এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • দক্ষিণের কড়চা

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৩ জুন ২০১৮ | ১৬৯৭ বার পঠিত
  • দক্ষিণের কড়চা

    সুদাম গুছাইতের চোখে চালশে ধরা পড়েছে বছর আষ্টেক। তাও চশমা ধরণের কোনো বস্তু তার নাকের ওপর এখনও ওঠেনি। তার গতায়াত গঞ্জবাজারের সিডির দোকান অবধি। বাকিটা দিনগত।

    নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের খড়ে ছাওয়া একখানি হলঘর। চারপাশে হিজল গেঁওয়া গাছগাছালির ছায়া পড়ে আছে আলগোছে। একটি ছোট ডোবাও রয়েছে। বাসন্তীর একটি বৈশিষ্ট্যহীন গঞ্জের দুটি বধু হাঁড়ি তিজেল নিয়ে গরাণকাঠের গুঁড়ির ওপর ঘাটের মায়ায় ধোয়াধুয়ি শুরু করলে ঠুং ঠাৎ শব্দ কানে আসে। ভরদুপুরে গা-লাগোয়া হাড়িয়ার ঠেকে অস্পষ্ট রবের বাওয়াল একটু সচকিত হয়ে ম্রিয়মান হয়, অর্থখানি এমন যে, চুপ চুপ, মা নক্কি ঘাটে বাসন ধুতেছে। গোল করিসনিকো। ঠুং ঠাৎ শব্দ চলে গেলে তারপর ফের জড়িমাময় দোখনো ডায়ালেক্টের খিস্তিমিশ্রিত শব্দোৎসার।

    এখান থেকে মাইলটাক দূরে বাদরি নদী গা-খোলা ঘামাচি বিজবিজে গ্রাম্য রমণীর পিঠের মতো উদাসীন বিহ্বল। শীর্ণ জলধারাখানি প্রাতঃকৃত্যের পর শৌচেও পর্যাপ্ত নয় সারা বছর, শুধু আসন্ন বর্ষার ঘনায়মান মেঘ বাদরির বুকে পূর্বজন্মের বিরহের মতো বৃষ্টির রেণু ফেলতে শুরু করলে রিভার বেসিনের কোন এক পাঁজর ফাটিয়ে কলকল হর্ষ প্রকাশিত হতে থাকে ক্রমে ক্রমে। তখন বাদরির সোমত্ত শরীরের খাঁজে খাঁজে কত শত গাছগাছালির শাখা ঠোঁট ঘষতে থাকে পূর্ণকামে নতুন উদ্যমে। নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের তাপ্পি মারা জ্যালজেলে পর্দায় তখনও 'দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে'র সবুজ হলদে সর্ষে ফুলে হাত ছড়িয়ে শাহরুখ খান এবং একটি গতরভারি জিয়ন্ত টিকটিকি।

    নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের মালিক সুদাম গুছাইত। টর্চম্যান সুদাম গুছাইত। টিকিটম্যানও সুদাম গুছাইত। এ ছাড়াও সুদাম গুছাইতের চল্লিশোর্ধ পৃথুলা বাঁজা বউ এবং নাকে গিল্টির নথ পরা একটি সপ্তদশী বউও রয়েছে। বাদরির পাড়ে পাঁচ কাঠা জমি এবং একটি টালি-ছাওয়া কাদাবালি গাঁথনির একতলা আধপাকা বাড়ি। এই মোটামুটি সুদামের ঘরসংসার।

    সে সময়ের পরে আজ দু দশক মরে গেছে নদীমাতৃকে। নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের পর্দায় এখন দক্ষিণ ভারতীয় বি-গ্রেড ছবির আধন্যাংটো মেয়েরা থলথলে শরীর দেখায়। কামার্ত পুরুষ শায়ার ওপরে ওপরে পাঁচ মিনিটের সঙ্গমের ছল দেখিয়ে যখন পুনরায় মূল কাহিনির সূত্র ফিরে ফিরে আসে, তখন 'মাইচা' লেউড়া' স্ল্যাংস সহ 'মার শালীকে মার শালীকে' রব উত্তাল হয়। এক্ষেত্রে কেউ কাউকে মেরে ফেলতে চাইছে না, চাইছে পর্দার পুরুষের উরুসন্ধির দণ্ডটি যেন সটান ঢুকে যাক নির্দিষ্ট যোনিতে এবং পর্দার সামনে অস্থির মলিন হাভাতে বেঁচে থাকা প্রাণগুলির লুঙ্গির মধ্যে ঢোকানো অগণিত করতল মর্দনের শেষ স্তরে এসে রস নিংড়ে ফেলবে নিশ্চিত।

    সুদাম গুছাইত শেষ যৌনদৃশ্যের পর ডিজিটাল প্রজেকটরের অফ বাটনে আঙুল রাখে। যদিও পর্দার কাহিনি অসমাপ্ত, তবু দর্শকেরা নিষ্ক্রান্ত হয়ে গেছে বলে তার হঠাৎ মনে পড়ে যায় ছোট গিন্নি শিউলির পিঠে একটি নবীন ব্রণ এবং শিউলি বাচ্চা বিয়োতে চায় না। সুদাম হাড়িয়া খায় না, সুচিত্রা সেনের ছবিতে মালা দেয়, ধুপ ঘোরায়, শিউলিকে সে অতীব ভালবাসে। নাইট শো ভেঙে গেলে একটি গোঁয়ার গোবিন্দ লজ্ঝড়ে বাস যখন গুটিকয় যৌনক্ষুৎকাতর অপুষ্ট পুরুষ শরীরকে নিয়ে আরো দক্ষিণে নষ্ট হেডলাইটের আলো নিয়ে মিলিয়ে যায়, তখন নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের খড়ের চালে হুটুরে প্যাঁচা ঠোঁট ঘষতে থাকে। অনিবার্য মূষিকটি পেচকের ওষ্ঠে যেন চলচ্ছক্তিহীন মোশান ছবির একটি বাতিল ফ্রেম, তাকে কেউ মনে রাখেনি বলে হলের দেওয়ালে নতুন পোস্টার পড়ে : পরবর্তী আকর্ষণ 'জংলি লেড়কি'। সম্পূর্ণ হট।

    সুদামের বড় গিন্নি শান্তিলতার রাঁধার হাতটি বড় সুন্দর। সুদামের পাতে সর্ষেমাখা নধর খয়রা যত ফুরোয়, পাকশালের আবছায়ায় উনুনের ঝিঁক ধরে শান্তিলতা ফুঁপিয়ে ওঠে, শিউলির চোখে হ্যারিকেনের হলদে আলো খঞ্জনার মতো নাচে, সুদামের জিভে ভোজনোত্তর লালার সুরুত শব্দ। তারপর ফের নৈঃশব্দ্য।

    সংলাপগুলো যে-কোনো কারুর হতে পারে। শব্দ এবং শব্দের উৎস পালাবদল করলে শরীর অনপেক্ষ থাকে।

    -- জাগি আছ?
    -- না।
    -- তবে যে কথা কও বড়! ভোরে মাছ মরেটে কেন?
    -- মাছের আয়ু ফুরাইছে।
    -- মাছের আয়ু হয়? জলের হয়?
    -- মাছ কাঁদে পোয়াতি হিলে।
    -- কেন কাঁদে কেন? অন্য মাছ কাঁদে?
    -- মাছের কান্না ঘাটের ধারে ধারে জমে দেখনি? সবুজ ছাবা ছাবা। জোছ্না উঠলে কটকট শব্দ হয় বাঁশের কোঁকড়ে। কাঁদতে কাঁদতে এক মাছের পাশে অন্য মাছ জলে ভাসি যায়।

    খুকখুকে কাশির সঙ্গে মিলিত হাসির শব্দ হয় মশারির চালে। যেন মূর্খের মতো অগভীর সুষুপ্তির মুহূর্ত আসন্ন। পৃথিবীর কোনো এক সেই ক্ষণ বুঝি আসে, হাসি এবং কান্না এক ডানা এক রঙে নিজেদের ঝাপটাতে থাকে ঘুমন্ত পাতায় পাতায়। কে কাকে ডেকে নেবে চোখে কাজলে স্বপ্নে।

    এখন ঘন গূঢ় রাত নেমে এসেছে দক্ষিণের পেটে বুকে জঙ্ঘায়। এখন দক্ষিণের নদীর বাতাসে নিভন্ত আঁশটে ঘ্রাণের দীর্ঘ শ্বাসের ত্রয়োদশী। কে কবে পূর্ণচাঁদের রসে মোহনা দেখতে পেয়েছিল দর্শক? তুমি কি জানতে পারো কেন শান্তিলতা এক ঘরে ন্যাংটো শিউলির পাছা চাটতে চাটতে কাঁদে? কেন সুদামের লোল শিশ্নে শান্তিলতা শিউলিকে স্থাপিত করে দরজার শিকলি খুলে বেরিয়ে খিড়কির ডোবার জলে শ্রোণীদেশ ডুবিয়ে রাতের শেষ প্রহরে মৌরলার ঘুমে পা বোলায়? কেন শান্তিলতা সুদামের জন্য আজও ডোবার জলে কলসী ভাসিয়ে চিত্রমন্দিরের গান শোনে? কেন শিউলি স্বপ্নে শান্তিলতার বৃহৎ থলথলে বুকজোড়া ও চামড়াফাটা পদতল দেখে ভয়ে কেঁপে কেঁপে ওঠে? কেন সুদামের ঘরসংসারে কোনো দিকভুল পতঙ্গ উড়ে আসে না?

    নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরে সকালের আলো পড়লে আগ্রাসী চোখেরা দেখে নতুন হট ব্লোআপের খবর। আবার সান্ধ্য লুঙ্গির ভেতর শত শত লজ্জাহীন হাত। আবার চাটাইয়ে গড়াগড়ি হাড়িয়ায় শিথিল স্খলিত অনালোকিত শত শত ক্ষুধার ছারপোকাময় কামাগ্নি ও অসহায় আর্তনাদ। পর্দায় অন্ধকারে অমোঘ টিকটিকি এবং সুদামের 'নিউ শান্তি চিত্রমন্দির'।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৩ জুন ২০১৮ | ১৬৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.108.234.144 (*) | ০৪ জুন ২০১৮ ০২:৫০63304
  • মারাত্মক!
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.161.74 (*) | ০৪ জুন ২০১৮ ০৪:৫৯63305
  • বরাবরের মতোই অনবদ্য!

    'দক্ষিণের কড়চা' ধারাবাহিকের একেকটি পর্বে উপ শিরোনাম দিতে পারেন। এতে পর্বগুলো পাঠকের মনে রাখতে সুবিধা হয়।

    উড়ুক।
  • Parthasarathi Giri | 7845.15.7856.149 (*) | ০৫ জুন ২০১৮ ০৫:২৩63306
  • একটি প্রকাশনা সংস্থা এই শিরোনামের সব লেখাগুলি মলাটবন্দী করবেন বলেছেন। তখন যদি উপশিরোনাম দেওয়া যায়, দেব। সুন্দরবন এবং তার আশপাশের মানুষজনের জীবন অনেকদিন মাথার মধ্যে ঝেঁপে রয়েছে। তার আর কিছু কথা বলে অন্য পর্ব।
  • h | 340123.99.121223.132 (*) | ০৫ জুন ২০১৮ ০৫:৫৬63307
  • পার্থ সারথি গিরি ইজ অ্যামেজিং। যদিও সাধারণত, আমি মনে করি না, জীবন বর্ণনা করতে এতটা সেকসুয়াল ইমেজারি জরুরি, কিন্তু একটা শব্দ ও বাদ দিয়ে পড়তে পারছি না। রিয়েলি অ্যামেজিং।
  • শঙ্খ | 2345.110.894512.33 (*) | ০৫ জুন ২০১৮ ১১:৫৮63308
  • আলাদা লেখা। চোখ ধাঁধানো ইমেজারি।
  • সিকি | 342323.190.5645.129 (*) | ০৫ জুন ২০১৮ ১২:১২63309
  • চোখ ধাঁধানো। তুমুল লেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন