এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • ফকির ফয়জুল্লাহ - ষষ্ঠ পর্ব

    মুরাদুল ইসলাম
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪ বার পঠিত

  • ছবি: জ্যোতিষ্ক দত্ত



    অধ্যায় এগারো


    হার্মিসের এইরকম অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তালাশ মাহমুদের মাথা খারাপ হবার দশা হলো। তার একমাত্র নিত্যসঙ্গী, প্রিয় কুকুর হার্মিস, এই প্রাণীটার প্রতি কার আক্রোশ থাকতে পারে?

    শান্ত, বিশ্লেষণী মনোভাবের তালাশ মাহমুদের ভেতরে একটা একরোখা, বেপরোয়া ভাব আছে। এটা সচরাচর দেখা যায় না। হার্মিসের মৃত্যুতে সেই ভাবটা জেগে উঠলো।

    জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও তালাশ মাহমুদের হার্মিসের হত্যাকারী খুঁজে বের করবেন।

    তিনি এবার যখন গেলেন দীঘির পাড়ের পাথরগুলার ওখানে, সাথে তার পিস্তলটা নিলেন। লালফর এবং ববও চললো তার সাথে।

    দীঘির পাড়ে গ্রামের অনেক মানুষ জড়ো হয়েছেন। কালু সর্দারের লাশ এখনো ওখানে পড়ে আছে, মাথা শুকনাতে, পা পানিতে।

    তালাশ মাহমুদ, বব ও লালফরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল কয়েকজন লোক ওই পাথরটার কাছে, যেখানে হার্মিসের মৃতদেহ মিলেছে।

    বব বললো, এটা এখানকার সবচাইতে বড় পাথর। এর সবুজ রঙ কিন্তু শ্যাওলা না, এর রঙটাই সবুজ। এইগুলা, ওদের বিশ্বাস পোর্টাল হিশাবে কাজ করে নানা মাত্রায় যাবার।

    তালাশ মাহমুদ একেবারে কাছে গিয়ে বসলেন। তিনি তীক্ষ্ণ চোখে দেখতে লাগলেন, ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কাটা হয়েছে, বেদী রক্তে লাল হয়ে গেছে।

    লালফর পা টেনে টেনে কাছে এসে বলল, এইটা ওই ফকিরের কাজ স্যার।

    বব বললো, আমরা রাতে জঙ্গলে ওর ঘরের আশপাশে গিয়েছিলাম। তার শব্দ শুনে নিশ্চিত হয়েছি এ কোন প্যাগান কালো দেবতার উপাসনা করে। তারই অংশ হিশেবে আজ হার্মিসের এই স্যাক্রিফাইস, এবং ওই লোকটার মৃত্যু।

    এদিকে দীঘির পাড়ে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যেও ফকির ফয়জুল্লাকে নিয়ে অসন্তোষ ছিলো। তারা কমবেশি জানতো কালু সর্দারের আক্রোশ ছিলো ফয়জুল্লার প্রতি।

    তালাশ মাহমুদ উঠে বললেন, তাহলে এখনই গিয়ে ওকে ধরা যাক।

    লালফর পা টেনে টেনে মানুষদের সামনে গিয়ে বলল, ভাইয়েরা, এই ফকির লোকটা এইসব করতেছে আপনাদের গেরামে। আমরা এখন যাইতেছি তারে ধইরা আনতে। আপনারা কি যাবেন না?

    হইচই শুরু হয়ে গেল। লাঠি সোঁটা যে হাতের কাছে যা পেল তা নিয়ে নিলো। সামনে তালাশ মাহমুদ তার পিস্তল হাতে নিয়ে, তার সাথে বব, এবং লালফর মিয়া।

    জঙ্গলের ভেতরে বহু পুরনো এক ভাঙ্গা বাড়িতে ফকির ফয়জুল্লা থাকেন। এর দরজা আছে কোনোমতে, ভেজানো থাকে, ভেতর থেকে বন্ধ করার ব্যবস্থা নেই।

    বাড়ির সামনে গিয়ে লালফর মিয়া হুংকার দিলো, ওই ফকির বাইর হ!

    উপস্থিত লোকসকল চিৎকার করে উঠলো।

    হইচইয়ের শব্দে বের হয়ে এলেন ফকির ফয়জুল্লা। তার গায়ে মলিন শাদা আলখেল্লা, মাথার চুল দাঁড়ি লম্বা শাদা, হাতে বাঁকানো কালো লাঠি।

    তিনি বের হয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চারপাশ দেখলেন। একসময় চোখ রাখলেন তালাশ মাহমুদের দিকে।

    এই প্রথম তালাশ মাহমুদ ফকির ফয়জুল্লাকে সরাসরি দেখছেন।

    ফকির ফয়জুল্লা তার দাড়ি গোঁফ নাড়িয়ে নিঃশব্দে হাসলেন।

    বললেন, তা আপনেরা এইখানে কি মনে কইরা আসছেন ভ্রাতৃবৃন্দ?

    প্রিয় হার্মিসের মৃত্যু বা অন্য কোন কারণে লালফর মিয়া অনেক উত্তেজিত ছিল। সে বলল, ওই ফকির, তর ধান্দার দিন শেষ। তুই আইজ আমাদের কুত্তারে মারছস, একজন লোকরে খুন করছস। এই গেরাম থেইকা তরে লাইত্থাইয়া বাইর কইরা দিব আমরা।

    উপস্থিত জনতা লাঠি সোঁটা উঁচিয়ে হইহই করে উঠলো।

    কেবল একটা নির্দেশের অপেক্ষা, নির্দেশ পেলেই যেন তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে এমন অবস্থা।

    তালাশ মাহমুদ তীক্ষ্মভাবে খেয়াল করলেন, ফকির ফয়জুল্লার চোখমুখ শক্ত হয়ে গেল। ফয়জুল্লাহ তার লাঠি দিয়ে মাটিতে একবার আঘাত করলেন, এবং হুংকার দিলেন, বান্দির পুতেরা!

    জঙ্গলে হুড়মুড় করে কোত্থেকে যেন বাতাস ছুটে এলো সহসা। ফকির ফয়জুল্লার চুল দাড়ি উড়তে লাগলো সেই বাতাসে। মানুষেরা হকচকিয়ে গেলো।

    ফকির ফয়জুল্লা বলতে থাকলেন, এই ফকির ফয়জুল্লা সময়ে সময়ে, স্থানে স্থানে ঘুইরা এইখানে আসছে, আর তোরা তারে বাইর কইরা দিবি? কয়দিনের জিন্দেগী তদের? কারে কী কস? সব ক'টারে একবারে খাইয়া ফেলবো!

    পুরা জঙ্গল যেন গম গম করছিলো ফকির ফয়জুল্লার স্বরে।

    উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো।

    তালাশ মাহমুদের দিকে তাকিয়ে ফকির ফয়জুল্লাহ বললেন, এদের নিয়া যান। কী বালের তদন্ত করেন আপনে? কোন প্রমাণে এখানে আসছেন দলবল নিয়া? প্রমাণ থাকলে আইসেন, আমি নিজেই ধরা দিব।

    তালাশ মাহমুদ বললেন, কিন্তু আপনে কে? এই গ্রামে কী করছেন?

    ফকির ফয়জুল্লা বললেন, আমি কে এইটা জানতে কি আসছেন দলবল নিয়া? আমি ফকির ফয়জুল্লা, আমি স্থানে স্থানে ঘুরি, সময় থেকে সময়ে গতান্তরিত হই। আমার কাজ শেষ হওয়ার আগে আমারে কেউ সরাইতে পারব না। এইখান থেকে দূর হন।

    ফকির ফয়জুল্লা উত্তরের অপেক্ষা না করে, তাদের তাচ্ছিল্য করেই ভেতরে চলে গেলেন।

    ইতিমধ্যে একজন লোক এসে তালাশ মাহমুদকে জানালো ইদ্রিস আলীর লোকজন এদিকে আসছে ফকিরকে বাঁচাতে।

    বড় একটা ঝামেলা বেঁধে যাবে, এবং ফকিরের বিরুদ্ধে যেহেতু কোন প্রমাণ নাই তাই তালাশ মাহমুদ পিছু হঠলেন।

    কিন্তু বব ও লালফর মিয়া তাকে বার বার অনুরোধ করছিলো আজই সুযোগ ফকিরের শেষ দেখে নেবার।

    তাদের এই মরিয়া অনুরোধে তালাশ মাহমুদের মনে আরেকটা খটকা তৈরি হলো।



    অধ্যায় বারো


    ওইদিন গ্রামের মানুষ প্রায় দুইভাগ হয়ে গেলো। বেশীরভাগ মানুষ চায় গ্রাম থেকে যেন ফকির ফয়জুল্লাকে বিতাড়িত করা হয়। তার জন্য গ্রামে অশুভ কিছু হবে। এদের নেতৃত্বে ইমাম কেরামত মোল্লা। কেরামত মোল্লা জানেন তার পেছনে আশরাফ আলী খানের হাত আছে, তাই তার সাহস বেড়ে গেছে অনেকগুণ।

    অন্যদিকে, ছোট একাংশ যারা ইদ্রিস আলী মাতবরের দলের। এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু ভীতু লোকসকল, যারা মনে করে ফকিরকে গ্রাম থেকে খেদালে আরো বড় বিপদ আসবে।

    কয়েকদিনের মধ্যে যে বিরাট সিন্নির আয়োজন হবে, তারই প্রস্তুতি হচ্ছে আশরাফ আলী খানের বাড়িতে। তিনি উঠানে বসে তার তদারকি করেন দিনের বেলায়।

    সুযোগ বুঝে তার কাছে একবার গেলেন ইমাম কেরামত মোল্লা। পরিস্থিতি সংক্ষেপে বললেন, হুজুর যদি অনুমতি দেন তাইলে এইবার ইদ্রিস আলী সাহেবরে একটু দেখে নিতে চাই।

    আশরাফ আলী খান হাত তুলে সম্মতি দিলেন।

    তার মনে আনন্দ হলো। তিনি কেরামত মোল্লাকে চিনতে ভুল করেন নি।

    কেরামত মোল্লার নেতৃত্বে গ্রামের লোকেরা ইদ্রিস আলী মাতবরের কাছে বিচার নিয়ে গেল ফকিরের বিরুদ্ধে।

    একদল মুরুব্বী এবং যুবক লোকদের নিয়ে গিয়ে সে বলল, আপনে গেরামের মাথা ইদ্রিস সাহেব। আপনার গেরামে এইরকম নাফরমানি বেশরিয়তি কাজ ক্যামনে হয়? এই ফকির না মানে আল্লা খোদা, না পড়ে নামায। শয়তানরে আল্লা মানে, পূজা করে। কুত্তাটারে কাইটা মাইরা ফেললো। আপনে কী এর একটা বিহিত করবেন না?

    ইদ্রিস আলী শান্তভাবে বললেন, ঠাণ্ডা হও ইমাম। উনি যে করছেন তার কি প্রমাণ আছে?

    কেরামত মোল্লা বলল, আপনে আর কী প্রমাণ চান মাতবর সাব? সব লোকে সাক্ষী, কালু সর্দারের লাশ সাক্ষী?

    কেরামত মোল্লা তার সাথের লোকদের দিকে তাকিয়ে বলল, কী মুরুব্বীয়ান ও যুবক ভাইয়েরা, আপনেরা কি সাক্ষী না?

    সবাই সমস্বরে বললো, জি জি, আমরা ওই ফকিরের শয়তানি দেখছি।

    ইদ্রিস আলী বাটে পড়ে গেলেন। এই লোকেরা এইভাবে তার সামনে এসে একস্বরে ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারতো না ইমাম কেরামত মোল্লার নেতৃত্ব ছাড়া। কেরামতের এতো সাহস কীভাবে হলো? সে ফকিরকে দেখতে পারে না সবাই জানে। কিন্তু এখানে কি কেবল ধর্মের কারণেই এসেছে, নাকি অন্য কেউ এর পেছনে আছে?

    ইদ্রিস আলী বললেন, আচ্ছা, আমি ফকির বাবার সাথে কথা বলতেছি।

    কেরামত মোল্লা বললেন, মাতবর সাব, কথায় হবে না। গ্রামবাসী হিসাবে আমাদের দাবী একটাই, গ্রামে কোন অশুভ জিনিস থাকতে দেয়া যাবে না।

    উপস্থিত মানুষেরা এই কথার সাথে সায় জানালো।

    ইদ্রিস আলী তাদের কথা দিয়ে শান্ত করে ফেরত পাঠালেন। এরপর চললেন ফকিরের আস্তানার দিকে।

    ইদ্রিস আলী সাথে দুইজন লোক নিয়ে এসেছেন ফকিরের জঙ্গলের ঘরে।

    বাইরে থেকে ডাক দিলেন, আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আমি ইদ্রিস হুজুর, আপনে কি ঘরে আছেন?

    শাদা আলখেল্লা, শাদা দাড়ি চুলের ফকির ফয়জুল্লা বেরিয়ে এলেন একটু পরে, হাতে বাঁকানো কালো লাঠি।

    এসে বললেন, কীরে তুই আসছস! আমারে খেদাইয়া দিতে আসছস?

    ইদ্রিস আলী দৌড়ে গিয়ে ফকিরের পা ছুঁয়ে সম্মান জানালেন।

    বললেন, বাবা আপনারে খেদাইয়া দেয় এমন সাধ্য কার আছে! এই পুরা দুনিয়াই তো আপনের বাবা। আপনে আল্লার খাস বান্দা। গায়েবের খবর আপনে রাখেন।

    দরজার সামনে বসে পড়লেন ফকির ফয়জুল্লা। তার পায়ের কাছে বসলেন ইদ্রিস আলী। তার সাথের দুইজন লোক একটু দূরে দাঁড়িয়ে।

    ফকির ফয়জুল্লা বললেন, তোর তো বিপদ রে পাগলা। লোকেরা আমারে বাইর কইরা দিতে কয় না?

    ইদ্রিস আলী বললেন, জি হুজুর। কিন্তু আমি জান গেলেও এইটা করব না। আমার জান আপনে আইনা দিছেন, আমি আপনার আজীবনের দাস হুজুর।

    ফকির ফয়জুল্লা বললেন, জান নেয়া দেয়ার মালিক আল্লাহ পাক। আমরা তো উছিলা মাত্র। উছিলা বুঝছ?

    ইদ্রিস আলী বললেন, জি হুজুর, আপনে ছিলেন উছিলা।

    ফকির ফয়জুল্লা বললেন, আমি হইলাম এক কাঠের ভেলা, ভাইসা যাইতেছি সমুদ্রে, তোমরা কেউ কেউ এর উপরে উইঠা পার পাইবা।

    ইদ্রিস আলী ভক্তিতে আবার ফকিরের পা ছুঁয়ে বললেন, সবই আপনার দয়া হুজুর।

    এরপর একটু থেমে ইদ্রিস আলী বললেন, হুজুর, শহর থেকে যে আসছে আশরাফ আলী ও তার ভাই, এরাই ঝামেলাটা করতেছে। গেরামে গেঞ্জাম করতে চায়। আমার পাওনা জায়গা জমি দিতে চায় না। এখন এইসব নিয়াই চাল চালতেছে।

    দাড়ি গোঁফের জঙ্গল নাড়িয়ে নিঃশব্দে হাসলেন ফকির ফয়জুল্লা।

    বললেন, আমি তো তার অপেক্ষাতেই ছিলাম রে পাগলা। সে যে এইখানে আসবে তা বহুকাল আগেই ঠিক হইয়া থাকা। এইখানে আমার কাজ শেষ হইতেছে। বেশিদিন আর তরে জ্বালাব না।

    ইদ্রিস আলী বললেন, বুঝতেই তো পারতেছেন হুজুর, গ্রামের মানুষদের খেপাইয়া তুলছে। আমি কী করব, আপনে বলে দেন।

    ফকির বললেন, আমি সব দেখতেছি। তুই খালি ইমাম কেরামতরে দেখ। আর এখন যা তুই, আমার অনেক কাজ বাকী।

    ফকির ফয়জুল্লা উঠে ভেতরে চলে গেলেন।




    ক্রমশ... ... ... (আগামীকাল)




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:c832:e12c:de9:1461 | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৫530642
  • দারুণ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন