকাল প্রায় এই এরকম উদ্ভট যুক্তিরাশি শুনি । স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকুরী করেন । তাহলে বর কেন ঘর গোছান না ? অরে বাবা গোছানো নামক বাতিকে সবাইকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে কেন ? ওটা যার ব্যক্তিগত শখ সে করুক । আর সেই ব্যক্তিগত শখের সঙ্গে শখ যদি নাই মিললো তাহলে আর প্রেম -লিভ টুগেদার এসব মডেলে গিয়ে লাভ কী হলো :))

    ঘর গুচ্চুনে - বাচ্চাদের বাজে বায়নায় পাত্তা দেওয়া ছেলে খুঁজে প্রে-লিটু -বি করুন । ব্যাস ।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৬55426
  • সে নাহয় হল। কিন্তু যার কিছুরই অভাব নেই,বর পেটায় না, শাশুড়ী গঞ্জনা দেয় না, কেউ মুখে অ্যাসিডও ছুঁড়ছে না সে কেন মাথা ফেটে পড়লেও গিয়ে শুয়ে পড়তে পারে না? কেন বরকে দিয়েই প্রথম থেকে মানে সম্পর্কের প্রথম থেকে বরকে দিয়েই সব কাজ পর্যায়ক্রমে করিয়ে নেয় না (ধরে নিচ্ছি বর নিজে থেকে এগিয়ে আসে না)
    আর এই সুপার উয়োম্যানরা নিজেদের পুত্রটিকে সব কাজ শেখান তো? না শেখালে কেন শেখান না? পুত্রকন্যা সবাইকেই তো সমস্ত কাজ শেখানো, অভ্যাস করানো উচিৎ।

    যাদের আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোনও ব্লকার নেই জীবনে তারও যদি নিজের জীবনের কন্ট্রোলটা নিজের হাতে না নেন, তাহলে আর কার ওপরে কী প;রত্যাশা?
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৬55436
  • আর এইযে ধারণা যে "মায়েরা বাচ্চা সামলান " এটা একটা মিথ । "সামলানো " মানে কী ? সেই বাচ্চা কোনো ট্যানট্রাম করছেন এইটা দৃশ্যত প্রমান হওয়া এইতো ? এটাকে সামলানো বলেনা । বিগড়ানো বলে । বাবা বাছা ঘুনটুসনা করে বাচ্চাগুলোকে বড়ো করা হয় বলেই তারা বড়ো হয়ে অন্য রিলেশনের কাছ থেকে ঐরকম বিশ্রী প্যাম্পারিং না পেলে ক্ষেপে ওঠে । দিস ইস স্পয়েলিং । এই কারণেই বোর্ডিং স্কুলের বাচ্চারা বেটার স্বনির্ভর হয় । তাদের মা এসে সামলান না বলে । স্পয়েল করার কেও থাকেনা ।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৭55427
  • তারাও
    প্রত্যাশা
  • dc | 132.164.108.146 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৭55428
  • ইয়ে আমার মেয়ের জ্বর হলে আমি সারারাত এক ঘন্টা পরপর উঠে দেখি জ্বরটা বাড়লো কিনা।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৯55437
  • প্রেম/লিটু ফেজে মানুষের আচরণ একরকম থাকে, বিশেষ করে সেই লিটু যদি দীর্ঘকালীন না হয়। ঐ সময়ে, কাপলরা তাদের বেস্ট পারফর্মেন্স দেয়, চাকরির প্রোবেশন পিরিয়ডের মত। কিন্তু বিয়ে মানেই চাকরি পার্মানেন্ট। তাছাড়া লিটু ফেজে বাচ্চা পয়দা করার চল সেরকম নেই। কাজে কাজেই, বাচ্চা জন্মানোর পরে কাপলরা কীরকম বিহেভ করবে, বিয়ের পরেই বা কীরকম বিহেভ করবে, সেটা অজানা। প্রেম/লিটু ফেজে ভদ্রতা সহানুভূতি সমমর্মিতার যে মেকাপগুলো থাকে, বিয়ের পরে সেগুলো গলে পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। পুরোনো অভ্যাস চিন্তাধারা এক এক করে বেরিয়ে আসে। বিয়ে হয়ে গেলে বা বাচ্চা হয়ে গেলে আরোই এগুলো সংশোধন করা সম্ভব নয়। তারচেয়ে বরং বিয়েতে না যাওয়াই বেটার। লিটু চলুক। স্বরূপ বেরিয়ে পড়লে গুডবাই করা সহজ, বা দীর্ঘকাল লিটু করতে করতে অভ্যাস বদলে যেতেও পারে। কিন্তু যতক্ষণ মনের মধ্যে এই ধারণাটা থাকবে, যে লিটু ফেজতো আর মাত্র কটা মাস কি বছরখানেক বাকি আছে তারপরেই তো জব পার্মানেন্ট হবে, ততক্ষণ লোকে টেনেটুনে "ভালো" হয়ে থাকে।
  • kintu | 212.54.74.119 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪০55429
  • ছকে বাঁধা লেখা। আর পোষায় না।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪৮55430
  • আমার ছোটোবেলাতেও আমার বাবা খুব যত্ন করত আমার অসুখ করলে। রাত জাগত। ডিসেম্বরে জন্মেছি, হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসবার পরে আমার নাকি খুব ঠান্ডা লেগে জ্বর ইত্যাদি হয়েছিল। সেই সদ্যোজাত আমাকে, আমার বাবা সারাটা দিন শুশ্রূষা করত, রুম হীটার কিনে এনেছিল, অনেক যত্ন আত্তি করে বাঁচিয়ে তোলে। সদ্যপ্রসূতি আমার মা কে বিশ্রাম নিতে হতো। পরেও এরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে। জিনিসটা ডিপেন্ড করে সম্ভবত ব্যক্তি বিশেষে, এবং শেখানোর ব্যাপারটাও খুব জরুরী। এখনো এই ব্যাপারটা আমার জীবনে আছে। বাড়ীতে কারো অসুখ করলে কাজের দায়িত্ব সবার। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫০55438
  • মানছি , যে প্রবেশনে থাকলে লোকে বেস্ট পারফরম্যান্স দেয় । কিন্তু ঘর গোছানো -বাচ্চা বড়ো করা এগুলো নিয়ে অন্যজনের মানসিকতা কী এটাতো বোঝ যায় । আমি হয়তো দেখছি আমার পার্টনার বাচ্চাদের বায়না করতে দেখলেই লজেন্স -চিপস এসব দিয়ে ভোলাবার চেষ্টা করে যেটা আমার পছন্দ নয় । তাহলে কোন স্বার্থে তার সঙ্গে বাচ্চা উৎপাদন করবো । যেখানে জানা কথা যে বাচ্চা হলেই ক্ল্যাশ লাগবে । আমরা তো কত চাকরি ছেড়ে দিই ম্যানেজমেন্ট এর সঙ্গে পোষায় না বলে । এক্ষেত্রেও ম্যানেজমেন্ট না পোষালে ছেড়ে দেওয়াই কাম্য। নাকি এক্ষেত্রেও চাকরির বাজার খারাপ সেটা কারন :|
  • Arpan | 24.195.237.193 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫২55439
  • বাচ্চা প্যাম্পারিঙের দুটো কমন উদাহরণ হল বাচ্চাকে জোর করে গেলানো এবং কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটির তীব্রবেগে বমন। দুই, একদম ধাড়ি না হয়ে যাওয়া অব্দি খাটে দুজনের মাঝখানে শুইয়ে বাবা বাছা বলে শুইয়ে আদিখ্যেতা করা।

    দ্বিতীয়ত যে সব বাচ্চা ক্রেশে অনেকটা সময় থেকে বড় হয় তারা মা- নেওটা কম হয়। মা সারাদিন ঘরে বাচ্চা সামলালে বাচ্চাও মায়ের অসুখ বিসুখের দিনেও বাবাকে কাছে ঘেঁসতে দেবে না।
  • kihobejene | 77.180.29.67 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৩55440
  • sinjini -r lekha gulo khub bhalo laage - mofosholler connection gulo aro bhalo laage. kintu ei lekhar shonge agree korte parchi na. ami nije dirghodhin desher baire - ekhane babostha alada - tai compare korchi na; ekhane amar bondhuder group -e shob babarai involved. amar kaache chele meye highest priority above anything - anyone. jor ba shorir kharap hole at a stretch 3 raat jege katiyechi.

    kintu WB eo to emon dekhi na je baba ra ignore korche. amar bondhu der sobai kei to jothesto involved dekhi - jor jala hole chelemeye der shamlai - e bapare to ekhon sobai involved. sobai bojhe je choto family te karor ekar opor bortai na. hoito bias aache - may be I am looking into the whole things through a different lens.
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:০৬55441
  • অপ্পন একটা প্রচন্ড বিতর্কিত জায়গায় হাত দিলে :)

    কো স্লিপিং গুড অর ব্যাড এটা নিয়ে সারা পৃথিবীতেই তর্ক আছে । কিন্তু সকলেই যেটা বোঝার চেষ্টা করছে যে বাচ্চার সঠিক বিকাশের জন্যে মিনিমাম কত বছর অবধি কো স্লিপিং জরুরি । আমেরিকান পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন বলে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ এড়ানোর জন্যে কো স্পীপিং এড়িয়ে চলুন । আবার কোনো কোনো গবেষক বলেন একদম ইনফ্যান্ট এজে কো স্লিপিং ভালো ।

    ভারতের ক্ষেত্রে মুশকিল হচ্ছে , বাবা মায়েরা মানতেই রাজী নন যে ধেড়ে হয়ে যাওয়া বাচ্চা নিয়ে কো স্লীপ করা একটা ব্যাড হ্যাবিট , কাজেই আলোচনা টা চালানো যায়না । এই সেদিন ফেবুতে দেখলুম লোকজন হম্বি তম্বি করছে আমেরিকানরা বাচ্চা মানুষ করার কী বোঝে ওরা "নিজেদের ফুর্তির " জন্যে বাচ্চাকে আলাদা শোয়ায় !!

    নিজেদের ফুর্তি ই বা খারাপ কিসে , আর ধেড়ে বাচ্চা কে কো স্লীপিংয়ে অভ্যস্ত করিয়ে তার ঠিক কী উন্নতি হচ্ছে কিছুই বুঝিনি যদিও ।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:১৫55442
  • একটু অফ টপিক, কিন্তু, নিজের ফুর্তিতে ব্যাঘাত হচ্ছিলো বলেই কিছু বছর আগে লন্ডনে সুইস-রি র এক টপ বস, নিজের কন্যাসন্তানকে হত্যা করে। কন্যাসন্তান অন্য ঘরে ছিল, কোস্লিপিং নয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২১55443
  • ইনফ্যান্টদের আলাদা খাটে শোয়াতে হয়। একই ঘরে হলেই ভাল। সেই খাটের চারদিকে বেড়া দেওয়া থাকে, পড়ে যাবার চান্স নেই। চার পাঁচমাস বয়স অবধি এটা দরকার, কারণ বড়োদ্র সঙ্গে শুলে, রাতের বেলায় ঘুমের ঘোরে বড়োদের অসাবধানতায় যদি একটা হাতও বাচ্চার নাকের ওপর পড়ে, তো সে দমবন্ধ হয়ে মরে যেতে পারে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২৫55444
  • বিয়ে যদি চাকরি হয়, তবে সে চাকরি ওরকম রেজিগনেশন লেটার সাবমিট করে ছাড়া যায় না। অত সহজ নয় সেই প্রোসিডিওর। মামলা করে ছাড়তে হয়। কিন্তু হ্যাঁ, লিটুতে রেজিগনেশন অনেক সহজ।
  • tania | 165.57.254.1 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫১55445
  • choose your battle এটা খুব মেনে চলি। আর আমার কপালের দায় একা আমার, এটাও।
    আমার বাড়ি সারা সপ্তাহ হাওড়া স্টেশন হয়ে থাকে (যেখানে সেখানে বই পত্র, জামা কাপড় ছড়ানো, বিছানা অগোছালো, মেঝেতে crumbs), শনিবার সকালে পরিষ্কার হয়। বাচ্চা যখন ছোট ছিল তখন তার খাবার সময় বাঁধা থাকত ২০ মিনিট। খাবার সময় টি ভি, বই কিছু নয়। শুধু খাওয়াতেই মন দেওয়া, খাবারটা এনজয় করা শিখিয়েছি। এর ফলে আমার ছেলে বাড়ির খাবার পছন্দ করে, বিশেষ করে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়া। স্কুলের লাঞ্চ কোনোদিন খায় না, একদিন কিনে নিতে বললে বলে, যা হোক কিছু বানিয়ে দাও। এর জন্য প্রতিটা মিল আমায় রান্না করতে হয়, উইকেন্ড শুধু বাইরে খাওয়া।
    সে নিজে রান্না করতে পারে, ইন ফ্যাক্ট আমি কলকাতায় গেলে সে বাবাকে ডিনার বানিয়ে খাইয়েছে। আমাদের জন্মদিন বা এমনিই টুকটাক রান্না করে। তার বয়স ১৪ হবে সামনের মাসে। অসুখবিসুখ দূরের কথা, একদিন যদি যাস্ট টায়ার্ড বলে ঘুম থেকে ঊঠতে দেরী করি, আমার জন্য কিছু আটকে থাকেনা। নিজেরা নিজেদের জিনিস গুছিয়ে, খাবার বানিয়ে, খেয়ে, আমার খাবারের ব্যাবস্থা করে রেখে নিজেদের কাজে বেরিয়ে যায়। এগুলো একদিনে হয়নি। একদিনে হয়না। ঐ যে বললাম, choose your battle আর আমার কপালের দায় একা আমার... এটুকু মনে রেখে এগোলেই হয়। না করলে হাতে প্যানপ্যানানি ছড়া আর কিছু পড়ে থাকেনা।
  • Mandi | 100.201.36.85 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ০৯:০৩55431
  • ন্যকামির একটু লিমিট থাকা দরকার। নিজের জীবনের ভার নিজেকেই নিতে পারা চাই, নকি এটাও সেই " ছেলেরা আমার কিছু কোরে দি্চ্ছে না টাইপ"! আমার স্বামী বরাবর সাহায্য করে থাকে । বোলতে হয় নি। এই নাকে কাদুনিদের কোনোদিন কি্ছুতেই খুশী করা য়ায় না
  • Mandi | 100.201.36.85 (*) | ২৩ আগস্ট ২০১৬ ১১:১১55446
  • সাহায্য মানে সমান ভাগ ও বোঝায়। জোর কোরে উল্টো বুঝো হোলে আর কি বলার থাকে। " কখোনো বোলতে হয় নি " টা বেশ লেখার সময় ভুলে যান দেখা গেলো।
    আর স্বামী কথাটা কি কোরে অপমানজনক হোলো জানা নেই, ইঙ্গরেজী তে লিখোলে স্পাউস লেখার দরকার হোতো, তোখোন তাহোলে দোষ নেই তাইতো? নাকি বর বা বৌ লিখলে দোষ নেই? কারন এরকম লেখার দেখা যায় হামেশা।
  • আরো আছে | 55.56.90.85 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০১:১৮55471
  • বাপ মাকে পিতৃদেব বা মাতৃদেবী বলা সন্তানের পক্ষে ডেরোগেটরি । পিতা স্বর্গ আর জননী স্বর্গাদপি গরীয়সী বলা পিতার পক্ষে ডেরোগেটরি । রবিবাবুকে কবিগুরু বলা জীবনানন্দের পক্ষে ডেরোগেটরি ।
  • pi | 233.191.54.251 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০১:১৮55447
  • আরেকটা ব্যাপার আছে । যেটা একজনের চোখে কেয়ার সেটাই আরেকজনের চোখে আদিখ্যেতা বা প্যানপ্যানানি । কাজেই বাচ্চাকে খাবার দেওয়া হয়েছে । এক কোথায় খেয়ে নেবে । তাকে যদি বাবাসোনা মাসোনা না করলে না খায় সেটা যিনি ওই বাজে হ্যাবিট গ্রো করাচ্ছেন তাঁর দায়িত্ব । অন্যজনের দায় পড়েনি আদিখ্যেতা করার ।

    আজকাল প্রায় এই এরকম উদ্ভট যুক্তিরাশি শুনি । স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকুরী করেন । তাহলে বর কেন ঘর গোছান না ? অরে বাবা গোছানো নামক বাতিকে সবাইকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে কেন ? ওটা যার ব্যক্তিগত শখ সে করুক । আর সেই ব্যক্তিগত শখের সঙ্গে শখ যদি নাই মিললো তাহলে আর প্রেম -লিভ টুগেদার এসব মডেলে গিয়ে লাভ কী হলো ঃ))

    ঘর গুচ্চুনে - বাচ্চাদের বাজে বায়নায় পাত্তা দেওয়া ছেলে খুঁজে প্রে-লিটু -বি করুন । ব্যাস ।

    ---

    এককের এই পোস্টে ক।
    তবে এই কথা মেয়েদের বেলাতেও প্রযোজ্য হোক।
    মেয়েরা ঘর পরিপাটি করে গুছিয়ে না রাখলে কি দশ রান্না না করলে সেই নিয়েও অন্যদের চোখ কপালে তোলা ভুরু কোচকানো বন্ধ হোক। এগুলো চয়েজ বা প্রেফারেন্স হতে পারে কিন্তু ম্যান্ডেটরি দায়িত্ব বা সে নিয়ে এক্স্পেক্টেশন থস্কা উচিত না। এই নিয়ে দুজনের আডজাস্টমেন্ট থাকা দরকার আর অন্যদের এনিয়ে নাক না গলানো বন্ধ করা। আর দুজনের পছন্দ চাহিদা দুরকম হলে যার চাহিদা তার করে নেওয়া উচিত।এগুলো না করলে অন্য পক্ষ ঘরী কাজ করছেনা এগুলোই বলার মানে দেখিনা। যদিও এই ঘ্যানঘ্যানটা প্রচুর লোককে করতে দেখি।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০১:৪৫55448
  • হ্যা , উভয় জেন্ডারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । শুধু ছেলেদের সম্বন্ধে মেয়েদের এক্সপেক্টেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এমন নয় ।

    এক্সপেক্টেশন থাকবেই । আমি এক্সপেক্টেশনকে অগ্রাহ্য করছিনা । এমনকি সো কল্ড অবাস্তব -প্রাগৈতিহাসিক এক্সপেক্টেশনকেও উড়িয়ে দিচ্ছি না । কোনো মেয়ে ভাবতে পারেন , গাড়িতে ওঠার সময় বর দরজা খুলে ধরবে বা এঁচোড় ছাড়িয়ে বা চিংড়ি মাছের খোলা ছাড়িয়ে দেবে , কোনো ছেলে ভাবতে পারেন বাড়িতে ফিরলেই যে কোনো মুডেই থাকুক না কেন মেয়েটি হাসিমুখে জল খাবার এগিয়ে দেবে তারপর অন্য কথা ইত্যাদি ইত্যাদি একশো হাজাররকম এক্সপেক্টেশন থাকতে পারে , থাকতেই পারে । নিজের যেমন এক্সপেক্টেশন তেমন মানুষ দেখে এগোনোই ভালো ।

    অসহ্য একটিভিটি কে "কিউট " ভাবা বন্ধ করুন । দিস ইস আ কমন ইস্যু । কোর্টশিপের সময় মেয়েটি নিত্য হাত পা ছুঁড়ে ট্যানট্রাম করে সেটাকে ভাবছেন "কিউট " । ওই মাল কিন্তু বিয়ের পর প্রতিদিন এক নাটক করবে । যে ছেলে ময়লা হয়ে থাকে বা জামা কাচেনা ওই হতভাগা বিয়ে করে পাল্টে যাবেনা । এদের ব্রিড টাই এরকম । চুলকানি চুলকে আরাম লাগে কিন্তু আসলে সব চুলকানিই সহ্যের লেভেলে ব্যাথার অনুভূতি । কিউটনেস ও তাই । চুলকানি পরে ব্যাথা হয় এটা মনে রাখবেন ।

    অর্থাৎ বক্তব্য শুধু একটুকুই যে ব্রিড বুঝে ব্রিড করুন :) ল্যাব্রাডোর এর কাছে যেমন হাউন্ডের ক্যারেক্টারিস্টিক্স আশা করা যায়না , ঠিক তেমনি শুধু মাত্র "ছেলে " বা " মেয়ে " বলেই তাদের কাছ থেকে একটা কমন সেট অফ ক্যারেক্টারিস্টিক্স আশা করা যায়না । শুঁকে টুকে দেখুন , সেটুকু প্রচলন -সুযোগ তো আধুনিক সমাজে আছেই বিভিন্ন নামে । তারপর হান্ড্রেড পার্সেন্ট দুজন দুজনের রিস্ক । "পরে ঠিক বাগে এসে যাবে " ভাববেন না অহেতুক কনফিডেন্স এর বশে । ব্রীড কোনোদিন পাল্টায় না । ছেলে -মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই ।
  • dc | 132.164.214.155 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৫55449
  • যাকলা, "স্বামী" কথাটা মেয়েদের জন্য ডেরোগেটারি কিকরে হলো? তাহলে কি "স্ত্রী" কথাটা ছেলেদের জন্য ডেরোগেটরি?

    এছাড়া যেটা আগেও লিখেছি, সংসার করলে যৌথ দায়িত্বে করতে হয়। ঘরের কাজ থেকে ছেলেমেয়ে আর পরস্পরের অসুখ সামলানো, সবকিছুই দুজন মিলে ভাগাভাগি করে করতে হয়। এটা আজকাল শহরে অনেক ফ্যামিলিতেই নর্ম হয়ে উঠছে। অনেক অনেক ছেলেকেই দেখি ছেলেমেয়ের অসুখ করলে দায়িত্ব নিতে, জ্বরজারি বেশী হলে অফিসে ছুটি নিতে ইত্যাদি। পেরেন্ট মিটিংএর জন্য অফিসে সেকেন্ড হাফে আসাটাও কমন। আগের থেকে অবস্থা বোধায় একটু হলেও বেটার হয়েছে।
  • Ekak | 53.224.129.53 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩২55450
  • কিছু ইস্কুল বাঁদরামি করে , প্যারেন্টস মিটিঙে মা কে থাকতেই হবে । দুজন মিলেই সব মিটিঙে থাকা সম্ভব না । এগুলো কড়া হাতে ডিস্কারেজ কড়া উচিত এবং বাচ্চাকেও বুঝিয়ে দেওয়া উচিত যে মা যেতে পারছেন না বলে সহপাঠীদের থেকে এলিয়েন ফীল করার কিছু নেই ।
  • :। | 188.17.170.179 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৩55472
  • আপনারা বাবামশাই বলেন না?
  • আপদ | 173.172.29.9 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৫:১৪55451
  • যত্ত উটকো হ্যাপা । এই জন্যেই মহাপুরুষরা বে-থা বাচ্চাকাচ্চা করতে বারণ করে গেছেন । তা সত্ত্বেও করলে ফল তো ভুগতে হবেই ।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২০55452
  • ডিসি
    "যাকলা, "স্বামী" কথাটা মেয়েদের জন্য ডেরোগেটারি কিকরে হলো?"

    স্বামী-র কথাটার অর্থ লর্ড বা মালিক। সেখানে দাম্পত্যের মধে একটা উচ্চাবচ অবস্থা থেকেই যাচ্ছে।

    বর-বউ ও তাই। বর ঃ যে শ্রেষ্ঠ ( নরবর, গোবর.. হাসবেন না, গরুর প্রডাক্ট গুলির মধে যেটি সবচেয়ে উত্তম)।

    একমাত্র যে আদি অকৃত্রিম বাংলা দ্বন্দ্বসমাসে এই ভেদাভেদ ছিলো না, তাকে আমরা ভদ্রলোকেরা অছলীল, অছলীল বলে সরিয়ে দিয়েছি।
  • dc | 132.164.214.155 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১১55453
  • আচ্ছা এটা জানতাম না, ধন্যবাদ। আর সেই নিউট্রাল টার্মটা কি?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন