এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বই

  • একা দাঁড়ানো মেয়ের বই

    প্রগতি চট্টোপাধ্যায়
    আলোচনা | বই | ১৭ জুন ২০০৭ | ৭৬৭ বার পঠিত
  • আসরা নোমানি অনেকগুলি মানসকায়া নিয়ে আমাদের সামনে আসেন। সেগুলি আগে নীচে লিপিবদ্ধ করে নিই।

    ১) মুসলিম কন্যা
    ২) আমেরিকান মুসলিম কন্যা
    ৩) শিবলি দনীল নোমানি'র মা
    ৪) অবিবাহিতা মা
    ৫) ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের ভূতপূর্ব সাংবাদিক-- ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রভৃতির লেখক
    ৬) ড্যানিয়েল পার্ল ও মারিয়ান পার্ল-এর সুহৃদ
    ৭) দুই ভারতীয়, সাজিদা নোমানি আর জাফর নোমানি'র প্রিয় সন্তান
    ৮) ইসলামের শুদ্ধ আত্মার সন্ধানে হজ-যাত্রিণী
    ৯) এক নির্ভীক চিত্ত
    ১০) ' Standing Alone in Mecca -- A Pilgrimage into the Heart of Islam ' -- এই বইটির লেখক।

    এবারে শুরু করা যাক।
    ২০০১ এর জানুয়ারীতে এক আমেরিকান সাংবাদিক হিসেবে এলাহাবাদের মহাকুম্ভে আসেন আসরা। দলাই লামা কে দ্যাখেন সে-খানেই , অযুত তীর্থযাত্রীর সঙ্গে এক মন্ত্রোচ্চারণে অংশ নিতে। বৌদ্ধ ধর্মগুরুর হিন্দু মন্ত্রোচ্চারণের তীব্র স্পিরিচ্যুয়াল অভিঘাতে, ভারতে জন্ম হওয়া ( জন্ম : ১৯৬৫ ) এই মুসলিম মেয়েটির ভিতর-আত্মা ছাপিয়ে ওঠে একটি প্রবল স্রোত--- তাকেও হাঁটতে হবে একটি তীর্থযাত্রায়, অমন-ই অযুত মানুষের প্রার্থনার মাঝখানে...
    সে ঠিক করে ফেলে, সে হজ-যাত্রিণী হবে।

    এর পর নাইন-ইলেভেনের ঘৃণাজ্বরে সারা পৃথিবী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাংবাদিক হিসেবেই আসরাকে আসতে হয় পাকিস্তানে। পাকিস্তানে তখন রয়েছেন তাঁর ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের সুহৃদ ড্যানিয়েল পার্ল। ২৭ শে জানুয়ারী, ২০০২-এর সন্ধ্যায় এক ইসলামী সংঘটন-প্রধানের ইন্টারভ্যু নিতে গিয়ে ড্যানিয়েল আর ফিরে এলেন না। তাঁর মুণ্ডচ্ছেদের ভিডিও-টেপটি পরে পাওয়া গেল।
    ড্যানি'র বৌ , পাঁচ-মাসের গর্ভবতী মারিয়ানের পাশে থাকতে থাকতে আসরা একদিন জানলেন, সেও গর্ভবতী। তার পাকিস্তানী প্রেমিক এই শিশুটির বাবা।
    প্রেমিকটি জানায় , আসরার সন্তানটির প্রতি তার কোন কর্তব্য নেই।
    আসরা জানলেন, তাকে একাই হাঁটতে হবে সামনের সড়ক। একা দাঁড়াতে হবে কোনোখানে, সবখানে।

    আসরার পুত্রসন্তানটি, বড় চমৎকার নামের অধিকারী হলো সে--- শিবলি দনীল নোমানি। আরবিতে শিবলি শব্দের অর্থ , সিংহশিশু। শিশুটির মধ্যনাম দনীল-- যা ড্যানিয়েলের আরবি সমনাম। ২০০২এর অক্টোবরে আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ছোট্ট শহর, মরগানটাউনে জন্ম হলো তার। আসরার মা-বাবা -- জাফর-সাজিদা দৌহিত্র কে আদর করে কোলে নিলেন।

    ভতৃহীনা মা, শরিয়তি বিধানে 'জিনা' ( zina. ) বা বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতার প্রতিরূপিণী। আসরা জানেন শিবলি তাঁর পরিবারে হৃদয়স্থ হয়েছে, তবুও একটা ভাবনা ধীরে ধীরে প্রতিমূর্ত হলো---ইসলামে আসরা এবং আসরা-রা কোথায় দাঁড়ান ?
    শরিয়তে-হাদিথে পা জড়িয়ে যাবে, না তারা সুস্থির নি:শ্বাস নিতে পারবেন ইসলামের সুগন্ধিত বাগানে-- ইসলামে একা মায়েরা/মেয়েরা কোথায় দাঁড়াতো পূর্বক্ষণে ? এক্ষণে তারা কোথায় দাঁড়িয়ে ? এই সব প্রশ্ন খুঁজতে আসরা মনে করলেন, তাঁর ইসলামের হৃদয়ভূমিতে যাওয়া প্রয়োজন।

    সৌদি আরবে হজ করতে প্রতি বছর পৃথিবীর একশো কোটি'র বেশী মুসলিম মানুষের মধ্যে কুড়ি লক্ষ মানুষ উপনীত হন। মেয়েরা হজে যেতে পারেন, কিন্তু একা নন-- একজন পুরুষ-সঙ্গীর প্রয়োজন হয়, 'মাহ্‌রম' এর। মাহ্‌রম ছাড়া মেয়েরা একা ঢুকতে পারেন না অনমিত ওয়াহাবী ইসলামের নিগড়ে বাঁধা সৌদি আরবে।
    আসরা এ-জন্য তার বাবাকে সঙ্গে নিলেন-- এ-ছাড়া আসরার সঙ্গে রইলেন মা, নয় আর এগারো বছরের ভাইপো-ভাইঝি--সমীর আর সফিয়া। আর শিবলি।
    আসরা জানেন, এই তীর্থ-মিছিলে প্রবেশাধিকার থাকবেনা কোন সদা-হাস্যমুখ বৌদ্ধ ধর্মগুরু'র, কুড়ি লাখ মানুষের এই সমাবেশে ভিন্ন ধর্ম থাকবে দেওয়ালের ওপারে... নারীরা ঢাকবে মুখ হিজাবে-নিকাবে-পর্দায়-চাদরে-বোরখায়.... গোলাপ যে-নামে ডাকো...

    পাঁচ মাসের শিশু শিবলি, বাবা-মা আর সফিয়া-সমীর কে নিয়ে আসরা প্রদক্ষিণ করেন কা'বা। ধর্ম সবার এক, কিন্তু মানুষগুলির পাসপোর্টের রঙ-নকশা আলাদা। আসরার পাশে দাঁড়ানো তুর্কি মহিলা শিবলিকে কোলে নিলেন। এখানে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ এক চত্বরে প্রার্থনায় বসেন। এইখানে অন্তত নারী-অ্যাপার্থায়েড চলছে না। আসরার নিজের শহর , মরগানটাউনের মসজিদে সর্বদা চলে নারী-অ্যাপার্থায়েড... প্রতিটি প্রার্থনার মুহূর্তে...
    শিবলি আসরার বুকে ছটফট করে... ভোররাত্রি'র আকাশে উড়ে যায় কোরআনের বর্ণিত, পবিত্র পাখি--'আবাবীল'।

    আসরা ভিড়ের মধ্যে একটুকরো নির্জনে হিজাব আস্তে আস্তে সরিয়ে শিবলিকে দুধ খাওয়ান....
    এবং মনে করেন একটি ইতিহাস, কাহিনি বা রূপক...

    'ওল্ড টেস্টামেন্টের জেনেসিস নামক অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে হাগারের কাহিনি।
    একটি মরুপ্রদেশের সন্নিবেশে বাস করিত, আব্রাহাম। তাহার পত্নী সারা। এই যুগলের বহুদিন অবধি কোন সন্তান হয় নাই। একদিন সারা আব্রাহামকে বলিল অন্য স্ত্রী-সংসর্গ করিতে, যাহাতে সন্তান হয়। আব্রাহাম মিশরদেশ হইতে একটি ক্রীতদাসী ক্রয় করিয়া আনিল। ক্রীতদাসীটি'র নাম হাগার। ইহার সংসর্গে আব্রাহামের একটি সন্তান জন্মিল। শিশুটির নাম রাখা হইল, ইসমায়েল। ইতোমধ্যে, মহামহিম ঈশ্বর হাগারকে পরিত্যাগের নিমিত্ত আব্রাহামকে আদেশ করিলেন।
    বিজন মরুভূমির মধ্যে হাগার সন্তান সহ রহিল, একা নারী। আব্রাহাম সারা-সহ দূরদেশে প্রস্তান করিলেন। সেই স্থলে সারা জরতী বয়সে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির নাম রাখা হয় আইজ্যাক।"

    কোরআনেও জেনেসিসের কাহিনিটি রয়েছে। ইসলামে, হাগার 'হাজার' নামে পরিচিত। গল্পটি এগোচ্ছে এইভাবে : আব্রাহাম, যিনি এখানে ইব্রাহিম ,হাজারকে মরুভূমিতে রেখে আসেন এক বস্তা খেজুর আর এক চামড়ার থলিতে জল --- এই রসদ-সহ।
    জল একদিন ফুরোলো। শিশু ইসমায়েল ক্রন্দন করে। একা নারীকে দাঁড়াতে হয়, মরুভূমিতে। দেবদূত জিব্রিল, জেনেসিসের গ্যাব্রিয়েল-- অবশেষে জলের উৎসটি চিনিয়ে দেন হাজারকে।
    হাজার ও ইসমায়েল এই পবিত্র জলের উৎসে বসতি করে।
    দেখতে দেখতে সহস্রাধিক বছর কাটে, হাজার-ইসমায়েলের বংশধারায় জন্ম নেন নবী।

    হাজার ইসলামের প্রথম একা দাঁড়ানো মেয়ে। কিন্তু কোরআনে সে তার নিজের নামে নেই, সে শুধু ' উম ইসমায়েল ' -- ইসমায়েলের মা।

    ইসলামের প্রথম 'সিঙ্গল মাদার' মেয়েটির সঙ্গে আসরা নোমানি সহ-অনুভূতি বোধ করেন।

    তীর্থযাত্রার পর আমেরিকার ফিরলেন আসরা। মরগানটাউনের মসজিদে জারি আছে নারী-অ্যাপার্থায়েড। ফজর থেকে ঈশার নামাজে মেয়েরা পুরুষের পাশে বসে না।
    আসরার মনে হলো, এই একলৈঙ্গিক ইসলাম, হজ-প্রার্থনার ঠিক বিপরীতে অবস্থান করছে।
    'দয়া করে এখুনি চলে যান '। এই বাক্যটি কোমল-কঠিন নানা স্বরবিভেদে আসরাকে শুনতে হয় -- আসরা যখন শিবলি-কোলে প্রার্থনায় আসেন।
    প্রত্যেক দিন ফিরে আসেন, আর প্রত্যেক দিন যান। পাশে থাকে শিবলি,কখনও মা-বাবা। অনেকদিন আগে, আমেরিকার মধ্যহৃদয়ের একটি শহরে রোসা পার্ক কে বাস থেকে নামানো যায়নি। আসরাকেও মসজিদ থেকে বার করা মুশকিল হচ্ছিল।
    সমলিঙ্গ- প্রার্থনার একটি অ্যাক্টিভিজ্‌ম- এর হাওয়া বইতে থাকে আমেরিকা জুড়ে।
    ইসলামী ধর্মতত্ত্বের পণ্ডিত, অ্যালান গডলাস, লেখক সালীমা আব্দুল গফ্‌ফুর, এবং আমেরিকান বুদ্ধিজীবী/অ্যাক্টিভিস্ট মাইকেল মুহম্মদ নাইট, মোহ্‌জা কাহ্‌ফ,সামিনা আলি, সারা এল্‌নাভি-- আসরার পথবন্ধু হতে থাকেন।
    ইসলামী ফেমিনিজ্‌ম-এর একটি ভাবনাবীজ নাইন-ইলেভেন-পরবর্তী পশ্চিমের মাটিতে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলে।
    এবং তা চলতে থাকে সারা পৃথিবীতেই।
    বিবাহ-বহির্ভূত সন্তান জন্মের কারণে নাইজেরিয়ার আমিনা নওয়ালের শাস্তি ঘোষিত হত শরিয়তি বিধানে -- পাথর ছুঁড়ে হত্যা। নাইজেরিয়ার একটি হিতবাদী সংস্থা, 'বাওবাব ' এই হন্যমান বিচারটিকে রদ করে।

    আসরা বইটি শেষ করছেন এইভাবেই।
    'শেষকথা' আর সংযোজনী'তে রেখেছেন নীচের বিষয়গুলি।

    ১) মুসলিম-দুনিয়ার 'হৃদয়-মন'-এর দরজা খোলানোর ৯৯ টি সুবচন। যার প্রথম বচনটি হ'লো, ' পরস্পর বাঁচো, মুক্ত-হৃদয়ে।'

    ২) মসজিদে নারী -- একটি স্বাধিকার-প্রণয়ন। যার ১০ টি ধারার মধ্যে প্রথমটি শুরু হচ্ছে এই ভাবে, ' নারীর মসজিদের প্রধান কক্ষে প্রার্থনার ইসলামী স্বাধিকার রয়েছে'।

    ২) শয্যায় মুসলিম নারীর স্বকীয় যৌনতার অধিকার রয়েছে, যার দশটি ধারার মধ্যে প্রথমটি হ'লো, 'সম-মর্যাদার আর সম-আনন্দের যৌনতা'।

    'আসরা' শব্দের অর্থ যাত্রা। এই যাত্রা, আসরার বই-এ শুরু হচ্ছে পশ্চিমে পালিত, কর্মরত একটি মেয়ে যখন বারবার তার 'মুসলিম' ঐতিহ্যের দিকে ফিরে তাকান, কতক অবধানে, কতক অনবধানে। কুড়ি বছর বয়সে যৌনতাকে চিনে নেবার পর গভীর মানস-সম্পর্ক তৈরি করছেন এক আমেরিকানের সাথে। কিন্তু এই সম্পর্ক ছিঁড়ে বিবাহ করছেন এক পাকিস্তানীকে। বিবাহটি অবসিত হয়। আরেক পাকিস্তানী যুবকের প্রেমে পড়ে তার সন্তান ধারণ করছেন, যে পরে নিরন্তর ভাবে নিস্পৃহ থেকেছে।

    আসরার বইটি শুরু হচ্ছে ব্যক্তিগত সংলাপে।
    পরে সংলাপটি ততটা ব্যক্তিগত থাকেনি।

    বইটিতে রয়েছে বেশ কিছু ভাবনার পুনরাবৃত্তি--যার প্রয়োজন ছিলো না।

    উত্তর-নাইন ইলেভেনের পৃথিবীতে ইসলামের ইচ্ছাকৃত বিচ্যুতি দেখানোর একটি প্রবণতা চলছে। যার বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে আসরা দেখাতে চেয়েছেন ইসলামের এগালেটারিয়ান শুদ্ধতার প্রতিমূর্তিটি। এর জন্য বারবার কোরআনের অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন, যার অতটা দরকার ছিলো না।

    ব্যাক্তি-আসরার হাঁটা-পথটাই অনেকখানি। বইটি তাই বলে।

    জুন ১৭, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ জুন ২০০৭ | ৭৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন