এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কঠোর বিকল্পের পরিশ্রম নেই

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৩৪৬১ বার পঠিত
  • একটি বৃহৎ পরিবারে অনেকটা কনিষ্ঠতম হওয়ার সুবাদে প্রচুর স্বাধীনতা আর ছড়ানো নির্জন এক বাড়িতে বেড়ে উঠেছি আমি। চা ছাড়া অন্য নেশার চল ছিল না সেখানে। তবে কলেজজীবন থেকেই ইতস্তত মদ্যপানে রপ্ত হয়েছি (অবশ্যই নিজের টিউশানির পয়সায়)। আমাদের বাড়ির দোতলাটা ছিল আমার একান্ত সবান্ধব সাম্রাজ্য। একবার কী এক বিরল কারণে আমার মা দোতলায় উঠে একটি শূন্য হুইস্কির বোতল পেয়েছিলেন। রাতে খেতে বসার আগে বাবার আড়ালে ডেকে থমথমে মুখে আমার সরলা পুরনো প্রজন্মের মা বলেছিলেন – “হুইস্কি খাচ্ছিস, এবার দেখব কোনদিন মদও ধরেছিস!”

    আমাকে যিনি বিয়ে করেন তাঁর বাড়িতে আবার চায়েরও পাট ছিল না। আমার এই “অফ- অ্যান্ড-অন” মদ্যপানের ব্যাপারে তাঁর একটা অসন্তোষ ছিল বিয়ের আগে থেকেই। সেটা কেটে যায় দার্জিলিঙে গিয়ে, যখন বাড়িওয়ালা নেপালী দাজু ও তাঁর স্ত্রী তরুণ দম্পতিকে নিজের ভাই-ভ্রাতৃবধূর মতো ভালবাসা দিয়ে আপন করে নেন, পরিবারে সামিল করে নেন। ঘরে গুড়াস (রডোডেনড্রন ফুলের মদ)তৈরি হলে, কিম্বা ভালো স্কচ উপহার পেলে ডেকে নিতেন, এবং ওঁদের ছোট ছেলেমেয়ে মা পিসি পরিবৃত হয়ে হাসি আড্ডায় কখন যে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেত রাতে। আমার মেয়েও এই পরিবেশে জন্মায় ও বড় হয়, আমাদের জনাকয় উজ্জ্বল বন্ধু-বন্ধুনিদের উষ্ণ সান্নিধ্যে। মদ সম্পর্কে আলাদা করে কোনও রহস্য তৈরি হয়নি তার মনে। একবার ছেলেবেলায় তার মাতামহকে গ্লাসে লিকার চা পান করতে দেখে সরল প্রশ্ন করেছিল - “দাদু তুমি রাম খাচ্ছ?” 

    শশুরমশাই বিষম–টিষম খেয়ে একশা।

    সপরিবার বন্ধুবান্ধবের খোলামেলা পানভোজনের আসরে কাউকেই তেমন বেচাল হতে দেখিনি কখনও। যে পুরুষেরা মদ খেয়ে বেচাল হয়, বা বলা ভালো বেচাল হবে বলে মদ খায়, তারা সাধারণত পরিবার-বহির্ভূত একান্ত পুরুষ স্পেস খোঁজে। সমাজও মদের দোকানে জেলখানার গারদ বসিয়ে, পানশালায় নারীদের প্রবেশের অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ঝুলিয়ে সেই স্পেস করে দেয়।

    আমার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি মূল্যবান অংশ কেটেছে এইসব স্পেসে, মূলত সস্তা বাংলার ঠেকে। বলাবাহুল্য, আমার সাহিত্যানুরাগের বীজতলা ছিল সেগুলি। এছাড়াও সেখানে এমন সব শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষের সান্নিধ্যে এসেছি, যা অন্য কোথাও সম্ভবই ছিল না। তাঁরা বেশিরভাগই স্বাভাবিক সৎ্‌ সামাজিক সংসারী মানুষ, দায়িত্ববান পিতা ও স্বামী। অনেকেই প্রবীণ।

    এতখানি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের অবতারণা করার কারণ একটাই - মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে কথাটা বলতে চাইছি, তার সঙ্গে আর যাই হোক কোনো নৈর্ব্যক্তিক দূরত্ব নেই আমার। এবং একটি শিল্পাঞ্চল-কেন্দ্রিক জনপদে বড় হবার সুবাদে মদ্যপানের অভ্যাস কীভাবে বিবিধ সামাজিক ব্যাধি, পুরুষতন্ত্র ও দারিদ্র্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছি। আইন করে মদ্যপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দিলেই কারখানায় খাদানে শ্রমিক পুরুষেরা তাদের পুরো হপ্তার আয় নিয়ে ঘরে ফিরবে, আর বউ পেটাবে না, আরও সুবোধ এবং উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে – এইধরণের মোটা সরলীকরণ আজগুবি গল্পের মতোই মনে হয়।

    বরং এই সমস্যাগুলো অনেক বেশি ওতপ্রোত দারিদ্র্যজনিত বিচারবোধের জড়তার সঙ্গে (অতিসম্প্রতি অর্থনীতিতে এই নিয়ে কাজও হচ্ছে যতদূর জানি), সক্ষমতা ও বিকল্প জীবনধারার অভাবের সঙ্গে, নিরক্ষরতার সঙ্গে, জীবনের অনিশ্চয়তার সঙ্গে। এইসব অভাব ও অপ্রাপ্তি মানুষকে যেমন লাগামহীন নেশায় ঠেলে, তেমনই ভুয়ো চিটফান্ডেও ঠেলে। আরও কিছু কিছু সামাজিক ও মানসিক ব্যাধিতে ঠেলে। মদকে যত-দোষ–নন্দ-ঘোষ ঠাওরালে সস্তা হাততালি যেমন জোটে, আসল সমস্যা থেকেও চোখ ফিরিয়ে থাকা যায়।

    হ্যাঁ, ছত্তিশগড়ে মদ্যপান নিবারণ নিয়ে সফল আন্দোলন করেছিলেন শঙ্কর গুহ নিয়োগী, যেজন্য তাঁর হত্যার পেছনে ভাঁটিখানার মালিকদের হাত ছিল। কিন্তু ওঁর সেই আন্দোলনের নাম ছিল ‘সংঘর্ষ আউর নির্মাণ’ ... নিবারণের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, বিনোদনমঞ্চ ইত্যাদি তৈরিতে ব্রতী ছিলেন তিনি, অর্থাৎ মানুষের সক্ষমতা, বিকল্প জীবনধারার নির্মাণ। আমাদের রাষ্ট্রের জ্যাঠামশাইরা নিষিদ্ধকরণে খুব দড়ো, তা সেই বই হোক বা ফিল্ম। অথবা গোমাংস। তাঁদের নির্মাণ রাষ্ট্র নামক এক গভীর কুয়ো, যেখানে ব্যাঙের চাষ হয়।

    মদে আইনি নিষেধাজ্ঞার অবাস্তবতা নিয়ে, তার ফলশ্রুতি প্রাণঘাতী চোলাই মদ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে ও হবে। আমার কেবল জানতে ইচ্ছে করে, এর ফলে বিহারের বিস্তীর্ণ আদিবাসী অঞ্চলে কী প্রভাব পড়বে?

    বর্তমান ভারতে খাদের কিনারে এসে দাঁড়ানো জনজাতি মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মদ (এবং মাংস, বিভিন্ন পশুর), যা ঘরে প্রস্তুত হয় বিভিন্ন ধরণের ফুল বীজ ও শস্য থেকে। সেসব প্রস্তুতের ঋতু, পদ্ধতি প্রকরণ ভিন্ন, অ্যালকোহলের মাত্রাও ভিন্ন। জানতে ইচ্ছে করে, এই আইনের ফলে বনবাসী গ্রামগুলোর শান্তি কীভাবে চুরমার হবে আবগারি নাকাদারদের হাতে? বিগত কুড়ি বছরেরও বেশি এমন অসংখ্য গ্রাম দেখেছি, থেকেছি, কাছে যাবার চেষ্টা করেছি ... দুর্লঙ্ঘ্য সামাজিক শ্রেণীগত বাধা ডিঙিয়ে যতটা যাওয়া যায়।

    ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘকাল মদ নিষিদ্ধ সম্ভবত গুজরাটে। সেখানকার প্রায় ১৫% আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারায় সংস্কৃতিতে এর কী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, সেই নিয়ে কোনও কাজ হয়েছে কী না জানিনা। তবে ২০০২ সালের দাঙ্গার হিংসালীলায় জনজাতির মানুষদের সামিল করা গিয়েছিল, সেটা জানি।

    বিহারে কী হবে কে জানে? হয়তো সরেজমিনে আর জানা হয়ে উঠবে না আমার। সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসে স্বজন বন্ধুদের মেধাবী সাহচর্যে, কিম্বা একাকী গান শুনতে শুনতে বই পড়তে পড়তে, মানুষ কী করবে কী খাবে, সেটা ঠিক করে দেয় যে রাজ্যের সরকার, সেই রাজ্যে আর যাবার রুচি নেই। 

    ...

    নীচে মহুয়া ফুলের ছবিটা গত সপ্তাহে সম্বলপুরের কাছে ডেব্রিগড়ের জঙ্গলে তোলা। এই সময় সারাদিন টুপটাপ ঝরা ফুলে ফুলে বিছিয়ে আছে মাইল মাইল মহুয়ার বন, মাটি দেখা যায় না। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা ঝুড়ি বোঝাই করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখলাম। এই ফুল টনটনে রোদে শুকিয়ে পাতনক্রিয়ায় তৈরি হবে স্বাদু মদ, যার স্থানীয় নাম ইরপি বা মেল।

    নিয়মগিরির এক প্রবীণ কন্ধ একবার আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, স্বর্গ কি বল তো? আর নরক? তারপর নিজেই উত্তরটা দিয়েছিলেনঃ

    স্বর্গ হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন। আর নরক হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন, কেবল সেই বনে আছে এক লাঠিধারী ফরেস্টার।

    তাঁর কথা মনে পড়ল মধু রামনাথের এই বইটা পড়তে পড়তে –Woodsmoke and Leafcups: Autobiographical Footnotes to the Anthropologyof the Durwa People. আমার মতো শখের পর্যটক সেজে নয়, বস্তারের এক জংলি আদিবাসী গ্রামে তিরিশ বছর কাটিয়েছেন এই উদ্ভিদবিদ লেখক। এখনও সেখানেই থাকেন। তাঁর এই দিনলিপির পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে ঘরে প্রস্তুত নানান ধরণের মদ ও তার পানের আচারের সঙ্গে কী নিবিড় সম্পৃক্ত দারোয়াদের নিত্যকার জীবনছন্দ। আর ফুটে উঠেছে তাদের এক আশ্চর্য জীবনদর্শন, যা আমার খুব প্রিয় বুদ্ধের একটি বাণী ধার করে নিয়ে বললে – 

    In the end only three things matter: how much you have loved, how gently you have lived, and how gracefully you have let go of things not meant for you। 

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৩৪৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 116.51.29.46 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩০80557
  • চমৎকার লাগলো
  • sm | 53.251.90.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪৬80558
  • আইন করে মদ্যপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দিলেই কারখানায় খাদানে শ্রমিক পুরুষেরা তাদের পুরো হপ্তার আয় নিয়ে ঘরে ফিরবে, আর বউ পেটাবে না, আরও সুবোধ এবং উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে – এইধরণের মোটা সরলীকরণ আজগুবি গল্পের মতোই মনে হয়।
    --
    সেখানকার প্রায় ১৫% আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারায় সংস্কৃতিতে এর কী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, সেই নিয়ে কোনও কাজ হয়েছে কী না জানিনা। তবে ২০০২ সালের দাঙ্গার হিংসালীলায় জনজাতির মানুষদের সামিল করা গিয়েছিল, সেটা জানি।
    ---
    এগুলো কি রকম হাবি জাবি লেখা? কোনো মানে আছে? মদের পেছনে পয়সা না উড়ালে,বউ পেটানো কমবে না বাড়বে ?
  • sm | 53.251.90.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫২80559
  • আমার এক চেনা ড্রাইভার, বিহারী । মাঝে মধ্যে মদ খায়। কলকাতায় ছেলে বৌকে নিয়ে থাকে।ছেলে স্কুলে ফার্স্ট বয়। বিহারে জমি জায়গা আছে। বলে পুরো গ্রাম মাতালে ভর্তি। বাবাকে মদ খাওয়া ছাড়াতে পারছিনা। ছেলে কে গ্রামে রাখতে ভয় হয়। দুদিনে নষ্ট হয়ে যাবে।
    এবার হোলিতে দেশ থেকে ফিরে বলল নীতিশ খুব ভালো কাজ করেছে। মদ টা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিনতে হলে ব্ল্যাকে কিনতে হচ্ছে;পকেট খালি করে দিচ্ছে।
  • dc | 47.48.65.116 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫২80560
  • এই বইটা কিনে পড়তে হচ্ছে! লেখককে ধন্যবাদ এরকম একটি বইয়ের খোঁজ দেওয়ার জন্য।

    "সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসে স্বজন বন্ধুদের মেধাবী সাহচর্যে, কিম্বা একাকী গান শুনতে শুনতে বই পড়তে পড়তে, মানুষ কী করবে কী খাবে, সেটা ঠিক করে দেয় যে রাজ্যের সরকার, সেই রাজ্যে আর যাবার রুচি নেই।"

    এক লক্ষ লাইক দিলাম। শুনছি আর কয়েক মাস পরেই নাকি চেন্নাইয়ের পাবগুলো সব ড্রাই হয়ে যাবে। ঃ( ঃ(
  • sm | 53.251.90.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৭80561
  • মদ খেলে ঠিক কি কি উপকার হয় জানতে আগ্রহী। বিলেতেও দেখেছি;দেশ টা রাত্রিরে অন্যরকম হয়ে যায়।সকালে ভদ্রলোক, রাত্রে অভদ্র হয়ে যায়; কয়েক পেগ পেটে পড়লে।হাসপাতালের ইমার্জেন্সি তে অর্ধেক রোগী মাতাল অথবা এলকোহল রিলেটেড প্রবলেম ভুগছে। আজকাল আবার যুক্ত হয়েছে ড্রাগের নেশা। ঠিক কি উপকার হয় জানা নেই।
  • sm | 53.251.90.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৩80562
  • "সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসে স্বজন বন্ধুদের মেধাবী সাহচর্যে, কিম্বা একাকী গান শুনতে শুনতে বই পড়তে পড়তে, মানুষ কী করবে কী খাবে, সেটা ঠিক করে দেয় যে রাজ্যের সরকার, সেই রাজ্যে আর যাবার রুচি নেই।"
    --
    রাজ্যের হাসপাতালের অর্ধেক এর বেশি রুগী যদি এলকোহল আর ধুমপানের সমস্যায় ভর্তি হয়ে বেড ব্লক করে রাখে; রাজ্য সরকার কি করবে? এমন তো নয় নেশারু রা খালি নিজের খরচে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হবে।
    অ নেশারু লোকেদের কিভাবে রাজ্য সরকার পরিষেবা দেবে?
  • Ekak | 212.62.91.51 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২২80563
  • মদ খুবই খারাপ জিনিস । মদখোর দের মেডিকাল ইন্সিওরেন্স এর প্রিমিয়াম বাড়ানো উচিত । শুধু মদ না যারা যে কোনো রকম্নেশা করে , বা ধরুন সন্দেশ খায় সুগার থাকলেও বা লাল মাংস খায় কোলেস্টেরল নিয়ে সবার প্রিমিয়াম বাড়ানো উচিত । সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন নাম দিয়ে একটি মাপকাঠি তৈরী করা উচিত যেখানে মদখোর -সিগারেট পায়ী -মিষ্টি খোর -ওবীস এদের কুনো জায়গা নেই । মোটা দের প্লেন ফেয়ার ও বেশি নেওয়া উচিত।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৯80564
  • এদিকে তো মেডিক্যাল ইন্সিওরেন্স বা লাইফ ইন্সিওরেন্স প্রিমিয়াম বেড়ে যায় স্মোকিং আর অ্যালকোহল-এর বক্সে টিক করলে।
  • sm | 53.251.90.251 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৬80565
  • ওবেসিটির লোকদের বিনি পয়সায় চিকিসা দেওয়া হবেনা; এ নিয়ে তো এন হেইচ এস এ বেশ তর্ক চলছে।মানবিকতার খাতিরে আটকে আছে।
    আর আমেরিকা তে বোধ হয় বেশি স্য়াচুরেতেদ ফ্যাট দিয়ে তৈরী প্রডাক্ট এ শীঘ্রই, নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ জারি হবে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৮80566
  • নিউইয়র্কের মেয়র ব্লুমবার্গ নিউইয়র্ক শহরে ঐ বিশাল দামড়া সাইজের সফ্‌ট্‌ ড্রিংকের গ্লাস বোধহয় ব্যান করে দিয়েছে - এরকম কিছু একটা শুনেছিলাম।
  • রৌহিন | 37.63.135.114 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১৭80568
  • আইন চাপাতে চাপাতে, চাপাতে চাপাতে ক্ষমতাধারীদের এমন নেশা হয়ে গেছে যে কিছু নতুন আইন না চাপালে সকালে পায়খানা পরিষ্কার হতে চায় না। মদ্যপান সারা পৃথিবীতে সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে,এবং তা অধিকাংশ আদিবাসী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। "মদ খেলে লোকে বৌ পেটায় অতএব মদ্যপান নিষদ্ধ হোক" এই যুক্তিটা গত ক'দিনে বেশ ক'বার শুনলাম (সম্ভবতঃ এটাই একমাত্র প্যালেটেবল যুক্তি ঠাওরানো গেছে)। আমি একটা প্রশ্ন করি। কী মনে হয়, যারা এতদিন মদ খেয়ে বাড়ি এসে বৌ ঠেঙাত তারা এখন কী করবে? মদ খাবে না এবং বৌ ঠেঙাবে না?
    হ্যাঁ বৌ ঠেঙ্গানো একটু কমতে পারে বিষমদ খেয়ে লোকটা মরে গেলে। সঙ্গে আরো কয়েকটা মরবে যারা বৌ ঠেঙায় না কিন্তু মদ খায়, এবং কিছু লোক বেঁচে থাকবে যারা মদ খায় না এবং বৌ ঠেঙায়। সে কী আর করা যাবে - কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ। সরকার তো তার কাজ করেই দিয়েছে। নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
    লেখাটায় অনেক অনেক ক - আর শিরোনামটার জন্য একটা বড় হাতের ক।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪২80569
  • মদ আইন করে নিষিদ্ধ হোক। সেইসঙ্গে ধর্ম নামক আফিমের চাষ ও বিক্রিও ব্যান করে দেয়া হোক। লোকে ঐ নেশা করে নানাবিধ খারাপ কাজ করে। ব্ল্যাকে পুজোপাঠ কিনুক লোকে, ব্ল্যাকে টিকিস কেটে মন্দির/মসজিদে যেতে হোক।
  • সন্দীপ | 125.187.43.30 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৪80570
  • পরিমল ভট্টাচার্যকে অসংখ্য ধন্যবাদ - জানা কথাগুলোও যে এভাবে বলা যায় সেটা জানলাম। এই লেখাটির জন্য লক্ষ লক্ষ শান্তিপ্রিয় মদ্যপায়ী নাগরিকের আশীর্বাদ পাবেন তিনি। এই অধমেরও। আমি কিন্তু বউ পেটাইনা, কর ফাঁকি দিই না, ট্রাফিক আইন মেনে চলি, নিয়মিত গুরুচন্ডালী পড়ি, বাড়ির কাজের লোককে সপ্তাহান্তে ছুটি ও বছরান্তে ইনক্রিমেন্ট দিই। নিয়মিত মদ্যপান করে এই মধ্য চল্লিশেও অফিসে অধিকাংশ টিটোটলার সহকর্মীর তুলনায় সুস্থ ও নীরোগ আছি (টাচ উড!)। লেখার নীচে কমেন্টগুলো পড়েও বেশ আমোদ পেলাম। এলসিএম আর বিশেষত এসএম মহাশয়/ মহায়ার দেখছি মদ্যপানের বিরুদ্ধে জাতক্রোধ আছে, উপর্যুপরি কমেন্টে কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন। এঁদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল জানতে ইচ্ছা হয়। একজন মনে হল বিদেশে থাকেন, বা গিয়েছেন। জানতে ইচ্ছা হয়, পশ্চিমের কোনও উন্নত দেশে এমন একুশে আইন ভাবতে পারেন? নাকি এসব কেবল অসভ্য দেশের মানুষদের জন্য, ইংরেজরা যেমন ভাবতেন? আর একটা সাজেশান, ড্রাইভারে মুখে শুনে অজানা গ্রাম সম্পর্কে ধারণা তৈরি করবেন না, করতে হলে তার মুখোমুখি বসে করবেন। পিছনের সিটে বসে কদাপি নয়।
  • Robu | 11.39.22.233 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৭80571
  • লেখা ও শিরোনাম, দুইই খুব ভাল লাগল।
  • | 127.194.84.54 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২৩80574
  • 'অন্য রূপকথা' বইটা পড়ে এমন আনন্দ, এবং অন্যরকম ভাবনা পেয়েছি যে ছটা বই এক্সট্রা কিনে বন্ধুদের দিয়েছি।
    "মদে আইনি নিষেধাজ্ঞার ... ফলে বিহারের বিস্তীর্ণ আদিবাসী অঞ্চলে কী প্রভাব পড়বে?
    বর্তমান ভারতে খাদের কিনারে এসে দাঁড়ানো জনজাতি মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মদ ... জানতে ইচ্ছে করে, এই আইনের ফলে বনবাসী গ্রামগুলোর শান্তি কীভাবে চুরমার হবে আবগারি নাকাদারদের হাতে?"

    কী ভাবব, তার আগে বোধহয় 'ঠিক কেন ভাবব' সেটা জরুরি। অনেকেই নীতিশের কীর্তি ভাল দেখছেন, অনেকে ভাবছেন, দূর ছাই, ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
    কিন্তু যাদের স্বাধীনতা নেইই, অথচ যাদের বেঁচে থাকার ওপর হিংস্র আক্রমণ চাপিয়ে দেয় অজানা অচেনা মানুষ তাদের অজানা অজ্ঞেয় যুক্তিতে, তাদের কথা ভাবা 'ছিলেবাসে নেই'।

    শংকর গুহনিয়োগীর নাকাবন্দির তুলনাই আসে না।
  • | 127.194.84.54 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২৫80575
  • "বিহারে সত্যিই নিম্নবর্গীয় মেয়েরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন নীতীশকে" সেটাও মিথ্যা নয়। বিহার তো সমসত্ত্ব কোনো একশৈল জায়গা নয়।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০০80572
  • এই খেয়েছে! জাতক্রোধ!
    মেডিক্যাল/লাইফ ইন্সিওরেন্স ফর্মে স্মোকিং/অ্যালকোহল বক্সে টিক থাকলে প্রিমিয়াম বেড়ে জায়। এ তো একটা তথ্য - ক্রোধ কোথা থেকে পেলে ভাই।
  • aranya | 154.160.98.96 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৬80576
  • লেখাটা সুন্দর, কিন্তু এই ইস্যুতে ঠিক বাইনারি -ভাল/খারাপ সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
    মদ ব্যান করা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, আবার 'নিম্নবর্গীয় মেয়েরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন নীতীশকে' - এটাও বিহারের অনেক জায়গায় এবং অনেক কমিউনিটির ক্ষেত্রে সত্য।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০৩80577
  • এটা নিয়ে বড় করে লিখবো ভেবেছিলাম, একদিন অন্কেঅটা লেখার পরে কম্পু বন্ধ হয়ে সব উড়ে গেল। লিখবো ভেবেছিলাম, কারণ এখন প্রায় রোজ সেইসব লোকজনের সাথে কথা হয়, কাজ করতে হয়, যাদের প্রতি রাতে মদের নেশায় চুর স্বামীর হাতে মার খেতে হয় বা মদের নেশায় হাজার হাজার টাকার ধার করে প্রায় বণ্ডেড লেবার হয়ে যেতে হয় কিম্বা বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপুলেকে কাজ করতে হয়, এই টাকা যোগাতে, বা আরো ভালো ক'রে বললে নেশার পিছনে টাকা না গেলে এদের হয়তো কাজই করতে হত না। নেশা, মাত্রাতিরিক্ত সেবন থেকে স্বাস্থ্যের ক্ষতির পয়েন্ট নাহয় বাদই দিলাম।
    এঁদেরকে কেন মদ খেতে হচ্ছে, কোন পরিস্থিতিতে, সেসব নিয়েও কথা হওয়া দরকার। শঙ্কর গুহনিয়োগীর আন্দোলনের কথাই ক'দিন ধরে মনে হচ্ছিল। আন্না হাজারেদেরও।

    কিন্তু সেসবের আগে বেসিক প্রশ্ন। এই সব লোকজন যে মদ খান, তা কি এই আইনে বন্ধ হবে ? এঁরা তো এমনিতেই বেআইনি মদই খান। সেটা তো বরম আরো বাড়বে ! বিহারের যে নিম্নশ্রেণীর মেয়েরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন, তাঁদের স্বামী, বাবারা যে মদ খান, সেটা কি বন্ধ হল আদৌ, না আরো বাড়লো ?

    যা মনে হচ্ছে, এতে ক'রে উল্টে ফালতু চাপ হবে তাদের জন্য, যাদের নিজেদের বা যাদের মদ খাওয়ার জন্য অন্যদের কোন ক্ষতিই আদৌ হচ্ছে না !~
  • aranya | 154.160.98.96 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১৪80578
  • এর বেশির ভাগ বেআইনী মদ খন, সিওর? আইনি দেশি মদ নয়?
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:২১80579
  • আমি যাঁদের দেখেছি, তাঁদের কেসগুলোতে সব দেশী, চোলাই। আইনি মদ কেনার মত অত টাকা কই ?

    তবে এটা নিয়েই আমি জানতে চাই। পুরো ছবিটা কী ?
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:২৬80580
  • সন্দীপ, পেশাগত ভাবে দেশে, বিদেশে প্রচুর নেশাখোর ও তাদের ফ্যামিলির সঙ্গে মোলাকাত হয়েছে।দেশের গ্রাম গঞ্জের হল হকিকত ও জানি বৈকি।উত্তর বঙ্গ, দক্ষিন ২৪ পরগনায় গেলে দেখতে পাবেন; গ্রাম কে গ্রাম চোলাই এ ডুবে আছে।আদিবাসী গ্রাম গুলোর কথা তো ছেড়েই দিলাম।এদের অপুষ্টি,,চিকিতস্যার খরচ, পারিবারিক অশান্তির দায়ভার কে নেবে? সরকার নামক রামুর গাধা টি না ব্যক্তি স্বাধীনতা কামী লোকেরা।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৭80581
  • দেশী মদ তো আইনি জানতাম। আর আদিবাসী দের মহুয়া বা ঘরে তৈরী মদ বোধ হয় ব্যান হয়নি।সুতরাং মদ বিক্রি ব্যান হলে এর বাইরের বৃত্তের লোকজনের অসুবিধে হবে।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৯80582
  • এই গ্রামকে গ্রাম চোলাই আইনি ?
  • lcm | 202.31.105.184 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৭80583
  • আশি/নব্বুই-এর দশকে ভারতের অনেক রাজ্যে অ্যান্টি-অ্যালকোহল ক্যাম্পেইন হয়েছিল - যার পুরোভাগে ছিলেন মহিলারা। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা - কয়েকটি রাজ্যে এই সংক্রান্ত কিছু আইন-ও বোধহয় চালু হয়েছিল। ইন ফ্যাক্ট, হরিয়ানাতে দেখা গেছিল যে এই একটা ইস্যুতে নিম্নবর্গীয় এবং উচ্চবর্গীয় মহিলারা একসাথে লড়ছে।
    কিন্তু, লিকার ইন্ডাস্ট্রির লবি (শওয়ালেশ/ইউনাইটেড স্পিরিট...) জোড়ালো লবি। একই জিনিস সিগারেটের ক্ষেত্রেও হয়েছে - আইটিসি/মার্লবোরো... রা সাপোর্ট করবে না অব্শ্যই।
    গ্রাম বা মফস্বলের চোলাই, তাড়ি - ইত্যাদিতে তো ডেফিনিট্‌লি হেল্‌থ হ্যাজার্ড আছে, প্রায়ই খবর হয় বিশাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু - এইসব। ওখানে বিগ কর্প নেই, কিন্তু আছে লোকাল প্রোডিউসার-দের লবি এবং দাদাগিরি।
    সব মিলিয়ে ঐ আর কি...
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫২80584
  • এবার আসি স্মোকিং এর কথায়।২০০১ সাল নাগাদ ইংল্যান্ডে গিয়ে দেখি; যত্র তত্র ধুমপান চলছে; ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে।হাসপাতাল , হোস্টেল, পাব,স্টেশন ,কিছুই বাকি নেই।তখনকার দিনে জি এন ই আর বলে একটি ট্রেন সার্ভিস ছিল লন্ডন থেকে এডিনবরা।ট্রেনে বসে আরামসে ধুম পান করা যেত। হাসপাতালের ভেতর রোগীরা স্মোকিং রুমে ধুমপান করতে পারত।স্টাফেরাও।
    আর এখন,ট্রেন তো দূর; স্টেশন চত্বর,হাসপাতাল চত্বর,যেকোনো পাবলিক প্লেস এ ধুমপান নিষিদ্ধ।
    স্মোকিং যদি এমন ব্যান হতে পারে; এলকোহল নয় কেন?
  • S | 117.151.152.218 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৩80585
  • দেশী মদ কি জিনিস? কিংফিসার ইন্ডিয়াতে তৈরী হয় - দেশি মদ?

    ইন্ডিয়া এবং পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই অ্যালকোহোলিক বেভারেজ তৈরী করতে গেলে এবং বিক্কিরি করে গেলে লাইসেন্স লাগে। সেই হিসাবে গ্রামের (এমনকি শহরেও এর বিশাল মার্কেট) চোলাই, তাড়ি, বাংলা (যাই বলুন না কেন) - এগুলো সব বেআইনী। পুলিশ পয়সা নিয়ে এইসব ঠেক চালাতে দেয়।

    তাই মদ বেআইনি না বলে, বরং এইসব বেআইনি জায়্গা গুলো বন্ধ করা উচিৎ আর গুছিয়ে ট্যাক্সো লাগানো উচিৎ (মানে ৩০০-৫০০% টাইপের) - তাহলেই কনজাম্পশান কমে যাবে। যাদের ক্ষমতা আছে তারা পান করুক না। কিন্তু এসব করতে অনেক ঝ্যামেলা, তাই পুরো ব্যান করে দেও।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৬80586
  • আবারো জানতে চাইছি। লসাগুদার পোস্ট দেখে। এই গ্রামকে গ্রাম মদ, এই বিষাক্ত মদ কি এমনিতেই আইনি ? নাকি এই মদ বেআইনিকরণের আওতায় এগুলো ঢুকবে , নাকি বেআইনি হলে, সেটাই এখন আরো বাড়বে ?
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৬80587
  • এই গ্রামকে গ্রাম চোলাই আইনি ?
    ---
    এ কথা কে বলল? আদিবাসী দের কিছু ছাড় আছে।অর্থাত সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনা বা করতে চায়না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন