এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জয়ললিতাদের মৃত্যু আর সাধারণ মানুষ।

    Prativa Sarker লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৬১৮৭ বার পঠিত
  • ভারত মহাসাগরের তীরে এক বর্ণময় নারীর জীবনাবসানের সাক্ষী হতে হচ্ছে নেহাত ঘটনাচক্রে। হঠাতই এসে পড়েছি তামিলনাড়ুর পাশে, ইচ্ছে ছিল আজ শ্রীরঙ্গাপত্তনমে টিপুর কাছে যাবার, সব ভন্ডুল করে দিয়ে ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে এক বৃদ্ধা অভিনেত্রীর, আপাতসফল কিন্তু নিষ্ঠুর একনায়িকার অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। সে আগুনের আঁচের সেঁক নিচ্ছে চেন্নাইতে এপোলো হাসপাতালের সামনে মানুষের কাতার, সন্ত্রস্ত সেবাকর্মীরা,রেলস্টেশন,এয়ারপোর্ট জুড়ে আটকে পড়া অসহায় মুখের ভিড়, বন্ধ দোকান বাজার আর ক্রমশ জনবিরল হতে থাকা রাস্তাঘাট। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অন্য রাজ্যের লাগোয়া সব সীমান্ত। উড়িয়ে আনা হয়েছে অন্য রাজ্যের সি আর পি এফ, রাজধানীর উৎকৃষ্ট চিকিৎসকদল। চিরসঙ্গিনী শশিকলা যথারীতি ঘাঁটি আগলে, আর মহা চিন্তিত রাজনীতিজ্ঞদের ব্যাকুল আনাগোনা যেন ক্ষমতার অলিন্দে ভাঙ্গা কাঁঠালের ওপর উড়ন্ত মক্ষিকুল। স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এ যেন জৈবিক চক্রকে রুদ্ধ করবার এক মরীয়া প্রয়াস!

    একটি অল্পবয়সী তামিল মেয়ে, ভারী নম্রস্বভাবা, আমার বিমুখতা টের পেয়েই যেন বললো, "ক'জন হতে পারে আম্মার মতো ? তামিলনাড়ুতে যত মন্ত্রী সবাই আম্মার সামনে এসে হাত জোড় ক'রে, পিঠ নুইয়ে যেতে বাধ্য হয়। ক'জন মেয়ের এইরকম সৌভাগ্য হয় ? "
    তার শোকাকুল মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি না দু তিনজন "সৌভাগ্যবতী" মহিলার এই বিচ্ছিন্ন অর্জনে অবশিষ্ট নারীকুলের এতো লম্ফঝম্ফ কেন!
    যে পুরুষটি ন্যুব্জ শরীর, প্রণামের ভঙ্গী নিয়ে এখুনি সরীসৃপের মতো সমর্পণের মুদ্রা অভ্যাসে ব্যস্ত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সামনে, ঘরে ফিরেই সে হয়তো চড়াও হবে নিজের স্ত্রীর ওপর।
    তামিলনাড়ুর মতো সমৃদ্ধ রাজ্যও কিন্তু গার্হস্থ হিংসায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে আছে সারা দেশের নিরিখে।নারীলাঞ্ছনাতেও এমন কিছু পিছিয়ে নেই তামিল পুরুষসিংহরা।

    জনমনোরঞ্জক রাজনীতিতে জয়ললিতা অনেককে শেখাবার ক্ষমতা রাখতেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা,প্রসূতি ও নবজাতকের পরিচর্যায় তামিলনাড়ু অনেক এগিয়ে, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল, জুতো, খাবার বিলিও মুখ্যমন্ত্রীর মগজাস্ত্রপ্রসূত। যদিও সে কৃতিত্বের ভাগীদার এখন অনেক। পপুলিস্ট রাজনীতিতে তবু আম্মাই এখনো একনম্বর। অন্দরের কোন্দল বা বাইরে তার বিরুদ্ধাচরণকে,সে যতোই গণতান্ত্রিক হোক না কেন, গলা টিপে হত্যা করতে এক মূহুর্ত সময় লাগতো এই নারীর, পর্দায় এবং বাস্তবে যার মেন্টর ছিলেন এম জি রামচন্দ্রন।
    কিন্তু গুরুর মৃত্যুর পর তার মৃতদেহের ধারকাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি জয়ললিতাকে। ধর্মপত্নী জানকীর নির্দেশে এমনকি জনতার ভীড়ে মিশে শ্রদ্ধা জানাবার সুযোগও দেয়নি তাকে রামচন্দ্রনের অনুগামীরা। রুপোলি পর্দার এই নটিকে ছেঁটে ফেলার সব বন্দোবস্তই ছিল। সব তুচ্ছ করে তার এই অসম্ভব উড়ান রূপকথার মতই এবং নটি থেকে সর্বাধিনায়িকায় এই রূপান্তর সব অর্থেই পিতৃতন্ত্রের গালে সপাটে একটি থাপ্পড়।

    কিন্তু তাতে চিত্রনাট্যের কোন হেরফের হয় না। নিজেকে হিংস্রতায় পুরুষ শাসকের সমকক্ষ প্রমাণ করার দায়ে তিনিও ফাঁসেন এবং অধিকাংশ মহিলা শাসকের মতো পিতৃতন্ত্রনির্দিষ্ট পথেই পদচারণায় ব্যস্ত থাকেন।

    চেন্নাইতে গত ভয়াবহ বন্যার সময়, যে বন্যা অনিয়ন্ত্রিত শহরবিস্তারের প্রত্যক্ষ ফল, সারা দেশ থেকে বিভিন্ন সাহায্য আসে। যেখান থেকেই আসুক না কেন অথবা যেইই পাঠাক না কেন, ট্রাকের পর ট্রাক থামিয়ে জয়ললিতার সমর্থকরা সমস্ত সামগ্রীতে নিষ্ঠাভরে "আম্মা"ছাপ লাগাবার পরই তা শরণার্থীদের হাতে পৌঁছানোই ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ একথা তখনই কাগজে পড়েছি। খুব ছোট ছোট ব্যাপারেও এই "রুথলেসনেস" কেন উপমহাদেশীয় মহিলা শাসকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সেই প্রশ্নও ভাবায়। পিতৃতান্ত্রিক বাহবা কুড়োনো বা সমকক্ষ হয়ে ওঠার তাগিদেই কি ?

    যুবতী জয়ললিতার অভিনয়ে বা প্রৌঢ়া জয়ললিতার শাসনক্ষমতায় যারা মুগ্ধ তাদের ভীড়ও আশ্চর্য করে। তবে এপোলো হাসপাতালের সাধারণ কিন্তু মরোমরো রোগীদের কি হলো সেটা ভাববে কে? যাদের জরুরী অপারেশন বন্ধ হয়ে গেল তাদের কথা আর তাদের অসহায় আত্মীয়দের কথা ভাবার দায় কার ? শিলচর এন আই টির যে দুই চেন্নাইমুখী ছাত্র কলকাতা এয়ারপোর্টে শুকনো মুখে বসে আছে তাদের কথা এবং তাদের মতো আরো অনেকের কথা ভাববে কে ? গোটা প্রশাসন হাসপাতালে বিষণ্ণ দাঁড়িয়ে, রাজ্যবাসীর ভালোমন্দের দায়িত্ব তবে কার ? বাজার দোকানের ঝাঁপ পড়ে যাচ্ছে ঝপাঝপ, গরীবের পেটের আগুন নেভাবে তবে কোন গণতন্ত্র ? চেন্নাই, মাদুরাইতে এখনি বিরোধীদের অফিস বাড়িতে ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।

    এক একজন মহাপ্রতাপশালী গঙ্গাযাত্রা করবেন আর অপ্রত্যক্ষ সহমরণে যাবে সাধারণের ভালোমন্দ, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি আর শুভাশুভ বোধ? শোকের উচ্ছাসবাহুল্যে হারিয়ে যাবে যুক্তির নির্মেদ উপস্থিতি ? দাঙ্গার ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলি ? বড় গাছ ভেঙে পড়লে মাটি কাঁপে আর ছোট চারাগুলি শুয়ে পড়ে এই দর্শনে ভুলে থাকাই কি তবে ভবিতব্য ?
    পাওয়ার অফ কমন ম্যান কি তবে এই বৃহত্তম গণতন্ত্রে কেবল চেন্নাই এক্সপ্রেস ছায়াছবির নায়কের মুখের লব্জ হয়েই থেকে যাবে ?

    ঐ জাতটাই অমন ---বাঙালী আত্মসন্তুষ্টির এই উচ্চারণ বহু ব্যাপারেই শুনি। সবিনয়ে মনে করিয়ে দিতে চাই দক্ষিণ থেকে জননেত্রীর বিশাল বিশাল কাট আউট আমরা আমদানি করে ফেলেছি। বদলে অবশ্য গোটা দেশ শিখেছে মৃতদেহ ছিনতাই করার কৌশল। পাওয়ার অফ কমন ম্যানকে ধুলোয় মিশিয়ে দেবার জন্য আর কি আমরা শিখতে পারি এখন সেটিই দেখবার।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৬১৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৫58694
  • কথা হোক। তবে দক্ষিণে এটা শুধু রাজনীতিবিদ না, অন্য সেলিব্রিটিদের নিয়েও একই দশা।
    জনপ্রিয় লোকজনের জন্য সাধারণ মানুষের ঢল নামলে তাই নিয়ে কতটা কী বলা যায় জানিনা, কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে এরকম স্তব্ধ করে দেওয়া, আরো অনেক মানুষের অসুবিধে করে, এই নিয়ে অবশ্যই বলা যায়। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জরুরি অপারেশন যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় !
  • ranjan roy | 132.161.201.96 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪১58695
  • লেখাটির স্পিরিটের সঙ্গে গলা মেলালাম।
  • শিবাংশু | 55.249.72.175 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৩১58696
  • সহমত।
    দাক্ষিণাত্যে থাকার সুবাদে কাট-আউট সংস্কৃতি ও বল্গাহীন আনুগত্যের মহামারী কাছ থেকে দেখা। এক কালে এটা নিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় বন্ধুদের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করতুম। এখন সেই বেনোজল তো নিজের আঙিনাতেও ঢুকে গেছে। একটু আগেই এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিলো। বিষয় ছিলো, কতজন গায়ে আগুন লাগাতে যাচ্ছে এই বার?
  • রৌহিন | 233.223.135.73 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:০০58697
  • এই ধরণের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যখ্যা কি? বিশেষ করে যখন একটা গোটা সমাজের বড় অংশ এই ধরণের রিয়াক্ট করেন?
  • ছোটোলোক | 198.155.168.109 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:০৫58698
  • মনস্তাত্বিক ব্যাখ্যা অভি দিতে পারবেন মনে হয়।
    এগুলো কাল্টের মত। টোটার সারেন্ডার, আনুগত্য। পাগলামি।
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৭58699
  • অথরিটারিয়ান শাসনের ভারতীয় রূপ?
  • ranjan roy | 132.161.201.96 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৫৪58716
  • ধর্ম ও কমিউনিজম --দুটোই আইডিওলজি, সেই অর্থে এক ব্র্যাকেটে। বিজ্ঞান কি আইডিওলজি?
    পেট্রিয়টিজম ন্যাশনালিজম সবই আইডিওলজি এবং আইডিওলজির জন্যেই মানুষ সংঘবদ্ধ ভাবে প্রাণ দিতে ও নিতে পারে। বিজ্ঞানের জন্যে নয়।

    অবশ্য কেউ যদি বলেন যে মার্কসবাদ অমর ও সত্য, কারণ ইহা বিজ্ঞান-- তো আমি নাচার।
  • avi | 57.15.173.173 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:০৭58700
  • কিছুটা আন্দাজ মেলে ইভলিউশনারী সাইকোলজি থেকে। মানুষের আগে অব্দি বাকি প্রানীরা কাল্পনিক কোনো বিষয়কে হাই প্রায়োরিটি দিয়ে একসাথে কাজ করে এরকম নজির নেই। আপনি কোনোভাবেই একটা বাঁদরকে কনভিন্স করতে পারবেন না হাতের কলাটা ছেড়ে দিতে এই বলে যে সে মৃত্যুর পরে হাজারটা কলা পাবে। মানুষ এখানে অনন্য। যুক্তির দিক থেকে মানুষের এই ব্যবহার খুবই বোকা বোকা, কিন্তু লাস্ট ষাট হাজার বছরে এটাই মানুষকে ফুড চেইনে ওপরে তুলেছে। মিথ আর কল্পনার প্রসারের উপকারিতা বিবর্তনে এতটাই স্থায়ী হয়ে গেছে যে তাকে মানুষের সাইক থেকে আলাদা করা অসম্ভব। কগনিটিভ রিভলিউশনের পর থেকে এটা হয়েছে বলা যায়। কাল্পনিক কোনো মিথ, কাল্ট, যেকোনো কিছুর ওপর বিশ্বাস না থাকা অবস্থায়, স্রেফ পারস্পরিক সহযোগিতা আর বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে খুব বেশি হলে শ দেড়েক উন্নত প্রাণী এক হয়ে বিভিন্ন ধাঁচের কাজ করতে পারে। তার বেশি যখন প্রয়োজন হয়, তখনই দরকার হয় একটা সামগ্রিক কল্পনা, যেটাকে সবাই বিশ্বাস করবে, এবং যেটা তাদের নির্দিষ্ট এবং সুষ্ঠু প্ল্যানে কাজ করাবে। এই কল্পনার কোনো বাস্তব অস্তিত্ব বা অবজেকটিভ ভ্যালিডিটি নেই। এটা হতে পারে ধর্ম, টাকা, দেশ, জাতি, লিবারেলিজম, হিউম্যানিটি, বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা, মারাদোনা ফ্যান ক্লাব যা খুশি। এবং মানুষকে এ থেকে বের করে কোনো সংঘবদ্ধ কাজ করানো যায় না। একটাই পন্থা, তাকে বিকল্প আর এক কল্পনার যোগান দেওয়া। ধরুন ধর্ম আপনাকে ভাবায় পর জীবনের সুখের কথা, সেই আফিং নেশা কাটাতে আপনাকে আনতে হল কমিউনিজম যা স্বপ্ন দেখাবে এই জীবনেরই সুখের ও শান্তির। এরকম বিভিন্ন কল্পনার, যা কখনো কখনো পরস্পরবিরোধী, নির্মাণ ও সংঘাতের মধ্যে দিয়ে সবকটা বড় দ্রোহকাল ব্যাখ্যা করা যায়।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:১৯58701
  • হারারি সায়েব হাড্ডাহাড্ডি লড়ে এইসব বুঝিয়ে গেলেন। ঃ-)
    লাখে লাখে পিঁপড়া নিয়ে ছেড়ে দিতে হয় ওর উপরে। ঃ-)
  • pi | 192.66.164.208 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২৬58702
  • কিন্তু মৃত্যুর পরে হাজারটা কলা পাবে, এটা বাঁদরকে আদৌ কম্যুনিকেট করাই কি সম্ভব ? বুঝলে তারপর তো বোঝেনা সেটা বলা যাবে। বা, মানুষই একমাত্র বোঝে।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৫58703
  • কিংবা গলায় মুক্তোর মালা পাবে । সেটাও কি বোঝানো যাবে?
    ঃ-)
  • avi | 57.15.173.173 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৮58704
  • উঁহু, পিঁপড়ে বা মৌমাছি কিন্তু বিভিন্ন রকম কাজ করে না। হারারি এটাও ছুঁয়ে গেছেন। :)
  • ছোটোলোক | 72.2.128.34 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৮58717
  • সাইন্টোলজি বলে একটা সেক্ট আছে জানেন তো? সেটাও আইডিওলজি। টম ক্রুজ সাইন্টোলজি সেক্টের মেম্বার।
    ডিঃ - এর সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই।
  • কলা | 61.15.48.114 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৫২58705
  • কিন্তু তামিলরা হাজারটা কলা তো একদিনেই খেয়ে ফেলতে পারে!
  • avi | 57.15.173.173 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:০১58706
  • বাঁদর এবং বাকি প্রাণীকুল নিয়ে এসে লিখছি। এটা ইন্টারেস্টিং। :)
  • PT | 213.110.242.8 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:৪০58707
  • "কমিউনিজম যা স্বপ্ন দেখাবে এই জীবনেরই সুখের ও শান্তির।"
    এই বাক্যটি অদ্ভুত। প্রচুর অ-কমুনিস্ট যুক্তিবাদী আছে যারা এই জীবনেই সুখ ও শান্তির সন্ধান করে। এমনকি ঘোর অকমুনিস্ট ঈশ্বর পাটনীওঃ "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে"!!
  • cm | 127.247.96.195 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:৫৪58708
  • “ ধরুন ধর্ম আপনাকে ভাবায় পর জীবনের সুখের কথা, সেই আফিং নেশা কাটাতে আপনাকে আনতে হল কমিউনিজম” বাঃ, বিজ্ঞানের ছুটি!
  • avi | 57.15.173.173 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:১২58709
  • না না, কমিউনিজম এ জীবনের সুখের স্বপ্ন দেখায় মানে এই নয় যে বাকি আর কেউ দেখায় না বা দেখে না। :)
    আর বিজ্ঞানের নামে বড় সংখ্যার লোক এক হয়ে লড়েছে এরকম নজির আছে কিনা জানি না।
  • Du | 182.58.105.247 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৪৫58718
  • কামান আবার কোথায় দেখলো? গুলতিও নয়। চোখের জল ছিল না সেইটা অনুযোগ করা যায় চাইলে।
  • ছোটোলোক | 198.155.168.109 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৫১58710
  • পিঁপড়ের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা নেই, মানুষের মধ্যে আছে - এটাও তো একটা কারন, তাই না?
    বাঁদরকে কোন জিনিস শেখালে শেখে কিন্তু সেভাবে বুদ্ধি খরচ করতে জানে না। আগুন নেবাতে বালতি থেকে জল তুলে তুলে ছিটিয়ে দিতে শেখালেও একটা জলাশয়ে লম্বা নৌকোর এক প্রান্তে আগুন আর অন্য প্রান্তে জলের পাত্রে জল রেখে দিলে সেই বাঁদর ছুটে ছুটে একবার জলের দিকে যায় ফের জল নিয়ে এসে আগুনে ছেটায়, অথচ হাত বাড়ালেই যে জলাশয়ে জল রয়েছে সেটার ব্যবহার করতে পারে না- আউট অফ দ্য নৌকো ভাবতে পারে না।
  • PT | 213.110.242.23 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:০১58719
  • "আম্মা নিজে ক পয়সা গুছিয়েছেন সে নিয়ে বক্তব্য শুনতুম যদি না সর্বহারার বুলি আওড়ানো নেতাদের ছোটোব্যালা থেকে পায়ে নখ কুনি হলেও বেলভিউ তে ভর্তি হতে না দেখতুম ।"
    "As on Friday (2015), the AIADMK supremo has declared assets worth Rs. 117.13 crore.
    When she filed the affidavit in Srirangam for the 2011 Assembly elections, she declared assets worth Rs. 51.40 crore, against Rs. 24.7 crore in 2006."
    একজনের পয়সা গোছনো ডিফেন্ড করার জন্যে শেষে আরেকজনের পায়ের নখকুনি পর্যন্ত নামতে হল? ঘরকা মুর্গী ডাল বরাবর না কি যেন বলে? সেই প্রফুল্ল ঘোষ থেকে শুরু করে পব-তে পয়সা গুছনো মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হবে। শুধু গোছানো? এতো ধাপে ধাপে বাড়তে থাকা ১১৭ কোটির ডিক্লেয়ার করা মামলা-আন্ডিক্লেয়ার্ড কত আছে কে জানে!! নিজের হাতে আঁকা ছবি বিক্কিরির অজানা সংখ্যাও তো এর কাছে নস্যির দানা!!
  • sinfaut | 52.106.100.208 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:১৩58711
  • স্ট্রিক্ট রুল ছাড়া কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম ডেভেলপ না করা অব্দি ইমাজিন্যারি অব্জেক্ট হোল্ড করার জায়গা পাওয়া সম্ভব না।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৪১58720
  • ধুর মশাই । কুমোরপাড়া গ্রামীণ ব্যাংক লুটলে যা পয়সা হয় , স্টেট্ ব্যাংকের বড়বাজার শাখা লুটলে তার অনেক বেশি হবে এতো স্বাভাবিক । তাই দিয়ে লুটেরাদের শাস্তি আলাদা হয় নাকি ?? পবর মুখ্যমন্ত্রীরা সর্বভারতীয় ভাবে লুটতরাজের কাউন্টে আসেনা কারণ সমস্ত উদ্যোগ বন্ধ হয়ে বহু আগেই রাজ্যটা ভিখিরি ল্যান্ডে পরিণত হয়েছে ।

    রাজ্যে পয়সা থাকলে লুট হবেই । তার বাইরে কোন নেতা রাজ্যের মানুষের জন্যে কী করলো এটাই জনগণ দেখে ।আম্মা ৯২ সালে তামিলনাড়ুতে অল উইমেন পুলিশ স্টেশন চালু করেছিল যার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন দুশো । কৃষি থেকে স্বাস্থ্য সবদিকে স্কীম আছে । আম্মার বিরোধীরাও আম্মা ক্যান্টিনে খাবার খেতে খেতে বিরোধিতা করে । এগুলো যদি পপুলিস্ট হয় তবে বড়লোকের জমি কেড়ে নিয়ে চাষ -কর্মচারী দেড় ফোর্সড এন্টারপ্রেনিওর বানানো কী ছিল ? পপুলিস্ট না ? যার যার রাজনীতি তার তার মতন । আম্মা নিজের গুছিয়েছে কিন্তু সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও ফিরিয়ে দিয়েছে । একটা এমন রাজ্য যেখানে শিল্পপতিরাও খুশি , গরিব ও সন্তুষ্ট । এরকম ব্যালান্স কজন রাখতে পেরেছে ? আল বাল চাট্টি বকে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা পর্বে ?? এইতো কদিন আগে আপনারা কাস্ত্রো কাস্ত্রো করে শূন্যে থ্যং তুলে নাচচ্ছিলেন , তা কাস্ত্রোর কিউবা পরিদর্শন করে এসে ইয়েচুরি বাবুরা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কিছুমাত্র পরিবর্তন আনতে পেরেছেন ?? সবকটা সরকারি হাসপাতাল অব্যবস্থায় ভর্তি আর পিজিতে কিছু দামি মেশিন ডাম্প হয়ে পরে যেখানে মন্ত্রী ইমেলের চিঠি ছাড়া বেড মেলেনা । এইতো আপনাদের দৌড় । আপনারা না পেরেছেন কিউবা কপি করতে না তামিলনাড়ু । আবার এসেছে প্রফুল্ল ঘোষের গপ্পো শোনাতে । বানচ অফ ফেইলিওরস , টাকা লোটার মতো উদ্যোগ ই নেই রাজ্যে তাদের লুটের উদাহরণ , বেলভিউতে ভর্তি হওয়ার চেয়ে কত উঁচুতে উঠবে বলে আশা করেন ? স্টেসাসেই তো আসেনা :)
  • cm | 127.247.96.195 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৮58712
  • ধর্মের নেশা কাটাতে কম্যুনিজমের চেয়ে বিজ্ঞানের ভূমিকাই অগ্রণী মনে করি।

    আর ধর্ম এবং কম্যুনিজমকে এক ব্র্যাকেটে কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফেলা হল?

    কদিন আগেই আবার কে যেন বলছিলেন আঁতেল মানেই বামপন্থী!
  • avi | 57.15.173.173 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:০৬58713
  • নাহ, শুধু ধর্ম আর কমিউনিজম কেন, জাতি, টাকা, হিউম্যানিটি, লিবারেলিজম, বর্ণভেদ সবই তো কালেক্টিভ ইমাজিনেশন। উদ্দেশ্য বিধেয় কিছু নেই। :)
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৩58721
  • আম্মার একটা ছবি থাকুক । সর্ব ভারতীয় নেত্রীর কার্টুন ভারতের অন্যতম সেরা কার্টুনিস্ট এর হাতে ।

  • Rit | 213.110.242.4 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৯58714
  • নোয়ার নৌকায় অভি।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৩২58715
  • জয়ললিতার রাজনীতি কে শুধুই পপুলিস্ট বলে দাগিয়ে দিলে প্রশ্ন উঠবে বাকিরা কী নন পপুলার রাজনীতি করে কোন লং টার্ম গোল এচিভ করেছেন ? শুনি একটু ??

    পপুলিস্ট রাজনীতি খারাপ । কিন্তু ভুলভাল ও থিওরিসর্বস্ব অরাজনীতি করে জনবিচ্ছিন্ন হওয়া আরও অনেক খারাপ । আম্মার উদ্দেশ্যে কামান দাগের আগে একটু কথা বললে ভালো হয় জমির কাছাকাছি থাকা মানুষদের সঙ্গে । সারা ভারতে প্রথম অনলি ফিমেল পুলিশ স্টেশন , ছাত্রী দের জন্যে ল্যাপটপ এগুলো বলে শেষ করা যাবে না লিস্ট । এগুলো সাধারণ মানুষের কাছে ম্যাটার করে তাই তারা আম্মা মারা গেলে দুঃখ শোক পায় ।

    এখানে , আম্মা নিজে ক পয়সা গুছিয়েছেন সে নিয়ে বক্তব্য শুনতুম যদি না সর্বহারার বুলি আওড়ানো নেতাদের ছোটোব্যালা থেকে পায়ে নখ কুনি হলেও বেলভিউ তে ভর্তি হতে না দেখতুম । ওসব দেখা আছে ।

    আম্মা করাপ্ট । প্রচুর টাকা বানিয়েছে । কিন্তু রাজ্যের মানুষের জন্যে যেটুকু ওয়েলফেয়ার স্কীম নিয়েছে সেটুকুও বাকিরা করেনা , করেনি , কাজেই তোপ দাগের আগে ভেবে দাগা ভালো ।
  • cm | 127.247.96.195 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫৮58729
  • বামুনরা সাধারণত আম্মার গুণই গাইবেন। তায় আবার তামিল বামুন।
  • PT | 213.110.242.23 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০২58722
  • বললাম যে আপনার জয়ললীতার গুণকীর্তনের ইচ্ছা থাকলে চালিয়ে যান কিন্তু তার জন্যে বামেদের কাছা ধরে টানাটানি করার দরকার নেই। কারো কাছে চুরি না করাটা যদি ফেলিওরের দৃষ্টান্ত হয় ও চুরি করে জেল খাটাটা যদি স্টেটাস সিম্বল হয় তো তাই-পসন্দ আপ্না আপ্না!!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন