এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • তুমি তো প্রহর গোনো, তারা মুদ্রা গোনে কোটি কোটি

    অতনু চক্রবর্তী 
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১০৫১৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৪ (৭ জন)
  • রাজ্য রাজনীতিতে বিরাট  তোলপাড় তুলে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা,  দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার  পার্থ চট্টোপাধ্যায় যিনি রাজ্য মন্ত্রীসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি । শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই নন, তিনি তৃণমূল দলের বিরাট মাপের এক নেতা, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির চেয়ারম্যান ও বটে । শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যার উপর দল  সঁপেছিল তিনিই এতো বড় কেলেঙ্কারি, আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন --- নির্মম পরিহাসের এর থেকে বড় উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে রয়েছে কিনা সন্দেহ আছে । তাঁর সাঙাততন্ত্রের  কদর্য চেহারাও  দেখলো গোটা রাজ্য। কিভাবে তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল গুপ্তধন, কোটি কোটি টাকা,  অঢেল বিদেশি মুদ্রা ও সোনার অলঙ্কার! মিলল কি বিপুল স্থাবর  সম্পত্তির হদিশ । কুৎসিত বৈভবের নির্লজ্জ প্রদর্শনী চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল ক্ষমতার অলিন্দে থাকা এই সমস্ত হোমরা চোমরা নেতা - মন্ত্রী কত বড় বহরের অন্যায় - অবিচার - কে গোপনে সংগঠিত করেছিল বছর বছর ধরে। এতোবড় দুর্নীতির সাথে নাম জড়ানো  সত্ত্বেও রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে পার্থবাবুকে বরখাস্ত করা হল না। বোঝাই গেল, দুর্নীতির প্রশ্নে শূন্য সহনশীলতার নীতি আমাদের নীতিবাগিশ  মুখ্যমন্ত্রীর না- পসন্দ। আর তারপরেও সবাইকে  অবাক করে  মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি নাকি এই সমস্ত কিছুর বিন্দু - বিসর্গ ও জানতেন না!!  

    কিন্তু, এতো বড় অন্যায়ের শিকার যাঁরা হলেন, তাঁদের কি হবে?  রাজ্যের সাধারণ ঘরের অগুনতি  ছেলে মেয়েরা বহু পরিশ্রম করে এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরও দেখলেন তাঁদের চাকরি হলো না। উল্টে তা বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেল।   এদিকে, ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাঁচাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।  বঙ্গ - সম্মান প্রদানের মঞ্চকে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের মঞ্চে পরিনত করে অবলীলায় জানালেন যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি আগে কিছুই জানতে পারেননি। অথচ কে না জানে, ২০১৯ সালের এসএলএসটি - র মেধা তালিকায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে- র নাম হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল আর তিনি চাকরি পেয়ে গেলেন "যাদুকরী"  স্পর্শে।  গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ না করার প্রতিবাদে ২০১৯ -র ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে ' যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ' এর ব্যানারে দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শুরু হয় অনশন আন্দোলন। ২৯ দিনের মাথায় হঠাৎ অনশনস্থলে আবির্ভূত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এসএসসি কে ঘুঘুর বাসা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সেখানে গঠন করেন একটা কমিটি ---- আর, সেখানে তাঁদেরই রেখে দিলেন  যাঁরা ইতিমধ্যেই দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত।  কে না জানে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এসএসসি - র মাধ্যমে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে যে পরীক্ষা হয়, তাতেও লেপ্টে ছিল দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে যে এলো, তাও কি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না?  হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি - র নিয়োগ দুর্নীতি যাচাই করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এটাও কি জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী? হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটি এসএসসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে আঙুল তুলেছিলেন, তাও কি শুনতে পাননি মুখ্যমন্ত্রী?  না কি শুনতে চাননি? একদিকে   ক্ষমতার দম্ভ ও দাপটের মিশেল, অন্যদিকে ঠগ খুঁজতে দল উজাড় হওয়ার আশঙ্কায় তিনি নীতিহীন আপোষ করেছেন দুর্নীতির সাথে। 

    ২০১৫ সালে সংঘটিত আপার প্রাইমারি প্যানেলের মধ্যে বিরাট অসঙ্গতি থাকায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে তা সংশোধন করতে।   আজও ওই প্যানেলের নিয়োগ সম্পন্ন হলো না। ফলে, প্যানেলের মধ্যে থাকা চাকুরিপ্রার্থীরা ২০১৫- ২০২২ - --- এই দীর্ঘ সাত বছর ধরে যে স্বপ্ন সযত্নে লালন পালন করেছিলেন, তার ভ্রূণ হত্যা হল। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসলেও তার সমাধান আজ পর্যন্ত হল না। এদিকে,  সংকট থেকে পরিত্রাণ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী আদালতের দিকে দায় ঠেলে দিলেন। হাইকোর্ট ও শিক্ষা সচিবের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে কোন কোন শূন্যপদ পূরণ আদালতের রায়ের কারণ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তা হলফনামা পেশ করে জানাতে। 

    সাম্প্রতিক দুর্নীতি কান্ডে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে আতঙ্কজনক কর্মহীনতার ছবি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘনিয়ে ওঠা সরকার - সৃষ্ট নৈরাজ্য, পড়ুয়া -পিছু শিক্ষকদের লজ্জাজনক ঘাটতি, রাজ্য সরকারি - আধা সরকারি - স্বশাসিত সংস্থাগুলোতে বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণে শূন্যপদ না পূরণ করার আখ্যান। পড়ুয়া - শিক্ষক অনুপাতের চরম দৈন্যতা আজ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গিলে খাচ্ছে। সংবাদে প্রকাশ, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে সাকার ঘাট জুনিয়ার হাই স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকে ৭৭২ জন পড়ুয়া পিছু শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১! এটা কোন ব্যতিক্রমী উদাহরণ নয়। বহু উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মাত্র এক বা দু' জন শিক্ষকের উপর পঠন পাঠনের পুরো দায়ভারটি ন্যস্ত। এমনও দেখা যায়, সেই এক বা দু'জন শিক্ষক ছুটিতে গেলে স্কুলের গ্রুপ -  ডি কর্মীকে ক্লাস নিতে হয়। কখনও বা আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে এই অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলে। শিক্ষার প্রতি এই নির্দয় অবহেলা অপরাধসম। শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী। শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলে ক্লান্তিহীন বিজ্ঞাপন যতই দেওয়া হোক না কেন, এই রাজ্য সরকার তিলে তিলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছয় মাস পার হওয়া সত্ত্বেও  ২০২১ সালের টেট লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা কর্মপ্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুই করা গেল না। আরও উল্লেখ্য, এই নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোন ধরনের মামলাই দায়ের করা হয়নি।

    শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবই নয়, সরকার এবং সরকার - পোষিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ, পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। নেই পর্যাপ্ত স্কুল ঘর, কোথাও খোলা আকাশের নীচে চলছে পঠন পাঠন, কোথাও শিক্ষক নেই, নেই শৌচাগার - পরিশ্রুত পানীয় জল - এমনই করুন অবস্থা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে। গোটা শিক্ষাক্ষেত্র জুড়ে কত শূন্যপদ রয়েছে ( শিক্ষক - অশিক্ষক পদে)  তার কোন সরকারি হিসাব আজ পর্যন্ত পেলনা রাজ্যবাসী। অথচ, তুমুল মস্করা করে, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন রাজ্যে নাকি ৩০ হাজার চাকরি তৈরি! সরকার নাকি শুধুমাত্র নিয়োগ পত্র দেওয়ার অপেক্ষায়। আর, ঠিক ক'দিন আগে সংবাদে প্রকাশিত হল রাজ্যে কর্মসংস্থানের আরেকটি মর্মান্তিক ছবি। সংবাদে প্রকাশ, মালদায় সরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্র পরিচারিকাদের জন্য একটা প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করে, যাতে অংশ নেয় ৪০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহিলারা। 

    এতো বড় একটা ঘটনার পরও রাজ্যের নাগরিক  সমাজ নীরব নিশ্চল! ক্ষমতার উদ্ধত চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলার মূল্যবোধ এ রাজ্যে যেন বড়ই বিষম বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, যে সমস্ত টগবগে প্রাণ কাউকে তোয়াক্কা না করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশকে পরিনত করেছেন তাঁদের প্রতিবাদ প্রতিরোধের তীর্থস্থান, এক গণ আদালত, এক গণ সংসদে -- সেটাই আগামীতে রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনবে এক ফুটন্ত সকাল! সেই অবিচল, অবিনশ্বর বিশ্বাসের উপর ভর করেই উত্তাল সমুদ্রে বেয়ে চলেছে নবজীবনের তরনী। সমস্ত বাধা বন্ধনকে উপেক্ষা করে।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১০৫১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.110.136.47 | ১১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১০513700
  • দীপ | 42.110.136.47 | ১১ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১১513701
  • রবীন্দ্রভারতীতে পিসি-ভাইপোর অধিষ্ঠান!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:5736:e83f:e88d:e303:815a | ১৫ নভেম্বর ২০২২ ০০:১০513794
  • দীপ | 2402:3a80:196c:5736:e83f:e88d:e303:815a | ১৫ নভেম্বর ২০২২ ০০:১১513795
  • কথাঞ্জলি!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:3cd1:3b2c:cb39:2ae3:9233 | ১৫ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৬513817
  • দীপ | 42.110.139.232 | ২০ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৫513957
  • হত্যাকারী বন্দনা
    ---------------------------
     
    ডেঙ্গু আমার কাঁপুনি আমার
    মরণ আমার, আমার ক্লেশ
    কেন ভাইরাস বদলালি রূপ
    কেন 'অজানা'র ছদ্মবেশ?
     
    ভুগলেও কেউ স্বীকার করে না
    তোরই ভয়ে আজ ত্রস্ত দেশ
    সগর্বে বলা মিথ্যা ভাষণে
    মুখরিত আজ আমার দেশ
     
    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
    ধাপ্পা মিলছে দিব্যি ফ্রেশ
    শত কোটি মিলিত কন্ঠে
    কাঁদছে এখন আমার দেশ।
     
    রক্ত রিপোর্ট পজিটিভ তবু
    জ্বরে যদি কারও মৃত্যু হয়
    সার্টিফিকেটে রোগের কারণ 
    বদলিয়ে যাবে… এতই ভয়।
     
    নাইসেডও যার লুকোচুরি দেখে
    হতাশায় শেষে বলেছে… ইস্!
    তুই কি ডেঙ্গু সেই গাধাদের
    মনের ভুলেও পাত্তা দিস?
     
    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
    ধাপ্পা মিলছে দিব্যি ফ্রেশ
    শত কোটি মিলিত কন্ঠে
    কাঁদতে থাকুক আমার দেশ।
     
    সকাল বিকাল সন্ধ্যা যেথায়
    কার্নিভ্যালের দারুণ রেশ
    সদাই যেথায় হাততালি ওড়ে
    দু'একটা শুধু অম্বিকেশ।
     
    প্রশাসন যেথা স্রেফ জো হুজুর
    প্রশ্নতে মুখে দেয় কুলুপ
    প্রায় ক্রীতদাস ডাক্তার যেথা
    ভরসা বলতে মশার ধূপ।
     
    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
    ধাপ্পা মিলছে দিব্যি ফ্রেশ
    শত কোটি মিলিত কন্ঠে
    কাঁদতে থাকুক আমার দেশ।
     
    যেথায় স্তাবক বিদ্দ্বজ্জন
    তোলে সমবেত মধুর তান
    ন্যায়ের বিধান মাটিতে লুটায়
    কথাঞ্জলিতে ভেসেছে প্রাণ
     
    যেথা অকাতরে লোক মরে যায়,
    এই দেশই সেই ধন্য দেশ
    ধন্য আমরা মশার কামড়ে
    যদি মিশে থাকে ডেঙ্গি রেশ।
     
    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
    ধাপ্পা মিলছে দিব্যি ফ্রেশ
    শত কোটি মিলিত কন্ঠে
    কাঁদতে থাকুক আমার দেশ।
     
    যদিও ডেঙ্গি তোর ভয়ে ভয়ে
    ঘিরে আছে আজ আঁধার ঘোর
    এসে যাবে শীত এ'টাই ভরসা
    হয় তো প্রতাপ কমবে তোর
     
    ততদিন তুই থাকবি ডেঙ্গি
    মানুষ আমরা নহি তো… মেষ
    ডেঙ্গি আমার লেঙ্গি আমার
    ঘোর হাহাকারে ভরাবি দেশ।
     
    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য,
    ধাপ্পা মিলছে দিব্যি ফ্রেশ
    শত কোটি মিলিত কন্ঠে
    কাঁদতে থাকুক আমার দেশ।
  • দীপ | 42.110.139.232 | ২০ নভেম্বর ২০২২ ২১:৩৬513958
  • ডেঙ্গি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে অরুণাচল দত্ত চৌধুরীর কবিতা।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:f0c6:38e:8745:d8a5 | ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৬514039
  • অসভ্য, উদ্ধত শাসকের উদ্দেশ্যে উপযুক্ত প্রত্যুত্তর!
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1555:afe0:4d35:bc15:8624 | ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০০:৩৫514162
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1555:afe0:4d35:bc15:8624 | ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০০:৩৫514163
  • দীপ | 2402:3a80:1968:1555:afe0:4d35:bc15:8624 | ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০০:৩৬514164
  • সেটিং মনে হয় হয়ে গেলো!
  • দীপ | 2401:4900:3a0b:d5d8:4daa:3545:3d9f:c1aa | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩১514297
  • দীপ | 2401:4900:3a0b:d5d8:4daa:3545:3d9f:c1aa | ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩৩514298
  • এগুলো কি সত্য? কেউ আলোকপাত করতে পারবেন?
  • দীপ | 42.110.144.20 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬514434
  • মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত। আরামবাগ টিভির সফিকুলের বিরুদ্ধে পুলিশি হেনস্থা ও নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করুন মাননীয়া

    --- প্রসূন আচার্য 

    ডিজিটাল মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যে মামলা দিয়ে যে ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, তাঁর বাড়ি সার্চ করার নামে বার বার কলকাতার থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে যে ভাবে তাঁর স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা এবং পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই বাংলায় ৩৫ বছর কাজ করা এক রাজনৈতিক সাংবাদিক হিসেবে আমি তার তীব্র নিন্দা করি। 

    গত কাল ভিডিওতে সফিকুলের কথা শুনে আমি রীতিমত বিব্রত, ক্ষুব্ধ এবং শঙ্কিত। সফিকুল দীর্ঘ দিন কলকাতায় টিভিতে সাংবাদিকতা করেছেন। তাই তিনি সাংবাদিকতার নিয়ম নীতি বা 'থাম্ব রুল'  জেনেই পোর্টালে বলেন বলে বিশ্বাস করি। আমি নিজেও তাই দেখেছি।

    জানি, মাননীয়ায় অনুপ্রাণিত কলকাতা প্রেস ক্লাব বা অন্য কোনো সাংবাদিক সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা করা তো দূরের কথা কোনও বিরূপ মন্তব্যও করবে না। কারণ, তাঁরা সবাই অনুকম্পা বা দয়ার দান পেতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু অন্য রাজ্য বা বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে এই ঘটনা ঘটলে এতক্ষণে এরাই প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করত। নবান্ন প্রয়োজনে তাদের মদতও করত। কাগজ এবং টিভিতে খবর হত।

    আসলে বর্তমান রাজ্য সরকার বিন্দুমাত্র সমালোচনা মূলক কোনও খবর সহ্য করতে পারে না। এটা বার বার প্রমাণ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে জেলায় গিয়ে পুলিশকে বলেছিলেন, জেলার সাংবাদিকের খবরের সোর্স বানান। অর্থাৎ সোজা কথায় মুখ বন্ধ রাখতে জেলার সাংবাদিকদের পুলিশ প্রতিমাসে মাসোহারা টাকা বা ঘুষ দেবে। এবং সেটা সরকারি ভাবেই। আরও বলেছিলেন, যে সব জেলার সংবাদপত্র সরকারের পক্ষে প্রচার করবে, তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। দিল্লি এবং মুম্বই প্রেস ক্লাব এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেও এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন হিসেবে নিজের দাবি করা কলকাতা প্রেস ক্লাব তখনও মৌন ছিল। 

    সোসাইটি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে স্পেশাল AGM না ডেকেই বেআইনি ভাবে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে প্রেস ক্লাবের সেই কমিটিই আবার আগামী এক বছরের জন্য ক্ষমতায় রয়ে গিয়েছে। (অথচ, চিত্র সাংবাদিকদের সাধারণ সদস্য করার জন্য নিয়ম মেনে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে স্পেশাল AGM ডেকে ভোট করানো হয়।) শনিবার ক্লাবের AGM এ শুধু আয় ব্যয়ের হিসেব পেশ হয়েছে। কোনও ভোট হয়নি। যা প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে বিগত ৭৬ বছরে কোনও দিন হয়নি। প্রাক্তন সভাপতি/ সম্পাদকরা সবাই বছরের পর বছর ধরে চলা এই কমিটির উপহার পেয়েই খুশি। সকলেরই মুখ বন্ধ!

    কিন্তু সাংবাদিকদের সকলের মেরুদণ্ড তো বাঁকা নয়! তাই সবাইকে একই ভাবে কেনাও সম্ভব নয়। সিপিএম আমলে যে সাংবাদিক নিগ্রহ হয়নি, এমনটা নয়। আমাকেই একাধিক বার শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে। কিন্তু সরাসরি মহাকরণ বা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সাংবাদিকদের কেনার জন্য বা ভয় দেখানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হত না। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে পুলিশকে এই ভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় ব্যবহার করা হত না। যা আজ হচ্ছে।

    বিধানসভা ভোটের আগে আরামবাগে রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে সফিকুল এবং তাঁর স্ত্রীকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে অনেক দিন জেলে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। কারণ, মামলায় কিছুই প্রমাণ হয়নি। 

    আসলে রাজ্যে কোনও বিরোধী কণ্ঠস্বর থাকবে না। ঠিক যেমনটি মোদি, অমিত শাহ, এবং নাথ সম্প্রদায় ভুক্ত অজয় সিংহ বিস্ত ওরফে যোগী আদিত্য মনে করেন। সংবাদ মাধ্যমে কেউ বিরোধিতা করলেই  তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে ভর। কারণ, মিডিয়া মালিকরা টাকার লোভে শাসকের পকেটে! তাই আক্রমণ শানাও ব্যক্তি সাংবাদিকের উপরে।

    এই তো কিছুদিন আগে যেমন ফ্যাক্ট চেক বা সত্যি কী সেটা জানার জন্য পোর্টাল অল্ট নিউজের সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে জেলে ভরা হয়েছিল। এখনও কেরলের একটি জনপ্রিয় পোর্টালের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান ( যিনি হাথরসের দলিত যুবতীকে গণ ধর্ষণ ও খুন কভার করতে গিয়েছিলেন ) জেলে আছেন। একটি মামলায় জামিন পেলে আবার অন্য একটি মিথ্যা মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে। কাপ্পান আর জেল থেকে বেরোতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেও বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের মামলা হয়েছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। জুবের বা কাপ্পানের বিরুদ্ধে The Telegraph পাতা জুড়ে খবর করলেও সফিকুলের ব্যাপারে চুপ! যেন কিছুই জানে না! চোখ বন্ধ!

    আসল কথাটা সকল শাসক ভুলে যান। অতীতকে ভুলে যান। জরুরী শাসনের সময় বাংলার দোর্দন্ড প্রতাপ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত, গৌর কিশোর ঘোষ বা নিশীথ দে'কে জেলে ভরে রেখেও শেষ অব্দি গদি আঁকড়ে, রিগিং করেও জিততে পারেননি! তাঁর শুধু পতন হয়নি। বাংলায় আর কোনো দিনই কংগ্রেস ফিরে আসতে পারেনি।

    মনে রাখবেন, দুনিয়ার সব দেশেই শাসক কিন্তু শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। ইতিহাস তার সাক্ষী। আর কোনো শাসকই অনন্ত কাল বাঁচে না। মানুষ এর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যা জিন গত ভাবে পাওয়া সব ক্ষেত্রেই জেতে। আমি নিশ্চিত উত্তর কোরিয়া বা চিনেও একদিন জিতবে। মুসলিম দেশ ইরানকে দেখছেন না? কি হল ! আর আমাদের সংবিধান দেশের সব মানুষকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। তাই সফিকুল দের উপরে এই ভাবে অত্যাচার বন্ধ করুন। সমালোচনা সহ্য করুন। মেনে নিন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন। 

    আরেকটি কথা। 
    সাংবাদিকদের মধ্যে যাঁরা ভাবছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের বাঁচাবেন, তাঁরা ভুল করছেন। উনি আরও এক কাঠি উপরে। আপাতত হয়ত কেস লড়া বা উকিলের খরচা দিচ্ছেন। সেটা কিন্তু নিজের ভিন্ন ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ওনার খপ্পর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলাই ভালো। উনিও কিন্তু এনার মতই স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতায় বিশ্বাস করেন। সমালোচনা মোটেই সহ্য করতে পারেন না। 

    খোদ আনন্দ বাজারের তৎকালীন সম্পাদক অভীক সরকারের মুখ বন্ধ করতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তমলুক কোর্টের সেই সেই মামলায় গ্রেফতার এড়াতে অভীকবাবুকে জামিন নিতে হয়। তখন উনি মমতার দলের অন্যতম সেনাপতি। তার উপরে এখন মোদি আর অমিত শাহ ওনার গুরু। সুতরাং সাধু সাবধান!

    আর ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের অনেকেই কিন্তু ছোট খাট স্থানীয় নেতাদের ব্ল্যাক মেইল করে টাকা তোলেন। এটা অবিলম্বে বন্ধ করুন। প্রয়োজনে অন্য কাজ করুন। যেখানে সততার সঙ্গে রোজগার সম্ভব। বিয়ে বাড়ির ক্যামেরাম্যান সাংবাদিক হয়ে গেলে বড্ড মুস্কিল! সাংবাদিকতা করার জন্য কিঞ্চিৎ পড়াশুনা করা দরকার। কী করা যায়। আর কী করা উচিত নয়। নিজের প্রতি মর্যাদা করতে শিখুন।

    বর্ষীয়ান সাংবাদিক হিসেবে পোর্টালের বন্ধুদের বলতে চাই, ডিজিটালে কথা বলার সময় উত্তেজিত হয়ে এমন কিছু বলবেন না, যা প্রমাণ সাপেক্ষ। বা আপনি সরাসরি প্রমাণ করতে পারবেন না। সরাসরি কোনো সাম্প্রদায়িক প্রচারের অংশ হবেন না। সতর্কতার সঙ্গে , সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করুন। কোনও ভাবেই সম্প্রদায়িক উস্কানি দেবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলুন। আর্থিক দুর্নীতি তুলে ধরুন। ২৪ ঘণ্টা হিন্দু/ মুসলিম , হিন্দু/ মুসলিম করে ঘৃণা সৃষ্টির রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন। বজায় রাখুন নূন্যতম  নিরপেক্ষতা।

    C@ Prasun Acharya

    Plz like, share or copy paste
     
    শাসকের ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:553d:96c2:2766:1956:9dd8 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১৮514437
  • শিক্ষক Abdul Halim Biswas এর অভিজ্ঞতা পড়ুন। কি ভয়ানক অবস্থা তৈরী করা হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:553d:96c2:2766:1956:9dd8 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২১514438
  • শিক্ষক Abdul Halim Biswas এর অভিজ্ঞতা পড়ুন। কি ভয়ানক অবস্থা তৈরী করা হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:553d:96c2:2766:1956:9dd8 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৫514439
  • শিক্ষক Abdul Halim Biswas এর অভিজ্ঞতা পড়ুন। কি ভয়ানক অবস্থা তৈরী করা হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:553d:96c2:2766:1956:9dd8 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৬514440
  • তিনবার পাঠালাম, কোনোবার‌ই হোলোনা। ব্যাপারটা কি?
  • দীপ | 2402:3a80:196b:e097:9a21:e59a:e0b1:1901 | ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:০৬514905
  • সাবাশ অনির্বাণ!
     
    "নমস্কার।
     
    আমার নাম অনির্বাণ। আমি বাংলা থিয়েটারে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। ইদানীং পরিচালনার কাজও করেছি। আমি আজ বেলেঘাটাতেই শুটিং করছি, কিন্তু খুবই টাইট শিডিউল থাকায় সভাতে উপস্থিত থাকতে পারছি না। কিন্তু আমি এই সভায় উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলাম, কারণ গায়ে হাত উঠেছে।
     
    নিশ্চয়ই আগেও উঠেছে, অভিনেতার গায়ে, নাট্যকর্মীর গায়ে।
     
    সুদূর বা অদূর ইতিহাসে।
     
    কিন্তু সাম্প্রতিককালে আমার জানার মধ্যে এই প্রথম হাত উঠেছে।
     
    আমি প্রতিবাদ করছি, আরো অনেকের সঙ্গে, এটা জেনেই, যে এই প্রতিবাদ ব্যর্থ হবে।
     
    যার গায়ে হাত উঠেছে, তার গায়ে আবার হাত উঠতে পারে শীঘ্রই, এবং যিনি হাত তুলেছেন, তিনি তার সাহসে বলীয়ান হয়ে বাংলা মায়ের সুযোগ্য সন্তানের অনেকগুলো সার্টিফিকেট ঘরে বাঁধিয়ে রাখবেন।
     
    কে জানে হয়তো কালের অদ্ভুত নিয়মে একদিন বাংলার সংস্কৃতি মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন, দল বদলালে হয়তো ভারতেরও। এটা বা এরকম কিছুই হয়তো হবে।
    আমি এই ঘটনাকে বুঝে নিতে চাইছি রাজনৈতিক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে।
     
    আজ থেকে ১২ দিন আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে অমিতাভ বচ্চন বাকস্বাধীনতার সপক্ষে বক্তৃতা করে গেছেন।
     
    শাহরুখ খান সোশ্যাল মিডিয়ার ঘৃণাবাহিনীকে এক হাত নিয়েছেন, সারা ভারতে মুক্তমনা মানুষ হাততালি দিয়ে উঠেছেন।
     
    সেদিন যারা মঞ্চে ছিলেন, তারাও দিয়েছেন।
    তার কিছুদিন পরেই অমিত সাহা ও অরূপ খাঁড়া মার খেয়ে গেলেন, নাট্য উৎসব আয়োজন করার জন্য।
     
    একই রাজ্যে! কেন? কারণ অমিত সাহা ও অরূপ খাঁড়া পশ্চিমবঙ্গের বোধ করি একটি ভোটকেও ডিস্টার্ব বা পেট্রনাইজ করতে পারেন না।
     
    অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খান পারেন। 
     
    তাই, চলুন, আমরা নাটক ছেড়ে একটা মার খাওয়ার উৎসবের দিকে এগিয়ে যাই। 
     
    আমরা রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াই। প্রতিটি অঞ্চলের পার্টি অফিসে আমরা আবেদন পত্র জমা দিই আমাদের নাটক অভিনয়ের দিন ও স্থান সমেত, আমাদের যেন এসে বেদম মার দেওয়া হয়, যেন বুঝিয়ে দেওয়া হয় হাড়ে হাড়ে যে ভোটকেন্দ্রিক গণতন্ত্রে অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খান না হলে বেশি লাফাতে নেই।
     
    সারা ভারতবর্ষের সিনেমা ও থিয়েটার অভিনেতারা যেন জানতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গে এক অভূতপূর্ব আনন্দযজ্ঞ শুরু হয়েছে, ভোট রাজনীতিতে কাজে আসে না, এমন শিল্পীদের মেরে ঠান্ডা করে দেওয়া হচ্ছে।
     
    এই শিক্ষা সারা দেশ আমাদের রাজ্য থেকেই পাক।
     
    চলুন, অভিনয় চর্চা, গানবাজনা ছেড়ে আমরা আগে আমাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বটা বুঝে নিই আমাদের আজকের বাস্তবতায়।
     
    আবেদন পত্র জমা দেওয়া শুরু হোক।
     
    অখ্যাত, বিখ্যাত, নামী, অনামী সমস্ত অভিনেতারা চলুন এক যোগে মার খাওয়ার আবেদন জানাই।
     
    আমি অনির্বাণ।
     
    আমার এর পরের অভিনয় ১৫ই জানুয়ারি রবীন্দ্র সদন মঞ্চে।
     
    এসে মেরে যান।
     
    কারণ এই দিন এর অভিনয়ে ভোট রাজনীতির কোনো মুনাফা নেই, এমন ফালতু ঘটনা রাজ্যে প্লিজ একটাও ঘটতে দেবেন না, অনুরোধ।
     
    সবশেষে কেক উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।
     
    অনির্বাণ।"
     
    অনির্বাণের প্রতিবাদ পত্র।
  • দীপ | 42.110.136.196 | ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১১515023
  • এবার খড়দায় টাকার মেলা!
  • দীপ | 42.110.136.196 | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৬515049
  • দীপ | 42.110.136.196 | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৬515050
  • নির্লজ্জ শাসকের অসভ্য ঔদ্ধত্য!
  • দীপ | 42.110.145.115 | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৬515059
  • দীপ | 42.110.145.115 | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৭515060
  • অসামান্য প্রতিভা!
  • দীপ | 2401:4900:3fcb:93b6:82c0:a62e:d605:4a3a | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫২515106
  • মহারাষ্ট্রে শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ কর্মচারীদের বিদ্রোহ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন