এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সরস্বতী পুজো: ইশকুলে মুশকিল

    অবন্তিকা পাল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩২৮০ বার পঠিত
  • একটানা বেজে চলেছে কিশোরদার বিরহের গান l সমস্ত সন্ধ্যে জুড়ে l কাল আপিস নেই, রুগী দেখা নেই l তাই আজ থেকেই দিব্যি ছুটির মেজাজ l কিন্তু এই ব্যাজারমুখো সঙ্গীতের জ্বালায় সেটাই বা উপভোগ্য হয়ে উঠছে কই ! মন মেজাজের স্বেচ্ছা-কাউনসেলিং করতে এ সময় টিনটিন থেকে টেনিদা, দিদি থেকে মীর কাউকেই তেমন জুতসই মনে হচ্ছে না l একে বইমেলার গ্যাঞ্জামহীন বেদনাতুর সন্ধ্যে l তার ওপর ওই বলিউডি মনোটনি l জীবনের মানে খুঁজে পাওয়াই দায় l এমতাবস্থায় জানতে পারলুম কোনো এক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার প্রাইমারি স্কুলে নাকি জবরদস্তি বন্ধ করা হচ্ছে সরস্বতী পুজো l ন্যায়-অন্যায় ঠিক-বেঠিক ভেবে ওঠবার আগে আচমকাই জিয়া নস্টাল... প্রেক্ষাপটে বেহালা সমেত, ফ্ল্যাশ ব্যাক...

    ক্লাস ইলেভেন l কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন l আমাদের স্কুলে বরাবর এগারো ক্লাসের মেয়েদেরই সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হত l ঠাকুর কেনা থেকে ফল কাটা, পুরোহিতের সাইকেলের পেছনে দৌড়নো থেকে আশেপাশের স্কুলগুলোতে নেমন্তন্নর চিঠি পৌঁছতে যাওয়া, সবকিছুই স্ব স্ব দায়িত্বে ও স্ব-তত্ত্বাবধানে l অবিশ্যি গুটিকয় তরুণী শিক্ষিকাও মাঝে মাঝে বেরিয়ে পড়তেন আমাদের সঙ্গে আমন্ত্রণ পত্র হাতে, বিশেষত সেই দিনগুলোতে যেদিন বয়েজ স্কুলে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকত l সে যাই হোক, দীর্ঘ ছ’বছরের তীর্থক্ষেত্রের বায়সোচিত প্রতীক্ষার পর সেবার আমাদের পালা l আমরা তখন আপামর কচিকাঁচাদের দিদি আর আমাদের পোশাকের রঙও সবুজ l দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেই গ্রাফ কাগজ প্রিন্টওলা কামিজ, সঙ্গে সাদা ওড়না আর সালোয়ার l পুজোর হপ্তা খানেক আগে জেনারেল মিটিং l সায়েন্স আর্টস কমার্স-এর সব মেয়ে, সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকারা l জমায়েতে আমরা গুটিকয়েক মিলে প্রস্তাব দিলুম- এ বছর পুজোর খরচ থেকে কিঞ্চিত কাটছাঁট করে যদি প্রদর্শনীটা আরেকটু বড় করা যায়...l একটা গোটা ঘরেরও প্রয়োজন সেজন্য l তিন দেওয়াল জুড়ে তিনটে স্ট্রিমের মেয়েরা আলাদা আলাদা জিনিস বানাবে l ঠাকুরের উচ্চতা ছোট করার বিষয়ে নব্বই শতাংশের আপত্তি ছিল, তাই খুব বেশি ভোট পেলাম না l মিটিংয়ের পরে কিভাবে যেন দুঁদে আর জাঁদরেল সহ-প্রধানা শিক্ষিকাকে সাধাসাধি করে অনুমতি নিয়ে এসেছিলেন আমাদের হট ফেভারিট দুই সুন্দরী আর স্মার্ট দিদিমণি l অতএব, খুশির সীমা নাই l দিনভর নাওয়া খাওয়া ভুলে আমাদের জীববিদ্যার জনতা রোজকার ব্যবহার্য চাল ডাল দিয়ে বানিয়ে ফেলল ব্যাঙের থ্রি ডি পৌষ্টিক তন্ত্র l আর বাড়ি ফিরে অনেক মাথা চুলকেও যখন আমি স্বতন্ত্রভাবে অভিনব কিছু ভেবে বার করতে পারলুম না, তখন সেই চিরাচরিত বিষয় নিয়েই কালো আর্ট পেপারের ওপর খবরের কাগজ ছিঁড়ে ছিঁড়ে তৈরি করে ফেললুম কম্যুনাল হারমোনির কোলাজ l বাবা শেখাতেন- ধর্মকে নিয়ে কখনো রাস্তায় নেমো না l বাবা ধর্ম বলতে সেই উদযাপনের প্রদর্শন বোঝাতেন যা ভিন্ন রীতির মানুষের যাপনকে আশঙ্কিত করে তুলতে সক্ষম l স্কুলে কখনো সামন্ত আর সুলতানায় তফাৎ বুঝিনি l টিফিনবক্সের সুগন্ধী জরদাভাত আর আতপচালের পায়েসে জিভের অনুভূতির পার্থক্যটুকু ছাড়া বুঝে উঠতে পারিনি অন্য কিছু l প্রথম সম্বিৎ ফিরল বছর কয়েক পর, যেবার আমাদের কলোনির সদ্য সদস্য হওয়া বিপত্নীক আলিবাবুর ছোটো মেয়েকে অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে দিল না ‘দুর্গাপুজো কমিটি’ l আলিবাবুর পাড়ায় আসা নিয়ে ভ্রুকুঞ্চন শুরু থেকেই ছিল l যে, হঠাৎ 'কাজিপাড়া' ছেড়ে এখানে কেন বাপু ! বারো বছরের মেয়ে, কার্য কারণ বোঝানো তাকে সম্ভব নয় l অশেষ কান্নাকাটির পর অবশেষে সে শুধু তার নতুন বন্ধুদের পাশে বসে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার অনুমোদনটুকুই পেয়েছিল l

    সময় পেরোলো l ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারলাম আমার ছোটবেলার ভূগোল অনুশীলনী বইয়ে যে সিঙাড়া-আকৃতি দেশ, তাকে ভোট রাজনীতি স্মরণে রেখে আলাদা করে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে জাহির করতে হয়, যার জন্য আমি ফি বছর স্বদেশ পর্যায়ের গান গাইতে গাইতে স্কুল করিডোরে দাঁড়িয়ে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলতুম এই বছর কয়’ আগেও ! সেই দেশ যেখানে আমার ধর্ম (জন্মসূত্রে যা বহন করছি আরকি) ছাড়া অন্য সমস্ত ধর্মের মানুষ আদমসুমারি অনুযায়ী ‘মাইনরিটি’ l যেখানে আমি ‘মেজরিটি’ হওয়া সত্ত্বেও অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে ‘শাহপুর’কে বানিয়ে তুলছি ‘সাহাপুর’, ‘শেখের বাজার’কে ‘শখের বাজার’, আর ‘আলির মোড়’কে ‘কালির মোড়’ l আদপে ধর্ম কী ? একপ্রকার সাংস্কৃতিক অভ্যাস বই আর কিছু ? আমার ‘হা ঈশ্বর’ আর মহসিনের ‘ইয়া আল্লা’ বলার অভ্যাসে ফারাক কতখানি ? ঠিক কোন অছিলায় এই অভ্যাসগুলোই একটা রামমন্দির কিম্বা একটা বাবরি মসজিদের সামনে এসে বার করে ফেলে তাদের নৃশংস নখদন্ত ? ধর্মের কিছু সরল আচার আচরণ কিন্তু খুব সহজেই মানবতার অধিকারকে খর্ব না করে দৈনন্দিনতায় মিশে থাকতে পারতো l পারলো না l তার কারণ যেমন ধর্মীয় বিভাজনের নিরিখে দেশভাগ, ঠিক তেমনি, এই সহস্রাব্দেও আমাদের ভাবনার সীমাবদ্ধতা l ‘দিল বোলে হড়িপ্পা’ বা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর মতো খেলার বিষয় নিয়ে তৈরী হওয়া ছবিগুলোও, অহেতুক, সস্তায় হাততালি কুড়োবার উদ্দেশে দেখিয়ে চলছে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের লড়াই l জিইয়ে রাখছে দেশের লড়াই, সংস্কৃতির লড়াই, ধর্মের লড়াই l

    একটা উৎসব মানে একটা মিলনক্ষেত্র l মেনে নিলাম l কিন্তু এই সংহতির ধ্বজা উড়িয়ে যে ক’টা উৎসব আমাদের দেশে পালিত হয় তার বেশিরভাগই ‘পুজো’, ‘পরব’ নয় l গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে দেখি, ডায়মন্ড হারবার রোডের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব স্কুল, সেগুলোতে হিন্দু ছাত্রছাত্রী সংখ্যায় বেশি l আরো পাঁচ কিলোমিটার এগোলে এই ভাগটা প্রায় পঞ্চাশ-পঞ্চাশ l তারও অভ্যন্তরে একাধিক স্কুলে শতকরা হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরাই, যদিও সেইসব পঞ্চায়েত এলাকায় মোটের ওপর স্কুলই হাতে গোনা l কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে মিশনারি স্কুলও l এইরকম একটা এলাকাতে যদি গুটিকয় হিন্দু শিক্ষক বা শিক্ষাকা একজন বেদোল্লিখিত আরাধ্যা দেবীর কুচযুগের শোভা নিয়ে আদেখলাপনা করে, সেখানে প্রতিবাদ হওয়া কি খুব অস্বাভাবিক কিছু ? এই সরস্বতীই তো কিছুকাল আগেও সুশিক্ষিত সমাজে ছিল ম্লেচ্ছ l শিল্পকলার দেবী, তাই পুজো হত মূলত পতিতালয়ে যেখানে মেয়েদের নৃত্য-গীত-বাদ্য নিয়ে চর্চা করতে হত নিয়মিত l ঋগ্বেদে সরস্বতী এক তুচ্ছ নদীর দেবী l মৎসপুরাণ অনুযায়ী এ ব্রহ্মারই নারী অংশ, যার সাথে দেবতা স্বয়ং মৈথুন করে l নারদপুরাণ বলে, সরস্বতীর অনিচ্ছায় এই সহবাস হয়, ফলে ব্রহ্মা কখনো সম্মানীয় দেবতা হিসেবে গণ্য হবে না, অন্যদিকে সরস্বতীকে দেওয়া হবে স্বতন্ত্র ঈশ্বরীর মর্যাদা, যে জ্ঞানেরও অধিষ্ঠাত্রী l তথাকথিত ‘বাবু’গণ কিন্তু মহিলাদের না দিয়েছিল শিক্ষা ও শিল্পের অধিকার, না বিতর্কিত এই দেবীকে আরাধনা করার অনুমতি l ক্রমশ নারীশিক্ষার প্রচলন ঘটতে থাকে বঙ্গসমাজে l সরস্বতী হয়ে ওঠে গৃহদেবী l আশাপূর্ণার গল্পেও এই সামাজিক রূপান্তরের প্রতিবিম্ব আমরা দেখতে পাই l আমি অস্তিত্বে বিশ্বাস করি l আড়ম্বরে নয় l এমন কোনো আড়ম্বর যা বইমেলার মাঠে কোনো ভিন্নধর্মাবলম্বী প্রিয় মানুষকে তার ছিন্নমূল হওয়ার স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাকে এই বোধে উপনীত করতে পারে যে এই পরিসর, এই আচার, তার আপনার নয়, সেই আড়ম্বরকে আমি প্রত্যাখ্যান করি l

    একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরাধ্য কেবল ও কেবলমাত্র শিক্ষাই l তাকে বেদ কোরান বাইবেলের শ্রেণীভুক্ত করা যায় না l যাওয়াটা কাম্য নয় l বিদ্যালয়ে পালনীয় দিবসের লিস্টিতে আজ ঢুকে পড়েছে ‘বিশেষ শিশু’দের জন্যও একটা দিন l ‘দিবস’ পালনের উদ্দেশ্য ওই চৌহদ্দির শিশুদের কাছে, তাদের পরিবারবর্গের কাছে, প্যারেডের মাধ্যমে, জনসভার মাধ্যমে, সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া l তাই ‘হ্যান্ড ওয়াশ ডে’-র সাথে সাথে পালিত হোক ‘জেরিয়াট্রিক ডে’-ও l ওরা বিকশিত হোক l কোনো একদিন ওদের হাত ধরে আমার ভূগোল অনুশীলনীর সিঙাড়া-আকৃতি দেশটা ধর্মের বিভাজন ভুলে গিয়ে প্রগতিশীল হয়ে উঠুক, যার অভিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটারই প্রয়োজন পড়বে না আর !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৩২৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | 127.194.88.87 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৩:৪৩73900
  • অবন্তিকা খুব ভালো লাগলো।

    পুজো তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই। কিন্তু সব ধর্মের উর্ধে ওঠে এই পুজো কে শুধু শিক্ষার্থী দের পুজো য় রুপান্তরিত করার পক্ষে। হিন্দু ,মুসলিম,খ্রিস্টান নির্বিশেষে আমরা সবাই শুধু ই ছাত্র বা ছাত্রী। এই পরিচয় টাই একমাত্র এবং একমাত্র পরিচায় হোক।
  • Tim | 188.89.8.122 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৪:৪৫73901
  • অবন্তিকার লেখাটা ভালো লাগলো।

    শুধু শিক্ষার্থীদের পুজো মানে? সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ধর্মের ঊর্দ্ধে উঠে সরস্বতী পুজো করবে?
  • | 127.194.88.87 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৪:৫৯73902
  • অপশ্যনাল হওয় উচিত। আমাদের বিদ্যামন্দিরে মুসলিম দের প্রেয়ার করা অপশ্যনাল ছিল। কিন্তু তাদের কে বাদ দিয়ে উৎসব নয়।
  • | 127.194.88.87 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:০২73903
  • মানে আরো প্রাঞ্জল করে বলতে গেলে হাজী মহম্মদ মোহসীনের ভাষায় " সবার ওপরে মানুষ সত্য,তাহার ওপরে নাই " ঃ)।

    বুইলে কিনা?ঃ))
  • Tim | 188.89.8.122 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:২০73904
  • না ঃ-)
  • Sibu | 84.125.59.177 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:৩৭73905
  • আমি মোটেই পূজো তুলে দেবার পক্ষে না। ইস্কুলে ইস্কুলে সব ধর্মের পূজোর জন্য দিন থাকা উচিত। একটাই কন্ডিশন, ভাল ভাল পেসাদ থাকা চাই। এমনকি একটা নাস্তিকতা প্রচার দিবসও থাকা উচিত। সেদিন গরু-শুয়োর আরো যে সব খাবার বিভিন্ন ধর্মের পক্ষে অফেন্সিভ সে সব পেসাদ হিসেবে দেওয়া হবে। শুধু খ্রিস্টান আর বৌদ্ধদের খাবার দিয়ে অফেন্ড করা খুব কঠিন। তাদের জন্য কিছু একটা ভেবে বের করতে হবে।
  • | 127.194.87.123 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:৫৫73906
  • এই শিবু দার মাইরি খালি খাবার চিন্তা!! ঃ))
  • | 24.99.203.28 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৬:০২73897
  • চাবুক লেখা।
    আমাদের রচনাবইগুলোতেও সব উৎসব সর্বদাই 'দুর্গাপুজো, দোল, সরস্বতীপুজো' ইত্যাদি।

    বেশ ছয় সাত বছর আগে আমি একবার এই গুরুতেই স্কুলে কেন সরস্বতীপুজো হয়, না হওয়াই উচিৎ ইত্যাদি লিখেছিলাম। পরে শুনি সেই নিয়ে নাকি অন্যান্য ফোরামেও নাকি লোকে সেই পোস্ট উদ্ধৃত করে গালি দিয়ে বেরিয়েছে।
  • একক | 132.167.210.170 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৬:৪৩73907
  • বৌদ্ধ রা ধোঁয়া খেলে অফেন্ডেড হয় । বিশেষ করে মহাযানী হলে তো শুধু মারতে বাকি রাখবে । খেরেস্তান দের নিয়ে একটু চাপ আছে । বাইবেল মতে স্যান্ক্তিফায়েদ করে যে যেকোনো খাবার খাওয়া যায় । তবে কোনো কোনো সেক্টে কাঁচা মাংস খাওয়া ডেভিল'স একট । চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে :)
  • Sibu | 84.125.59.177 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৭:২৭73908
  • ধোঁয়ার গপ্পোটা জানতাম না। কিন্তু ধোঁয়া খেলে আম্মো খুব অফেন্ডেড হব, ওটা চলবে না। সো অন সেকেন্ড থট, বৌদ্ধদের একটা এক্সেম্পশন দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে হিন্দুরা এককালে ওদের বহুৎ মেরেছে।

    তবে খ্রিস্টানরা জেনারেলি কঠিন জীব। ব্যাটারা কার্পাচিও খেয়ে ভূত করে দিল। কাঁচা মাংসে ঐ দু'চারটে সেক্ট ছাড়া আর কেউ চোখের পাতাটিও ফেলবে না।
  • pinaki | 148.227.189.8 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:০৪73898
  • খুব ভালো লাগলো।
  • একক | 132.172.240.223 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:২৯73909
  • বৌদ্ধরা পৃথিবী তে কম মারকাট করেনি :) প্র্যক্তায়সিং বুদ্ধিসম ইস মাচ ওয়েল স্ত্রাক্চার্দ এভিল আইডিয়া দ্যান হিন্দুইস্ম । যাক এখানে এসব ভাট করবনা ।
  • Sibu | 84.125.59.177 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৪৯73910
  • মোটের ওপর ধোঁয়া চলবে না। ঃ-(

    বৌদ্ধদের অফেন্ড করার অন্য রাস্তা বের করতে হবে।
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৫৮73911
  • সবচেয়ে সহজে অফেন্দ কাদের করা যাবে তাহলে?
  • Sibu | 84.125.59.177 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:০৮73912
  • সেটা আমেরিকায় বসে বলা যাবে না। ;-)
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:১৯73913
  • আমি এইমাত্র একটা তিব্বতী উপকথা পড়ছিলাম, তাতে বৌদ্ধদের বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে থ হয়ে গেলাম। ঃ-)
    গল্পে ছিল একজন দানবী এক খুব সাধু চরিত্রের বাঁদরকে দেখে চরিত্র-সৌন্দর্যে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে নানাভাবে সিডিউস করার চেষ্টা করে ফেল মেরে গিয়ে খুব রেগে দাঁত কিড়মিড় করে বলছে এরোম করলে খেলবো না, আমাকে ফেলে যদি চলে যাও তাইলে আমি খুব রেগে যাবো, দুনিয়ার লোকেদের মারবো, আরো নানা ক্ষতি করবো। তখন সেই বাঁদর পৃথিবীর কল্যাণের কথা ভেবে দানবীকে গ্রহণ করতে রাজী হলো। কালক্রমে ওদের সন্তানদের থেকেই সমস্ত তিব্বতী জাতি গড়ে উঠলো।
    বৌদ্ধরা কইলেন ঐ বাঁদর আসলে অবলোকিতেশ্বর আর ঐ দানবী হলেন দেবী তারা। কী চমৎকার বুদ্ধিতে সব তিব্বতীদের মানরক্ষা করে দিলেন! ঃ-)
  • একক | 132.167.222.229 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩৬73914
  • এটা তো সত্যি । ফেমিনিন পাওয়ার স্ট্রাকচার ভীষণ আন ত্রানসগ্রেসিভ । তাকে ডি সেন্টার না করলে সৃষ্টি থেমে যায় ।
  • রোবু | 213.99.211.19 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১০:৪১73899
  • সুন্দর।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৩:০৪73916
  • লেখাটা বেশ ভাল্লেগেছে আর সম্পুর্ন একমত।
    খালি - ঋক বেদে সরস্বতী তুচ্ছ নদীর দেবী মাত্র নয়। সরস্বতী নদী হলো নদী শ্রেষ্ঠ আর দেবী সরস্বতী হলেন দেবী শ্রেষ্ঠ।
  • Ekak | 24.99.129.150 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৩:৪৬73917
  • সরস্বতী থাক । জ্ঞানের দেবী হিসেবেই থাক । তবে মূর্তি উঠে যাক । কে বলে জ্ঞান মানে সুধু "সুশীলা " । কামনার দেবীও তো । সে কামনা কোন কামনা এই তর্কে অনেক শেখার জিনিস আছে । সব রূপ হারিয়ে এই রবি বার্মা মার্কা বাসন্তী শাড়ির বিজ্ঞাপন টা অসহ্য । সরস্বতী মানে অনেক কিছু যা চাপা দেওয়া হচ্ছে । আর মূর্তি উঠে যাওয়া সবচে ভালো । ওখান থেকেই গোল । নরেন দত্ত যতই ভাট বোঝান ভেড়ার পাল মানে ভেড়ার পাল ।
  • sosen | 111.63.232.49 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৬:১২73918
  • আরো প্রশ্ন কিন্তু আছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সাধারণ স্কুলের থেকে আলাদা করে কেন চলবে? কনভেন্ট স্কুলে যীশুর ও মেরির মূর্তির সামনে প্রার্থনা রোজ কেন হবে? মুসলিম মেয়েরা হেডড্রেস পরে স্কুলে গেলে সেটি কেন মেনে নেওয়া হবে?
    প্রশ্নগুলো সর্বতোমুখী হওয়া কাম্য।
  • Ranjan Roy | 132.168.146.137 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৯:১১73915
  • অবন্তিকার লেখাটি কেন আগে পড়িনি? টুপি খুললাম।
  • Ekak | 24.99.99.64 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:০১73937
  • সোসেন ,
    কোন জায়গাতে এক করলুম বলুন । আমিতো তাঁদের কে প্রশ্ন করছি যাঁরা পলিটিক্স স্টাডির সঙ্গে প্রাকটিস এর অধিকার চান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । সেক্ষেত্রে ধর্ম প্রাকটিসে কোথায় অসুবিধে জানতে চাইছি । পরিস্কার করেই বল্লুম আমি পার্সোনালি স্টাডি র জায়গাটা স্টাডি হিসেবেই দেখি । পলিটিক্স স্টাডি হোক । রিলিজিওন স্টাডি হোক । নো প্রাকটিস । পলিটিকাল ফ্ল্যাগ বা ঘটে বেলপাতা দুটোই ওই চার দেয়ালের মধ্যে করায় আমার আপত্তি আছে । বারবার "পার্সোনালি " বলছি কারণ ব্যক্তির বাইরে যা তা প্রশ্ন মাত্র । যে কীভাবে দেখবেন । কীভাবে ভাত মেখে খাবে লোকে বুঝুক ।
  • Ekak | 24.99.99.64 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:০৫73939
  • ওহ , আমিও আগের পোস্ট না দেখতে পেয়ে লিখেছি :)
    কথা প্রসঙ্গে বাইবেল শিক্ষা আমাকে অনেক কিছু ভাবতে শিখিয়েছে । হিউম্যান রাইটস বুঝতে গিয়ে বারবার ওল্ড ক্রিশ্চান টেক্সট এ ফিরে গেছি । ইভেন স্কুলেও অত পড়ায় নি । কৌতুহল টা জাগিয়েছিল ।
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:০৫73938
  • একক, আমি ওই প্যারাটা মিস করে গিয়েছিলাম। একমত। ১৮:২৫ পশ্য।
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৪73940
  • লেখা এবং আলোচনা দুইই খুব ভালো। চলুক।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৩:৩৩73919
  • কিম্বা শিখেরা পাগড়ি পরে, পঞ্চ 'ক' ধারণ করে।
  • jhiki | 233.255.225.68 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৩:৪৮73920
  • সোসেন আর b এর সাথে একমত।
  • Ekak | 132.167.247.254 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৪:২৫73921
  • ব্যাপারটা স্কুলের মধ্যেই বা সীমাবদ্ধ থাকে কেন ? সারা দেশে ছড়িয়ে দিলে হয়না ? সবকিছু আগের মত রেখে শুধু ইস্কুল পাল্টালে কেমং গিনিপিগ গিনিপিগ লাগচে । দেয়ালের ওপারে পুজো -পলিটিক্স । দেয়ালের এপারে শুধুমাত্র মিনারেল ওয়াটারে ধোয়া জ্ঞান চর্চা ! নিও -গুরুবাদের জমি পাক্কা :D
  • contradiction | 131.241.218.132 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৫:১১73922
  • "এই সরস্বতীই তো কিছুকাল আগেও সুশিক্ষিত সমাজে ছিল ম্লেচ্ছ l শিল্পকলার দেবী, তাই পুজো হত মূলত পতিতালয়ে যেখানে মেয়েদের নৃত্য-গীত-বাদ্য নিয়ে চর্চা করতে হত নিয়মিত l ঋগ্বেদে সরস্বতী এক তুচ্ছ নদীর দেবী l মৎসপুরাণ অনুযায়ী এ ব্রহ্মারই নারী অংশ, যার সাথে দেবতা স্বয়ং মৈথুন করে l নারদপুরাণ বলে, সরস্বতীর অনিচ্ছায় এই সহবাস হয়, ফলে ব্রহ্মা কখনো সম্মানীয় দেবতা হিসেবে গণ্য হবে না, অন্যদিকে সরস্বতীকে দেওয়া হবে স্বতন্ত্র ঈশ্বরীর মর্যাদা, যে জ্ঞানেরও অধিষ্ঠাত্রী "
    বেশি দূর যেতে হবে না ,এই গুরু থেকেই উল্টো কথা জানা যাবে - বেশ নির্ভরযোগ্য সুত্র ,এটাও যদি একটু যদি পড়ে নেন :-)
    http://www.guruchandali.com/blog/2014/02/05/1391540547996.html#.UvRoM9KSwVs
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন