এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • বৈজ্ঞানিকের তন্নিষ্ঠ অনুসন্ধানে অনন্য এক কথাসাহিত্যিকের পুনর্পাঠ

    রাহুল দাশগুপ্ত
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪২৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাহিনির নির্মাণ ও বিষয়বস্তু উভয় নিরিখেই তাঁর রচনা সমসাময়িক সাহিত্যধারা উপেক্ষা করে প্রবাহিত হয়েছে ভিন্ন খাতে। একদিকে তাতে যেমন প্রতিফলিত হয় মানুষের অস্তিত্বরক্ষার অবিরত সংগ্রামের ছবি, তেমনই উঠে আসে প্রতিটি চরিত্রের অন্তর্বিরোধ। এককথায় তাঁর সাহিত্যসৃষ্টি বহুমাত্রিক। সেসবই আলোচিত একটি সাম্প্রতিক গ্রন্থে। পড়লেন লেখক রাহুল দাশগুপ্ত


    শতঞ্জীব রাহা তাঁর ‘অবিকল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ গ্রন্থে বহুমাত্রিক ভাবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরার চেষ্টা করেছেন। চারশো পৃষ্ঠারও বেশি রয়াল সাইজের এই বইতে আছে বিপুল পরিশ্রমের ছাপ। এ প্রসঙ্গে ‘কথামুখ ও কৈফিয়ৎ’ অংশে লেখক লিখেছেন, “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনা খুব নিশ্ছিদ্র আরামে পাঠ করা অসম্ভব বললে কম বলা হয়। বস্তুত লেখকের পরিশ্রমের অংশীদার না হলে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠকরা একেবারেই কঠিন কাজ।” বইটির প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে রয়েছে সূত্র–পরিচয়ের সযত্ন ও বিস্তারিত উল্লেখ, যা এই বইটিকে বিশিষ্টতা দিয়েছে।




    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮–১৯৫৬)



    এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়, ‘সময়ের মুদ্রা, মানিক ও সাহিত্যের জন্ম’। এই অধ্যায়ে রয়েছে মানিক এবং সময়–চেতনার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা। বাখতিন থেকে ভার্জিনিয়া উলফ, বিশ্বসাহিত্যের নানা অনুষঙ্গ নিয়ে এসেছেন লেখক। রয়েছে মানিকের ব্যক্তিগত জীবনের কথাও। বৈজ্ঞানিক বিশ্ববীক্ষার সাহায্যে সাহিত্য ও সমাজকে দেখার কথা। ‘তাকে একবার হাতে পেলে’ শিরোনামের পরবর্তী অধ্যায়ে এসেছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে আলোচনা, যেখানে পুতুলের অনুষঙ্গ গোটা উপন্যাস জুড়ে নানা সূত্রে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে। মানিকের বিভিন্ন উপন্যাস বিশ্লেষণ করে লেখক দেখিয়েছেন—মানিকের অনুসন্ধানের একটা মূল বিষয় ছিল, এই বিষমবাহু সমাজের আসল নিয়ন্ত্রক কারা, কারা আড়ালে বসে মানুষকে লোভ আর লালসার পথে ঠেলে দিচ্ছে?

    ‘সর্ববিরোধ ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনা’ অধ্যায়ে লেখক দেখিয়েছেন, মানিকের রচনায় প্রকৃতি থাকে অনুচ্ছ্বসিত উল্লেখে। রেখাচিত্রের মতোই ফুটিয়ে তোলা হয় তাকে। আর মানিকের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে, অস্তিত্বরক্ষার অবিরত সংগ্রামের একটা ছবি। আসে মানুষের অন্তর্বিরোধ, যার একদিকে রয়েছে আত্মচিন্তার দোলাচল, অন্যদিকে আছে স্বপ্নভুবনের প্রত্যাশা। ‘জননী’ উপন্যাসে মূল ভূমিকা নেয় টাকা, যা ওই সময়কে চিনতে সাহায্য করে। শতঞ্জীব দেখিয়েছেন, টাকার গুরুত্বের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ ও মানবিক সম্পর্কসমূহ কীভাবে নতুন মাত্রা পেতে থাকে। মানিকের বিভিন্ন রচনায় অর্থনীতি এবং অর্থ–সম্পর্ক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন লেখক, যার সঙ্গে দেখাতে চেয়েছেন সমাজ ও মানুষের ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়াকে। এর পাশাপাশি টেনে এনেছেন শহর ও গ্রামের সংযোগ ও বিচ্ছিন্নতার প্রসঙ্গটিও, যার ফলশ্রুতিতে তাঁর চরিত্রেরা সকলেই কমবেশি সংশয়, ভ্রান্তি, দোলাচল ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।

    প্রতিটি চরিত্রের যুগ্ম–অস্তিত্বের ভ্রান্তিময় প্রহর–যাপন নিয়ে আলোচনা রয়েছে ‘যুগ্মতা–দ্বৈততা: শশী–কুসুম আর মতি ও অন্যান্য’ অধ্যায়ে। অনেক সময় নিজের বক্তব্যকে পরিষ্কার করতে তিনি চার্টের ব্যবহারও করেছেন। মানিকের চরিত্রেরা মূলত ইন্টেলেকচুয়াল। তারা স্বপ্ন ও বাস্তবের দ্বন্দ্বে দীর্ণ। এরপরের অধ্যায়ের সূচনাতেই শতঞ্জীব লিখেছেন, ‘মানুষের সত্ত্বার বিচ্ছিন্নতার কারণ বুঝবার জন্য মানিক লক্ষণীয় মাত্রায় ফ্রয়েড–কথিত মানুষের নানাস্তরের অস্তিত্বকে ব্যবহার করেছেন।’ মানিকের রচনায় দেহ ও ইন্দ্রিয়চেতনা কীভাবে এসেছে, তাই–ই এই অধ্যায়ে দেখিয়েছেন তিনি। ফ্রয়েড সহ আধুনিক কালের অপরাপর ব্যাখ্যাতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, মানুষের জৈবিক অস্তিত্ব ও তার ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়ার বিশ্লেষণ করেছেন মানিক। ব্যবহার করতে চেয়েছেন ফ্রয়েডের তাত্ত্বিক ভূমিকাটিকে। আলোচনায় এসেছে নিও–ফ্রয়েডিয়ানদের প্রসঙ্গও। যৌন সম্পর্কের রহস্যময়তার মধ্য দিয়ে আত্মনিরীক্ষা করতে চেয়েছেন, রোমান্টিকতাকে আক্রমণ করে পৌঁছোতে চেয়েছেন নিজস্ব দার্শনিক মননভূমিতে।

    ‘কবিও পেয়ে গেছে নতুন যুগ’ অধ্যায়ে তিনি দেখিয়েছেন মানিকের রচনায় ইতিহাস–চেতনাকে। আলোচকের মতে, ‘ঔপন্যাসিকের আখ্যানবিধৃত ভাষ্যে যতটুকু ইতিহাসের উপাদান থাকে তা–ও আসলে উপন্যাসের অভ্যন্তরে অবিভাজ্যতাপ্রাপ্ত হয়।’ তিনি দেখিয়েছেন, সময়ের যাবতীয় অসুখের জীবন্ত ইতিহাসকেই মানিক দলিলীকৃত করেছেন তাঁর রচনায়। ইতিহাসকে তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন পক্ষপাতশূন্য ভাবে। মানিক প্রথম থেকেই কলোনি-শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। মধ্যবিত্ত ভাবালুতা থেকেও তিনি দূরে থাকতে চেয়েছেন। সমকালীন সাহিত্যের নিরাপদ ছাঁচগুলিকে তিনি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। শতঞ্জীব সমকালের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এবং মানিকের জীবন–অভিজ্ঞতার সাপেক্ষে তাঁর গল্প ও উপন্যাসগুলিকে বিচার করতে চেয়েছেন।

    মানিকের লেখায় এসেছে, শ্রমিক-ধর্মঘট, লক–আউট, কারখানার ডিউটি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কৃষক আন্দোলন, স্বাধীনতার তীব্র অভিঘাত সাধারণ শহুরে ও গ্রাম্য মানুষের জীবনে, উদ্‌বাস্তুজীবনের বিপন্নতা। চারপাশে যত্নের অভাব ও ঔদাসীন্য সত্ত্বেও অসুস্থতা নিয়েও অনবরত লিখে গেছেন তিনি। তিনি শ্রমিকবস্তিতে যেতেন, ভারতীয় গণনাট্য সংঘের টিমের সঙ্গে যেতেন কলকাতার নিকটবর্তী গ্রামে–গঞ্জে। জীবনের সেইসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হত তাঁর লেখায়। ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: অনন্যতার দ্বিতীয় মাত্রা’ শীর্ষক অধ্যায়ে শতঞ্জীব দেখিয়েছেন, মানিক কেন একজন অনন্য এবং অবিকল্প লেখক। তাঁর রচনায় গল্প বলে যাওয়ার রীতি অনুসৃত হয়নি। তাঁর উপন্যাসে বহু ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত উপাখ্যানসমূহের সমাবেশ ঘটে। প্লট নিয়ে গল্পপিপাসু পাঠকের প্রত্যাশার বিপরীতে তাঁর আখ্যানগুলির নির্মাণগত অবস্থান। সেখানে অনেক সময় আখ্যান–বয়নের এমন সব রীতির সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, যার সঙ্গে চলচ্চিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।

    শতঞ্জীবের মতে, উপন্যাসে প্লটের গঠন, আখ্যানের বর্ণনা কিংবা চরিত্রের ব্যাখ্যান–বিষয়ে মানিকের যেন এক ‘তৃতীয় নয়ন’ রয়েছে। মানিকের উপন্যাসে লেখকের বর্ণনা ও বিবৃতির সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে মিশে থাকে চরিত্রের চিন্তা–প্রবাহের নিবিড়তা। মানিকের হাতে-ধরা ক্যামেরায় যেন থাকে একটি অতিরিক্ত এক্স–রে লেন্স। তিনি শব্দের প্রচলিত অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, প্রচলিত অর্থকে লঙ্ঘন করে অপ্রচলিত অর্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন, আভিধানিক অর্থের ঘটিয়েছেন বিস্তার। বাক্যে একই সঙ্গে ছুঁৎমার্গহীন শব্দ–ব্যবহারে মানিক বরাবর সাহস দেখিয়েছেন। রূপক–সংকেতে নিহিত তাৎপর্যে মানিকের কলমে ঝিলিক দিয়ে ওঠে অন্য এক অনুভবগম্য জগৎ। শতঞ্জীবের ভাষায়, ‘মানিক তাঁর রচনায় এইসময় ও সময়ের মধ্যে থাকা মানুষকে অতিক্রমণের চলমানতার মধ্যে আবিষ্কার করতে চান।’ লুকাচ যাকে বলেছেন, ‘লার্জার প্রজেক্ট অব হিস্ট্রি।’

    এই বইয়ের শেষে রয়েছে একটি নির্বাচিত শব্দনির্দেশ। ব্যক্তি, লেখক, সম্পাদক—তাঁদের নামের এক দীর্ঘ পরিচিতি। এই বই পাঠ করতে করতে মানিক–সাহিত্যের ভিতর তলিয়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। গোটা বইটিতে রয়েছে অনেকগুলো স্তর। বিশ্বসাহিত্য, দর্শন ও তত্ত্বের নানা অনুষঙ্গ এনে মানিককে বুঝতে চেয়েছেন আলোচক। মানিকরচনাকে তিনি সামগ্রিক ভাবে কিন্তু বহুমাত্রিকতায় ধরতে চেয়েছেন। ফলে প্রাসঙ্গিক ভাবেই এসেছে মানিকের ব্যক্তিগত জীবন, সমকালীন ইতিহাসের নানা প্রসঙ্গ। এই বই তথ্য, বিশ্লেষণ এবং অনুভবের এক অনবদ্য সমাহার। প্রায় বৈজ্ঞানিকের মতোই কাটাছেঁড়া করে মানিকের অনন্যতাকে বুঝে নিতে চেয়েছেন শতঞ্জীব। তাঁর রচনা–কৌশলও অনন্য ও জটিল। বিশেষ করে, তিনি যেভাবে চার্ট ও রেখাচিত্র ব্যবহার করেছেন, তা বাংলা আলোচনা–গ্রন্থে ব্যতিক্রমী। নিঃসন্দেহে, এ এক বিপুল পরিশ্রমসাধ্য কাজ, যা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গভীর ভাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করে, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।




    অবিকল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
    শতঞ্জীব রাহা
    সুপ্রকাশ
    ৫০০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান:
    বইপাড়ায়— সুপ্রকাশ, স্টল ২২, ব্লক ২, কলেজ স্কোয়ার, সূর্য সেন স্ট্রীট, কলকাতা ৭৩। ফোনঃ ৯৪৭৭৫৩০৪৪০

    অনলাইনে— https://thinkerslane.com/?product=abikalpa-manik-bandyopadhyay

    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ও গল্পের সংকলন এখান থেকে অনলাইন কেনা যেতে পারে—

    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পদ্মানদীর মাঝি অবলম্বনে প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাকিস্তানি ছবি ‘জাগো হুয়া সবেরা’ দেখা যেতে পারে এখানে।

    পরিচালনা— এ জে করদার। চিত্রনাট্য— ফয়েজ় আহমেদ ফয়েজ়। সংগীত পরিচালনা—তিমিরবরণ। মুখ্য ভূমিকায়— আতাউর রহমান খান, তৃপ্তি মিত্র। (সূত্র https://www.imdb.com/title/tt0375865/)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪২৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 182.69.64.235 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৪০97206
  • বইটা পড়িনি।  বর্তমান প্রবন্ধের স্বল্প পরিসরে শ্রীদাশগুপ্ত  তাঁর কুশলী বীক্ষায়  "অবিকল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়" এর সমস্ত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আমাদের  পরিচয় করিয়েছেন।

    কিন্তু আমার বেয়াড়া মনের খুঁতখুঁতুনি যায়না।

    শতঞ্জীব রাহার বইটিতে যেভাবে মানিকের কথাসাহিত্যের "বৈজ্ঞানিক " কাটাছেঁড়া এবং  বাখতিনের তত্ত্ব ,গ্রাফ ও চার্টের সাহায্য নিয়ে ব্যাখ্যা ইত্যাদি করা হয়েছে তাতে আমার মত অজ্ঞ পাঠকের ভয় আঙুলের ফাঁক দিয়ে রস গড়িয়ে পড়ে হাতে খালি শুকনো আঁটি ধরা থাকবে না তো?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন