এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • রৌহিন | 233.223.134.93 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৫ ০৫:৩৯86970
  • "আর ভারত মানে শুধু আসমুদ্রহিমাচল ভূখণ্ডটিও নয়- খোদ অ্যামেরিকাতেও অনেক টুকরো টুকরো ভারত দেখেছি- দুহাজার বছরে দেশের ব্যাপ্তি খুব কম হয়না" - এই কথাটা একটা উপলব্ধি। আমার কাছে এটাই একটা দেশের প্রকৃত অভিজ্ঞান। কিছু মানুষের ইচ্ছামতো ঠিক করে দেওয়া একটা মানচিত্র নয়।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৫:৪৩86971
  • র্চোল রাজারা কিন্তু সৈন্য পাঠিয়েই শ্রীলংকা দখল করেছিলেন।
  • de | 69.185.236.53 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০১:০১86976
  • সব জায়গায় আরেসেসের ভূত দেখাটাও একটা সিরিয়াস ব্যামো -

    আমার চারিপাশের অনেকেই আরেসেসের ভাবধারায় সাব্স্ক্রাইব না করেও এইরকমই ভাবেন। লেখাটা পড়তে ভালোই লেগেছে - সব বিষয়ে একমত নই যদিও!

    মানুষের মত আর ভাবনার প্রকাশের স্বাধীনতা টুকু থাকুক না - লেখক যেভাবে ভাববেন, দেখবেন সেভাবেই তো লিখবেন!
  • শিবাংশু | 127.248.131.23 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০১:৪২86977
  • লেখাটি আর এস এসের ম্যানিফেস্টো কি না সেটা বলার অধিকার সোমনাথেরই থাক। তবে এ রকম চললে একদিন হয়তো লোকে ভাবতে শুরু করবে 'ভারতীয়' মানে ভারতীয় জনতা পার্টির মেম্বার। বিপুলা চ পৃথ্বী, কাল নিরবধি।

    তবে ইন্টারেস্টিং একটা দুটো কথা।

    "এই "ভারত" টা কী বা কাহারা ? একটা বিশাল ভূখন্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন রাজা -মহারাজা যারা নিরন্তর পরস্পরের জমি দখলের চেষ্টা করে গেছে । যে অখন্ড ভারতের কথা এখানে বলা হয়েছে উহা কবির কল্পনা মাত্র । "

    এই উক্তিটি কি নিছক তর্ক উসকানোর জন্য বলা না যথাযথ মানসিক প্রস্তুতি থেকে এসেছে এটা জানার ইচ্ছে রইলো।

    দ্বিতীয়,
    "সেই... বিপ্লব, ব্যবস্থা বদল নিছক কালকের পশ্চিমী ফ্যাশন মাত্র, সাম্রাজ্যবাদের খুড়োর কল... সনাতন ভারাতিয় ঐতিহ্যই হল আসল কথা......"

    ভারতীয় বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা, স্বীকার্য হোক বা নাই হোক, তার বাস্তবতা'কে অস্বীকার করার ট্র্যাডিশন এখনও চলেছে। আমার জোয়ানবয়সে একজন জেলখাটা কমু'গুরু যখন এই কথাটা আমাকে বলেছিলেন, সোচ্চার না হলেও মনে মনে বলেছিলুম শা' শোধনবাদী। এখন বুঝি ব্যবস্থা বদলের জন্য আমাদের উদ্যমগুলি হয়তো সত্যিই 'পশ্চিমি ফ্যাশন' ছিলো। অনিবার্যকে অস্বীকার করার ধৃষ্টতার মূল্য আমাদের অবিরাম দিয়ে যেতে হচ্ছে।

    শেষে একটা ছোট্টো সত্যি হলেও গপ্পো।
    আমার এক অগ্রজ বিশিষ্ট নাট্যকর্মী, দাগি লাল, একদিন আমাকে ফোনে করে জিগালেন তাঁদের আগামী নাট্য উৎসবের আমন্ত্রণপত্রটি কেমন হয়েছে ? আমার সেই পত্রটির নক্শা, আকার, ভাষা বেশ রুচিসম্মত মনে হয়েছিলো। বিশেষ করে গণেশের একটি প্রতিকৃতির শৈল্পিক ব্যবহার। আমি তাঁকে সেমত জানালুম। তিনি বললেন, নিশ্চিন্ত হলাম। আমি বলি, কেন? কোনও সমস্যা হলো নাকি? তিনি বলেন, ঐ গণেশ...!
    মানে?
    একটু আগে অমুক এসেছিলো আমার কাছে। কষে গালাগালি দিয়ে গেলো...
    সে কী, কেন?
    ঐ গণেশের কারসাজি...
    একটু ঝেড়ে কাসুন দাদা...
    নাহ, অমুক আমাকে বললো আমি নাকি আর এস এসের এজেন্ট। পার্টিকে কমজোর করছি। নয়তো শেষ পর্যন্ত গণেশ.... ছ্যা ছ্যা...
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৪:১২86978
  • "রতীয় বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা, স্বীকার্য হোক বা নাই হোক, তার বাস্তবতা'কে অস্বীকার করার ট্র্যাডিশন এখনও চলেছে। আমার জোয়ানবয়সে একজন জেলখাটা কমু'গুরু যখন এই কথাটা আমাকে বলেছিলেন, সোচ্চার না হলেও মনে মনে বলেছিলুম শা' শোধনবাদী। এখন বুঝি ব্যবস্থা বদলের জন্য আমাদের উদ্যমগুলি হয়তো সত্যিই 'পশ্চিমি ফ্যাশন' ছিলো। অনিবার্যকে অস্বীকার করার ধৃষ্টতার মূল্য আমাদের অবিরাম দিয়ে যেতে হচ্ছে।"

    :D
  • কেডি | 74.233.173.157 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৬:৫৩86972
  • "তিনহাজার বছরের ইতিহাসে ভারত কখনো বিদেশে সৈন্য পাঠাতে পারেনা"
    এ'টা সম্ভব হয়েছে কারণ সৈন্য পাঠানোর আগেই "বিদেশ"টাকে "দেশ" হিসেবে ডিক্লেয়ার করে দিয়ে - মানে সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙলো না :)
  • adhuli | 24.202.186.155 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৭:২৮86979
  • "কোনও এক অন্তর্নিহিত ঐতিহ্য তাকে 'কী করিতে হইবে' বলে দিচ্ছে- বংশ পরম্পরায় শূদ্র বিন্দুমাত্র রক্তপাত না ঘটিয়ে সেবা করে যাচ্ছে তিন উচ্চবর্ণের। " । আহা, অতি উত্কৃষ্ট চিন্তাধারা--!!!! দরিদ্র আদিবাসীরা, যাদের আমরা শুদ্র বলে থাকি, এত মহানন্দে তিন বর্ণের সেবা করার দায়িত্ব নিয়েছে তথাকথিত অন্তর্নিহিত ঐতিহ্য রাখার দায়ে , জেনে ভালো লাগলো।

    ভারতীয় বর্ণাশ্রম এক কঠিন এবং নোংরা বাস্তব, তা ঐতিহ্য রাখার দায়ে কি সেটা অনন্তকাল ধরে মেনে নেওয়া হবে, নাকি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাও জরুরি ? নাকি প্রতিবাদ করতে গেলেই পশ্চিমি ফ্যাশন বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় ?? যাই হোক, যার যা ভালো লাগে, লেখকের আমেরিকা ভালো লাগে নি, সেটা তার ব্যক্তিগত, তবে "অন্তর্নিহিত ঐতিহ্য"-এর ঘাড়ে সেটা না চাপলেও চলে, অন্যদিকে ভালো লাগার লোকের সংখাও নিতান্ত কম না।
  • শিবাংশু | 127.248.131.23 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ১১:০২86973
  • লেখাটা ভালো লাগলো। তন্ত্রের সংজ্ঞা ধার করে বলা যায় এটি একটি কীলক মন্ত্র। সংকেতে ধরে রাখা হাজারটা উপলব্ধির চাবি। ব্যক্তিগতভাবে নিজেও এভাবেই ভাবি এবং সারা দেশের প্রত্যন্ত থেকে প্রত্যক্ষ সব প্রান্তে দীর্ঘকাল ধরে ধুলোবালি ঘেঁটে ধারণাটি আরো মজবুত হয়েছে। 'ভারতবর্ষ একটি অনন্ত বিস্ময়' উত্তরাধিকার সূত্রে এমনটি শুনেছিলুম বাল্যকালে। এখন তার কিছু কিছু মানে বুঝতে পারি।

    সিংহল, ইন্দোচিন ও ভারতীয় 'ঔপনিবেশিক' প্রবণতা একটি বড়ো বিষয়। কাবলিদা খুব সহজ শব্দে যা বলেছেন তা নিয়েই কয়েক ভল্যুম ব্রিটানিকা নামিয়ে দেওয়া যায়। :-)
  • একক | 24.99.54.137 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ১১:৪০86974
  • ""তিনহাজার বছরের ইতিহাসে ভারত কখনো বিদেশে সৈন্য পাঠাতে পারেনা"

    এই "ভারত" টা কী বা কাহারা ? একটা বিশাল ভূখন্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন রাজা -মহারাজা যারা নিরন্তর পরস্পরের জমি দখলের চেষ্টা করে গেছে । যে অখন্ড ভারতের কথা এখানে বলা হয়েছে উহা কবির কল্পনা মাত্র । পড়তে ভালই লাগে ,এইপর্যন্ত ।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২৭ মার্চ ২০১৫ ১২:৩২86975
  • "অথচ এক আছে, অথচ এক আছে কারণ কোনও এক অন্তর্নিহিত ঐতিহ্য তাকে 'কী করিতে হইবে' বলে দিচ্ছে- বংশ পরম্পরায় শূদ্র বিন্দুমাত্র রক্তপাত না ঘটিয়ে সেবা করে যাচ্ছে তিন উচ্চবর্ণের।"
    সেই... বিপ্লব, ব্যবস্থা বদল নিছক কালকের পশ্চিমী ফ্যাশন মাত্র, সাম্রাজ্যবাদের খুড়োর কল... সনাতন ভারাতিয় ঐতিহ্যই হল আসল কথা......
    এরকম লেখা বুলবুলভাজায় দেখে অবাক ও হতাশ দুই ই হলাম...
    তবে হ্যাঁ, পোস্ট মডার্নিজম পোস্ট কলোনিয়ালিজম পড়া হিলেলি দের জন্যও আরএসএস এর ক্যাম্পেন মেটিরিয়াল কেমন হওয়া উচিত বা হতে পারে তার এক্সপেরিমেন্টাল খসড়া হলে অবশ্য ফাটাফাটি উতরেছে, সন্দেহ নাই...
  • কল্লোল | 125.185.156.42 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:০৬86980
  • এপ্রসঙ্গে অন্য একটা কথা মনে এলো। কাঞ্চা ইলাইয়ার Turning The Pot, Tilting The Land - Dignity Of Labour In Our Times বইটিতে অন্য এক ভারতের কথা আছে। সে ভারতের সাথে এই লেখায় বর্ণিত ভারতের সাযুজ্য বেশ কম।

    আর - সোমনাথের এই কথাটার সাথে তথ্যগতভাবে একমত নই - "দেশের আদ্ধেকলোক নিরামিশাষী কেবলমাত্র তার পিতৃ-মাতৃবংশে কেউ আমিষ ভক্ষণ করেন নি বলে।"
    দেশের অদ্ধেকলোক - এটা একেবারেই ঠিক নয়। একমাত্র পূর্ব ভারতের একটা অংশ ছাড়া, সারা ভারতে উচ্চবর্ণের মানুষরাই শুধু নিরামিশাষী।
    আসলে আমাদের সাথে যেসব "ভারতীয়"দের ওঠাবসা তাদের ৯০%ই উচ্চবর্ণের। তাই ওরকম মনে হয় "দেশের আদ্ধেকলোক নিরামিশাষী"।
    দেশের যে অঞ্চলটি নিরামিশাষীদের ঘোর আড্ডা বলে অখ্যাত হয় সেই "রসম-সম্বর-ইডলি-দোসা"র প্রদেশগুলোতে কি পরিমান মানুষ আমিশাষী তা সে অঞ্চলের যে কোন শহরের প্রান্তগুলো ঘুরে এলেই মালুম পড়ে। গ্রামগঞ্জ তো বাদই দিলাম।
    মাদুরাই, হ্যাঁ মাদুরাই যা কিনা সেই মীনাক্ষী মন্দিরের জন্য খ্যাত, সেখানে মাঘের প্রথম হপ্তায় গিয়ে জালিকাট্টু দেখে (ভারতের বুল ফাইট) বেরিয়ে রাস্তার ধারে ধারে ডেকচি নিয়ে বসে থাকা নিম্নবর্ণের মানুষদের রান্না গরগরে লাল ঝোলে ভাসা শুওর খেয়ে আসেন।
    তবে হ্যাঁ এই আমিশাষীদের খুব বড় একটা অংশ আমিষ খান কালে ভদ্রে। কারন? খুব সহজ - অমিষ খেতে পয়সা লাগে। আর বিনি পয়সার আমিশ, গেঁড়ি-গুগলি-মেঠো ইদুঁর সবসময়ে সহজ লভ্য নয়।
  • dc | 132.164.221.32 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:১৬86981
  • গোটা তামিল নাড়ুতে লোকে কষে আমিষ খায়। এখানে আসার প্রথম দিকে আমারও ভয় ছিল যে নিরামিষ খেয়ে মরতে হবে বোধায়। তারপর দেখলাম এখানেও সবরকম আমিষের ছড়াছড়ি। মটন, মাছ, মুর্গি সব পাওয়া যায়। তবে এ ব্যাটারা সেগুলো অখাদ্য করে রান্না করে, সে অন্য কথা।
  • কল্লোল | 125.185.156.42 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৫86982
  • এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি।
    "বংশ পরম্পরায় শূদ্র বিন্দুমাত্র রক্তপাত না ঘটিয়ে সেবা করে যাচ্ছে তিন উচ্চবর্ণের"
    কথাটার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু কেন? রক্তপাতহীন বশ্যতা স্বীকার করানোয় এই উপমহাদেশের উচ্চবর্ণ যে প্রকার কুশলতার পরিচয় রেখেছে তা সারা পৃথিবীতে বিরলতম। পশ্চিমে ধর্মদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে চার্চ যে পরিমান অত্যাচার চালিয়েছে, এখানে তার প্রায় কিছুই হয়নি। একটি শম্বুক ও একটি একলব্য ছাড়া তেমন খুব একটা ঝামেলা পুরাকালে বিবৃত নয়। হ্যাঁ কৃষ্ণের নরক হত্যাও বলতে হবে। যাকে হত্যা করে কৃষ্ণ ১৬০০০ নারীকে "বিয়ে" করে নিয়ে আসেন। এখানেই মজাটা লুকিয়ে। কৃষ্ণ কিন্তু ১৬০০০ নারী "লুটে" আনেননি, "বিয়ে" করে এনেছিলেন।
    নিম্নবর্গ/বর্ণকে বশ করতে উচ্চবর্ণ যে কৌশলটা নিয়েছিলো তাকে বলে সংষ্কৃতি (পড়ুন ধম্মো) আত্মস্যাৎ করা। পুরাণগুলো এ বিষয়ে আকর গ্রন্থ। বিষেষ করে কালিকা পুরান সমূহ।
    এ নিয়ে ভুরি ভুরি কাজ হয়েছে। তাই ঐ কচকচি থেকে বিরত থাকলাম।
    শুধু একটাই মনে করিয়ে দেবার আছে , না, একটা নয় দুটো। এই উপমহাদেশে বৌদ্ধ ধম্মো ও ইসলামের উত্থান। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্নবর্গের/বর্ণের মানুষের কাছে এই দুই ধম্মের গ্রহণযোগ্যতা কিছু একটা কথা বলে। সবসময়ে ঝাড়পিট করেই প্রতিরোধ হয় না।
  • dd | 132.172.34.167 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৬86983
  • অ কল্লোল, বলি কালিকা পুরাণে কি আছে - ইসপেসাল?

    ওটা তো লেখাও হয়েছিলো ১১ সেঞ্চুরী বা টেনে টুনে ১০ সেঞ্চুরীতে। বেশ অর্বাচীন।
  • adhuli | 190.148.69.210 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৩:১৮86984
  • কল্লোল কে ক 08:15:36 IST-র জন্য । এই কথা টাই সব থেকে বেশি বলা দরকার। সারা ভারত ছেড়েই দিচ্ছি, আজকে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ এ যে নিম্নবর্গের এত মানুষ ইসলাম এ ধর্মান্তরিত হয়েছেন, বা হচ্ছেন, তার পেছনে এই ঘৃণ্য জাতপাতের ভেদ এর ভূমিকা-ই প্রধান । ব্রাহ্মণ প্রধান সমাজে নিচু বর্গের ওপর অত্যাচার যে পর্যায়ে পৌছেছিল, সেখানে শুধু বেচে থাকার দায়ে তারা বেছে নিয়েছিলেন অন্য ধর্মকে। নিজে আয়না দেখার বদলে আমরা বেছে নিয়েছি ইসলাম আর বাংলাদেশ কে গালাগালি দিয়ে নিজেদের ভালো প্রমান করা।

    সেই পিরিয়ড কেই যখন কেও ঐতিহ্য-এর নাম করে গ্লোরিফয় করতে চায়, তখন মোজা জলে যায়। বেশি দিন নয়, যখন ৭-৮ বছর এর মেয়েদের গৌরিদান করা হত, শুদ্ধ আচারের দায়ে কুলীন ব্রাহ্মণ ১০০ - ২০০ বিয়ে করত। ইভেন আজকের দিনেও আমরা কতটা রক্ষনশীল, সেটা মধ্যবিত্ত বাঙালির বিয়ে-এর সম্মন্ধ করার সময়ে বোঝা যায়, অন্য জাতে বিয়ে হলে-ই আমাদের অনেকের দাঁত নখ বেরিয়ে পড়ে, এসব নিজের ঘরেই দেখা।
  • কল্লোল | 125.185.156.42 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৫86985
  • হ্যাঁ ১০ সেঞ্চুরীতে লেখা হয়েছে। কিন্তু রচনা হয়েছে তার অনেক আগে। সম্ভবতঃ যখন উচ্চবর্ণ কামরূপে ঢুকছে।
    মহাকালী শিবের বউ হতে হেদিয়ে গেলো কোংকোয়ে? এটাই তো কালিকা পুরাণগুলির উপজীব্য। ঐ দ্যাখ, তোদের কেল্টি মাগীটা আমাদের ভোলার জন্য কত্তো কি কল্লে!! এক পায়ে ডাঁইড়ে, পাতা খেয়ে, চাদ্দিকে আগুন জ্বালিয়ে কত্তো করে শেষে পাত্তা পেলো।
  • dd | 132.167.22.222 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৪86986
  • টইজ্যাক হয়ে যাচ্ছে। তাহোক।

    কালিকা কিন্তু আদৌ কালি নন। নট অ্যাট অল। তিনি রীতিমতন ফসসা ও রাজদুহিতা। মহাদেবকে বিয়ে করে তপস্যাকরে গায়ের রং কালো হয়ে গেসিলো।

    আর মহাদেব ও তখন তার দুই সখীর কাছে কালিকার গায়ের রং নিয়ে এয়ার্কি মারেন। (ঠিক কি যে কয়েছিলেন এখন আর স্মরণে আসছে না)। দেবী তখন চটে কাঁই।

    মহাদেব তখন দেবীকে আকাশগংগায় চুবিয়ে ফের ফসসা করে দ্যান। কালিকা ফসসা ছিলেন - আবার ব্যাক টু ফসসা হলেন। এ তো ফেয়ার অ্যান লাউলীর বিজ্ঞাপন। এর মধ্যে তুমি আবার শুদ্র টুদ্র পেলে কই?
  • dd | 132.167.22.222 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৬86987
  • আর পুরাণ তো বাচ্চা ছেলে।

    সেই ঋগ্বেদ থেকেই কালো চামড়ার মানুষ (পরে এরাই দাস/অনার্য ইঃ) নিয়ে কটু কথা ল্যাখা আছে। ফসসা বনাম কেল্টের লড়াই তো চির কালের।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৭86993
  • প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জোয়ান রবিনসন বলেছিলেন বোধ হয়ঃ For every generalization about India there exist five counter examples.
  • শিবাংশু | 127.201.154.21 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:১১86988
  • চামড়ার রং ও সিন্ধু থেকে "হিন্দু' সভ্যতা'র ওলটপালট অতি বৃহৎ বিষয়। তৎসহ বেদ, পুরাণ, সংহিতা, তন্ত্রের ককটেল জুড়ে গেলে প্রশ্নটা একেবারে ধাঁধিয়ে যাবে। তাই ও পথে যাচ্ছিনা( বিশেষত রসরাজ বাবু dd যখন বাজারে আছেন):-)। তবে একটা কথা বলি অন্য যেকোন দেশের মতো-ই আমাদের ইতিহাসেও স্বর্ণযুগ ও অন্ধযুগ হাত ধরাধরি করে চলে। তা নিয়ে ২০১৫ সালে শরীরে আগুন লাগিয়ে লাভ নেই। ভারতবর্ষে 'সনাতন' বলতে শুধু একটা ধর্মীয় ব্যবস্থা আছে, যেটা আদি শংকরের ধারণাসঞ্জাত। আর কোনও 'সনাতন' প্রবণতা নেই। আমাদের ইতিহাসের মতো ক্রমাগত ওঠাপড়ার জটিলতম ইতিকথা অনুসরণ করতে গেলে একটু সহিষ্ণুতা লাগে। নয়তো হাতে থাকবে শুধু বিহার, মন্দির, মসজিদ, গির্জা ভাঙার জমকালো গপ্পোকথা।
  • কল্লোল | 125.242.147.222 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:৫৫86989
  • শিবাংশুর 09:41:27 IST নিয়া কোন গোল নাই। আমার কওনের ছিলো আমাদের দ্যাখা ভারতই শুদ্ধুমাত্র ভারত নয়। ভারতেই আরও অনেক ভারত আছে।

    ডিডি। "কালিকা কিন্তু আদৌ কালি নন। নট অ্যাট অল। তিনি রীতিমতন ফসসা ও রাজদুহিতা। মহাদেবকে বিয়ে করে তপস্যাকরে গায়ের রং কালো হয়ে গেসিলো"

    আরেট্টু আগে যাও। তিনি হঠাৎ রাজদুহিতা হতে গেলেন কেনে?
    আর মহাকালী কালো অর্থে যেমন ঠিক তেমনি মহাকালের স্ত্রী লিঙ্গেও বটে। এট্টু বই পত্তর খুঁজে দেখি। তাপ্পর বলছি।
  • কল্লোল | 125.242.147.222 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৫:১৩86990
  • নাঃ কালিকা পুরাণটি কলকাত্তেওয়ালীর জিম্মায় আছে।
    তবে পুরাকালে সেই বালিকা কিছু কাজ করেছিলো কালিকা পুরাণ নিয়ে, তাতে বেশ কিছু উল্লেখ আছে। সেটা খুঁজে পেয়েছি। লিখছি। তবে কিনা মায়ের নাম, তাই ছান সেরে আসি।
  • শিবাংশু | 127.248.167.239 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৬:১৩86991
  • কল্লোলদা,

    আমারও মোদ্দা কথা সেটাই। 'ভারত' দেখা শেষ হয় কি? একটার ভিতর থেকে আরেকটা বেরিয়ে আসে। কোনটা নিয়ে কথা হবে? সবগুলো-ই 'খাঁটি' ভারত। আবহমান, শাশ্বত। বছর চল্লিশেক আগে কিশোর বয়সে আমার মনে ভারতের 'ছাঁচ' বলে কিছু মূঢ় ধারণা ছিলো। সে বালাই মুছে গেছে বহুদিন আগেই। কবি বলেছেন না " হেঁটে দেখতে শিখুন, ঝরছে কী খুন" । না দেখলে কী আর চেনা যেতো শুধু বই পড়ে? তবে কিছু লসাগু রয়েছে সর্বত্র, নির্ভুল, প্রকট। সেটা আর এস এস ধরতে চায়না। তাদের স্ট্র্যাটেজি, ক্ষমতা ধরে রাখতে দেবতাদের বাঁদর নাচানো। সেখানে চেনা-অচেনা কোনও ভারতই নেই। ভারত'কে চিনতে কোন পলিটিক্যাল ক্লাসই বা চায়? তাদের কথা মানতে গেলে 'ভারতীয়ত্ব'কে নির্ভেজাল বোকামি ভেবে নেওয়াই ভালো। :-)
  • কল্লোল | 125.242.147.222 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৬:২৪86992
  • কালিকা পুরাণ শুরু হচ্ছে বিষ্ণু, মায়া ও পুরুষোত্তমকে বন্দনা করে। অন্য পুরাণ ও উপপুরাণের মতো কালিকা পুরাণ কিন্তু কালিকার মাহাত্ম্য, তার রহস্য, তার পূজা পদ্ধতি নিয়ে নয়।
    পুরাকালে কামাথ ও অন্যান্য মুনিরা মহামুনি মার্কেন্ডেয়র কাছে যান এবং জানতে চান, কিভাবে কালী সতীরূপ ধরে হরের মতো এমন এক তপস্বীকে মোহিত করেন।
    মার্কেন্ডেয় বলেন। ব্রহ্মা তার কন্যা সন্ধ্যার (মতান্তরে সরস্বতীর) প্রতি কামাতুর হয়ে পড়ায়, শিব তাকে খুব হেনস্তা করেন। ব্রহ্মা এই অপমান হজম করতে না পেরে ভাবতে থাকেন শিবকে কি করে কামাতুর করে তোলা যায়। কিন্তু স্রষ্টা বুঝতে পারেন তার সৃষ্ট এমন কোন নারী নেই যে এই কাজটি করতে পারে। তাই তিনি মহমায়ার আরাধনায় বসেন। মহামায়া তুষ্ট হলে, তিনি ব্রহ্মাকে দর্শন দেন। তার গায়ের রং মসৃণ কজ্জল বর্ণ। তার চার হাতে ছিলো অসি ও নীল পদ্ম। তিনি ছিলেন সিংহবাহিনী, দীর্ঘাঙ্গী ও অপরূপা। She is of the smooth collyrium complexion, with four arms wearing a sword and having a blue lotus in her hand. Being seated on the lion she looks high and handsome. KP 5, 51-52
    এবার ব্রহ্মা দক্ষের কাছে যান ও তাকে রাজি করান মহামায়ার আরাধনা করে তাকে কন্যা হিসাবে পেতে।
    এই হলো রাজদূহিতা হয়ে কালীর জম্মানোর গপ্পো।

    তুমি লিখেছো, "ফসসা বনাম কেল্টের লড়াই তো চির কালের"
    খ্যাল করো, আমি কিন্তু লড়াইয়ের কাথা বলিনি। আমি বলেছি কিভাবে লড়াই না করেই ফসসারা কলোদের বশ্যতা স্বীকার করিয়েছিলো।
    যেই এটা বোঝানো গেলো যে তোদের দেবী তো আমাদের দ্যাবার বউ হবার জন্য হেদিয়ে গেলো রে! তখনই একটা মনস্তাত্ত্বিক জয় সংঘটিত হয়ে যায়।
  • ranjan roy | 24.96.94.72 (*) | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৮:৩৭86994
  • b কে ক।ঃ))
  • gopal pal | 172.238.29.100 (*) | ২৯ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৪86995
  • এই লেখাটা বুলবুলভাজায় প্রকাশিত হতে দেখে খুব অবাক হলাম। ব্লগে এলেই ভালো হত। মুল বিষয়ে কিছু বলার আগে একটা কথা - "রেড ইন্ডিয়ান" শব্দদুটি অবমাননাকর,কলোনিস্টদের ব্যবহার করা ভাষা - এই ধরণের শব্দবন্ধের ব্যবহার সচেতনভাবেই বন্ধ করা দরকার। সম্পাদিত লেখায় আরো বেশি করে।

    যেহেতু এই বিচিত্র ভারতভাবনার শুরু ভৌগলিক ভারতবর্ষের বাইরে, এই "ভারত দ্যাখা" হল ক্ল্পনায় দেখা - যে কল্পানার সঙ্গে চাক্ষুসের কোনো সম্পর্ক নেই। অ্যানেকডোটের আমি আমরা হয়ে সবার ঘাড়ে চেপে বসল এক চিমটে রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। এর সঙ্গে ভারতের অতীত বা বর্তমান বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই। থাকলে পরে "কারণ কোনও এক অন্তর্নিহিত ঐতিহ্য তাকে 'কী করিতে হইবে' বলে দিচ্ছে- বংশ পরম্পরায় শূদ্র বিন্দুমাত্র রক্তপাত না ঘটিয়ে সেবা করে যাচ্ছে তিন উচ্চবর্ণের।" - এর ঐতিহাসিক ভিত্তি জানাবেন। "আমরা দীন হতে চাইছি, বৈভবকে ঘৃণা করছি" - এই আমরা কারা? "কোলকাতাটাই আমার দেশ"-এর বাইরে দক্ষিনবঙ্গের খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষিজীবী মানুষ যখন বৈভব দুরে থাক একটু স্বচ্ছলতার জন্য প্রানপাত করছেন তখন এই ধরনের বাস্তবতাবর্জিত জেনারালাইজড ভুল-ধারণার ওপর ভিত্তি করে যে দার্শনিক (!!!) অবস্থান তা ভ্রান্ত হতে বাধ্য।

    দ্বিতীয়তঃ- আনন্দের ভারতীয় সংজ্ঞায় মানুষের বানিয়ে তোলা রূপরসগন্ধের কামনা অগ্রাহ্য করা হল - এটা কোথায় পাওয়া গেল?

    তৃতীয়তঃ, "এই জন্যই তিনহাজার বছরের ইতিহাসে ভারত কখনো বিদেশে সৈন্য পাঠাতে পারেনা (শ্রীলঙ্কা কলোনাইজ় করতে অশোককে সৈন্যর বদলে শ্রমণ পাঠাতে হয়, সে অধিকার জ্ঞান-এর অধিকার বলেই)" - আবার ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভুল তত্ত্বায়ন। শ্রীলঙ্কা অশোকের কলোনি ছিল না - মাইসোরের দক্ষিনে অশোকের সরাসরি নিয়ন্ত্রন ছিল না। আর আজকের "দেশ" - বা মডার্ন স্টেটের পররাজ্যগ্রাস নীতির সঙ্গে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের সরাসরি তুলনা চলে না। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রথম ৯০ বছর (যার শেষের দিকটা অশোকের ব্যতিক্রমী শাসন) হল মূলত সামরিক ক্যাম্পেন দিয়ে এম্পায়ার তৈরীর ইতিহাস। তার সঙ্গে কলিঙ্গ জয়ও সেই জন্যে। অশোকের আগে ও পরে টেরিটরি দখলের সামরিক দন্দ্ব নিরন্তর চলেছে।

    অশোকের ব্যতিক্রমী ধর্মও অনেকটা এম্পায়ারের তাগিদেই। “Although they rarely succeed, imperial systems attempt to erase variation in favour of homogeneity. The variations are cultural and economic. Cultural homogeneity is often sought by propagating a new ideology, in this case the dhamma of Ashoka. ”
    Excerpt From: Romila Thapar. “The Penguin History of Early India.”
    মৌর্য্য সাম্রাজ্যের বহুস্তরীয় জটিল সমাজব্যবস্থার কথা মাথায় না রেখে অতিসরলীকরণ করলে এই রকম উটের পাকস্থলীই হবে। এই সময়েও "বিনা রক্তপাতে শুদ্রদের সেবা" গোছের ব্যাপার অবাস্তব কল্পনা। “The category of fanners, apart from the owners of land, would have included the shudra cultivators and the labourers working on the land. The cultivators, listed as the largest category, underline the centrality of agriculture and its requirement to maintain the Mauryan infrastructure, both civil and military. Cultivators were kept unarmed, thus reducing the likelihood of peasant revolts. When Buddhist sources speak of peasants being oppressed by a king they very occasionally refer to the exiling of the king. More often such peasants are said to migrate to neighbouring kingdoms. Migration was doubtless an easier solution than revolt, and although revolts occur in a much later period even then they were infrequent.”

    কাজেই অ্যানালিসিসের রিগরাস মেথড/ফ্রেমওয়ার্ক না থাকলে বক্তব্য এই রকম জগাখিচুড়িই হবে। কখনও ফারাবি-কে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত শ্রেণির প্রতিনিধি মনে হবে আর কখনো ইতিহাস ও বর্তমানকে অস্বীকার করে মনে হবে "নিজের যাবতীয় দুঃখ কষ্ট স্বত্ত্বেও দলিত পারেনা ব্রাহ্মণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে"।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:৩১86996
  • গোপাল পাল কে ক দিলাম... দারুণ।
  • sosen | 212.142.95.171 (*) | ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:৫৩86997
  • আমিও ক দিলাম
  • potke | 126.202.4.59 (*) | ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৪:৪০86998
  • গোপাল পাল, একটা ট্র্যাশ লেখাকে ট্র্যাশ সরাসরি না বলে চমৎকার ভাবে বক্তব্য রেখেছেন।
  • Ekak | 24.99.26.46 (*) | ২৯ মার্চ ২০১৫ ০৪:৫২86999
  • ঐজন্যেই এককথায় লিখেছিলুম ওই এক ছাতার তলায় ভারত নামক "দেশ" ওটা কবির কল্পনামাত্র । কনভার্জ করে ঐভাবে দেখার ধরনটি আদতে পশ্চিমী বা আরও সঠিকভাবে বললে নিও-ইম্পিরিয়াল । সোমনাথ বিদেশে বসে ভারত নিয়ে নষ্টালজি তে ভুগেছেন সেটা যেমন সত্য এই দেখার চোখ টি আদতে বিদেশী সেটাও সত্য ।

    আর অশোকের অভিযান নিয়ে আগেও কথা হয়েছে । ধর্মাশোক একটি সফল মার্কেটিং । হিংসার ও আগ্রাসনের ইতিহাস তাতে মুছে যায়না ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন