এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • মহাভারত -- উনবিংশতি পর্ব

    শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ১৫৭৩ বার পঠিত
  • ব্যাস আজকে বিদায় নিলেন। মাতা সত্যবতীর সঙ্গে যাবেন। কাল ভোরে যাত্রা। আজকের রাতটা তিনি থাকবেন প্রাসাদে মাতার সঙ্গে। তবুও কুন্তীর হাতে সময় কম। বিদুরের পাশে তাঁর যে গৃহ নির্মিত হয়েছে সেই গৃহের শুদ্ধিকরণের কাজ চলছে। গুড়চি, শ্বেতা, লোধ্রজাতীয় গাছের উপরে যে সব পরগাছা জন্মায় তাদের দিয়ে তিনি নিজের হাতে ধুনুচি সাজিয়েছেন। আগুন দিয়েছেন তাতে। এই ধোঁয়া দিয়ে এখন প্রতিটি শোবার ঘর শুদ্ধ হবে। পঞ্চ পুত্রের ঘর এবং তাঁর শোবার ঘর দুটোতেই এই ধোঁয়া সাপ-জাতীয় বিষধর প্রাণীর আশঙ্কা দূর করবে। তাছাড়া বাইরের বাগানে বিড়াল, বেজী এবং ময়ূর ছাড়া আছে। সাপের যম এরা। ইচ্ছে আছে একটা ক্রৌঞ্চপাখী ঘরে রাখার। বিষ কাছে এলে এরা অস্থির হয়। অবশ্য কোকিল হলেও হয়। কিন্তু সে আবার মত্ত হলে বিষ কাছে এলে মরেই যায়। খরচ বেড়ে যাবে।

    কাল যদিও ব্যাস বলেছিলেন সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য দাসী নিযুক্ত করতে হবে জানাশোনা, তবুও সে কাজে এখনো বিলম্ব আছে। কালকের দিনের জন্য বিদুরের গৃহের সকল ভৃত্যকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিদুরের গৃহে কোনো ক্রীতদাস নেই। ভৃত্যেরা আসবে কাল। তার আগে বাসন-কোসন অনেক জমেছে। একমাত্র ব্যাসদেব আহার করেছেন মৃৎপাত্রে, বাকীরা সকলেই রূপোর থালায়। সে থালা জমে আছে স্তুপ হয়ে। নয় নয় করে এই পরিবারের সদস্য খুব কম না। বিদুরের স্ত্রী শুদ্রাণি হলেও রাজকন্যা। তার এই সকল কাজে খুব একটা মন থাকার কথা না। বিদুরের সংসারে তার অর্থ বা অন্য কষ্ট থাকার কথা না। সেখানে কুন্তী নিজে রাজকন্যা জীবন অনেক আগেই শেষ করে এসেছেন। মহারাজ পান্ডুর সঙ্গে বনে যাবার দিন থেকেই জীবন বদলে গিয়েছে তাঁর। কাজেই এরপরে হাত লাগাবেন বাসন ধোয়ায়। আসলে কাল যা কিছু আলোচনা হয়েছে তা তাঁদের মধ্যেই যাতে থাকে তাই এই সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন বিদুর। গৃহভৃত্যদের মধ্যে বেশীরভাগই চর। হস্তিনাপুরে এমন অভিজাত গৃহ নেই যেখানে ধৃতরাষ্ট্রের চর ঘুরছেনা। জল দেবার লোক থেকে পাখা টানার লোক যে কেউ আদতে চর হতে পারে। কুন্তী যখন প্রথম এসেছিলেন এই নগরে তখন এমন পরিস্থিতি ছিল না, এখন হয়েছে। কেউই কাউকে আর বিশ্বাস করেনা। সকলেই সকলের উপরে নজর রেখে চলেছে। অন্ধরাজার দমবন্ধ করা দেশ এটা।

    ঘরের মধ্যে ভাল করে ধুনো দিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ালেন কুন্তী। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বিদুর ফিরবেন একটু রাত্রে। তাঁর পুত্ররা সব গিয়েছে প্রাসাদে। ধৃতরাষ্ট্র পুত্রদের সঙ্গে পরিচিত হতে গিয়েছে। এ ক’দিন সে কাজ হয়নি স্বীকৃতির অভাবে। আজকে সন্ধ্যায় সত্যবতী, গাঙ্গেয়, দ্বৈপায়ণ এবং গান্ধারীর উপস্থিতিতে এ পরিচয় হবে। তিনি নিমন্ত্রিত হয়েও আজ যেতে চাননি। তাঁর বিশেষ কাজ রয়েছে। ধীর পায়ে নিজের অঙ্গন অতিক্রম করে এগোলেন কুন্তী। দীপ জ্বলে উঠেছে বিদুরের গৃহে। একবার দাঁড়ালেন। ভাবলেন তাঁর-ও কি উচিত না গৃহগুলিতে দীপ জ্বালিয়ে ফেলা? তারপরে আকাশের দিকে দেখলেন। এখনো সময় আছে। ভেড়ার চর্বির দীপ তাঁর পছন্দ না। তিনি ব্যবহার করেন রেড়ির তেল। জ্বলতে কম সময় নেয় এবং গন্ধটি নাকে এসে লাগেনা। অবশ্যই ভেড়ার চর্বির তেল থেকে জ্বলা দীপের উজ্জ্বলতা অনেক বেশীই। তবু গন্ধটি তাঁর সহ্য হয় না। কাজেই এসে জ্বালালেও কোনো অসুবিধা নেই।

    পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলেন।

    -সর্বাণি!

    বিদুরের স্ত্রী-র নাম ধরে ডাকলেন। কিছুক্ষণ পরে সর্বাণী বেরিয়ে এলো। তার হস্তে রঞ্জক এবং ধুঁধুলের ছোবড়া। দ্রুত এগিয়ে গেলেন কুন্তী।

    -একি? তুমি একা করছো কেন? আমি তো আসবো বললাম!

    সর্বাণী সামান্য হাসলো। বললো,

    -দিদি, আপনাকে এখন কত কী পরিস্কার করতে হবে, এইকটা বাসন না হয় আমিই করলাম!

    কুন্তী, মুখরা কুন্তী কেমন যেন চুপ করে গেলেন নিমেষের জন্য। তাঁর-ই ভুল হয়েছিল। সর্বাণী, রাজকন্যা সর্বাণী, আদতে বিদুরের স্ত্রী। ভুলে গেছিলেন। ভাল করে লক্ষ করে দেখা হয়নি অনেকের ভীড়ে। হেঁটে গিয়ে হাত ধরলেন সর্বাণীর। টানতে টানতে নিয়ে গেলেন ভিতরের প্রাঙ্গণে। বাসনের স্তুপে আর জলে ছেয়ে আছে গোটা জায়গাটা। ব্যাসদেব যখন কাল রাত্রে বিদুরকে আর তাঁকে বলছিলেন পান্ডুপুত্রদের শিক্ষা কেমন হওয়া বাঞ্ছনীয় তখন বারেবারে বলেছিলেন সর্বশিক্ষা চাই। অস্ত্রশিক্ষা শুধু না, গৃহকর্মে নিপুণ হতে হবে ওদের। বিলাস চরিত্র নষ্ট করে। সে কাজ হতে দেওয়া যাবে না। পাণ্ডবকূলের পরিচিতি এমনই হবে যে নাগরিকেরা তাদের কথা শুনলেই যেন মনে করে তাদের আপন লোক। রাজপুত্রসম দূরত্ব যেন না তৈরী হয় কোথাও। তাছাড়া রাজা বা প্রজা শুধুমাত্র অবস্থানের ভেদ। তাকে জীবন করে নিলে মনুষ্যত্ব নষ্ট হয়। সামনে যে সময় আসছে সে সময় প্রজা শুধুমাত্র অস্ত্রের জোরে কথা শুনবে না আর। শাসনের চাই চরিত্রের জোর। এই জোরের অভাব ঘটবে ধৃতরাষ্ট্র পুত্রদের। যত বড় হবে তারা তত ধৃতরাষ্ট্রের প্রভাবে ক্ষমতার অভ্যাস তাদের দুর্বিনীত করবে। সন্দেহ তাদের করবে ক্রুর। ততই চোখে যেন পড়ে ফারাকটা। যা কিছু নারীর কর্ম বলে পরিচিত তা আসলে মূর্খের বিচার। প্রকৃত ব্রাহ্মণ স্বপাকে আহার করেন, স্ব-কার্য সম্পাদন করেন স্বহস্তে। কেন? কারণ এই শিক্ষা ক্রমশ দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তোলে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দিয়েই আসলে গঠন হয় বৃহতের। সে কথা না বোঝা আর নিজেকে মূর্খ প্রতিপন্ন করা একই। কুন্তী ভাবছিলেন কী ভাবে করা যায় এ কাজ? এবারে সন্ধান পেয়েছেন। বললেন,

    -আজ, আমি করবো তোমার সঙ্গে এ কাজ। যা কিছু পরিস্কার করার কথা বললে তা আমাকে আনন্দ দেয় না সর্বাণি। সে আমার কর্তব্য মাত্র। কিন্তু এ কাজ আমাকে আনন্দ দেয়। নিছক কর্তব্যের বন্ধনে বাঁধা না এ কাজ।

    -কিন্তু-

    -কোনো কিন্তু না। শুধু আমি না। কাল থেকে আমার পঞ্চ পুত্রও করবে এ কাজ। একেকদিন একেকজনের থাকবে দায়িত্ব।

    -দিদি, এ কী করে সম্ভব?

    -খুব সম্ভব সর্বাণি। তোমার পুত্ররাও করবে এ কাজ। বিলাস ব্যাসনে অমানুষ হবার চেয়ে কষ্টে মানুষ হওয়া ভাল না সর্বাণি?

    -আমি এর কি বুঝি দিদি? আপনি এবং ভর্তা যা আদেশ করবেন-

    বাসন মাজতে বসলেন দুজনে। কুন্তী ভাল করে দেখলেন মুখটি সর্বাণীর। সুডোল গড়ন। কণ্ঠের কাছে সামান্য মেদ অনেকটা আদুরে করেছে মুখটাকে।

    -আমি আসায় তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো সর্বাণি?

    দ্রুত চলতে থাকা হাতটা আচমকা থেমে গেল। মুখ তুললো না সর্বাণী। কুন্তী তাকিয়ে রইলেন সপ্রশ্ন চোখে। খুব ধীরে কিন্তু নিশ্চিত কন্ঠে সর্বাণী বলে উঠলো,

    -আমি যদি একে সমস্যা করে তুলি তাহলেই এ সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে দিদি। আমি রাজার কন্যা। কিন্তু শুদ্রাণি। তাই রাজঘরে আমার বিয়ে হয় না। আমি রাজরাণী হতে পারিনা। কিন্তু যার রাজঘরে বিয়ে হয়েও রাজরাণীর সুখ সয় না, তাকে নিয়ে সমস্যা বানিয়ে কী হবে?

    কুন্তী রুদ্ধনিশ্বাসে শুনছেন। এই জন্যই যাননি তিনি আমন্ত্রণে। এই বোঝাপড়া তাঁর দরকার। অন্যদের উপস্থিতিতে হবেনা। কাল রাত্রে ব্যাসদেব রাজনীতি, ভবিষ্যৎ এসব নিয়ে যা বলেছেন তার জন্য সকলের আগে চাই এই বোঝাপড়া। এই যুদ্ধটা করতে গেলে গৃহের মধ্যে শত্রু থাকলে চলবে না। না, যা ভেবেছিলেন তা নয়। কম কথা বলা সর্বাণি যখন বলে তখন সত্যি সত্যি বলে। শোনা ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা। নরম, সহজ গলায় কঠিনকে এমন করে বলা কি তাঁর পক্ষেও সম্ভব ছিল? এবারে মুখ তুলে তাকালো তাঁর দিকে সর্বাণি।

    -তাছাড়া আমি ভর্তার পত্নীমাত্র, প্রিয়া নই!

    কানে কি গরম সীসে কেউ ঢেলে দিল? কুন্তীর চোখ কেন চেয়ে থাকতে অপারগ? কুন্তী, যিনি পুরুষ, সম্পর্ক সব কিছুর শেষ দেখেছেন বলে মনে করেছেন এত কাল, তিনিই যেন বালিকা হয়ে যাচ্ছেন। কথার খেই যাচ্ছে হারিয়ে। কিছু বলার জন্য ঠোঁট ব্যাকুলভাবে ফাঁক করেছেন, কিন্তু কথা কই? এই সময়েই কি কথা তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে? এত স্পষ্ট, এই সাবলীল উচ্চারণ, এত নির্মম উচ্চারণে কথা বলে এ কে মেয়ে?

    -দিদি!

    হাত ধরে সর্বাণী তাঁর।

    -আমার কোনো খেদ নেই। মানুষটা বড় ভাল। গুণের সন্মান পেলেন না এই যা। আমি বুঝি এ মানুষ রাজাও হতে পারতো। দেশের ভালই হত তাতে। কিন্তু কপালের মার খেয়ে আছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না যেন!

    হায় কুন্তী!কোথায় গেল তোমার অহঙ্কার?কোথায় গেল তোমার দর্প? কোথায় গেল অসুরনীতি?সহজ মানুষের সামনে এসে সহজ না হলে এমনই হয় যে!দীর্ঘ্য নিশ্বাস পড়লো কুন্তীর। চোখটা বন্ধ করলেন মুহূর্তের জন্য। তিনিও কি শুধু ব্যবহার করেননি ভাল লাগা এই দেবরটিকে?তিনিও কি সন্মান করেছেন? কপালের মারের কিছু কি তাঁর হাত দিয়েও পড়েনি? তাহলে?

    -দিদি?

    ধীরে বলতে শুরু করলেন তিনি।

    -সর্বাণি, পঞ্চপুত্রের মাতা এই সামান্যা রমণী আজ শুধু তার সন্তানদের মুখ চেয়ে বেঁচে আছে। জন্ম যাদের দিয়েছে, যাদের পালন করেছে তাদের অধিকার তাদের ফিরিয়ে দিয়েই তার কাজ শেষ হবে। সে নিজের জীবনে দেখেছে জন্মের দায়, পালনের দায় যারা নেয় না, তারা কি অনর্থ ঘটায় মানুষের জীবনে। কোথায় এনে দাঁড় করায় তাকে। সে তাই দায় ছেড়ে যেতে পারে না। যদিও যেতে পারলেই হত। তার আর কিছুই পাওয়ার নেই বোন।

    -দিদি, আমি আপনাকে আঘাত করতে চাইনি!

    -নাহ্!তুমি কিছুই করোনি। যা সত্যি তাই বলেছ। আমিও চেষ্টা করছি তোমার মতন সহজ হবার। অন্তত একজনের কাছেও যদি সহজ হতে পারি তাহলে আমিও হালকা হব। ধীরে ধীরে হব। একদিনে পেরে উঠবো না বোন। অনেককালে অভ্যাস, অনেক প্যাঁচালো মন। সহজে যায় না, সহজে সোজা হয় না। শুধু একটা কথা আজ বলি?

    -বলুন!

    -এককালে এই কুন্তী ছিল সেই আগুন যে তছনছ করে দিতে পারে গৃহ। আজ যে কুন্তী, সে সেই দহন ক্ষমতা রাখেনা। শিখাগুলি জ্বলতে জ্বলতে এখন অবনত। একে আজ গৃহের প্রদীপ করা যায়। তুমি যদি তাই করে নাও, আমাকে ঠাঁই দাও, তাহলেই যথেষ্ট আমার। আমাকে ভুল করেও তোমার প্রতিপক্ষ ভেব না বোন। এইটুকুই আমার প্রার্থনা তোমার কাছে।

    বলতে বলতে কুন্তী কখন যে হাতদুটোকে জড়িয়ে নিয়েছেন সর্বাণীর তিনি নিজেই জানেন না। এমন সহজ তিনি দেখেন নি। নিজের উপরে আর আবেগের উপরে তাঁর প্রসিদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাঁধন খসে গিয়েছে। সন্ধ্যার আকাশে এখন অনেক নক্ষত্র। তারা সাক্ষী থাক মানুষ শুধু দখল আর অধিকারের যুদ্ধ করেনা, স্নেহ-মমতা-ভালবাসার বিনিময়ও করে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ১৫৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন