এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • ৩৭৭: কিছু কথা

    বর্ন ফ্রী লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৮৪১ বার পঠিত
  • সুপ্রীম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ফলে আমরা আবার অপরাধী। দিল্লি হাইকোর্ট চার বছরের জন্য একটা জানলা খুলে দিয়েছিল। সুপ্রীমকোর্টের রায় আবার সেই জানালা পেরেক ঠুকে বন্ধ করে দিল। 

    যারা মনে করেন, সমপ্রেম অপ্রাকৃতিক, অসুস্থতা বা ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে ক্ষতিকারক, এ লেখা তাদের জন্য নয়। তাদের জন্য এর আগে অনেকে অনেক লেখা লিখেছেন। এই পত্রিকার-ই অন্য যৌনতা বিভাগে সেই বিষয়ে লেখা পাওয়া যাবে। সেই লেখাগুলো পড়ে নিতে অনুরোধ করছি।

    এই লেখা তাদের জন্য যারা মনে করেন সুপ্রীম কোর্টের রায় আইনের নিক্তিতে সঠিক, অথবা ধারা ৩৭৭ তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এই লেখা তাদের জন্যও যারা আমাদের মত প্রান্তিক যৌনতার মানুষজনের জীবনে এই রায়ের অভিঘাত সম্পর্কে সরাসরি জানতে চান। আর সবশেষে এই লেখা তাঁদের জন্য যাঁরা বোঝেন, আমাদের সমর্থন করেন কিন্তু জানেন না কীভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন।

    অনেকেই বলছেন যে আইন তৈরি করা আদালতের কাজ নয়, সেটা সংসদের অধিকার। কথাটা সত্যি কিন্তু এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। 

    প্রথমত, ধারা ৩৭৭-এর ক্ষেত্রে আদালতকে আইন তৈরি করতে বলা হয় নি, আইনের সাংবিধানিকতা জানতে চাওয়া হয়েছে। কোনো আইন সংবিধানের সীমা অতিক্রম করছে কি না, সেটা দেখার অধিকার আদালতকে সংবিধান দিয়েছে। ধরা যাক, আজ সংসদ আইন করল যে স্বামী-স্ত্রী পুর্ণিমার রাত ছাড়া সঙ্গম করতে পারবে না। করলে তা অপরাধ হিসেবে দেখা হবে। আদালতের পুরো অধিকার রয়েছে এরকম অসাংবিধানিক আইনকে রদ করে দেওয়ার। 

    দ্বিতীয়তঃ, যেখানে আইনের পরিধি সুস্পষ্ট নয়, সেখানে আইনের ব্যাখ্যা করা আদালতের শুধু অধিকার-ই নয়, দায়িত্বও বটে। এই রায়ে আদালত সেই দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। ধারা ৩৭৭ খুবই অস্পষ্ট একটি আইন। “অর্ডার অফ নেচার” কাকে বলা হবে আর কাকে নয়, তার কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই।  আমাদের মনে রাখতে হবে, ধারা ৩৭৭-এর নির্দেশের সঙ্গে সরাসরি সমকামিতার কিন্তু কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধারা অনুযায়ী যদি কোনো বিপরীতকামি যুগলও পুরুষাঙ্গ-যোনি সঙ্গম ব্যতীত অন্য কোনো যৌনক্রিয়া করে, তাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই ৩৭৭-এর পরিসর নির্দিষ্ট করে দেওয়া আদালতের শুধু এক্তিয়ারই নয়, কর্তব্য ছিল, যা তারা কোনো অজ্ঞাত কারণে করতে অস্বীকার করেছেন।

    এই প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করা দরকার। হাইকোর্ট যেটা করেছিলেন, সেটা আইন তৈরি করা বা রদ করা নয়, সেটাকে পরিভাষায় বলা হয় “রিডিং ডাউন” অর্থাৎ আইনের পরিধিকে বিশেষভাবে বেঁধে দেওয়া, যা একান্তভাবে আদালতের অধিকারভূক্ত।

    যে আদালত, একদিন আগে গাড়িতে লালবাতি থাকবে কি না সেই বিষয়ে রায় দিতে পারল, সেই আদালত কেন এই বলকে সংসদের কোর্টে পাঠিয়ে দিল, তা বোঝা গেল না। 

    এ তো গেল, আদালত কী করতে পারত। এর পরে আসব, আদালত কী করল, সেই প্রসঙ্গে। 

    আদালত জানাল যে ধারা ৩৭৭ সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে না। আমরা দেখব, আদালত কীভাবে এই সিদ্ধান্তে এলেন এবং তাতে কী সঙ্কটের সৃষ্টি হল। 

    প্রথমত আদালত জানাল যে লিঙ্গভিত্তিক যে সাম্যের অধিকার সংবিধান দিয়েছে, যৌনতা বা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন তার আওতায় আসবে না (দিল্লি হাইকোর্টের ভাবনা ভিন্ন ছিল)। এখানে ভাবা দরকার যে, সংবিধানে কেন লিঙ্গভিত্তিক সাম্যের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। একথা অনুমান করা কষ্টকর নয় যে সংবিধান প্রণেতারা বুঝেছিলেন, সমাজে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য আছে, তাই তার বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের দরকার রয়েছে। একই রকম ভাবে আমাদের সমাজে যৌনতাভিত্তিক অসাম্যও রয়েছে, কিন্তু আদালত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন না। তারা বলে দিলেন যে যৌনতা সমানাধিকারের মাপকাঠি হতে পারে না। অর্থাৎ, এক কথায়, কোনোরকম বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের সংগ্রামের অধিকার তারা কেড়ে নিলেন। 

    তাঁরা আরও জানালেন যে, যারা “প্রকৃতিসম্মত যৌনক্রিয়া” করেন আর যারা “প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌনক্রিয়া” করেন তারা দুটি ভিন্ন গোত্রভুক্ত (ক্লাস)। তাই এক গোত্রের সাম্যের অধিকার, অন্য গোত্র দাবি করতে পারে না। কিন্তু আইনের চোখে কেন হেটেরোসেক্সুয়াল আর হোমোসেক্সুয়ালদের ভিন্ন গোত্র হিসেবে দেখা হবে, তা তাঁরা ব্যাখ্যা করলেন না। আরো মজার ব্যাপার হল, তাঁরা এটা বুঝলেন না যে, এই গোত্রবিভাজন খুবই আপেক্ষিক। আজ যদি স্বামি-স্ত্রী দুরকমের যৌনক্রিয়া করেন তবে তাদের কীভাবে গোত্রভুক্ত করা হবে, এই রায় থেকে সেটা বোঝা গেল না।

    ৩৭৭ ধারার অন্যতম সমস্যা হল, এটি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রাইট টু প্রাইভেসিকে খর্ব করে। এই গোপনীয়তার অধিকার, সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তাই আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যেহেতু ৩৭৭ এই অধিকারকে খর্ব করে, সেহেতু একে অসাংবিধানিক বলা যাবে কি না। এই প্রসঙ্গে আদালত জানালেন, কোনো বে-আইনি কাজের ক্ষেত্রে, এই অধিকার প্রযোজ্য নয়। যেহেতু, “প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌনাচার” ধারা ৩৭৭ মতে বে-আইনি, তাই এক্ষেত্রে ৩৭৭ প্রয়োগ করা হলে তা অসাংবিধানিক নয়। এরকম বৃত্তাকার যুক্তিজাল আদালতের কাছ থেকে খুব বেশি শোনা যায় নি।

    তবে এই রায়ের সবথেকে ভয়ঙ্কর দিক হল, সংখ্যার বিচারে সাম্যের অধিকার নির্ণয়। আদালত তাদের রায়ে জানালেন, যেহেতু এলজিবিটি সম্প্রদায় খুবই ছোট (আদালতের হিসেবে ২৫ লাখ) এবং গত ১৫০ বছরে মাত্র ২০০ বার এর আদালতে প্রয়োগ হয়েছে, তাই এই ধারা অসাংবিধানিক নয়। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে কবে থেকে, কীভাবে সাম্যের অধিকারের সঙ্গে সংখ্যার হিসাব সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেল। এই আশ্চর্য রায় আমাদের জানাল যে, যদি কোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো অন্যায় হয়, তবে তা সংখ্যার বিচারে অন্যায় বলে ধরা হবে না!   এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, ৩৭৭-এর প্রয়োগ যত না আদালতে হয়, তার থেকে অনেক বেশি হয় পুলিশি হয়রানি আর ব্ল্যাকমেলিং-এর ক্ষেত্রে। অনেক বিষয়ের মত, এই বিষয়টিকেও আদালত “নজর আন্দাজ” করে গেলেন। 

    সব শেষে এই রায়ের বয়ানে একটি এবং মামলা চলাকালীন একটি শব্দচয়নের উল্লেখ করে প্রসঙ্গান্তরে যাব। এই রায়ে বলা হল “এলজিবিটিদের তথাকথিত অধিকার”। “তথাকথিত”? “সো কল্ড”? মামলা চলাকালীন বিচারপতি বললেন যে “সৌভাগ্যক্রমে ভারতে সমকামীদের সংখ্যা অনেক কম”। “সৌভাগ্যক্রমে”? “ফরচুনেটলি”? মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। 

    এর পরে আসি এই রায় আমাদের জীবনে কী অভিঘাত নিয়ে এল। 

    প্রথমতঃ, এক মুহুর্তে আমি এবং আমরা ক্রিমিনাল হয়ে গেলাম। অর্থাৎ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমস্ত রক্ষাকবচ হারালাম। কাল যদি সমকামী হওয়ার জন্য আমাকে আমার নিয়োগকর্তা চাকরি থেকে বরখাস্ত করে, আমার কিছু করার রইল না।

    দ্বিতীয়তঃ, যে পুলিশি হয়রানি ও ব্ল্যাকমেলিং অনেকাংশে কমেছিল, তা আবার দ্বিগুণবেগে ফিরে আসার রাস্তা প্রশস্ত হল।

    তৃতীয়তঃ, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের এলজিবিটি গ্রুপ বন্ধ বা ব্যান করে দিল। অর্থাৎ, যদিও সমপ্রেম (হোমোসেক্সুয়ালিটি) অপরাধ নয়, তবুও এই রায়ের অভিঘাতে ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেসন আটকে গেল।

    চতুর্থতঃ, সমাজে সংখ্যাগুরুর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল। আমরা জানলাম, যেকোনো ‘আনকমন’ কাজকে রাষ্ট্র অপরাধ বলে সাব্যাস্ত করতে পারে। 

    পঞ্চমতঃ, এই রায় বহু সমপ্রেমী ছেলেমেয়েকে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দিল। তাদের ভীতি, মানসিক অশান্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দিল।

    তবে এই রায় আমাদের অনেক উপকারও করল। 

    এই প্রথমবার, সমপ্রেম এত খোলাখুলি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল। আমরা দেখলাম বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের পাশে এসে দাঁড়াল। সমাজের নানা স্তর থেকে প্রতিবাদের ঢেঊ উঠল। এলজিবিটি সম্প্রদায় আর পেছন ফিরে তাকাল না। দিল্লি হাইকোর্টের খুলে দেওয়া জানালা দিয়ে যারা খোলা হাওয়ায় বেরিয়ে এসেছে, তারা আর ফিরে যেতে অস্বীকার করল। তারা রাস্তায় নেমে জানাল, এ লড়াই আত্মসম্মানের লড়াই, এর শেষ না দেখে ছাড়া হবে না। 

    যারা আমাদের এই লড়াইকে সমর্থন করেন, যারা মনে করেন যে এ লড়াই শুধু এলজিবিটি-দের লড়াই নয়, তাদের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। প্রথমতঃ, আপনারা সর্বত্র জোর গলায় জানান যে আপনারা এ লড়াইকে সমর্থন করেন। শুধু তাই নয়, অন্যদের এটাও জানান যে কেন আপনি সমপ্রেমীদের সমানাধিকারে বিশ্বাস করেন। আপনার কাজের জায়গায় সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আলোচনা করুন, কাগজে লিখুন, গান, কবিতা, নাটক, কার্টুনে আমাদের সমর্থন করুন। অশালীন গে জোক্‌সের প্রতিবাদ করুন। সব থেকে বড় কথা, হিরন্ময় নীরবতা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসুন, অন্যকে শিক্ষিত করুন।

     

    [গত কয়েকদিনে পড়া বহু লেখার টুকরো-টাকরা নিয়ে এই লেখা। কিন্তু সে সব এতই ছড়ানো-ছিটোনো যে নির্দিষ্ট করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারলাম না। লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।] 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৮৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • debu | 86.167.253.71 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:২৪77774
  • ৩৭৭ ধারায় using condom is against the nature?
    like as Koran also
    কি বলেন আপনারা?
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০৭77775
  • ৩৭৭ অনুযায়ী "প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌনক্রিয়া” অপরাধ। এখন, প্রকৃতি তো কোথাও পাথরে খোদাই করে লিখে দেয় নি যে অমুক কাজটি আমার বিরুদ্ধে বা তমুক কাজটি আমার নিয়ম মেনে চলে।
    কোন কোন কাজ 'প্রকৃতিবিরুদ্ধ', কোনগুলো নয় - তার কোন লিস্টি কি মহামান্য আদালত দিয়েছেন?
  • মৌ | 24.99.163.185 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:১৯77776
  • আইন কানুন বিশেষ বুঝিনা, কোন চর্চাও করিনা। এই লেখাটায় রায়ের যে দিক গুলো বেরিয়ে আসলো তা সত্যিই হতাশার। “এলজিবিটিদের তথাকথিত অধিকার... সৌভাগ্যক্রমে ভারতে সমকামীদের সংখ্যা অনেক কম..." এই ধরণের মন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক দেশের সুপ্রিম কোর্ট'এর কাছ থেকে আশা করা যায় না। হয়তো আইন কানুনের জ্ঞান না থাকার জন্য মনে একটা প্রশ্ন বড় খোঁচা মারছে- বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্ট'এর বিচারপতি ছিলেন তো !!! না'কি কোন কারনে আবসেন্ট থাকায় কোন এক 'খাপ' থেকে দুজনকে ধরে চেয়ারে বসানো হয়ছে !!!
  • Born Free | 24.96.251.116 (*) | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:৪১77777
  • কোন কোন কাজ 'প্রকৃতিবিরুদ্ধ', কোনগুলো নয় - তার কোন লিস্টি কি মহামান্য আদালত দিয়েছেন?
    না দেন নি। তারা বলেছেন যে এই লিস্টি বিশদে দেব সম্ভবপর নয়, তাই কেস ধরে ধরে ঠিক করা হবে যে কেস খাওয়ানো যায় কি যায় না।
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৬77778
  • [৩৭৭ অনুযায়ী "প্রকৃতিবিরুদ্ধ যৌনক্রিয়া” অপরাধ। ]

    আইনটির বিস্তারিত বয়ান নোটে থাকলে পুরো আলোচনা ধরতে সুবিধা হত।

    জয় হোক!
  • Born Free | 24.99.247.57 (*) | ২২ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:২৪77779
  • 377. Unnatural offences: Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with imprisonment for life, or with imprisonment of either description for term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine.

    Explanation: Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offense described in this section
  • Born Free | 113.21.125.83 (*) | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০২:৩৬77781
  • ধন্যবাদ। 'ব' আপনাকে এবং লেফট-কে।
  • Born Free | 113.21.126.60 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩৬77782
  • http://m.firstpost.com/life/what-chief-justice-p-sathasivam-really-thinks-about-section-377-1463673.html?page=1
    " "From the numerous instances of abuse and violence against homosexuals and transgenders, it is evident that Section 377 has been grossly misused. It is equally obvious that a judicial move to address this concern was exigent in the face of a law enforcement framework so hostile that exploitation at the hands of the alleged protectors became a quotidian affair for sexual minorities in India."
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন