এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আপনাদের দেশের চেহারা তো দেখলাম-আমার দেশ তাহলে কোথায় যাবে?

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৭০৭৫ বার পঠিত
  • যখন কার্গিল যুদ্ধ বাঁধে আমি তখন সবে মাধ্যমিক দিয়েছি। কিন্তু মাঝেমাঝে এটা ওটার কারনে স্কুলে যাই। সেই সময় যুদ্ধের ফান্ড বিষয়ে স্কুলে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সরকারী স্তর থেকে না হলেও সম্ভবত শিক্ষকেরা নিজেরাই এগিয়ে এসেছিলেন এবং ছাত্রদের কাছে আবেদন করেছিলেন ডোনেট করতে। আমি টাকা দিইনি। না, সেই বয়েসে দেশদ্রোহ যুদ্ধোন্মাদনা এসব ভারী ভারী চিন্তার বশবর্তী হইনি। দিইনি, কারণ বাবা যে কুড়ি বা তিরিশ টাকা দিয়েছিলেন সেটা আমি নিজেই সরিয়ে ফেলেছিলাম বিড়ি-সিগারেট খাব বলে।

    যে শিক্ষক ইনিশিয়েটিভটা নিয়েছিলেন তিনি ইতিহাসের প্রবীণ মাস্টারমশাই। সেই মাস্টারমশাই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তুমি টাকা দেবে না?” আমি বলেছিলাম “না স্যার। আমার টাকা খরচ হয়ে গেছে”। উনি তখন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “বড় হয়ে যদি তোমার কাছে অনেক টাকা হয়, তখন কি তুমি টাকা দিতে?” আমি একটু ভেবে মাথা নেড়ে বলেছিলাম “না”। উনি মুচকি হেসে আর কিছু না বলে পরেরজনের কাছে চলে গেছিলেন।

    সেই মাস্টারমশাই সাতজন্মেও কমিউনিজমের ধারকাছ মাড়াননি। বরং বেশ ওল্ড স্কুল ছিলেন। বাড়িতে দুবেলা পুজোআচ্চা করতেন। ক্লাসে ছাত্রদের মরাল ভ্যালুজ নিয়ে লেকচার দিতেন। সরস্বতীপুজোর মন্ত্রের ব্যুৎপত্তি বোঝাতেন। কিন্তু তবু তাঁর মুখের ওপর “না” বলতে পেরেছিলাম কারণ তিনি-ই প্রথম শিখিয়েছিলেন ডিসেন্ট কতখানি গুরূত্বপূর্ণ। নিজে ওল্ড স্কুল এবং কনজারভেটিভ হয়েও তিনি ক্লাসে ডিবেট করাতেন। আমাদের উৎসাহ দিতেন তিনি যা বলেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করতে।

    আমার আরেক মাস্টারমশাই ছিলেন যিনি তাঁর ছাত্রজীবনে অতিবাম রাজনীতি করার কারনে দশবছর জেল খেটেছিলেন। তিনি প্রথম আমার হাতে গোর্কী, টলস্টয়, শলোখভ তুলে দেন। তাঁর ডিপ্রেসনের বিকেলগুলিতে অনর্গল আমার কাছে গল্প বলে যেতেন নিজের উত্তাল যৌবনের দিনগুলির। তাঁর কাছে এরকম এক বর্ষার বিকেলে বসে শুনেছিলাম, যাদুগোড়াতে তাঁরা যখন মুভ করছেন, সেই অঞ্চলের এক পাগলের গল্প। সেই পাগলটি তাঁদের সাথে অনেকটা রাস্তা একসাথে হেঁটে গিয়েছিল। তারপর কি ভেবে নিজের মনেই একদিন উধাও হয়ে যায়।

    সেই পাগলটিকে গ্রামের সকলে ক্ষেপাত। তার গায়ে ছেড়ে দিত লাল পিঁপড়ে। পুকুরে স্নান করতে নামলে পেছন থেকে অতর্কিতে এসে তার মাথা জলের মধ্যে চেপে ধরত। সে ভয় পেয়ে চেঁচাত। উন্মত্ত অসহায় আক্রোশে মুঠোমুঠো ধুলোবালি ছুঁড়ত তার নির্যাতনকারীদের দিকে। সকলে তাকে দেখে খ্যা খ্যা করে হাসত। ভিক্ষে করতে বেরলে পাগলকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার পয়সা নিয়ে পালিয়ে যেত ছেলেপুলের দল। পাগল তখন অসহায়ের মত হাত পা ছুঁড়ত। তার মুখ দিয়ে স্পষ্ট আওয়াজ বেরত না। স্বরযন্ত্রে গোলমাল ছিল। শুধু লালা গড়াত, আর দুর্বোধ্য কিছু শব্দ বেরিয়ে আসতে চাইত প্রাণপণে। মাস্টারমশাই যখন সেই পাগলটির গল্প করছিলেন, আমি দেখেছিলাম যে তিনি কাঁদছেন। বাইরে তখন আকাশ কালো হয়ে ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। আর প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে এক প্রাক্তন বিপ্লবী কাঁদছেন আর বলছেন “সেই পাগল আমাদের সংগে যখন হাঁটছিল তখন কি ভাবছিল বলতে পারো?” আমি চুপচাপ বসেছিলাম।

    কয়েক বছর আগে গলফ-ক্লাবে এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলাম। বড়লোকদের ব্যাপারস্যাপার। প্রচুর গাড়ি আসছে, সুসজ্জিত নিমন্ত্রিতরা, তাঁদের মার্জিত কথা, চলন-বলন সব-ই ভীষণ পলিশড। খুব হালকা স্বরে কোথাও বিলায়েত খাঁ বাজছিল। এরকম পরিবেশে আমার বিশেষ কিছু করার ছিল না বলে একা বসে বসে থামস-আপ খাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল পাশেই এক বাবা-মা-ছেলের পরিবার। পোষাক-আশাক, হাঁটাচলার ভংগী জানিয়ে দিচ্ছে যে তারা একটু নিম্ন-মধ্যবিত্ত। সম্ভবত দুরসম্পর্কের আত্মীয়তার কারণে নিমন্ত্রণ পেয়েছিল। ছেলেটির দশ বারো বছর বয়েস। তারা তিনজন কুন্ঠিত ভাবে বসে ছিল এককোণে। কেউ তাদের সাথে বিশেষ কথা বলছিল না। ছেলেটার মনে হয় ইচ্ছে ছিল একটু চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখবে কিন্তু তার মা চোখের শাসনে আটকে রাখছিলেন। একসময় চাপাগলায় ভদ্রমহিলাকে বলতে শুনলাম “কেউ কথা বলছে না। চলো বেরিয়ে এগরোল খেয়ে বাড়ি চলে যাই”। ভদ্রলোক মাথা নাড়লেন “না না এসব করতে যেও না। মন্টুদারা দুঃখ পাবে। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিই।”।

    তারপর খাবার ডাক পড়ল। ব্যুফে সিস্টেম। বোঝাই যাচ্ছে তাঁরা এসবে অভ্যস্ত নন। বিশেষ করে বাচ্চাটি। অনভ্যস্ত হাতে তার প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছিলেন মা। আশেপাশে সকলে তখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় ব্যস্ত। কেউ এদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। খাওয়া শেষের ঠিক মুখে বাচ্চাটি চামচ দিয়ে আইসক্রিম তুলতে গিয়ে সেটা স্লিপ করে গেল। অসতর্কতার বশে কাঁচের প্লেট সশব্দে পড়ল হাত থেকে কার্পেটের ওপর। সকলে নিজেদের মধ্যে কথা থামিয়ে ভুরু কুঁচকে তাকালেন এই দিকে। যেন এই প্রথম সচেতন হলেন যে তাঁদের পরিমণ্ডলে এই তিনজন-ও আছে। আর ঘরভর্তী সেই সুশিক্ষিত সুসজ্জিত নারী-পুরুষের সম্মিলিত দৃষ্টির মুখে দাঁড়িয়ে ছেলেটির মুখ অপমানে লজ্জায় কালো হয়ে গেল। ঠোঁট থরথর করে কাঁপছে। মাথা নিচু। প্রাণপণে সামলাতে চাইছে ঠিকরে আসা চোখের জল। সে ওইটুকু বয়েসেই বুঝে গিয়েছিল কেউ তাদের সম্মান করে না। তারা এই বিয়েবাড়িতে একটা জলজ্যান্ত এমব্যারাসমেন্ট। আমি নির্নিমেষে সেই ছেলেটিকে দেখেছিলাম। তার বন্ধ চোখ, তার কাঁপতে থাকা ঠোঁট, তার সারা শরীর বেয়ে চুঁইয়ে পড়া অপমানকে দেখেছিলাম।

    না স্যার, দেশ আমার মা নয়। ঠাকুমাও নয়। দেশ মানে আমার কাছে কিছু স্মৃতি, নিজের জায়গা, নিজের পাড়া আর কয়েকটা অপমানিত মানুষের মুখের থেকে বেশি কিস্যু না। এমনকি সত্যি কথা বলতে গেলে দেশ মানে আমার কাছে আফজল গুরু, শর্মিলা চানু বা স্মৃতি ইরাণিও নয় কারণ এদের আমি দেখিই নি। দেশ মানে সম্ভবত আমার পাড়া, আদিগংগার ধার, শ্মশান, যাদবপুরের আড্ডা, নন্দন, লিটল ম্যাগ, আর কিছু মানুষ- এসবের বাইরে আর কিছু বুঝিও নি এতদিন। আর সেইজন্যে পাকিস্তানকে ঘেণ্ণা করতে পারি না। কারণ জীবনে একজন-ও পাকিস্তা্নি দেখিনি। আজ যখন আপনারা হুংকার ছাড়েন “ভারতমাতাকে সম্মান না করলে পাকিস্তানে চলে যাও”, “কাটুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক”, “যে আমার দেশ আর জওয়ানদের অসম্মান করবে তাদের হাত পা চিরে ফেলা হবে”, তখন সেই অমার্জিত বন্য দেশপ্রেম দেখে ভয় লাগে। আপনাদের দেশের চেহারা তো দেখলাম-আমার দেশ তাহলে কোথায় যাবে?

    রমাপদ চৌধুরীর একটা গল্প ছিল। নাম “ভারতবর্ষ”। স্মৃতি থেকে যদ্দুর মনে পড়ে-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে একটা গ্রামে মিলিটারিরা সেদ্ধ ডিম দিত আর তা নেবার জন্য দলে দলে মানুষ মিলিটারিদের ট্রেনের দিকে প্রতি সকালবেলায় ছুটে যেত। একমাত্র গ্রামপ্রধান বাদে। সে সকলকে বাধা দিত। যেতে দিত না। বলত “ওতে ইজ্জত নাই”। গল্পের শেষে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের সময়ে একদিন দেখা গেল অন্য সকলের সঙ্গে সেই গ্রামপ্রধান বুড়োও ছুটে আসছে মিলিটারি ট্রেনের দিকে। সেদ্ধ ডিমের জন্য দুইহাত বাড়িয়ে।

    রমাপদ লিখেছিলেন “সেদিন সকলেই ডিমসেদ্ধ পেয়েছিল কিন্তু আমাদের গ্রাম খুব গরীব হয়ে গিয়েছিল”।

    যতদিন আমাকে কেউ দেশপ্রেমিক হতে বলেনি, নিজেকে অন্য অনেক দেশের মানুষদের তুলনায় খুব ভাগ্যবান এবং ঐশ্বর্য্যশালী লাগত। আজ আমরা সকলে জাতীয়তাবাদী ডিমসেদ্ধর লোভে ছুটে চলেছি। আর আমার গোটা দেশ এক লহমায় খুব গরীব হয়ে গেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | ৭০৭৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • কল্লোল | 125.241.53.172 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:১৩57874
  • তুই এরকমই থাক শাক্য। ঐ মানুষটাকে হারিয়ে ফেলেছি। এবার বই মেলায় ভেবেছিলাম হয়তো দেখা হবে। অনকের সাথে হলও, কিন্তু...........
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.28.60 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৩২57875
  • সে বইমেলায় এসে না। গুটিয়ে যেতে যেতে একলা হয়ে গেছে একদম। আমার সাথেও বছর চারেক কোনো যোগাযোগ নেই
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.28.60 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৩৩57876
  • *আসে না
  • hu | 140.160.143.215 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩১57877
  • খুব ভালো হয়েছে লেখাটা
  • ফরিদা | 192.68.211.148 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:১১57879
  • লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল অন্ধকারেরও প্রয়োজন যেন মানুষের - অন্ধকার হলেই তবে চিনে নেওয়া যায় হীরের কুঁচি মানুষকে একঝাঁক কাচের মধ্যে।
  • debabrata chakrabarty | 233.191.62.147 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:১১57878
  • খুব ভাল লিখেছেন শাক্যবাবু ,আপনার মত যদি লেখার হাত এবং দেখার চোখ থাকতো।বইমেলায় আপনার সাথে দেখা হওয়াতে বলেছিলাম লিখুন আরও ,সত্যই লিখুন আরো।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৪৪57880
  • ভালো লাগলো শাক্যর লেখা।
  • ranjan roy | 24.96.15.71 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:৩৬57881
  • ফরিদা,
    লাখ কথার এক কথা বললেন।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.28.60 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৮:৪৯57863
  • এই লেখা লেখার পরপরেই খবরে দেখলাম, উমরকে নিয়ে তার শিক্ষকের লেখা বেরিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ। মাস্টারমশাই বলছেন উমরের ডিসেন্টিং ভয়েস তাঁকে সমৃদ্ধ করেছিল। উমর, কানহাইয়া আমার ভাইয়ের মতন। এবং আমার ভাই যে ডিমসেদ্ধ-র লোভে ছুটে যাচ্ছে না, এটাই আমাকে আপাতত গর্বিত করার জন্য যথেষ্ট
  • Ekak | 113.6.157.185 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:০১57864
  • জোম্বি ল্যান্ডে পাগল দের জায়গা নেই। জোম্বি রা পাগল নয় তো।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:১৫57866
  • শাক্যদা, স্যারদের নামগুলো বলবে একটু? অসুবিধে হলে কাটিয়ে দাও। আসলে পুরনো দিনগুলি .....
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:১৫57865
  • রমাপদ চৌধুরীর গল্পটাতে সবাই ভিক্ষে করত সোলজারদের কাছ থেকে।
    রমাপদের শেষ লাইনটা ছিলো এরকম।

    মাহাতোগ্রামের সব লোকগুলো ভিখারী হয়ে গেলো।
  • গল্পটা পড়েছি | 192.69.250.130 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৯:২৫57867
  • আজ শাক্যর লেখায় পড়তে গিয়ে 'ভারতবর্ষ' গল্পটা পুরো মনে পড়ল, আর চোখ থেকে বেরিয়ে এল গরম নোনতা জল।

    শুধু যদি দেশের অনেকগুলো মানুষ বাংলা ভাষা বুঝত! অসাধারণ লেখা, শাক্য।
  • ranjan roy | 24.99.177.13 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:১২57868
  • কিন্তু গল্পটা কী ভারতবর্ষ ছিল ? নাকি আন্ডাহল্ট?
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:১৪57869
  • স্টেশনের নাম আন্ডা হল্ট।
  • limbo | 195.58.164.42 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১১:২৫57870
  • খুব চাপ
    'নির্নিমেষে এম্বার্রাস্স্মেন্ট এর দিকে তাকিয়ে ছিলাম'
    প্লেট টা হাতে তুলে দেবার জন্য অবশ্য বেয়ারা ছিল , আসলে পরে ওয়েব সাইট এ লেখা হিসাবে নামানোর ব্যাপার আছে তো । ফ্যামিলি উপেক্ষিত দেখে দুটো সাধারণ কোথায় আলাপ জমানোর লোক পাওয়া মুশকিল আজকাল
  • robu | 213.132.214.81 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০২57871
  • "যতদিন আমাকে কেউ দেশপ্রেমিক হতে বলেনি, নিজেকে অন্য অনেক দেশের মানুষদের তুলনায় খুব ভাগ্যবান এবং ঐশ্বর্য্যশালী লাগত। আজ আমরা সকলে জাতীয়তাবাদী ডিমসেদ্ধর লোভে ছুটে চলেছি। আর আমার গোটা দেশ এক লহমায় খুব গরীব হয়ে গেছে।" - এইটা মনে পড়্লঃ
    গালিলেও’র শিষ্য আন্দ্রিয়া গালিলেওকে বলেছিল, হতভাগ্য সেই দেশ, যেখানে কোনো বীরের জন্ম হয় না। উত্তরে গালিলেও বলেছিলেন, হতভাগ্য সেই দেশ, যেখানে শুধু বীরেরই প্রয়োজন হয়।
  • Sakyajit Bhattacharya | 116.51.28.60 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৭57872
  • ধন্যবাদ। আসলে অনেকদিন আগে গল্পটা পড়েছিলাম, ঠিক মনে ছিল না।।

    সিবি, সেই ইতিহাসের মাস্টারমশাই-এর নাম দুলাল কুণ্ডু। উনি পরে মারা গেছেন
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৯57873
  • ইয়েস, আই একস্পেক্টেড হিম। আর তো ছিলেন প্রবালবাবু।

    দুলালবাবুর হাসিটা এখনো মনে আছে, মুচকি হাসি
  • sch | 125.187.38.243 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৩57883
  • লেখাটা খুব তীব্র, একদম চাবুকের মতো আঘাত করছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন মনে এল - মানে হয় তো খুবই অপ্রাসঙ্গিক এবং হাস্যকর - তাও।
    যখন ছেকেটির হাত থেকে প্লেটটা পড়ে গেল - শাক্যজিৎ এগিয়ে গিয়ে ওর হাতে প্লেটটা তুলে দিয়ে হেসে বললেন না কেন - আরে কোন ব্যাপার না - এরকম আমারও হ'ত তোমার মতো বয়েসে। সাবধানে ধরে রেখো।
    আমার লেখাটা পড়েও আপ্নারা ওই ঘরভর্তি লোকগুলোর মতো তাকিয়ে ভুরু কোঁচকাবেন - কি সব আজে বাজে কথা বলে জাটীয়তাব্দের রসভংগ।
    কিন্তু আমি হেসে বলতে পারব - অভ্যেস নেই তো ফসকে গেছিল
    মানে তাতে কি
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:৩৩57884
  • sch এর সাথে একমত। দেশ বলতে যদি কিছু থাকে ঐ লোক্গুলো ই আমার দেশ। ঐ লোক গুলো ই আমার দেশের ৭০%। ঐ লোক গুলোর অবস্থা ভালো না হলে দেশের উন্নতি অসম্ভব। আর ওদেরকে বাদ দিলে আমার নিজের পরিচয়ও অনেকটা ঝাপসা হয়ে ওঠে।
  • Div0 | 132.178.203.66 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:০৫57885
  • লেখাটা পড়ছিলাম। পরিস্থিতিগুলো খুব চেনা লাগার কারণেই কিনা জানি না, নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারলাম। শাক্যকে ধন্যবাদ এটা লেখার জন্য।

    আর অনেক সময় নিজের সম্পৃক্ততা দিয়ে অন্য কোনও কিছু ঢেকে না দেওয়াই ভালো, আমার মতে। যেমন সস্পৃহ লক্ষ্য করে গেল শাক্য এখানে। ছেলেটার ওই অভিজ্ঞতাটুকুর প্রয়োজন ছিল হয়ত। ওর ওই চরম অপমানকর বৃত্তের মধ্যে আচমকা পা-বাড়িয়ে ঘটনার প্রবাহে বদল না-আনাটাই জরুরি ছিল হয়ত এখানে। এটা আমার মনে হওয়া। যেমন আমাদের একেবারে নিজস্ব কিছু কিছু জিনিষ। নিজের শিক্ষা, নিজের নিজের যুদ্ধ।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.249.5.98 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:১৭57882
  • শাক্যজিতের এই লেখাটা আরও প্রচার হওয়া উচিৎ । কারন এই একই দেশপ্রেমী দেশ তো আমি অনেক ছোটো থেকেই দেখে এসেছি । কখনো তা দেশপ্রেমের নামে - কখনো তা ধর্মের নামে !

    ওআগ দ্য ট্যাগ নামে একটা সিনেমা হয়েছিল । নিজেদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্দিহান হলেই সেই কৌশল ব্যবহার করা হয়ে থাকে । - অনেকটা - মানুষ যখন চেঁচায় খাদ্য খাদ্য - সীমান্তে বেজে ওঠে যুদ্ধের বাদ্য !

    শুধু এই দেশেই নয় - যুগে যুগে অনেক দেশেই - দেশপ্রেমী ও দেশদ্রোহী দুটো লেবেল ব্যবহার করা হয়ে এসেছে । শাসকশ্রেনীর পছন্দসই না হলেই - দেশদ্রোহী লেবেল পরে যাবে ! - যুক্তিবাদীর কোনও স্থান নেই সেখানে !

    মনোজ
  • cm | 127.247.96.125 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৪৯57886
  • sch এর প্রশ্ন আমার মনেও জেগেছিল তবে রসভঙ্গের আশঙ্কায় লিখিনি।

    শাক্যর ব্যবহারের জাস্টিফিকেশন ও এসেছে প্রত্যাশামত। অ্যাসোশিয়েশন হইল গিয়া কিওয়ার্ড। তা শাক্যর ব্যবহারই হোক আর তার ব্যাখ্যা।
  • sch | 125.187.38.243 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:১২57893
  • আমাদের প্রত্যেকের একটা চেনা ভারতবর্ষ আছে। সেই ভারতবর্ষ আমাদের দেশ। তাকে আমরা ভালোবাসি। আজ কর্পোরেশানের লোক এসে আমার বাড়ির সামনের বাগানটা কেবল লাইজ পাতার জন্য খুঁড়ে তছনছ করে দিয়ে যদি চলে যায় খুব রাগ হয়। সেইরকমই আমাদের দেশের যে সব জায়গায় আমরা গেছি - যে সব জায়গা ভালো লেগেছে , যে সব জায়গার মানুষের সঙ্গে কথা বলে আলাপ হয়েছে - তাদের ওপর কেউ আক্রমণ করছে, তাদের কেউ আঘাত করছে শুনলে রাগ হয়। আর অখনই একটা বায়াসড ফিলীং তৈরী হয়। সেটান নাম দেশাত্মবোধ

    যতক্ষণ এই দেশাত্মবোধ কাউকে মার্জিনালাইজ করে না, শুধু নিজের বায়াসকে সমর্থন করে যায়; কোনো সমস্যা মনে হয় না। সমস্যা হয় যখন অন্যকে শত্রু মনে করতে শুরু করে আর তাকে আক্রমণ করতে ইন্সপায়ার করে , ঠিক তখন ।

    anecdotal experience এ দেশ ডিফাইন করতে গেলে খুব সমস্যা । DRDOর অনুরাগ শ্রীবাস্তব আই এস আই গেটের সামনে দাঁড়িয়ে খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিল "why all the private buses in Kolkata have a mosque like picture in the backside, I feel I am in Karachi". সত্যি কোনোদিন খেয়ালও করি নি। মাসের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় সাবমেরিনে কাটায় অনুরাগ, তার এক মাত্র কাজ শত্রুপক্ষের কোড দিক্রিপ্ট করা - আর সেই শত্রুপক্ষ পাকিস্তান। তার কাছ থেকে এর থেকে বেশী কিছু কি আশা করা যায়? তাকে বোঝানো যেতে পারে যে বাসের বডি রঙ করে যারা বেশীরভাগই গরীব মুসলমান - তাদের শিম্পচেতনায় একটা মসজিদের আকৃতির ্মিনারের ছবি খুব স্বভাবিক, এটা একজন হিন্দু আঁকলে মন্দির হয় - খুব আলাদা কিছু হতে পারেনা । তবে মনে হয় না তাতে খুব লাভ হবে।

    শ্রীনগরের চারপাশের কিছু অঞ্চলে অল্প সময় কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। ঠিক শহরও না - গ্রামও না - যাকে বলে perimheral area. সময়টা খুব শান্ত আর অশান্তের মাঝামাঝি। একদিন লাল চকের কাছে একটা জায়গা ক্রস করে যাবার আধ ঘন্টা বাদে ব্লাস্ট হল, কেউ মারা গেল না - অল্প স্বল্প জখম। কিন্তু মিলিটারি পূরো দমে নেমে পড়ল। জ্যামারের দৌলতে বাড়িতে ফোণ করা যাচ্ছে না। ইরিটেশান একটা জায়গা ক্রস করে গেছে - অসহায়তা রাগে কনভার্টেড । টেররিস্টদের বাপ -বাপান্ত করা হচ্ছে -স্থানীয় সঙ্গীটি সরকারী কর্মচারী - বুঝতে পারছেন রাগের কারণ। শেষ-মেষ যখন খবর পাঠানো সম্ভব হল - বিনীত অনূরোধ করলেন কাছের একটা জায়গায় যেতে।

    কোনো টুরিস্ট স্পট না । জিরো ব্রিজ থেকে নেমে চিনারের অল্প জঙ্গল পার হয়ে একটা কবরখানা - পুলিশের গুলিতে সে যব "টেরসিস্ত" মারা গেছেন তাদের শেষ শয্যা। কোনো নাম লেখা নেই - শুধু একটা করে সাদা ফলক। দু'চারটে ঘটনা শোনালেন - ওই যেরকম আমরা সুন্দর মলাটের বিশ্লেষণী ইঙ্গরেজী বইতে পড়ে থাকি - kashmir an insite story জাতীয় বইগুলো/ মিলিটারীর ঘোর বিরোধী তিনি - কিন্তু ভারত রাষ্ট্রের না । জিজ্ঞেস করেছিলাম পাকিস্তানে গেলে কি ভালো থাকবেন ? মুখের বিস্ময় দেখে লজ্জা পেয়েছিলাম । বলেছিলেন -ম্যায় সরকারী নোকর হুঁ। গভর্ণমেন্ট সে পাগার লেতা হুঁ। পাকিস্তান মে কিঁউ যাউ?" ফেরার পথে প্রশ্ন করেছিলেন -"আপনাদের কলকাতায় যদি আপনার অফিসের উল্টোদিকে একটা সাঁজোয়া গাড়ি সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকত, আপনার কেমন লাগত। আপনি জানের ওটা কিন্তু আপনার সুরক্ষার জন্য। " না উত্তর দিত পারি নি।

    এই সাজাদ ওয়ানি বা অনুরাগ শ্রীবাস্তব, দুজনেরই কিন্তু একটা করে দেশ আছে। শুধু তার সংজ্ঞা মেলে
    দেশ চালান। এই লোকগুলোকে সরিয়ে দিলেই আমার আপনার সবার দেশের সংজ্ঞা মিলে যাবে।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:০৩57894
  • আচ্ছা ইস্কুলে ছোটোবেলায় কিছু শেখানো যায়্না?
  • ranjan roy | 24.96.57.168 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:১৯57895
  • sch,
    আপনার কথা বুঝতে পারছি।
  • sch | 125.187.38.243 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:২৫57896
  • চশমা হারিয়ে গেছে - এবং চোখের পাওয়ার বেড়েছে হঠাৎ করে - এই অবস্থায় লেখার দুর্বুদ্ধি মাথায় এল কেন কে জানে -অনেক টাইপোস আছে - ক্ষমা চেয়ে নিলাম
  • sch | 125.187.38.243 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৭:৪১57897
  • *শেষ প্যারায় যা লিখতে দেয়েছিলাম

    এই সাজাদ ওয়ানি বা অনুরাগ শ্রীবাস্তব, দুজনেরই কিন্তু একটা করে দেশ আছে। শুধু তার সংজ্ঞা মেলে না। আসল সমস্যা সেই সব মানুষকে নিয়ে যারা দেশ চালান, আইন বানান আর দেশভক্তির সংজ্ঞা তৈরী করে দেন। এই লোকগুলোকে সরিয়ে দিলেই আমার আপনার সবার দেশের সংজ্ঞা মিলে যাবে।
  • sopatt | 100.206.188.240 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১০:৫২57887
  • এখানে দু চার জন ভাবছেন ছেলেটিকে প্লেট তুলে দিয়ে দুটো মিষ্টি কথা বললে হয়তো প্রপার কাজ হত ।

    এনারা মনে হয় এখনো আধুনিক মনন ও চিন্তাশিল বুদ্ধিজীবী দের গভীর চেতনা ও মর্মশীলতা কে অনুভব করতে পারেন নি

    পুরো ব্যাপারটা চোখের সামনে ঘটতে দিয়ে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা মাথায় ভেবে সপ্তাহান্তে সময় করে গুরুর মাধ্যমে এই যে সামাজিক সমস্যার উপাখ্যান করে বেদনাদায়ক কঠিন কষাঘাতে পাঠকের আত্মচেতনার বিকাশ ঘটানোর সুকঠিন প্রচেষ্টা , তার মূল্যায়ন সবাই করতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক

    ছেলেটি হয়ত চারদিকে তাকিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা লোকেদের মধ্যে লেখক কে আলাদা করে নিতে না পেরে তেনাকেও সেই তথাকথিত বুর্জোয়া গোষ্ঠির লোক বলে ধরে নিল , কোনদিন জানতে পারবে কি? সেই দলে এমন একজন ছিলেন যিনি সেই সময় নিজের প্লেট এর বিরিয়ানি চিবোতে চিবোতে বা নলি হাড় চুষতে চুষতে পুরো ব্যাপারটএকে গুরুর টেবিল এ সমাজচেতনার ধারালো করাত দিয়ে পোস্ট মর্টেমএর এক কঠিন নিশব্দ প্রতিজ্ঞা করলেন ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন