এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শ্বেতশুভ্র পঞ্চ বিষ। : পর্ব ১ : পরিশোধিত নুন

    Gautam Mistri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ মার্চ ২০১৬ | ৮৯০৮ বার পঠিত
  • শ্বেতশুভ্র পঞ্চ বিষ। : পর্ব ১ : পরিশোধিত নুন

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি আপ্তবাক্য স্মরণীয়: -পাঁচটি সাদা বিষ থেকে দূরে থাকুন।

    (১)প্যাকেটবন্দি পরিশোধিত নুন, (২) চিনি,(৩ ) সাদা সরু ও চকচকে পালিশকরা চাল এবং (৪ ) সাদা আটা, ময়দা ও তার থেকে ঘরে প্রস্তুত করা রুটি অথবা বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, কুকিজ ইত্যাদি অসংখ্য বেকিং করা খাবার এবং (৫ ) দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। প্রথম পর্বের আলোচনা নুন নিয়ে।

    পরিশোধিত সাদা নুন অ্যাটম বোমার চেয়েও ভয়ংকর:

    গুহাবাসী মানুষ নিজেদের উন্নত করার প্রয়াসে আগুনের ব্যবহার শেখার সাথে সাথে শিকার করা মাংস ঝলসিয়ে খেতে শিখেছিলো। এর পরে কেটে গেছে বহু যুগ। স্থান ও কালভেদে রান্না করার অসংখ্য উপায় আমরা শিখে গেছি,
    সিঙ্গারা আরও অসংখ্য রন্ধনপ্রণালী টেলিভিশনের পর্দায় অহরহ আমাদের লালাগ্রন্থিকে উত্তেজিত করে চলেছে।প্রাথমিকভাবে গুহাবাসী মানুষ উদ্বৃত্ত খাবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষানীরিক্ষার ফলস্বরূপ একসময় খাদ্যে নুন মিশিয়ে সফল হলেও আমরা, উত্তরসূরীরা, অস্বাস্থ্যকর লবণাক্ত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে ক্রমশঃ জিভের অভ্যাস বদলে ফেললাম।এটা যে কেবল অস্বাস্থ্যকর তা নয়, এটা অপ্রয়োজনীয়ও বটে।খাদ্যে অতিরিক্ত নুন না মেশালেও প্রাকৃতিক খাবারে নুনের দৈনিক প্রয়োজন(৬ গ্রাম)মিটে যায়। শৈশব থেকে অভ্যাস না করলে অথবা প্রাপ্তবয়সে স্বাস্থ্যের কারণে আলাদা করে নুনের ব্যবহার ত্যাগ করলে নুন ছাড়া খাবারের স্বাদগ্রহণে অসুবিধা হয় না। তিব্বতীরা চায়ে নুন মিশিয়ে পান করলেও আমরা নুন ছাড়া চা বেশ উপভোগ করতে পারি। নুনে অভ্যস্ত না হওয়া কিছু জনগোষ্ঠী অতিরিক্ত নুন ছাড়াই সারা জীবন দিব্যি কাটিয়ে দেয়। কোরিয়ার লুও প্রজাতি (Luo Tribe) খাদ্যে নুন মেশানোর ব্যবহার শেখেনি আর তাদের মধ্যে উচ্চরক্তচাপের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। আবার শহরাঞ্চলে বসবাসকারী লুও প্রজাতির বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নুনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে তাদের উচ্চরক্তচাপ ও তৎসম্পৃক্ত অন্যান্য রোগের প্রকোপও বেড়ে যেতে দেখা গেছে।১ যদিও আমাদের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড ছাড়া অন্য বেশ কিছু নুনের (যেমনঃ আইয়োডিন,ফ্লুরিন,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম) প্রয়োজন আছে, বিকৃত
    কেক, প্যাস্ট্রি, বেকড খাবার খাদ্যাভ্যাসের তাড়নায়,সচেতনভাবে আমরা কেবল সোডিয়াম ক্লোরাইড নামক নুনের প্রয়োজন অনুভব করি। খাবারের টেবিলে খাবারের স্বাদ গ্রহণ না করেই ভাত মাখার আগে কিছুটা নুন ছড়িয়ে নিই।আমাদের রক্তে বিভিন্ন নুনের (সোডিয়াম ক্লোরাইড সহ অন্যান্য লবণ)মাত্রা সুদুর অতীতের কলুষমুক্ত সমুদ্রের লবণাক্ত জলের বিভিন্ন নুনের মাত্রার সঙ্গে আশ্চর্যভাবে মিলে যায়। সমুদ্রের অসংখ্য প্রাণীতো সেই জলেই পরিপুষ্ট হয়। খাবারে নুন মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যেসটা অপ্রয়োজনীয়; জৈবিক প্রয়োজনে অন্যান্য লবণের মত সোডিয়াম ক্লোরাইড বনাম নুনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পরিশোধিত প্যাকেটজাত নুনের প্রয়োজন নেই।

    কিঞ্চিৎ রসায়নঃ
    রাসায়নিক অভিধান অনুযায়ী, লবণ হল অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন এবং ধাতব মৌলের সাথে অধাতব মৌল অথবা র‍্যাডিক্যালের সমন্বয়ে গঠিত এক শ্রেণীর যৌগ। এই শ্রেণীভুক্ত যৌগের মধ্যে কেবল সোডিয়াম ক্লোরাইড (এই নিবন্ধে নুন বলে অভিহিত)শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত সক্রিয় লবন। আমাদের শরীরের দেহকোষের স্তরে সকল শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার সোডিয়াম আয়নের মুখ্য ভূমিকা আছে। হৃদস্পন্দনের জন্য, এক স্নায়ুকোষ হতে অন্য স্নায়ুকোষে বার্তা প্রেরণের জন্য, মাংসপেশীর সংকোচন প্রসারণের জন্য মায় এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আমাদের দেহকোষের মধ্যে সোডিয়াম আয়ণের সুনির্দিষ্ট মাত্রায় ও পথে চলাচল করা আবশ্যক। বৈজ্ঞানিকগণ রক্তে সোডিয়ামের স্বাস্থ্যকর মাত্রা নির্ধারণ করেছেন। দীর্ঘমেয়াদি সূত্রে খাবারে অতিরিক্ত নুন গ্রহণে রক্তে উপরোক্ত মাত্রা বজায় রাখার প্রয়াসে সোডিয়াম নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার উপর চাপ পড়ে। প্রয়োজনের অধিক নুন গ্রহণের ফলে, রক্তের ঘনত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে, নুনের সাথে শরীরে জলও জমতে থাকে।খাবারে দৈনিক নুন গ্রহণের মাত্রার তারতম্য ঘটলেও বৃক্কের (কিডনি)প্রয়োজনভিত্তিক নুন নিয়ন্ত্রক ক্ষমতার জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ক্ষতিসাধন ঘটে না। সেই অতিরিক্ত নুন বর্জনের প্রক্রিয়া স্বরূপ বিভিন্ন উৎসেচকের (rennin-aldosterone-angiotensin system, atrial natriuretic peptide)প্রভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়,যার ফলে বৃক্কের নুন বর্জনের ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। মানুষ ও সমশারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সম্পন্ন প্রাণীর উপরে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত নুন গ্রহণের ফলে বৃক্কের অতিরিক্ত নুন বর্জনের বোঝার সাথে উচ্চ রক্তচাপের যোগাযোগ প্রমাণিত। ২

    প্রাথমিকভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া টা তাই তাৎক্ষণিকভাবে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার অনুকূল (প্রয়োজনের অতিরিক্ত নুন বর্জনের জন্য)। কিন্তু এই অসমহারে অধিক নুন গ্রহণের প্রক্রিয়া চলতে থাকলে পাকাপাকিভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাবার আশঙ্কা উপস্থিত হয়।প্রয়োজনের অধিক নুন গ্রহণের এই ক্ষতিসাধন অবশ্য কিছু মানুষের হয় না।যাদের হয় তাদের নুন সংবেদনশীল(sodium sensitive) বলে। অধিক নুন গ্রহণের জন্য উচ্চরক্তচাপ ও
    চিজ তৎসম্পর্কিত অন্যান্য রোগ এদেরই বেশী পরিলক্ষীত হয়। খাবার নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইডের বদলে একটু অন্য ধরণের লবণে(যেমন পটাশিয়াম ক্লোরাইড অথবা সোডিয়াম বাই কার্বনেট)এমন ধারা ক্ষতি হয়না। বরং, সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঙ্গে পটাশিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করলে সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিষক্রিয়া কিছুটা প্রশমিত হয়। আফ্রিকার বংশোদ্ভূত আমেরিকাবাসীদের এক সমীক্ষায় খাদ্যে পটাশিয়ামের ঘাটতিতে সোডিয়াম সংবেদনশীলতা ভয়ংকররূপে বেড়ে যেতে দেখা গেছে – যার ফলস্বরূপ অধিক নুন গ্রহণে তাদের উচ্চ রক্তচাপ বেশীমাত্রায় সংগঠিত হতে দেখা গেছে। ৩ আধুনিক কালের সর্ববৃহৎ মারণরোগ হিসেবে হৃদরোগ ও সেরিব্রাল স্ট্রোক ইতিমধ্যে কুখ্যাত হয়ে গেছে।এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত যে, উচ্চ রক্তচাপ নিবারণ অথবা নিয়ন্ত্রণ দ্বারা ঐ সকল মারণরোগ থেকে পৃথিবীর সব দেশের ব্যক্তিবিশেষ অথবা রাষ্ট্রীয় সার্বিক ও আর্থিক ক্ষতির সবচেয়ে সফল প্রতিরোধ সম্ভব। যে সকল জনগোষ্ঠীতে দৈনিক নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমান ১.২ গ্রামের কম, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিরল। আবার অপর দিকে উচ্চ রক্তচাপ সেইসব জনগোষ্ঠীতেই দেখা যায়, যাদের নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ২.৩ গ্রামের বেশী.। ৪, ৫

    এই তথ্য থেকে বোঝা যায়,উচ্চরক্তচাপ সংঘটিত হবার জন্য দৈনিক নুন গ্রহনের একটি বিপদসীমা (threshold) আছে, আর নুনভক্ষনের এই রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষমতা অন্যান্য রোগোপাদানের উপর নির্ভরশীল নয়। অর্থাৎ স্থুলতা, পরিশ্রমবিমূখিতা, জিনগত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতার সংগে মাত্রাছাড়া নুন গ্রহনের রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষমতা যোগ হয়ে যায়।আমেরিকায় কেবল এই বিপদসীমার ঊর্ধ্বে নুন গ্রহণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ১৫০,০০০ জনের অকাল মৃত্যু হয়।সাধারনতঃ সচেতন নয় এমন ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহনের পরিমান ৮ থেকে১২ গ্রাম।
    ফাস্ট ফুড ২০১০ সালে আমেরিকার কৃষি, স্বাস্থ্য ও মানবকল্যাণ দপ্তরের নির্দেশিকার মতে অধিকপক্ষে দৈনিক ৬ গ্রাম নুন অথবা ২.৩ গ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ নিরাপদ। ইউরোপীয় উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (European society of hypertention) মতে এই মাত্রা ৫ গ্রাম।৬ যদিও উচ্চরক্তচাপের প্রাদুর্ভাব আছে এমন জনগোষ্ঠীর (৫১ বছরের বেশী বয়স, কৃষ্ণাঙ্গ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, উচ্চরক্তচাপের রুগী অথবা অনিরাময় যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত রুগী) নুন গ্রহনের ঊর্ধ্বসীমা দৈনিক ৪ গ্রাম(১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)৭ । হিসেব কষে দেখা গেছে, আমাদের নুন গ্রহনের শতকরা ৮০ শতাংশই আসে প্রক্রিয়াকৃত খাবার ও পানীয় থেকে। অর্থাৎ প্রক্রিয়াকৃত খাবার ও পানীয় বর্জন অথবা সঠিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমাদের নুন গ্রহনের পরিমান বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই নির্দেশিকা বলবৎ করা গেলে ঐ দেশে বছরে ১২০০০০ জনের হৃদরোগ, ৬৬০০০ জনের সেরিব্রাল স্ট্রোক,৯৯০০০ জনের হার্ট অ্যাটাক নিবারণ সম্ভব আর তার ফলে ২৪০ কোটি ডলার সাশ্রয় করা যাবে।৮

    খাবারে নুন মেশানো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে উচ্চরক্তচাপের প্রাদুর্ভাব কমানোর সাথে সাথে অন্য বেশ কিছু উপকারও পাওয়া যায়। নুন কম খেলে প্রস্রাবে কম মাত্রায় ক্যালসিয়াম বের হয়। অর্থাৎ নুন খাওয়াতে রাশ টানতে পারলে ফাউ হিসাবে পাওয়া যাবে কিডনির পাথর জমার সম্ভাবনা থেকে মুক্তি আর বৃদ্ধ বয়সে ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ অধিক শক্তিশালী জোরদার হাড়। পাকস্থলীর ক্যান্সার আর হাঁপানিও মাত্রাতিরিক্ত নুন গ্রহনের সাথে বাড়তে থাকে।
    কতটা নুন কমানো স্বাস্থ্যকর?

    দৈনিক নুন গ্রহণের মাত্রা ১ গ্রামের কম (০.৪৫ গ্রাম সোডিয়াম) হলে রক্তে লঘুঘনত্বের (low density lopoprotein cholesterol, LDL cholesterol) কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে দেখা গেছে, যদিও এটা রক্ত ঘন হয়ে যাবার জন্য হয় বলে বৈজ্ঞানিকরা মনে করেন। ৯ সবদিক বিচার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দৈনিক নুন গ্রহণের নিম্নসীমা নিরাপদে ৪.৭ গ্রামে রাখা যেতে পারে। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাবার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণকারী রেনিন-অ্যাঞ্জিওটেন্সিন - এল্ডোস্টেরোন সিস্টেমের অধিক সক্রিয় হয়ে যাবার আশংকা অমূলক বলে প্রমাণিত। ১০ খেয়াল রাখতে হবে, অনিরাময় যোগ্য কিডনির অসুখে (chronic kidney disease) আক্রান্ত ব্যাক্তিদের প্রচলিত নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইডের বিকল্প হিসাবে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ নুনের (“কম সোডিয়ামের” বিকল্প নুন হিসাবে জনপ্রিয়) ব্যবহার ক্ষতিকারক। কিছু পাঠক মনে করতে পারেন, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা স্বাস্থ্যকর সীমার নিচে নেবে গেলে বুঝিবা প্রাণের আশংকা উপস্থিত হয়! একদম খাঁটি কথা। অন্যান্য কারণের সাথে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের কিছু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধে ( ডায়ইউরেটিক গোত্রীয়) অমনটি হতে পারে। এই আলোচনা জটিল ও আপ্রাসঙ্গিক। জেনে নেওয়া যাক, সেই আপৎকালীন অবস্থা খাদ্যে নুনের ওভাবে হয় না।

    আয়োডিন সমৃদ্ধ নুন - কতটা অপরিহার্য?
    প্রশ্ন উঠতে পারে, প্যাকেটে যে নুন কিনতে পাওয়া যায়, তাতে প্রয়োজনীয় আয়োডিন মেশানো থাকে। সেই নুন না গ্রহণ করলে আয়োডিনের জোগান কোথা থেকে আসবে? আয়োডিন একটি অধাতব খনিজ, যেটা আমাদের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়েড নামক গ্রন্থির থাইরক্সিন উৎসেচক উৎপাদনের একটি কাঁচামাল। এটির অভাবে হৃদপিণ্ড, মাংসপেশি, স্নায়ু ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা। এর অভাবে বিশেষ করে শৈশবে মস্তিষ্কের বিকার অপূর্ণ থেকে যেতে পারে আর কৈশোরে দেহবৃদ্ধির সময় গয়টার (goitre) নামে রোগ হতে পারে। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম আমেরিকায় নুনে আয়োডিন মিশিয়ে গয়টার অধ্যুষিত এলাকায় সফলতা পাওয়া যায়। জেনে রাখা দরকার, প্রক্রিয়াকৃত খাবারে যে নুন ব্যবহার হয় সেটা মোটেই আয়োডিন সমৃদ্ধ নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক আয়োডিনের প্রয়োজন মাত্র ১৫০ মাইক্রোগ্রাম (বাড়ন্ত শিশুদের, গর্ভবতী মহিলাদের আর মাতৃদুগ্ধ দানকারী মায়েদের অধিক আয়োডিনের দরকার)। সেটা সহজেই সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শ্যাওলা জাতীয় খাবার অথবা লবণাক্ত জমিতে পালন করা গৃহপালিত পশুর দুগ্ধজাত খাবারে ও মাংসে পাওয়া যাবে। আয়োডিন সমৃদ্ধ জমিতে চাস করা সবজিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োডিন থাকে। সুষম, বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত হলে আয়োডিনের জন্য নুনের উপর ভরসা করতে হবে না।

    খাবার সময় অবশ্য এই সব তত্বকথা মাথায় থাকে না, আলাদা করে মেপে করে নুন খাওয়া অসম্ভব। নুন খাওয়ায় রাশ টানার জন্য দুটি পৃথক প্রয়াস প্রয়োজন।

    প্রয়াস ১ : নুন সমৃদ্ধ খাবারও বর্জন
    ক্রমবর্ধমান পশ্চিমী খাবারে অভ্যস্ত হবার কুফলে আমরা যে প্রক্রিয়াকৃত খাবারে আপোষ করে নিই, সেটাই আমাদের দৈনিক অর্ধেক নুন গ্রহণের জন্য দায়ী। অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়াকরণের জন্য বেশ কিছু খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। এগুলি সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয়। সুদীর্ঘ নুন-বিষে পূর্ণ খাবারের তালিকা থেকে অল্প কয়েকটির উল্লেখ করা যাক - চটজলদি খাবার (ফাস্ট - ফুড), বেকারির খাবার (কেক, প্যাস্ট্রি, প্যাটিস, কুকিজ, পাঁউরুটি), প্যাকেটজাত মাখন, চিজ, নোনতা খাবার (চপ, কাটলেট, নিমকি, শিঙাড়া), টিনবন্দি খাবার। একটি গাছ থেকে পাড়া আপেলে ১.৫ গ্রাম সোডিয়াম থাকলেও প্যাকেটজাত আপেলের রসে সোডিয়াম থাকে প্রায় ২৫ গ্রাম। প্যাকেটবন্দি খাদ্য খাবার আগে “লেবেল গোয়েন্দা” হওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। বিভিন্ন খাদ্যে নুনের মাপের অধিক তথ্য পাওয়া যাবে এই ঠিকানায় http://fcs.tamu.edu/food_and_nutrition/pdf/sodium-content-of-your- food-b1400.pdf

    প্রয়াস ২: দৈনিক ঘরোয়া রান্নায় নুনের নিয়ন্ত্রণ:
    এই প্রয়াসে দৈনিক নুন গ্রহণের এক তৃতীয়াংশ কমানো যেতে পারে। জনপ্রতি ৪ থেকে ৬ গ্রামে (চা-চামচের ১ চামচ) নুন নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে এক হেঁসেলে পাত পাড়ে এমন সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী হিসেব করে দৈনিক বরাদ্দ করা নুন আলাদা করে মেপে নিয়েই রান্নাঘরে ঢোকা উচিত। খাবারের টেবিলে (বা পাতের ধারে ) নুনের শিশি, সস বা ক্যাচাপ (এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে) থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে। অ্যাডভেঞ্চারে অপ্রিয় বেশ কিছু ব্যক্তিদের কাছে কম নুনের খাবার প্রথমে আকর্ষণীয় মনে না হলেও মাস খানেক অভ্যাস করার পরে খাবারের স্বাভাবিক স্বাদ পেতে অসুবিধা হবে না। আলাদা করে নুন না মিশিয়ে রান্না করলেও বেশ কিছু খাদ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি হোল, ডিম, মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার (মাখন, চিজ, দই), মাংস, পাঁউরুটি, পালং শাক, মূলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বাদাম, বিস্কুট, সরিষা, প্যাকেটজাত ফলের রস, ডায়েট কোক, আদা, রসুন, বেকিং পাউডার, সয়াসস, কাসুন্দি, ক্যাচাপ, ইস্ট ইত্যাদি।

    নুন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা:
    ১. সুস্থ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৫ গ্রাম, যাতে ২ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
    ২. একান্ন বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তি, কৃষাঙ্গ অথবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অনিরাময়যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৪ গ্রাম (১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)।
    ৩. সাদা, পরিশোধিত, মিহি ও প্যাকেটবন্দি নুনের চেয়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, অপেক্ষাকৃত অপরিশোধিত মোটাদানার লালচে নুনই শ্রেয়।

    তথ্যসূত্র

    1.Circulation. 1990; 81: 987-995)
    2.Siffert W, Düsing R. Sodium-proton exchange and primary hypertension. An update. Hypertension 1995; 26:649. 18. Kuro-o M, Hanaoka K, Hiroi Y, et al. Salt-sensitive hypertension in transgenic mice overexpressing Na(+)- proton exchanger. Circ Res 1995; 76:148.
    3.Morris RC Jr, Sebastian A, Forman A, et al. Normotensive salt sensitivity: effects of race and dietary potassium. Hypertension 1999; 33:18.
    4.Adrogué HJ, Madias NE. Sodium and potassium in the pathogenesis of hypertension. N Engl J Med 2007; 356:1966.
    5. Elliott P, Stamler J, Nichols R, et al. Intersalt revisited: further analyses of 24 hour sodium excretion and blood pressure within and across populations. Intersalt Cooperative Research Group. BMJ 1996; 312:1249.ē
    6.Mancia G, De Backer G, Dominiczak A, et al. 2007 Guidelines for the Management of Arterial Hypertension: The Task Force for the Management of Arterial Hypertension of the European Society of Hypertension (ESH) and of the European Society of Cardiology (ESC). J Hypertens 2007; 25:1105.
    7.US Dept of Agriculture and US Dept Health and Human Services. Dietary Guidelines for Americans 2010. US Govt Printing Office; US Dept of Agriculture and US Dept Health and Human Services, Washington, DC, 2010.
    8.Coxson PG, Cook NR, Joffres M, et al. Mortality benefits from US population-wide reduction in sodium consumption: projections from 3 modeling approaches. Hypertension 2013; 61:564.
    9.Graudal NA, Galløe AM, Garred P. Effects of sodium restriction on blood pressure, renin, aldosterone, catecholamines, cholesterols, and triglyceride: a meta-analysis. JAMA 1998; 279:1383.
    10.He J, Ogden LG, Vupputuri S, et al. Dietary sodium intake and subsequent risk of cardiovascular disease in overweight adults. JAMA 1999; 282:2027.

    এই নিবন্ধটি উৎস-মানুষ পত্রিকায় পূর্বে প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ মার্চ ২০১৬ | ৮৯০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১২:২৪56181
  • আপনি সাইন্টেফিক আমেরিকানের লিঙ্ক টা পড়তে পারেননি তবে গুগলে নীচের শব্দগুলি টাইপ করলে পেয়ে যাবেন । পড়ে জানাবেন
    " It's Time to End the War on Salt"
    The zealous drive by politicians to limit our salt intake has little basis in science

    নুন নিয়ে আমার অবস্থান ঠিক লেখকের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে । এইবার যে বিষয় নিয়ে বিতর্ক বর্তমান । পক্ষে এবং বিপক্ষে । সেখানে দাঁড়িয়ে গড়ে ১৫০০মিলিগ্রামের নিদান দেগে দেওয়া যদি একপেশে হয় তাহলে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে আমার টাও একপেশে ।

    লেখক যদি ফুটনোটে লিখে দিতেন এই বিষয়ে বিতর্ক বর্তমান তাহলে লিঙ্ক/ কাউন্টার লিঙ্কের প্রয়োজনই হতোনা তবুও JAMA লিঙ্ক থাকলো । পড়ে দেখে নিতে পারেন

    Fatal and Nonfatal Outcomes, Incidence of Hypertension, and Blood Pressure Changes in Relation to Urinary... http://bit.ly/1TSAOJP

    ঃ- কমেন্টে আছে
    "Third, our study included only white Europeans and its findings therefore cannot be extrapolated to Asian or in particular black individuals, who might be more salt sensitive than white people."

    অস্যার্থ, একটা জাতির / পপুলেশনের জন্য যে ডেটা ভ্যালিড, সেটা অন্য পপুলেশনে ভ্যালিড নয়। তাই ১৫০০ম্ম এর গড় বিধান ,আমেরিকায় প্রযোজ্য হলেও ( যদিও সন্দেহ আছে ) ভারতে , এশিয়াতে প্রযোজ্য নাও হতে পারে ।

    আর ২০১৪ সালের AMJ Dietary Sodium Restriction: Take It with a Grain of Salt - The American Journal of Medicine http://www.amjmed.com/.../S0002-9343%2813.../fulltext...
    যার কনক্লুসন ঃ- " There is no conclusive evidence that a low sodium diet reduces cardiovascular events in normotensive and pre-hypertensive or hypertensive individuals. On the contrary, there is sound evidence that a low sodium diet leads to a worse cardiovascular prognosis in patients with systolic congestive heart failure or type 2 diabetes mellitus. Worldwide sodium restriction, through its adverse effects on insulin resistance, may lead to an increase in the rates of type 2 diabetes mellitus. By potentially moving the food industry to produce lower-sodium products could lead to greater consumption of processed foods and greater incidence of metabolic syndrome. Other adverse effects also are possible with attempted sodium restrictions, whereas low sodium diets themselves may not be possible because of inherent physiologic regulation. Advising low sodium diets seems misguided and potentially dangerous and illustrates the problem of guidelines based on flawed studies using surrogate measures."
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.125 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১২:২৮56182
  • পাই দিদি " there is sound evidence that a low sodium diet leads to a worse cardiovascular prognosis in patients with systolic congestive heart failure or type 2 diabetes mellitus. Worldwide sodium restriction, through its adverse effects on insulin resistance, may lead to an increase in the rates of type 2 diabetes mellitus."

    এঁর অর্থ কি ? নুন লবির পয়সাতে ছাইপাঁশ ছাপতে পারে অবিশ্যি যদিও আমার অজানা ।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১২:৪৬56183
  • প্রযোজ্য নাও হতে পারে, ভারতীয়দের জন্য আলাদা স্টাডি দরকার এটা বলা আর ভারতীয় বা বাঙালিদের নুন বেশি খেলে ক্ষতি নেই, কম খেলে আছে না যত খুশি নুন খান, এগুলো বলার মধ্যে তফাত আছে। সেটাই বলছিলাম।

    আর আপনি যদি অন্যদের দেওয়া কিছু না পড়েন তো কী করতে পারি ? আপনি যেগুলো দিয়েছেন, সেই স্টাডি পড়েই তো লিখছি বলছি।
  • | 127.194.15.23 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৪:৩২56191
  • "Rather than create drastic salt policies based on conflicting data, Alderman and his colleague Hillel Cohen propose that the government sponsor a large, controlled clinical trial to see what happens to people who follow low-salt diets over time. Appel responds that such a trial "cannot and will not be done," in part because it would be so expensive. But unless we have clear data, evangelical antisalt campaigns are not just based on shaky science; they are ultimately unfair. "A great number of promises are being made to the public with regard to this enormous benefit and lives saved," Cohen says. But it is "based on wild extrapolations."

    আমার মনে হয় নুন খাবার প্রশ্নটা এখনো পুরো সমাধান করা হয়নি।

    দেবব্রত কেন সায়েন্টিফিক আমেরিকান, যেখান থেকে উনি কোট করেছেন আর আমিও ওপরের কোটটা নিয়েছি, সেটার লিঙ্ক দিচ্ছে না, বুঝছি না (দেন নিই তো মনে হচ্ছে)। সেটা এই
    http://www.scientificamerican.com/article/its-time-to-end-the-war-on-salt/

    আর একটা ব্যাপার। এই বিতর্কে কেমন যুদ্ধ-যুদ্ধ টেমপারামেন্ট দেখছি। ভুল দেখছি নিশ্চয়ই, কারণ এটাতে সত্যিই তো কোনো যুদ্ধ নেই, অন্তত যারা অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের মধ্যে।
  • | 127.194.15.23 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৫:২৮56192
  • দেবব্রত,
    "ত পঞ্চাশ বছরে এই ব্লাড প্রেশারের টার্গেট কমপক্ষে ১০ বার চেঞ্জ হয়েছে।" হতে পারে। ধর্মীয় বিধান নয়, যখন যেরকম এভিডেন্স পাওয়া গেছে, সেরকম হয়েছে, তার সঙ্গে কমার্শিয়াল ইন্টারেস্ট থাকলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। ধর্মীয় বিধান তাত্ত্বিক বিচারে এভিডেন্স বা কমার্শিয়াল ইন্টারেস্ট অনুসারে পরিবর্তিত হবার কথা নয়, ডাক্তারি বিধান তাত্ত্বিক বিচারে কমার্শিয়াল ইন্টারেস্ট অনুসারে পরিবর্তিত হবার কথা নয়, এটা মাথায় রাখলেই চলবে।

    সব পরিবর্তনগুলো কমার্শিয়াল বিচারেই হয়েছে, সেটা মনে হচ্ছে না। ওষুধ দেবার আগে দেখতে হবে রিস্ক-বেনেফিট অনুপাত। যদি মোটের ওপর নিরাপদ ওষুধ সত্যিই পাওয়া যায় তো তুলনায় কম রক্তচাপ (ধরা যাক ১৫০/ ১০০) অবস্থায় যে ঝুঁকি, ওষুধ দিলে তার চাইতে আরও কম ঝুঁকি, তাত্ত্বিকভাবেই সেটা হওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে এমন এভিডেন্স আসতেই পারে যে, আগে যে পর্যায়ে ওষুধ দেওয়া হত না, এখন সে পর্যায়ে ওষুধ দেওয়াই ভাল। যেমন হিউম্যান ইনসুলিন সস্তায় প্রস্তুত পদ্ধতি আবিষ্কার করার পরে ডায়াবেটিসে হয়েছে।

    "১৯৫৬ সালে এই টার্গেট ছিল ১৮০/১১০ । মানে ওই লেভেলেও ওষুধ গিলতে হতোনা।" খুব সম্ভব।
    এখন ওরকম হলে ওষুধ দেওয়া হবে। খুব স্বাভাবিক। তারপরেও প্রশ্ন থাকতেই পারে, কোনো ওষুধকে যতটা কার্যকর, যতটা নিরাপদ বলে 'সায়েন্টিফিক কম্যুনিটি আর তার কমার্শিয়াল পার্টনার'রা দেখায়, সেটা ততটাই কার্যকর ও নিরাপদ কিনা।

    আমার বক্তব্য, এখন ওরকম হলে ওষুধ দেওয়া হবে-- এই ব্যাপারটা থেকে একলাফে আপনি যে পরের বক্তব্যে পৌঁছেছেন, "রোগ বিক্রির ব্যবসা", সেটার আগে হিসেব করে দেখাতে হবে, এই ১৮০/১১০ রক্তচাপে থাকাটা ওষুধ দিয়ে ১২০/৮০ (বা ঐরকম কোনো মাত্রা) তে থাকার চাইতে স্বাস্থ্যকর।
  • | 127.194.15.23 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫০56193
  • @pi, http://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0149680
    PLOS এর এই আর্টিকেলটা ইন্টারেস্টিং।
    কিন্তু
    Am J Med. 2012 May;125(5):433-9. doi: 10.1016/j.amjmed.2011.10.023.
    Salt and hypertension: is salt dietary reduction worth the effort?
    এইটার এবস্ট্র্যাক্ট থেকে আপনি অনেকটা তুলেছেন। আমি এবস্ট্র্যাক্ট পাচ্ছি, পুরো লেখাটা পাচ্ছি না। পুরোটা আছে কি? রিসার্চ মেথডলজিটা একবার দেখতাম, কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট-টাও।
  • | 127.194.15.23 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৬:০১56194
  • "কম নুন খাওয়া ট্রাইবের মধ্যে প্রেশার কম, বেশি নুন খাওয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বেশি হাইপারটেনশন ( এই স্টাডিটা নিজের চোখে দেখা, চা বাগানের শ্রমিকদের চায়ে নুন খাইয়ে খাইয়ে কীরকম হাইপারটেনশন বেশি পাওয়া যায় আর লো-সল্ট ইন্টারভেনশনে সেটা কমানো), এগুলোও তো দেখা গেছে।"
    @pi, রেফারেন্স আছে?

    আর
    Am J Med. 2012 May;125(5):433-9. doi: 10.1016/j.amjmed.2011.10.023.
    Salt and hypertension: is salt dietary reduction worth the effort?
    http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/22482843
    এটার এবস্ট্রাক্ট আপনি দিয়েছেন, আমিও পেয়েছি, ফুল টেক্সট আছে? মেথডলজি দেখার চেষ্টা করতাম সময় পেলে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৩56195
  • পিডিএফ মেইল করে দি ?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.153 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৮:৪৫56196
  • জ আপনি লিখছেন " দেবব্রত কেন সায়েন্টিফিক আমেরিকান, যেখান থেকে উনি কোট করেছেন আর আমিও ওপরের কোটটা নিয়েছি, সেটার লিঙ্ক দিচ্ছে না, বুঝছি না (দেন নিই তো মনে হচ্ছে)। সেটা এই"

    দেবব্রত সেটা এই গত ১৩ই মার্চ দিয়েছে -আপনি পাতা ন; ১ গেলে দেখতে পাবেন ।

    জ আপনি পুনরায় লিখছেন " হিসেব করে দেখাতে হবে, এই ১৮০/১১০ রক্তচাপে থাকাটা ওষুধ দিয়ে ১২০/৮০ (বা ঐরকম কোনো মাত্রা) তে থাকার চাইতে স্বাস্থ্যকর।" হিসাব আছে বলেই লিখেছি সাথে কমার্সিয়াল ইন্টারেস্ট এর সম্পর্ক -হাইপার টেনসন নিয়ে যদি কোন সময় লেখা বেরোয় তখন দেব । খুব সম্পর্কিত নয় তবুও - মহাত্মা গান্ধীর প্রেসার ছিল এবং থাকত ১৯০/১১০ এবং উনি এই সম্পর্কে কোনো অসুধ খেতেন না । গডসে ওনাকে গডের কাছে না পৌছালে হয়ত সেন্চুরি পার করতেন বিনা ব্লাডপ্রেসারের অসুধে ।

    নুন বিসয়ে আপনি লিখেই দিয়েছেন 'আমার মনে হয় নুন খাবার প্রশ্নটা এখনো পুরো সমাধান করা হয়নি।' সাধারনত যুক্তিবাদী লোকজন পড়ে /বিচার করে লেখে আর আবেগ প্রবনরা আবেগে । সুতরাং এ বিষয়ে আবেগে আমার নুতন কোন লিংক দেবার আর ইচ্ছা নেই ।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০১:০২56207
  • কিছু কিছু ব্যাপারে অজ্ঞানতা ক্রুয়েল্টির সমার্থক। তখন সেটা মাপ করা মুশকিল।
    আর এখনো পর্যন্ত নুনের ব্যাপারেও আপনার অজ্ঞানতার প্রকাশ ই দেখেছি। হাইপারটেশন আর কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের পজিটিভ কোরিলেশন একটা এস্ট্যাব্লিশড ফ্যাক্ট। সেটাও মনে হয় আপনার অজানা। আর হাই সোডিয়াম ইন্টেক আর হাইপারটেন্শনের সম্পর্ক গৌতম মিস্ত্রীর লেখাটি আর তার রেফারেন্স পড়লেই জানা যাবে।
    তবে আপনি হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ না খাবার একটা মোক্ষম অজুহাত দিয়েছেন বটে। তা কোন ওষুধের সাইড এফেক্ট এটা? ডাইউরেটিকস? বেটা ব্লকার? ACE ইনহিবিটর? Ca চ্যানেল ইনহিবিটর? আর মহিলারাদের এরকম কোনো সাইড এফেক্ট আছে নাকি ?
  • dc | 132.164.24.165 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০১:৪০56208
  • নুন নিয়ে এতো কথাই যখন হচ্ছে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার মা অনেক্দিন থেকেই হাই ব্লাড প্রেশারে ভোগে, বছর দুয়েক হার্টেরও কিছু সমস্যা হচ্ছে। আগের বছর অ্যানজিওগ্রাম করে কোন গোলমাল ধরা পড়ে নি, কিন্তু ডাক্তার বলেছে স্ট্রিক্টলি কম নুন আর কম তেলের খাবার খেতে, আর মাছ-মাংসও একটা লিমিটের মধ্যে খেতে। কাজেই বাড়িতে সাধারনত মার রান্নায় নুন কম দেওয়া হয়। এবার আমি দেখেছি মা যখনই তিনচারদিন পরপর নর্মাল নুনের রান্না খেয়ে ফেলে তখন প্রেশারটা বেড়ে যায়। এটা বার দুতিনেক আমরা লক্ষ্য করেছি। অবশ্যই এটা একটা মোটে কেসের কথা বললাম, সাধারনভাবে নুন নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার সাথে সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। তবে কয়েকদিন নুন খেতে থাকলে মার প্রেশার বেড়ে যায়, এটা দেখেছি।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.153 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৮56209
  • গৌতম দা বলছেন ঃ-
    “ যে সকল জনগোষ্ঠীতে দৈনিক নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমান ১.২ গ্রামের কম, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ বিরল। আবার অপর দিকে উচ্চ রক্তচাপ সেইসব জনগোষ্ঠীতেই দেখা যায়, যাদের নুন হিসাবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ২.৩ গ্রামের বেশী.। ৪, ৫ “

    স্টাডি বলছে ঃ- ভারতে তিব্বতি রিফিউজি দের ওপর গবেষণা লব্ধ ফলে দেখা গেছে তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক যদিও তারা নিয়মিত নুন দেওয়া চা খান ( স্টাডির ডিটেল পূর্বের পোস্টে দেওয়া আছে )
    স্টাডি বলছে ঃ- AJH ( আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারটেন্সন ) এই শিরোনামে ঃ-
    Relationship Between Nutrition and Blood Pressure: A Cross-Sectional Analysis from the NutriNet-Santé Study, a French Web-based Cohort Study

    এই স্টাডিতে বলছে 'Salt intake was positively associated with SBP in men but not in women’ এবং পরিশেষে বলছে ঃ- 'Salt intake was not associated with SBP in either sex after multiple adjustments’ অর্থাৎ নুন খাওয়ার সাথে SBP’র কোন সম্পর্ক নেই ।

    স্টাডি বলছে ঃ- ২০১৪ সালের AMJ Dietary Sodium Restriction: Take It with a Grain of Salt - The American Journal of Medicine http://www.amjmed.com/.../S0002-9343%2813.../fulltext...
    যার কনক্লসন ঃ- " There is no conclusive evidence that a low sodium diet reduces cardiovascular events in normotensive and pre-hypertensive or hypertensive individuals. On the contrary, there is sound evidence that a low sodium diet leads to a worse cardiovascular prognosis in patients with systolic congestive heart failure or type 2 diabetes mellitus. Worldwide sodium restriction, through its adverse effects on insulin resistance, may lead to an increase in the rates of type 2 diabetes mellitus. By potentially moving the food industry to produce lower-sodium products could lead to greater consumption of processed foods and greater incidence of metabolic syndrome. Other adverse effects also are possible with attempted sodium restrictions, whereas low sodium diets themselves may not be possible because of inherent physiologic regulation. Advising low sodium diets seems misguided and potentially dangerous and illustrates the problem of guidelines based on flawed studies using surrogate measures."

    গৌতম দা বলছেন ঃ-
    নুন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা:
    ১. সুস্থ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৫ গ্রাম, যাতে ২ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
    ২. একান্ন বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তি, কৃষাঙ্গ অথবা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অনিরাময়যোগ্য কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির দৈনিক নুন গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা ৪ গ্রাম (১.৫ গ্রাম সোডিয়াম)।

    স্টাডি বলছে ঃ- " there is sound evidence that a low sodium diet leads to a worse cardiovascular prognosis in patients with systolic congestive heart failure or type 2 diabetes mellitus. Worldwide sodium restriction, through its adverse effects on insulin resistance, may lead to an increase in the rates of type 2 diabetes mellitus."

    স্টাডি বলছে ঃ- Lancet লিখছে ঃ- “ no evidence suggested a benefit of an ultra-low sodium intake (<1500 mg daily) in any population.” কৃষ্ণাঙ্গ ,শ্বেতাঙ্গ কোন কিছুতেই প্রমাণ নেই
    “ In May, 2013, the Institute of Medicine reviewed recent evidence (39 studies) and reported that a very low salt intake might not be as beneficial as was previously thought, at least for those at increased risk of heart disease. Less than 2300 mg sodium daily could even increase some cardiovascular risk factors, such as blood lipids and insulin resistance, potentially triggering heart problems. Moreover, no evidence suggested a benefit of an ultra-low sodium intake (<1500 mg daily) in any population.”

    Salt: friend or foe? - The Lancet http://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736%2813%29
    61104-6/fulltext#.VuVjc-2gNL8.twitter

    উল্টে বলছে ' Less than 2300 mg sodium daily could even increase some cardiovascular risk factors, such as blood lipids and insulin resistance, potentially triggering heart প্রবলেমস' কি বলছে ? বলছে কম খেলে ক্ষতি ।
    স্টাডি বলছে ঃ-“ 52 international research centers and found no relationship between sodium intake and the prevalence of hypertension. In fact, the population that ate the most salt, about 14 grams a day, had a lower median blood pressure than the population that ate the least, about 7.2 grams a day. In 2004 the Cochrane Collaboration, an international, independent, not-for-profit health care research organization funded in part by the U.S. Department of Health and Human Services, published a review of 11 salt-reduction trials. Over the long-term, low-salt diets, compared to normal diets, decreased systolic blood pressure (the top number in the blood pressure ratio) in healthy people by 1.1 millimeters of mercury (mmHg) and diastolic blood pressure (the bottom number) by 0.6 mmHg. That is like going from 120/80 to 119/79. The review concluded that "intensive interventions, unsuited to primary care or population prevention programs, provide only minimal reductions in blood pressure during long-term trials."

    It's Time to End the War on Salt http://www.scientificamerican.com/article/its-time-to-end-the-war-on-salt/?wt.mc=SA_Twitter-Share #science

    গৌতম দা একটা বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রবন্ধ লিখছেন কিছু গবেষণা মূলক বই পত্তরের ভিত্তিতে , অথচ সেই প্রবন্ধের প্রতিটি মূল পয়েন্টের বিরোধী পয়েন্ট - AMJ/LANCET/সায়েন্টিফিক আমেরিকান বলছে আমি শুধু সেই পয়েন্ট গুলির উল্লেখ করেছি - @ SS আমার অজ্ঞানতা বিপুল কিন্তু কে ঠিক বলছে ? গৌতম বাবু না AMJ/LANCET/সায়েন্টিফিক আমেরিকান ? সেইটা একটু পড়ে এসে ( আলটপকা মন্তব্য করার আগে) জানাবেন ।
    পারলে AMJ/LANCET/সায়েন্টিফিক আমেরিকানের অজ্ঞতা প্রমাণ করুন

    গৌতম বাবু এক পক্ষের কথা বলছেন এবং সেই মত প্রেস্ক্রাইব করছেন আমি AMJ/LANCET/সায়েন্টিফিক আমেরিকান উল্লেখ করে সেই প্রেসক্রিপশনের বিরোধিতা করছি । হয় তথ্যে বিশ্বাস করুন অথবা ভগবানে ( ডাক্তারে ) এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমি যা লিঙ্ক এবং তথ্য দিয়েছি পড়লে নিজেরাই জেনে যাবেন নুনের মিথ প্রমাণিত না অপ্রমাণিত । এই বিষয়ে এইটাই আমার শেষ পোস্ট সকলকে ধন্যবাদ ।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০২:৫৮56197
  • গান্ধী ছাগলের দুধ খেতেন। পেটে মাটি মাখতেন। আর ডাক্তার নুন খেতে বারণ করায় সমুদ্রের তীর থেকে থাবা থাবা নুন তুলতেন, তার ছবিও আচে। ওনাকে নিয়ে কথা হবে না।

    কিন্তু এই একটা আউটলায়ার কেস দিয়ে কিছু প্রমাণ হয় না। চেন স্মোকারদের ক্যান্সারের রিস্ক বেশি। এ কথা বললেই প্রত্যেক বাড়ি থেকে এক ছোটো পিসেমশাই কিম্বা মেজজ্যেঠু বেরোবেন যিনি দিনে পাঁচ প্যাকেট সিগারেট খেয়ে ৮০ বছর বয়সে নীরোগ শরীরে অটুট স্বাস্থ্যে ন্যাড়া ছাদ থেকে পা ফসকে পড়ে গিয়ে মারা যান।

    কিন্তু একটা কথা ভাবাচ্ছে। গৌতম বাবু বলেছেন পাঁচটা বিষের কথা লিখবেন। একটাতেই এতো। পাঁচটা লিখলে তো টই এর দৈর্ঘ্য আলোকবর্ষে মাপতে হবে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৮56198
  • পঞ্চাশ বছর আগে আর এখনকার লাইফ এক্সপেক্টেন্সি টা নিয়ে অবশ্য না বললেও চলে ঃ্‌)
  • SS | 110.36.244.127 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৭56199
  • b স্পট অন। একশো কোটি লোকের মধ্যে এক গান্ধীকে পাওয়া গেল যিনি হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে অনেক দিন বেঁচে ছিলেন ! এর থেকে কনক্লুড করা হয়ে গেল হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে ওষুধ না খেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা যাবে। ভাবুন তো, ওষুধ কোম্পানিরা কমার্শিয়াল ইন্টারেস্টে ওষুধ বেচে মানুষের আয়ু বাড়ানোর কি ফন্দিটাই না বের করেছে।
  • | 127.194.83.17 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩০56210
  • 'আমার মনে হয় নুন খাবার প্রশ্নটা এখনো পুরো সমাধান করা হয়নি।'

    @গৌতম, আপনি অনেকক্ষণ নীরব। অথচ আপনার পড়াশোনা আমার তুলনায় দুশো গুণ। কিছু না বললে, আমার মতো অজ্ঞজনের এই কমেন্টটাই 'টেক হোম মেসাজ' হয়ে যাচ্ছে।

    @দেবব্রত, আপনি ক্লাস ১১ পর্যন্ত পড়েছেন বলছেন। আমি ১২ বলে মনে করি। এটার সঙ্গে আপনার লেখা বা পড়ার বা চিন্তার কোনো তেমন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। আর বানান? বাংলা বানান চাড্ডি ভুল না করতে পারলে জাতে উঠবেন না মহাই, এই বলে দিলুম।
  • | 127.194.88.53 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৬56200
  • @pi
    পিডিএফ মেইল করে দিন প্লিজ।

    @দেবব্রত,
    আমার কথা ছিল--" হিসেব করে দেখাতে হবে, এই ১৮০/১১০ রক্তচাপে থাকাটা ওষুধ দিয়ে ১২০/৮০ (বা ঐরকম কোনো মাত্রা) তে থাকার চাইতে স্বাস্থ্যকর।"
    আপনি লিখেছেন, "হিসাব আছে বলেই লিখেছি"।
    হিসেবটা দিয়েই দিন। ৩১ মার্চ তো এসে গেল।

    @SS, "একশো কোটি লোকের মধ্যে এক গান্ধীকে পাওয়া গেল যিনি হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে অনেক দিন বেঁচে ছিলেন ! এর থেকে কনক্লুড করা হয়ে গেল হাই ব্লাড প্রেশার থাকলে ওষুধ না খেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা যাবে।"
    দেবব্রত কিন্তু গান্ধী-নামটা খুব আইন বাঁচিয়ে নিয়েছেন। উনি লিখেছেন, "খুব সম্পর্কিত নয় তবুও - মহাত্মা গান্ধীর প্রেসার ছিল এবং থাকত ১৯০/১১০ এবং উনি এই সম্পর্কে কোনো অসুধ খেতেন না।"
    "খুব সম্পর্কিত নয়...", কিন্তু বলে নিখরচায় ইম্প্রেশনটা তৈরি করা হল। আপনি 'দেখলে হবে খরচা আচে' বললে দেবব্রত দেখাবেন, ঐ যে, "খুব সম্পর্কিত নয়" বলেছি, পড়েনও না, অথচ লিখে দেন। খরচা লাই গ'।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.61 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১০:৫৮56201
  • @b আলোক বর্ষে মাপার আগে কেউ যদি নুনের গুন /বিষ এই তুলনার লিঙ্কগুলি পড়ে নেন তাহলে কষ্ট করে আলোক বর্ষ দুরে ।।।। যেতে হয়না !

    @ b হচ্ছিল কথা নুন নিয়ে এবং তার র‍্যান্ডম প্রেসক্রিপশন নিয়ে তো হঠাৎ ছাগল এলো কোথা থেকে - সমস্ত লেখাটায় যদিও এমনকি লিঙ্ক গুলোতেও বানানের গুষ্টির পিণ্ডি আছে তা সেইগুলো না এসে ছাগল ,ছাগলের দুধ - গৌতম দা তো এখনো পর্যন্ত দুধে আসেন নি আর আমরাও তেজপুরের চা বাগানে নুনের প্রেশার মাপিনি যদিও তিব্বতিদের টা জন্ম থেকে নুন দিয়ে চা খাওয়ার পরেও মেপেছি !

    লাইফ এক্সপেকটেন্সি দিয়ে ৫০ বছর পূর্বে বিজ্ঞানের মাহাত্ম্য বিশেষত চিকিৎসা শাস্ত্রের মাহাত্ম্য মাপার একটা পদ্ধতি ছিল বলে শুনেছি তবে এখন HLY দিয়ে মাপা হয় । এবং সেই মাপকাঠিতে বাড়েনি উল্টে কমেছে । অবিশ্যি অনেকেই হুইল চেয়ার এ লাইফ , ভেন্তিলেটারে লাইফ চিকিৎসা শাস্ত্রের মাহাত্ম্য মাপার মাপকাঠি হিসাবে ধরে থাকেন।

    @জ তার সাথে এইটাও ছিল ' হাইপার টেনসন নিয়ে যদি কোন সময় লেখা বেরোয় তখন দেব ' -অচিরাৎ বেরবে আশা রাখি । আর আপনি তো লিখেই দিয়েছেন ' আমার মনে হয় নুন খাবার প্রশ্নটা এখনো পুরো সমাধান করা হয়নি।' লিঙ্ক টিঙ্ক সমেত - সেখানে ছাগলেরাও ছিল মাইরি দেখিনি !
  • ranjan roy | 125.117.235.26 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১১:৩৭56202
  • দেবব্রত,
    আলোচনাটা সুন্দর হচ্ছে; অন্ততঃ আমাদের মত হরিদাস পালেদের জন্যে। কিন্তু আপনার প্রেশার বাড়ছে, প্লীজ , রেগে যাবেন না। তাহলে আলোচনার কোয়ালিটি কমে যাবে।
    ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল,
    জিতবে না আর ঘাসফুল।
    দিদি গো, তোর খোঁপায় ফুল,
    আমার বাড়ে অম্লশূল।।
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১২:১৩56203
  • জ,
    তাই বটে। দেয়ার ইজ নো ফ্রি লাঞ্চ।
    আর দেবব্রত কি কোনো হুইল চেয়ারে বাঁচা মানুষকে দেখেছেন? আমি একজনকে প্রতিদিন দেখি। তার ভরপুর প্রাণশক্তি দেখলে নিজের বাঁচাকে তুচ্ছ মনে হয়। আমি আগে যেখানে কাজ করতাম, সেই বিল্ডিং এ গ্রাউন্ড ফ্লোরে পিডিয়াট্রিক অঙ্কোলজির ক্লিনিক ছিল। প্রতিদিন যাওয়া আসার পথে দেখ্তাম হুইল চেয়ারে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কেমোর জন্যে হয়তো মাথার চুল সব উথে গেছে, কিন্তু ঐ মুখ্গুলোকে দেখে কখনো মনে হয়নি তাএর বাঁচাটা আমার থেকে ইনফিরিয়র।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.61 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১২:৩১56204
  • রঞ্জন দা ঃ- আলোচনার কোয়ালিটি তথ্য /পাল্টা তথ্য এবং যুক্তির ওপর নির্ভর করে । আলগোছে টপকা মন্তব্য সেই কোয়ালিটিকে পাতি ঝগড়ায় নামায় - নুন বিষয়ে বিতর্ক বর্তমান এবং এখনো এই বিষয়ে সমাধান হয়নি জ লিঙ্ক গুলী পড়ে লিখেছেন । নুন কতটা /কতটা নয় এই বিষয়ে আমি আমার মস্তিষ্ক প্রসূত কোন বক্তব্য রাখিনি এবং এখনো পর্যন্ত সেটা কেউ খণ্ডনও করেনি তাই হয়ত আলটপকা মন্তব্য ।

    যদিও সম্পর্কিত নয় তবুও জেনে রাখলে ক্ষতি কি ঃ- হাইপার টেনসন চিকিৎসার অসুধের অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঃ- ধ্বজভঙ্গ ( যার খুশী চেবান ১২০/৮০ তে আমার কি সমস্যা )
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১২:৩১56205
  • দেবব্রতবাবু, বলছি যে ছাগলের দুধ আর কজন শখ করে খায় বলুন? পেটে মাটি মেখেই বা কজন পড়ে থাকে? তেমনি ১১০/১৯০ প্রেসার নিয়েই বা কজন থাকে? সবই গানহী বাওয়ার চমৎকার।

    আর আমি মুখ্খু মানুষ। অত লিংক পড়তে পারি না। মাঝে মধ্যে একটু ফুট কাটি। অ্যাতো পাত্তা দেবেন না, ভারি নজ্জা নাগে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.61 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৮56206
  • b আমাকেও বিশেষ পাত্তা দেবেন না আমার শিক্ষার দৌড় ১১ ক্লাস (বানানেই টের পাবেন )

    SS ' আর দেবব্রত কি কোনো হুইল চেয়ারে বাঁচা মানুষকে দেখেছেন?' না আমি ওই একটা কি যেন রোশনের সিনেমায় দেখেছিলাম তাও আদ্ধেক । আমার অজ্ঞানতা মাপ করে দেবেন । এইবার বিষয়ে আসি ? নুন সেইটা নিয়ে শুরু কিনা !
  • Gautam Mistri | 11.39.39.15 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৬ ১১:৫৪56212
  • Voice against excess salt and sugar is getting louder

    Excess Salt Blamed for 2.3 Million Deaths From CVD Worldwide in 2010

    Marlene Busko
    Mar 22, 2013

    New Orleans, Louisiana — Researchers estimate that in 2010, adults in most parts of the world consumed about twice as much salt as recommended, and millions of CVD deaths worldwide were linked to excess sodium [1,2].

    These findings were presented at EPI-NPAM 2013, the Epidemiology and Prevention/Nutrition, Physical Activity and Metabolism 2013 Scientific Sessions.

    In the first study, Dr Saman Fahimi (Harvard School of Public Health, Boston, MA) and colleagues reported that in 2010, adults in 187 countries consumed, on average, 3950 mg sodium a day--roughly twice the maximum intake recommended by the World Health Organization (WHO) (2000 mg/day) or the AHA (1500 mg/day).

    In the second study, Dr Dariush Mozaffarian (Harvard School of Public Health) and colleagues reported that in the same year, they estimate that excess dietary salt led to 2.3 million deaths from CVD worldwide and about one in 10 deaths from CVD in the US.

    The average salt consumption in the US was 3600 mg/day, and the US ranked 19th of the 30 largest countries, in estimated numbers of CVD deaths that were thought to be related to excess salt consumption.

    The authors told heart wire that the findings, the first to provide detailed estimates of global salt intake and its impact on heart health, should help guide public policies and physician counseling.

    "Sodium intake in only six countries of 187 countries met the WHO guidelines," Fahimi said. "Therefore, implementation of sodium-reduction programs in order to reduce sodium intake of men and women of all age groups, in both developing and the developed world, should be considered as a top priority."

    When counseling patients about the impact of dietary salt on heart health, physicians need to be aware that salty snacks such as peanuts and chips are not the only culprits, Mozaffarian said. "In the US and in most highly developed countries, 90% of the salt in the diet comes from packaged foods," where salt is used as a preservative; perhaps surprisingly, bread is the number-one source of salt, and cheese is a major source, he noted.

    High-salt diet, a universal finding

    Using data from the Global Burden of Disease study, Fahimi and colleagues reviewed national surveys of sodium intake based on 24-hour urinary sodium excretion (143 surveys) or on estimated dietary sodium intake (104 surveys).

    They developed a model to estimate national, regional, and global sodium intake, by age and sex, in 1990 and 2010, from 187 surveyed countries (99% of the world's population).

    Excess sodium intake was universal--seen in men and women of all ages, living in low- to high-income countries. In 2010, the average daily sodium intake exceeded 2000 mg in 181 countries and exceeded 3000 mg in 119 countries.

    Sodium intake varied widely between different parts of the world. Kazakhstan had the highest sodium intake (6.0 g/day), followed by Mauritius (5.6 g/day), and Uzbekistan (5.5 g/day), whereas Kenya (1.5 g/day), Malawi (1.5 g/day), and Rwanda (1.6 g/day) had the lowest daily intake of sodium.

    Model linked CVD deaths to sodium intake

    To estimate how sodium intake contributed to death from CVD, Mozzaffarian and colleagues analyzed data from 247 national surveys of sodium intake in 66 countries in 2010. They performed a meta-analysis of 107 randomized controlled trials to determine the effects of sodium on blood pressure and then analyzed large prospective cohorts to determine the effects of blood pressure on CVD. They obtained the number of deaths from CVD from the Global Burden of Disease study. In their model, they assumed that the optimal intake was 1000 mg/day sodium (or 2.5 g/day salt).

    Globally, of the CVD deaths attributed to high dietary sodium, 42.1% were from CHD, 41.0% were from stroke, and 16.9% were from other types of CVD.

    Deaths from CVD that were related to dietary salt did not occur only in older men in wealthier countries:

    Four in five deaths were in low- and middle-income countries.

    40% of the deaths were in women,
    One in three deaths occurred in people younger than 69.
  • Abhyu | 34.181.5.110 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৩56213
  • নুন তো হল, এবার চিনি?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.20 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:০৩56214
  • নুনের এখনো " নু " ও হয়নি AMJ/LANCET/সায়েন্টিফিক আমেরিকান এর লেখাগুলির উত্তর আসেনি - তবে চিনি শুরু করে দেওয়া যেতে পারে
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৭ ১১:৩১56215
  • এই টইটা প্রায় এক বছরের পুরোনো দেখছি... যাই হোক আজই চোখে পড়ল... আগের অনেকগুলো কমেন্ট কৃষ্ণাঙ্গ নিয়ে কিছু কথা আছে... লেখায় তো আছে দেখছি 'কৃষাঙ্গ' ... সেটা কি কৃষ্ণাঙ্গ-র বানান ভুল না কৃশাঙ্গ-র? স্কিন কালারের সাথে নুনসংক্রান্ত কিছুর সম্পর্ক আছে-র থেকে রোগা বা মোটার সাথে সম্পর্ক থাকাই বেশী সম্ভাব্য মনে হল তাই জিগ্যেস করছি।

    আর SS একটা অদ্ভুত কথা লিখেছেন দেখলাম। হাইপারটেনশন আর কার্ডিওভাস্কুলার রোগের কোরিলেশন এস্ট্যাব্লিশড ফ্যাক্ট আর নুন আর হাইপারটেনশনের সম্পর্ক নিয়ে। এইখানে আলোচনাটা তো নুন আর হাইপারটেনশন নিয়েই, আগেরটা কেউ তো কোথাও অস্বীকার করেছে বলে দেখলাম না এই টইতে।

    আর, dc কে আর পাইকে,

    যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, নুন দেওয়া খাবার এ তাদের রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে মানেই কি নুন খেলে সুস্থ মানুষের রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে ? মানে এই দুটো তো আলাদা আলাদা জিনিস... হাই সুগারের রোগীকে একটা রসগোল্লা খেয়ে ফেলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা হতে দেখেছি ( নিশ্চয়ই আরও অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা আছে), কিন্তু তার মানেই একটা রসগোল্লা খেলে সুস্থ মানুষের নিশ্চয়য়ই সুগার হবে প্রমাণ হয় না... রোজ একটা রসগোল্লা খেলে সুগার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তেই পারে সেটা সহজবোধ্য, কিন্তু এই আগের তথ্যটা সেইটার স্বপক্ষেও প্রমাণ নয়। সেটা আলাদাভাবেই প্রমাণ করতে লাগবে।... এতগুলো লিঙ্ক পরে আমি ওই জ যেমন লিখেছেন 'বিষয়টার নিষ্পত্তি হয়নি' এই জাতীয় ইম্প্রেশনই পেলাম মাত্র।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৭ ০৭:৩৩56217
  • পাই,
    হ্যাঁ ডিব্রুগড়ের একটা স্টাডির কথা তো? পড়লাম, কিন্তু চা-শ্রমিকদের মধ্যে তো এমনিই ম্যালনিউট্রিশনের সমস্যা থাকে, পেশাগত অনিশ্চয়তাও নিশ্চয়ই হাইপারটেনশন-এর ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর, নয়? তাই ওই পপুলেশনের নুন সংক্রান্ত স্টাডি আমার মনে হল কিছু নিশ্চিতভাবে এসট্যাব্লিশ করছে না ।

    মানে একটা আদারওয়াইজ ব্যালেন্সড ডায়েট এ নুন এর জন্য সমস্যা বাড়ছে আর একটা আনব্যালেন্সড ডায়েট এ চা এর সাথে নুন খাওয়ার অভ্যেস এ সমস্যা বাড়ছে এ দুটো তো এক জিনিস নয়, তাই না?
  • dc | 120.227.224.153 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৭ ০৭:৫১56218
  • স্বর্ণেন্দু, সে তো বটেই। কিন্তু দেখুন লিখেছি যে আমার মার আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ আছে। যাদের এই সমস্যা নেই তারা বোধায় পরিমান মতো নুন খেলে অসুবিধে নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন