এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ভোট পর্যালোচনা- ২০১৯, পশ্চিমবঙ্গ

    সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৯ মে ২০১৯ | ১৬৮১৮ বার পঠিত
  • ক) ঐতিহাসিক ভুল


    আমরা যে পরিমন্ডলে বড়ো হয়েছি, সেখানে এমন একটি দল আছে, যাকে আমরা বেশ কিছুদিন গিলতেও পারি না এবং ওগড়াতেও পারিনা। সেই দলটি ঐতিহাসিক ভুল করে থাকে। প্রধানমন্ত্রিত্ব বিতর্ক থেকে নাগেরবাজার প্যাক্ট বিভিন্ন নিদর্শন তার। তবে দলের মাথারা আত্মসমালোচনা করেন। নিজের সমালোচনা নিজে করার একটা সুবিধের দিক হল তাঁদের অন্যের সমালোচনা স্বীকার  করতে হয় না। ফলে এই দলটির ব্যাপারে আমাদের আর কিছু তেমন এখন বিশেষ লিখে লাভ নেই। তাও শুরুতে গণেশপুজোর মতন রাখা রইল। বাকি উপাচারে এতদাধিপতয়ে শ্রীবিষ্ণবের মতন ফুল দেব মাঝে মাঝে।


    খ) সংঘ নাকি সংগঠন


    যেহেতু আলোচনা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আর এই বক্তব্য লোকসভা ভোটের শোকসভায় পাঠের জন্য পাঠানো হচ্ছে, ফলতঃ সুরতহালে কী এল জানতে চাইব বৈ কী! প্রথমে দেখার এই ১৮র ৪২ কি সংঘের কেরামতিতে হতে পারে? সংঘ পরিবার, হিন্দুত্ববাদী এই গোষ্ঠীটি বাংলায় বহুবছর ক্রিয়াশীল, বাকি ভারতের মতন। তবে মধ্যিখানে বাম আন্দোলনের ঘনঘটায় এদের টার্গেট অডিয়েন্স অন্য রেখায় প্রতিসৃত হয়েছিল। কিন্তু কলকাতাকেন্দ্রিকতা থেকে অফ ফোকাস বিভিন্ন অংশে গোকুলে বেড়েছে অবশ্যই। আর, দুম করে ভোটে জেতার থেকে বেশি কিছু তাদের লক্ষ্য থাকায় সামাজিক কাজকর্মে অংশীদার হওয়ার কাজ চালিয়ে গেছে। বিশ্বায়নের আগে আমরা মণিমেলা দেখেছি, বিজ্ঞান জাঠা দেখেছি, এমন কী পাড়ার ক্লাবগুলোর সক্রিয়তা দেখেছি। এখন সেই জায়গায় পোটেনশিয়াল অর্গানাইজাররা অর্কুট-ফেসবুক-টিন্ডার-হোয়াটস অ্যাপ করেন। ফলে সামাজিক পরিসরে সংগঠন ডুবে গেছে, সংঘের আলো উজ্জ্বল হয়েছে। হালে সরস্বতী বিদ্যামন্দির লোকের চোখে টোখে পড়ছে, কিন্তু সক্রিয়তা এক মাত্রায় বহুবছর ধরে থেকেছে। এই দিয়ে ভোটে জেতার সবটা হয়েছে মনে হয় না, কিন্তু কিছুটা হয় নি এমন নিশ্চয়ই নয়। সঙ্ঘারামে নিশ্চিতভাবে সংগঠনের ভিতপুজো হয়েছে। তাহলে বাকি থাকে সংগঠন। একটি সংগঠন ভালো চললে তার ভোট বাড়ে। বিশেষতঃ নতুন খেলতে নামা দল জেতে আর পুরোনো দল হারে ডিফেন্স-মিডফিল্ড-ফরওয়ার্ডের অর্গানাইজেশনের তারতম্য ঘটিয়েই। তার মানে ২ থেকে ১৮য় হেভি অফেন্স। ৩৪ থেকে ২২ এ ডিফেন্স ঝুলেছে, যতই ভোটভাগ বাড়ুক টাড়ুক না কেন। বল পজেশন তখনই কাজের যখন তা গোলে বাড়ে।  মনে রাখা দরকার, আমরা ২৩৫, ওরা ৩০ এর ভোটেও ৩৫% এর বেশি ভোট ওদের ভাগে ছিল।  ভোটকে সিটে পরিণত করার মধ্যে সাংগঠনিক কেরামতি থাকে।


    সিপিএমের ভাগে ২ থেকে শূন্য নিয়ে বেশি কিছু বলব না। তবে প্রকৃতি শূন্যস্থান পূরণ করে বলে শিশুবিজ্ঞানে লেখা ছিল। এটুকু খেয়াল করা অবশ্য যেতেই পারে যে ২০০৯এ বামশক্তি যে ১৬টি আসনে জিতেছিল, তার ১১টি এবার বিজেপির ভাগে পড়েছে। উল্টোদিকে দেখি  ২০০৯এ পাওয়া আসন, যা বিজেপি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে ২০১৯এ, তা হল হুগলি, ব্যারাকপুর, বনগাঁ আর রানাঘাট। এর মধ্যে ব্যারাকপুর আসনটা দ্রষ্টব্য, সেখানে তৃণমূলের সংগঠনের মূল লোকটি বিজেপিতে গিয়ে জিতেছেন। বনগাঁ আর রানাঘাটে নাগরিকত্ব বিলের ইস্যু ছিল, যা নিয়ে আমরা পরের পর্বগুলিতে আলোচনা করছি। ফলে বিজেপির ভোট এবং আসন দুইই বেড়ে যাওয়া, স্থানীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দলের নাকের ডগা থেকে মার্জিনাল ভোটে একাধিক লোকসভা আসন বের করা, প্রার্থী প্রচার করতে পারেন নি, এমন জায়গাতেও ফল উলটে দেওয়া- এইসবই সাংগঠনিক কৃতিত্ব হিসেবে দেখা উচিত।


    গ) আইটি সেলের ভাইটি


    তিনি আমাদের হোয়্যাটস অ্যাপ করে গেছেন। আমরা প্রথমে পড়ি নি, তারপর খুলে দেখেছি মমতা ব্যানার্জির কার্টুন, তারপর স্কুলমেটদের গ্রুপে ফরওয়ার্ড করেছি। তারপর একদিন ট্রেনের তাসের আড্ডায় বিশরপাড়ার রবি বলেছে মেটিয়াবুরুজে অপহরণ নিয়ে একটা হেভি প্রতিবেদন এসেছে, সব কাগজ চেপে যাচ্ছে। বলেছি ফরওয়ার্ড করে দে তো। এই ভাবে বিছন থেকে দই জমেছে। কিছুক্ষণ আগে, আমার অফিসের এক সুইপার দেখলাম আরেকজনকে তার ফোন থেকে রাজনৈতিক খবর পড়ে শোনাচ্ছেন। দ্বিতীয়জনের কাছে স্মার্টফোন নেই মনে হল। তো হোয়াটস অ্যাপের ফরওয়ার্ড আমরা কাকে পাঠাচ্ছি আর কার থেকেই বা পাচ্ছি? কার থেকে নয়? পিসতুতো দিদি-সহকর্মী-মুদির দোকানমেট-স্কুলের বন্ধু ইত্যাদি, প্রভৃতি। আমাদের চেনা লোকজনই এগুলো পাঠাচ্ছে, যাদের রাজনৈতিক আনুগত্য-টত্যও নেই, মিডিয়াওলাদের মতন খবর বেচে খাবার জোটানোর দায় নেই। টিভিতে এক বিশেষ-অজ্ঞ এসে গাঁক গাঁক করে বলে গ্যালো- এন আর সি হওয়ায় নাকি আসামে হিন্দুরাই ক্যাম্পে ঢুকছে, তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সে নিশ্চয়ই তৃণমূলের কমিটিতে আছে, আমি হোয়াটস অ্যাপ পেয়েছি সীমান্ত থেকে যে সব লস্কররা ঢুকে আশেপাশের বস্তিতে থাকছে, এন আর সি হলে তাদের চুন চুনকে তিহার জেলে পোড়া হবে। আমার ভায়রা আমাকে পাঠিয়েছে, সে তৃণমূল বা বিজেপি নয় বরং বামমনস্ক। এইভাবে সাইবার স্পেসে, আমাদের নিজস্ব আলাপচারিতায় এমন এক সংগঠন গড়ে উঠেছে যেখানে নম্বর দিলে বিজেপি ৯৫ তৃণমূল -২০ আর মমতা ব্যানার্জির মিম বানিয়ে সিপিএম সেখানেও বিজেপির খাতায় বাকি ৫ নম্বর উঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, কথা হল হোয়াটস অ্যাপ কার থেকে পাই? কাকে পাঠাই? আইটির ভাইটি কে বা কারা আমি জানিনা, কিন্তু তাঁর কাজ ভাইরাল হয়ে আমার কাছে আসে আমার চেনাশুনো লোকের থেকেই, পাঠাই ও তাদেরকেই। চেনাশুনো লোক আমাদের জন্য তারাই যাদের সাথে দেখাশোনা হয়। আশেপাশের লোক, এই শহর বা গঞ্জের, নইলে ট্রেনে একটা দুটো স্টেশন, বাসে কুড়ি মিনিট দূরে থাকে এরকম। ফলে এক ভৌগোলিক পরিসরে এই সাইবার স্পেস ক্রিয়ারত থাকে। হোয়্যাটস অ্যাপের সাংগঠনিক ক্ষমতাও ভৌগোলিক। মাটিতে চলা সংগঠন তার কর্মীদের হাত ধরে বুথ-ওয়ার্ড-পঞ্চায়েত-ব্লক ধরে গড়ে ওঠে, শক্তিশালী হয়, শক্তি ক্ষয়ও করে। মেসেঞ্জার-হোয়্যাটস অ্যাপের স্মার্ট সংগঠন, স্থানীয় কর্মীর ভূমি ঊর্ধ্বে ভোটের প্রচার চালিয়ে গেছে সেই ভৌগোলিক পরিসরেই, মূলতঃ।


    ঘ) ভৌগোলিক ঠিক




    চিত্র ১- বিধানসভা ভিত্তিক এগিয়ে থাকার হিসেব (লাল- বিজেপি, নীল- তৃণমূল)


    চিত্র ১ -এ রাজ্যের লোকসভা ভোটের ফল রাখা রইল।  একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে, তার মূল কারণ বিধানসভা কেন্দ্রে কে এগিয়ে সেই হিসেব ধরে এই ম্যাপপয়েন্টিং করা হয়েছে। এছাড়া কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা বা  কংগ্রেস সিগিনিফিকেন্ট এই এলাকাগুলি আমরা ম্যাপে সাদা রেখে গেছি ধরিনি ( নির্দিষ্ট করে- মালদার দুটো লোকসভা আর বহরমপুর), আর মূল ম্যাপে গা ঘেঁষাঘেঁষি ব্যারাকপুর আর হুগলি কেন্দ্রের বিধানসভাগুলি ভালো করে বোঝা যাচ্ছিল না (এই অঞ্চল জনগনত্বে পৃথিবীর সামনের সারিতে)। মোটের ওপর নীল রঙে তৃণমূলের জেতা আর লাল রঙে বিজেপির জেতা বিধানসভা দেওয়া আছে। যেটা দেখার, উত্তরবঙ্গে দুটো আর দক্ষিণবঙ্গে দুটো নীল প্যাচ ছাড়া, বাকি সমস্ত লাল বা নীল দাগ দলাবেঁধে আছে , মানে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধরে হয় টানা বিজেপি এগিয়ে, নতুবা তৃণমূল। এই চারটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া জায়গা নিয়ে আমরা পরে কথা বলব।


    কিন্তু মূল ট্রেন্ড যেটা বিজেপি যেখানে এগোচ্ছে সেখানে আশেপাশের বেশ বড়ো অঞ্চল ধরে বিজেপি এগোচ্ছে, অঞ্চলগুলো এত বড়ো যে তার মধ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠী শহর-গ্রাম ইত্যাদি পড়ছে, মানে ধরুন দেড়খানা বা তিনখানা জেলা ধরে একটা বিজেপি জেতা পরিসর। আবার তৃণমূলও তাই। এই জেতার পরিসরটা একাধিক লোকসভাকে কাটছে। ধরুন ব্যারাকপুরের মধ্যে আমডাঙা তৃণমূল এগিয়ে তার পাশে খড়দা, অশোকনগর, বারাসত অন্য লোকসভাতে হলেও তৃণমূল জিতছে। দমদম আর বারাসতের দুটো বিজেপি বিধানসভা যথাক্রমে রাজারহাট গোপালপুর আর বিধাননগর- গায়ে গায়ে। আবার ঘাটালের ডেবরাতে বিজেপি এগিয়ে তার পাশেই তো পাঁশকুড়া পশ্চিম আর মেদিনীপুর বিজেপির থাকছে। এই ধারাটা গোটা রাজ্য জুড়েই প্রায়। এর উত্তর অধীর চৌধুরীর পকেট দিয়ে হয়। সেখানে কংগ্রেসের খুব ভালো ভোট সব বিধানসভায়, সাতটার চারটেতে এগিয়ে, বাকিগুলোতেও এত ভালো যে কংগ্রেসের ভোট বলে মনেই হয় না, আর তার কারণ কংগ্রেসের অসাধারণ সংগঠন আছে ঐ অঞ্চলে। অধীরবাবুর নিজস্ব সংগঠন। অর্থাৎ, সংগঠন, যা অঞ্চল ভেদে শক্তিশালী হয়, তা যেখানে প্রতিপক্ষের তুলনায় মজবুত, সেখানে মোদি হাওয়া, সারদা দুর্নীতি, টাকা খাটানো সব তুচ্ছ করে জয় এনেছে। নইলে পুরো দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জুড়ে তৃণমূল সব বিধানসভায় এগিয়ে, আর সারদায় ক্ষতি তো ঐ জেলাতে প্রচুর। দক্ষিণ চব্বিশে তৃণমূলের এমন সংগঠন যে ডিএ পেকমিশন ব্যর্থতার পরেও ডায়মন্ড হারবারে পোস্টাল ব্যালটে তৃণমূল এগিয়ে থাকে! তৃণমূল যেখানে ভালো রকম পিছিয়ে সেখানে ১০ বছর আগের ভোটেও সেই অবস্থায় ছিল। বাঁকুড়ায় ২০০৯এ ৩৬% ভোট ছিল, মেদিনীপুরে ৪২%। এখনও কিমাশ্চর্য তাই হয়ে গেছে। অনুরূপ হিসেব বালুরঘাট, বিষ্ণুপুর কিম্বা আসানসোলেও। বামপন্থীদের সংগঠন প্রবলতর ছিল ২০০৯-এ (তখন ভাঙন শুরু হয়ে গেছে), এখন একদমই অনুরূপ প্রাবল্য বিজেপির। তৃণমূলের সংগঠন যেখানে ২০১১র পরে গড়ে উঠেছে সেখানে সেখানে সেটি দুর্বল এবং বিজেপি সম্ভবতঃ পূর্বতন শক্তিশালী অন্য একটি সংগঠনের কাঠামো ধরে এগিয়েছে। ফলে সেখানে তৃণমূলের ভোট ২০০৯-এর হিসেবে প্রায় আটকে আছে এবং বিজেপির ভোট ২০০৯-এ বামদলের ভোটের সমান হয়ে গেছে। আর, আগে যা বলেছি, ২০০৯-এ বামশক্তির জেতা লোকসভা আসনের ১৫র ১১ টিতে এবার বিজেপি জিতেছে। বাকি ৪টি আসন যা তৃণমূল এবার পেয়েছে সেগুলি হল- আরামবাগ (১০০০+ ভোটে কোনও ক্রমে জেতা), পূর্ববর্ধমান, ঘাটাল ও বোলপুর।  তৃণমূলের সংগঠন বীরভূমে অনুব্রত মন্ডলের হাতে শক্তিশালী হয়েছে। ঘাটালে নির্ণায়ক হয়েছে কেশপুর বিধানসভা, ৭৮০০০ ভোটে এগিয়ে দিয়ে। কেশপুরে তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে আমরা গত দুদশক ধরে শুনে আসছি। তাছাড়া সংগঠন তো শুধু একটা ব্লকে আটকে থাকে না, আশেপাশের ব্লকেও ছড়ায়। তাই, আশেপাশের বিধানসভাতেও যথাক্রমে লাল বা নীল রঙ ধরছে।


    এই যে বিন্যাসটা, যেখানে তৃণমূল এগিয়ে সেটা এবং তার আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নীল আর যেখানে বিজেপি এগিয়ে, আশেপাশের অঞ্চল লাল, যাদের জ্যামিতির পরিভাষায় হয়ত বা ম্যানিফোল্ড হিসেবে দেখা যাবে, সেটা এই নির্বাচনের মূল ধারা। একটা মাপক হিসেবে এখানে ভোটে জেতাকে ধরা হয়েছে, শুধু জেতা হারা দিয়ে অবশ্য সবটা ব্যাখ্যা হয় না। কিন্তু, লক্ষ্যণীয় বিষয় যেখানে একটি ম্যানিফোল্ডের সীমানা আর আরেকটি শুরু, তার কাছাকাছি দিয়ে একদলের ভোট শেয়ার কমে আসছে আরেকজনের বাড়ছে এরকম। অর্থাৎ একটা ভূমিগত বিন্যাসের ধারা মেনে ভোট ভাগ হচ্ছে, বিশেষতঃ বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে। লোকসভা কেন্দ্রের বদলে বিধানসভা কেন্দ্রের নিরিখে ম্যাপ দেওয়া এইটা বুঝতেই যে এই ম্যানিফোল্ড-গুলি স্থানীয় সাংগঠনিক শক্তির হেরফেরে ভোটের ফলাফলের পরিণতির ইংগিতই দিচ্ছে। আমাদের হাতে বুথ ভিত্তিক তথ্য নেই, কেউ পেলে করে দেখতে পারেন সেইখানেও এই বিন্যাস দেখা যাচ্ছে কী না!


    ঙ) মিথ-মিথ্যে-মিথোজীবিতা


    বলা হচ্ছে এস সি ও এস টি রা তৃণমূলের দিক থেকে সরে গেছে। আমরা মালদা মুর্শিদাবাদ বাদে ৬৪টির মত এস সি সংরক্ষিত বিধানসসভা দেখলাম, তার ৩১টিতে তৃণমূল এগিয়ে।  যে এস সি বিধানসভাগুলি বনগাঁ রানাঘাট বা আলিপুরদুয়ারে গায়ে গায়ে লেগে আছে, সেইগুলির প্রায় সবকটিতেই বিজেপি এগিয়ে। তার আশেপাশের অসংরক্ষিত বিধানসভার ট্রেন্ড রঙ ও কিন্তু অনুরূপ। আবার যে সংরক্ষিত আসনগুলি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়, তার সবগুলিতে তৃণমূল এগিয়ে। অর্থাৎ তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষের আধিক্য সংশ্লিষ্ট বিধানসভাগুলিতে আলাদা করে ফলের তারতম্য ঘটাচ্ছে না, এবং সারা বাংলা জুড়ে তপশিলি জাতির আলাদা করে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার সাধারণ কোনও রীতি এই ভোটে উঠে আসেনি। তবে, একথা অনস্বীকার্য যে রাণাঘাট আর বনগাঁয় বেশিরভাগ বিধানসভাই তপশিলি সংরক্ষিত। এবং গত দুটি লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে বিপুল সমর্থনের পরে এইখানকার মানুষ এবার বিপুলভাবে বিজেপির সঙ্গে গিয়েছেন। তার পিছনে একটা বড় ফ্যাক্টর অবশ্যই নাগরিকত্ব বিলের প্রতিশ্রুতি। আসামের এর আর সি-র উদাহরণ হাতের সামনে থাকলেও সেখানে বিজেপির প্রচারকে কাউন্টার করতে পারে নি বাকি দলগুলি। এছাড়াও আগে আলোচনা করা সংগঠনের শক্তির তারতম্যের ব্যাপারটা এসেই যাবে। রাণাঘাটের কৃষ্ণগঞ্জে একটি বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল এইবারই। সেখানে পূর্বের তৃণমূল এম এল এ-কে হত্যা করা হয়, সন্দেহের তীর বিজেপির দিকে থাকে। প্রায় সমস্ত প্রিসিডেন্স সরিয়ে রেখে সেই আসনে বিজেপি জেতে! দলিত এম এল এ হত্যা যেখানে জাতীয় রাজনীতিতে নির্ধারক পয়েন্ট হতে পারত, সেখানে সেই আসনের উপনির্বাচনেই সেই এম এল এ-র দল হেরে যায়, এ সাংগঠনিক বিচ্যুতি ছাড়া হতেই পারে না।


    যাই হোক, আমাদের চিত্র-১ এ চারটে পকেট আছে, যা তৃণমূলের দিকে থাকা বিধানসভা, চারদিক থেকে বিজেপি দিয়ে ঘেরা। উত্তরবঙ্গে সিতাই ও রাজগঞ্জ, দুটোই এস সি। দক্ষিণে মানবাজার ও বিনপুর, দুটিই এস টি। এর কাছাকাছি দুটো বিজেপির জেতা এস টি বিধানসভা রায়পুর ও রানিবাঁধ, যেখানে তৃণমূলের পিছিয়ে থাকা এবং সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটের হিসেব মিলে যায়।


    এবার, তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত সিটের হিসেব যদি দেখি- ১৫ টির ৩ টি তৃণমূল পেয়েছে। অর্থাৎ এখানে একটা শক্তিশালী ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে যে তপশিলি উপজাতির মানুষজন বিজেপিকে বেছে নিচ্ছেন। তবে এর মধ্যে লক্ষ্যণীয়, ঐ পূর্বোল্লিখিত দুটি পকেট বাদ দিয়ে আর যে এস টি আসনে  তৃণমূল এগিয়েছে, সেই সন্দেশখালির আশেপাশের সব আসনই কিন্তু তৃণমূলের। আবার বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের এস টি আসনগুলির আশেপাশে সব আসন প্রায় বিজেপির। তবে, এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে তপশিলি উপজাতির মানুষ তো আর শুধু সংশ্লিষ্ট বিধানসভাতেই থাকেন না, আশেপাশে ছড়িয়ে থাকেন আর তাঁদের ভোট অঞ্চলের অন্যান্য বিধানসভাতেও প্রভাব ফেলেছে।


    এইখানে একটা মিথোজীবিতার তত্ত্ব আনা যায়। মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রদায়, পেশা ব্যতিরেকে একে অন্যের সঙ্গে আদানপ্রদান করে। আমার প্রতিবেশী কী ভাবছে, বাজারের সবজিওলা কী বলছেন, ছেলের গৃহশিক্ষক কী চাইছেন এইসব আমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। আর, এই হাইপোথিসিসকে আমরা রাখছি আরেকটা হাইপোথিসিসের প্রতিতুলনায়। সেটা হল যে- মুসলিম ভোট প্রায় সর্বাংশে তৃণমূলে গেছে এবং সেইটাই তৃণমূলকে যেটুকু অক্সিজেন দেওয়ার দিয়েছে। বাংলার মুসলিম জনশতাংশ সবচেয়ে বেশি, দুটি জেলায়- মালদা আর মুর্শিদাবাদ। জনবসতির ৫০% এর বেশি মুসলমান। তার মধ্যে মালদায় একটিও আসন তৃণমূল পায় নি, মুর্শিদাবাদে তিনটির দুটি আসন পেয়েছে। আরও একটি মুসলিম সংখ্যাগুরু জেলা উত্তর দিনাজপুর। এখানে মুসলিম ৪৯% এর বেশি। এই জেলার ৯টি বিধানসভার ৫ টিতে তৃণমূল এগিয়ে, চারটিতে বিজেপি। এবং কোনও আসনেই ৪৯% এর কাছাকাছি ভোট তৃণমূলের নেই বরং কয়েকটি আসনে কংগ্রেস-সিপিএম ভালো ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ, মুসলিমরা সংখ্যাগুরু এমন অঞ্চলে তৃণমূলকে তাঁরা সম্প্রদায় বেঁধে ভোট দিয়েছেন এরকম মোটেই নয়। এরপরে যে দুটি জেলায় মুসলিম বসতি বেশি, মানে ১/৩ এর বেশি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা এবং বীরভূম, দুটিতেই লোকসভার সব আসন তৃণমূলের, বিধানসভার প্রায় সব আসনও। দক্ষিণ চব্বিশের প্রায় সমস্ত বিধানসভায় ৫০% এর বেশি ভোট তৃণমূলের, কোথাও কোথাও তা ৭০-৮০ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে তপশিলি জাতি অধ্যুষিত বিশাল এলাকাও রয়েছে। সিপিএম কংগ্রেসের ভোট অনেক কম, এস ইউ সি আইয়ের গড় যে দুটি কেন্দ্র, সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিজেপির ভোট বেশ কিছুটা বেশি। বীরভূমেরও বহু কেন্দ্রে ৫০%এর বেশি ভোট তৃণমূলের। অর্থাৎ এই সমস্ত কেন্দ্রে ভোটের সোজা ধর্মীয় বিভাজন হয় নি, মুসলিম ভোট তৃণমূল আর হিন্দু ভোট বিজেপি এমন ভাবে ভোট ভাঙে নি। বরং উলটো ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে সেখানে ২০-২৫% মুসলমান, যেমন বর্ধমান হাওড়ার বিধানসভাগুলি, তার অনেকগুলিতে তৃণমূলের ভোট বেশ ভালো এসেছে, ৫০%এর কাছাকাছি। আবার উত্তরবঙ্গে ঐধরণের মুসলমান বিন্যাসে তৃণমূলের ভোট অত ভালো হয়ও নি। উত্তর চব্বিশ ও নদীয়ায় মিশ্র ফল, বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে যেখানে তৃণমূলের ভোট ভালো, সেখানে তপশিলিপ্রধান আসনেও তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে। আবার সেটা হচ্ছে না বলে উত্তর চব্বিশ পরগণা ও নদীয়ার কিছু এলাকায় ফল ততটা ভালো হচ্ছে না। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০% মুসলিম, সেখানে একটি আসন তৃণমূল পাচ্ছে। একদমই পাচ্ছে না বাঁকুড়া পুরুলিয়া দার্জিলিং এ, সেখানে মুসলিম জনশতাংশ দশের নিচে।


    বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা মুসলিমদের কাছে ভালো নয়, এখন অবধি এটা প্রতিষ্ঠিত। ফলে মুসলিম ভোট বিজেপির বিরুদ্ধেই যাওয়ার সম্ভাবনা। যে অঞ্চলে মুসলিমরা সংখ্যাগুরু, তাঁরা একাধিক দলকে বিজেপির বিরুদ্ধে বেছে নিচ্ছেন। যে অঞ্চলে সংখ্যালঘু কিন্তু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আছেন, সেখানে সম্ভবতঃ তৃণমূলকে বেছে নিচ্ছেন এবং মুসলিমদের বিজেপিজনিত আশংকা একভাবে তাঁদের প্রতিবেশী হিন্দুকে প্রভাবিত করছে, তাঁদের ভোট একতরফা বিজেপিতে যাচ্ছে না। বরং তৃণমূল আরও কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছে। তপশিলি জাতির ভোটেও সেই প্রভাব আসছে। ব্যতিক্রম মতুয়া অঞ্চলগুলি, সেখানে নাগরিকত্ব ইস্যুতে তপশিলি ভোট একধারে বিজেপিতে গিয়েছে, হিন্দু-মুসলিম মিথোজীবিতার তত্ত্ব টেঁকে নি। যেখানে মুসলিম নেই, সেখানে বিজেপির মুসলিম-বিরোধিতার অভিযোগ তার ভোট হিন্দুদের কাছেও কমায় নি, কারণ হিন্দু জনগণ প্রতিবেশীর সহমর্মী হতে পারে নি।


    এর উল্টোদিকে আসছে তৃণমূলের মুসলিম তোষণ, ইমামভাতা প্রভৃতি 'পশ্চাদপট' জনগণের মধ্যে তার ভোট বাড়িয়েছে, কদিন বাদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হবে রাজ্যে। মুসলিম ধর্মীয় রাজনৈতিক দল এসে এই ভোট নিয়ে তৃণমূলকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেবে এই সব বক্তব্য। বিজেপির পাশাপাশি বাম-লিবারেলরাও যার প্রচারে নেমেছেন। কমরেড নরেন্দ্র মোদী তো বলেইছেন, মানুষ দুধরণের- যাঁরা ওনাকে সমর্থন করেছেন আর যাঁরা ওনাকে সমর্থন করবেন। কিন্তু ধর্মীয় ভোট বিভাজনের জনপ্রিয় হয়ে ওঠা তত্ত্ব ১০-৩৫% মুসলিম জনবহুল এলাকায় বহুলাংশে তৃণমূলের ৫০% বা তার বেশি ভোটের হিসেব মেলায় না। হিন্দু-মুসমিল সম্পর্ককে শুধুমাত্র বৈরিতার আলোয় দেখলে হিসেবে অনেকটা ফাঁক থেকে যাবে।


    চ) নটেগাছ


    নোটের গাছি ছাগলে খেয়েছিল কিন্তু তা সত্তেও দেশব্যাপী বিরোধী হাতে পেনসিলও প্রায় রইল না। আরবান এলিট নোটাবিপ্লবীরাও উড়ে গেলেন মোদি হাওয়ায় আর গ্রামে বন্দরে তো কথাই নেই। পশ্চিমবঙ্গে আরও অনেক কিছুর সাথে ঝামরে পরল সেই হাওয়া। কিছু রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টালো। একমাত্র যে সব জায়গায় (দাগ দিয়ে আবার বলা, জায়গা, অঞ্চল, ভৌগোলিক বিভাজন) তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী, হাওয়া বাঁক নিল সেখানে এসে। চলে গেল সেইসব জায়গায়, যেখানে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী নয়, নতুন এবং বামপন্থীদের সংগঠন যেখানে কদিন আগেও শক্তিশালী ছিল। এর পাশাপাশি এল সংঘের হাতে গড়ে ওঠে বিজেপির সংগঠন, যা আদিবাসী অঞ্চলে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বিজেপির সংগঠন সম্ভবতঃ বাম সংগঠনের জীর্ণানি বাসাংসিতে পুনঃ প্রাণিত হল। এই লেখাটির সংশোধনপর্বে বন্ধুরা বললেন তৃণমূলের দুর্নীতি, অগণতন্ত্র, বিরোধীদের উপর অত্যাচার এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে। কিন্তু, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারদা উপদ্রুত দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় একাধারে তৃণমূল জিতছে, অনুব্রত মন্ডলের পাঁচনবাড়ির হুমকি সত্তেও বীরভূমে জিতছে, আবার উন্নয়ন হয়েছে লোকে মেনে নিলেও ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়ায় হারছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে মমতার সরকারের থেকে অধিক উন্নয়ন হবে, সৌমিত্র খাঁ বা অর্জুন সিংহ দল বদলানোয় তাঁদের পারফরমেন্স পালটে যাবে, এ মনে হয় সাধারণ ভোটাররা বিশ্বাস করেন না। তবে যেখানে বিজেপির সংগঠন বেশি সক্রিয় হয়েছে সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনমত ভোটবাক্সে পড়ার বন্দোবস্ত করা গেছে। অন্যত্র, যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী, স্থানীয় মানূষের অভাব অভিযোগকে ভোটে নির্ণায়ক হতে দেয় নি। এ কথা অনস্বীকার্য, ছোট স্তরের নেতার দুর্নীতি অত্যাচার সারদা বা রাফালের থেকে কম প্রভাব ফেলে না মানুষের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে, কিন্তু সংগঠনের স্ট্রাকচারটি ক্রিয়াশীল থাকলে, সেইগুলিকে অ্যাড্রেস করা বা তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ হয়ে যায়।


    তাই, ধর্ম নয়, মতাদর্শ নয়, উন্নয়নও নয়,  ম্যাচ শেষে দেখা গেল জিতল সংগঠনই, কারণ ভোট হয়ে যায় না, ভোট করানো হয়- যুদ্ধের মতনই।


    ছ) কী করিতে হইবে


    আমাদের কথা কেউ শোনে না। তাও এত কিছু লেখার পর একটু উপদেশ-সার ও লিখে যাই। এমনিই তৃণমূলকে আজকাল সকলেই বলে যাচ্ছে কী কী করা উচিত। আমরা বরং বলব, তৃণমূলের কী করিতে হইবে না! যেটা ২০০৯ এ সিপিএম করেছিল, সেইটা না করলেই মনে হয় হবে। স্থানীয় স্তরে সংগঠনকে ধরে রাখা আর মজবুত করা ছাড়া আর খুব কিছু করার নেই। আত্মসমালোচনার বদলে অন্যের সমালোচনা বিচার করে সেই অনুসারে কাজ করা, স্থানীয় রাজনীতির সুবিধা ভেবে রাজ্য রাজনীতি চালানো, ইত্যাদি। সব দোষ নিচুতলার কর্মীদের একাংশের নামে না চালিয়ে, নিচুতলার কর্মীদের পাশে উঁচুতলার দাঁড়ানো। কিছু নেতা বিজেপিতে যাবে, কিছু জেলেও হয়তো বা যাবে। কিন্তু অঞ্চল ধরে রাখার কাজে সরকারের সাহায্য এক্সটেন্ড করতেই হবে, অন্ততঃ ২০২১ অবধি। একচুয়ালি  মমতা ব্যানার্জি সরকারের বদলে পার্টিতে মন বেশি দিলে ভালোই হবে। ভোট শুধু সরকারি প্রকল্প দিয়ে আসে না। ডিএ মাইনর ইস্যু, তবে সরকারি চাকরিতে, স্কুল কলেজে নিয়োগ দরকার। সংগঠনের সার ওখানে জমে।


    আর বিজেপিকে? ২০০৯ এর পর তৃণমূল যা করেছিল, তাই। লোকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প ইত্যাদি পাওয়ানো। বাংলা থেকে মন্ত্রী। বুদ্ধিজীবীদের চাকরি দেওয়া থাকলে কিছু উটকো ঝামেলা কম হয়, সেইসব।


    আমাদের? গ্যালারি আসলে খেলারই অঙ্গ। ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট কাটিয়ে খোরাক নিন। সব কিছুই আসলে ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন। আর, নাহলে মাঠে নেমে ইস্যুভিত্তিক লড়াই করুন, কিম্বা আইটি সেলের মতন ব্যক্তিগত মেসেজ ভাইরাল করার উপায় করুন। আমার মতন আত্মপ্রসাদ পেতে চাইলে আলাদা কথা, নতুবা ফেসবুকে বেশি লিখবেন না, ও কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ মে ২০১৯ | ১৬৮১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ০১ জুন ২০১৯ ০৮:৩৯78248
  • ৯০এর দশকেও মাইনরিটিদের নিয়ে বহু আজেবাজে কথা শুনেছি, পাক্কা বাম ভোটারদের মধ্যেও শুনতাম। কিন্তু তখন এইসব কথা লোকে বললেও কেউ ওগুলোকে ধ্রুব সত্য ধরতো না (নিজেরাও না)। কিছু সাম্প্রদায়িক ব্যাপার স্যাপার তো আছেই। চিরকালই ছিলো। দিদির আমলে সেসব জিনিস বেড়েছে। কিন্তু এই বামের ভোট রামে যাওয়ার ব্যাপারটা মনে হয় প্রাইমারিলি তিনো-বিরোধি ব্যাপার। নইলে দিদির গাড়ির সামনে গিয়ে লোকে জয় শ্রীরাম বলে উনাকে ক্ষেপাতো না।

    আর যাদবপুরে মাইনরিটিদের বাড়িভাড়া না পাওয়াটা কি নতুন ব্যাপার? এই নিয়ে তো বহুদিন আগে থেকেই শুনছি। আমি যখন যদুপুরে যেতাম তখনো এসব হতো। সেটা বেড়েছে হয়তো, আপনি যেমন বলছেন। তবে আপনি যখন এই পয়েন্টটা তুললেনই, মুসলমানদের ঘটি বাড়িতে ভাড়া পেতে অসুবিধে বেশি নাকি বাঙাল বাড়িতে অসুবিধে বেশি সেই নিয়ে সমীক্ষা আছে?

    একসময় তোমরা বাঙাল, তাই বাড়িভাড়া দেবোনা সেসব কথাও হয়েছে। ওরা অবাঙালী, তাই বাড়িভাড়া দেবোনা। খোদ মুম্বাইতে বাঙালীদের বাড়িভাড়া দেওয়া হয়্না মাছ-মাংস খায় বলে। অনেক জায়গায় অবিবাহিত মেয়েদের দেওয়া হয়্না। অনেক জায়গায় অবিবাহিত ছেলেদের বাড়িভাড়া দেওয়া হয়্না। অনেকে আবার কল সেন্টারি চাকরি করলে বাড়িভাড়া দেয়্না। এসবই একধরনের শোষনের অঙ্গ। ল্যান্ড ওনার আর নন-ওনারদের মধ্যে দ্বন্দ। সাপ্লাই কম আর ডিমান্ড বেশি হলে লোকে এসব করতেই পারে। যেখানে একপক্ষ অসহায়। তাছাড়া এসব করলে ভাড়াটাও বেশ বাড়ে বইকি।
  • এটা | 452312.123.90067.133 (*) | ০১ জুন ২০১৯ ১২:৩৬78223
  • অব্শ্য যাদবপুরেও দেখা গেছে, সমস্ত উদ্বাস্তু বাঙালেরা কাগজ পেয়ে তৃণমূল হয়ে গেছে আর বেশ মুসলমান বিদ্বেষী এরা
  • Du | 7845.184.90045.227 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০১:১৭78251
  • লেখাটা পড়ে ভ্রম হয় পশ্চিমবঙ্গে বেশ সুশাসনই চলছিল/চলছে।
  • dc | 127812.49.120123.109 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০১:৩৮78272
  • নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর পর্বে সরকার আর মাওবাদী, দুতরফেই প্রচুর প্রোপাগান্ডা করা হয়েছিল। আমাদের তরফে অনিন্দিতা সর্বাধিকারীর সেই ফেমাস ভিডিও ছিল, আর বুজিরা সবাই মিলে গম্ভীর প্রবন্ধ নামাতো। আর ওদের তরফেও প্রচুর ডিসইনফর্মেশান ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল, যেরকম লেখার লিংক সেদিন S দিলেন। আর বাঙালির যেহেতু সবেতেই পৃথিবীব্যাপি সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রের চাটনি ছাড়া চলতো না, তাই দুদিকেই সাম্রাজ্যবাদের নামে ভয় দেখানো হতো। বলতে গেলে টাটাদের কারখানা বন্ধ করার মাধ্যমেই বিপ্লব এসে গেছিল প্রায়। তার মাঝখানে শাঁওলি মিত্রর এক্সপার্ট ওপিনিয়ন, হঠাত করে মেধা পাটকার আর অনুরাধা তলোয়ার কোত্থেকে এসে হাজির হলেন, পুরো ঘঁটে ঘুগনি হয়ে গেছিল।

    তবে এসবের মাঝখানে বুদ্ধবাবু অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছিলেন। আন্দোলনটা সামনে নিয়ে নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরে লার্জ স্কেল ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে পারলে পবর ইকোনমিক ডেভেলেপমেন্ট অনেকটা এগিয়ে যেত।
  • dc | 127812.49.120123.109 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০১:৪৩78273
  • বাই দি ওয়ে, মেধা পাটকার কুদানকুলামেও ঘ্যাঁট পাকাতে চেষ্টা করেছিলেন, তার সাথে মাওবাদীরাও ইউজুয়াল প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেন শুরু করেছিল। কিন্তু এখানে আম্মা ব্যপারটা সামলে নিয়েছিল, কাঠি করতে দেয়নি।
  • Du | 7845.184.90045.227 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০২:৪২78252
  • ইলেকেশনের আগে, বামফ্রন্ট ও সেই সমর্থক ফেসবুক পেজ ছাড়া কোথাও জানার উপায় ছিল না যে বামফ্রন্ট কত প্রচার করেছে। দেয়াল লেখা বা ফ্ল্যাগ লাগানো যে রাজ্যে একটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার সেখানে তারা কত মাইল হেঁটেছে, কত ইস্যু নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের কুকীর্তির কথা তুলে ধরেছে, পেশীবলের অনয়্দিকে গণতান্ত্রিক পথে যত প্রচার করেছে মিডিয়া তার শুন্য ভাগও দেখায়নি। যেদিন তাদের কর্মী বীভৎস ভাবে খুন হয়েছে টিভি জুড়ে ছিল ভারতী ঘোষের মত এক কুখ্যাত এক্স পুলিশের গাড়িতে ইট ছোঁড়ার ছবি। অর্জুন সিঙ্গের মত এক সমাজবিরোধীকে নিয়ে মিডিয়া যে পরিমান আদিখ্যেতা করেছে, যে পরিমান সময় তৃণমূলের কোন নেতা বিজেপিতে যাবেন এইরকম গুজব খবরকে নিয়ে হাওয়া তুলে গেছে তাতে যা হবার তাই হয়েছে।
    মিডিয়া স্ক্রীনে লেখা ২০১৪ থেকে ২০১৬ তে বাম ভোট বাড়ার স্ট্যাটিস্টিক্স দেখিয়েও মুখে বলেছে বিজেপির ভোট বাড়ছে, করেসপন্ডেন্ট সিপিএম তৃণমুলের লড়াই হচ্ছে বলা সত্ত্বেও স্টুডিও তে সামাপ করার সময় বিজেপি টিএমসি বলে নিশ্চিত করাতে চেয়েছে যে আঅসে আসুক বামফ্রন্ট যেন না আসে। কেউ তাতে অসুবিধে বোধ করেননি , ভালোই স্ট্র্যাটেজি ছিল একদিকে বিজেপির শক্তি দেখিয়ে লেফট ভোট টিএমসিতে যদি টানা যায়। ।কিন্তু লোকগুলো তো ভুগছিলো। সীমাহীন করাপশন এবং গুন্ডাগিরি। টীএমসিকে ওপড়াতে তারা আর লেখা স্ক্রীপ্ট ফলো করেনি। বিজেপি এদিকে ততদিনে কিছু চেনাশোনা লোক ও হয়ে গেছে। তাদের নিয়ে কোন নিন্দা নেই কাগজ পত্র টিভিতে। মমতা শুধু মোদীকে গালাগালি দিয়ে যাচ্ছে। যে দিচ্ছে গালাগালি তার কার্যকলাপে কোন ধারাবাহিকতা, সততা কিছুই নেই।
    ফল যা হবার তাই হয়েছে। হয়তো আশা ছিল তৃতীয় হবার (এবং সেই নিয়ে ঠাট্টার পাত্র হবার) আশা নিয়ে জনগণ তাদের ভোটের ধারা বজায় রাখবেন বা উপায়ান্তর না দেখে তৃণকে ভোট দেবেন কিন্তু তৃণ সরকার একটা অসহ্য পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে সেই ব্যপারটা একেবারেই ডিসরিগার্ড করা হয়েছে। বামফ্রন্টকে ম্যালাইন করতে করতে এটা খেয়ালই করা হয়নি যে শুধুই সংগঠনের জোরে বা প্রপার বিরোধিতার অভাবে ৩৪ বছর সরকারটা থাকে নি।
  • Du | 7845.184.90045.227 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৩:৪৯78253
  • নবীন যেমন ৪থ টার্মেও জিতেছে।
  • PT | 561212.187.4545.134 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৪:২২78274
  • তামিলনাদুতে বিজেপির স্নেহধন্য তিনোরা ছিল না। তাই অতিবদ অতিবাম, মেধা ইত্যাদিরা ফেভিকলের অভাবে ঠিক ক্রিস্টালাইজ করতে পারেনি।

    তবে এদিকে অনিন্দিতা থাকলে ওদিকে বর্তমান ও স্টেটসম্যানের কয়েকজনের মাত্র সাংবাদিকের প্রবেশের অনুমতি ছিল নন্দীগ্রামের মাওবাদী-অধিকৃত অঞ্চলে।
  • PT | 340123.110.234523.23 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৪:৩৮78254
  • "কিন্তু তৃণ সরকার একটা অসহ্য পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে সেই ব্যপারটা একেবারেই ডিসরিগার্ড করা হয়েছে। বামফ্রন্টকে ম্যালাইন করতে করতে এটা খেয়ালই করা হয়নি যে শুধুই সংগঠনের জোরে বা প্রপার বিরোধিতার অভাবে ৩৪ বছর সরকারটা থাকে নি।"
    হাত্তালি!!
    ভোটের আগের ২/৩ মাসে টিভিতে কোন বাম নেতার সাক্ষাৎকার দেখেছি বলে মনে করতে পারিনা। এমনকি ব্রিগেডের জমায়েতের খবরও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সুকৌশলে চেপে দিয়েছিল।

    এমনকি উন্নয়নের ঢপটাও আলোচনায় আনেনি মিডিয়া। তাই এই গানটা নিয়েও কোন আলোচনা হয়নিঃ
  • j | 232312.166.234512.121 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৪:৪৫78275
  • বাঃদিনের পর দিন হলদি নদীর লাল জল নিয়ে মিথ্যাচার করা প্রচারকরা তিনোর হারার পেছনে হোয়াটসয়াপ ইউনির অবদান নিয়ে আসছে

    পৌর পন্চায়েত ভোট সন্ত্রাস করে নিল গেম দেওয়ার সময় অ্যানালিসিস কি ফিল আপ দ্য ব্ল্যানক্স করছিল?

    আয়রনিও লজ্জায় পালিয়ছে
  • sm | 2345.110.123412.177 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৪:৫৬78255
  • ভোটের দু তিন মাস আগে থেকে প্রায়শই তন্ময় বাবুকে দেখেছি টিভি বিতর্কে।সুতরাং পিটির কথাটি ভুল।
    দুই,মিডিয়া সিঙ্গুর,নন্দীগ্রামে ঢালাও বুদ্ধবাবুর হয়ে প্রচার করেছিল।বিরোধীদের শিল্প বিরোধী,অনীতিপরায়ন আখ্যা দিয়ে,ব্র্যান্ড বুদ্ধ বলে প্রচার করেছিল।
    পিটি বোধ হয় বিস্মৃতির কবলে পড়েছেন।
    চৌত্রিশ বছর বামফ্রন্ট শূন্য গর্ভ রেটরিক,অত্যাচার,দুর্নীতি,পাইয়েদেবার রাজনীতি,স্বজন পোষণ,দিল্লি ভজন চালিয়েছে।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.181 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৪:৫৭78276
  • 'আপনার যুক্তিঅগুলো কেমন পেন্ডুলামের মত শুনতে লাগছে'।

    তাই? হতে পারে। তবে আমি তিরিশ তারিখে বাম ভোট বিজেপিতে যাচ্ছে তা বলেছিলাম। বলেছিলাম হিন্দু তিনোও ভোট দিচ্ছে বিজেপিতে। কেউ একজন আমার মন্তব্যটা 'অন্য টই থেকে' নিকে লেখায় আপনি হ্যাক থু করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। ওই একই মন্তব্য 'এলেবেলে' নিকে আমি করায় হ্যাক থু করেননি ঠিকই কিন্তু পাত্তাও দেননি। বরং প্রচুর ইফস বাটস-এর তত্ত্ব আউড়েছিলেন, বিস্তর লিংকও সাঁটিয়েছিলেন। সঙ্গে আরও অনেকেই 'আর্ধুর' লব্জও প্রয়োগ করেছিলেন।

    এখন আপনাদের বিলম্বিত বোধোদয় হচ্ছে। আলো ক্রমে আসিতেছে। সেই আলো নিয়ে আসছেন কখনও শান্তনু ঝা, তো কখনও সুশান্ত ঘোষ। যে আপনি নিয়মিত এই সময় থেকে লিংক দেন, সেই একই আপনি সুশান্ত ঘোষের খবরটা কিন্তু দেননি।

    আর্ধুর এখন পেন্ডুলামের ওদিকে গিয়ে 'হা হুতাশ একেবারেই করছি না' স্টান্স নিয়েছেন। আর আপনি নিয়েছেন নাকে কাঁদুনির স্টান্স, হারার নতুন ছুতো চাই তো! ওই পেন্ডুলামের ওদিকে গিয়েই।

    এইটা লিখেছিলাম ২০১৬তে --- এবারের জোট = বাম + কং + এবিপি গ্রুপ + সাত দফা ভোট + নির্বাচন কমিশন + পোচুর আমলার ব্যাপক বদলি + পোচুর আধাসেনা + নিজের ভোট নিজে দেওয়া + anti-incumbency ফ্যাক্টর + নারদার স্টিং + উড়ালপুল দুর্ঘটনা + তোলাবাজি + সিন্ডিকেট + তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব + বকেয়া ডি এ + তিনো-বিজেপির ভোট কাটাকুটি + বিজেপির ৭-৮ % ভোট নিজেদের বাক্সে ফেরত আসা + রাজ্য পুলিশের সহসা ভোলবদল + সুর্য মিশ্রর প্রথমে ২০০+ ও পরে ‘comfortable majority’র দৃপ্ত ঘোষণা + মানুষের জোট + ব্লা ব্লা ব্লা = এই গানটা



    কোন টইতে লিখেছিলাম তা ভুলে গেছি। কিন্তু আমার অবস্থান সেই ২০১৬ থেকে ২০১৯ অবধি একই আছে। আপনার সামান্য বদল হয়েছে পেন্ডুলামের এদিক-ওদিক করতে গিয়ে। নোটাটা আর এবার বলছেন না।

    আমাকে নিয়ে আপনার দু'টো সমস্যা। এক তো এলেবেলেকে পাগলেও বুজি বলবে না। দুই হচ্ছে আমি ২০১১তে সাইটে আসিনি, এসেছি তার পাক্কা পাঁচ বছর পর। তো ২০১৬তে এবিপি আপনাদের সঙ্গ দিয়েছিল?

    একই মাঠে একই খেলায় খেলতে নেমেছেন। এখন ও কেন এত সুন্দরী হল জাতীয় হিংসে করে কী লাভ? লরির পেছনে লেখা থাকে 'চেষ্টা করো, তোমারও হবে'। ওটাকে মনে মনে জপতে শুরু করে দিন!
  • cpm | 568912.220.120112.45 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:০০78256
  • PT ঠিকই বলেছেন। সব সিনেমার প্রত্যেকটা গান নিয়ে মিডিয়া ৩০ পাতার স্পেশাল এডিশন বের করে, অথচ এই গানের স্বরলিপি পর্যন্ত তিনোমুলী আবাপ ছাপল না। চক্রান্ত, চক্রান্ত।
  • PT | 340123.110.234523.23 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:০৩78257
  • তন্ময় যে বিতর্কে থাকতেন সেখানে অন্ততঃ ৪ জন বিজেপি ও ২ তিনো নেতারা থাকতেন। বামেদের কোন নির্বাচনী প্রচার ৩ সেকেন্ডের বেশী দেখায়নি বিডিয়া। যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা দিদি ও দাদার নির্বাচনী বক্তৃতা দেখানো হয়েছে।
  • sm | 2345.110.123412.177 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:১৭78258
  • কি সব্বনাশ!অবপ বিজেপি কে প্রেফার করেছে বলছেন?
    টিভি কাকে সুযোগ দেবে নির্ভর করে টি আর পি বাড়ার ওপর।আপনাদের গৌতম বাবুর টি আর পি খুব হাই ছিলো।
    তিনো দের অনুব্রত।
    বিজেপির দিলীপ ঘোষ।কিন্তু মানতে হবে ,দিলীপ ঘোষের রসবোধ,বাগ্মীতা ও তাৎক্ষণিক উত্তর দেবার ক্ষমতা অসাধারণ।
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.6 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:২৬78259
  • 'মুসলমানদের ঘটি বাড়িতে ভাড়া পেতে অসুবিধে বেশি নাকি বাঙাল বাড়িতে অসুবিধে বেশি সেই নিয়ে সমীক্ষা আছে?'

    হে হে মুসলমান এমনই এক আজব চিড়িয়া যেখানে বাঘ-গরু, সিপিএম-তিনো, মোহন-ইস্ট সবাই আ গলে লাগ যা দিলরুবাঁ গান গলা খুলে। ঘটি-বাঙাল তো সেখানে শিশু।
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.6 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:৩৪78260
  • তন্ময় যে বিতর্কে থাকতেন সেখানে অন্ততঃ ৪ জন বিজেপি ও ২ তিনো নেতারা থাকতেন।

    প্রশ্ন হচ্ছে এ নিয়ে এতই যখন ঠোঁট ফোলানো, এতই যদি জেনে ফেলা তবে এত হতছেদ্দা করা সত্ত্বেও মিডিয়া আ তু করে ডাকলেই আমি হাজির হব কেন? তারানন্দর এক অনুষ্ঠান চলাকালীন ব্যর্থ চ্যাটার্জি উঠে চলে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে ওই চ্যানেলে কোনও তিনো নেতা আসতেন না। আসতে শুরু করেন কতগুলো তৃতীয় শ্রেণির গলা তুলে ঝগড়া করতে ওস্তাদ শিক্ষক-অধ্যাপক। তাতে তিনো এইরকম ঠোঁট ফুলিয়েছিল না এই হারে ধেরিয়েছিল?
  • PT | 561212.187.4545.134 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:৩৫78277
  • বড্ড লম্বা লিখলেন আর খুব জটিল ভাবে। তাই বুঝতে আবার প্রবলেম হল। কিন্তু "বামের ভোট রামে" বলে কিছু হয় না। কেউ আলিমুদ্দিনে গিয়ে লেখা-পড়া করে ভোট বাঁধা রাখেনি। আসলে "কং-এর ভোট বিজেপি"-তে বললে কোন শিহরণ জাগে না লোমে কিংবা শরীরে, তাই অমন কথা কেউ বলেনি। শুধু বলেছে যে কং হেরেছে। এমনকি বহেনজি-অখিলেশের ভোটও যে বিজেপিতে গেছে এমনও কেউ বলেনি। কেনননা ওতে বাম/রাম ছন্দও নেই শিহরণো নেই। কিন্তু বামেদের নিয়ে অতিরিক্ত কিছু বলতেই হয় এমনকি কাল্পনিক কিছু হলেও।
    আসল প্রশ্ন হচ্ছে যে ভোটার কখন ছাগল হয়!!

    আর আপনার জোর করে চাপানো নিরপেক্ষতাও খুব কষ্ট হচ্ছে মেনে নিতে। দেখলাম অনিন্দিতাকে গাল পাড়লেন কিন্তু বাছাই করা সাংবাদিকদের যে অতিবদ অতিবামেরা ভেতরে নিয়ে গিয়ে খবর ম্যানুফাকচার করাতো সেটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন।

    আপনাকে নিয়ে আমার কোনই সমস্যা নেই। আপনাকে কখনো বুজির মর্যাদা দিয়েছি বলে মনে করতে পারিনা। আর ২০১৬-তে কি লিখছিলেন এটা বয়্সোজনিত স্মৃতিভ্রংশের কারণে মনে নেই।

    ঐ একই কারণে নোটা নিয়ে আমার কোন অবস্থা বদল করেছি সেটাও মনে করতে পারছি না।
  • T | 342323.191.0156.184 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:৩৯78261
  • দুহাজার সাত অনওয়ার্ডস আবাপ, বর্তমান, প্রতিদিন, সকালবেলা, কলম, ভোরের কাগজ, স্টেটসম্যান (বাংলা), এখন খবর না কী একটা, তারা নিউজ, চ্যানেল টেন, তারানন্দ ইত্যাদি নিয়ম করে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালিয়ে গেছে। অবশ্যই লেফটের বিরুদ্ধে। সুদীপ্ত সেন প্রায় পনেরোশো জার্নালিস্ট মাঠে নামিয়েছিলেন। এরা সারদার কাগজগুলোতে রাদ্দিন খিস্তোতো, এখন য্যামন খবর ৩৬৫ দিন করে থাকে। অচিন রায় না কোন মহাপুরুষ স্টেটসম্যানে ছাগলামো করতেন। এখন য্যামন পূষণ গুপ্ত বা দূষণ পুত্র করে থাকেন। তুলনামূলক উঁচুদরের হনু য্যামন শুভাপ্রসন্ন ইত্যাদিরা আবাপতে (নাকি প্রতিদিনে) শিং ও দাঁতে রক্ত বুদ্ধদেবের ছপি আঁকতেন। কুমীর এবং শিশুদের চিরে ফেলার কাহিনী ইত্যাদি নিয়ম করে তখন বেরোত। অ্যামনকি গুরুতেও বেরিয়েচে ঃ)))) একটা ফোরটোয়েন্টি মাল, মানে নুঙ্কুদেব, জালি স্টিং অপারেশন অবদি করে ফেলেছিল। একেবারে কপিবুক বিজেপির আইটি সেল। এইসবই হয়েছে এবং একতরফা। একতরফাই কারণ উল্টোদিকে ছিল শুদু আজকাল এবং চব্বিশঘন্টা। এখন য্যামন লিবারালরা জনমানসে মিডিয়ার প্রভাবটি স্বীকার করেছেন এবং মিডিয়ার ক্ষমতাটি বুঝে থরহরি কেঁপে গিয়েছেন, সেসময় কিন্তু স্বীকার করতে চান নি। 'এবাবা বুজিরা চাট্টি কাগজে লিখে লেফটের সরকার ফেলে দিল' এই বলে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ প্রচুর চলেছে, এখানেই ঃ)))

    তো, এইসব কিস্যা কাটিয়ে দিয়ে এখন উলটপুরাণ গাইলে বলতেই হবে যে অ্যামন ঘোমটা দিশ না বাপু যে পোঁদ বেরিয়ে যায়।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.181 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:৫৬78278
  • আহা, আপনারা 'বাছাই করা সাংবাদিকদের যে অতিবদ অতিবামেরা ভেতরে নিয়ে গিয়ে খবর ম্যানুফাকচার করাতো' মনে করিয়ে দিলেও অনিন্দিতা সর্বাধিকারীর ব্যাপারটা মনে করাতে ভুলে গিয়েছিলেন। তাই ব্যালান্স করলাম। তার মানে কি আপনার মনে করিয়ে দেওয়াটা অস্বীকার করা হয়?

    আর 'বামের ভোট রামে' কাগজে-কলমে না হলেও হয়। এবং সেটা নেতারাই স্বীকার করছেন। আমি-আপনি কোন ছার। ২০১৬র ব্যাপারটা অন্য কিছু না। মানে আমি ২০১১তে 'যে আসে আসুক' বলার জায়গায় অন্তত গুরুর পাতায় ছিলাম না। তাই ওই দোষারোপ আমাকে করা মুসকিল। বুজি তো নয়ই। নোটা নিয়ে আর মনে করার দরকার নেই। বাদ দিন। বরং এই লিংকটা দেখুন। আমি খোলা গলায় স্বীকার করি আপনি গুণী মানুষ কিন্তু 'বাম' শুনলেই চোখে ঝাপসা দেখেন। কী আর করা যাবে? সর্বগুণসমন্বিত হওয়া কি অতই সহজ।

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=48863&boxid=36628
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.6 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:০১78262
  • যখন টিভিতে বেসরকারি চ্যানেল আসেনি, তখনও আনন্দবাজার সিপিএমের শিওর সিটে বিরোধী প্রার্থীকে এগিয়ে রাখত নির্বাচনী কভারেজে। তাতে কোনও কেশ উৎপাটিত হয়েছে সিপিএমের? সে কাগজ তখন 'বুর্জোয়াদের কাগজ' ছিল। আজকালের নিপাট বুদ্ধ-চামচে অশোক দাশগুপ্তের সঙ্গে একই সুরে গলা মিলিয়েছিল আনন্দবাজার গোষ্ঠী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়। তখন 'ব্র্যান্ড বুদ্ধ' চমৎকার গিলে নেওয়া গিয়েছিল। আবার উল্টো সুর ধরতেই তা 'বাজারি' হয়ে যায়! সুভাষ চক্কোত্তি সাংবাদিকদের 'পতিতা' বা 'গণিকা' (স্পষ্ট মনে নেই ঠিক কী বলেছিলেন) বলতে ছাড়েননি। এখন মিডিয়ার দুয়োরানি ব্যবহারে এত হাহুতাশ কেন? আকাশ বাংলা ক'জন দেখে? চব্বিশ ঘন্টা পাল্টি খেয়েছে বহুদিন। শুধু গণশক্তি দিয়ে ৫০হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে ঠেকানো যাবে তো? নিজের পোঁদ অনেকদিনই বেরিয়ে গেছে, অন্যের পোঁদ দেখে উল্লাস করে কী লাভ?
  • তাতিন | 340123.110.234523.16 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:০৬78263
  • এই লেখাটার একটা প্রতিপাদ্য ছিল, লোকে ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্ন মতের ও অভিজ্ঞতার উপুর দাঁড়িয়ে ভোট দেয় না। ভোটের ভৌগোলিক বিন্যাস সেইটাকেই সূচিত করে যে সাংগঠনিক শক্তির বিস্তারের ওপর দাঁড়িয়ে ভোটের ফয়সালা হচ্ছে। হোয়্যাটস অ্যাপ ফেনোমেনাকেও সংগঠন হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একভাবে।
    একটা জিনিস লক্ষ্যণীয়, ইভিএম আসার পরে আসল যে সমস্যাটার কথা বলা হয় না, তা হল এক একটা বুথ ধরে ভোট গোণা হয়। ফলে ভোটের প্যাটার্ন থেকে কোন ব্যক্তি, কোন বাড়ি, কোন সম্প্রদায় কাকে ভোট দিয়েছে সেটা বুঝতে পারা যায়। সেইটাও সংগঠনের ভরসায় ভোট করাকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে।
  • Haha | 568912.220.120112.34 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:০৭78264
  • ওহো ব্র্যান্ড বুদ্ধ নিয়ে আবাপ-র সেই উদ্বাহু নেত্য। সিঙ্গুরের শোকের কম্পিটিশনে টাটাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া। সেসব এখন লেফট-বিরোধী প্রচারের তকমা পাচ্ছে? হ্যা হ্যা হ্যা।
  • sm | 2345.110.783412.131 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:১৯78265
  • তারপর সেই 2016 ইলেকশনে বাম কংগ্রেস জোটের প্রচারের কথা ভাবুন।কতো মুরুব্বি!কতো স্ট্র্যাটেজি!তৃণমূল কে তো গোহারা হারিয়ে দিয়েছিল প্রায়।
    এগুলো কি তিনো দের পক্ষে, পরোক্ষ প্রচার বলা যাবে?
  • PT | 561212.187.4545.134 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:২৬78279
  • কাল সুশান্ত যখন বলবেন যে তিনি কঙ্কাল কান্ডের জন্যে দায়ী নন তখন সেটাও কোন প্রশ্ন ছাড়াই নতমস্তকে মেনে নেবেন আশা করি। যাক সুশান্তর মত একজনকে যে আপনার নিজের সমর্থনে পেশ করতে হল সেটা শুনে আনন্দ পেলাম।

    অনিন্দিতা আমার বিশেষ পছন্দের মানুষ এমন ভাবনাটা একান্তই আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত। অনিন্দিতার ডকুটি ইন্টার্নেট থেকে খুঁজে পাই কোন এক সময়। যেহেতু আমি প্রথম থেকেই স্থিরনিশ্চিত ছিলাম যে ধা-বুজি/বা বুজি ও অতিবদ অতিবামেরা নন্দীগ্রাম নিয়ে ডাঁহা মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে তাই অনিন্দিতার ডকুটির লিং দিই। অনিন্দিতা স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে নিন্দিত হয়েছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেটাই একমাত্র অন্যস্বর। কিন্তু কি আশ্চর্য CBI-এর চার্জশীটের সঙ্গে অনিন্দিতার ডকুতে বর্ণিত অনেক ঘটনাই দেখছি মিলেছে।

    তবে আপনার মত কৃতবিদ্য মানুষেরা যেদিন ঐ ডকুটিকে মিথ্যা প্রমাণ করবেন সেদিন আমিও অনিন্দিতার ডকু পরিত্যাগ করব।

    আর ভারতের প্রেক্ষিতে নোটাতে ভোট দেওয়াকে অরো একটি ছগলামি বা পলায়নি মনোবৃত্তির লক্ষণ বলে আগেও মনে করেছি এখনও করি।
  • T | 342323.191.0156.184 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:৩৩78266
  • আরে হাহুতাশ কে করছে। জাস্ট এটুকুই বলা যে ঐসময় লেফট মিডিয়ার প্রচার পেয়েছে বলে যে উদ্বাহু ছাগনৃত্য হচ্ছে সেটা ইনকারেক্ট। এই, আর কিশু না।

    কিন্তু দেকুন, পঞ্চাশহাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সম্মিলিত প্রচারের এফেক্টকে স্বীকার করা মানেই কিন্তু পাবলিক যে ফেক নিউজ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সেইটে স্বীকার করা। এর মানে তো বুঝতেই পারছেন ...ঃ)))
  • T | 342323.191.2356.162 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:৪২78280
  • কী বিপদ! জোরজবরদস্তি স্টান্স মান্স পেন্ডুলাম করে যাহোক বলে যাচ্ছে! এরসঙ্গে আর্ধুর সংক্রান্ত অভিমান। কীঈ মুশকিল। ছাড়ান দিন, বারবার ভাববাচ্যে খোঁচাখুঁচি করে লাভ তো কিছু হবে না। কারণ বেকার পায়ে পা দিয়ে মিনিময় করার মতন অতটা গুরুত্বের কিশু নেই। কেউ দ্যায়ও না, ন্যায়ও না। কৌতুকের ব্যাপার। ইগনোর ইগনোর।
  • dc | 232312.174.018912.80 (*) | ০২ জুন ২০১৯ ০৬:৫৭78283
  • আচ্ছা সেই খাগড়াগড়ের কি হলো? ওটা তো ভুলেই গেছিলাম! সেই যে পৃথিবীব্যাপি সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান খাগড়াগড় থেকেই শুরু হয়ে গেছিল, তার পর কি হলো? সেখানে কি এখন পদ্মফুল ফুটেছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন