এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চিন্টুর মুম্বাইদর্শন

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ জুন ২০১৫ | ৪৫৬১ বার পঠিত
  • শিবাংগী বলেছিল, এ শহরে ডিসেম্বরেও ফ্যান চালাতে হয়। হাঁ করেছিল চিন্টু। হাঁ-করা তার পুরনো অভ্যেস। হাভাতে এক শহরতলীর হাঘরে, উঠে এসেছে ধ্যাবড়া এক চাকরি নিয়ে। চাকরিটা তার ‘ধ্যাবড়া’ মনে হয়, প্রায়ই যখন আগাগোড়া বাংলা মিডিয়মকে অনুবাদ আর উচ্চারণ গার্গল করে টিম কনফারেন্সে স্লাইড-শো’র আঁচে ট্যাঁস ভাষায় ডেমো দিতে হয়। এই ‘ট্যাঁস’-টাও এত হুহু বদলে চলেছে, সেটাও সে সাঁতরে ধরার চেষ্টা করে। প্রাথমিক মোলাকাতে লোকজন এমন ভাব দ্যাখায়, যেন ‘হাই বাডি’ বলে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। সঙ্গে ‘হট’, ‘খিউল’ (ইয়ে, কুল), ‘ওয়াও’-এর গুঁতো। ভারতবর্ষ লড়ে যাচ্ছে এখানে পৌঁছতে; আর এরা লড়ছে ইউকে, স্টেটস, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছতে। প্রতি দ্বিতীয় নাগরিক মানত রেখেছে, ‘শিকে ছিঁড়ে ভিসা পেড়ে দাও, মা!’ স্বপ্নাদেশ আসলেই, বিয়ার টেনে শিরডি কিম্বা জুতো ব্যাকপ্যাকে গুঁজে সিদ্ধিবিনায়ক। ভূগোল আর হিন্দি সিনেমা থেকে চিন্টু জেনেছিল, বম্বে, থুড়ি, মুম্বাই (বালাবাবুর চ্যালারা চ্যালাকাঠ বানাতে পারে) সমুদ্রতীরের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল। হররোজ উপচে ওঠা মানুষ আর গাড়ির ভিড় ওই ধারণাটাকে উষ্ণতার নাতি বানিয়ে ছেড়েছে। পিক আওয়ারের লোকাল ট্রেনে পাবলিক একটা নাটবল্টু পেলেও নিজেকে টাঙিয়ে দ্যায়। কোনও কোনও রাউডি রাঠোড় যদিবা ভেতরবাগে সেঁধোয়, ভিড়ের ঠ্যালায় বাকি পথটা ফিল্মফেয়ারের ত্রিভঙ্গ স্ট্যাচু। এক-একটা হ্যান্ডেলে সতেরোটা হাত। কানের লতিতে ঘাম গড়ালে বা কুঁচকিতে ফুসকুড়ি উশখুশোলে চোখ বুজে স্রেফ ইষ্টদেবতা স্মরণ। নাস্তিকরা অবশ্য সেটাকে গার্লফ্রেন্ডের স্মার্ট খুনসুটি ভেবে নেয়।

    চিন্টুর টিমে একঝাঁক ছটফটে মেয়ে। শিবাংগী, শালিনী, পুনম, ডোরিন, ময়ূরী। উইকএন্ডে তারা প্ল্যান বানায় পিকনিকের। সিবিচের পাশে এক ওয়াটার পার্ক। শহরে নতুন এবং সঙ্গীহীন চিন্টুকেও ডেকে নেয় ওরা। তরঙ্গ-উচ্ছলিত এতগুলো যুবতী জলকেলিতে একযোগে – রোমাঞ্চ-হিল্লোলে সে তো প্রায় হাফ-সেদ্ধ! অফিস-ক্যাবের গোলমাল থাকায় একাকী পুনমকে একবার রাত সাড়ে-বারোটায় পৌঁছে দিতে যায় ওর ফ্ল্যাটে। পুনমের মা ভিনদেশি ছেলেটিকে আপন আত্মীয়ের মতো মেনে নেন। এখানের মানুষের এটাই ধর্ম। এই শহর এভাবেই সকলকে নিজের করে নেয়। কলোনিয়াল প্রথামাফিক বসকে ‘স্যার’ বলতে হয় না। তারা নিজেরাই বলে দেন সরাসরি নাম ধরে ডাকতে। কোম্পানির আরএনডি ম্যানেজার, কাজ শেষে একদিন, রাত আড়াইটেয় চিন্টুকে নিয়ে যান এলাকা চেনাতে। উদ্ধত আলো আর উদ্দাম বাজনাওলা একটা বাড়ির সামনে সে আবার হাঁ। যশ চোপড়ার পোস্টারেও এত এত সুন্দরী একসঙ্গে দ্যাখেনি লাইফে! ম্যানেজার ফিসফিসোয়, “অপ্সরা নয়, ওরা বার ড্যান্সার!” হিন্দি ফিল্মে যদিও আজও খলবলাচ্ছে ‘আও রাজা’ বা ‘ফ্যাবিকল’ জাতীয় সিকোয়েন্স – আসলি মুম্বাইতে ওরা বহুদিনই হাপিশ। নানা অন্ধকার ধান্দায় ছড়িয়ে পড়েছে নিউ মুম্বাই আর থানে সংলগ্ন এরিয়ায়। মূল শহরে রমরমিয়ে পাঁচতারা যৌনব্যবসা, বিজনেস ট্যুরে কনভেন্ট এডুকেটেড এসকর্ট অথবা টোয়েন্টি-ফোর বাই সেভেন চাইলেই আপনার রুমে ম্যাসাজ হেভেন। আসলে এসব ‘ক্লিনমুম্বাই’ শুচিবাইয়ের সাইড এফেক্ট। যেমন, ফৈজাবাদের তেওয়ারি। ফোর্টের ফুটপাথে চা বেচত। রাতারাতি তাড়া খেয়ে, বউ-বাচ্চাকে গাঁওয়ে ছেড়ে, এখন মালাডে জুতো পালিশ করে। রাত্রে একটা দোকানের হাতায় শোয়। দোকানদার দয়া করে বারান্দার কোণাটুকু ছেড়েছে। চিন্টু দেখেছে, এ শহরে চা-দোকানের থেকে শুঁড়িখানা অনেক বেশি। এমনকি চোলাই খাওয়ারও যে সুসজ্জিত বার হতে পারে, তা-ও সে এখানেই জেনেছে। আরও অদ্ভুত, প্রায় প্রতিটি বারের নামকরণে হিন্দুয়ানি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। দেবীকৃপা বিয়ার পাব। সাঁইসন্ত লেডিজ বার। হরিপ্রসাদ পারমিট রুম।

    ‘ক্লিনমুম্বাই’-এর থিওরি মেনে বেশির ভাগ নতুন কোম্পানি বাড়তে থাকা মুম্বাইতে। গালভরা প্রি-লেজুড় ‘সাবার্ব’ কিম্বা ‘গ্রেটার’। পাওয়াইতে হিরানন্দানি। গোরেগাঁওতে রাহেজা। আইরোলিতে মাইন্ডস্পেস। বছর দশেক আগেও পাত্তা না-পাওয়া জায়গারা পাহাড়-জঙ্গল মুড়িয়ে বিশ-বাইশতলা ঘাড়ে উঠে গেছে জাতে। কোনও কোনও ম্যানগ্রোভ এরিয়ায় প্লাস্টিকের ডাঁই ঢেলে ঢেলে হয়ে চলেছে রেসিডেন্সিয়াল অ্যাপার্টমেন্টের হুড়ুদ্দুম কাজ। ফুট পঞ্চাশেক নিচেই হয়ত পাওয়া যাবে চোরাগোপ্তা খাঁড়ি। কিছু ভূবিজ্ঞানীর ধারণা, বহু বহু বছর আগে এখানে ছিল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, যা এখন সমুদ্রের নীচে। অশোকের পরবর্তী বৌদ্ধরা বেছেছিল এখানের নির্জন চরাচর। কানহেরি আর মহাকালির গুহাগুলো এখনও চিন্টুকে পৌঁছে দ্যায় সেই আদিগন্ত অপার চিরকালীন ভারতবর্ষে। শ’দেড়-দুই বছর আগেও তো জায়গাটা টুকরো টুকরো সাতটা দ্বীপ ছিল। স্থানীয়রা পেশায় ছিল মেছুড়ে। ক্রমে বন্দর এল। পর্তুগিজ আর ইংরেজ এল। শুরু হল ব্রিজ বেঁধে বেঁধে জুড়ে দেওয়া। পাহাড়ের পেট ফাটিয়ে ট্রেনপথ। দেশভাগের আগে-পরে এল কিছু লড়াকু উদ্বাস্তু, পরে তাদের কেউ কেউ হয়ে উঠল সেলিব্রিটি। আশির দশক থেকে পুরনো চালি আর খোলি, যা ছিল প্রধানত মিল-শ্রমিকদের আবাস, সস্তা দরে কিনে চারিপাশে ছড়িয়ে দেওয়া হল বিল্ডিং। টাওয়ার। দাদারকেও এক সময় ‘সাবার্ব’ বলা হত। সেটা ছাড়িয়ে হল বান্দ্রা। জুহুতে বসতি বেড়ে বেড়ে ছুঁয়ে দিল আন্ধেরি। এক সময় বোরিভেলিও আর ব্রাত্য রইল না। এখন তো ওয়েস্টার্ন লাইনে এগোতে এগোতে মিরা রোড-ভাইন্দর পেরিয়ে ভিরার অব্দি প্রায়-মুম্বাই। আর সেন্ট্রাল লাইন কল্যান ছাড়িয়ে হাত রেখেছে কারজাত-কাসারার দিকে। হার্বার লাইনে কয়েক বছর আগের ভাসি-পানভেলকেও চেনা দায়। খারগারে এসে গেছে নতুন এয়ারপোর্ট। চিন্টু চোখ বুজলে দেখতে পায়, দিন-কে-দিন জায়গাটা যেন লম্বাটে লেড়ো বিস্কুট, যার দক্ষিণ আর পশ্চিম অনবরত ডুব মারছে আরবীয় চায়ের গ্লাসে। আচ্ছা, ভিজতে ভিজতে বিস্কুটটা যদি আধখানা ভেঙে যায় গ্লাসের ভেতর? বা, ভগবান নামের বাচ্চাটা একদিন টুক করে এক টুকরো চাখে? চিন্টু চমকে উঠে চোখ খুলে ফ্যালে। সামনে নতুন বিল্ডিঙের জন্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়। ট্রাক-বোঝাই পাথর চলেছে মাল্টিন্যাশনাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে। দগদগে পাহাড়ের ঘা চুঁইয়ে নামছে পাথুরে জল। গুম গুম শব্দে বিশাল একটা চাঁই খুলে পড়ে পাশের টাওয়ারের পার্কিং-এ। দুটো গাড়ি তুবড়ে যায় পলকে। সিকিউরিটি হাত নাড়ে, “সব ঠিক হ্যায়, সাব।” দড়ি-ঘেরা ব্যারিকেডে উঁকি মেরে, পরে চিন্টু দেখেছে, শুকনো লাল ছোপ। রক্তের দাগ কি না, কেউ কারুর কাছে জানতে চায়নি।

    এ শহরের বেশ কয়েকটা মিডিয়াখ্যাত দুর্যোগ সে দেখেছে। ২০০৫-এর ২৬শে জুলাই। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি গোটা মুম্বাইকে ধস্তে দিয়েছিল। লাইট, খাবার, ফোনের নেটওয়ার্ক – কিছুই নেই। প্রোডাকশন ফ্লোরে অফিসের ভিপি থেকে হাউসকিপার – ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ঠায় জেগে, সারা রাত বসে। জল ফুরিয়ে যাওয়াতে উনিশতলার টয়লেট দুর্গন্ধে মাৎ। জানলা দিয়ে বোতল বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরে খেতে হচ্ছিল। রাস্তায় আটকে যাওয়া গাড়ির ভেতরেই মারা গেছিল অনেকে। হাইওয়ের ধারে জোগেশ্বরির খাটালে বেঁধে রাখা মোষেরা মারা গেছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। পরবর্তী দিন পনেরো হাইওয়ের দু পাশে মৃতদেহের পচা বদবু এলোমেলো হাওয়ায় জানান দিত। ২০০৬-এর ১১ই জুলাই। সিরিয়াল ট্রেন ব্লাস্ট। সন্ধে থেকে বন্ধ এ শহরের লাইফলাইন। সারা রাত। সাধারণ নাগরিকেরা পথের দু ধারে নেমে এসে কাজফিরতি মানুষদের নাগাড়ে বিলোচ্ছিল চা-জল-খাবার। পরের সকালে আবার সবকিছু নর্মাল। মানুষ আবার যে যার কাজে স্বাভাবিক। ২০০৮-এর ২৬শে নভেম্বর। কাসাভ-কাহানি। সিএসটি স্টেশন চত্বরে লাগাতার ফায়ারিং। সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি, প্রকৃতি, আর হালের টেররইজম – অনেকেই ব্লেড মেরেছে মুম্বাইয়ের গোড়ালিতে। ঘেঁটি টিপে চুবিয়েছে জলে। তবু সে ঘাড় নোয়ায়নি। কোনও কিছুই ভাঙতে পারেনি এখানের ‘চরৈবেতি’ প্রাণ। চিন্টু বুঝেছে, চলতে থাকাই এ শহরের মন্ত্র। এ শহরের দর্শন।

    এমনকি ভিখিরিদেরও শিফট বদলায় এখানে। যে স্কাইওয়াকের নীচে সকালে কোলে-বাচ্চা মহিলা, সন্ধেয় সেখানে হাত-বাঁকা অন্য কেউ। আমেদাবাদের কীর্তি বুঝিয়েছিল, অফিসমুখো ম্যাডামজিদের মায়া টানতে মা-শিশুর কৌশল, আর সুজ্যি ডুবলে রঙিন-ফুর্তির বাবুদের করুণার ময়দান খিঁচতে বিকলাঙ্গ। এ শহর বোঝে, ঠিকঠাক কায়দা জানলে ভিক্ষেটাও কি করে ব্যবসা হয়ে যায়। হোয়াইট গোল্ডের ব্যবসা ছিল জিগনেশদের। ঝাড় খেয়ে বেচে দিয়েছে। ড্রয়িংরুমের ডিভান তুলে মাতাল জিগনেশ একদিন দেখিয়েছিল কাঁচা টাকার বান্ডিল, থরে থরে সাজানো। ওরা এখন ক্রিকেট বেটিং-এ টাকা লাগায়। এখানের কলেজে-পড়া ছেলেমেয়েরাও আওড়ায় সেনসেক্স আর নিফটির ঘোরপ্যাঁচ। বাড়ির নির্ভরতা এড়িয়ে ওরা চায় নিজে কিছু করতে। পঙ্গু বাবাকে অবসর দিয়ে উনিশ বছরের দিশা চাকরি করে, করেসপনডেন্সে এমসিএ। নিজের বিয়ের খরচ সে নিজেই জমায়। অথবা একুশ বছরের রাকেশ। চাকরি নয়, সে স্বপ্ন দ্যাখে, একদিন হবে এক শেয়ার ব্রোকিং হাউসের মালিক। চিন্টু হাঁ করে দ্যাখে, মানুষ দিব্যি এখানে তরকারি কেনার প্লাস্টিকে লাখ লাখ টাকা মুড়ে হাতে ঝুলিয়ে ঘোরে। হয়ত ও পাশের লোকটার পকেটেই রয়েছে কোটি টাকার টুকরো হিরে। যে কোনও ফ্ল্যাটের ডিলে কত যে ব্ল্যাকমানি লেনদেন হয়, তার ইয়ত্তা নেই। তবু এই যে ধিংকাচিকা ধোয়ামোছা শহর, এই যে নিয়ত আদেখলা ‘মার্চ-অন’ ভিড়, এই যে জনগণবৈভবনায়কজয়হে – এসবের আড়াল-কাহিনি? হ্যাঁ, চিন্টু জানে, ওই সামনের গলিমুখে যে লোকটা রক্ত মেখে মুর্গি কাটে মেশিনের মতো, ও আসলে বাঙালি। চিন্টুর মতো শহুরের সামনে নিজের ভাষা বলতে লজ্জা পায়। ছোট ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতে সতেরো-আঠেরোর যে ছেলেগুলো নুডলস আর পাউভাজি সার্ভ করে – ওদের কারও বাড়ি মেদিনীপুরে, কেউ হয়ত মুর্শিদাবাদের। মাল্টিস্টোরিডের গায়ে ঝুলে ঝুলে প্লাস্টার মারে যে চেকপ্যান্ট – ওর বাড়ি খুলনা। এ শহরে, এ দেশে ওর কোনও পরিচয় নেই। পা পিছলে পড়ে মাথা ফেটে মরলেও কনট্রাকটরের কোনও দায় নেই হিসেব দেওয়ার। ওর রোগা বউটা গজিয়ে-ওঠা ফ্ল্যাটগুলোতে বাসন মাজে। ফাঁক পেলে খয়েরি দাঁত দেখিয়ে হাসে সিকিউরিটি গার্ড, শুতে চায়। বউটা ফ্যালফেলিয়ে যায়।

    আটতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চিন্টু এসব দ্যাখে। দূরে, অনেক দূরে, দ্যাখে, শচীনকত্তা হাত নেড়ে গান তোলাচ্ছে কিশোরকে। পাগলাটে কিশোর সিল্কের লুঙ্গিতে শিশু হয়ে আছে। ওদিকে রাহুল পেয়েছে এক নতুন ধুন, হারমোনিয়মে ক্রমাগত প্যাঁ দিচ্ছে সে। পাশের জানলায় দেবানন্দ বিশাল আয়নায় মুখস্থ করছে ‘গাইড’-এর ডায়লগ। আর রাজেশ ঘাড় বাঁকিয়ে বলে চলেছে, “বাবুমোশাই, জিনা হ্যায় তো বম্বেমে, মরনা হ্যায় তো বম্বেমে।” আচ্ছা, ওদের মাথার পেছনে ওই যেটা জ্বলছে, ওটা কি ফ্লাডলাইট? না, চাঁদরাত এটা? এখান থেকে চাঁদ বোঝা যায় না, জানলায় ধাক্কা খায় উলটোদিকের বিল্ডিং। কমপ্লেক্সের ছাদে হুটহাট উঠে পড়া বারণ। চাঁদ দ্যাখার জন্যে নীচে নামে চিন্টু। নবরাত্রি চলছে। সোসাইটির একফালি উঠোনে ধাঁই ধাঁই বাজছে বক্সের গান। দেশাইয়ের গিন্নি আর প্যাটেলের বউয়ের সঙ্গে ডান্ডিয়া নাচছে চৌরাশিয়া। এইবার ঢুকে পড়েছে কেরালার ডি’সুজা। ওই তো দৌড়ে আসছে সুব্রমনিয়মের মেয়ে। এসে পড়ছে চণ্ডীগড়ের বলওন্ত। গোল ছন্দে নেচে চলেছে ওরা। তালে তালে উঠছে লাঠির শব্দ। কেউ চেয়ারে, কেউ দাঁড়িয়ে তালি দিচ্ছে। চিন্টুর সামনে ঘুরে চলেছে আজকের অর্ধেক ভারতবর্ষ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ জুন ২০১৫ | ৪৫৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shibir | 113.16.71.17 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:২৫67402
  • আমার থেকে এখানে অনেক প্রাচীন লুরুবাসী আছেন যাদের লেখার হাত খুব ভালো । আমি বরঞ্চ ফোড়ন কাটব। :)
  • h | 122.79.35.194 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:২৭67403
  • স্তেত। ফরমেশন এর ইতিহাস
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:৪৮67404
  • ক্রিকেট জিমখানা র গল্প, ভারতীয় রাগ সঙ্গীত এর নতুন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন তৈরি হওয়া। এ মানে জে কি ইন্টারেস্টিং কল্পনার বাইরে।
  • pi | 233.176.9.32 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৫:৫৬67405
  • ভারতীয় রাগ সঙ্গীত এর নতুন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন তৈরি হওয়ার গল্পটা কী ? পালুসকর ?
  • Div0 | 132.166.181.91 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৬:০০67406
  • হানুদা পরের পর সম্ভাবনাময় পোস্ট করে চলেছে। এগুলোকে এইবেলা পরিণতি না দিলে এরা অন্যভাবে ফেটে বেরোবে অ্যান্ড দ্যাট মাইট নট বি গ্রেটলি এনজয়েড বাই ইউ ইয়রসেলফ :-p
  • শ্রী সদা | 24.99.209.176 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৬:০৪67374
  • মুম্বই গোলা জায়গা। আমার খুব ইচ্ছে ছিল মুম্বইতে চাগ্রীবাগ্রী নিয়ে সেটল করার, কিন্তু ওনারা সফটওয়ারের দিকে খুব একটা খেলেননা, প্লাস ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে বাকী জীবন আলুসেদ্ধ ভাত খেয়ে কাটাতে হবে।
    রাত দুটোর সময় বেরিয়েও দেখেছি সিগারেটের দোকান খোলা, রাস্তায় লোকজন অনেক রাত অব্দি দেখা যায়, খুব ভালো ট্রেন এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। আর সবচেয়ে বড় কথা মেট্রোপলিটান কালচার আছে, লুরুর মতো হঠাৎ গজিয়ে ওঠা গেঁয়ো বড়লোক টাইপের নয় ঃ)
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:০৯67407
  • টেক্সটাইল স্ট্রাইক
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:১১67375
  • মুম্বইয়ের গরিব বস্তিবাসী লোকজনের একটা বড় অংশই পূর্ব মহারাষ্ট্র/ উত্তরপ্রদেশ/ বিহার/ পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত জায়গা থেকে আসা, পেটের তাগিদে। মুম্বইয়ে তবু খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে, নিজের জায়গায় সেটাও পেত এরকম ব্যাপার। এদের মধ্যে যারা একটু বলিয়েকইয়ে ও পরিশ্রমী, তারা কিন্তু আস্তে আস্তে নিজেদের জীবন পাল্টে ফেলছে, কারণ ইন্ডাসট্রিয়ালাইজেশনের কারণে জব অপরচুনিটি প্রচুর, আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়ার সুযোগ অনেক। অভ্যাসে হয়ত বস্তিতেই থেকে যাচ্ছে, কিন্তু সেই বস্তির ঘরেই আসছে টিভি ফ্রিজ, লাগছে এসি। এখন চাওল (দু-তিনতলা প্রায় -বস্তি বিল্ডিং যেগুলো কাপড়ের মিলের শ্রমিকদের সস্তায় থাকার জন্য তৈরী হয়েছিল বহু বছর আগে) গুলোর মধ্যে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে চারচাকা।
    ব্যবসাবুদ্ধি এখানকার লোকেদের রক্তে, মাইগ্রেট হয়ে আসা লোকজনও সেই রক্তের অংশীদার হয়ে ওঠে । ব্যবসার অন্যতম মূল শর্ত হচ্ছে কাস্টমারকে খুশি রাখা । শুধু শপিং মল বা ব্র্যান্ড-এর আউটলেট নয়, একদম সাধারণ দোকানদাররাও কাস্টমারের সাথে যা সুন্দর ব্যবহার করে, কিছু কেনার পরে যা আফটার- সেলস -সার্ভিস দেয় তা শিক্ষনীয়। কলকাতা-সুলভ 'নিলে নিন না নিলে রেখে দিন' জাতীয় মেজাজ দেখানো এখানে অকল্পনীয়। এই কারণেই অন্ধেরির চাওলে থাকা কম্পিউটারের সামান্য মেকানিক আস্তে আস্তে ব্যবসা বাড়িয়ে আজ নিজের ভাইকে লন্ডন পাঠাচ্ছে। ভালো লাগে দেখতে যোগ্য মানুষের উন্নতি। 'সিটি অফ ড্রিমস' খেতাবটা মিথ্যা নয়। এক বাঙালি ছেলের সাথে আলাপ হয়েছিল যার বাবা বনগা থেকে ভিরারের এক বস্তিতে চলে আসে। ছেলেটা এইচ এস -এর পর একটা ডিপ্লোমা-জাতীয় কোর্স করেছে। পরিশ্রমী, ব্যবহার ভালো, ইংলিশে ফ্লুয়েন্সি আছে। চল্লিশ হাজার মাসমাইনের চাকরি করছে এখন, কয়েকদিন পরই এটা ছেড়ে আরো ভালো একটা ফার্মে জয়েন করবে, তারপর বিদেশ যাওয়ার প্ল্যান করেছে। ও যে ইন্ডাসট্রিতে কাজ করে পশ্চিমবঙ্গে তার অস্তিত্বই নেই। ওর সঙ্গে আলাপ করার সময় আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছিল, যে ভালো রেজাল্ট নিয়ে এম এস সি শেষ করেও ওয়েস্টবেঙ্গলে কোনো চাকরি পাচ্ছে না; এস এস সি দিয়ে একটা বাঁধা মাইনের চাকরি জুটিয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়ার চেয়ে বড় কোনো স্বপ্ন দেখার উপায় ওর কাছে নেই । .........মুম্বইয়ের কাছ থেকে অনেক অনেক কিছু শেখার আছে কলকাতার। অটো-ট্যাক্সিতে কোথাও যেতে চান? উঠে বসে শুধু ডেস্টিনেশন বলে দিন, নামার সময় মিটার দেখে ঠিক ততটাই পে করে দিন, হ্যা, অটোর ক্ষেত্রেও। গোটা দেশে খুব কম জায়গাতেই এই প্রিভিলেজ আছে, তাই না! বসে ওঠার জন্য সিগনালের পাশে/ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে হাত দেখিয়ে ছোটার মত সার্কাস করার কোনো প্রয়োজন নেই । নির্দিষ্ট বাস-স্টপ আছে অল্প দূরত্ত্বে। স্টপে কোন কোন বাস থামবে লেখা আছে। বাস এসে দাঁড়ালে পেছনের দরজা দিয়ে উঠে যান, নামার পাবলিক সামনের দরজা দিয়ে নামবে, লড়ালড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই।......... শুনলাম দিদি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য, ভালো কথা, তবে আমার মনে হয় এর আগে উনি মুম্বই বা ব্যাঙ্গালোরে একটা সফর করে দেখে যেতে পারতেন বিনিয়োগের পরিবেশ কিকরে তৈরী করতে হয়।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:১৩67376
  • * সেটাও পেত না
  • pi | 116.218.4.101 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৭:৩৪67377
  • নাহ ! অটো ট্যাক্সি নিয়ে একমত হলাম না। হুলিয়ে ঠকার প্রচুর অভিজ্ঞতা আছ্হে, আমার এবং অন্যদের। এখন পরিস্থিতি বদলেছে কিনা জানিনা।

    আর ঐ নাটকের জায়গাটার নাম মনে পড়ছিল না, একজন মনে করালেন, এন সি পি এ। ন্যাশানাল সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস।
  • S | 139.115.2.75 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৮:১৬67378
  • মুম্বাইতে আমার অটো ট্যাক্সি নিয়ে এক্সপি মিক্স্ড। মানে কোলকাতার থেকে অবশ্যই ভালো, কিন্তু সবকিছুই খুব ঠিক ঠাক তা নয়। অনেক সময়ই যাবোনা বলে দেয়। তবে পুলিশকে ডেকে বললে বোধয় কাজে দেয়। মুম্বাইতে ঠকার চান্স কম কারণ লম্বা শহর, আপনি যদি জানেন কোনদিকে যেতে হবে, তাহলে সোজা গেলেই হয়।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৮:৩২67379
  • হ্যা আগে অবস্থা বাজে ছিল শুনেছি, কিন্তু এখন অটো বা ট্যাক্সির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে, ফলে কয়েকবার মাত্র ছাড়া যাবনা শুনতে হয়নি। আর মিটারের বেশি চেয়েছে এরকম ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কখনো হয়নি, অটো এক-দুবার। আমি আন্ধেরী-সান্তাক্রুজ-বান্দ্রা আর টি আই এফ আর- নেভিনগর-কোলাবা-চার্চগেট এই দুই অঞ্চলের অভিজ্ঞতা বলছি, অর্থাত ওয়েস্টার্ন সাবার্ব্স আর সাউথ বম্বে। রাত দুটোয় প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও অটো নিয়ে এয়ারপোর্ট গেছি, মিটারে। পাশের বাস স্টপে এসে দাঁড়ালো বেস্টের প্রায় খালি বাস, রাত তখন আড়াইটে।
  • S | 109.27.138.238 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৯:১৭67408
  • শিবির বাবু, আমার কেন জানিনা মনে হয় মুম্বাইতে বেটার কোয়ালিটি জিনিস যায়। ওখানের প্রোভোগের শোরুমে গেলে যে ভ্যারাইটি আর কোয়ালিটির জিনিস পাওয়া যায়, সেটা কোলকাতায় ভাবাও যায়্না। অবশ্যি এটা হতে পারে যে ওখানে বেশি ক্যাপিটাল আছে বলে ওরা বেটার কোয়ালিটির আর অনেক বেশি জিনিস রাখতে আরে। আর কাস্টোমারও অনেক বেশি আর তারা খরচও করতে পারে।

    এখানে অনেকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন, আমরা কেন মুম্বাইয়ের আলোচোনাতে অটো ট্যাক্সি নিয়ে আলোচোনা করেছি। এর কারণ মুম্বাইতে বেশ কিছুদিন থাকলে সবার প্রথমে যেটা মাথায় আসবে সেটা হোলো থাকার যায়্গা আর ট্রান্সপোর্টেশন। লোকে দিনে দু থেকে চার ঘন্টা আপিস যেতে আসতে কাটিয়ে দেয়।

    আর মুম্বাই নিয়ে বলিউডেও খুব কম সিনেমা হয়েছে। খুব ভালো ভাবে মুম্বাই দেখেছিলাম কমিনে সিনেমাতে।
  • S | 109.27.138.238 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ০৯:২১67409
  • হাতে পয়সা থাকলে মুম্বাইয়ের থেকে বেটার সিটি ইন্ডিয়াতে নেই থাকার মতন। আমার আরেকটা শহর খুব ভালো লেগেছিলো - পুনে। তবে সে অনেক বছর আগে কয়েকমাস ছিলাম। এতোদিনে কি হয়েছে কে জানে। ব্যাঙ্গালুরুও ভালো, এস্পেশালি আইটি কাজ কম্মের জন্যে।
  • Ishan | 202.43.65.245 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১১:৪৪67410
  • রাগ সঙ্গীতের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বলতে হনু মনে হয় ভাতখন্ডের কথা কইছে। ভাতখন্ডে অতি অবশ্যই মুম্বাইয়ের লোক। কিন্তু সেই সুবাদে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের পুরোটাই মুম্বাইয়ের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেবার তীব্র প্রতিবাদ করিলাম, আমি বাঙালি ছাড়া আর কারো সদগুণ দেখতে পারিনা। :-)
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১২:৩০67380
  • মাইরি কি থেকে কি এসে গেল।
  • pi | 116.196.136.35 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১২:৩৯67381
  • হ্যাঁ, মুম্বই এর অবস্থান এতক্ষণে লেবাননে পৌঁছুলে হানুদার ঠিকঠাক লাগতো ;)
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১২:৪৫67382
  • হ্যা এবঙ্গ অটো করেঃ-))
  • pi | 116.196.136.35 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১২:৪৬67383
  • হ্যাঁ, খালি শোভনের জন্য বাইক। ;)

    কিন্তু এইবার উদয়ন এসে আমাকে ক্যালাবে ।
  • h | 127.194.245.186 (*) | ২৮ জুন ২০১৫ ১২:৫৭67384
  • লেখাটা আমার ভালো লাগে নি ঠিক ই কিন্তু একবারের জন্যেও মনে হয় নি মাইরি লেখক এক্ত অটো বা ট্যাকসি র তুলনামূলক আলোচনা র শুরু করতে চাইছেন তবে পাঠক ই মালিক প্রকাশের পরে কি আর করা
  • h | 213.99.211.19 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০১:৪১67421
  • লেঃ পঃ।
  • pi | 37.62.128.96 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০২:২৯67411
  • ভাতখন্ডে অরিজিনালি মুম্বই এর লোক খেয়াল ছিল না। তবে নোটেশন হলে পালুসকরের কথাও আসা উচিত। ওঁর কাজও মুম্বই সেন্ট্রিক। পালুসকরের আরেক বড় অবদান গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয়, রাগ সঙ্গীতকে রাজসভা থেকে বের করে আনা ইত্যাদি।
    তবে মামুর জন্য দিলীপ কুমার রায় আছেন তো ঃ)
  • h | 213.99.211.18 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০৪:৩০67412
  • ব্যাস কভার হয়ে গেল। আর চিন্তা রইলো না ঃ-))))
  • তাপস | 126.203.212.249 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০৭:১৫67413
  • হানু কোন পার্টটা লিখছে?
  • shibir | 113.16.71.17 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০৭:৩৬67414
  • S - বাবুটা বাদ দিন। কলকাতার লোকেদের খরচ করার ক্ষমতা অবশ্যই মুম্বাইয়ের থেকে কম। কিন্তু ৪ হাজার টাকার একটা লি এর জিন্স er কোয়ালিটি মনে হয় দুটো শহরেই এক হবে বা মুম্বাইতে কোয়ালিটি বাজে হতে পারে কারণ ওখানে বাজে কোয়ালিটি এর বেশি দাম চাইতে পারে । মার্কেটিং পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বললাম।

    প্রত্যেকটা শহরের একটা নিজস্ব চরিত্র আর দর্শন আছে । আবার প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব চরিত্র আর দর্শন আছে। দুটো match নাও করতে পারে ।
  • S | 139.115.2.75 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০৮:০৫67415
  • শিবির, এই কারণেই তো মুশকিলটা হোতো। প্রথম দিকে আমিও তাই ভাবতাম। মুম্বাইতে বেশি দাম নেয় ভেবে কোলকাতায় আসতাম। তারপরে দেখলাম ভ্যালু ফর মানি অনেক বেশি ওখানে। আমি কিন্তু বলিনি যে দুজায়্গাতেই একই দামের জিনিস রাখে। আমি বলছি কোলকতায় একটা জে দামে কিনে যত মজা পেতাম, তার থেকে মুম্বাইতে বেশি খসিয়েও অনেক বেশি স্যাটিসফেকশন, জিনিসটা অন্তত বেটার। দামের ফারাক থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেন জানি মনে হোতো কোলকাতায় একটা জিনিস বেশি দামে জোড় করে গছিয়ে দিচ্ছে। "এখন এরকমই চলে", "এখন এরকমই ফ্যাশন" ইত্যাদি কোলকাতায় বলে। রিটার্ন পলিসি জিগান, দেখবেন বলে দেবে হবেনা। মুম্বাইতে ঐধরনের কোনো কথা বা ধান্দা নেই, সঠিক কাস্টোমার সার্ভিস দিতো। অবশ্যি কোলকাতাতেও দিন পাল্টাচ্ছে। সাউথ সিটির শপার স্টপটা মন্দ নয়, আর ঐ ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের রেমন্ডসের দোকানটাও ঠিক ঠাক কথা বলে, দাম নেয়, হেল্প করে। এগুলো আমার একদমই নিজস্ব এক্সপি।

    একটা জিনিস দেখুন আমি কোলকাতার বাঙ্গালী হয়েও কোলকাতার থেকে ইন্ডিয়ার অনেক শহরকেই আগে রাখবো। এইটা অন্য কোনো বড় শহরে ভাবাও যায়্না।
  • h | 213.132.214.155 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ০৯:৩৭67416
  • তাপস, ভগমানের দুনিয়ায় সবার জন্য কাজ নিদ্দিষ্ট। আমায় বলা আছে, সুদু বাতেলা আর পোঁয়াপাকামো করার কথা ঃ-))))))
  • কল্লোল | 135.16.17.194 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ১২:০১67417
  • ই কি রে ভাই। ফাস্ট লাইফের জন্যে লুরু ভালো লাগে না শিবিরের!!
    লুরুতে ফস্টো লাইফ কোদ্দিয়ে পেলি ভাইটি? এখানে তো লোকে বাসে/অটোতে উঠেই ঘুমায়, অ্যাত্তো ট্রাফিক জাম।
    তবে লুরুর শিল্প-সংষ্কৃতি নিয়ে কথা হবে না। অসম্ভব ভালো নাটক হয় (হিন্দি-ইংরাজি-কানাড়ায়)। রঙ্গশংকরার মতো নাটকের অডিটোরিয়াম সারা ভারতে কম আছে। অসাধারণ অ্যাম্বিয়েন্স। সুচিত্রা ফিল্ম সোসাইটি, টিউসডে ফিল্ম, সেন্টার ফর ফিল্ম অ্যান্ড ড্রামা প্রচুর কাজ করে। প্রায় গোটা পাঁচেক স্ট্রিট থিয়েটার গ্রুপ রেগুলার পারফর্ম করে। প্রায়ই বম্বে থেকে খুব ভলো নাটক আসে। কোম্পানী থিয়েটার, মটলি, আরও কিছু দল (নাম মনে নেই) নিয়মিত আসে। এখন এই মুহুর্তে লুরুতে ৮/৫টি বাংলা নাটকের দল। অসাধারণ একটা আন্তর্জাতিক নাটকের উৎসব হয়।
    আর খাবার। লুরুতে এখন প্রচুর খাবার অপশন। চিনা, ভিয়েৎনামি থেকে বাঙ্গালী, লেবাননী থেকে কন্টিনেন্টাল, হায়দ্রাবাদী থেকে আরবী, গুজরাটি থেকে নাগা ও আওয়ধী, বিহারী, ওড়িয়া, এবং অবশ্যই অন্ধ্র, মালায়ালী, কানাড়ি ও তামিল। তার সাথে কুর্গী ও চেট্টিনাড।
    এরপর আছে (এখন চলছে) মস্ক স্ট্রিটে ইফতারের খাবার মেলা। এটি এন্টালীর রথের মেলার খাব্বুশ সংষ্করণ। আহা, হাদ্রাবাদী হালিম, পাত্থর কা গোস্ত, রোটি পে বোটি। সন্ধ্যের ঝোঁকে আসুন মস্ক স্ট্রিট এবং গরগরা শুদম হয়ে যান।
  • কল্লোল | 135.16.17.194 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ১২:০৩67418
  • এহে - এখন এই মুহুর্তে লুরুতে ৪/৫টি বাংলা নাটকের দল।
  • কল্লোল | 135.16.17.194 (*) | ২৯ জুন ২০১৫ ১২:০৫67419
  • এসব পোস্ট মুম্বাইকে কোনরকম অছেদ্দা না করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন