এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কঠোর বিকল্পের পরিশ্রম নেই

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৩৪৬০ বার পঠিত
  • একটি বৃহৎ পরিবারে অনেকটা কনিষ্ঠতম হওয়ার সুবাদে প্রচুর স্বাধীনতা আর ছড়ানো নির্জন এক বাড়িতে বেড়ে উঠেছি আমি। চা ছাড়া অন্য নেশার চল ছিল না সেখানে। তবে কলেজজীবন থেকেই ইতস্তত মদ্যপানে রপ্ত হয়েছি (অবশ্যই নিজের টিউশানির পয়সায়)। আমাদের বাড়ির দোতলাটা ছিল আমার একান্ত সবান্ধব সাম্রাজ্য। একবার কী এক বিরল কারণে আমার মা দোতলায় উঠে একটি শূন্য হুইস্কির বোতল পেয়েছিলেন। রাতে খেতে বসার আগে বাবার আড়ালে ডেকে থমথমে মুখে আমার সরলা পুরনো প্রজন্মের মা বলেছিলেন – “হুইস্কি খাচ্ছিস, এবার দেখব কোনদিন মদও ধরেছিস!”

    আমাকে যিনি বিয়ে করেন তাঁর বাড়িতে আবার চায়েরও পাট ছিল না। আমার এই “অফ- অ্যান্ড-অন” মদ্যপানের ব্যাপারে তাঁর একটা অসন্তোষ ছিল বিয়ের আগে থেকেই। সেটা কেটে যায় দার্জিলিঙে গিয়ে, যখন বাড়িওয়ালা নেপালী দাজু ও তাঁর স্ত্রী তরুণ দম্পতিকে নিজের ভাই-ভ্রাতৃবধূর মতো ভালবাসা দিয়ে আপন করে নেন, পরিবারে সামিল করে নেন। ঘরে গুড়াস (রডোডেনড্রন ফুলের মদ)তৈরি হলে, কিম্বা ভালো স্কচ উপহার পেলে ডেকে নিতেন, এবং ওঁদের ছোট ছেলেমেয়ে মা পিসি পরিবৃত হয়ে হাসি আড্ডায় কখন যে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেত রাতে। আমার মেয়েও এই পরিবেশে জন্মায় ও বড় হয়, আমাদের জনাকয় উজ্জ্বল বন্ধু-বন্ধুনিদের উষ্ণ সান্নিধ্যে। মদ সম্পর্কে আলাদা করে কোনও রহস্য তৈরি হয়নি তার মনে। একবার ছেলেবেলায় তার মাতামহকে গ্লাসে লিকার চা পান করতে দেখে সরল প্রশ্ন করেছিল - “দাদু তুমি রাম খাচ্ছ?” 

    শশুরমশাই বিষম–টিষম খেয়ে একশা।

    সপরিবার বন্ধুবান্ধবের খোলামেলা পানভোজনের আসরে কাউকেই তেমন বেচাল হতে দেখিনি কখনও। যে পুরুষেরা মদ খেয়ে বেচাল হয়, বা বলা ভালো বেচাল হবে বলে মদ খায়, তারা সাধারণত পরিবার-বহির্ভূত একান্ত পুরুষ স্পেস খোঁজে। সমাজও মদের দোকানে জেলখানার গারদ বসিয়ে, পানশালায় নারীদের প্রবেশের অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ঝুলিয়ে সেই স্পেস করে দেয়।

    আমার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি মূল্যবান অংশ কেটেছে এইসব স্পেসে, মূলত সস্তা বাংলার ঠেকে। বলাবাহুল্য, আমার সাহিত্যানুরাগের বীজতলা ছিল সেগুলি। এছাড়াও সেখানে এমন সব শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষের সান্নিধ্যে এসেছি, যা অন্য কোথাও সম্ভবই ছিল না। তাঁরা বেশিরভাগই স্বাভাবিক সৎ্‌ সামাজিক সংসারী মানুষ, দায়িত্ববান পিতা ও স্বামী। অনেকেই প্রবীণ।

    এতখানি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের অবতারণা করার কারণ একটাই - মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে কথাটা বলতে চাইছি, তার সঙ্গে আর যাই হোক কোনো নৈর্ব্যক্তিক দূরত্ব নেই আমার। এবং একটি শিল্পাঞ্চল-কেন্দ্রিক জনপদে বড় হবার সুবাদে মদ্যপানের অভ্যাস কীভাবে বিবিধ সামাজিক ব্যাধি, পুরুষতন্ত্র ও দারিদ্র্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছি। আইন করে মদ্যপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দিলেই কারখানায় খাদানে শ্রমিক পুরুষেরা তাদের পুরো হপ্তার আয় নিয়ে ঘরে ফিরবে, আর বউ পেটাবে না, আরও সুবোধ এবং উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে – এইধরণের মোটা সরলীকরণ আজগুবি গল্পের মতোই মনে হয়।

    বরং এই সমস্যাগুলো অনেক বেশি ওতপ্রোত দারিদ্র্যজনিত বিচারবোধের জড়তার সঙ্গে (অতিসম্প্রতি অর্থনীতিতে এই নিয়ে কাজও হচ্ছে যতদূর জানি), সক্ষমতা ও বিকল্প জীবনধারার অভাবের সঙ্গে, নিরক্ষরতার সঙ্গে, জীবনের অনিশ্চয়তার সঙ্গে। এইসব অভাব ও অপ্রাপ্তি মানুষকে যেমন লাগামহীন নেশায় ঠেলে, তেমনই ভুয়ো চিটফান্ডেও ঠেলে। আরও কিছু কিছু সামাজিক ও মানসিক ব্যাধিতে ঠেলে। মদকে যত-দোষ–নন্দ-ঘোষ ঠাওরালে সস্তা হাততালি যেমন জোটে, আসল সমস্যা থেকেও চোখ ফিরিয়ে থাকা যায়।

    হ্যাঁ, ছত্তিশগড়ে মদ্যপান নিবারণ নিয়ে সফল আন্দোলন করেছিলেন শঙ্কর গুহ নিয়োগী, যেজন্য তাঁর হত্যার পেছনে ভাঁটিখানার মালিকদের হাত ছিল। কিন্তু ওঁর সেই আন্দোলনের নাম ছিল ‘সংঘর্ষ আউর নির্মাণ’ ... নিবারণের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, বিনোদনমঞ্চ ইত্যাদি তৈরিতে ব্রতী ছিলেন তিনি, অর্থাৎ মানুষের সক্ষমতা, বিকল্প জীবনধারার নির্মাণ। আমাদের রাষ্ট্রের জ্যাঠামশাইরা নিষিদ্ধকরণে খুব দড়ো, তা সেই বই হোক বা ফিল্ম। অথবা গোমাংস। তাঁদের নির্মাণ রাষ্ট্র নামক এক গভীর কুয়ো, যেখানে ব্যাঙের চাষ হয়।

    মদে আইনি নিষেধাজ্ঞার অবাস্তবতা নিয়ে, তার ফলশ্রুতি প্রাণঘাতী চোলাই মদ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে ও হবে। আমার কেবল জানতে ইচ্ছে করে, এর ফলে বিহারের বিস্তীর্ণ আদিবাসী অঞ্চলে কী প্রভাব পড়বে?

    বর্তমান ভারতে খাদের কিনারে এসে দাঁড়ানো জনজাতি মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মদ (এবং মাংস, বিভিন্ন পশুর), যা ঘরে প্রস্তুত হয় বিভিন্ন ধরণের ফুল বীজ ও শস্য থেকে। সেসব প্রস্তুতের ঋতু, পদ্ধতি প্রকরণ ভিন্ন, অ্যালকোহলের মাত্রাও ভিন্ন। জানতে ইচ্ছে করে, এই আইনের ফলে বনবাসী গ্রামগুলোর শান্তি কীভাবে চুরমার হবে আবগারি নাকাদারদের হাতে? বিগত কুড়ি বছরেরও বেশি এমন অসংখ্য গ্রাম দেখেছি, থেকেছি, কাছে যাবার চেষ্টা করেছি ... দুর্লঙ্ঘ্য সামাজিক শ্রেণীগত বাধা ডিঙিয়ে যতটা যাওয়া যায়।

    ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘকাল মদ নিষিদ্ধ সম্ভবত গুজরাটে। সেখানকার প্রায় ১৫% আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারায় সংস্কৃতিতে এর কী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, সেই নিয়ে কোনও কাজ হয়েছে কী না জানিনা। তবে ২০০২ সালের দাঙ্গার হিংসালীলায় জনজাতির মানুষদের সামিল করা গিয়েছিল, সেটা জানি।

    বিহারে কী হবে কে জানে? হয়তো সরেজমিনে আর জানা হয়ে উঠবে না আমার। সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসে স্বজন বন্ধুদের মেধাবী সাহচর্যে, কিম্বা একাকী গান শুনতে শুনতে বই পড়তে পড়তে, মানুষ কী করবে কী খাবে, সেটা ঠিক করে দেয় যে রাজ্যের সরকার, সেই রাজ্যে আর যাবার রুচি নেই। 

    ...

    নীচে মহুয়া ফুলের ছবিটা গত সপ্তাহে সম্বলপুরের কাছে ডেব্রিগড়ের জঙ্গলে তোলা। এই সময় সারাদিন টুপটাপ ঝরা ফুলে ফুলে বিছিয়ে আছে মাইল মাইল মহুয়ার বন, মাটি দেখা যায় না। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা ঝুড়ি বোঝাই করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখলাম। এই ফুল টনটনে রোদে শুকিয়ে পাতনক্রিয়ায় তৈরি হবে স্বাদু মদ, যার স্থানীয় নাম ইরপি বা মেল।

    নিয়মগিরির এক প্রবীণ কন্ধ একবার আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, স্বর্গ কি বল তো? আর নরক? তারপর নিজেই উত্তরটা দিয়েছিলেনঃ

    স্বর্গ হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন। আর নরক হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন, কেবল সেই বনে আছে এক লাঠিধারী ফরেস্টার।

    তাঁর কথা মনে পড়ল মধু রামনাথের এই বইটা পড়তে পড়তে –Woodsmoke and Leafcups: Autobiographical Footnotes to the Anthropologyof the Durwa People. আমার মতো শখের পর্যটক সেজে নয়, বস্তারের এক জংলি আদিবাসী গ্রামে তিরিশ বছর কাটিয়েছেন এই উদ্ভিদবিদ লেখক। এখনও সেখানেই থাকেন। তাঁর এই দিনলিপির পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে ঘরে প্রস্তুত নানান ধরণের মদ ও তার পানের আচারের সঙ্গে কী নিবিড় সম্পৃক্ত দারোয়াদের নিত্যকার জীবনছন্দ। আর ফুটে উঠেছে তাদের এক আশ্চর্য জীবনদর্শন, যা আমার খুব প্রিয় বুদ্ধের একটি বাণী ধার করে নিয়ে বললে – 

    In the end only three things matter: how much you have loved, how gently you have lived, and how gracefully you have let go of things not meant for you। 

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৩৪৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৪80588
  • চোলাই, তাড়ি আর বাংলা এক জিনিস নয় (আইন/পদ্ধতিগত দিকে), বাংলা বলে যে মদ পরিচিত সেটি বেআইনীও নয়। আর কিংফিসার ইন্ডিয়া দেশি মদ বানায় না।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৬80589
  • তাহলে তো এমনিই বেআইনি। তো, নতুন ক'রে হবেটা কী ? এই মদ ব্যান করা প্রসঙ্গে ঐ গ্রামকে গ্রাম চোলাইয়ে ডুবে থাকার প্রসঙ্গ আনলে তো গুলিয়ে যাচ্ছে তাইলে। কারণ ঐ মদ আগে থেকেই বেআইনি ছিল। তাও চলেছে। আর অন্য মদ বেআইনি হলে আরো বেশি করে এগুলোই চলবে। তো এতে করে তো লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতিই। মদ খাওয়ার স্বাধীনতা ইঃ প্রশ্নে না গেলেও এই বেসিক প্রশ্ন তো আরো আগেই আসবে।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৯80590
  • হুতো, চোলাই আর বাংলার তফাত কী ? আর দামের তফাতই বা কত ?
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৫80591
  • কান্ত বাবু, বাংলা, তাড়ি, মহুয়া, ফেনি, হাঁড়িয়া, চোলাই এগুলো আলাদা তাতো সবাই জানে। দেশি মদের ডেফিনিশানটা দিন না? তাহলে তো আরো ভালোভাবে আলোচোনাটা করা যায়।

    তবে এটা ঠিক যে অনেক লোকাল ম্যানুফ্যাকচারার থাকে, যারা লিগালি (কিন্তু জঘন্য কোয়ালিটির) জিনিস বানায়। সেগুলো বিক্কিরি হয়। তবে ঐযে লাইসেন্স লাগে দুটো জায়্গাতেই। তৈরী করতে বেভারেজ লাইসেন্স, পরে বিক্কিরি করতে বার লাইসেন্স।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৭80592
  • বাংলা মনে হয় স্টার্চ থেকে বিয়ার। আর চোলাই তো ভাত ফারমেন্ট করে।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২০80593
  • জঘন্য কোয়ালিটি লাইসেন্স পায় কীকরে ? মানে ঘুষ টুষ খাইয়ে পায় ?
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২১80594
  • বাংলা তো দোকানে পাওয়া যায়, আগে একটু অন্ধকারাচ্ছন্ন ঠেকে পাওয়া যেত (লাইসেন্স্ড কিন্তু, আইডিয়ালি), আজকাল ব্র্যান্ডেড হয়ে এমনি মদের দোকানেই পাওয়া যায়। তাদের কোম্পানী ডিস্টিলারি সরকারী সীলমোহর সবই আছে, তবে দামে বিলিতি মদের থেকে সস্তা।
    আর চোলাই হচ্ছে সেই খোঁড়া বাদশার কুটিরশিল্প। সেখানে কোন আইনী চেক নেই, যাদের ক্ষমতা নেই তারা পান করে মাঝে মধ্যে মারা টারা যায়। দামের তফাৎ, ঐরকম ভাবে তো অঙ্কে বলতে পারবো না, তবে আমার জানা মতো খুব বড় রকমেরই তফাৎ।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২২80595
  • সেতো আছেই। তবে জঘণ্য কোয়ালিটি মানেই সেটা ইল্লিগাল নয়। নিয়মিত খেলে হয়তো অন্য মদের থেকে বেশি ক্ষতি করবে। এইটুকুই।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৪80596
  • মুম্বাইতে মাতুঙ্গার সার্কেলে কান্ট্রি লিকারের একটা দোকান দেখেছিলাম বেশ প্রপার এলাকায়।
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৫80597
  • ডেফিনিশান তো জানি না, কিন্তু জিনিসগুলো আলাদা। মানে খেতে আলাদা কিনা, স্বাদ গন্ধ খারাপ কিনা সেই নিয়ে বলছিনা। আইনী ভাবে আলাদা।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২৬80598
  • সেইটাই জানতে চাইছি। কান্ট্রি লিকার আর কিংফিশারের মধ্যে একজ্যাক্টলি পার্থক্যটা কোথায়? সিরিয়াসলি জানতে চাই।
  • pi | 132.163.109.202 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৩80599
  • দাম নিয়ে কিছু আইডিয়া পাওয়া যাবে ?
    ইঁটভাটার শ্রমিকেরা মোটামুটি রোজ ১০০ টাকা মতন মদের পিছনে দেন বলে জানিয়েছেন। আর কথা বলে যা মনে হয়েছে, চোলাই। এটা আইনি দেশি মদ হলে ১০০ টাকায় কতটা পাওয়া যেত ?
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৫80600
  • তা আমি ঠিক জানি না। কিংফিশারের ইত্যাদিরা যা বানায় তাকে বলে ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকার - আই এম এফ এল। মদের দোকানে আগে লেখা থাকতো বিলাতি মদের দোকান। আর বাংলাটা দেশী মদ। দুটোই আইনী, এদের মধ্যে কোন আইনগত পার্থক্য আছে কিনা জানি না, কিন্তু বানানোর প্রক্রিয়ায় পার্থক্য আছে। আবার তাড়ি চোলাই এসবের আইনী স্বীকৃতি কিছু নেই। তবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয় ভাবে তৈরী মদের বিষয়ে আইনী রিলাক্সেশন ইত্যাদি আছে।
    তাড়ি মহুয়া চোলাই এইসবের আবার উপাদানগত পার্থক্য ছাড়াও অন্য গল্প আছে, যেমন তাড়ি মহুয়া এইসব সাধারনত খুব বড় স্কেলে লোকজন বানায় না, কিন্তু চোলাইটা একটা শিল্প বিশেষ, ক্ষতিকর রাসায়নিক এইসব মেশানো হয়, অনেক টাকা কড়ির খেলা।
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৬80601
  • গোয়ার ফেনি আর আমাদের বাংলা এই দুটো বোধয় এক গোত্রে পড়বে।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪০80602
  • সিদ্ধিও মনে হয় ঐ রিল্যাক্সেশনের মধ্যেই পরে? ও তো কোলকাতায় বেশ খোলা ভাবেই বিক্কিরি হয়। যদিও অ্যালাকোহলিক নয়। তাড়িও তো শুনেছি গ্রাম বাংলায় বেশ খোলাখুলি ভাবেই তৈরী হয় - বাড়িতেও নিজেদের কনজাম্পশানের জন্য।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪২80603
  • আচ্ছা ডিস্টিলেশনে কি পার্থক্য আছে?
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৫80604
  • এটা পেলাম, দেশী মদ http://www.wbexcise.gov.in/CommonUser/RegisterBrand_Liquor.aspx?type=28

    সবচে কম দাম পাচ্ছি ১৪ টাকায় ৩৭৫ মিলি। এইবার কে কতটা মদ হজম করতে পারেন সেটা সাবজেক্টিভ ব্যাপার, কিন্তু রোজ একশো টাকা তো তবুও
  • প্রতিভা সরকার | 11.39.115.245 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৭80573
  • মদ নিয়ে লেখা। বেশ হুল্লোড়ে যুক্তি, গ্রীক দেব বেকাসের বন্দনা-উচ্ছাস ইত্যাদি থাকবে আশা ছিল। কিন্তু এত শান্ত লেখা আর সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলা ! আমায় বড় দ্বিধায় ফেলে দিলেন ! কারণ বিহারে সত্যিই নিম্নবর্গীয় মেয়েরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করছেন নীতীশকে।
  • S | 202.156.215.1 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৭80605
  • লিগাল দেশি লোকাল লিকারের বোতলের দাম মনে হয় ৫০-১০০ টাকা মতন হবে? কান্ত বাবু?

    আর ঐসব ঠেক জাতীয় পানীয় যেগুলো তৈরী করা ও বেচা দুটই বেআইনি সেগুলোর দাম আরো কম হবে - ওগুলো মনে হয় গ্লাস ধরে বিক্কিরি হয়।
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫৪80606
  • S, দাম নিয়ে একেবারেই ধারনা নেই, ঐজন্যেই এক্সাইজের সাইটটা দেখছিলাম।
    গ্লাস ধরে, মানে পেগের মত, টিপিক্যালি বারে যেমন হয়? হতেই পারে।
    হ্যাঁ, এমনিতে তো দাম কম হওয়াই উচিত।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৪৯80607
  • অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন যে আমেরিকাতে ইন্ডিয়ানদের (নেটিভ) অ্যালকোহল আর গ্যাম্বলিং অ্যাডিকশনে চুবিয়ে রাখা হয়েছে,ওদের আর খুব একটা অপশন নাই।
    ভারতে আদিবাসীদেরও কি মহুয়াতে আবিষ্ট ...
  • sm | 233.223.157.34 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:২০80608
  • একটা মজার ঘটনা বলি। আমার এক বন্ধু এম বি বি এস ; পাস করার পর উড়িষ্যায় কোরাপুট জেলার এক গন্ড গ্রামে পোস্টিং পেয়েছে।হেলথ সেন্টারে দুজন রাতে ডিউটি তে রয়েছে; ডাক্তার আর একজন বয়স্ক কম্পাউন্ডার।
    তা, প্রথম দিন রাত্রি ১১ টা নাগাদ এক আদিবাসী রমনী কোলে দুধের বাচ্চা নিয়ে এলো।
    বাচ্চাটি নেতিয়ে পড়েছে। দীর্ঘক্ষণ এগ্জামিন করার পর ও কিছু পাওয়া গেল না.
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩১80609
  • অ্যালকোহল রেস্ট্রিকশন, ব্যান, কনসাম্পশন --- এসব নিয়ে রাজনীতি পৃথিবীর সব দেশের কম বেশি আছে। আইনকানুন-ও আছে।

    বিহারে বলছে -
    On 26 November 2015, the Chief Minister of Bihar Nitish Kumar announced that Alcohol will be banned in Bihar from April 1, 2016. Kumar officially declared the total ban on 5 April 2016, and said in a press conference, "All type of liquor will be banned in the state from today. Sale of any type of alcohol in hotels, bars, clubs and any other place will be illegal from today on wards."

    নীতিশবাবু তো বলে নাকি বিহারের সেরা মুখ্যমন্ত্রী - এন`আইটি পাটনার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কি আদিবাসীদের বিপদে ফেলার জন্যে এই আইন পাশ করলেন। কিন্তু এ তো বলছে পুরো রাজ্য জুড়ে, শুধু আদিবাসি এলাকায় তো নয়। আর আগের বিহারের যে আদিবাসি এলাকা ছিল তার বেশির ভাগটাই এখন ঝাড়খন্ডে গেছে বোধহয়।

    বাই দ্য ওয়ে, আম্রিগায় ড্রাই ডিস্ট্রিক্ট আছে কিছু, লোকাল অথরিটি বিল পাশ করিয়ে ইম্প্লিমেন্ট করে। তবে ডেভল্‌প্‌ড্‌ কান্ট্রি গুলোতে অ্যালকোহল কনজাম্প্শন অনেক বেশি।
  • sm | 233.223.157.34 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩২80610
  • ডাক্তার ঘামছে; কোনো বোঝার সুত্র নেই। অতএব,কিছু ভিটামিন সিরাপ ও ও আর এস দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো।
    খানিক পরে আর একটি মায়ের আগমন; ঐরকম আর একটি নেতিয়ে পড়া বাচ্চা নিয়ে।আবার একই ব্যবস্থা ।
    খানিক পরে আর একটি বাচ্চা! ডাক্তারের স্ট্রেস লেভেল চূড়ান্ত পর্যায়ে।
  • sm | 233.223.157.34 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩৯80611
  • আবার একটি বাচ্চা! ডাক্তার ভাবলো আজকে রাত্রি তেই গ্রাম ছেড়ে পালাই।কারণ কাল সকালে গ্রাম ছেড়ে পালানোর অবস্থায় থাকব না।
    হটাত লক্ষ করে দেখল;কম্পাউন্ডার মিটি মিটি হাসছে।
    ওনাকে জিগাতে , উনি বললেন; কি ডাক্তারবাবু,বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে?
    ডাক্তারের মুখে মলিন হাসি।
    উনি বললেন ভয়ের কিছু নাই,আজ আদিবাসীদের পরব আছে। ওদের প্রসাদ হলো হাড়িয়া;সেটাই প্রত্যেক বাচ্চাদের মুখে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সকাল বেলা সব ঠিক যাবে।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৫৯80612
  • দঃচব্বিশ পরগণার গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখেছিলাম, মদের ঠেক ভাঙা খুব জনপ্রিয় কর্মসূচী। জরির কাজ বা চাষের কাজ করেন যেসব পরিবার, তাঁদের বাড়ির মেয়েরা ভারি খুশি হন এই অভিযানগুলোয়। বাস্তবিক, মদ খেয়ে এসে বৌকে বা বাড়ির অন্য লোকেদের মারধর কী বীভৎস হতে পারে তা না শুনলে ধারণা করা যায়না। কিন্তু আইন পাশ করে এগুলো আটকানো যায় কী? প্রথমতঃ আমাদের দেশে আইন তো অনেকই আছে, সুন্দর সব আধুনিক আইন কিন্তু ইম্প্লিমেন্টেশনের বেলায় কিছুই হয়না। দুই, ব্ল্যাকে কেনা আটকাবে কিকরে? আর ব্ল্যাকে কিনলে তো খরচ আরো বাড়লো, কালোবাজারীদের দারুন লাভ।

    এই নিয়ে কোন স্টাডি আছে? বহু এলাকায় দেখেছি যাঁরা রিক্সা চালান, তাঁরা সারাদিনের আয় সন্ধেয় চোলাইয়ের ঠেকে উড়িয়ে দিতেন। এই অ্যালকোহলিজমের কারণ কী জানিনা। দুই, মদ না খেয়েও নির্ঘাৎ বেশ কিছু লোকজন বাড়িতে অত্যাচার করে কিনা সেটা জানলে বলা যেত কিসের সাথে কি জড়িত। এই কোরিলেশনগুলো জানা দরকার।
  • pi | 120.227.78.101 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১১80613
  • আমার তো এখনো ক্লিয়ারই হল না।

    কোন কোন জিনিস কী কী কারণে ইল্লিগাল, আর কী কী কেন নয়। মানে এমনিতে।
    আর ব্যান করলে কী কী ব্যান হচ্ছে। যা যা ব্যান হচ্ছে তা কারা কারা খান, বন্ধ হলে কোন কোন সেকশনের জন্য বন্ধ হবে । আর বন্ধ হলে কোনগুলোর বিক্রি বাড়বে ?

    এই মদের ঠেক ভাঙা , এগুল্কো তো এম্নইতেই বেআইনি ঠেক গুলো ভাঙা হয় বোধহয়। এই আইনি ব্যান না থাকলেও। আইনি ব্যানে যে মহিলারা খুশি , তাঁরা কী কী বন্ধ হওয়ায় খুশি ?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৭80614
  • ঐ যে বিহারে বলছে "... All type of liquor will be banned ..."
  • pi | 120.227.78.101 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:১৯80615
  • আরে যা অলরেডি বেআইনি, সে তো আগে থেকেই ব্যানড ! তার জন্য আলাদা কী ব্যবস্থা হচ্ছে ? উল্টে বাকি সব বেআইনি হলে এই এতদিন ধরে আইনকে কলা দেখিয়ে চলা মদের রমরমা বাড়বে, এটাই আশঙ্কাআ করছেন অনেকে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩০80616
  • সেটা ঠিক। চোরাবাজারে বিক্রি বাড়বে।

    যেমন, এখানে অনেকে বলছেন যে গান কন্ট্রোল আইন চালু হলে বেআইনি বন্দুকের ব্যবহার বাড়বে।

    তামিলনাড়ুতে অ্যালোকহল ব্যান ছিল, কিন্তু পন্ডিচেরিতে ছিল না। লোকাল লোকজন উইকেন্ডে পন্ডি যেতেন। এবার বিহারের বর্ডারের লোকজন পশ্চিমবঙ্গে আসবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন