এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • উৎকর্ষ বলব ?

    জিগীষা ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ২৮১০ বার পঠিত
  • এন্ট্রান্স দেওয়ার সময় কলেজে ঢুকেই চোখ আটকেছিল স্লোগান আর পোস্টারে , কিছু মুছে দেওয়া, কিছু উঠে যাওয়া , কিছু আবার নতুন নতুন দাবির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া । হাঁ করে দেখেছিলাম, এই সেই প্রেসিডেন্সি ! এইখানেই লোকে ধর্মপালনের মত করে রাজনীতি করে ! এই দাদা দিদিরা যারা প্রচণ্ড ব্যস্ত হয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে এরাই কি তবে "ইউনিয়নের দাদা দিদি" !
     তারপর ভর্তির পর্ব , আবার অবাক চোখে কলেজ থুড়ি বিশ্ববিদ্যালয়টাকে দেখা । হেরিটেজ দেওয়ালগুলোর ওপর বড় বড় করে লেখা “RESPECT EXISTENCE OR EXPECT RESISTANCE” কখনো "একটি কুঁড়ি মাতাল হয়ে বারুদ গন্ধে ফুটবে কবে, সারা শহর উথাল পাথাল ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে . . . "  কখনো বা “হাল্লা বোল” সব মিলিয়ে তো রক্তচাপ একেবারে একশো আশি ছোঁয় ছোঁয় ! তখন কে জানত পিকচার আভি বাকি হ্যায়! বলিউড ফিল্মে যেমন স্টুডেন্টরা পড়াশুনো ছাড়া বাকি সবকিছু করে বেড়ায় তেমনি এখানেও ছাত্র রাজনীতিতে ইলেকশান ছাড়া আর সবকিছু অ্যালাউড।সবই নাকি উৎকর্ষের কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য !
    কেলাস শুরু, সবে দু’মাস হল স্কুলছুট আমার কলেজলাইফ শুরু । কলেজের প্রতিটা খিলান, সিঁড়ি, করিডোর আমার সঙ্গে এক ঝুলি গল্প করে, কান পাতলেই শুনতে পাই নব্যবঙ্গীয়রা খলবল করছে,বন্ধুরা ব্রেকে বেশি চেঁচামেচি করলে মনে হয় এই বুঝি মেন বিল্ডিং এর কোনা থেকে আচার্য জগদীশ বসু ধমক দিলেন, তার যে এখনও বেতার তরঙ্গের গবেষণা চলছে ! আরেক বসু সুভাষচন্দ্র এই বুঝি দেশপ্রেমের চোটে মেন বিল্ডিঙের সিঁড়ি থেকে এক লাথি মারছেন অধ্যাপক ওটেন সাহেবকে ! আর সেই চিরবৃদ্ধ প্রফুল্ল চন্দ্র, কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের একটা মেয়ে তো সে বুড়োর প্রেমে পড়েছে ! কী মুশকিল !
     
    যাই হোক ! একে একে সেই 'ইউনিয়নের’ দাদা দিদি দের সঙ্গে আলাপ হতে শুনলাম , ওম্মা ! ইউনিয়নই নেই, আর ইউনিয়নের দাদা দিদি! জাঙ্গিয়ার আবার বুকপকেট! তো যাই হোক সেই ইউনিয়ন করা সিনিয়রদের থেকেই গল্প শুনি হাঁ করে (আসলে আমি বড্ড হাঁ করা, নইলে কলেজে বারিস্তার আউটলেট দেখে হাঁ করি!) ইউনিয়ন থাকার সময় কলেজটা কেমন ছিল . . . ঠিক ফিল করে উঠতে পারিনা । আমরা ফার্স্ট ইয়াররা কেউই এটা পারিনা খুব, অভ্যস্ত হয়ে গেছি তো, এই দু বছরে, দিব্যি চলছে কলেজ থুড়ি ইউনিভারসিটি , শুধু ফেস্ট টা হচ্ছেনা এই যা দুঃখু সবার । কিন্তু সত্যিই কি তাই? আমাদের ক্লাসরুমের সমস্যা একইরকম, একটা উড বি ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইউনিভারসিটিতে নেই কোনও সস্তা ক্যান্টিন, নেই সস্তা খাতাবইয়ের দোকান , নেই স্টুডেন্টদের জন্য ইন্টারনেটের সুবিধা . . . এরকম গাদা গাদা নেই-এর খবর একটু এদিক ওদিক কান পাতলেই পাওয়া যায় । এদিকে কথা নেই বার্তা নেই চলছে নতুন প্রফেসর নিয়োগ ও পুরনো প্রফেসর বদলি । তাও আবার ডেমো ক্লাস না নিয়ে, আর এই প্রফেসরদের ‘এক্সেলেন্স’ নিয়ে কানাঘুষো তো ইউনিভারসিটির আনাচে কানাচে! শুনছি লাগু হবে CET(Common Entrance Test) । নিজের home university-তে স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ আর থাকবে না ।  তার ওপর এই পরীক্ষা নাকি হবে MCQ । আমি , এক ইঞ্জিরি অনার্সের ছাত্রী প্রশ্ন পাবো, কিটসের পুরো নাম কি? জন , মদন নাকি আরাবুল !  তাই নিয়েও ধোঁয়াশা । সবার অজান্তে বসছে প্রাইভেট গার্ড , হেরিটেজ বিল্ডিঙের বিউতিফিকেশানের ঠ্যালায় ঘষে ঘষে পোস্টার তুলে দেওয়া দেওয়ালটার গায়ে ঝলমল করছে আলোর মালা, আরও কত কি! ছাত্রদের কোনও অফিশিয়াল বডি নেই, ফলে জানার উপায়ও নেই । কখনও statute body, কখনও সংঘর্ষের ভাঁওতা দেখিয়ে স্থগিত রাখা হচ্ছে নির্বাচন । পাঠানো হচ্ছে এমন সার্কুলার যার কোন ভিত্তিই নেই । সজ্জনে বলে সবই নাকি উৎকর্ষের কেন্দ্রস্থান হয়ে ওঠার জন্য, সবই নাকি মেন্টর গ্রুপের দয়া , আর নিন্দুকে বলে এসবের কারণ নাকি এই আট বিঘের ক্যাম্পাসে ঘাসফুলের ছিটেফোঁটাও না দেখা যাওয়া! এদিকে বছর বছর স্টুডেন্টদের থেকে নেওয়া তিনশো টাকা ইউনিয়ন ফীজ কোন ভাঁড়ারে জমা হচ্ছে তা প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী (!) বাবা বিবেকানন্দই জানেন!
     রাজ্য সরকার বলেছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র আন্দোলন । তাই নাকি নির্বাচন বন্ধ । দুঃখজনক হলেও সত্যি, রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট ছাত্র সংগঠন দুটির সংঘর্ষে এবছরে আহত যদি অন্তত তিনহাজার জন হয় তবে প্রেসিডেন্সির দশ বছরের ছাত্র সংঘর্ষে আহত টেন্ডস টু জিরো । তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ কর, তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ কর তারবেলা ?!
     সে হনুমানও নেই, সে কলাও নেই । ফলে, অনভ্যস্ত ফার্স্ট ইয়ার আমাদের পক্ষে বুঝে ওঠা সত্যিই কষ্টকর যে ইউনিয়ন না থাকা মানে দিন দিন আমাদের কথা বলার ন্যূনতম অধিকার চলে যাওয়া । প্রেসিডেন্সির ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহ্য সাতচল্লিশ থেকে সত্তর পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক,  তাকে রক্ষার দায় যদি নাও বোধ করি, তাও, নিজেরা হেসেখেলে নিজেদের ক্যাম্পাসটায় বেঁচে থাকার জন্যই বোধয় একটা সুস্থ স্টুডেন্ট’স বডি প্রয়োজন । যা হচ্ছে হোক যদি চলতে থাকে , তেমন হাল হবে নাতো ,  নীম্যোলার যেমন বলে গেছিলেন , ওরা যখন ধরতে আসবে তখন কেউই থাকবে না যে প্রতিবাদ করবে . .
    এইসব সাতপাঁচ ভেবে সময় নষ্ট না করে কিছু একটা করে ফেলা দরকার এটা আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল । তার ফলাফল হিসেবেই প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীদের একাংশের তরফ থেকে দীর্ঘকালীন ধর্না , ভিসি , রেজিস্ট্রার, ডিনকে ঘেরাও, অবস্থান ইত্যাদির পর আশ্বাস মিলল বহু প্রত্যাশিত ছাত্র নির্বাচনের , মনের আনন্দে জমা দিলাম সমস্ত নমিনেশান । ক্যাম্পাসে ইলেকশানের আবহাওয়াই আলাদা, আই.সি , এস.এফ.আই , ডি.এস.ও সব্বাই প্যানেলের নমিনেশান দিতে আর পোস্টার মারতে ব্যস্ত , সব মিলিয়ে একদম হইহই কান্ড , রইরই ব্যাপার !
     
     এর মধ্যে হঠাৎ হরিমোহন কলেজে বহিরাগতদের হাতে পুলিশ খুন এবং স্বপনকুমার সিরিজের হিরোর ন্যায় কোথা হইতে কী হইয়া গ্যাল, ব্রাত্য বলিলেন সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকশান বন্ধ । কি সুচতুরভাবে একটা ঘটনা, যা আবার আদৌ “ছাত্রছাত্রীদের” হাতে হয়নি তার উপর দিয়ে এই নির্দেশ পাস করিয়ে নেওয়া হল সেটা বুদ্ধিমান পাঠকপাঠিকাই ভেবে দেখুন! এক ঢিলে দুই পাখি – খুনিকে ছাত্র বলে চালিয়ে দিয়ে পার্টির ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলা এবং একইসাথে জনমানসে ছাত্ররাজনীতি শব্দটিকে আরও ভীতিপ্রদ করে তোলা যাতে ছাত্রদের কথা বলার অধিকার শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখেও লোকে বলবে যা হচ্ছে ঠিকই হচ্ছে  । ভাবলে অবাক লাগে , মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী , আই.সি-র প্রাক্তনী !
     হরিমোহন কলেজের ছবিই ছাত্ররাজনীতির একমাত্র ছবি নয়, পাওয়া-পাইয়ে দেওয়ার দুর্নীতির আর বোমা-গুলি দিয়ে এলাকা দখলের দলীয়তার বাইরেও ছাত্ররাজনীতি সম্ভব , ইউনিয়ন না থাকলে সত্যিই আমরা পিছিয়ে পড়ব । উঠে যাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , ফেস্ট । উঠে যাবে কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের বক্তব্য রাখার প্ল্যাটফর্ম । উঠে যাবে ছোট ছোট পত্রপত্রিকা, ফটোগ্রাফি , নাটক, ব্যান্ড ইত্যাদির প্রয়াস । প্রেসিডেন্সিতে গত তিনবছর ধরে যে অরাজকতা চলছে, যেকোন নতুন প্রয়াস নিতে গেলেই আমাদের নির্ভর করতে হয় ফ্যাকাল্টিদের দয়াদাক্ষিণ্যের , ফেস্ট উঠে গেছে, মূলধনের অভাবে উঠে গেছে একরাশ গ্রাফিটি , পথনাটক, ফোকব্যান্ডের সবে ডানা মেলা প্রচেষ্টা – সমস্ত কলেজ ইউনিভার্সিটিগুলিরই এক দশা হবে । এর হাত ধরে ঢুকবে আই কার্ড চেকিং , সিসিটিভি । এই প্রচেষ্টা শুরুও হয়ে গেছে , মিডিয়ার হাত ধরে বারবার সামনে আনা হচ্ছে বেসু, লোরেটো , জেভিয়ারসের ক্লাস মনিটর মডেলকে । মগজে ঠুকে ঠুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রী মানেই অধ্যয়নং তপঃ , পরিক্ষায়নং তপঃ , চাকরিয়নং তপঃ । তারা আবার রাজনীতি করবে ? ভাববে সমাজ-সমকাল নিয়ে ? রামঃ !
                         
     এর পরেও আমরা কথা বলব, এর পরেও দেওয়ালগুলো স্লোগান শিখবে, এর পরেও আমরা গান বাঁধব , পুরনো বাড়িটা জুড়ে ছবি আঁকব , এরপরেও আমরা পথে নামব, এরপরেও কথা বলতে দেওয়ার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে, প্রেসিডেন্সির সঙ্গে যাদবপুর সহ বাকি কলেজ- ইউনিভার্সিটিগুলির আন্দোলনের মিলিত অগ্রগতি হোক । ঊনিশ তারিখ  প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা দল বেঁধে বিকাশভবনে গিয়েও শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পায়নি, জমা দিয়েছে ডেপুটেশন । ইতিমধ্যে কলেজ-ইউনিভারসিটিতে পাঠানো নির্দেশিকার “উপদেশ” পর্যবসিত হয়েছে ফতোয়ায়, যা না মানা হলে উপযুক্ত “ব্যবস্থা” নেওয়া হবে , নামানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অটোনমির উপর সরাসরি আঘাত । এই একুশে আইনের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের পথে নামা ফলপ্রসূ হবেই । কাউকে কিছু পাইয়ে দেওয়ার জন্য নয়, আমাদের প্রত্যেকের স্বার্থেই আরও জোরদার আন্দোলন দরকার ।  ইয়ে আজাদি জো তুম না দোগে, হাম ছিনকে লেঙ্গে !
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ২৮১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • আম | 127.194.99.15 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৩:৩০77405
  • থেঙ্কু ঃ)
  • aranya | 154.160.130.16 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৪:২৫77404
  • ভাল লাগল, একজন ছাত্রের মুখে শুনতে, তারা কিভাবে ব্যাপারটাকে দেখছে।
  • Mainul Hassan | 127.20.191.216 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৪:৪০77406
  • এই সবই চলতে থাকুক। পড়াশুনা আর করতে হবে না। বাঙালি আর কিছু নাই পারুক জন্ম থেকে রাজনীতি আর বাওয়াল বাজি করতে ভালো পারে। যেন ফেস্ট করে, দেয়াল নষ্ট করা গ্রাফিটি করে দেশ উদ্ধার করে দেবে। by the way আমাদের কলেজেও কোনো পলিটিকাল ইউনিয়ন ছিল না। কিন্তু আমরা দিব্যি ফেস্ট, ফুটবল, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, রি-ইউনিয়ন করেছি।কোনো অসুবিধা হয়নি। যারা পলিটিকাল দাদা দিদি দের পা চাটা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না, আর কিছু ভাবতে পারে না, তারা এসব বুঝবে না। তাদের জন্য ক্লাস অফ করে, প্রফেসর দের কেলিয়ে, চলছে না চলবে না এই সব ই চলতে থাকবে।

    N B : দীর্ঘদিন ধরে কলেজ এ পলিটিক্স চলে আসছে বলে এখনো চলতে দিতে হবে, আমি এর বিপক্ষে। তাই কলেজ পলিটিক্স বন্ধ করার জন্য যেকোনো পার্টির যেকোনো স্টেপ স্বাগতম।
  • অগ্নীশ্বর চক্রবর্তী | 127.99.62.6 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৫:৪৮77407
  • মনিউল হাসান, ছাত্র বা ছাত্রীদের যেকোনো সমস্যা ক্ষমতায় থাকা দল বা সরকারের নীতি নির্ধারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই অর্থেই সেগুলি রাজনৈতিক। আপনি চান বা না চান সমাজে রাজনীতি থাকবেই (আপনি সেগুলো বন্ধ করা নিয়ে কথা বলেন কি?) এবং রাজনৈতিক দলগুলি মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থেই নীতি প্রনয়ন করবে। তা ছাত্রদের বিপক্ষে গেলে তা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজনে তাকে রুখে দেবার অধিকার ছাত্র-ছাত্রী দের আছে।কলেজে কলেজে বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্র সংগঠন গুলো যা করে তা দেখে আপনি বীতশ্রদ্ধ হতে পারেন(আমিও তাই) তা বলে যারা এর বাইরে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা ভাবতে চায় তাকে 'পলিটিকাল দাদা দিদি দের পা চাটা' বলাটা তার পক্ষেই সম্ভব যে ফেস্ট জাতীয় 'মস্তি' ছাড়া ছাত্র জীবনের মানে বোঝেনি। মুস্কিলটা হল ভুল চিকিৎসায় একজন রোগী মারা গ্যাছে বলে যারা চিকিৎসা ব্যাবস্থা টা কে তুলে দিতে চায়, তাদের সাথে অবশ্য কোন যুক্তিপূর্ণ তর্ক ছালান মুস্কিলকয়াপ্নার শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।
  • শুভ | 127.227.154.121 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৬:০৪77408
  • যে লিখেছে সে একজন ছাত্রী, ছাত্র নয়।
  • অমিতাভ | 127.194.84.23 (*) | ০১ মার্চ ২০১৩ ০৬:২১77409
  • আপনাকে সমর্থন করেই বলছি অগ্নীশ্বর,ছাত্র রাজনীতিকে সরকারি রাজনৈতিক দল গুলো তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে এসেছে।ছাত্র দের স্বাধীন মত প্রকাশ,মতামতের চর্চা করার অভ্যেস কে এরা নষ্ট করেছে নিজেদের প্রয়জনে।এখন খুব অল্প কিছু কলেজে এখন এরকম কিছু লেজুর-হীন ছাত্র সংগঠন আছে যারা সত্যিই নতুন কিছু ভাবার করার চেষ্টা করছে।আমাদের সরকারি বাপেরা এখন তাদেরও কন্ঠ রোধ করতে বধ্য পরিকর। আর মৈনুল বাবুর মত মানুষ আছেন বলেই না তাদের এত বাড় বারন্ত। ছাত্র আন্দোলন তো আজকের আমদানি নয়,পরাধীন ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনে এ ছাত্রদের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা সবাই জানে। তখন নেতাজী সুভাষ ও ওটেন সাহেব কে "কেলিয়ে" দেশ উদ্ধারে নেমেছিলেন।
    প্রসঙ্গত মইনুল বাবুর মত ধারণা সম্পন্নদের জন্য জানিয়ে রাখি,ছাত্র আন্দোলন কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়না,হয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।আর যে সমস্ত জায়গায় শিক্ষক পেটানোর ঘটোনা ঘটে, খোজ নিয়ে দেখবেন সেতার পেছনে সরকারি দল গুলোর হুলিগ্যান বাহিনী দায়ী।ছাত্রছাত্রীরা নয়।প্রকৃত ছাত্র আন্দোলনকারীরা ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ঐক্যের কথা বলে।
  • অগ্নীশ্বর চক্রবর্তী | 233.180.177.9 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ০৪:৩৫77410
  • ছাত্র- ছাত্রী দের অধিকার হরণের হাতিয়ার উচ্চশিক্ষা সংসদের যে নির্দেশিকার মাধ্যমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, মারাত্মক ছাত্র আন্দোলনের কথা আঁচ করতে পেরে সেই নির্দেশিকা তুলে নিতে বাধ্য হল উচ্চশিক্ষা সংসদ।
    http://www.higherednwb.net/documents/govt_orders/2013/march/Additional%20order%20regarding%20restriction%20of%20Students'%20Union_01.03.2013.pdf

    এই জয় লড়াকু ছাত্র সমাজের...।
  • শ্রী সদা | 132.176.98.243 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ০৫:০৫77411
  • ইয়ে, সিসিটিভি তে সমস্যা ক্ষী ? কলেজ ক্যাম্পাসে এমন কিছু করবেনই বা কেন যেটা পরবর্তীকালে ইলেকট্রনিক্যালি রিপ্রোডিউসড হলে নিজেকে অপ্রস্তুতে পড়তে হয় ?
    আর আইডি কার্ড এর কেসটাও বুইলাম না। উটকো লোকজনের ক্যাম্পাসে ঢোকা আটকাতে যদি কাজে লাগে, তবে ভালো ই তো।
    ছাত্র রাজনীতি থাক, কিন্তু ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হোক। ছাত্রদের দাবীদাওয়া ছাত্ররা নিজেরা তুলে ধরুক, অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত রাজনীতি-ব্যবসায়ীরা নয়।
  • Mainul Hassan | 127.20.142.152 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ০৭:৪৩77412
  • অগ্নীশ্বর ও অমিতাভ বাবু আপনাদের বক্তব্য থেকে আমি যা বুঝলাম আপনারাও ছাত্র রাজনীতির নাম পলিটিকাল পার্টি গুলোর হস্তক্ষেপ চান না। আমিও তাই। ছাত্র রাজনীতির একটা ডেফিনেশন আছে। কিন্তু বাস্তবে তা ব্যবহার হয় না। বাস্তবে কলেজ এ কি হয় তা আমি আপনি ভালই জানি। শুধু কলেজে না, স্কুল লেভেলেও এই বিষ ছাড়িয়ে পড়ছে। আপনি আমাকে একটু বোঝাতে পারবেন, যে বাচ্চাদের স্কুল এর পরিচালন সমিতি নির্বাচন এ CPM TMC এর কি দরকার? পলিটিকাল পার্টি এতে কি করবে? একই ভাবে কলেজের ইউনিয়ন। আমি অরাজনৈতিক ইউনিয়ন এর সাপোর্টার। ভালো থাকবেন।
  • অমিতাভ | 24.139.222.67 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ১০:৫৬77413
  • মইনুল বাবু,আপনার সঙ্গে আমি এ বিষয়ে একমত যে স্কুলের পরিচালন সমিতিতে সিপিএম টিএমসির কোনো প্রয়োজন নেই।মূলতঃ এলাকা দখল বজায় রাখতেই তারা এই পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য হামলে পরে।পাশাপাশি টাকাপয়সার ব্যাপারতো কিছু থাকেই।কিন্তু বিরোধিতা অন্য জায়াগায়।
    দল=রাজনীতি এই সহজ সমীকরণটি আমাদের মাথায় প্রায় প্রোথিত হয়ে যাবার জন্যে অদলীয় বিষয়টিকে প্রায়সই অরাজনৈতিক বলা হয়।আমি অদলীয় বিষয়টির কথা বলেছিলাম,সরকারি দল নিরপেক্ষ ছাত্র রাজনীতির কথা বলছিলাম।অরাজনৈতিক ছাত্র রাজনীতির কথা বলিনি।সেটা সম্ভব না।কারন একজন ব্যক্তিরও একটি রাজনীতি থাকে।আর ইউনিয়ন দল মত নির্বিশেষে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মঞ্চ।তাই তার কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনীতি থাকা সম্ভব নয়।বরং সেটি বহুবর্ণবিচিত্র হবে এটাই কাম্য।সাধারণতঃ যে দল ইউনিয়ন এর দায়িত্বে থাকে তাদের রাজনীতিই ইউনিয়নের কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়।ইউনিয়ন এর দায়িত্বে থাকা ছাত্র অংশের উচিত এই বহু বর্ণ শোভিত বিচিত্রতাকে ইউনিয়নের মধ্যে ধারণ করা।তবেই তা সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী দের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারবে।তাকে গুন্ডাবাজির আখড়া বলে ইউনিয়ন অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করতে সাহস দেখাবে না।
  • soma | 69.93.201.29 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ১১:৪৭77414
  • 18 bochhorer beshi boyeser chhelemeyera desh shashon korbe kara - seta thik korbe. kintu tar asonno poribesh - tar college e ki ghotbe ba ghotbe na - sei 'rajniti' korte parbe na - e'ek aschorjo kuhok. tara ki vote debar dayitbo palon korei bari fire, college e fire, hat-mukh dhuye porte bosbe? achchha, vote kake debe - seta ki baba-ma-gurujon-master eder kach theke jene niye tarpor palon korte hobe? baki somoyta I-Card jhuliye joxopurir shromik hobe? ar mone rakhbe adrishyo isbor tomay loxo koritechhen - soda sorboda - sabdhan sabdhan!!! sotyo seleucus
  • sosen | 125.241.78.151 (*) | ০২ মার্চ ২০১৩ ১২:২০77415
  • আই কার্ড , সিসিটিভি থাকা তো খারাপ কিছু নয়।
    বাস্তবে কি আর হয়? বাইরের লোক কলেজে ঢুকে দাদাগিরি চালায়। ছাত্র ইউনিয়নের দাদা দিদিরা বছরের পর বছর ফেল করে ইউনিয়ন আঁকড়ে বসে থাকেন ও ভবিষ্যত ক্যাডার তৈরী ও সাপ্লাই করেন। এই দুটো জিনিস বন্ধ করার দরকার আছে। ছাত্র আন্দোলন মানে ঘেরাও নয়, এই কনসেপ্ট তৈরী হওয়ার প্রয়োজন আছে। স্কুলে পাশ করিয়ে দেবার দাবিতে ঘেরাও, কলেজে যে কোনো দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও এটা কোনো সুলক্ষণ নয়। কখনো আজ অব্দি ভালো সিলেবাস, ভালো টিচিং , লাইব্রেরিতে বই আসুক, এসব দাবিতে বিশেষ আন্দোলন শুনিনি। প্রেসিডেন্সির মত ভালো কলেজেও।
    ছাত্রদের বৃহত্তর রাজনীতি থেকে সরিয়ে রাখা যায় নি, এবং যাবে না। স্টুডেন্টস বডি তৈরী হওয়ার জন্য আন্দোলন খুবই দরকার। কিন্তু পোস্টার মারার দেওয়ালের এভেইলেবিলিটি , হোম ইউনিতে ভর্তি হতে পরীক্ষা দিতে অনীহা , এই কি এজেন্ডা? বিশ্বের কোন ইউনিতে আন্ডারগ্রাড স্টুডেন্ট রা সরাসরি হোম ইউনিতে ভর্তি হয়? কোথায় , একশ দেড়শ বছরের পুরনো বাড়িতে যেখানে সেখানে পোস্টার মেরে আসা যায়? সমকাল মানে কি? সুবিধার্থে যে কোনো একটা সমকালকে বেছে নেওয়া?
    মূল ব্যাপারটির সাথে আমি একমত, ছাত্র রাজনীতি চলবে। তাতে সিপিয়েম টিএমসি থাকবেনা এরকম ও হওয়ার কারণ নাই। কিন্তু এজেন্ডাগুলো দেখে সেই আগের মতই বিতৃষ্ণা জাগলো।
  • শ্রী সদা | 127.194.207.60 (*) | ০৩ মার্চ ২০১৩ ০৫:২০77416
  • " সমকাল মানে কি? সুবিধার্থে যে কোনো একটা সমকালকে বেছে নেওয়া? " - সুপারলাইক।
  • abhash | 213.115.92.14 (*) | ০৩ মার্চ ২০১৩ ০৬:২৪77417
  • 18 bachhar boyesher bachhara bhot debe kintoo chatra rajniti korbe na didi r Arabul ba Buddhha r Jhunnu thakbe ar natyakar mantri Mananyo Bratya basu(jar abar bohumatrik byaktitto) nidan dilen anek hoyechhe chhatrara rajniti na kore ebar golap phool chhirbe, otoeb mantri jelusil khaiya ghosona korilen "STOP ELECTION- NO EXPLANATION". Cholo 2-1 dan ludo hoye jak.
  • Abhas | 125.248.216.198 (*) | ০৩ মার্চ ২০১৩ ০৬:৪১77418
  • সসেন বাবু শোনেন নি- ভালো টিচিং , লাইব্রেরিতে বই আসুক, এসব দাবিতে বিশেষ ছাত্র আন্দোলন। কারোর কিছু না জানার দায় যদি সবাইকে বহন কোরতে হয় তবে মুস্কিল।তবে উনি এটা জানেন - ছাত্র ইউনিয়নের দাদা দিদিরা বছরের পর বছর ফেল করে ইউনিয়ন আঁকড়ে বসে থাকেন ও ভবিষ্যত ক্যাডার তৈরী ও সাপ্লাই করেন। উনি জানেন- স্কুলে পাশ করিয়ে দেবার দাবিতে ঘেরাও, কলেজে যে কোনো দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও এটা কোনো সুলক্ষণ নয়। অতএব সসেন বাবু দয়া করে জানান সিপিয়েম, টিএমসি, কং- থাকবে আর ছাত্র রা নিজেদের দাবিতে আন্দোলন করবে !, সোনার পাথরবাটি! তবে সসেন বাবুর মতন নীতিবান সুবোধ মানুষ এ জগতে এত কম বরং আদের মতন বদমাইস রা এত বেসি দিদিদের এটাই dukkhho ।
  • Koumi | 127.194.201.188 (*) | ০৪ মার্চ ২০১৩ ০৯:৫০77419
  • 'অরাজনৈতিক' বলতে যে কি বোঝানো হয় বুঝি না তবে ইটা বুঝতে অসুবিধা হয় না i hate পলিটিক্স খুব প্রিয় একটা concept হয়ে উঠেছে ,কি বলতে চান এনারা?? ছাত্র ছাত্রীরা কোনো social ইসু তে কথা বলবে না??
    সুগত বসু যখন বলেন হিন্দু হোস্টেল এ wifi লাগিয়ে দাও যখন বাথরুম এর ছিটকিনি তাও বন্ধ হয় না বছর বছর ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয় ছাত্ররা । এই তথাকথিত 'well wisher ' রা আদপে কতটা বাস্তব বিচ্ছন্ন এর বিরুদ্ধে কথা বললে কেউ বলবে পলিটিক্স করি একজন ছাত্র তার সোশ্যাল responsiblity থেকে ইটা চায় তার বেসিক ডিমান্ড মাথায় রেখে কথা বলতে। কম বেশি ইটা দাড়ায় মান উন্নয়ন এর নামে স্বজন পোষণ এর বিরুদ্ধে কথা বলবে, সে চাইবে wifi এর বদল আগে তার সুস্থ ভাবে পড়াশুনো করা, ও চাইবে delhir ধর্ষণ বা পার্ক স্ট্রিট এর ধর্ষিতার সুবিচার। এতে সমস্যা টা কি? পলিটিক্স টাকে সুন্দর করে তুলবার স্বপ্ন আমরা সবাই দেখতেই পারিনা বলে অরাজনৈতিক হয় যাব ?নাকি রাজনীতি তাকে নতুন ভাবে define করার stake টা নেব। বোধয় এইটুকু দায় ছাত্রদের রয়েছে
  • question | 131.241.218.132 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৩ ০৯:৪৮77420
  • আমার একটা গোদা বাংলায় প্রশ্ন আছে। ছাত্র সমাজ তার লাইব্রেরি নিয়ে ভালো শিক্ষার দাবি তে শিক্ষণ সামগ্রীর দাবিতে আন্দোলন করবে সে তো ভালো কথা ।কিন্তু তার সাথে সে কলেজ পরিসরের মধ্যে কেন স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি কে টেনে এনে মারপিট করবে রাজনৈতিক সংগ্রামের নামে? যুবসমাজ হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত হবার জন্যে তো আলাদা প্লাটফর্ম রয়েছে । SFI আর DYFI বা ছাত্র পরিষদ যুবা কংগ্রেস তো দুটো আলাদা সংগঠন তাই তাদের কাজের ক্ষেত্র টাও আলাদা হবে না কি?
  • দেব | 233.29.202.25 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৩ ০৮:২৫77421
  • "একটি কুঁড়ি মাতাল হয়ে বারুদ গন্ধে ফুটবে কবে, সারা শহর উথাল পাথাল ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে . . . "
    এটা কি শুধু এই দু লাইন নাকি আরো আছে? থাকলে পুরোটা পাওয়া যাবে কি?
  • শুদ্ধ | 127.194.242.125 (*) | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৩:০০77422
  • সময়টা এমন যে সব গুলিয়ে গালিয়ে মাথায় চড়ে বসে। ছাত্রছাত্রীরা রাজনীতি করবে এর মধ্যে অবাক হবার কিছু নেই তো! সেই কবে থেকে তারা করে আসছে এ কাজ। এই সব ইস্কুল কলেজ স্থাপনেরও আগে থেকে। দল করে না সব সময়ে। যেমন ধরুণ পাঠশালা থেকে তারা বেরোচ্ছে। পাঠশালায় তাদের পাঠ যা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ব্যাকরণের সঙ্গে নীতি শিক্ষাও তো আছে। নীতি তো একটা রাজনৈতিক সমাজের ফসল। তার পাঠ দিয়ে পাঠালাম মানে আমার রাজনীতির সমর্থক বানালাম আরো। যদি সমর্থক না হয় তাহলে সক্রেটিসের কাণ্ড ঘটে। ছাত্রছাত্রীদের মাথা খাচ্ছে বলে মেরেই দেওয়া হয়। বা যায়।

    যে যে যখন যখন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়েছে শিক্ষার জন্য সেই সেই শিক্ষাকে তার মত করে সাজিয়েছে। পাঠশালা জাতীয়তে পাঠের বিষয় হয়েছে তার দর্শন সম্মত সব। সেখান থেকে যারা বেরোচ্ছে তারা সেই দর্শনকেই ছিঁড়েখুঁড়ে খাক করতে বসেছে এমন অনেকবার হয়েছে। ন্যায়, নব্য ন্যায় এসব তো হয়েইছে। ছাত্ররা যদি তাকে প্রশ্ন না করতো তাহলে হত?

    মাদ্রাসাতে এককালে সব বিদ্যা চর্চার বিরুদ্ধে একদল মৌলানা-মৌলবী শাসকদের সাহায্যে বেশ বজ্রআঁটুনি কসেছে। আবার সেখানকার থেকেই আরেকদল গোপনে পুরোদমে চালিয়ে গিয়েছে সর্ব বিদ্যা শিক্ষা। তারাই ধরে রেখেছে আরবী সমাজে গ্রীক বা ল্যাটিনের সম্ভারকে। গণিত থেকে জীববিজ্ঞানের, চিকিৎসার নানা কাজকে তারাই নিয়ে গিয়েছে পরের ধাপের ইউরোপে। তার জন্য কেউ কেউ শাস্তিও পেয়েছেন।

    পৃথিবীর প্রথম দিককার বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইটালিতে, নাম এক্ষুণি মনে পড়ছে না) ছাত্ররা খুব দেশ ও ভাষা অনুযায়ী বিভক্ত থাকতো। তাদের মধ্যে খুব মারামারি হত।

    পোল্যান্ড, যে প্রথম শিক্ষা মন্ত্রণালয় গড়েছিল, যে প্রথম প্রুশিয়ান?(?) দখলের মধ্যে বিশ্বের প্রথম গোপন বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়েছিল জার্মান শিক্ষাকে তুচ্ছ করে, সেই এককালে কসাকদের তাদের চার্চ স্কুলে নিত প্রথমেই বেত মেরে। কেন না পার্গেশন ছাড়া বর্বর কসাকরা সভ্য হবে না।

    তাহলে এ সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না? মতাদর্শের ব্যাপার না? বেনেডিক্টরা অ্যানা-ব্যাপটিস্ট ছাত্রদের কি পূজো করবে? সুযোগ পেলেই ইনকিউজিশনে আগুণে পুড়িয়ে মেরেছে।

    এবং ছাত্রীরা এখনো আমার এ ছোট্ট কথায় অনুপস্থিত। কেন না তাদের তখনো পড়তে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। রাজনীতি না? প্রসঙ্গত বলি, ইউনিটারিয়ানদের শিক্ষা পেয়ে ছাত্রীরা বৃটেনে একদিন নারীদের ভোটাধিকারের দাবীতে বোমাও মারে, বাড়িও জ্বালায়। ওই ১৯০৫-এর আশে পাশে। সাল এক্ষুণি মনে নেই।

    মানে আশেপাশের সমাজের সব ব্যবস্থা রাজনীতি দিয়ে তৈরী হবে আর ছাত্রছাত্রীরা হবে না? এটা একটা ভাবনা? হ্যাঁ, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা প্যান অপ্টিকন বানিয়ে নেওয়া যায় গায়ের জোরে। টিকবে না। সিসিটিভি বসাতে চাইলে আগে তো বসাতে হবে সব মন্ত্রী নেতার চেম্বারে আর ঘরে ঘরে। আমরাও দেখি ওরা কি করে? ছাত্ররা এখনো গণহারে চুরি করতে পারে না, লাম্পট্যের শেষ সীমায় যেতে পারে না, দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার ক্ষমতাই নেই ওদের। যাদের আছে তারা দায়বদ্ধ হচ্ছে না কেন? চব্বিশ ঘন্টা কে কি করছে তার উপর নজরদারী করার ব্যবস্থা আগে হোক! তারপরে ছাত্রছাত্রীদের কথা হবে। নইলে গোটাটাই দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার।

    এর পরের কথা হল ক্যাম্পাসে গুণ্ডামি বন্ধ করা। হ্যাঁ ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব। কিন্তু সমাজের অনেক বেশী। তারা কি বন্ধ করেছে পাড়ায় পাড়ায় রাজনৈতিক মস্তানি? ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাবা-মা-সমাজের থেকে কি এই শেখেনি? ভয় পাওয়া আর ভয় দেখানোর নামই হল সভ্যতা এ তাকে কে শেখালো? এখন সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর কেন? অন্যগুলো ধরতে হাতের জোর নেই তাই?

    এত বাজে কাজ না করে, শিক্ষার সিলেবাসটা একটু সস্নেহে দেখা হোক না! ওটা তো একটা গাধার ডিম হয়ে আছে। পড়ানোর জন্য যাঁরা তাঁদের একটা বড় অংশের চেয়ে মূর্খ আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। ওগুলো ঢোকে যে পথে সেটা বন্ধ হোক না। মাথার উপরে কমিটি বসিয়ে কতগুলো না হোমের না যজ্ঞের বিষয়কে বিদায় করা হোক না। মুক্ত বুদ্ধি ও প্রশ্নবহুল শিক্ষার চর্চার একটু চেষ্টা? না কি ভয় আছে যে সে সব হলে ডকে উঠে যাবে সকলের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা আর ন্যক্কারজনক অবস্থানগুলো?

    সেন্টার অব এক্সেলেন্স হতে গেলে আগে এক্সেলেন্সটা বোঝা দরকার। গ্যালিলিও-র পাণ্ডুলিপিটা যে ছাত্র আবেগভরে পাচার করতে ছুটেছিল তার জীবনের আবেগ আর পরিচ্ছন্ন আদর্শবাদের কদর করা দরকার। মুক্ত চিন্তার চর্চা ও বুদ্ধির অনন্য কদর, মৌলিক ভাবনার জন্য কনড্যুসিভ পরিবেশ ছাড়া এক্সেলেন্ট কি বানাবেন? কলের জন্য রোবট? করবেন? কি করে করবেন? যে সব মহা মহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন আপনারা সেখানের হালটা একটু খোলসা করবেন? সে সব দেশের? সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ আর আমেরিকায় যে ব্যাপক গাধামোর চর্চা হয় তা নিশ্চই জানেন। আর যেখানে উচ্চ শিক্ষা সেখানে অনুদান নির্ভর খেলায় বিষয় হল বাজার। বাজার কেন্দ্রিক কাজ বিজ্ঞানে, অর্থনীতিতে না হলে পয়সা দেবে ডোনাররা? দিয়েছে? দেয়? সে সব নিয়ে কিছু করে টরেছেন টিমটিমে এক্সেলেন্স সাজেশনের টিম? ওখানে একবারও বলেছেন যে শিক্ষার মান অধোগমনে যাচ্ছে? এখানে এসে এক্সেলেন্স-এর সেন্টার বানাবেন? সবই কি ইল্লি নাকি?

    মশাইরা, শিক্ষা দিতে পারেন না সে অপারগতা ও অনিচ্ছা ঢাকতে এত কুনাট্যের প্রয়োজন কি? গত ৬৭ বছরে কেউ চায়নি দিতে, আপনারাও চান না। চাইলে খোলনলচে বদলাতে হবে। কে নেবে সে দায়ভার? কেন নেবে? অপারগ রাষ্ট্র কখনো স্বাধীনচেতা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী বানাতে বা পুষতে চায় না। সে তার পক্ষে বিপদ। তো আপনারা কোন মহামানব সব যে এটা করবেন?
  • শুদ্ধ | 127.194.242.125 (*) | ১০ মার্চ ২০১৩ ০৩:০০77423
  • ছাত্রছাত্রীদের জন্যঃ

    এত কথা বলতে বলতে মনে হল আপনাদের-ও দু একটা কথা বলা দরকার। রেগে-টেগে গেলেও কিছু করার নেই। সিস্টেম মূর্খ বানায় যখন তখন নিজের দায় সে মূর্খামির বাইরে আসার। ওটা করে দেবার জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকে না। নিজে নিজে করে নিতে হয়। সেটা করতে গেলে নিজের পড়াশোনাটা ঠিক করে করতে হয়। আপনাদের মধ্যে ব্যাতিক্রম কেউ কেউ থাকবেন, তবে অধিকাংশই এত গড্ডালিকায় চলছেন যে ওটা হচ্ছে না। আমি কাজ করি আপনাদের একটা অংশের সঙ্গে। বছরে বছরে তারা আসে যায়। বছর ভোর আমি পড়ে থাকি আপনাদের সঙ্গে। আমার মতন অশিক্ষিতও বোঝে যে কিস্যু হচ্ছে না। পড়াশোনা লবডঙ্কা হচ্ছে। সাজেশন আর চোথা নির্ভর একটি ভয়ঙ্কর সংখ্যা বাড়ছে। সুভাষ বোস বা বাকী সব যা যা করতেন তার সঙ্গে পড়াশোনাও। করলে জানতেন, যে এই বয়সেই দুনিয়া নাড়া দেওয়া যায়। পরে খুব কিসু হয় না। একজন দুজনে দুনিয়া নাড়া দেওয়া যায় না। ছাত্ররাজনীতি করবেন?? তাহলে আগে শিক্ষার হকের জন্য লড়ুন। পড়তে পড়তে সিস্টেম চ্যালেঞ্জ করুন। তার জন্য বেশী করে পড়ুন। গোষ্ঠীভিত্তিক, সমবায় ভিত্তিক পড়াশোনার জন্য লড়ুন। পাশের যে পিছিয়ে পড়ছে তাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য লড়ুন। একমাত্র নিজের সঙ্গে প্রতিযোগীতা হয় মানুষের, আর কারো সঙ্গে না। পড়ুন আর প্রয়োগ করুন। না হলে এই সব আন্দোলন দিয়ে হওয়ার কিছু নেই। আরেকবার নির্বাচন চালু হলে এতদিনে যা হয়নি তা হবে এমন আশার কোনো কারণ দেখি না। ওই দলে দলে দল আসবে, মুরগি চর্চা করবে আর পারস্পরিক নির্ভরতায় চাকরী সন্ধান চলবে। কিছু কিছু বিপ্লব করতে যাবেন, আর অকালে খতম হয়ে যাবেন। বিপ্লব-ও তো আর মামাবাড়ি না যে না বুঝে না জেনে বেড়াতে গেলেই হল।

    পালটা বলবেন আমি চেষ্টা করেছি কিনা! আমার দাগ দেওয়া ছাত্রকালে চেষ্টা করেছি। এক চিমটে পেরেছি, বিপুল পারিনি। কিন্তু করতে গিয়ে জেনেছি পারা যায়। এখনও যখন ছাত্র আমি চেষ্টা করি। কিন্তু একা আমি কত্তবড় পন্ডিত বা কত্তবড় ব্যাপার যে সব ঠিক করে দেব? দুনিয়ার ফ্র্যাকশনও জানি না, তাই জানার জন্য সব সময়ে জোট বাঁধি। একার উপার্জনের সঙ্গে অন্য সকলের উপার্জন মেলাবার পথে থাকি। জ্ঞানও উপার্জন। তবেই কিছু হবে, কিছু কিছু হবে।
  • শুদ্ধ | 127.194.233.96 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৩ ০৯:০০77425
  • ভাবেননি কেন নেই নেতাদের ঘরে? তাহলে আর রাজনীতিহীন ছাত্রাবস্থায় আপনার কি লাভ হল? যে নেতারা আপনি কি করছেন জানতে দুনিয়াময় পাহারাদারি করছেন, সেই নেতারা কি করছেন জানার অধিকার/ইচ্ছে/দায় নেই আপনার? আপনি কি রাজতন্ত্রে বাস করেন? আমার রাজনীতিযুক্ত ছাত্রাবস্থা জানিয়েছে গণতন্ত্র মানে সকলের সমান অধিকার ও দায়িত্ব! আমাকে হিসেবে রাখলে আমার-ও কাজ তাকে হিসেবে রাখা। আমার সম্পর্কে যে বদ ধারণা থেকে সে আমাকে সন্দেহ করে, আমিও তার সম্পর্কে বদ অভিজ্ঞতা থেকে একই সন্দেহ করি। সমানে সমানে। আপনার রাজনীতিবিহীনতার কথা ভেবে আন্তরিক দুঃখ পেলাম সেই জন্য। হা হা হা হা হা হা...
  • শুদ্ধ | 127.194.233.96 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৩ ০৯:০৩77426
  • আর আপনার লিনিয়ারিটিতে আসবে যে নেতারা লেখাপড়া জানে না তাই কলেজ চাই না। আমারটায় আসবে না। আমার তো রাজনীতিযুক্ত অবস্থান। সেখানে দ্বান্দ্বিকতা বলে একটি ভাবনা আছে। শিখতে হয়েছে আর কি রাজনীতি করতে গিয়ে! ফলে আসবে ঠিক উল্টোটা। নেতারা অশিক্ষিত অনেকেই, তাই আমাদের দরকার আরো আরো স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম এমন অশিক্ষিত না হয় যাতে তারা এমন সব নেতা হয়। এটাও আপনার রাজনীতিবিহীনতার সমস্যা যে আপনি রবীন্দ্রনাথ ও ছাগল দাড়িঘটিত কারণে এক- ভাবছেন। ওটা লজিক না, লজিক্যাল ফ্যালাসি।
  • ananyo | 127.201.114.25 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৩ ০৯:৩৮77427
  • লিখতে হলে অনেক লিখতে হয় , তাই নিজের লেখা একটি প্রবন্ধ দিলাম, বেশিরভাগই পরবেন না কিন্তু নিজেদের prejudice বজায় রেখে বকে যাবেন; তদস্বত্তেও দিলাম; যদি একজন পরেন ও সদর্থক আলোচনা করতে আগ্রহী হন, সেই জন্য
    http://toanewdawn.blogspot.in/2012/07/manchurian-candidates-of-education.html
  • Mainul Hassan | 123.10.82.236 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৩ ১১:৪০77424
  • গুড, পলিটিক্স চলতে থাকুক। রাজনীতি জিন্দাবাদ। মা মাটি জিন্দাবাদ(বা মুর্দাবাদ)। taito এটা তো ভেবে দেখিনি নেতাদের ঘরে CCTV ক্যামেরা নেই, কলেজ এ কেন থাকবে? নেতাদের আই কার্ড নেই, ছাত্র ছাত্রীদের কেন থাকবে। আর একটু এক্সপ্যান্ড করলে এটা আসবে নেতারা তো অনেকে লেখাপড়া জানে না, তাহলে আর কলেজ রেখেই বা কি হবে। ব্রাভো।

    হোস্টেল এ বাথরুম খারাপ বলে wifi লাগানো যাবে না এটা বাজে যুক্তি। বাথরুম ঠিক করার আন্দোলন করতে তো কেউ বারণ করেনি। তাহলে? হোস্টেল এ কোনো দিন ই বাথরুম জল এর প্রবলেম ঠিক হবে না। আজ ঠিক করলে আবার দু মাস পর খারাপ হবে, আমাদের রাস্তার মতো। তাহলে তো আর কোনদিন ই উন্নতি হবে না।
  • Ekak | 24.99.57.169 (*) | ১৮ মার্চ ২০১৩ ০৭:১৩77428
  • সিস্টেম পাল্টাবার ডাক দিচ্ছেন শুদ্ধ , কজন ছাত্র আসবে এই ডাকে ? সিস্টেম পাল্টালে মুড়ি মুরকির মত লেটার মার্কস আর ওয়ান ডে ম্যাচের মত কম্পিটিটিভ এক্সাম এ "উতরে" গেলেই বাকি কয়েক বছর চতা দিয়ে চালিয়ে আর তারপর ব্র্যান্ড নির্ভর "ক্যাম্পাসিং " এর থেকে ছাত্ররা বেরোবে ক্যানো ? চাইবেই বা কেন ? কোন শালা জেনেবুঝে কঠিন পথে যেতে চায় যেখানে রেগুলার ইব্যলুএশোন পেরোতে হবে ! ওপেন বুক এক্সাম এ সবচে কান্নাকাটি করে ছাত্র রাই । তাই কতজন ছাত্র আদৌ ডাকে সারা দেবেন তাই নিয়ে সন্দেহ থেকে গ্যালো ।
  • Ekak | 24.99.57.169 (*) | ১৮ মার্চ ২০১৩ ০৭:১৬77429
  • যারা আমার আগের পোস্ট দেখে কমর বাঁদ্ছেন এই ভেবে যে তুমি বাপু ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাইরে কিছু বোঝনা তাদের সপাটে বলি : পলিটিকাল সায়েন্স কম্বি নিয়ে দাব্লুবিসিয়েস এ এ গ্রেড পেয়ে যে মাল্টা সেচ দপ্তর এ চীফ ইঞ্জিনিয়ার এর ওপর ছড়ি ঘোড়ায় , উন্নত শিক্ষাব্যবস্থায় সে লাথ খাবে সবচে আগে । কাজেই অসাধু সাবধান ।
  • জিগীষা | 127.194.100.238 (*) | ২১ মার্চ ২০১৩ ০৪:৫৩77430
  • @দেব, পুরো কবিতাটাই ছিল, এখুনি খুঁজে পাচ্ছিনা, এখন দরকার বলে :(
    পেলে এখানেই বলে দেব
    @শুদ্ধ , একদম ঠিক সমালোচনা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ। এখানে মূলত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই পাই দি লিখতে বলেছিলও, তাই এসব বলে ওঠা হয়নি, ধন্যবাদ :)
  • Mainul Hassan | 127.20.151.249 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৩ ০৩:২৮77433
  • হাতেম ভাই, এইসব লিংক দিয়ে কোনো লাভ নেই। রাজনীতির ধ্বজাধারীদের মাথায় ঢুকবে না। পলিটিকাল ক্ষমতা পেয়ে এইসব তথাকথিত ছাত্রছাত্রীরা যে কিরকম আচরণ করে, কিরকম অন্যায় আবদার শুরু করে তা এনারা বুঝেও বুঝতে চান না। তাই অরন্যে রোদন নিষ্প্রয়োজন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন