এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নীল বাস

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ৭৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • অনেকদিন ইউরোপে বসবাস হয়ে গেল—কোম্পানির চাকরির দৌলতে এবার ট্রান্সফার হয়ে যেতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি—ছোট্ট দেশ, আগে কোনওদিন যাইনি, তাই হালকা এক উদ্বেগ থেকেই যায় তা সে যতই ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি। মানুষ অভ্যাসের দাস—এই কথাটা আমাদের কেন, প্রায় সবারই শোনা। কিন্তু এর মর্মার্থ অনুভূত হয় এই এমনই পরিবর্তনের সময়। ভারতবর্ষের মানুষ এবং জীবনের বেশিরভাগ সময়টা এখানে কাটাবার পর নিশ্চই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আমাকে ‘কালচারাল শক’ দিতে পারবে না। তবে কিনা দীর্ঘদিন ইউরোপবাসের পর একটা অভ্যাস, একটা লাইফস্টাইল তো তৈরি হয়েই যায়। তাই শক পাওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও মানিয়ে নেবার একটা উদ্বেগ রয়ে যাচ্ছে।

    কিছু চেনাশোনা ছিল এই দেশে—আমারই কোম্পানির লোকজন বা কলিগ আর কি। আসার আগে তাদেরই একজনের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বললাম। আমার তরফের জিজ্ঞাসা শেষ হবার পর আমার কলিগ আমাকে বলল, তুমি কিন্তু আসল কথাটাই জিজ্ঞাসা করোনি! আমি তাকে খোলসা করে জানাতে বললে সে বলল, এখানে নাকি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বলে কিছু নেই! গাড়ি ছাড়া আমরা প্রায় অচল থাকব। আমি প্রায় পাঁচ বছর তখন মূল আমস্টারডাম শহরের কেন্দ্রে বসবাস করছি। আমস্টারডাম শহর খুবই ছোটো, তাই পার্কিং এক খুবই মাথাব্যথার কারণ শহরের কেন্দ্রে। শোনা কথা, এমত জায়গায় পার্কিং-পারমিট পাবার ওয়েটিংলিস্ট নাকি পাঁচ বছরের। ফলতঃ, এই নিয়ে নাড়াঘাঁটা করার কোনও বিশেষ কারণ দেখিনি। তাছাড়া আমস্টারডাম সহ হল্যান্ড বা আশেপাশের ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এত ভালো যে, নিজের গাড়ি থাকা অনুভূত হয় না। আমস্টারডাম শহর ক্যানেল দ্বারা কন্টকাকীর্ণ এবং পার্কিং সমস্যার জন্য সাইকেলই সেই শহরের মূল যান বলা যেতে পারে। সেই সময় ঘন্টায় প্রায় চার থেকে পাঁচ ইউরো লাগত আমস্টারডাম শহরে পার্কিং করতে—আর ওভার নাইট প্রাইভেট পার্কিং ন্যূনতম চল্লিশ ইউরো। ফলতঃ, সাইকেলই বেটার অপশন ছিল। সেই সাইকেলের গল্প—সাইকেল চুরি, সাইকেলের তালা, সাইকেল ফোন্ড করে অফিস ডেস্কের পাশে রাখা চুরি হবার ভয়ে। এইসব নিয়ে গল্প অন্যবার।

    মূল কথা হল, আমার গাড়ি ছিল না ইউরোপে, ড্রাইভিং লাইসেন্সও না। গাড়ি ছাড়া চলবে না এমন জায়গায় ট্রান্সফার ঠিক প্রেডিক্ট করতে পারিনি—যখন পারলাম, তখন বড়ো দেরি হয়ে গেছে। চিরকাল বন্ধু, কলিগ বা কোম্পানির গাড়িতে ড্রাইভারের পাশে গুলতানি করতে করতে যাবার এক বদ অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নতুন দেশে বাঁচার তাগিদে ‘অফিসিয়াল’ ভাবে ড্রাইভিং শিখে ‘অফিসিয়াল লাইসেন্স’ নেবার জন্য আমস্টারডামে খোঁজ-খবর শুরু করলাম। তা খোঁজ করতে গিয়ে যা শুনলাম, তাতে চক্ষু চড়কগাছ! রেজিস্ট্রেশন, থিওরি পরীক্ষা, প্র্যাকটিস ও রোডটেস্ট সব মিলিয়ে প্রায় দু-হাজার ইউরো মতো খরচা। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় তখন প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা! আমার গাড়ির লাইসেন্স পাবার রেফারেন্স তখনও ভারত। গ্রামের বা আশেপাশের কারুর গাড়িতে শুধু তেল খরচা দিয়ে আর ড্রাইভারকে কিছু ‘জল’ খাবার পয়সা দিয়ে গ্রামের ফুটবল মাঠে গাড়ি নিয়ে কিছুদিন চক্কর—ব্যাস গাড়ি চালানো শিখে যাওয়া। আর লাইসেন্স! চেনা থাকলে কয়েক হাজার খরচা করলেই আসল লাইসেন্স বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া। খোঁজ করে জানা গেল তখন ইন্ডিয়ায় লাইসেন্স নিয়ে খুব কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। একবার নাকি অফিসে গিয়ে ছবি তোলাতে হবে নিজের, বাকিটা সামলে নেবে ওরা। এই আশাব্যাঞ্জক খবর পেয়ে স্বভাব কুঁড়ে আমার আমস্টারডামে গাড়ির লাইসেন্স নেওয়ার ইচ্ছার হল ইতি। তার ওপর মনে পড়ল বউ-এর ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। ফলে আর পায় কে! প্ল্যান হল ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া যাবার পথে যে কদিন ভারতে ছুটি কাটাব সেই ফাঁকে টুক করে লাইসেন্সটি করিয়ে নেব।

    কিন্তু হল না! গ্রামে পৌছলে লাইসেন্স জাতিয় ক্ষুদ্র জাগতিক জিনিসের ওপর আমার প্রধান নজর থাকে না। ফলতঃ, কী হইতে কী ছুটি ফুরায়ে গেল—নতুন দেশে আমি পৌঁছলাম বিনা-লাইসেন্সে। এখানে এসে দেখি, ড্রাইভিং স্কুলে লম্বা লাইন, কয়েক মাসের ওয়েটিং লিস্ট। ফলে বউ গাড়ি চালাচ্ছে, আমি পাশে বসে গুলতানি ও ফোড়ন কেটে যাচ্ছি। কিন্তু কাঁহাতক রোজ বউ আমাকে সকাল-সন্ধে অফিসে ড্রপ করে বা তুলে আনে! তাই আমি পাবলিক ট্রান্সপোর্টের খোঁজে বেরোলাম। আমাকে প্রথম বাড়িটা দেওয়া হল টেম্পোরারি, তা প্রায় আমার অফিস থেকে আট কিলোমিটার মতো। এক উইকএন্ডে এদিক ওদিক জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, এখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বলতে ওই একটাই নীল বাস। নীল বাস চলে কাছাকাছি ছোট্ট দুই টাউনের মধ্যে—সিরিয়া ও কুয়ালা বেলাইত, পরস্পর দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আমাদের অফিস এই দুই টাউনের প্রায় মাঝে আর আমাদের বাড়ি সিরিয়া টাউনের কাছে। সেই উইকএন্ডে খোঁজ নিয়ে সিরিয়া বাসস্ট্যান্ডে গেলাম, ইচ্ছা এই যে কীভাবে আমার বাড়ি থেকে ওই নীল বাস ধরতে পারব বা নীল বাসের টাইম-রুট জানা। সঙ্গে গুগল-ম্যাপ থেকে প্রিন্ট নেওয়া একটা পাতা নিয়ে গিয়েছিলাম আলোচনার সুবিধার জন্য। গিয়ে দেখি দু-একটা নীল বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে স্ট্যান্ডে—ইনফরমেশন সেন্টার, টিকিট কাউন্টার বলে কিছু নেই! অগত্যা ডাইরেক্ট বাসের দিকে অগ্রসর হলাম, দেখি, বাসের ড্রাইভারকে ভারতীয়ের মতো দেখতে। এবার বুদ্ধি খেলিয়ে প্রথমেই হিন্দিতে কথোপকথন শুরু। আমি যত ম্যাপটা এগিয়ে দিই এটা বোঝাতে যে আমার বাড়িটা কোথায় আর ওর কাছ থেকে জানতে যে বাসটা কোন রাস্তা দিয়ে যায়—তত দেখি ও ম্যাপ সরিয়ে দেয়। তখন বেশ অবাক হলেও পরে বুঝেছিলাম যে ও নামমাত্র সাক্ষর, তাই ম্যাপ বুঝতে বা পড়তে জানে না।

    যাই হোক, অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি করার পর মোটামুটি বোঝা গেল—তবুও ডিটেলস-এ অনেক ফাঁক, কারণ আমি যে জায়গার রেফারেন্স দিই সে বুঝতে পারে না এবং ভাইস-ভার্সা। তাই ভাবলাম, সোমবার সকালে একবার বাসটা ধরতে হবে তারপর নিজেই বুঝে নেব রুট কোনটা। এটা আমাকে বলা হল নাকি বাস দাঁড়াবার জায়গায় ছাউনি টাইপের করা আছে। রবিবার বিকেলে চিরুনী তল্লাশি চালালাম বাড়ির কাছের নিয়ারেস্ট বাস-ছাউনির জন্য। ও বাবা, যা খুঁজে পেলাম তাতে চক্ষু চড়কগাছ—এ পরিত্যক্ত একটা বসার জায়গা, মাথায় ছাউনি কবেই ভেঙে গেছে এবং চারিদিকে আগাছায় ভরা। মনে রাখতে হবে আমাদের এই চিরুনী তল্লাশি চলছিল মৃদুমন্দ গাড়ি ড্রাইভ করে—বউ চালাচ্ছে, আমি চোখ বুলাচ্ছি। যাই হোক, সোমবার সকালে দুগগা-দুগগা বলে পায়ে হেঁটে বাস ধরব বলে বেরোলাম। হেঁটে প্রায় পাঁচ মিনিট মতো কিন্তু বাসের সময় জানা নেই আর ফুটপাথ বলে কিছু নেই। মূল রাস্তা দিয়েই হাঁটছি, কান ঘেঁষে গাড়ি চলে যাচ্ছে—এই করে গিয়ে দাঁড়ালাম বাসস্ট্যান্ড-এ। এই দেশে সকাল সাতটার রোদও মারাত্মক—একেবারে মাথার চাঁদি গরম করে দেওয়ার মতো। প্রথমদিন ছাতা খুলতেও সাহস পাচ্ছি না, যদি ছাতার আড়ালে বাস-ড্রাইভার দেখতে না পায়! দাঁড়িয়ে আছি, অফিসের পোশাক ঘামে ভিজে যাচ্ছে, রাস্তা দিয়ে যাওয়া গাড়ি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সে এক ভজকট ব্যাপার। এদেশের লোকেরা গাড়ি খুব ভালোবাসে তাই রাস্তার বেশিরভাগ গাড়ি সব নতুন মডেলের। মাঝে মাঝে যে দু-একটা পুরনো গাড়ি দেখা যায় তাদের অবস্থা ভারতের আম্বাসাডর গাড়ির থেকেও খারাপ। এইসব দেখছি, এমন সময় নীল বাস দেখা গেল! হাত তুললাম, গাড়িতে উঠলাম। এই বাসের ড্রাইভারও ভারতীয়। এতক্ষণে বাসের ভেতরে নজর করলাম এবং খুবই একান্ত অনুভব করলাম কারণ তার অবস্থা কলকাতার মিনিবাসগুলোর মতোই। ভাড়া এক ডলার—কোথায় নামব তা টিকিট কাটার সময় বলতে হল না কারণ এই বাসে চাপলেই এক ডলার, তা সে তুমি যতটাই যাও। ভাড়া মেটানোর পর নজর করলাম, সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে—আমার মতন পাবলিক আর বাসে একটাও নেই—বাকিদের তুলনায় আমি ওভার ড্রেসড যাকে বলে। পরে জানতে পেরেছিলাম এই বাসে লোকাল লোক প্রায় চাপেই না। এতে চাপে ওয়ার্কার শ্রেণীর লোকেরা। যদিও আমি নিজেও ওয়ার্কার, তবে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ছাপ-মারা। বাকিরা কেউ অপরের বাড়িতে কাজ করতে যাওয়া ফিলিপিনো মেয়ে, কিছু ইন্দোনেশিয়ান লেবার আর অনেক ভারতীয় লেবার/কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার।

    আমি সামনের সিটেই বসলাম ড্রাইভারের সাথে আলাপ করব বলে। জানালাম আমি কোন অফিসের সামনে নামব—মনে মনে আবার সেই গরমে বাসস্টপ থেকে হেঁটে অফিসে ঢোকার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু আমাকে অবাক করে অফিসের সামনে একটু ফাঁকা জায়গা পেয়ে বাস দাঁড়িয়ে গেল! বিকেলে কোথায় দাঁড়াতে হবে জিজ্ঞেস করলে বলল যে কোনও একটা ফাঁকা জায়গা দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে হাত দেখালেই হবে। সেই শুরু নীল বাসে আমার যাতায়াত। ক্রমশ জানতে পারি এখানে বাসস্টপ বলে কিছু ফিক্সড নেই—রিল্যাক্স ব্যাপার—হাত তুলে দাঁড়ালেই হল। বাস ড্রাইভারের সাথে ক্রমশ আলাপ হয়ে গেল। সাকুল্যে ছয়টা নীল বাস, চারজন ভারতীয় ড্রাইভার, একজন ইন্দোনেশিয়ান আরেকজন এদেশের। ভারতীয় ড্রাইভাররা আবার সবাই উত্তরপ্রদেশের আজমগঞ্জ বলে একই জায়গার। বাস ছাড়ে প্রতি কুড়ি মিনিট অন্তর দুই প্রান্তিক বাসস্ট্যান্ড থেকে। একজন ড্রাইভার আবার ছোটোবেলায় আসানসোলে মানুষ হয়েছিল তার বাবার কর্মসূত্রে। আমি বর্ধমানের বলে বিশেষ খাতির। আমার জন্য ড্রাইভারের পাশের সিটটা বরাদ্দ হয়ে গেল। বাসে উঠলেই ডেকে বসিয়ে নিত পাশে আর শুরু হত রাজ্যের গল্প। এইভাবেই জানতে পারি এদের মাইনে মাসে চারশো ডলার আর টিকিট বিক্রি করে প্রতি একশো ডলারে পাঁচ ডলার কমিশন। শনি-রবিবার বিক্রি বেশি। মাসে গড় রোজগার সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো ডলার। এদের একটা বড়ো বড়ো ঘর দেওয়া হয় থাকতে। ওরা চারজন থাকে সেই ঘরে, ভাড়া লাগে না কিন্তু খাবার খরচা নিজেদের। এরা দুজন-দুজন করে আলাদা খায়। কোনও ছুটি নেই, দুই বছরে একবার বাড়ির টিকিট। প্রথম বাস সকাল সাড়ে দুটা, শেষ বাস সন্ধ্যা সাতটা। যেহেতু রান্নার জায়গা একটাই, তাই প্রথম দুজনের হলেই পরের দুজন রাঁধতে পারে। শুতে শুতে এদের রাত এগারোটা-বারোটা হয়, আবার ভোর পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু।

    এত কিছু শেয়ার করার পর স্বভাবতই আমাকে প্রত্যাশিত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়— তঙ্কখা কত পাই। কী বলব বুঝতে পারি না—ভাবরাজ্যে উত্তর দিই ‘গুজর যাতা হ্যায়’, সাথে যোগ করি ‘আচ্ছাসে’। ওরা প্রথমে ভেবেছিল আমি নীল বাসে চড়ি কারণ আমার গাড়ি কেনার ক্ষমতা নেই। আমাকে ওরা পুরনো গাড়ির সন্ধান এনে দেয়— বলে, হাজার ডলার খরচ করলে দারুণ গাড়ি পাওয়া যাবে। আমাকে তখন জানাতে হয় যে আমার গাড়ি আছে কিন্তু লাইসেন্সের জন্য চালাতে পারি না। জিজ্ঞাসা করে, কী গাড়ি বা কে চালায়, দাম কত। নতুন গাড়ি শুনে অবাক হয়। গাড়ির দাম নিয়ে আর নাড়াঘাঁটা করি না কারণ ততদিনে বুঝে গেছি পাঁচ হাজার ডলারের ওপরে গেলে সেটা ওদের কাছে অনেক টাকা আর প্রায় অপরিমাপ-যোগ্য হয়ে যায়।

    এইভাবে দুইমাস কেটে যায়—আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাই। ওদের সাথে আর দেখা হয় না—তবে রাস্তায় নীল বাসের পাশ দিয়ে যাই। কখনও সেই আস্তে চলা পুরনো নীল বাসের পেছনে আটকে পড়ে নতুন গাড়িতে চড়া আমি গালাগাল দিই, কখনও যখন দুঃখ পেতে ইচ্ছে করে তখন ওদের কথা ভাবি—আত্মীয়হীন, ছুটিহীন, দিনে বারো ঘন্টার ওপরে কাজ করা ওদের কথা। আবার তখনই মনে পড়ে, ড্রাইভার চাচার মেয়েরা কলেজে পড়ে, আমনভাই উত্তরপ্রদেশেই গাঁ-এ একটা জমি কিনেছে। নিজে সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে ওরা তাহলে সুখে আছে—অন্তত ভারতে থাকা ওদের পরিবার।

    [লেখাটি অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতিঃ https://www.du-kool.com/2014/09/02/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%98%E0%A7%8B%E0%A6%B7/ ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ৭৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amitava | 190.148.69.210 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৮72141
  • একদম সত্তি কথা। ওখানে এত জন আছে আজমগড় থেকে যে ওদের embassy তা Delhi তে না হয়ে আজমগড় এ হলে ঠিক হত। তবে এই বৈসম্য যে সুধু ওখানেই আছে, তা নই, মিডল ইস্ট এর সব দেশেও দেখেছি সেই একই দারিদ্রের explotation । ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল এই কটি দেশ এর গরিব মানুষ আর কোথাও কিছু সুযোগ না পেয়ে সারা জীবন এই সব দেশ গুলোতে নিজের জীবন বরবাদ করে, শুধু নিজের পরিবার কে একটু ভালো রাখার জন্য।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৭72142
  • ব্রুনাই তো খুব বড়োলোক দেশ বলে শুনেছি। ওদের ডলারের ভ্যালুও তো স্টেডিলি বেড়েই চলেছে গত তিরিশ বছর ধরে। বাস ড্রাইভারদের আরেকটু ভালোভাবে তো রাখতেই পারে। অন্ততঃ আরো কয়েকটা বাস যদি বাড়াতো। সবই স্বগতোক্তি।
  • শিবাংশু | 127.201.148.203 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৩৩72143
  • আন্তরিক লেখা। দেশটা সম্বন্ধে কিছু জানিনা, শুধু তাদের রাজার কথা জানি। সময় পেলে আরো কিছু হোকনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন