এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আঁধারে মলিন হল

    Salil Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ জুলাই ২০১৪ | ১৩৯৬ বার পঠিত
  • কালো একটা ছায়া পড়ে আছে গোটা উপত্যকা জুড়ে। প্রতি মুহূর্তে বন্দুকের নল ক্রূঢ় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে মানুষের দিকে। তুমি আতঙ্কবাদী, তুমি ভারতবিরোধী, তুমি ভারতের পক্ষে, তুমি দেশদ্রোহী, তুমি পাকিস্তানের পক্ষে, তুমি পাকিস্তানবিরোধী, তুমি দেশদ্রোহী, তুমি আমার শত্রু। তোমাকে শায়েস্তা রাখতে হবে।
    ভূস্বর্গের অসামান্য নৈসর্গিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে থাকে ভীতির বাতাবরণে। শুধু প্রহরীদের নয়, তথাকথিত জঙ্গিদেরও কম ভয় পায় না মানুষ।
    আমার খেরোর খাতার মূল বিষয় থেকে একটু সরে এসে লিখছি এটা। অল্প ক’টা কথা।
    আমি এখানে কাশ্মীর প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতে বসিনি। কী ভালো কী খারাপ, কে কোন রাজনৈতিক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন, এসব খুব ভালো বুঝিও না আমি। ক’জন মানুষই বা ভাবেন এসব নিয়ে, আমিও কি ভাবি? আমি নিজেকে সেই “সাধারণ” মানুষদের একজন মনে করি, যাঁরা দিন আনেন দিন খান, অথবা মাস গেলে মাইনে বা কোনো ভাতা নিয়ে ঘরে ফেরেন বা ঘরে থাকেন, পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থাটুকু করতে পারলেই যাঁরা খুশি। সকালে কাজে বেরোবেন, সন্ধ্যেবেলা ফিরে এসে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে শিশুর হাসি দেখবেন, হয়ত সামান্য বিনোদনের মুহূর্ত আসবে কখনো কখনো। আর কীই বা লাগে বেঁচে থাকতে! তাঁদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে জাগিবার কোনো গাঢ় বেদনাবোধ হয়ত কাজ করে না। বা হয়ত করে, সৌন্দর্যের এত ঘনিষ্ঠতা মানুষকে কোনো সংবেদনশীলতা দেয় না? সেটা কি সম্ভব?
    দেখে এলাম, কাশ্মীরের এমন মানুষরা খুব ভালো আছেন তা নয়। খুব ধনী যাঁরা তাঁদের কথা বলছি না। তাঁদের আমি দেখিনি। বাকিরা ভয়ে আচ্ছন্ন সকলেই। সেটা সব মানুষের চোখেমুখে ধরা পড়ে একটু খেয়াল করে দেখলেই। শ্রীনগরের রাস্তায় রাস্তায়, প্রত্যেক সেতুর ওপর, সারে সারে দাঁড়িয়ে আছে প্রহরীর দল, এখানে সেনাদল, তো আর এক জায়গায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এক এক জায়গায় তো সাঁজোয়াগাড়ির সমরসজ্জা। আধুনিকতম অস্ত্র সব জায়গায়। সর্বত্র কাঁটাতার। মাঝে মাঝেই লেখা – আপনার সুরক্ষাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, আমরা গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী।
    আমরা, ভ্রমণকারীরা, এইসব অস্ত্রের লক্ষ্য হয়ত নই, কিন্তু আমাদেরও কেমন গা শিরশির করে, ছবি তুলি না, ভয় পাই। তাহলে ভাবুন, যাঁরা এইসব অস্ত্রের সম্ভাব্য লক্ষ্য, তাঁদের কেমন লাগে।
    যতক্ষণ না অন্য রকম প্রমাণিত হচ্ছে, সব কাশ্মীরী মানুষই আতঙ্কবাদী, এটাই ধরে নেওয়া হবে।
    ফিরছিলাম গুলমার্গ থেকে। ১৭ই মে। মাথায় তখন ঘুরছে সবুজ গলফ কোর্সের মাঝে সরু স্রোতস্বিনী, মিস্টি মিস্টি রঙচঙে সাঁকো, বরফে ঢাকা স্কি করার ঢাল, তার-পথে ঝোলা গন্ডোলা থেকে দেখা বনপথের পাশে ছোটো ছোটো গ্রামের বাড়ি, কানে বাজছে মালবাহক আর ঘোড়াওয়ালা আর স্লেজওয়ালাদের কাতর ডাক। রাস্তায় আটকাল সেনাবাহিনী। পথে গোলমাল। দাঁড়াতে হবে। দাঁড়িয়ে আছি। জানা যাচ্ছে না কী ব্যাপার। রাস্তায় নাকি কারা পথচলতি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। ঘণ্টাখানেক বাদে ছাড়ল গাড়ি। চলতে চলতে এগাড়ি ওগাড়ি থেকে জানা গেল কুঞ্জর নামে এক গ্রামে হচ্ছে অশান্তি। কী নিয়ে? রাস্তায় একটি ধর্ষিতা (জনশ্রুতি) মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জনশ্রুতি আরও বলছে, মেয়েটি ওখানকার নয়, নিচের কোনো গ্রামের। জনশ্রুতি আর থামে না। এবার বলছে, মেয়েটিকে নাকি ধর্ষণ করেছে নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা এবং খুনও করেছে তারাই। সত্যি কিনা প্রমাণিত নয়, মিথ্যা কিনা তাও প্রমাণিত নয়। কিন্তু মানুষজন তো যুক্তির ধার ধারে না। তারা ক্ষেপে গিয়ে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছে। যাই হোক, আমরা গাড়ি নিয়ে এগোলাম। কিন্তু কুঞ্জরের কাছে পৌছোনোর আগেই আবার থামতে হল। দূরে দেখা যাচ্ছে ভীড়। একটু দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দূরে দেখা গেল, ছোট্ট একটা বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। প্রমাদ গুনে আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে ছুট দিলাম পেছন দিকে। কী করা যাবে! বেশ খানিক পিছিয়ে একটা চায়ের দোকানে দাঁড়ালাম আমরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে জানা গেল সেনাবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে রাস্তা সাফ করেছে। আমরা আবার চললাম শ্রীনগরের দিকে। ধর্ষিতা মৃত মেয়েটির কী হল, অপরাধীদের কী হল ... কে জানে! কোনো খবরই হল না কোথাও। শুধু, কুঞ্জর পেরোতে পেরোতে দেখলাম দু’পাশে অনেকগুলো ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ মুখ।
    একুশে মে তারিখে আমরা শ্রীনগরে। বেড়াতে যাব সোনামার্গ। গাড়ি বেরোলো হোটেল থেকে, একটা থমথমে শহরে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সশস্ত্র প্রহরা, কাঁটাতারের বেড়া। মোড় পেরোলেই কিছু কিছু জটলা। সকলের মুখে চোখে সন্ত্রস্ত উত্তেজনা। দোকানপাট সব বন্ধ। চালক জানালেন, আজ শহীদ দিবস। মনে পড়ল, এই ক’দিনে দেখেছি শহীদ দিবস পালন করুন বলে হোর্ডিং পোস্টারের বিভিন্ন চেহারা। কেন? এই দিন ১৯৯০ সালে নরমপন্থী হুরিয়াত সভাপতি মিরাওয়াজ মৌলভী মহম্মদ ফারুখ, তখন কাশ্মীরের ধর্মপ্রধান, খুন হয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। আবার এই তারিখেই ২০০২ সালে খুন হয়েছিলেন আরও একজন নরমপন্থী হুরিয়াত নেতা, আবদুল গণি লোন। তাই শহীদ সপ্তাহ পালন। আর। ১৯৮৯ থেকে যত কাশ্মীরী শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মৃতিরক্ষার্থেও।
    সেদিন, মানে আজ, মানে ১৯১৪ সালের ২১শে মে, তাই বড় মিছিল বেরোবার কথা শ্রীনগরে। সে মিছিল বেরোতে দেওয়া হবে না। তাই সমরসজ্জা, তাই মনে পড়ে যাচ্ছে মণিভূষণের পংক্তি, এখানে শুধু প্রহরী আছে, বাতাস নেই, চাবুক মেরে উল্টে দিচ্ছে থালা, এখানে পোড়া দিনের আঁচে জ্বলছে পাঠশালা ...।
    অনেক ঘুর পথে, সোনামার্গের অপার্থিব সৌন্দর্য কয়েক ঝলক দেখে, থাজওয়াস হিমবাহে ক্ষণিক পা রেখে, যখন ফিরছি, আবার ঘুর পথে, চালকের সতর্কবাণী মেনে নিয়ে, দেখলাম হজরতবালের আশেপাশে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ফটকে, তখনও সকালের মতই ফৌজি অবস্থিতি। শোনা গেল, সকালে কোনো কিসিমের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন তিন জন কাশ্মীরী যুবক। এসব টুকটাক হত্যার খবর নিয়ে আর হট্টগোল করে না কেউ। নেহাতই জলভাত।
    এবারে মুদ্রার উল্টো পিঠের কথা একটু বলি।
    আমার অনেক বদ অভ্যাসের মধ্যে একটা হল সুরাপান। সপ্তাহে একবার-দুবার ছেলেবেলার বন্ধুদের সঙ্গে বসে, খুব পরিমিত পরিমাণে। এর মধ্যে আমি কিছু অন্যায় দেখি না। বেড়াতে গেলে, মানে বাংলায় যাকে বলে ‘ভেকেশন’এ গেলে, অনুপাতটা সামান্য বাড়ে, কিন্তু এতো বাড়ে না যে বোতল সঙ্গে নিতে হবে। যেখানে যা পাই তাই দিয়েই চালিয়ে নিই।
    কোন কোন ধর্মের অনুশাসনে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু সে নিষেধ মেনে চলে খুব কম লোকে। মাতাল হয়ে মদ্যপ আচরণ করা নিশ্চয় সমাজবিরোধী কাজ, কিন্তু মদ খাওয়ার ব্যক্তিগত অভ্যাসে ধর্মীয়-রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়, বিশেষ করে সেটা যদি ভীতিপ্রদর্শন আর বলপ্রয়োগের দ্বারা বহাল করা হয়।
    গুলমার্গে খোঁজ করিনি। শ্রীনগরে হাউসবোটে জানলাম বিয়ার পাওয়া যাবে না। পেলেও গোপনে। শিকারা থেকে এক লুকিয়ে কেনা যেতে পারে। পহেলগামেও তাই। গোপনে বেশি দামে পাওয়া যেতে পারে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘ইধার পিনেওয়ালা কোই নেহি হ্যায়?’ উত্তর এলো, ‘বহুত হ্যায়, পর উও ব্ল্যাক মে খরিদতে।‘ শ্রীনগরে ফিরে সেই একই কথা। হোটেল বললো, বাইরে থেকে এনে খেতে পারেন, এখানে কেউ এনে দেবে না। কেন? একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। সরকারী? না। তাহলে? কেউ খায় না? বলতে পারব না। সোনামার্গ থেকে ফেরার সময় চালককে বললাম, শ্রীনগরের মত শহরে মদ পাওয়া যায় না, হতে পারে? ঠিক, দুয়েকটা দোকান আছে সরকারী, তা ছাড়াও পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে আমরা যেতে পারব না। কেন? নিজের দাড়ি দেখিয়ে চালক বললেন, এই জন্য। আমি দেখিয়ে দেব দূর থেকে, আপনি নিয়ে আসবেন। জানাজানি হলে আমার বিপদ হবে। এর চেয়ে বেশি বলতে পারব না। চুপ করে গেলাম। চালকের মুখের অসহায় হাসিতে খানিকটা ম্লান হয়ে গেল লিডার নদী, আরু আর বেতাব উপত্যকা, চন্দনওয়ারি, আর অনেক দূরের অমরনাথের হাতছানি।
    সেদিন বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে শালিমার গার্ডেন ইত্যাদিতে যাওয়া গেল না। এমনকি বাদাম আখরোটও কেনা গেল না। গেলাম লাল চক, কিছু যদি কেনাকাটা যায়। সে সব সেরে আমরা ঢুকলাম একটা শরবৎ আইসক্রীমের দোকানে। খেতে খেতে মনে হল একবার পরীক্ষা করে দেখি এরা কী বলে।
    কম বয়সী একটি ছেলে কাউন্টারে ছিল। বললাম, এখানে কোথাও ‘ড্রিংকস’ কিনতে পাওয়া যাবে? মুচকি হেসে ছেলেটি বলল, যাবে। আমি বলতে যাব, কোথায় পাবো, ক্যাশবাকসোর সামনে বসে থাকা দুই মধ্যবয়সী ব্যক্তির একজন ধমকে উঠলেন ছেলেটিকে, কী বলছ কী, ওসব এখানে পাওয়া যায় না ...। না, এখানে বলছি না ... অন্য কোথাও? সে আমরা বলতে পারব না। অন্যজন তুলনায় নরম স্বরে বললেন, আসলে এখানে এনিয়ে কিছু সামাজিক বারণ আছে, তাই আমরা এনিয়ে কথা বলছি না। সরকারী বারণ? না, সরকারী নয়। যাই হোক ...।
    চালকের কথা মনে পড়ল। দাড়ি দেখিয়ে বলছেন, এই কারনে পারব না কিনতে যেতে, আমাকে অনেক জায়গায় যেতে হয়, সাবধানে চলতে হয়। মনে পড়ল, আগেও শুনেছি, স্বর্গীয় উপত্যকায় নানা রকম নিষেধাজ্ঞা আছে। মেয়েদের উপর বেশি। গান গাওয়া অপরাধ, মাথা না ঢাকা অপরাধ, বোরখা না পরা অপরাধ। পুরুষরাও নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত নন। অনুশাসন মেনে চলতে হয় তাঁদেরও। মদ না খাওয়া তার একটা। অথচ গোপনে সবই চলে। বাইরে নিয়ম মেনে চলা, ভিতরে ভিতরে ইচ্ছে মত চলা। যাঁরা ফতোয়া দেন তাঁরা জানেন না একথা। ঠিকই জানেন। ভিতরে ভিতরে ভণ্ডামী আর দ্বিচারীতা চলতেই থাকে। ভয়ের বাতাবরণ জোরদার হয়, চলতেই থাকে উপত্যকায় বাহুবলির শাসন। সাধারণ কাশ্মীরীর কথা কেউ জানতে চায় না, শুনতে চায় না কেউ, কী তাঁরা চান। একদিকে ‘নিরাপত্তা’ বাহিনী, অন্যদিকে জঙ্গিরা, কার কথা শুনবেন তাঁরা? সকলেই জানে, মদের কালোবাজার রমরমিয়ে চলে সীমান্ত প্রহরীদের ছাউনি থেকে সবচাইতে বেশি।
    সিন্ধু নালা দেখে মনে পড়ে, অনন্ত ইতিহাসের কথা। ডাল লেকের জলে ভ্রমণকারীদের প্রমোদের আলো নানা রঙ রামধনু তৈরি করে চলে। এদিকে সন্ধ্যার আলোয় ঝিলমিল করে ঝিলম নদীর স্রোত। সেই তলোয়ার খাপে ঢাকা থাকে, মলিন লাগে তার চেহারা। কিন্তু সে খাপে ঢাকা, ভোঁতা তো নয়। যেদিন খাপ থেকে বেরোবে, সেদিন উপত্যকার মানুষের কথা শুনবে সকলে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ জুলাই ২০১৪ | ১৩৯৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কমলাদি - Salil Biswas
    আরও পড়ুন
    সুগন্ধ - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Salil Biswas | 52.106.175.152 (*) | ০১ জুলাই ২০১৪ ০৮:২৭74614
  • লেখাটা
  • Salil Biswas | 52.106.175.152 (*) | ০১ জুলাই ২০১৪ ০৮:৩৩74615
  • লেখাটা খুব ভালো লাগলো.
  • sosen | 125.241.7.28 (*) | ০২ জুলাই ২০১৪ ০৩:০৪74616
  • দেখি তো
  • TUHIN GANGOPADHYA | 212.78.234.230 (*) | ০২ জুলাই ২০১৪ ০৫:৩৮74617
  • VA LO LAGLO
  • ranjan roy | 24.99.152.249 (*) | ০২ জুলাই ২০১৪ ০৭:১৩74619
  • ভালো লাগল এই গ্রে-এরিয়াটা ধরা। সবাই নিজের মত করে নিয়ম বানায়, দেশের দশের ভালো করবে! সবাই দাবি করে আমিই ঠিক!
    সামরিক বাহিনী ও জঙ্গি --সবাই!
    তিনো ও সিপিএম --সবাই!
  • aranya | 154.160.5.25 (*) | ০২ জুলাই ২০১৪ ১০:৫৭74620
  • বেশ লেখা
  • শ্যামলেন্দু মজুমদার | 127.194.46.208 (*) | ০২ জুলাই ২০১৪ ১১:৩৬74618
  • এইটাই তো স্বাভাবিক এই ভারতবর্ষে। যত ধর্ম তত ভন্ডামো, যত রক্ষনশীলতা তত গোপন পাপাচার।
  • বুড়া | 113.18.171.61 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৪ ০৭:৪২74621
  • এইটাই তো স্বাভাবিক এই ভারতবর্ষে। যত ধর্ম তত ভন্ডামো, যত রক্ষনশীলতা তত গোপন পাপাচার।

    দাড়িওয়ালা অর্থাৎ মুসলমানদের ওপর জঙ্গীদের নিষেধ আছে মদ খাওয়া-কেনা-বেচা বিষয়ে। অমান্য করলে প্রাণটা যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন