এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাঝির গান আর দাঁড়ের ধ্বনি

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৪ | ৬২৮ বার পঠিত
  • (জর্জদা'র জন্মদিনে যা মনে এসেছিলো)

    তোমারি দেশের আকাশ ও যে জানে,
    তোমার রাতের তারা,
    তোমারি বকুলবনের গানে ও দেয় সাড়া-
    নাচে তোমারি কঙ্কণেরই তালে.....
    ---------------------------
    দুই বন্ধু বসে গান শুনছিলুম । দামোদর পালুসকর সাহেবের 'শ্রী', "হরি কে চরণকমল"। যাঁরা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্বন্ধে সামান্যতম খোঁজ রাখেন তাঁদের এই গানটি সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। শতবার শুনেছি, আবার শুনবো। বন্ধু বললেন এই স্তরের 'শ্রী' আর শুনিনি। আমি ভাবি একবার আমীর খান শোনা যাক। একই বন্দিশ, "হরিকে চরণকমল"। পুরোটা শুনে মৌন কিছুক্ষন। তাকে বলি, আরো শুনবে ? নাও, একজন মাস্টার অফ দ্য মাস্টার্সের পেশকারিটা শোনো, পন্ডিত মল্লিকার্জুন মনসুর । প্রথমজন গোয়ালিয়র ঘরের, দ্বিতীয়জন নানাঘরের, ভিন্ডিবাজার, কিরানা, দেওয়াস, শেষে নিজের সাকিন নিয়ে ইন্দোর , তৃতীয়জনের গান শুনে আল্লাদিয়া খান ভাবতেন এই তাঁর মৃত পুত্র, তিনি সম্ভবতঃ আমাদের শোনা জয়পুরের শেষ কথা। এখন বিপুল প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা। যদি 'শ্রী'কে দিয়েই বিচার করা যায়, তবে কোন শিল্পী'কে মহত্তর মনে হয় ? অথবা কোন পরিবেশনাটি শ্রেয়তর ? প্রথমজনের লালিত্য, দ্বিতীয়জনের আভিজাত্য, তৃতীয়জনের ব্যপ্তি, কোন জন 'শ্রী'কে অধিকতর মহিমায় সাধিত করছেন ? আমার মতো ইতর শ্রোতা কিন্তু তিনজনকেই সম্রাট মনে করে। কীভাবে? কারণ প্রত্যেকেই ক্রমশঃ ভিন্ন পরিবেশে, পরিপ্রেক্ষিতে, পরিণতিতে আমাকে বিভিন্ন কারণে মুগ্ধ করেন। কী করে বলি, কোন একজনই শ্রেষ্ঠ, প্রকৃত 'শ্রী'মন্ডিত । উপভোগের একটা প্রচলিত ঘরানা আছে । সেখানে আলাদা আলাদাভাবে বলা হয়, তাঁর তানকারি ভালো তো এঁর বিস্তার, তাঁর বহলাও ভালো তো এঁর গমক তান। শ্রোতারা এভাবেই ভাবতে ভালোবাসেন । কিন্তু এসবই শরীর, শরীর ! তোমার মন নাই, রসিক?
    ------------------------------
    শিল্পীর মূল্যায়ণ পরে হবে। আমরা ভাবি, শ্রোতা হিসেবে আমাদের এলেম কী? শুধু কি কানে শোনা কানসেন। না গভীরে যাওয়ার কোন প্রতিশ্রুতি আমাদের হাসিল হয়েছে ? আমরা শিল্পীদের কী সার্টিফিকেট দেবো, আমাদের নিজেদের সীমাবদ্ধতা কি আমরা সবসময় মনে রেখে চলি? যেকোনও অন্য শিল্পের মতন, শুদ্ধতম শিল্প সঙ্গীতেরও শারীরিক ও বৌদ্ধিক অস্তিত্ব থাকে। একটি গান যেমন কানে শোনা যায়, একটি ছবি চোখে দেখা যায়, চোখ দিয়ে কবিতার অক্ষরগুলিও পড়ে নেওয়া যায়। এটি হলো শিল্পের শারীরিক দিক, বেহেশতের স্বর্ণময় সিংহদ্বার। এ'কে অতিক্রম করতে পারলেই শিল্পের বৌদ্ধিক আনন্দটি অনুভব করা যাবে । স্বর্গ যদি কোথাও থাকে, এই স্তরের পরেই তা উপভোগ করা প্রশ্ন আসে। এখন মুশকিল হলো অধিকাংশ 'রসিক'ই ততোটা শ্রমস্বীকারে অনীহ । তার ফলে দরজার ওপারের জগতটিকে ন্যায্যত অলীক বোধ করেন। তাঁরা ভাবেন সেই জগতটি বেঁচে আছে শুধু কিছু উন্নাসিকের কষ্টকল্পনায় । আসলে তা কোথাও নেই। এ নিয়ে কোনও কলহ, বিতর্ক চলেনা। সব কিছুই কি ক্যালকুলাস দিয়ে ব্যাখ্যা করে দেওয়া যায়? যায়না বলেই এখনও মানুষের বিস্ময়বোধ কিছু বেঁচে আছে। আমরা তর্ক করবো মানবেন্দ্রের থেকে মান্না'কে বেশি ভালো লাগে, অথবা শ্যামলের থেকে সতীনাথকে। কেন লাগে, এই প্রশ্ন উঠলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটু দিশাহারা । 'আমার ভালো লাগে', এটাই যুক্তি, সেটা কি যথেষ্ট নয়?

    ব্যক্তিগত ভালো লাগা না লাগা একটি নিশ্চুপ অধিকার। ভিন্ন রুচির অধিকার মানবসভ্যতার একটি প্রশ্নাতীত গরিমা । এ নিয়ে কোনও কথা হবেনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুগ্ধতার স্বীকৃতি জানাতে কেন জনগণেশের ভরসা হয়ে দাঁড়ায় বাণিজ্যপ্রাণ 'স্টার সিস্টেম'? স্তবের বাণীর আড়াল টানি গভীরগামী অনুভবকে ফাঁকি দেওয়ার অলস জালিয়াতি। শিল্পীকে পণ্য করে 'সংস্কৃতি'র উদ্দন্ড আস্ফালন।
    -----------------------------
    শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের কঙ্কাল বা রক্তমাংস সবই পূর্ণতঃ সুরভিত্তিক, বৈদেহী, ধ্বনিনির্ভর । রবীন্দ্রসঙ্গীত অক্ষরনির্ভর, অনুভববেদ্য বাণীপ্রতিমা। সুর তার প্রসাধনমাত্র । রবীন্দ্রসঙ্গীত যখন সুরব্যতিরেকে আবৃত্তি করা হয়, তখনও তার গরিমা ম্লান হয়না। সুর তাকে প্রসাধিত করে, সুন্দরতর করে, প্রেয়তর করে তোলে। তাই এই গানের ক্ষেত্রে শ্রোতার উপভোগ বিন্দুগুলি শুদ্ধ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের থেকে পূর্ণতঃ ভিন্ন। 'নতুন কিছু করার ' টানে গত বেশ কিছুদিন দেখতে পাই শাস্ত্রীয় রাগভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীতের আসর, পাশ্চাত্যসুরভিত্তিক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সংকলন । এই সব আয়োজনে আমরা শুনি একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ একটি রাগের বন্দিশ ও সামান্য বিস্তার করলেন, তার পর একজন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী সেই রাগভিত্তিক কোনও একটি কবির গান পরিবেশন করে শোনালেন। অন্য পরে কা কথা, স্বয়ং সুচিত্রাও এই রীতিটিকে স্বীকার করেছেন। 'পাশ্চাত্যসুর'নির্ভর রচনার ক্ষেত্রেও এই জাতীয় কারিকুরি করা হয় হামেশা। কিন্তু এই উদ্যোগে 'কবি' বা তাঁর গীতবিতান কোথায়? এমত প্রয়াসগুলিকে নিছক বাণিজ্যবুদ্ধি তাড়িত বলেই মনে হয়। বাংলা গানে উজ্জ্বল স্টার অনেক । নিধুবাবু, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল, সলিল চৌধুরী, সুধীন দাশগুপ্ত, কবির সুমন অথবা নচিকেতা ঘোষ, হিমাংশু দত্ত, মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া প্রতিভা অনেক আছেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তো সম্পূর্ণ ভিন্ন উপক্রম। তাঁকে স্টার সিস্টেমে ফেলা কেন?
    --------------------------------------
    অন্য সঙ্গীতধারার প্রসঙ্গ থেকে নিবৃত্ত হই। কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীতেও স্টার সিস্টেম, শিল্পীদের মধ্যে সংখ্যাবাচী স্তরভেদ করার প্রয়াস কি মনে করিয়ে দেয় না, যেন জগন্নাথের মন্দিরে ভক্তের কৌলীন্য বিচার করা হচ্ছে। দিনের শেষে রবীন্দ্রসঙ্গীত একজন দেবতারই গান, তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ । বিভিন্ন শিল্পীরা নিজের মতো সামর্থ্য অনুসারে তাঁকে সুরে অর্ঘ দিয়ে থাকেন। অঞ্জলির ফুলের কি ইতরকুলীন হয়? ব্যক্তিগতভাবে আমি যখন রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনি, তখন রবীন্দ্রনাথকেই শুনি। নেহাত বেসুর-বেতাল না হলে পরিবেশকের একটা গুণবত্তাই মনে থাকে; শিল্পী শেষপর্যন্ত গানটিকে কতোটা কার্যকরীভাবে শ্রোতার মধ্যে সঞ্চারিত করে দিতে পারছেন। আগ্রহী শ্রোতা জীবনের নানাপর্বে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে নানাভাবে শোনে। নিজের অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে নেয় । শিল্পের সঙ্গে শ্রোতারও ক্রম উত্তরণ ঘটে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে এই অনুভূতিটি সম্মাননীয় । যাঁদের হাত ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীত ঠাকুরবাড়ি বা ব্রাহ্মমন্দিরের সীমা পেরিয়েছিলো, সেই পঙ্কজকুমার,হেমন্ত বা তাঁর 'কাকা' জর্জদা, সবার গানই শ্রোতা হিসেবে( কোনও রকম 'পন্ডিতি' না করে) আমার কাছে নৈসর্গিক পুণ্যের মতো লাগে। আরো কিছু শিল্পীদের সম্বন্ধেও এরকম ধারণা পোষণ করি। শ্রাবণের ভারাক্রান্ত আকাশ আর আশ্বিনের করোজ্জ্বল আদিগন্ত নীল চক্রবালের মধ্যে উত্তম-অধম বিচার করে কতোদূর যাওয়া যায়?
    ----------------------------------------
    পৃথিবীর তাবৎ সঙ্গীত, যা শেষ পর্যন্ত শিল্প হয়ে ওঠে, মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে শিল্পের নিরিখে আত্মস্থ করার চাবিকাঠি আমি জন্মসূত্রে পেয়ে গেছি । কিন্তু তার জন্য কিছু মূল্য তো দিতে হবে। শিল্পী হিসেবে যাঁরা এই মূল্য আমাদের সবার হয়ে চুকিয়ে দিয়ে গেছেন যেমন হেমন্ত, সুবিনয়, সুচিত্রা, জর্জদা, এমন কি চলন্ত ট্রেনের সাহায্যপ্রত্যাশী দরিদ্র বন্ধুটি, তাঁরা কেউই আমার কাছে 'স্টার' ন'ন। তাঁদের সবার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতই বড্ডো আপন লাগে। এই ধরনের শোনায় সঙ্গীতে ক্র্যাফটের শর্তগুলো পিছনে থেকে যায়। নয়তো যদি শুধু কণ্ঠসম্পদই একমাত্র বিবেচ্য হয় তবে স্বয়ং সলিল চৌধুরী যাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছেন 'ঈশ্বরকণ্ঠ' বিশেষণে, সেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পর তো আর কারুর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়াই উচিত নয় । নয়তো জীবনের প্রথমপর্বে শুধু কোরাসগানে মন্দ্রমাত্রা যোজনার জন্য যাঁর খোঁজ করা হতো সেই জর্জদা কি শেষ পর্যন্ত মানুষের হৃদয়ে এই গভীরতায় প্রবেশ করতে পারেন? অথবা আজকের শ্রোতাদের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভগীরথ পঙ্কজকুমারকে জীবৎকালে শুনে যেতে হয়েছে 'অরাবীন্দ্রিক'তার অপবাদ। তাহলে শ্রোতাদের মনোজগতে তাঁদের বৈজয়ন্তীর রহস্যটি কী ? নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রসঙ্গীতের নিজস্ব জাদুমন্ত্র । তাই রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে ও শুনতে একটা অন্যমাত্রার মনোযোগ, ন্যূনতম মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। যখন অন্যান্য সঙ্গীতের ক্ষেত্রে কারিগরি দক্ষতার শর্তটি মূল নির্ণায়ক, রবীন্দ্রসঙ্গীতে মানসিক প্রস্তুতিটিই অনিবার্য শর্ত । অন্য সঙ্গীতে কারিগরি দক্ষতা পরিমাপের নির্দিষ্ট গণিত রয়েছে। কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের 'গুণমান' ঠিক গাণিতিক সূত্রে ধরে ফেলার বস্তু নয়। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম টি আর পি রেটিং সার্থকতার নিরিখে ব্যর্থ হয়ে যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতে কোনও 'স্টার' নেই । কারণ এই গান তারকাবিহারী নয়, অন্তরবিহারী। সে আমার সব কিছু জানে । সে প্রত্যেকের গহনতম, গোপনতম ব্যক্তিগত ঝরনাতলা ।
    ------------------
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৪ | ৬২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 147.157.8.253 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৪ ০২:২৬73625
  • প্রতিটি খন্ড একটি বড় লেখার বীজ। আশায় রইলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন