এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মন্দিরে মিলায় ধর্ম

    ফরিদা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৯৩৮ বার পঠিত


  • নির্ধারিত সময়ে ক্লাবঘরে পৌঁছে দেখি প্রায় জনা দশেক গুছিয়ে বসে আছে। এটা সচরাচর দেখতাম না ইদানীং। যে সময়ে মিটিং ডাকা হ’ত সেই সময়ে মিটিঙের আহ্বাহক পৌঁছে কাছের লোকেদের ফোন ও বাকিদের জন্য হোয়া (হোয়াটস্যাপ গ্রুপ, অনেকবার এর কথা আসবে তাই এখন থেকে হোয়া) গ্রুপে মেসেজ পাঠাতেন। সপ্তাহের মাঝ মধ্যিখানে রাত সাড়ে ন’টায় ডাকা মিটিঙে এত ভিড় দেখে ভালোই লাগল কিন্তু। কিছু একটা কথা চলছিল, আমি পৌঁছতেই আচমকা স্তব্ধতা আর যারা বসেছিল তাদের চোখে মুখে আহ্লাদের উদ্ভাস দেখেও ভালো লাগল।

    “কী খবর? সব ভালো তো?” এই সব ছেঁদো ভদ্রতাও হল টল। উৎসাহ বশত তখনই একজন বলে ওঠেন - “এবার তা’হলে শুরু হোক?” আর একজন (এখানে বাকিরা সবাই ওই “একজন” হয়ে থাকবেন, তাদের কথা, বার্তা, চিন্তা, বুদ্ধি এত এক রকম। তাছাড়া চেহারা বৈশিষ্ট্য দিয়ে বোঝান সমীচীন নয়। সবার নামও জানি না, হোয়া গ্রুপে ফিসফিস অক্ষরে নাম আসে সেই নাম চিনি, এখানে নামের সঙ্গে মুখ মেলানর উপায় নেই। আর তাছাড়া ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়ান সেপাইদের মুখ, নাম কে কবে জানতে চায়) বললেন -”আর পাঁচ মিনিট দেখা হোক, অনেকেই তো আসবে বলেছিল।” প্রেসিডেন্ট (ইনি আলাদা, এর নাম জানি, আর ডব্লু এ’র প্রেসিডেন্ট) বললেন তা’হলে ওই কথাগুলো একটু জানিয়ে রাখি… সেসব চলতে থাকল।

    এই আচমকা মিটিঙের সূত্রপাত সেইদিন (২০শে সেপ্টেমবর) সকালে, প্রায় দুপুর তখন। বাঙালিদের দুর্গাপুজোর হোয়া গ্রুপে বউ একটা মেসেজ পায়। একজন সেখানে লিখেছে পরের দিন নাকি সোসাইটিতে মাতারাণীর মূর্তি স্থাপনা হবে, যেটা কিনা মন্দির বানানোর প্রথম পদক্ষেপ। আমার বউ তাকে “সে কী? কেন? কে করছে? এটা করা যায় নাকি?” এইসব প্রশ্নে জেরবার করলে সে জানায় “সোসাইটির বাসিন্দারা ও বিল্ডার এই মন্দির বানাচ্ছে।

    বউ আমাকে এই কথা জানালে, আমরা ঠিক করি আর ডব্লু এ’র কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখা যাক, ওরা এটা জানে কী না। আমার পরিচিত এক মেম্বারকে আমি আলাদা করে হোয়াতে জানতে চাই এর সত্যতা ও আর ডব্লু এ র ভূমিকা।

    ভদ্রলোককে পাঠানো মেসেজ নীল টিক হতেই ভাবি উত্তর পাব। কিন্তু তার ফোন আসে। তিনি জানান, কয়েকজন রেসিডেন্ট চাঁদা তুলে এইসব করছে। আর ডব্লু এ জানে। কিন্তু অফিশিয়ালি এ ব্যাপারে চুপ থাকবে বলে কথা দিয়েছে। যাই হোক না কেন মন্দির তৈরি হবে। ধর্মকর্ম হবে। ভালো কাজ। তাই না?

    আমি গুম হয়ে যাই। মনে পড়ে এক বাঙালি মাস কয়েক আগে “ কে কে মন্দির চান সোসাইটিতে? যদি চান, তা’হলে বুড়ো আঙুল তুলুন” এই মর্মে হোয়াতে পাগলা করে মারছিল। অনেকে বুড়ো আঙুল তুলেছিল। আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। পরে সে নিয়ে কিছু আর এগোয়নি দেখে ভেবেছিলাম সে অন্য সাঁকো পেয়েছে।

    তখনই ঠিক করি আর ডব্লু এ’র গ্রুপে জানতে চাইব এ সম্পর্কে ওদের মতামত। আমি লিখি

    প্রিয় অধিবাসীবৃন্দ,
    জানলাম যে একটি স্থায়ী মন্দির খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হতে চলেছে সোসাইটিতে।

    (বোল্ড করে) একজন বাসিন্দা হিসেবে আমি এইখানে এর বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    আমি মনে হয়, মানুষ নিজের ব্যাক্তিগত পরিসরে নিজস্ব ধর্মীয় রীতিনীতি স্বচ্ছন্দ্যে পালন করতে পারে। এর অতিরিক্ত কিছু রীতিনীতি থাকলে তার জন্য আমাদের সোসাইটির কাছাকাছি অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে। এ ছাড়াও এখানেই অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয় ও উৎসাহী মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।

    আমি এও মনে করি আমাদের সোসাইটিতে এখন এর থেকেও জরুরী অনেক বিষয় আছে যা আশু সমাধান ও যথেষ্ট মনোযোগ দাবী করে।

    আর তাছাড়া আমি যদ্দুর জানি এ হেন স্থায়ী ধর্মীয় স্থান এই ধরণের আবাসনে বানানোটা বে-আইনি।

    এর সঙ্গে আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় আর ডব্লু এ’ র প্রেসিডেন্ট ও বাকি সদস্যদের এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে ও যাথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

    শ্রদ্ধাসহ।

    জানা ছিল। সেই অনুযায়ী এর কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়ে আসতে থাকে মন্তব্য গুলি। প্রথম দু’টি আশ্চর্যজনক ভাবে আমাকে সমর্থন করে। তারা জানায়, মন্দিরের চেয়েও সোসাইটির সামগ্রিক উন্নয়ন অনেক বেশি জরুরি। তার পরেই আসতে থাকল সেইগুলো যার অপেক্ষা ছিল। নিচে পর পর দিলাম।

    ১) আমি খুব জোর দিয়ে এই পোস্টের বিরোধীতা করছি। আমি নিজেকে সেকুলার হিসেবে প্রমাণ করতে চাই না।

    ২) মন্দির থাকলে ক্ষতি কীসের? কেন এর বিরোধীতা অপ্রয়োজনীয়ভাবে?

    ৩) এখানকার আবাসিকদের মতামত সবসময় স্বাগত (এটা ঠিক কেন বলতে চেয়েছে পরিষ্কার হয় নি, এই মেসেজ যিনি করেছেন তার কথা পরে আরও আসবে, তখন একে তিন নং বলব)

    ৪) একটা মন্দির কিছুতেই বে-আইনি হ’তে পারে না।

    ৫) দয়া করে আইনটি দেখান, যেখানে মন্দির বানানোকে বেআইনি বলা আছে।

    ৬) আমি মনে করি আমাদের সব সমস্যা বিল্ডার সমাধান করে দিয়েছে। তা ভালো, আমি জানতাম না। তা এখন আমরা নতুন ইস্যু নিয়ে বিতর্ক করতেই পারি। (অল্প সারকাজম কিন্তু ঠিক আছে)

    ৭) আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে মন্দির তৈরি বে-আইনি হ’তে পারে?

    ৮) আমি প্রস্তাব করি মন্দির বানান হোক। তারপর যে এটা বে আইনি মনে করছে সে কেস করুক আমাদের বিপক্ষে। তারা যদি জেতে কোর্ট এটা ভেঙে দিতে বলবে।

    ৯) মন্দির তো একটা শব্দমাত্র। একবার তৈরি করলে এতে বসান মূর্তিগুলি এর অংশ। কিন্তু সেই জায়গাটা সকলের জন্যই পবিত্র হয়ে যায়।
    ৯- ক) (ইনি পরপর দু’টো লিখলেন কি না) আমাদের অনেক ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। সাম্প্রতিক অতীতে। তাই ‘পজিটিভ এনার্জি” র উৎস হিসেবে একটা মন্দির তৈরি হওয়া অবশ্যই উচিৎ।

    অফিসে কাজকর্ম থাকে তাছাড়া সব মন্তব্যের তো জবাব হয়ও না ঠিক। যারা সমর্থন করেছিল তাদের ধন্যবাদ দিলাম। লিস্টের ১) নং কে উত্তরে লিখলাম - আপনি নিজের পছন্দে একটি বে আইনি কাজ সমর্থন করতেই পারেন। পছন্দ আপনারই। ২) নং কে লিখেছিলাম - এটি বে আইনি ও এটি আবাসিকদের সাধারণ সমস্যাগুলি সমাধান করে না। ৪) নং কে বললাম - ভারতীয় আদালত যদিও তাই মনে করেছে।

    এই উত্তরগুলি দেওয়ার পরেও এই রকম মেসেজ আসতেই থাকে হোয়াতে। সেগুলো সবই একই রকম। এর পরে আসরে নামেন সেই বাঙালি ভদ্রলোক যিনি কিনা প্রথম কে কে এখানে মন্দির চান বলে ক্ষেপে গেছিল। সে খুব বড় একটা কিছু লেখে বটে, কিন্তু সে ইংরাজির যতটুকু বোধগম্য হয় তা এইরকম:

    “সবার মতামত সমান মূল্যবান।
    -স্থায়ী মন্দির এখনও বানান হয় নি।
    - নবরাত্রি তে মাতা রাণীর পুজো। যেহেতু হিন্দু তাই এতে বিতর্কের জায়গাই নেই।
    - আমার বন্ধু বলেছেন (আমাকে বন্ধু বলেছে, আমি উলুতপুলুত, তা এর সঙ্গে আলাপ পরিচয় আছে) এখানে মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে পারেন ব্যক্তিগত জায়গায়। আমি তাকে জিজ্ঞেস করছি তিন বছর আগে এখানে দুর্গাপুজো কেন শুরু করেছ তুমি ও তোমার বন্ধুরা মিলে? যদিও আমি তখন ছিলাম না এখানে। (হ্যাঁ, এই অবকাশে বলে রাখি সে এক পাপ করেছিলাম বটে, কিন্তু মাইরি বলছি খেটে খেটে প্রাণ গেছে, পুজোর ক’দিন সোসাইটি ছেড়ে বেরোতে পারিনি, সবার সঙ্গে তিনবেলা ভেজ গিলেছি, একফোঁটা মদ অবধি খাওয়ার সময় পাইনি। তাতেও পাপ ধোয় না)
    - এর আগে আমি মন্দির নিয়ে মতামত চাই যখন হোয়া গ্রুপে।
    - ১৮৬ টি মতামতের মধ্যে মাত্র তিনজন এর বিরুদ্ধে মত দিয়েছিল। তাদের জন্য আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে। - তাই আমরা তাদের থেকেও তাইই আশা করি।
    - আমরা মনে করি আমরা যে এ নিয়ে কোনও বড় বিবাদ না করি।

    এর বেশিটাই বুঝিনি। যতটুকু বুঝেছিলাম তার উত্তরে বলেছি - তুমি যদি আমার মূল মেসেজটা আর একবার পড়তে তা’হলে হয়ত প্রশ্নের উত্তর পেতে।

    এরপর আমার বক্তব্যের সমর্থনে দু একজন আরো আসেন। তারা বাকিদের মন্তব্যের উত্তর (যেগুলো আমি দিই নি) দিয়েছেন। তাদের আমিও একটু ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আর ডব্লু এ র সবাই মুখে কুলুপ। বাড়ি ফেরার পথে আমি আর একবার একটা পোস্ট করি আর ডবলু এ’র মতামত চেয়ে। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রেসিডেন্ট মাঠে নামেন। প্রথমেই তিনি এক জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এক মিটিং প্রস্তাব করেন রাত সাড়ে ন’টায় ক্লাবঘরে। তার কিছু পরেই আর ডবলু এ’ অবস্থান বোঝাতে গিয়ে জানান -

    আর ডব্লু এ’র অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা এই আইনানুগ সংস্থার সদস্য হিসেবে মনে করি যে যদি আইনানুগ পথে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আবাসিকদের ইচ্ছা ও আবেগ কে মাথায় রেখে যদি এটি সম্ভব হয় তাহলে আমরা এটি (মন্দির স্থাপনা) সমর্থন করব। অন্যথা, এ ব্যাপারে আমরা নিরপেক্ষ থাকব, অর্থাৎ সমর্থন করব না, বিরোধীতাও করব না।

    আর ডব্লু এ’র এই “পরিষ্কার” করে বোঝান তে মানুষজন খুবই উৎফুল্ল হ’ল। “এইত, সবকিছু কি সুন্দর স্পষ্ট ব্যাখ্যা! এই না হ’লে আর ডবলু এ - বললে হবে!

    আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম - সময়মতো পৌঁছে যাব।



    মিটিঙে পৌঁছনর পরে কিছু আজেবাজে আলোচনা হ’ল। যাতে বাকিরা আসে। দেখতে পাচ্ছিলাম, লোকজনের তাতে একটু অস্থির অস্থির ভাব। এ যেন সোসাইটি হ’লে জওয়ানি সিরিজের মুভি চালানর আগে ফিল্ম ডিভিশনের তথ্যচিত্র। যা শেষ হচ্ছেই না। কিন্তু লোকজন ঢুকছিল, এদিক ওদিক থেকে যতগুলো চেয়ার পাওয়া গেল জড়ো করে বসছিল, বাকিরা দাঁড়িয়ে। প্রেসিডেন্ট গলা ঝেড়ে নিয়ে শুরু করলেন -”আজকের এই জরুরী মিটিং তা’হলে শুরু করা যাক। যার যা বলার একে একে বলতে থাকুন।” বলে তার বাঁদিকে তাকালেন। আমি তার ডানদিকে বসে। ভাবলাম, ভালোই হল সবার কথা শুনে গুছিয়ে নিতে পারব উত্তরগুলি।

    গুছোব কি আর সাজাবই বা কি! যা যা হ’ল ঠিক তাই তাই পর পর লিখে যাই। লেখার প্রথমে যদিও বলেছিলাম যে নাম ব্যবহার করব না এবং চেহারা দিয়েও মানুষকে বোঝান ঠিক নয়। তাই প্রেসিডেন্ট এর বাঁদিকে বসা লোকটিকে এক নং দিলাম। আর খেয়াল রাখতে হবে মেসেজ অনুসারে যাকে আগে তিন নং বলে চিহ্নিত করেছি তিনি এখানে সাত। আর সেই বাঙালি ভদ্রলোক প্রথম যিনি মন্দির বলে ক্ষেপে উঠেছিলেন তার নম্বর পাঁচ। ব্যস, এইবার সব জলের মতো “পরিষ্কার”।

    দুই- আমি যেটা জানতে চাই, মানে আমার স্ত্রী আমায় এটা জানতে পাঠিয়েছেন যে, মন্দির তো দেখুন অনেক রকমের হয়, এখানে কীসের মন্দির হবে?

    সাত- মন্দিরে তো সব দেবতাই থাকবেন। কি তাইতো? মাতারাণী, শিব, হনুমান, লক্ষ্মী, বললাম না সর্বধর্ম স্থল হবে এইটা

    আট- সর্বধর্ম মানে কি মুসলমানেরাও আসবে নাকি?

    সাত - আমি কি তাই বলেছি? (তারপর একটা দুর্বাসা দৃষ্টি, এরা যে কোত্থেকে আসে - ধরণের)। শুনুন, আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি…(তার কথার মাঝখানে অন্য একজন বলে ওঠেন)

    ছয়- আমি সবাইকে একটা কথা জানাতে চাই। আমি এখানে আসার আগে &*& সেক্টরে থাকতাম সেখানে… ( তার কথা শেষ করতে দেওয়া হয় না)

    সাত- আমি তো বললাম আমি সব বলছি, মাঝখান থেকে কথা বলছেন কেন?

    ছয়- সবাই সে’সব কথা জানে। আলাদা করে শোনার কিছু নেই। আমি যখন &*& সেক্টরে থাকতাম…...

    সাত - আমাকে তা’হলে বলতে দেওয়া হবে না তো?

    দুই- আমি জানতে চাই যে মন্দির যে তৈরি হবে, তার অনুদান কি আমরা ভাগাভাগি করে দেব নাকি যে যত পারে?

    ছয়- আমি তো সেটাই বলতে চাইছি। আমি যখন &*& সেক্টরে থাকতাম…

    সাত- এখানে যখন বলতে দেওয়া হচ্ছে না, তখন মিটিঙে ডাকাই বা কেন?

    @#&&%$+*&#-+++$+*&&@%& (কিছু শোনা যায় না)

    প্রেসিডেন্ট -(সামনের টেবিলে ঘুষি মেরে) আ: এইরকম করলে কী করে হবে! (সাত কে উদ্দেশ্য করে) হ্যাঁ, আপনি বলুন

    সাত - আমি বলতে চাই যে সোসাইটিতে এইরকম রুল থাকে যে কেউ ফ্ল্যাট কিনলে ফ্ল্যাটের দামের একটা পার্সেন্টেজ মন্দির ফান্ডে দিতে হয়। এখানে লোকজনকে তা দিতে হয়নি, যে যার মতো নিজেরা টাকা দিয়েই করছে, কারোর থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে না, তাতেও আপত্তি।

    অনেকে - হ্যাঁ, সে কী। নিশ্চই নিশ্চই, এমন হ’লে আমাদের কী সুন্দর বড় মন্দির হ’ত। মার্বেল বসান। ফোয়ারা থাকত ( যে যার মতো বলছিল)

    ছয়- এবার আমি বলি? আমি যখন &*& সেক্টরে থাকতাম সেখানে মন্দির বানিয়েছিলাম। একটা বড় বোর্ডে সেখানে কে কে দান দিয়েছেন তাদের নাম লেখা হয়েছিল। কিন্তু অ্যামাউন্ট লেখা হয় নি। কেউ পাঁচশো দিলেও নাম, যে পঞ্চাশ হাজার দিয়েছে তারও নাম পাশাপাশি।

    এগার - আমি একটা কথা বলতে চাই। আমি একদিন সকালে বাইরেটা একটু হাঁটতে গিয়েছিলাম। দেখি তিনজন মহিলা খালি পায়ে বেরোচ্ছেন। আমি বললাম কোথায় যাচ্ছেন? ওরা বললেন আমরা প্রতি সোমবার সাই মন্দিরে শিব বাবাকে জল চড়াতে যাই। আমি বললাম খালি পায়ে? ওনারা বললেন কী আর করা যাবে, শিব বাবাকে জল চড়াতে গেলে জুতো পরা যায় নাকি? আমি ভাবলাম, যদি সোসাইটিতে একটা মন্দির থাকে তা’হলে এনাদের খালি পায়ে হাঁটার কষ্ট করতে হয় না।

    নয় - নিশ্চই নিশ্চই। মন্দির থাকলে কত সুবিধা, আমাদের জন্য তো বটেই, আমাদের সোসাইটির বয়স্করা সেখানে যেতে পারবেন। আমাদের পরের প্রজন্ম সেখান থেকে কত কী শিখতে পারবে।

    দশ- (আমার দিকে তাকিয়ে, দাঁত মুখ খিঁচিয়ে) শুনছ? এর পরেও বলবে মন্দির বানানোটা ঠিক নয়? এই যে তোমরাও তো এখানে দুর্গাপুজো করো, বলতে পারবে সোসাইটির কেউ তাতে বাধা দিয়েছে?

    আমি - (মৃদুস্বরে, প্রেসিডেন্ট এর দিকে তাকিয়ে) বলব?

    পাঁচ - (প্রেসিডেন্ট আমার দিয়ে চোখ কুঁচকে তাকিয়ে হ্যাঁ কি না বলার আগেই শুরু হয়ে যান) আমি শুধু একটাই কথা বলতে চাই। আজ থেকে মাস ছয়েক আগে আমি এই গ্রুপে জানতে চাই এখানে একটা মন্দির বানানোতে কার কার মত আছে। তারা বুড়ো আঙুল দেখান। এর মধ্যে একশো ছিয়াশি জন থামস আপ (সত্যি থামস আপ ই বলেছিল) দিয়েছিল। (আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে) ও তো ছিল তখন গ্রুপে ও জানে।

    আমি - (সবার চোখ আমার দিকে) আমি কি হ্যাঁ বলেছিলাম?

    পাঁচ- না। তুমি বিরোধী ছিলে (বাকিরা হতাশ)। তিনজন শুধু বলেছিল মন্দির চাই না। কিন্তু একশো ছিয়াশি জন থামস আপ দিয়েছিল। আমি তখন আরও কয়েকজন মিলে আর ডব্লু এ’র সঙ্গে মিটিং করি। তিনবার মিটিং হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর ডব্লু এ আমাদের বলে নিজেরা টাকা পয়সা তুলে যদি করতে পারো আর তা চালানর খরচ যদি নিজে থেকেই উঠে আসে তাহলে করো। সেই অনুযায়ী আমরা মাতারাণীর মূর্তি এনেছি। কাল প্রতিষ্ঠা হবে।

    বারো - মন্দির অত্যাবশ্যকীয়। একটা সোসাইটি এখানে আছে যেখানে মন্দির নেই? তুমি আইন দেখাচ্ছ? তুমি যে সব ভিডিও দিয়েছ (আমি মাইরি বলছি খবরের লিঙ্ক দিয়েছিলাম) তাতে এক জায়গায় আছে - কে একজন জলের ট্যাঙ্কে মূর্তি বসিয়েছিল তাই কোর্ট বলেছে সেটা জলের ট্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে সোসাইটির বাইরে বা ভেতরে, শোনো ভালো করে ভেতরেও বলেছে - স্থাপন করতে হবে। আর একটা ভিডিও, তাতে একজন বলেছে মন্দিরের মাইকের আওয়াজে তার মেয়ের পড়াশোনায় অসুবিধা হয়, তাই পুলিশ বলেছে মাইক না বাজাতে। তোমরা যে দুর্গাপুজোয় কত রাত অবধি ফাংশান করো, তাতে লোকের অসুবিধা হয় না? কেউ বলেছে দুর্গাপুজো বন্ধ করার কথা?

    আমি- সে তো সোসাইটিতে সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানই পালিত হয়। হোলি, জন্মাষ্টমী গণেশ পুজো দুর্গাপুজো, সেগুলো তো সাময়িক। কিন্তু মন্দির মানে তো তাতে নিত্তনৈমিত্তিক এইসব চলবে।

    বারো- সব বুঝি, কিছু বলিনা, তোমরা তো দুর্গাপুজো একটা কমার্শিয়াল ব্যাপার করে ফেলেছ। লোকের থেকে টাকা নাও।

    আমি- সে তো প্রথমবার চাঁদা তুলেছিলাম। পরের বার তো চাঁদা চাই নি।

    বারো - লোকের বাড়ি বাড়ি তো গিয়েছিলে?

    তেরো (ইনি বাঙালি, দুর্গাপুজো দলের, সেন্সিবল লোক, মন্দির পন্থী, কিন্তু নিশ্চিত জানি আমি মারধর খেলে এই লোকটাই আটকাত বাকিদের) - সে তো নিমন্ত্রণ করতে।

    বারো - নিমন্ত্রণ? যাও তো একগাদা হ্যাণ্ডবিল দিতে (যাতে অফার টফার থাকে এমন কুপন, গতবারে মাংসর দোকানের কুপন অবধি ছিল) যত্তসব কমার্শিয়াল ব্যাপার।

    এগার - এই যে আমরা জন্মাষ্টমী করেছিলাম - একটা কোনও কমার্শিয়াল স্টল ছিল?

    সাত - (আচমকা উঠে পড়ে বাইরে যেতে উদ্যত, সবার দিয়ে হাত তুলে ওয়েভ করতে করতে) আচ্ছা আমি চললাম। দেরি হয়ে যাচ্ছে, কাল থেকে তো নবরাত্রি, যা করার আজই করতে হবে (এই বলে কোমরে হাত দিয়ে সামান্য পেলভিক শ্রাগ)।

    প্রেসিডেন্ট এবার আমার দিকে তাকালেন

    আমি- সবাইকে নমস্কার জানাই। আমি বলতে চেয়েছি মন্দির এইভাবে বানানো যায় না। একটা জমি যখন পূরসভা থেকে ছাড়পত্র পায় তাতে পরিষ্কার লেখা থাকে এর উদ্দেশ্য কি, কোথায় কি থাকবে না থাকবে। আমি যদ্দুর জানি এই জায়গার যে প্ল্যান আমি দেখেছিলাম তাতে মন্দিরের কোনও উল্লেখ ছিল না। বরং একটা বাচ্চাদের স্কুল ছিল। আমি তাই এ বিষয়ে আর ডব্লু এ অবগত আছে কি না জানতে চাই।

    দ্বিতীয়ত, আমি বলতে চাই, আমাদের সোসাইটিতে সমস্যার অন্ত নেই। আমাদের বড় রাস্তার সঙ্গে সোজাসুজি যোগাযোগ এখনও হয় নি। সোসাইটির রক্ষণাবেক্ষণ এখনও তেমন ঠিকঠাক নয়। এই অবস্থায় আর ডব্লু এ কি এমন একটা ব্যাপারে জড়াতে চাইবে যাতে পরবর্তী কালে অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে?

    তৃতীয়ত,....

    পনেরো- তুমি কি সব লিখে এনেছ?

    আমি- না, আমার মনে আছে সবই। যা বলছিলাম, আমার মনে হয়ছে যারা বিশ্বাস করেন তাঁরা তো বলেন ভগবান সর্বত্র আছেন। এখানে সোসাইটিতে আমরা যে যার বাড়িতে ইচ্ছে মতো পুজো টুজো করতেই পারি। তাছাড়া এখানে সব ধরণের ধর্মীয় অনুষ্ঠানই পালিত হয়। যাতে যে যার ইচ্ছেমত অংশ নেন। আর আশেপাশে মন্দিরও নেহাৎ কম নেই। বরং, আমি দেখেছি বাচ্চাদের স্কুল ভ্যানে কীভাবে তাদের ঠেসে ঢুকিয়ে বিপজ্জনকভাবে ভ্যান যাতায়াত করে। এখানে একটা নার্সারি স্কুল হলে বাচ্চারা নিরাপদ হতে পারে। একটা লাইব্রেরি নেই এ তল্লাটে। একটা লাইব্রেরি থাকলে লোকের অনেক সুবিধা হয়।

    পনেরো - আরও বলবে?

    আমি- এই শেষ পয়েন্ট, আমি জানি আমাদের সব ক’টা টাওয়ারের ওসি (অক্যুপেন্সি সার্টিফিকেট) নেই। তার ওপরে বে আইনি নির্মাণ হচ্ছে জেনে পূরসভা যদি বাকিগুলোর ছাড়পত্র বাতিল করে আর ডব্লু এ’র কাছে সেটা কেমন লাগবে? এটা একটু বেশি ঝুঁকি হয়ে যাবে না?

    প্রেসিডেন্ট - (এতক্ষণ কিছু না বলতে পেরে গণগণে, বাকি কার কি বলতে উদ্যত হচ্ছিল, তাদের থামিয়ে দিয়ে বলে উঠল) শোনো, তোমার প্রত্যেক প্রশ্নের এক এক করে উত্তর দিচ্ছি। এই জমি আমার, আমি এই জমিতে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি।

    আমি- (চোখে চোখ রেখে)- এটা আপনার জমি?

    প্রেসিডেন্ট - আমার, হ্যাঁ, মানে আমাদের সবাইকার। সবাই, মানে মেজোরিটি যা বলবে এখানে তাই হবে। আইন টাইন সব জানি। কোথায় কী হয় কীভাবে সব জানা আমার। তোমাকে ওসব ভাবতে হবে না। আর তোমার স্কুল, লাইব্রেরি? তুমি উদ্যোগ নিয়ে এস আমার কাছে আমি হ্যাঁ বলে দেব। তোমার স্কুল লাইব্রেরি তুমি যা ইচ্ছে তাই বানাও। আজ বাদে কাল এখান থেকে বিল্ডার চলে যাবে আমাদের হাতে সব ছেড়ে দিয়ে। তখন আমি প্রেসিডেন্ট থাকি বা না থাকি আমি বলছি এখানে মেজোরিটি যা চাইবে তাই হবে।

    সতেরো - খুব আইন আইন করছ যে, চিৎকার করে শুনুন আচ্ছা এখানে যারা যারা আছে তাদের মধ্যে এমন কেউ আছে যে কখনও রেড লাইট জাম্প করেনি? তারা হাত তুলুন।
    (আমি একা হাত তুললাম)
    সাতেরো - (আমার দিকে তাকিয়ে) তুমি রেড লাইট বাঙ্ক করোনি? প্রমাণ কি?

    আমি - যদি জানতাম তুমি চাইবে তা’হলে প্রমাণ রাখতাম।

    সতেরো - এখানে কেউ আছে যে কখনো কাউকে ঘুষ দেয়নি?
    (এবার হাত তুলিনি, পাপ আছে)

    সাতের- এখানে এমন কেউ আছে যে কখনও “গলত কাম” (এর ঠিক বাংলা জানি না, বোধ হয় অপরাধমূলক কাজ হবে) করে নি?
    আমি- হাত তুললাম

    সাতের - কিন্তু মেজোরটি চাইলে তো মন্দির বানাতেই হবে। আইনের জন্য মানুষ না মানুষের জন্য আইন?

    আমি- অষ্টাদশ শতাব্দিতে মেজোরিটি চাইত বলে বিধবা কে মৃত স্বামীর চিতায় জ্যান্ত জ্বালান হত। মেজোরিটির বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ণ হয় বলেই বিধবারা এখন বেঁচেবর্তে থাকেন।

    প্রেসিডেন্ট - (চোখ মুখ কুঁচকে) তোমরা বাঙালিরা, কিছু মনে কোরো না, কিছুই জানো না। আমি তোমাদের দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিই। তোমরা আমাকে একবার ডাকোও না। তোমাদের ব্যানার লেগেছে দুর্গাপুজোর, আর ডব্লু এ’র নাম আছে ওতে? এই যে তোমার সঙ্গে আমি আগের বার দুর্গাপুজোয় কথা বলেছি। বলিনি? যা যা করতে চেয়েছ সব করতে দিয়েছি- দিই নি?

    আমি - আমি কি সে কথা অস্বীকার করেছি? আমি তো জানি আমি আজ মন্দির নিয়ে কথা বলতে এসেছি।

    চারপাশ থেকে সোরগোল - একবার প্রেসিডেন্ট কে স্টেজে ডাকে নি। কী দু:সাহস। দুর্গাপুজোর ব্যানারে আর ডব্লু এ’র নাম নেই? এরা তো পুরো কমার্শিয়াল করে দিয়েছে। কত বাইরের লোক আসে সোসাইটিতে। কখন কি ঘটে যায়। তাও প্রেসিডেন্ট কে ডাকবে না স্টেজে

    তেরো - হ্যাঁ, ব্যানারে নাম থাকা উচিৎ ছিল। ঠিক আছে ওটা আমি দেখে নিচ্ছি।

    বাকিরা - তা বলে ব্যানারে আর ডব্লু এ’র নাম দেবে না?

    পাঁচ - আমি বলছি প্রেসিডেন্ট, আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আর ডব্লু এ’র নাম তুলে দেব ব্যানারে।

    প্রেসিডেন্ট - হ্যাঁ। এটা ঠিক করো না তোমরা। আমি এই বলে দিচ্ছি, পরের বার এস দুর্গাপুজো করার অনুমতি নিতে, কিচ্ছু করতে দেব না।

    তেরো - প্রেসিডেন্ট, আমরা ব্যাপারটা দেখছি, আর আমাকে দেখিয়ে - ও কিন্তু এখানে এসেছে ওর নিজের পক্ষ থেকে মন্দির নয়ে কথা বলতে।

    আমি - আমি তো সেটাই….

    চারপাশ থেকে - মন্দির হবেই। আইন কি করবে? মন্দির একবার হয়ে গেলে মন্দির ভাঙবে? দেখা আছে? মন্দির হয় না নাকি কোথাও? কে বলেছে মন্দির বানানো নিষিদ্ধ? প্রায় সবাই দাঁড়িয়ে পড়েছে এইবার।

    দূর থেকে দেখি দশ নং আমার দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ পাকিয়ে হাত নেড়ে কীসব বলতে চেষ্টা করছে, কিন্তু মাঝখানের ওই চিৎকারে আমিও তাকে ইশারায় কানে হাত দিয়ে বললাম কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। প্রেসিডেন্ট এর কাছে গিয়ে বললাম। আমি আপনাদের ভাল চাই। দেখেছি আপনারা সোসাইটির জন্য অনেক কাজ করেন। আমি চাই না একটা মন্দির বানানো নিয়ে এতে নতুন সমস্যার জন্ম হয়।

    প্রেসিডেন্ট - আমি তোমাকে তো বললাম, এখানে আমি সবাইকে চিনি জানি। তোমার চিন্তা করার কিছু নেই সব সামলে নেব।

    সবাইকার দিকে উদ্দেশ্য করে- আচ্ছা তা’হলে এবার যাওয়া যাক।

    আমিও বাড়ির পথ ধরলাম। খালি হাতে। অনেক কিছুর জবাব অনেক রকম ভাবে দেওয়া যেত। তাতে মারধর হ’ত। একটা এফ আই আর। সেসব অ্যাফোর্ড করা যাবে না আমার।

    খালি হাতে। একা একা ফিরে আসতে হয়। যাতে অন্তত এই লেখাটা শেষ করা যায়। রাস্তা অনেক বাকি। অনেকটা যেতে হবে।

    ডিসক্লেমার - ১) আমাকে ভীরু, কাপুরুষ যা খুশি মনে করতে পারেন। ২) সব চরিত্র কাল্পনিক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৯৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ফরিদা | 11.38.4.12 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৬59398
  • ##
  • Du | 57.184.5.254 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৫59399
  • আরে এই তো হত। তাও বলে এসেছ এইটাই আসল কথা।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:১৬59400
  • দারুন লেখা। সব চরিত্র কাল্পনিক একেবারেই না,। সব আমাদের নিজেদের আশে পাশের লোক, যে দেশেই থাকি না কেন।
  • hu | 83.58.28.165 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৫৯59401
  • সোসাইটিতে হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বী কেউ নেই? মন্দির বানালে মসজিদ, চার্চ, গুরুদ্বারা ইত্যাদিও বানাতে দিতে হবে এই মর্মে কিছু বলা যায় না?
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:০৯59403
  • এগারো নম্বর যিনি বললেন না "তিন জন মহিলা খালি পায়ে দূরের মন্দিরে জল চড়াতে যাচ্ছেন, ভেতরে মন্দির হলে ওনাদের বেশি দূরে যেতে হবে না", ওনার কথার খেই টেনে বলে দিলে হতো যে তাহলে একটা স্মশান ঘাট ও করে দিলে হয়, সোসাইটি তে কেও মরলে আর পোড়াতে বেশি দূরে যেতে হবে না। পুরো স্বয়ংসম্পূর্ণ সোসাইটি। তবে সেটা হলে আপনার মার্ খাওয়া নিশ্চিন্ত ছিল। এর পরেও দেখবেন দুর্গাপূজার খেই টেনে আপনাদের লেগ পুলিং চলতেই থাকবে।

    প্রতিবাদ যে করেছেন, এটার জন্যই আপনার অনেক সাধুবাদ প্রাপ্য, আমি নিজে হলে হয়তো সেটাও করতে পারতুম না।
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২৬59404
  • আরে স্লোগান দিন, "মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে"। গ্রুপ গড়ে আন্দোলন এর নেতৃত্ব দিন। বলুন "মন্দির ওহি ", অমনি শতকন্ঠে অনুগামীরা, "ব্বানায়েঙ্গে- এ এ"
    সামনে এই করুন আর অন্যদিক দিয়ে ঐ ব্যাটাদের মধ্যে লাগানিভাঙানি এজেন্ট ছেড়ে দিন। ভেতর থেকে ফাঁসিয়ে দিন।
    ঃ-)
  • সিকি | 116.202.155.183 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৭59405
  • এখানে লেখার দুদিন আগে আমি ফরিদার থেকে ঘটনাটা পুরো শুনেছি। এ তল্লাটের দীর্ঘকালীন বাসিন্দা হিসেবে এটুকু বলতে পারি, ফরিদা যা লিখেছে তা একশো পার্সেন্ট সত্যি। এতটুকু বাড়ানো নয়।

    প্রায় একই জিনিস আমাদে সোসাইটিতেও আমি ফেস করেছি। সাত আট বছর আগে। আমি একা বিরুদ্ধে ছিলাম।

    কিছু করতে পারি নি। পারা সম্ভবও নয়। তাই সংখ্যালঘু হিসেবেই বাঁচি। চুপচাপ। একা একা।
  • Du | 57.184.5.254 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫০59406
  • শ্মশানটা একঘর ঃ))
  • পুরো | 188.162.193.233 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩০59407
  • ঘটনাটা পড়লাম। আমি নিজেও আবাসনে থাকি, তাই জানি এরকম ঘটনা অনেক আবাসনে হয়। তবে লেখকের সব যুক্তিগুলো ঠিক মনে হলো না, তাই কিছু লিখব ভাবলাম।

    মেজরিটি চাইলে মন্দির হবে, এটা কিন্তু একেবারে ভুল যুক্তি না। ধরুন আবাসনে যারা থাকেন তাদের মেজরিটি চান স্কুল হবে, এবং দুয়েকজন উঠেপড়ে লাগলেন স্কুল বানাতে, তাহলে স্কুলই হবে। আবার রেসিডেন্টদের মেজরিটি যদি মনে করেন ধর্ম-কর্ম নিজের নিজের বাড়িতে হলেই ভালো, মন্দির বানানোর দরকার নেই, তাহলে মন্দির হবে না। কিন্তু মেজরিটি যদি মনে করেন মন্দির বানাবেন, আর উঠে পড়ে লাগলেন মন্দির বানানোর জন্য, তাহলে সেটই বা হবে না কেন? মেজরিটি যদি মনে করেন মসজিব বা চার্চ বানানো হবে তাহলে দেখবেন সেটাই হবে। আর কোন আবাসনের মেজরিটি ধরুন নাস্তিক, সেখানে কোনরকম পুজোটুজোয় উৎসাহী কেউ নেই। এরকম আবাসনে হয়তো অল্প কয়েকজন আছেন যারা চান মন্দির বা মসজিদ বানানো হোক, কিন্তু তেমন কিছু হবেনা কারন মেজরিটি ওপিনিয়ন বিরুদ্ধে। সেরকমই মেজরিটি ওপিনিয়ন যদি মন্দির বানানোর পক্ষে হয় তাহলে মন্দির বানাতে অসুবিধা কি। আর আবাসনের মধ্যে মন্দির বানানো বেআইনি, লেখকের এই যুক্তি ঠিক হলেও আমার মনে হয় কোর্ট শুধু এই যুক্তিতে সচরাচর মন্দির বা মসজিদ ভেঙ্গে দিতে বলবে না। দিনরাত মাইক বাজালে বা এরকম কারনে কোন আবাসিকের অসুবিধা হলে হয়তো মন্দিরটা সরিয়ে অন্য জায়গায় বানাতে বলতে পারে। কিন্তু সরাসরি ভেঙ্গে দিতে বলবে কি? কারন আমাদের দেশে প্রত্যেকের ধর্মাচরন করার স্বাধীনতা আছে আর মন্দির টন্দির মসজিদ টসজিদ বানানোর মধ্যে কোর্ট সাধারনত হস্তক্ষেপ করেনা। একটা আবাসনের মেজরিটি যদি মন্দির বা মসজিদ বানাতে চায় তাহলে সেটা ঠিক আইন দিয়ে আটকানো যায়না। আর আমাদের দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আফটার অল হিন্দুরা মেজরিটি এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি।

    এছাড়া লেখক বারবার বলেছেন যে সোসাইটির আরও কাজ আছে, সেগুলো ফেলে রেখে কেন মন্দির বানানোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এখন সোসাইটি বলতে পারে অন্য কাজ করার আছে বলেই যে মন্দির বানানো যাবেনা তা তো নয়। মন্দিরও বানানো হোক, অন্য কাজও হোক। আপত্তির কি আছে? কারুর যদি মনে হয় অন্য কাজ একেবারেই হচ্ছে না তাহলে তিনি নিজেও তো উদ্যোগ নিয়ে প্রেসিডেন্টকে বলতে পারেন, যেমন কোন একজন উদ্যোগ নিয়ে মন্দির বানানোর কাজটা শুরু করেছেন।
  • ফরিদা | 132.161.186.192 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৪59408
  • হ্যাঁ। এইত। গোড়া থেকে আবার "ক এ কমললোচন শ্রীহরি / খ এ খগ..."।

    প্রথম কথা "মেজোরিটি" - "মেজোরিটি" চাইছে বলেই তো ব্যাপারটা বৈধ হয় না। গণধোলাই যেখানে হয় সেখানে "মেজোরিটি" চায় মানুষ খুন করতে। সতীদাহ- র উদাহরণ দেওয়া আছে আগেই।

    সমস্যাসঙুল সোসাইটিতে এমনিতে দরকারি কাজেকর্মে দরবার করার জন্য লোক পাওয়া যায় না, সেখানে মন্দির সংক্রান্ত সমস্যাগুলো খাল কেটে ডাকা কতটা দরকার সেই প্রশ্ন তুলেছিলাম।

    এটা হয়। জানি। চোখ বন্ধ রাখলে প্রলয় অবধি থামে :)
  • মেজোরিটি | 152.4.206.228 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:১৮59409
  • চাইছে বলেই তো ব্যাপারটা বৈধ হয় না - ঠিক বলেছেন। কিন্তু মেজরিটি চাইলে কোন একটা ব্যাপার হতেও পারে। আসলে এটা কনটেক্সটের ব্যাপার। গণধোলাই বা কাউমব, এগুলো মজোরিটি চাইলেও হতে দেওয়া যায়্না কারন ক্লিয়ারলি এগুলো বেআইনি। কোর্ট-পুলিশ-প্রসাশন মিলে এগুলোকে বন্ধ করা দরকার। কিন্তু মন্দির বানানোটা এই অর্থে বেআইনি না। একটা আবাসনের অনেকে মিলে যদি মন্দির বানানোর উদ্যোগ নেয় তাহলে সেটাকে গণধোলাইয়ের সাথে তুলনা করা যায় না। কোর্টও সেই তুলনা করবে না। কারন মন্দির বা মসজিদ বানানোর উদ্যোগকে ঠিক এককথায় বেআইনি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়্না। আর সমস্যাসঙুল সোসাইটিতে এমনিতে দরকারি কাজেকর্মে দরবার করার জন্য লোক পাওয়া যায় না, এটা নেহাতই দুঃখজনক পরিস্থিতি। আপনার আবাসনে একজন লোক মনে হয় বেশ কিছুদিন ধরে উদ্যোগ নিয়ে মন্দির তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন আর অন্যরা তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। সেরকমই সোসাইটির অন্যান্য সমস্যা সমাধান করার জন্যও একজন দুজন লোককে এগিয়ে আসতে হয় আর লেগে থাকতে হয়। অনেক আবাসনেই দেখেছি এরকম একজন দুজন মিলে লেগে থেকে কোন একটা সমস্যা সমাধান করেছেন। আবার কেউ কেউ মন্দিরও বানিয়েছেন। একটা আবাসনে মন্দির থাকা কিন্তু খুব অভিনব কিছু না।
  • ফরিদা | 132.161.186.192 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৬59410
  • একটা বিল্ডিং প্ল্যান অ্যাপ্রুভালের সময় লে আউটে দেখান হয় এই জায়গার কোথায় কী থাকবে কী নির্মাণ হবে।

    সেইমত নির্মাণ হলে ফের পুরসভা সেটাকে দেখে তবে অক্যুপেন্সি সার্টিফিকেট দেয়।

    এটা নিয়ম, আইন, যাই বলুন না কেন। মন্দির বানানোটা ও সেই অর্থে বে আইনি র তালিকায় পড়ে যদি অ্যাপ্রুভাল প্ল্যানে না দেখানো হয়ে থাকে। আমার কাছে লিঙ্ক আছে। তাও বলব নিজে খুঁজে নিন।

    "মন্দির- বে আইনি" এই শব্দবন্ধ তে দেখেছি অনেকের তালু শুকিয়ে যায়, মাথায় খুন চাপে, গালাগাল পায়, কুযুক্তি দিয়ে একের পর এক রেটোরিকে আশ্রয় নিতে হয়। এটা এক ধরণের সামাজিক নির্মাণ।

    আমার তাই খুব ন্যায্য লাগছে আপনার কথাগুলি :)
  • আবারও | 188.162.193.233 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:০১59411
  • বলি, আবাসনে মন্দির বা মসজিদ বানানো বেআইনি এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু গণধোলাই আর সতীদাহ যে সেন্সে বেআইনি মন্দির বানানোটা ঠিক সেই সেন্সে বেআইনি না। কোর্টও এরকম মনে করে না। একটা আবাসনে যদি দুশো ঘর লোক বাস করছেন আর তার মধ্যে দেরশো ঘর মনে করে যে মন্দির বা মসজিদ বানাবে তাহলে পুরসভার প্ল্যান স্যাংশানটা টেকনিকালিটির থেকে বেশী কিছু না। এটা সেই অর্থে সতীদাহর সঙ্গে তুলনী অপরাধ না।

    তবে ঘাবড়াবেন না, ""মন্দির- বে আইনি" এই শব্দবন্ধ তে দেখেছি অনেকের তালু শুকিয়ে যায়, মাথায় খুন চাপে, গালাগাল পায়, কুযুক্তি দিয়ে একের পর এক রেটোরিকে আশ্রয় নিতে হয়" - এগুলো আমার ক্ষেত্রে অন্তত হয় না। আমি পাঁড় নাস্তিক, ছোটবেলার পর থেকে শেষ কবে যে কোন মন্দিরে ঢুকেছিলাম মনে নেই, যদিও দুয়েকটা রাজ্যের মসজিদের স্থাপত্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমি যে আবাসনে থাকি সেখানেও মন্দির বানানো হয়েছে। হোয়াটসাপে না হলেও কয়েকজনের সাথে দেখা করে আপত্তি জানিয়েছিলাম। সেই মন্দিরের ধার দিয়েও কখনো যাইনি, ভাগ্য ভালো মন্দিরটা একটু পেছন দিকে বানানো হয়েছে। একবার হোয়াতে বিফ ফেস্টিভাল করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই মিলে হৈহৈ করায় সে আর পারিনি। যদিও আমার ব্লকের কয়েকজন মিলে মাঝে মাঝে মটন আর বিফ সাঁটাই। আমার আবাসনে যদি মন্দিরের বদলে একটা ল্যাব তৈরি হতো তো খুব খুশী হতাম। কিন্তু মেজরিটি চেয়েছে মন্দির বানাতে। আমার মনে হয়েছে মেজরিটি মন্দির বানাতে চেয়ে সে নিয়ে উদ্যোগী হলে একজন দুজন তাতে আপত্তি জানাতে পারে। কিন্তু সেই আপত্তি মেনে নিয়ে মেজরিটি তাদের মনের মতো মন্দির বানানোই বন্ধ করে দেবে এরকম চাওয়াটা বাড়াবাড়ি।

    আমি যখন আপত্তি জানিয়েছিলাম তখন অন্যরা এও বলতে পারেনি যে তুমি কেন দুর্গাপুজোর সেক্রেটারি হয়েছিল। কারন আমার বন্ধুমহলে সবাই জানে যে দুর্গাপুজো আমার কাছে আতংকের সময়। দুর্গাপুজোর সময়ে আমি বিশেষ করে আমার বাংআলি বন্ধুদের থেকে পালিয়ে বাঁচি, নাহলে এই অনন্ত মহালয়া সপ্তমী অশ্টমির হ্যাজে জড়াতে হয়। কিন্তু আমি এসবের মধ্যে থাকতে চাইনা বলে মেজরিটি বাংআলি আমার মত মেনে আবাসনে দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেবে, এরকম আমি আশা করিনা।
  • ফরিদা | 116.212.179.54 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:২১59412
  • গণধোলাই আর মন্দির তৈরি এক নয়। মানি। এক একটা মন্দিরের জন্য ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনেক বেশি মানুষ মারা যান। গেছেন। যাবেন। গণধোলাইয়ের ঘটনাপিছু মৃত্যুর হার এক এর একটু বেশি।

    কিন্তু তুলনাটা দিয়েছিলাম "মেজোরিটি" সিদ্ধান্ত ও তার আইনি বৈধতা দু'টো যে এক নয় -সেটা বোঝাতে। হয়ত পারিনি। এই ভাবে দেখলে "সতীদাহ" র ব্যাখ্যাটিও পাবেন।

    দুর্গাপুজো বন্ধ করুন - এই দাবি আমার ছিল না। গতবার অবধি দুর্গাপুজোয় জড়িত ছিলাম। এইবার শুরু থেকেই সরিয়ে নিয়েছি নিজেকে।

    এখন, মন্দির বানানোতে আমার আপত্তি ও তার কারণসমূহ যা আমি মনে করি তাই জানিয়েছি। যে দেশে ফ্রিজে রাখা মাংস গরুর কি মা সেই সন্দেহে লোক মারা হয়, সেই দেশে এখনো যে এরা আমায় পরিবার সমেত রাস্তায় বের করে দেয়নি। সেটাই আমার কাছে অনেক। জানি মেজোরিটি যা চায় তাই হয় এ দেশে। তবু নিজের থেকে যা ঠিক নয় বলে মনে করি তাকে নিজের বিচারবুদ্ধি রুচি ক্ষমতা, অধিকার অনুযায়ী যতটুকু করা সম্ভব বলে মমনে করি ততটুকুই করেছি।

    এর বেশি কিছু নয়। এর কম কিছু নয়।
  • শেখর | 52.110.165.54 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:১৩59413
  • আমরা যারা কেবলমাত্র পিঠ চুলকানোর সময় মেরুদন্ডের অস্তিত্ব টের পাই, সেখানে মেজরিটি মন্দিরপ্রেমিদের সামনে ফরিদার প্রতিবাদকে(অবশ্যই ন্যায়সংগত, কেননা অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যানে মন্দিরের কোন স্হান ছিল না) কুর্ণিশ না জানিয়ে পারছি না | মেজরিটি চাইছে বলে বেআইনি নির্মাণ ন্যায্য হয়ে যাবে এ কেমনতরো কথা?
  • সিকি | 192.69.203.15 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৩০59414
  • ডিসি বড় হলে শয়তানের উকিল হবেন। হবেনই।
  • আপনি | 188.162.193.233 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৩৯59415
  • আপত্তি জানিয়ে সঠিক কাজ করেছেন। যখন এক জায়গায় একশো লোক জড়ো হয় তখন তাদের প্রত্যেকের নিজের নিজের মত থাকে। একটা ইস্যুতে হয়তো অনেকে একমত হলেন, কিন্তু কয়েকজন বা একজন ভিন্নমত হলেন। তখন অবশ্যই আপত্তি জানানো উচিত। আর মেজরিটির উচিত সেই একজন বা কয়েকজনের আপত্তি গুরুত্ত্ব সহকারে নথিভুক্ত করে নিজেদের মতো এগনো। সাধারনত এটাই হয়।

    "এক একটা মন্দিরের জন্য ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনেক বেশি মানুষ মারা যান। গেছেন। যাবেন। গণধোলাইয়ের ঘটনাপিছু মৃত্যুর হার এক এর একটু বেশি।" এটাও ঠিক বলেছেন। সেজন্য সর্বত্র মন্দির মসজিদ চার্চ বাহাই উপাসনালয় সব কিছ বানানোর আগে আপত্তি করা উচিত। আবার কেউ যদি বলে যে অ্যাটম বোম ফাটিএ কতো লোককে আমেরিকা মেরে ফেলেছিল তাই ফিজিক্স পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত তাহলেও আমি সেই আপত্তি অ্যাকনলেজ করবো কিন্তু মেজরিটি ওপিনিয়ন সেটা মেনে নেবে না।

    আমার ক্ষেত্রেও মন্দির বানাতে আপত্তি করেছিলাম, এবং দুয়েকজন মেম্বারকে আপত্তির কথা জানিয়েছিলাম। অবশ্য আমি তো দুর্গাপুজোতেও আপত্তি করি। দুর্গাপুজোর সময়ে একজন পুরুত ঠাকুর মন্ত্র পড়তে থাকেন, এটা আমার ভয়ানক কুরুচিকর আর অবমাননাকর মনে হয়। দুঃখের বিষয় আমার আপত্তি দিয়ে একটা দুর্গা পুজোও আটকাতে পারিনি। উল্টে রাস্তাঘাট বন্ধ করে প্যান্ডেল বানিয়ে ব্যাংএর ছাতার মতো দুর্গাপুজোর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। যাই হোক, আপত্তি জানিয়ে রাখা দরকার।
  • ডিসি | 188.162.193.233 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪০59416
  • বড়ো হয়েই গেছে।
  • kihobejene | 83.189.88.246 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৮59417
  • forida ekta bapar clear korben? apnar main apotti ta joriye aache je iniital plan -e temple -er layout nei - so it is illegal -- seta dhorun mene nilam -- now what happens if your society changes the plan legally and includes a temple in it? tahole ki mene neben? ami astik na nastik na goru na chagol se bitorke jaachi na -- amar jana r icche aache legally ki hote pare na hote pare
  • যাগ্গে, | 132.164.103.253 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০২59418
  • ডিসি এবারও দুর্গাপুজোর ঠিক আগে পালাচ্ছে। আর আশা করছে ঘুরতে গিয়ে কোন বাঙালির সামনে গিয়ে পড়তে হবে না আর হেহে দুর্গাপুজো কি আনন্দের সময় বলে দাঁত কেলাতে হবেনা। কাল বেরোব, আজকে ছুটি। যাওয়ার আগে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম ঃ-)
  • ফরিদা | 11.38.4.12 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:০৮59419
  • কিহবেজেনে,
    সেক্ষেত্রে আপত্তিপত্র থেকে বে আইনি শব্দটা উঠে যাবে। বাকি পয়েন্টগুলো ১) মন্দির সমস্যার আখড়া,২) এতে অন্য মুখ্য কাজকর্ম থেকে ফোকাস সরে যাবে। এইগুলো থাকবে।
  • Swati | 69.97.222.237 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:৪৯59420
  • মেজরিটি চাইলে মন্দির হবে। মেজরিটি চাইলে
    ডাইনি পোড়ান হবে। মেজরিটি চাইলে অকারণে আপনাকে গণপিটুনি দেবে। মেজরিটি চাইলে যখন খুশি আপনার বাড়িতে ঢুকে পরে যা খুশি করা যেতে পারে। মেজরিটি ।।।।।। যারা দলে থাকে না বা দল বানাতে চায় না, তাদের সব চেয়ে বড় শত্রু!
  • ফরিদা | 11.38.4.8 (*) | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:২৬59402
  • হুচি, হ্যাঁ, ওই অংশটা মিস হয়ে গেছে। সর্বধর্ম স্থল নিয়ে কথা হওয়ার সময়ে মুসলমানেরা সেখানে যাবেন কি না, সেটা একজন তোলায় সে ওই বিষদৃষ্টি পেল যেখানে লিখেছি, তার পরেই পাশ থেকে একজন বলেছিল বটে - "হ্যাঁ, চার্চ মসজিদ সব হবে, যদি "মেজোরিটি" চায়!"

    অমিত, "কাল্পনিক" কথাটা ছাড়া বাকি সবকিছু মাথার ভেতর সিনেমার মতো একটা অনন্ত লুপে চলতেই থাকছিল। প্রতিটি উচ্চারণ, ভঙ্গী, টোন। এত ভাবে প্রভোক করা হচ্ছিল, অপেক্ষায় ছিল, যে কোনও একটা বিচ্যুতি দেখলেই খ্যাপা কুকুরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে।

    দু দি,
    হ্যাঁ, বলে আসতে পেরেছি বলে সত্যি ভালো লাগছিল। মিটিঙের পরে কিছু ঘটনা হয়েছে - সেগুলো জুড়ে দেব মূল লেখায়।
  • Pagla Dashu | 34.146.221.129 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৮59421
  • হোআ তে থাম্বস আপ আর এই মিটিং এর মাঝে তিন তে rwa মিটিং হলো (পাঁচ এর সংলাপ ) - আপনি জানলেন না? যেহেতু আপনার আপত্তি ছিল তাই আপনি বাদ? প্রেসিডেন্ট এর "তোমরা বাঙালি রা " মন্তব্যর বিচার বিমর্ষ করা দরকার কেবল এ মত নাকি প্রচ্ছন্ন অপমান? আর ও কিছু পয়েন্ট আছে। পুরো সামারি তাই সাম এর, তাই আরও ২টি বাড়ানো র দরকার কি?
    ভেদ ও আছে ছোট করে - দূর্গা পুজো, ঘুষ কে খাই নি ইত্যাদি।
    দণ্ড আর দাম কে খুঁজে পেলাম না। আর এদ্দিন এ মূর্তি বসে গাছে নির্ঘাত।
    আমি যে শুধু গুরু পড়ি কিন্তু লিখই না (এই ইংরিজি অক্ষর এ বানান ঠিক করে লেখা কঠিন কাজ, এই বয়স এ) কিন্তু এই বক্তব্যে কেন না লিখে পারলাম না সেই কুতূহল এর নিষ্পত্তি না করলেই নয়। একটা স্থায়ী কাঠামো তে এক মূর্তি ঠিক না। দূর্গা পুজো পাঁচ দিন এর, ইফতার, ঘেটু সব ই টেম্পোরারি। মন্দির মসজিদ চার্চ স্থায়ী। সেই টের নিজের জমি নিজের গেট দরকার, নিজের মানুষ এর তাগিদ এ। সোসাইটি বানানো মানে পাঁচ জন এর সাথে মিশে চলা। মেজরিটি বলছে যথেষ্ট নয় - একজন ও যদি আপত্তি করে আর হে আপত্তি র যদি ভিত্তি থাকে তাকে মানতে হবে।
    লেখক যদি তার বাসার দশ গুন্ দাম পান, বাড়ি বেঁচে অন্য কোনো সোসাইটি বা নিজের একটুকরো ছাদ বানিয়ে নিতে আগ্রহী? সোসাইটি যদি সেই দাম দিতে রাজি থাকে, খুব ভালো। আর তা না হলে হয় এই প্রকল্প বন্ধ হোক নয়তো স্তায় অর্ডার পিটিশন ফাইল হোক - দন্ড। ভেদ দুর্বল এর কাজ। আমরা বাঙালি রা ও করে থাকি কিন্তু লাভ কিছু হয় না তর্কে সময় নষ্ট।
    আপনি যে আপত্তি করেছেন - খোঁজ খবর নিয়ে যুক্তি সাজিয়েছেন - এই খানে লিখেছেন - আর আমাকে ও কষ্ট diye দু অক্ষর লেখালেন - দাঁড়িয়ে তালি আপনার জন্নো @ফরিদা
  • sm | 52.110.131.198 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫১59422
  • দুটো প্রশ্ন আছে।এক আপত্তি ছিল অরিজিনাল প্ল্যানে মন্দির ছিল না। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা হলো আমরা প্রত্যেকেই বাড়ি করার সময় প্ল্যানের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে থাকি।
    যেমন গ্যারেজ করে নি ,দোতলায় বারান্দা উড়িয়ে কিচেন করেনি-ইত্যাদি। পরে, মিউনিসিপালিটি থেকে স্যাংশন ও করিয়ে নি। যেটা আইন মোতাবেক হলো। এক্ষেত্রে কর্পোরেশন যদি মঞ্জুর করে দেয় তো আপত্তি কোথা?
    দুই ,মন্দির হওয়া মানেই ভীষণ সমস্যা।কেন?বহু কমপ্লেক্স এই মন্দির থাকে। প্রাইভেট হাসপাতালের ফ্রন্ট ডেস্কের সামনে ছোট করে মন্দির থাকে। তাতে কি সমস্যা?অন্য জাতের লোকজন কি চিকিৎস্যা করে না?
    আর একটা কথা। অন্য ধর্মের লোকেরা দাবি তুলতে পারে ,মসজিদ বা গুরদ্বারা হোক। জায়গা ও অর্থের যোগান থাকলে হবে। কেউ বাঁধা দিলে কোর্ট কাছারি ই সমাধানের রাস্তা।
    তবে ,ফরিদার একক লড়াই এর প্রশংসার কোনো তুলনা নেই।
  • Pagla Dashu | 34.146.221.129 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:৩৫59423
  • বাড়ি কেনা র সময় মন্দির ছিল কি? মন্দির করবার কথা হয়েছিল কি? হয়ে থাকলে কনসিউমার কে জানানো র চেষ্টা হয়েছিল কি? বদলে দেওয়া যাই সব কিছু - বেআইনি কাজ কে আইনি সিলমোহর ও দেয়া ই যাই, আইনা বদলে দেওয়া যায়- আইন মেনেই। আমার অস্বস্তি অন্য রকম। এখন ও এই ইন্টারেস্ট / ইন্সুরেন্স / লেভারেজ এর জমানা তেও থাকার জায়গা সিগনিফিক্যান্ট ইনভেস্টমেন্ট। জিন্স নয ফেলে দিলাম, ইকুইটি/অপসন নয় ভুলে গেলাম। বছর বছর EMI গোনা দিন এর শেষ এর নিরাপত্তা টুকু র জন্য। সেখানে এক পরিবার এর ইচ্ছে র দাম নেয় সব্বাই চাইছে বলে? পরিষ্কার আপত্তি জানানর পর ও চুপ চাপ কাজ এগিয়ে নেওয়া কি করে? তা বেশ তাও হলো, রইলো তোমার মন্দির তোমার সোসাইটি, আমার পছন্দ না আমি চলে যাবো। আমাকে ইন্সেন্টিভ দিন চলে যাওয়ার? দেবেন না? তাহলে মন্দির ও হবে না।

    রেস্পেক্ট, বেনেফিসিয়েন্সি, জাস্টিস -

    Final post
  • sm | 52.110.131.198 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:৪৯59424
  • এখানে বিল্ডার এর কথা আসছে কেমন কৰে?মন্দির বানানোর সিদ্ধান্ত তো কনজুমার্সরা নিজেরাই নিচ্ছে। সুতরাং ঠকানোর প্রশ্নই নেই।সোসাইটি চাইলে মন্দির এর জায়গায় দোকান ঘর খুলতেও পারে।
    আপত্তি ও জানানোর রাইট আছে।
    সোসাইটি বলবে আপনার একান্ত পছন্দ না হলে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র শিফট করতে পারেন।নতুবা আমাদের কাজ আমাদের করতে দিন।
  • Du | 218.54.86.211 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:২৬59437
  • এতোটা কমন এরিয়া বলে বিক্রী করেছে তারপর ওর মধ্যেই কনস্ট্রাকশন তাহলে কমন এরিয়া কম হয়ে গেল তো? যারা মন্দির বানানোয় উত্সাহী তারাই শুধু ঐ জায়গাটা উপভোগ করবে। সেক্ষেত্রে তারা ডিফারেন্স্টা অন্যদের বর্গফুট হেসেবে দিয়ে দিক। বন্ধ করা যখন যাচ্ছেনা অন্ততঃ জবরদখল না করে কম্পেনসেট করুক।
  • Reshmi | 129.226.173.2 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৪59425
  • sm কে, মন্দির হওয়া মনে ভীষণ সমস্যা এই জন্য যে, আজ মাতারাণীর মূর্তি স্থাপন হলে কাল (বা আগামী বছর) রাতভর জাগরণ, কীর্তন এইসব চ্লতে থাকবে। পোটেনশিয়াল হ্যাজার্ড! সে সব বন্ধ করতে হলে অফিস টফিস শিকেয় তুলে থানা-পুলিশ-কোর্ট করে বেড়াতে হয়।

    আর না হলে, সমাধান তো আপনি বাতলেই দিয়েছেন, 'বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র শিফট করতে পারেন"। কিন্তু কেন করব বলতে পারেন? অরিজিনাল প্ল্যানে মন্দির থাকলে আমরা কিছুতেই এই সোসাইটিতে ফ্ল্যাট নিতাম না। তো, এটা আমাদের, এবং আমাদের মত আরো যারা মন্দির চায় না, তাদের সঙ্গে চিটিং নয়?

    Pagla Dashu র কথা যুক্তিযুক্ত লাগল। কিন্তু ওই আর কি, স্টে অর্ডার, পিটিশন এত কিছু করার সময় কার আছে?
  • de | 69.185.236.54 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩০59426
  • এই সোসাইটিটাতে একজনও অন্য ধর্মের লোক নেই, যাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে এটার বিরোধিতা করা যেতে পারে? এছাড়া খুব কিছু করা মুশকিল এই অবস্থায় - দূর্গাপুজো করা হয়, সেই রেফারেন্সটা উঠে আসতে বাধ্য! দূর্গাপুজোকে পুজো-আচ্চা হয়ে থাকলে উৎসবের স্ট্যাট্যাস দেওয়া যাবে না। আমি কোন পুজোর সঙ্গে থাকিনা, তাই মন্দির ইঃ হলে আমার নাস্তিকতার ভাবাবেগে আঘাত লাগবে, এটাও স্ট্রংলি বলা যাবে না -

    সত্যি কথা বলতে - এই পাঁচজন বাঙালী একজায়গায় হলেই ক্ষেপে উঠে দূর্গাপুজো করাটাও আমার একই রকম অস্বাভাবিক লাগে - যেন অন্য কিছুই করার নেই! আর সেই সব পুজোতে দিব্বি বামুন ডেকে পুজো-আচ্চা, ভোগ - বিতরণ সবকিছুই হয়ে থাকে - এটাও সেল্ফ কন্ট্রাডিক্‌শন! মন্দিরের মতো পারমানেন্ট নয় হয়তো - কিন্তু তাহলেও দূর্গাপুজো হিন্দুধর্মেরই পুজো। তার থেকে অন্য কিছু করা ভালো - যেমন বইমেলা!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন