এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • উচ্চবর্গীয়ের নীতি-নির্ধারণ

    অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ৬৪৪ বার পঠিত


  • উন্নয়ন, দারিদ্র্য, শিল্পায়ন জাতীয় অর্থনৈতিক বর্গগুলির কথা উঠলেই আমরা, তথাকথিত উচ্চবর্গীয়, শহুরে এবং উচ্চশিক্ষিতরা নীতি-যোজনা বানানো আর সেকাজে মদত দেওয়াতেই আমাদের ভূমিকাকে সীমাবদ্ধ রাখি। জমিকে কীভাবে কতটা অধিগ্রহণ করতে হবে কোন কাজের জন্য, জলকে কতটা সময় ধরে বেঁধে ফেলতে হবে, কোন চাষকে কীভাবে কোন বাজারে বেচা উচিত, রেশনের দোকানের খাবারের বদলে বাজারে খাবার কেনার কুপন দেওয়া উচিত কিনা, সবাইকে আয় অনুযায়ী ঠিকঠাক দাগানো হল কিনা, এইসব বিষয় নিয়ে আমরা খুব ভাবি, গবেষণা করি, মিডিয়ায় বলি-লিখি, সরকারকে চাপ দিই। একাজ তো শিক্ষিত মানুষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এক অর্থে এ হল দেশ-সমাজের প্রতি ঋণস্বীকার। আবার পক্ষান্তরে এ আমাদের ভ্যানগার্ডিজ্‌মের সগর্ব ঘোষণাও বটে।

    আপত্তি উঠতে পারে, আজকাল আর এভাবে কোনো বিশেষজ্ঞের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় না, বরং যাদের জন্য যোজনা, তাদের দাবি-দাওয়া, বক্তব্য শোনা হয়। আজকাল অনেক বেশী করে ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেসি পালন করা হয়। অনস্বীকার্য, কিন্তু প্রশ্নটি সব সাবল্টার্ণকে আক্ষরিক অর্থে বলতে দেওয়া হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে নয়। ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেসির আচার পালন করা হচ্ছে কিনা, আমার প্রশ্নটি তার চেয়েও মৌলিক। প্রশ্নটি আমাদের পলিসি বানিয়ে দেবার নৈতিক অধিকারের। আমাদের শহুরে অস্তিত্ব গ্রামে যে শোষণব্যবস্থাকে বজায় রেখে গ্রামের রক্তাল্পতা ঘটিয়ে চলেছে, তাকে কি আমরা চিনতে পারি না, নাকি  চিনতে চাই না? 'চিনতে যদি পেরেই থাকো', তাহলে সে রক্তাল্পতার দায় আমরা কিভাবে নেব? মাঝে মাঝে কিছু আয়রন টনিকের মত নীতি নির্ধারণ করে বা করিয়ে?

    একথাও উঠতে পারে, যে গরীব-গুর্বোরা তো আদতে নিজের কথা নিজেরা বলতে পারে না, তাই এ দায় এবং দায়িত্ব আমাদেরই। আর যতদিন না সবটা ভালো করতে পারছি, ততদিন কি অল্প করেও ভালো করব না? যতদিন না সব সমস্যাকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে এবং তার প্রতিকার করা যাচ্ছে ততদিন কি কিছুই করা চলবে না? এভাবে প্রশ্নটি আবারও নিশানা ভ্রষ্ট হয়ে সম্পূর্ণতার হয়ে পড়ে, 'ভালো করা' নিয়ে কোনো নৈতিক সমস্যা তৈরি হয় না। তাই তো ছোটর উপকার করতে হলে যে আগে ছোটর সমান হওয়া জরুরি একথা আমরা ভুলে থাকতে পারি সহজেই। থাকব বড়, ভুলব আমার বড় হয়ে ওঠা যে ছোটর ছোট থাকার মূল্যেই, আর তার ধার শুধব ছোটর ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে, ছোটর কাছ এ এক নিদারুণ বিড়ম্বনা। মানুষের সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে রেখে তার ভালো করতে যাওয়ার উপদ্রব না সইলেই মানুষের ভালো হবে, একথা রবীন্দ্রনাথ বহুবার মনে করিয়ে দিয়েছেন।

    তাহলে কি যতদিন না 'সুদিন' আসছে ততদিন হাত গুটিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবো? সমস্যার মূলোৎপাটন করতে পারছি না, এই অজুহাতে কি তাহলে আমাদের দিব্যি চুপচাপ বসে থাকা চলে? মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, আয়ের সুবিধা পাচ্ছেন না, আর আমরা বসে বসে সমস্যার চুলচেরা বিচার চালিয়ে যাবার নামে স্টেটাস কুয়ো বজায় রেখে চলব? এই ধরণের যুক্তি বড়ই সহজলভ্য এবং এক ধরণের state of emergency বা জরুরি অবস্থার চিত্রণে সাহায্য করে (যদিও আমাদের দেশের খেতে না পাওয়া মানুষের সমস্যায় আমাদের রাতের ঘুম কখনোই নষ্ট হয়না, বরং আমাদের শহুরে ক্রেতাসভ্যতা দিন দিন ফুলে-ফেঁপে ওঠে) যাতে করে 'কী ভাবছি, কী করছি' ধরণের প্রশ্নের আড়ালে হারানো 'কেন ভাবছি, কেন করছি' প্রশ্নগুলি তোলা নিষ্ক্রিয়তার নামান্তর হয়ে পড়ে। আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দার শুরুর দিকে মন্দা ঘটিয়ে তোলা ব্যাঙ্কগুলিকে রাতারাতি জনগণের টাকা নিয়ে ধার দেওয়া হয়েছিল এই একি যুক্তিতে, আগে কাজ পরে বড়ো বড়ো ভাবনা।

    গত চৌত্রিশ বছর ধরে আমরা ঐ 'সুদিন'-কেই 'বিপ্লব' বলতে শিখেছি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার নাম বদলে হয়েছে 'সুদিন'। নাম যা-ই হোক, সুদিন বা বিপ্লব আমাদের কাছে এক স্ট্যাটিক বা স্থির ক্যাটেগরি, অনেকটা তিথি মেনে আসা পুজো-আচ্চা-র মত। ফলে, আমাদের ভাবনা, চিন্তা, দায়বোধ, রাজনীতি সবই আপাতত-র জন্য। যবে 'সুদিন' আসবে তবে আমাদের ভাবনা-চিন্তাও ঠিক বদলে যাবে, এই বিশ্বাসের শিকড় অত্যন্ত গভীর। আজকের আপাতত-র ভাবনা, রাজনীতি যদি সেই সুদিনকে সক্রিয়ভাবে পিছিয়ে দেবার কাজ করে চলে, তাহলেও সেই বিশ্বাসের ভিত টলানো যায় না।

    একথাও শোনা যায়, যে ঘরে আগুন লাগলে তখন কি আর কুয়ো খোঁড়ার চেষ্টা করে লাভ আছে? তখন তো যা কিছু অগ্নি-নির্বাপক আছে সবকিছুকেই বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করতে হয়, কারণ তখন আগুন নেভানোই আশু কর্তব্য। কিন্তু কুয়ো খোঁড়ার কাজটা তাহলে কখন হবে? যতবার আগুন লাগবে ততবার আমরা কেবল মাটির উপর ঘটি ঠুকে চলেছি। "আমরা মনে করিয়াছিলাম, মাটির উপরে ঘটি ঠুকিলে জল আপনি উঠিবে। জল যখন উঠিল না কেবল ধূলাই উড়িল তখন আমাদের বিস্ময়ের সীমাপরিসীমা রহিল না। আজ পর্যন্ত সেই কূপখননের কথা ভুলিয়া আছি। আরও বারবার মাটিতে ঘটি ঠুকিতে হইবে, সেই সঙ্গে সে-ঘটি আপনার কপালে ঠুকিব।" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লোকহিত) পলিসিকে আরও ভালো করে তোলার চেষ্টা ঐ মাটিতে ঘটি ঠোকারই সামিল, যতবার তাতে শুধু ধুলো উড়ছে, ততবার আমরা ভাবছি, আরও ভালো করে ঠোকা দরকার। নিজেরা একটা কুয়ো খোঁড়ার দায়িত্ব থেকে সযত্নে দূরে সরে থাকছি। আর দূর থেকে পলিসি-যোজনা করে দেওয়ার আত্মম্ভরিতাকে সবলে আঁকড়ে ধরে থাকছি। নাহলে হয়তো নিজেদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাবার সম্ভাবনা। সবাই মিলে 'গবর্নমেন্ট'-এর কোর্তা ধরে টান না মেরে সক্রিয়তার এক রাবীন্দ্রিক নির্মাণ নিয়ে একটু ভেবে দেখা যাক না, নিজেরা একটা কুয়ো খোঁড়ার কাজে হাত লাগানো যাক না।

    এ ধরণের প্রশ্নের মুখে পড়লে সাধারণত আমাদের দায়বোধ সংকুচিত হয়ে পড়ে। আমরা বলতে থাকি, আমাদের আর কি-ই বা ক্ষমতা, আমরা সামান্য একটু ভালো করার কাজই করতে পারি, যা আপাতত মানুষের দুঃখে সান্ত্বনা দেবে। এই আপাত-বিনয়ের আড়ালে আমাদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টাকে ঢেকে না রেখে সক্রিয়তার এক অন্য অর্থ (যেমন পূর্বোল্লিখিত রাবীন্দ্রিক অর্থ) সম্পর্কে সচেতন হওয়া যাক।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ৬৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.97.179.19 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৫৮89355
  • লেখাটি আজকে পড়লাম। ভাবাচ্ছে। কি আশ্চর্য্য! আর কোন চন্ডালকে ভাবায় নি? আমারই কি মাথা খারাপ?
    " লোকহিত" বের করে আবার পড়লাম।
    আরে! ক'বছর ধরে এই ব্যাপারটাই আমার মাথার ভেতরে গুবরে পোকার মতন কুর-কুর করছে!
    ছত্তিশগড়ে "inclusive growth" এর অঙ্গ হিসেবে অ্যাডাল্ট এডুকেশনের সঙ্গে যুক্ত আছি। দেখছি গাঁয়ে, আদিবাসী এলাকায়, দন্তেওয়াড়ায় অল্টারনেটিভ লার্নিং এর প্রচেষ্টা।
    ঘুরেফিরে মাথায় একটা লাইন আসছে--" জীবনে জীবন যোগ করা, নাহলে কৃত্রিম মূল্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা।"
    দেখেছি সরকারি ঢং এ আমলা-মিডিয়া-নেতা-- সবার জাস্টিস করার অত্যুৎসাহে একটি সাব-অল্টার্ন পরিবার, যারা নিজের মত করে বেঁচে বর্তে ছিল, তাদের শেষ করে দিল।
    আবার এটাও সত্যি যে ছোটবেলা থেকে এভাবেই বড় হয়েছি যে বিপ্লব সব ঠিক করে দেবে। পরিবেশ,জেন্ডার-ইস্যু, জাতপাত-শহর-গ্রাম--- এসব নিয়ে আলাদা করে ভাবার দরকার নেই। বিপ্লব আসিতেছে--মেলাবেন, তিনি মেলাবেন।
    আর আন্দামান এ গিয়ে দেখেছি CPWD থেকে জারোয়াদের জন্যে মূল ভারতের স্টাইলে যে টিনের শেড দেয়া শস্তা ঘর বানিয়ে দেয়া হয়েছে সেখানে ওরা থাকতে পারেনা, পায়খানা করে। থাকে নিজেদের মাটির ঘরে। কারণ এলাকাটি বিষুবরেখার নিকটবর্তী হওয়ায় টিনের ছাদে অসহ্য ভাপ।ঃ))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন