এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শ্বেতশুভ্র পঞ্চ বিষ। : পর্ব ১ : পরিশোধিত নুন

    Gautam Mistri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ মার্চ ২০১৬ | ৮৯১০ বার পঠিত
  • শ্বেতশুভ্র পঞ্চ বিষ। : পর্ব ১ : পরিশোধিত নুন

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি আপ্তবাক্য স্মরণীয়: -পাঁচটি সাদা বিষ থেকে দূরে থাকুন।

    (১)প্যাকেটবন্দি পরিশোধিত নুন, (২) চিনি,(৩ ) সাদা সরু ও চকচকে পালিশকরা চাল এবং (৪ ) সাদা আটা, ময়দা ও তার থেকে ঘরে প্রস্তুত করা রুটি অথবা বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, কুকিজ ইত্যাদি অসংখ্য বেকিং করা খাবার এবং (৫ ) দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। প্রথম পর্বের আলোচনা নুন নিয়ে।

    পরিশোধিত সাদা নুন অ্যাটম বোমার চেয়েও ভয়ংকর:

    গুহাবাসী মানুষ নিজেদের উন্নত করার প্রয়াসে আগুনের ব্যবহার শেখার সাথে সাথে শিকার করা মাংস ঝলসিয়ে খেতে শিখেছিলো। এর পরে কেটে গেছে বহু যুগ। স্থান ও কালভেদে রান্না করার অসংখ্য উপায় আমরা শিখে গেছি,
    সিঙ্গারা আরও অসংখ্য রন্ধনপ্রণালী টেলিভিশনের পর্দায় অহরহ আমাদের লালাগ্রন্থিকে উত্তেজিত করে চলেছে।প্রাথমিকভাবে গুহাবাসী মানুষ উদ্বৃত্ত খাবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষানীরিক্ষার ফলস্বরূপ একসময় খাদ্যে নুন মিশিয়ে সফল হলেও আমরা, উত্তরসূরীরা, অস্বাস্থ্যকর লবণাক্ত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে ক্রমশঃ জিভের অভ্যাস বদলে ফেললাম।এটা যে কেবল অস্বাস্থ্যকর তা নয়, এটা অপ্রয়োজনীয়ও বটে।খাদ্যে অতিরিক্ত নুন না মেশালেও প্রাকৃতিক খাবারে নুনের দৈনিক প্রয়োজন(৬ গ্রাম)মিটে যায়। শৈশব থেকে অভ্যাস না করলে অথবা প্রাপ্তবয়সে স্বাস্থ্যের কারণে আলাদা করে নুনের ব্যবহার ত্যাগ করলে নুন ছাড়া খাবারের স্বাদগ্রহণে অসুবিধা হয় না। তিব্বতীরা চায়ে নুন মিশিয়ে পান করলেও আমরা নুন ছাড়া চা বেশ উপভোগ করতে পারি। নুনে অভ্যস্ত না হওয়া কিছু জনগোষ্ঠী অতিরিক্ত নুন ছাড়াই সারা জীবন দিব্যি কাটিয়ে দেয়। কোরিয়ার লুও প্রজাতি (Luo Tribe) খাদ্যে নুন মেশানোর ব্যবহার শেখেনি আর তাদের মধ্যে উচ্চরক্তচাপের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। আবার শহরাঞ্চলে বসবাসকারী লুও প্রজাতির বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নুনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে তাদের উচ্চরক্তচাপ ও তৎসম্পৃক্ত অন্যান্য রোগের প্রকোপও বেড়ে যেতে দেখা গেছে।১ যদিও আমাদের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড ছাড়া অন্য বেশ কিছু নুনের (যেমনঃ আইয়োডিন,ফ্লুরিন,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম) প্রয়োজন আছে, বিকৃত
    কেক, প্যাস্ট্রি, বেকড খাবার খাদ্যাভ্যাসের তাড়নায়,সচেতনভাবে আমরা কেবল সোডিয়াম ক্লোরাইড নামক নুনের প্রয়োজন অনুভব করি। খাবারের টেবিলে খাবারের স্বাদ গ্রহণ না করেই ভাত মাখার আগে কিছুটা নুন ছড়িয়ে নিই।আমাদের রক্তে বিভিন্ন নুনের (সোডিয়াম ক্লোরাইড সহ অন্যান্য লবণ)মাত্রা সুদুর অতীতের কলুষমুক্ত সমুদ্রের লবণাক্ত জলের বিভিন্ন নুনের মাত্রার সঙ্গে আশ্চর্যভাবে মিলে যায়। সমুদ্রের অসংখ্য প্রাণীতো সেই জলেই পরিপুষ্ট হয়। খাবারে নুন মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যেসটা অপ্রয়োজনীয়; জৈবিক প্রয়োজনে অন্যান্য লবণের মত সোডিয়াম ক্লোরাইড বনাম নুনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পরিশোধিত প্যাকেটজাত নুনের প্রয়োজন নেই।

    কিঞ্চিৎ রসায়নঃ
    রাসায়নিক অভিধান অনুযায়ী, লবণ হল অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন এবং ধাতব মৌলের সাথে অধাতব মৌল অথবা র‍্যাডিক্যালের সমন্বয়ে গঠিত এক শ্রেণীর যৌগ। এই শ্রেণীভুক্ত যৌগের মধ্যে কেবল সোডিয়াম ক্লোরাইড (এই নিবন্ধে নুন বলে অভিহিত)শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত সক্রিয় লবন। আমাদের শরীরের দেহকোষের স্তরে সকল শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার সোডিয়াম আয়নের মুখ্য ভূমিকা আছে। হৃদস্পন্দনের জন্য, এক স্নায়ুকোষ হতে অন্য স্নায়ুকোষে বার্তা প্রেরণের জন্য, মাংসপেশীর সংকোচন প্রসারণের জন্য মায় এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আমাদের দেহকোষের মধ্যে সোডিয়াম আয়ণের সুনির্দিষ্ট মাত্রায় ও পথে চলাচল করা আবশ্যক। বৈজ্ঞানিকগণ রক্তে সোডিয়ামের স্বাস্থ্যকর মাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দীর্ঘমেয়াদি সূত্রে খাবারে অতিরিক্ত নুন গ্রহণে রক্তে উপরোক্ত মাত্রা বজায় রাখার প্রয়াসে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার উপর চাপ পড়ে। প্রয়োজনের অধিক নুন গ্রহণের ফলে, রক্তের ঘনত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে, নুনের সাথে শরীরে জলও জমতে থাকে।খাবারে দৈনিক নুন গ্রহণের মাত্রার তারতম্য ঘটলেও বৃক্কের (কিডনি)প্রয়োজনভিত্তিক নুন নিয়ন্ত্রক ক্ষমতার জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ক্ষতিসাধন ঘটে না। সেই অতিরিক্ত নুন বর্জনের প্রক্রিয়া স্বরূপ বিভিন্ন উৎসেচকের (rennin-aldosterone-angiotensin system, atrial natriuretic peptide)প্রভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়,যার ফলে বৃক্কের নুন বর্জনের ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। মানুষ ও সমশারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সম্পন্ন প্রাণীর উপরে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত নুন গ্রহণের ফলে বৃক্কের অতিরিক্ত নুন বর্জনের বোঝার সাথে উচ্চ রক্তচাপের যোগাযোগ প্রমাণিত। ২

    প্রাথমিকভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া টা তাই তাৎক্ষণিকভাবে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার অনুকূল (প্রয়োজনের অতিরিক্ত নুন বর্জনের জন্য)। কিন্তু এই অসমহারে অধিক নুন গ্রহণের প্রক্রিয়া চলতে থাকলে পাকাপাকিভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাবার আশঙ্কা উপস্থিত হয়।প্রয়োজনের অধিক নুন গ্রহণের এই ক্ষতিসাধন অবশ্য কিছু মানুষের হয় না।যাদের হয় তাদের নুন সংবেদনশীল(sodium sensitive) বলে। অধিক নুন গ্রহণের জন্য উচ্চরক্তচাপ ও
    চিজ তৎসম্পর্কিত অন্যান্য রোগ এদেরই বেশী পরিলক্ষীত হয়। খাবার নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইডের বদলে একটু অন্য ধরণের লবণে(যেমন পটাশিয়াম ক্লোরাইড অথবা সোডিয়াম বাই কার্বনেট)এমন ধারা ক্ষতি হয়না। বরং, সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে পটাশিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিষক্রিয়া কিছুটা প্রশমিত হয়। আফ্রিকার বংশোদ্ভূত আমেরিকাবাসীদের এক সমীক্ষায় খাদ্যে পটাশিয়ামের ঘাটতিতে সোডিয়াম সংবেদনশীলতা ভয়ংকররূপে বেড়ে যেতে দেখা গেছে – যার ফলস্বরূপ অধিক নুন গ্রহণে তাদের উচ্চ রক্তচাপ বেশীমাত্রায় সংগঠিত হতে দেখা গেছে। ৩ আধুনিক কালের সর্ববৃহৎ মারণরোগ হিসেবে হৃদরোগ ও সেরিব্রাল স্ট্রোক ইতিমধ্যে কুখ্যাত হয়ে গেছে।এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত যে, উচ্চ রক্তচাপ নিবারণ অথবা নিয়ন্ত্রণ দ্বারা ঐ সকল মারণরোগ থেকে পৃথিবীর সব দেশের ব্যক্তিবিশেষ অথবা রাষ্ট্রীয় সার্বিক ও আর্থিক ক্ষতির সবচেয়ে সফল প্রতিরোধ সম্ভব। যে সকল জনগোষ্ঠীতে দৈনিক নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমান ১.২ গ্রামের কম, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিরল। আবার অপর দিকে উচ্চ রক্তচাপ সেইসব জনগোষ্ঠীতেই দেখা যায়, যাদের নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ২.৩ গ্রামের বেশী.। ৪, ৫

    এই তথ্য থেকে বোঝা যায়,উচ্চরক্তচাপ সংঘটিত হবার জন্য দৈনিক নুন গ্রহনের একটি বিপদসীমা (threshold) আছে, আর নুনভক্ষনের এই রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য রোগোপাদানের উপর নির্ভরশীল নয়। অর্থাৎ স্থুলতা, পরিশ্রমবিমূখিতা, জিনগত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতার সংগে মাত্রাছাড়া নুন গ্রহনের রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষমতা যোগ হয়ে যায়।আমেরিকায় কেবল এই বিপদসীমার ঊর্ধ্বে নুন গ্রহণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ১৫০,০০০ জনের অকাল মৃত্যু হয়।সাধারনতঃ সচেতন নয় এমন ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহনের পরিমান ৮ থেকে১২ গ্রাম।
    ফাস্ট ফুড ২০১০ সালে আমেরিকার কৃষি, স্বাস্থ্য ও মানবকল্যাণ দপ্তরের নির্দেশিকার মতে অধিকপক্ষে দৈনিক ৬ গ্রাম নুন অথবা ২.৩ গ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ নিরাপদ। ইউরোপীয় উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (European society of hypertention) মতে এই মাত্রা ৫ গ্রাম।৬ যদিও উচ্চরক্তচাপের প্রাদুর্ভাব আছে এমন জনগোষ্ঠীর (৫১ বছরের বেশী বয়স, কৃষ্ণাঙ্গ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, উচ্চরক্তচাপের রুগী অথবা অনিরাময় যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত রুগী) নুন গ্রহনের ঊর্ধ্বসীমা দৈনিক ৪ গ্রাম(১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)৭ । হিসেব কষে দেখা গেছে, আমাদের নুন গ্রহনের শতকরা ৮০ শতাংশই আসে প্রক্রিয়াকৃত খাবার ও পানীয় থেকে। অর্থাৎ প্রক্রিয়াকৃত খাবার ও পানীয় বর্জন অথবা সঠিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমাদের নুন গ্রহনের পরিমান বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই নির্দেশিকা বলবৎ করা গেলে ঐ দেশে বছরে ১২০০০০ জনের হৃদরোগ, ৬৬০০০ জনের সেরিব্রাল স্ট্রোক,৯৯০০০ জনের হার্ট অ্যাটাক নিবারণ সম্ভব আর তার ফলে ২৪০ কোটি ডলার সাশ্রয় করা যাবে।৮

    খাবারে নুন মেশানো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে উচ্চরক্তচাপের প্রাদুর্ভাব কমানোর সাথে সাথে অন্য বেশ কিছু উপকারও পাওয়া যায়। নুন কম খেলে প্রস্রাবে কম মাত্রায় ক্যালসিয়াম বের হয়। অর্থাৎ নুন খাওয়াতে রাশ টানতে পারলে ফাউ হিসাবে পাওয়া যাবে কিডনির পাথর জমার সম্ভাবনা থেকে মুক্তি আর বৃদ্ধ বয়সে ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ অধিক শক্তিশালী জোরদার হাড়। পাকস্থলীর ক্যান্সার আর হাঁপানিও মাত্রাতিরিক্ত নুন গ্রহনের সাথে বাড়তে থাকে।
    কতটা নুন কমানো স্বাস্থ্যকর?

    দৈনিক নুন গ্রহণের মাত্রা ১ গ্রামের কম (০.৪৫ গ্রাম সোডিয়াম) হলে রক্তে লঘুঘনত্বের (low density lopoprotein cholesterol, LDL cholesterol) কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে দেখা গেছে, যদিও এটা রক্ত ঘন হয়ে যাবার জন্য হয় বলে বৈজ্ঞানিকরা মনে করেন। ৯ সবদিক বিচার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দৈনিক নুন গ্রহণের নিম্নসীমা নিরাপদে ৪.৭ গ্রামে রাখা যেতে পারে। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাবার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণকারী রেনিন-অ্যাঞ্জিওটেন্সিন - এল্ডোস্টেরোন সিস্টেমের অধিক সক্রিয় হয়ে যাবার আশংকা অমূলক বলে প্রমাণিত। ১০ খেয়াল রাখতে হবে, অনিরাময় যোগ্য কিডনির অসুখে (chronic kidney disease) আক্রান্ত ব্যাক্তিদের প্রচলিত নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিকল্প হিসাবে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ নুনের (“কম সোডিয়ামের” বিকল্প নুন হিসাবে জনপ্রিয়) ব্যবহার ক্ষতিকারক। কিছু পাঠক মনে করতে পারেন, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা স্বাস্থ্যকর সীমার নিচে নেবে গেলে বুঝিবা প্রাণের আশংকা উপস্থিত হয়! একদম খাঁটি কথা। অন্যান্য কারণের সাথে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের কিছু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধে ( ডায়ইউরেটিক গোত্রীয়) অমনটি হতে পারে। এই আলোচনা জটিল ও আপ্রাসঙ্গিক। জেনে নেওয়া যাক, সেই আপৎকালীন অবস্থা খাদ্যে নুনের ওভাবে হয় না।

    আয়োডিন সমৃদ্ধ নুন - কতটা অপরিহার্য?
    প্রশ্ন উঠতে পারে, প্যাকেটে যে নুন কিনতে পাওয়া যায়, তাতে প্রয়োজনীয় আয়োডিন মেশানো থাকে। সেই নুন না গ্রহণ করলে আয়োডিনের জোগান কোথা থেকে আসবে? আয়োডিন একটি অধাতব খনিজ, যেটা আমাদের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়েড নামক গ্রন্থির থাইরক্সিন উৎসেচক উৎপাদনের একটি কাঁচামাল। এটির অভাবে হৃদপিণ্ড, মাংসপেশি, স্নায়ু ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা। এর অভাবে বিশেষ করে শৈশবে মস্তিষ্কের বিকার অপূর্ণ থেকে যেতে পারে আর কৈশোরে দেহবৃদ্ধির সময় গয়টার (goitre) নামে রোগ হতে পারে। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম আমেরিকায় নুনে আয়োডিন মিশিয়ে গয়টার অধ্যুষিত এলাকায় সফলতা পাওয়া যায়। জেনে রাখা দরকার, প্রক্রিয়াকৃত খাবারে যে নুন ব্যবহার হয় সেটা মোটেই আয়োডিন সমৃদ্ধ নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক আয়োডিনের প্রয়োজন মাত্র ১৫০ মাইক্রোগ্রাম (বাড়ন্ত শিশুদের, গর্ভবতী মহিলাদের আর মাতৃদুগ্ধ দানকারী মায়েদের অধিক আয়োডিনের দরকার)। সেটা সহজেই সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শ্যাওলা জাতীয় খাবার অথবা লবণাক্ত জমিতে পালন করা গৃহপালিত পশুর দুগ্ধজাত খাবারে ও মাংসে পাওয়া যাবে। আয়োডিন সমৃদ্ধ জমিতে চাস করা সবজিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন থাকে। সুষম, বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হলে আয়োডিনের জন্য নুনের উপর ভরসা করতে হবে না।

    খাবার সময় অবশ্য এই সব তত্বকথা মাথায় থাকে না, আলাদা করে মেপে করে নুন খাওয়া অসম্ভব। নুন খাওয়ায় রাশ টানার জন্য দুটি পৃথক প্রয়াস প্রয়োজন।

    প্রয়াস ১ : নুন সমৃদ্ধ খাবারও বর্জন
    ক্রমবর্ধমান পশ্চিমী খাবারে অভ্যস্ত হবার কুফলে আমরা যে প্রক্রিয়াকৃত খাবারে আপোষ করে নিই, সেটাই আমাদের দৈনিক অর্ধেক নুন গ্রহণের জন্য দায়ী। অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়াকরণের জন্য বেশ কিছু খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। এগুলি সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয়। সুদীর্ঘ নুন-বিষে পূর্ণ খাবারের তালিকা থেকে অল্প কয়েকটির উল্লেখ করা যাক - চটজলদি খাবার (ফাস্ট - ফুড), বেকারির খাবার (কেক, প্যাস্ট্রি, প্যাটিস, কুকিজ, পাঁউরুটি), প্যাকেটজাত মাখন, চিজ, নোনতা খাবার (চপ, কাটলেট, নিমকি, শিঙাড়া), টিনবন্দি খাবার। একটি গাছ থেকে পাড়া আপেলে ১.৫ গ্রাম সোডিয়াম থাকলেও প্যাকেটজাত আপেলের রসে সোডিয়াম থাকে প্রায় ২৫ গ্রাম। প্যাকেটবন্দি খাদ্য খাবার আগে “লেবেল গোয়েন্দা” হওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। বিভিন্ন খাদ্যে নুনের মাপের অধিক তথ্য পাওয়া যাবে এই ঠিকানায় http://fcs.tamu.edu/food_and_nutrition/pdf/sodium-content-of-your- food-b1400.pdf

    প্রয়াস ২: দৈনিক ঘরোয়া রান্নায় নুনের নিয়ন্ত্রণ:
    এই প্রয়াসে দৈনিক নুন গ্রহণের এক তৃতীয়াংশ কমানো যেতে পারে। জনপ্রতি ৪ থেকে ৬ গ্রামে (চা-চামচের ১ চামচ) নুন নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে এক হেঁসেলে পাত পাড়ে এমন সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী হিসেব করে দৈনিক বরাদ্দ করা নুন আলাদা করে মেপে নিয়েই রান্নাঘরে ঢোকা উচিত। খাবারের টেবিলে (বা পাতের ধারে ) নুনের শিশি, সস বা ক্যাচাপ (এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে) থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে। অ্যাডভেঞ্চারে অপ্রিয় বেশ কিছু ব্যক্তিদের কাছে কম নুনের খাবার প্রথমে আকর্ষণীয় মনে না হলেও মাস খানেক অভ্যাস করার পরে খাবারের স্বাভাবিক স্বাদ পেতে অসুবিধা হবে না। আলাদা করে নুন না মিশিয়ে রান্না করলেও বেশ কিছু খাদ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি হোল, ডিম, মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার (মাখন, চিজ, দই), মাংস, পাঁউরুটি, পালং শাক, মূলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বাদাম, বিস্কুট, সরিষা, প্যাকেটজাত ফলের রস, ডায়েট কোক, আদা, রসুন, বেকিং পাউডার, সয়াসস, কাসুন্দি, ক্যাচাপ, ইস্ট ইত্যাদি।

    নুন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা:
    ১. সুস্থ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৫ গ্রাম, যাতে ২ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
    ২. একান্ন বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তি, কৃষাঙ্গ অথবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অনিরাময়যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৪ গ্রাম (১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)।
    ৩. সাদা, পরিশোধিত, মিহি ও প্যাকেটবন্দি নুনের চেয়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, অপেক্ষাকৃত অপরিশোধিত মোটাদানার লালচে নুনই শ্রেয়।

    তথ্যসূত্র

    1.Circulation. 1990; 81: 987-995)
    2.Siffert W, Düsing R. Sodium-proton exchange and primary hypertension. An update. Hypertension 1995; 26:649. 18. Kuro-o M, Hanaoka K, Hiroi Y, et al. Salt-sensitive hypertension in transgenic mice overexpressing Na(+)- proton exchanger. Circ Res 1995; 76:148.
    3.Morris RC Jr, Sebastian A, Forman A, et al. Normotensive salt sensitivity: effects of race and dietary potassium. Hypertension 1999; 33:18.
    4.Adrogué HJ, Madias NE. Sodium and potassium in the pathogenesis of hypertension. N Engl J Med 2007; 356:1966.
    5. Elliott P, Stamler J, Nichols R, et al. Intersalt revisited: further analyses of 24 hour sodium excretion and blood pressure within and across populations. Intersalt Cooperative Research Group. BMJ 1996; 312:1249.ē
    6.Mancia G, De Backer G, Dominiczak A, et al. 2007 Guidelines for the Management of Arterial Hypertension: The Task Force for the Management of Arterial Hypertension of the European Society of Hypertension (ESH) and of the European Society of Cardiology (ESC). J Hypertens 2007; 25:1105.
    7.US Dept of Agriculture and US Dept Health and Human Services. Dietary Guidelines for Americans 2010. US Govt Printing Office; US Dept of Agriculture and US Dept Health and Human Services, Washington, DC, 2010.
    8.Coxson PG, Cook NR, Joffres M, et al. Mortality benefits from US population-wide reduction in sodium consumption: projections from 3 modeling approaches. Hypertension 2013; 61:564.
    9.Graudal NA, Galløe AM, Garred P. Effects of sodium restriction on blood pressure, renin, aldosterone, catecholamines, cholesterols, and triglyceride: a meta-analysis. JAMA 1998; 279:1383.
    10.He J, Ogden LG, Vupputuri S, et al. Dietary sodium intake and subsequent risk of cardiovascular disease in overweight adults. JAMA 1999; 282:2027.

    এই নিবন্ধটি উৎস-মানুষ পত্রিকায় পূর্বে প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ মার্চ ২০১৬ | ৮৯১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Gautam Mistri | 123.21.69.4 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৭56158
  • সাগর মন্থনের বিষ পরিত্যাজ্য।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.125.100 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৯:৫৬56159
  • গৌতম দা ঃ- বোধহয় নিচের সাম্প্রতিক স্টাডিটি (২০১৫ ) না পড়েই নুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন । স্টাডিটি প্রকাশিত হয়েছে AJH ( আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারটেন্সন ) এই শিরোনামে ঃ-

    Relationship Between Nutrition and Blood Pressure: A Cross-Sectional Analysis from the NutriNet-Santé Study, a French Web-based Cohort Study

    এই স্টাডিতে বলছে 'Salt intake was positively associated with SBP in men but not in women’ এবং পরিশেষে বলছে ঃ- 'Salt intake was not associated with SBP in either sex after multiple adjustments’ অর্থাৎ নুন খাওয়ার সাথে SBP’র কোন সম্পর্ক নেই ।

    নুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বৈজ্ঞানিক সারবত্তা যত তার থেকে বেশী ' ঢক্কা নিনাদ ‘ কি জানি নুন খেলে যদি গুন গাইতে হয় এই ভয়ে নাকি !
  • Gautam Mistri | 11.39.37.116 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১০:১৬56160
  • লিও ট্রাইভের বিষয়টা কী ভাবে ব্যাখ্যা করবে? তোমার উক্তিটিতে স্ববিরোধ আছে। এমন তথ্য অনেক আছে। সর্বজন গ্রাহ্য হয়নি। বিভিন্ন বিজ্ঞান আশ্রয়ী ব্যবসায়ীক সংস্পর্শ মুক্ত সংস্থা নুন নিয়ন্ত্রণ সমর্থন করে। কেবল কে এফ সি, ম্যাকডোনাল্ড ইত্যাদি ছাড়া।
  • dc | 132.164.43.227 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১০:৩৩56161
  • যাকলা, নুন, চিনি, চাল, রুটি, দুধ সব বাদ দিলে খাবোটা কি!
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.125.100 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১০:৪২56162
  • সব খাবেন নিশ্চিন্তে (দুধ বোধ হয় বাদ দিলেও হয় ) , এই এতদিন ধরে জানলাম নুন খেলে ব্লাডপ্রেসার বেড়ে যায় , লেখক ও তাই বললেন কিন্তু ওপরে AJH তে প্রকাশিত সাম্প্রতিক লেখা বলছে নুনের সাথে SBP সম্পর্কহীন ।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১০:৪৯56163
  • অত ভাববেন না। সব খাবেন। কিন্তু মাত্রা রেখে।
  • dc | 132.164.43.227 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১০:৫০56164
  • দুধ আমিও খাইনা, তবে কিনা পায়েস টায়েস হলে তো আর ছাড়া যায়না! আর নুন বিনা মাছ মাংস সবই অচল।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১১:০৮56165
  • আহা দুধ ইন দ্য ফর্ম অব দুধ বাদ দিতে বললে ক্ষেতি নাই। কিন্তু দই, ক্ষীর, পায়েস, বিভিন্ন দুগ্ধজাত মিষ্টি এসব ছাড়তে বলবেন না।
  • de | 69.185.236.51 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১১:১৫56166
  • ছাড়তে বলুন্না - আমি ছাড়বো না -
  • সুদীপ নাথ | 37.63.145.22 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১১:৫৫56167
  • পড়লাম
  • Gautam Mistri | 11.39.137.55 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ১২:৫০56168
  • খাবার বেলায় দুটো আলাদা ভাবনা কাজ করে। একটা হল, কোনটা ভালো; অপরটি কতটা সংযম করব। দ্বিতীয় প্রয়াসটি জটিল ও পরের পর্যায়। প্রথমটিই আলোচ্য বিষয়। আপনাদের মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০১:১৮56184
  • না পড়লেন কোথায় ?সাইন্টেফিক আমেরিকানের লিঙ্ক টা পড়তে পারেননি আর বাকি গুলো সদ্য দিয়েছি।
    গৌতম দা লিখেছেন ঃ " একান্ন বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তি, কৃষাঙ্গ অথবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অনিরাময়যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৪ গ্রাম (১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)।"

    অথচ Lancet লিখছে ঃ- “ no evidence suggested a benefit of an ultra-low sodium intake (<1500 mg daily) in any population.” কৃষ্ণাঙ্গ ,শ্বেতাঙ্গ কোন কিছুতেই প্রমাণ নেই ।

    “ In May, 2013, the Institute of Medicine reviewed recent evidence (39 studies) and reported that a very low salt intake might not be as beneficial as was previously thought, at least for those at increased risk of heart disease. Less than 2300 mg sodium daily could even increase some cardiovascular risk factors, such as blood lipids and insulin resistance, potentially triggering heart problems. Moreover, no evidence suggested a benefit of an ultra-low sodium intake (<1500 mg daily) in any population.”

    Salt: friend or foe? - The Lancet http://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736%2813%2961104-6/fulltext#.VuVjc-2gNL8.twitter

    উল্টে বলছে ' Less than 2300 mg sodium daily could even increase some cardiovascular risk factors, such as blood lipids and insulin resistance, potentially triggering heart প্রবলেমস' কি বলছে ? বলছে কম খেলে ক্ষতি ।

    আর কেউ নুন পোড়া তরকারি তো খাবেন না কিন্তু 'বিশেষজ্ঞ' মতামত শুনে যেন আলুনি না খান , আমি না লিঙ্ক বলছে ।
  • Ekak | 212.62.91.50 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০১:২৯56185
  • নুন না খেলে কি হতে পারে ? আমি কোনো রান্নায় নুন দি না । বাইরে খেলেও বেশি নুন দেয় এরকম খাবার এড়িয়ে চলি। নুন খেতে ভাল্লাগে না। তবে চা খাই নুন দিয়ে মাঝে মধ্যে । কালা নিমক মেইনলি । আমার বাড়ির লোকজন খেতে বসে থাবা থাবা নুন খায় , দেখলেই বিকট লাগে :/
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০১:৪০56186
  • আমি আপনার নুন খান না, ক্ষতি নেই এই নিদান হাঁকা নিয়ে বলেছি। এটাও আমার কাছে বিপজ্জনক লেগেছে।

    আর সায়েন্টিফিক আমেরিকানের এই লেখা কিনা জানিনা, এই নিয়ে লেখা আমি পড়েছি। যেসব পেপারের ভিত্তিতে লেখা, সেগুলোও।

    এবার দেশের দুটো স্টাডি দি ?

    এটা দঃ ভারতে।
    Both systolic and diastolic blood pressure significantly increased with increase in quintiles of total dietary salt both among hypertensive and normotensive subjects ...Multiple logistic regression analysis revealed that even after adjusting for age, gender, body mass index, total energy intake and dietary fat, total dietary salt intake was positively associated with hypertension.
    এবার কতটা কী বেশি, সেই নিয়ে কথা হতেই পারে, কিন্তু কিছুই হয়না, এরকমও না।

    আসামের ডিব্রুগড়ের চা বাগানের স্টাডিও চাইলেই পেয়ে যাবেন। যেখানে চায়ে নুন মেশানো হয় আর হাইপারটেনশন খুব বেশি, চা শ্রমিকদের মধ্যে।

    এটাও দেখলাম, ভারতে ইন জেনেরাল সল্ট ইন্টেক বেশ বেশি।

    আর হ্যাঁ, আপনি ল্যান্সেট থেকে কোট করেছেন, কিন্তু অর্ধেক ঃ)
    বাকিটা লিখে দি ?

    The report needs cautious interpretation—it does not suggest that people use salt freely. The Institute agrees that a link between high salt consumption and increased risk of cardiovascular disease persists, and that average intake needs to be reduced. However, the findings about very low sodium levels will help to clarify public health messages (eg, updated US dietary guidelines, due in 2015) and hopefully improve health outcomes.

    ঃ)

    'কশাস ইন্টারপ্রিটেশন' টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আপনার লেখা থেকে সেই কশাস ব্যাপারটা পুরো উধাও দেখলাম বলে এগুলো লিখলাম।

    যাগ্গে, আপনি অন্য কিছুই তো শুনবেন না, কাটানোই ভাল। আপনাকে আর বলছি না। অন্যদের জন্য রইলো।
    আপনার কথাতেও লোকজনের কাছে ভুলভাল মেসেজ চলে যেতে পারে মনে হচ্ছিল বলে বলা।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৯56187
  • কশাস ব্যাপারটা আমার বক্তব্যে উধাও নয় বরং লেখকের প্রেসক্রিপ্সনের উত্তরে - সেই একই লোকজনের কাছে ভুলভাল মেসেজ চলে যেতে পারে মনে হচ্ছিল বলে বলা।

    তিব্বতিদের ওপরে করা গবেষণাপত্র উল্লেখ করেছি -যে নুন দিয়ে চা খেলেও ব্লাড প্রেশার বাড়েনি । তেজপুরের বিষয়ে লিঙ্ক পাঠালে পরে দেখতে পারি ।

    lancet এর লিঙ্কটাই এই জন্য দেওয়া আছে যে যারা আগ্রহী পরে নেবেন বলে । পুরো তা কোট করতে যাতে না হয় ।

    ভারতের সল্ট ইনটেক কি জাপানের চাইতে বেশী ? আমার জানা মতে নয় ।

    আমি পূর্বেই লিখেছি লিঙ্কের পাহাড় আছে পক্ষে এবং বিপক্ষে সুতরাং ফুট নোট দিলে এত তর্কই হতোনা ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56190
  • এই সেফ ইনটেকটা নিয়েই প্রশ্ন এবং তার মাত্রা নিয়ে - একদল গবেষণা বলছে সেফ একদল বলছে উলটো ফল হতে পারে । যেমন প্রশ্ন টার্গেট BPনিয়ে ১২০/৮০ ইত্যাদি । ওপরে গেলেই ট্যাবলেট চেবাও সারা জীবন এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া । গত পঞ্চাশ বছরে এই ব্লাড প্রেশারের টার্গেট কমপক্ষে ১০ বার চেঞ্জ হয়েছে । ১৯৫৬ সালে এই টার্গেট ছিল ১৮০/১১০ । মানে ওই লেভেলেও ওষুধ গিলতে হতোনা । এখন ওই প্রেশার হলে ICU ভর্তি করে দেবে । রোগ বিক্রির ব্যবসা ।
  • Ekak | 212.62.91.50 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56189
  • লজিকালি "একেবারে নুন" না খাওয়া তো সম্ভব না । সমস্ত কাঁচা খাবারের মধ্যেই কোষে কোষে নুন আছে । সেটুকুই যথেষ্ট নয় কেন ? রান্নায় কাঁচা নুন না দিলে অসুবিধে তা কি ? ধরে নিন , স্বাদ ব্যাপারটা ইম্মাতেরিয়াল।
  • | 222.47.227.72 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56188
  • আমাদের কিডনি চব্বিশ ঘন্টাই অসমোসিস প্রসেসে জল টেনে নিয়ে ইউরিন হিসেবে জমা করছে। এই অসমোসিস প্রসেসটা ডিপেন্ড করছে রক্তের মধ্যে অত্যন্ত ডেলিকেট একটা সোডিয়াম-পটাশিয়াম ব্যালান্সের উপর। বেশি নুন খেলে কিডনির জল টেনে নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। রক্তে জলের পরিমান বাড়ে, আর তার ফলে ব্লাড প্রেশার বাড়ে। আর রক্তচাপ বাড়লে,

    ১) কিডনির উপরে প্রেশার বাড়ে। কিডনি ড্যামেজ বা ফেইলিওরের আশংকা বাড়ে। রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গিয়ে গোড়ালি ফুলে যায়।

    ২) আর্টারিগুলোর উপর প্রেশার বাড়ে ও সেগুলোর মাসল শক্ত হয়ে ন্যারো হয়ে যায়।

    ৩) হার্টের উপরে প্রেশার বাড়ে। হার্টের কিছু অংশে অক্সিজেন ও নিউট্রিয়েন্ট কম পেতে থাকে। লো লেভেলে চেস্ট পেইন (অ্যানজাইনা পেক্টোরিস), কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর, হার্ট এনলার্জমেন্ট, এবং আরও অনেক রোগ সম্ভাবনা বাড়ে। ভেন্ট্রিকুলার ফেইলিওর থেকে রক্তে ক্লট তৈরির আশংকা বাড়ে। এই ক্লট ব্রেনে যাবার পথে কোনো আর্টারি/ভেসেল আটকে দিলে স্ট্রোক (ট্র্যানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক) টিআইএ হবার আশংকা বাড়ে।

    উপরের ২) অর্থাত আর্টারি হার্ডেনিং ও ন্যারোইং তো আছেই।

    ৪) ব্রেন এর উপরে প্রেশার বাড়ে। ব্রেনের কোনো কোনো অক্সিজেন ও নিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি ফলে স্থায়ী ড্যামেজ বা অস্থায়ী ব্ল্যাকআউট ঘটতে পারে।

    -=====

    উপরের ফেনোমেনন সমস্ত জলবায়ুতে মানবজাতির সমস্ত সাবস্পিশি সম্বন্ধে মোর অর লেস ভ্যালিড।

    একেবারেই নুন না খাওয়া খারাপ। সেটা কেউ রেকমেন্ড করছে না। ১.৫ থেকে ৫, ম্যাক্স ৬ গ্রাম দিনে সেফ ইনটেক।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৬56169
  • সে কি দেবব্রতদা, আপনি তো কন্স্পিরেসি থিওরি নিয়ে আগ্রহ রাখেন ভাবতাম, আর এতো সে অর্থে কন্স্পিরেসিও না। নুন ক্ষতিকর না, এই মর্মে বেরোনো রেজাল্টগুলোকে সল্ট কোং, ফাস্টফুড কোং দ্বারা ফাণ্ডেড রিসার্চের একটা অভিযোগ কিন্তু ভালমতনই আছে।
    আবার কন্ফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নাই, এই মর্মে হলফনামা দিয়েও রিসার্চ দেখিয়েচে নুনের ক্ষতিকর প্রভাব তেমন নেই। উল্টো ফলাফলের রিসার্চও ওদিকে কম না।
    মোটমাট, এটা নিয়ে আপনি যেরকম এক কথায় বলে দিলেন, কোন ক্ষতি নেই, সেরকম মোটেও বলা যায়না বলেই মনে হয়। কারণ, উপরে গৌতমদা যে স্টাডিগুলোর কথা বলেছেন, সেগুলোকেও বা এক কথায় কাটবেন কীভাবে ?
    কম নুন খাওয়া ট্রাইবের মধ্যে প্রেশার কম, বেশি নুন খাওয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বেশি হাইপারটেনশন ( এই স্টাডিটা নিজের চোখে দেখা, চা বাগানের শ্রমিকদের চায়ে নুন খাইয়ে খাইয়ে কীরকম হাইপারটেনশন বেশি পাওয়া যায় আর লো-সল্ট ইন্টারভেনশনে সেটা কমানো), এগুলোও তো দেখা গেছে।

    এটা দেখতে পারেন,মোটামুটি ব্যালেন্সড আর্টিকল মনে হয়েছিল। দু'পক্ষের কথাই আছে।
    http://www.reuters.com/article/us-salt-idUSTRE7802MB20110901

    ঐ ২০১১ র স্টাডিগুলোয় অন্য রেজাল্ট আসা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যদ্দুর মনে পড়ছে, ঐ সময়ই নেচারে এই দু'পক্ষ থেকে চিঠিপত্রের চাপান-উতোর পড়েছিলাম। খুঁজে পেলে দিচ্ছি।
    ও, নুনের গুণ গাওয়া চিঠিগুলো সল্ট ইন্সটিটুইট থেকেই বেশি ছিল।

    ভেবেছিলাম এটা আপনি খেয়াল করে থাকবেন,
    In a letter to the British government seen by Reuters, the UK's Salt Association -- which along with the Salt Institute has a vested interest in defending the salt industry -- cites the Cochrane and JAMA papers and demands an urgent review of the salt reduction strategy. It goes as far as to say: "People may actually be dying as a result of poorly founded advice."'

    সল্ট পলিটিক্স বহুদিনের পুরানো বিতর্কিত বিষয়।
  • | 24.97.254.188 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৪৩56170
  • আচ্ছা এই ৫১ বছরের বেশী বয়সী ব্যক্তি বা বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির নুন গ্রহণের উর্ধসীমা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ্ব্যক্তি ঐ তালিকায় কেন? আর কৃষ্ণাঙ্গ মানেই বা কারা? আমার মত দেশী কালোকুলো? নাকি একেবারে আফ্রিকান?

    মানে এই কৃষ্ণাংগ শদটায় হোঁচট খেলাম ভালোমত। একটু ব্যাখ্যা করুন প্লীজ।
  • | 24.97.254.188 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৪৪56171
  • *কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫০56172
  • আফ্রিকান আমেরিকানরা বোধ হয়।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫১56173
  • আফ্রিকান-আমেরিকান।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.230 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৫৮56174
  • পাই দিদি ,

    এই বিষয় নিয়ে আমার ,গৌতম দা এবং জয়ন্তর মধ্যে দীর্ঘ বিতর্ক হয়ে গেছে ফেসবুকে , আপনি দেখতে পারেন । সেখানে গৌতম বাবুর গড় প্রেসক্রিপশন " ২. একান্ন বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তি, কৃষাঙ্গ অথবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অনিরাময়যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৪ গ্রাম (১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)।" যে আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বিশেষত বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় তার উধাহরনে জাপানের কথা এসেছে । যে জাপানের বাসিন্দারা পৃথিবীতে সবথেকে বেশী গড়ে ৪৭০০মিলিগ্রাম/প্রত্যেক দিন সোডিয়াম গ্রহণ করলেও হার্টের রোগের সংখ্যা উন্নত দেশগুলির মধ্যে সর্বনিন্ম । এইবার তার সঙ্গে অন্যান্য অনেক কিছুর সম্পর্ক রয়েছে খাদ্যাভ্যাস বিশেষত খাদ্যে সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ ইত্যাদি ।

    ১, সল্ট নিয়ে ট্যাবু যে সমর্থন যোগ্য নয় এবং আমেরিকার হার্ট অ্যাসসিয়সনের নির্ধারিত প্রেস্ক্রিকপ্সন যে সবখানে প্রযোজ্য নয় এটি তার অন্যতম উধাহরন ।

    ২, সোডিয়ামের সাথে SBP বেড়ে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ নেই । তাই নুন বেশী খেলেই ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যাবে তার সত্যতা অপ্রমাণিত অন্তত কিছু গবেষণা তাই বলছে “ the correlation between salt intake and poor health has remained tenuous. Intersalt, a large study published in 1988, compared sodium intake with blood pressure in subjects from 52 international research centers and found no relationship between sodium intake and the prevalence of hypertension. In fact, the population that ate the most salt, about 14 grams a day, had a lower median blood pressure than the population that ate the least, about 7.2 grams a day. 

    নুন খাওয়া কমালে ব্লাড প্রেশার কমে ? হ্যাঁ নিশ্চয়ই কমে কতটা জানেন ? ১২০/৮০ থেকে ১১৯/৭৯

    “ Over the long-term, low-salt diets, compared to normal diets, decreased systolic blood pressure (the top number in the blood pressure ratio) in healthy people by 1.1 millimeters of mercury (mmHg) and diastolic blood pressure (the bottom number) by 0.6 mmHg. That is like going from 120/80 to 119/79. The review concluded that "intensive interventions, unsuited to primary care or population prevention programs, provide only minimal reductions in blood pressure during long-term trials." A 2003 Cochrane review of 57 shorter-term trials similarly concluded that "there is little evidence for long-term benefit from reducing salt intake."

    ৩। উল্টে কম নুন খেলে কি হতে পারে ? ব্লাড প্রেশার বেড়ে যেতে পারে ‘পাই’ দিদি “ And low-salt diets could have side effects: when salt intake is cut, the body responds by releasing renin and aldosterone, an enzyme and a hormone, respectively, that increase blood pressure. “

    এ বিষয়ে আমি সেই ফেস বুক পোস্টে AMJ থেকে শুরু করে গুচ্ছের লিঙ্ক দিয়েছি তার থেকে একটা থাকলো । আশা করি পড়বেন । http://www.scientificamerican.com/.../its-time-to-end.../

    এস্কিমোরা গা চেটে পরিষ্কার করে , অথবা দার্জিলিংএ সারা বছর শীতবস্ত্র প্রয়োজন সুতরাং আমাদের এই চ্যাটপেটে কোলকাতায় সেই নিদান যদি কেউ দেন তাহলে তার সেই নিদানের তলায় ফুটনোট প্রয়োজন । যে ইহা সার্বজনিক নিদান নয় । আমার মন্তব্য গুলী এবং লিঙ্ক সেই ফুটনোটের একটি অংশমাত্র ।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৯:০৮56175
  • ফেসবুকে কোথায় কী হয়েছে জানিনা। ট্যাগ করলে পড়বো।

    তবে বাঙালীদের মধ্যে নুন বাড়ালে প্রেশার বাড়বে না বা কমালে কমবে না বা উল্টে বেড়ে যেতে পারে, সেই নিয়ে কাজ হয়ে থাকলে সেই লিং গুলো এখানে একটু দিয়ে দিন। পড়ে দেখতে চাই।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১১:০২56176
  • পাই দিদি আপনি কি ওপরে সাইন্টেফিক আমেরিকানের লিঙ্ক টা পড়লেন ? যদি ইতিমধ্যে পরে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই দেখেছেন ' যে নুনের সাথে SBP বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক নেই ' । উল্টে কম নুন খেলে প্রেশার বেড়ে যেতে পারে ।

    এইবার আসি আপনার বক্তব্যে " কম নুন খাওয়া ট্রাইবের মধ্যে প্রেশার কম, বেশি নুন খাওয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বেশি হাইপারটেনশন " ভারতে তিব্বতি রেফিউজিদের ওপরে এই নিয়ে গবেষণা হয়েছে ,নুন দিয়ে চা খায় তো কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক । সুতরাং " বেশী নুন খাওয়া ট্রাইবের মধ্যে প্রেশার কম, বেশি নুন খাওয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বেশি হাইপারটেনশন " তথ্যগত ভাবে অন্তত এক্ষেত্রে সত্য নয় ।
    কাজ টা করেছেন ঃ-
    A. K. SEHGAL, M.D., IQBAL KRSHAN, M.D., R. P. MALHOTRA, M.R.C.P., AND H.D.GUPTA,M.A.
    SUMMARY
    Observationson thebloodpressure ofa group of660displacedmaleTibetans
    revealedstrikingdisimilaritiesinregardtothemean systolicanddiastolicfiguresas comparedtothosereportedforEuropeansandAmericans.Theaverage Tibetanfigures are lowerthanthoseofWesternpopulations;however,a comparablevariabilityafter thefourthdecadeanda parallelspreadofvalueswithage andweightwere found intheTibetandata.Thesocioeconomicstatusandheightboreno relationtotheblood pressure levels.Theresultsobtainedfromthissurvey on theTibetansare compared with those of other Mongolian groups. It is suggested that the differences of blood pressure among related Mongolian groups and populations studied in the West
    are largely determined by environment.( PDFএ আছে কপি পেস্ট করলে জেবড়ে যাচ্ছে )

    একজন আমেরিকান গড়ে ৩৭০০মিলিগ্রাম সোডিয়াম/প্রত্যেক দিন গ্রহণ করেন আর একজন জাপানী ৪৭০০মিলিগ্রাম /প্রত্যেক দিন । মনে রাখবেন নুন নয় সোডিয়াম ( গৌতম বাবু বলছেন ১৫০০মিলিগ্রাম ) তাহলে সেই ফর্মুলায় জাপানীদের পটাপট মরে যাওয়ার কথা অথচ পৃথিবীর সবথেকে দীর্ঘ আয়ু জাপানীদের । এখানেই খাদ্যাভ্যাসের প্রশ্ন - জাপানীরা প্রচুর পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ খায় আর এই মাছের অ্যামিনো অ্যাসিড নুনের বদগুণ ব্যাল্যান্স করে । বাঙ্গালীরাও প্রচুর মাছ খায় , মাছে ভাতে বাঙ্গালী তাই বেশী নুন খেলেও ,জাপানীদের মত অথবা তিব্বতিদের মত প্রেশার বেড়ে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছেনা । হলে অন্য কারনে হবে তার জন্য নুন কে গাল পারা কেন ?
  • avi | 125.187.41.249 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১১:১৩56177
  • "এই মাছের অ্যামিনো অ্যাসিড নুনের বদগুণ ব্যাল্যান্স করে "।
    নুনের কোন বদগুণ?
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৯56179
  • আমি ভাবলাম, বাঙালীদের মধ্য নুন খাওয়া নিয়ে স্টাডি হয়েছে, আপনি সেই লিংকের কথা বলছেন, তাই নিয়ে আপনি এত জোর দিয়ে বলছেন নুন বেশি খেলে বাঙালিদের কোন ক্ষতি নেই, উল্টে কম খেলে ক্ষতি আছে ! সেসব ছাড়া, তাহলে এগুলোও আপনার ধারণা মাত্র। আপনি এত কনফিডেন্টলি লোকজনকে বললেন, নুন খান , কোন ক্ষতি নেই, দেখে একটু অবাকই হয়ে গেলাম।
    সায়েন্টিফিক আমেরিকানের লিংক্টা খোলেনি। কিন্তু কী দেখবো তাতে। বললাম তো , ২০১১ র স্টাডি, মেটা আনালিসিসগুলো আমি পড়েছি। আমি আপনাকে যা পড়তে দিয়েছিলাম, সেটা সেই স্টাডিগুলো নিয়েও লেখা। এর পরে অনেক স্টাডিই হয়েছে আরো।

    এই নিন। গত পরশু প্লসে আফ্রিকার স্টাডিগুলো নিয়ে একটা সিস্টেমিক রিভ্যু বেরিয়েছে। কী বলছে,দেখুন।

    Seven studies representing four countries-South Africa, Nigeria, Ghana, and Tanzania-were included. Two examined product reformulation, one in hypertensive patients and the other in normotensive volunteers. Four examined consumer awareness interventions, including individualised counselling and advisory health sessions delivered to whole villages. One study used an environmental approach by offering discounts on healthy food purchases. All the interventions resulted in at least one significantly improved outcome measure including reduction in systolic blood pressure (BP), 24 hour urinary sodium excretion, or mean arterial BP.

    ঐ ২০১১ র স্টাডির পরে, এটাও বেরিয়েছে।
    Elderly subjects, African Americans, and obese patients are more sensitive to the blood pressure-lowering effects of a decreased salt intake. Depending on the baseline blood pressure and degree of salt intake reduction, systolic blood pressure can be lowered by 4 to 8 mm Hg. A greater decrease in blood pressure is achieved when a reduced salt intake is combined with other lifestyle interventions, such as adherence to Dietary Approaches to Stop Hypertension. A high salt intake has been shown to increase not only blood pressure but also the risk of stroke, left ventricular hypertrophy, and proteinuria. Adverse effects associated with salt intake reduction, unless excessive, seem to be minimal. However, data linking a decreased salt intake to a decrease in morbidity and mortality in hypertensive patients are not unanimous. Dietary salt intake reduction can delay or prevent the incidence of antihypertensive therapy, can facilitate blood pressure reduction in hypertensive patients receiving medical therapy, and may represent a simple cost-saving mediator to reduce cardiovascular morbidity and mortality.

    এগুলোও সায়েন্টিফিক জার্নালই।

    আপনি তো একটা দিক কাউণ্টার করতে গিয়ে আরেকদিকের এক্সট্রিম অবস্থান নিচ্ছেন !! নুন কমিয়ে কতটা কী লাভ হয় তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে বলা এক আর কোন অবকাশই নেই, নুন ভাল বা নুন কমানো খারাপ বলা তো আরেক !
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৯56178
  • এইটুকু বুঝলুম, মেডিক্যাল সাইন্স পুরো ঘাঁটা।

    (পালাই বাবা)
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১১:৫৪56180
  • নুনের বদগুণ ? সত্যি বলতে কি এইটা টাইপো- ওই জাপানীদের এতো নুন খেয়ে পটল না তোলার কারন কি অধমের এই প্রশ্নের উত্তরে লেখক লিখেছেন । ' জাপানীরা কাঁচা মাছ খেয়ে শোধবোধ করে নেয়। ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড। নুনের বিষ কিছুটা কমে।' এখন নুনের বিষ কি? বা ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডে কতটা কমে অধমের আয়ত্তে নয় ।

    পাই দিদি ঃ- কত প্রেশার ' কম ' প্রেশার আর কত প্রেশার 'হাই ' প্রেশার হিসাবে ধরা হবে ? বয়স ,BMI, পাহাড়ের বাসিন্দা ,সমতলের বাসিন্দা ইত্যাদি হিসাবে না রেখে - এইরকম এক জেনারেল ফর্মুলা আছে অবিশ্যি ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন