এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ২৫

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১০ মে ২০২৩ | ১০১৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  
     

    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। পঁচিশ ।।

    অফিসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমাদের ট্রেনিদের শিক্ষানবিশি চলছিল, যাতে সব রকমের কাজই আমাদের জানা হয়ে যায়। প্রি-কনফার্মেশন পরীক্ষা যখন হল, আমি আর তথা তখন যে বিভাগে ছিলাম, সেখানে কাজের চাপ একটু কম ছিল। তবে আমাদের বাকি চার জনের অমন সৌভাগ্য ছিল না। কাজের চাপ এক দিক থেকে ভাল জিনিস, অন্য অনেক কিছু তার আড়ালে চলে যায়। বাড়ি ফেরার পরেও অনেক সময়ে তার রেশ চলতে থাকে। আর তার মধ্যে যদি অন্য কিছু ঘটতে থাকে একই সাথে, তবে সমস্যার আর অবধি থাকে না।

    আমাদের এক জনের তখন আর দিল্লিতে মন টিঁকছে না। চাকরি স্থায়ী হওয়া বা না হওয়া মনে হচ্ছে তুচ্ছ ব্যাপার। আসলে তখন তান লেগেছে সিন্ধু-বারোয়াঁয়, ছেঁড়াছাতা আর রাজছত্র মিলে গেছে, আকবর বাদশার সঙ্গে হরিপদ কেরানির কোনো অমিল তখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যাচ্ছে না, কারণ তখন দিল্লির মারাত্মক গরম, সাংঘাতিক শীত, অফিসে কনফার্ম হতে পারা বা না-পারা নিয়ে যাবতীয় বিরক্তির ঊর্ধে তখন এক অদ্ভুত বাঁশির গান ভেসে আসছে সুদূর কলকাতা থেকে ।

        ‘’এ গান যেখানে সত্য
    অনন্ত গোধূলিলগ্নে
            সেইখানে
              বহি চলে ধলেশ্বরী;
            তীরে তমালের ঘন ছায়া;
                   আঙিনাতে
            যে আছে অপেক্ষা ক’রে, তার
               পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।‘’ (বাঁশি, রবীন্দ্রনাথ)

    সামনেই আমাদের অমিতাভর বিয়ে। অনেক দিন আগে থেকেই টিকিট কেটে রেখেছিল এজন্য। কনফার্মেশন হোক না হোক, বিয়ে করার জন্য ও কলকাতা যাচ্ছেই। যিনি আমাদের দন্ডমুন্ডের কর্তা, তাঁর অনুমতি ছাড়া তো আর যাওয়া যাবে না। অফিসেরই এক বাঙালি দাদাকে পাকড়াও করে তাঁর কাছেই খুলে বলল সব, তিনি নিয়ে গেলেন সেই বড়কর্তার কাছে। তারপরের ঘটনা অতি দ্রুত ঘটল। বড়কর্তার ঘর থেকে ছুটে এসে ছুটে এসে অমিতাভ আমায় অনুরোধ করল ওর ছুটির দরখাস্ত লিখে দিতে। স্কুল-কলেজে সে আমলে প্রক্সিতে প্রেমপত্র লিখে লিখে নাম করেছিল অনেকে। একজন তো নাকি ওই জোশে নিজের বাবাকেও ‘প্রিয়তমাসু’ সম্বোধনে চিঠি লিখে ফেলেছিল। সে যাক, আমি আমার কম্পিউটারে সে দরখাস্ত লিখছি, পিছন থেকে সেটা দেখে কিঞ্চিৎ সিনিয়র এক দক্ষিণ ভারতীয় মন্তব্য করলেন, ‘’আই ডোন্ট বিলিভ দিস ইয়ার’’। ওনার তখনও বিয়ে হয়নি বা করেননি বলেই ওই টিপ্পনী (অনেকে বলেছিল হতাশার বহিঃপ্রকাশ) কি না জানি না। যাই হোক, বড়কর্তা অমিতাভকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ও স্থায়ীভাবে কলকাতায় চলে যেতে চায় কি না। তাতে ওর উত্তর ছিল, “না, আমি দিল্লি ফিরে আসতে চাই। অন্যেরা যখন কলকাতা যাবে, আমিও তখন যাব।”

    পয়লা ডিসেম্বর, ১৯৯৫ আমরা অফিসে যোগ দিয়েছিলাম, এক বছর কেটে গেল দেখতে দেখতে। ভেবেছিলাম এক বছর কেটে যাওয়ার আগেই আমাদের ব্যাপারটা ফয়সালা হয়ে যাবে; হল না। আমরা অমিতাভর মত টিকিট কেটে রাখতে পারছি না। এর পরে যদি সাত দিনের নোটিশ দিয়ে বলে যাও কলকাতা, তখন টিকিট পাব কি না কে জানে। ঠিক করলাম আর দিন গুণব না। একেবারে ফেরার তারিখ জানতে পারলে তবেই আবার গোণা শুরু করব।
     
    দিল্লিকে এখন আর একটা ঝকঝকে আধুনিক শহর বলে মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে এটা একটা সুবিশাল জেলখানা যার ল্যাজা থেকে মুড়ো পর্যন্ত কখনই সম্পূর্ণ দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়। একদিন রাত্রে অফিস থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছি। একটা অদ্ভুত চিত্র ভেসে উঠল চোখের সামনে। বৃষ্টিভেজা একটা রাস্তা দিয়ে আমি এগিয়ে চলেছি। মেঘে ঢাকা আকাশের নিচে জনমানবশূণ্য পথের দুপাশে বাতি জ্বলছে। জনমানবশূণ্য বলাটা অবশ্য ঠিক হল না, দু-এক জনকে দেখা গেল রাস্তায়, তবে কারও মুখ দেখা গেল না। আমার হাঁটা পথ শেষ হবে দূরের ঐ ছোট বাড়িটায়, যেখানে আমার বাবা-মা-বোন অপেক্ষা করছে।
     
    সেদিন একটা ঘটনা ঘটল। আমি আর তথা বাসে করে কোথাও যাচ্ছি। রাজধানী শহরে বাসে এর আগে দু’জন যাত্রীর মধ্যে মারপিট হতে দেখেছি; দু’জন মিলে একজনকে বেধড়ক মারছে তাও দেখেছি। অন্য যাত্রীরা সচরাচর সেসময়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ ঝগড়া মারামারি থামাতে এগিয়ে আসেন না। যাই হোক, আমরা দুজন ছিলাম বাসের একেবারে শেষের লম্বা আসনটায়, জানলার ধারে। কাঁচের বড় পাল্লা খোলা-বন্ধ করা নিয়ে সামনের আসনের লোকটার সাথে একটু ঝামেলা হল। কথা কাটাকাটির মাঝে লোকটা হঠাৎ বলল, “বাঙ্গালী হো না? উঠাকে ফেক দেঙ্গে।” লোকটার যা পালোয়ান মার্কা দশাসই চেহারা, তাতে আমাদের দুজনকে দু’হাতে ঝুলিয়ে তুলে ফেলে দিতে ওর বিশেষ অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। আমি চিরকালের ভীতু; কিন্তু সেই মুহূর্তে কোথা থেকে সাহস এসে গেল জানি না। উত্তর দিলাম, “চেষ্টা করেই একবার দেখ না।” এই সবের মাঝে হঠাৎই বাসের মাঝামাঝি জায়গা থেকে একটা লোক উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের হয়ে কথা বলতে লাগল। এমন অভূতপূর্ব ঘটনায় আমরা অবাক তো হলামই, আমাদের সামনের লোকটা সাংঘাতিক চমকে গেল। এই বার ওই দু’জনের মধ্যে লেগে গেল। না, আমাদের সমর্থনে আসা ভদ্রলোককে দেখে একেবারেই বাঙালী বলে মনে হয়নি। তার পর আস্তে আস্তে এক সময়ে ঝগড়াটা থেমে গেল। কিছুক্ষণ পরে আমাদের গন্তব্য এসে যাওয়ায় আমরা নেমে পড়লাম। আমার একটু ভয় ছিল, নামার সময়ে লোকটা ধাক্কা টাক্কা দেয় যদি। নাহ, তেমন কিছু ঘটল না। লোকটা তাকিয়েও দেখল না, আমরা নেমে গেলাম। তথাগত পরে বলেছিল, “ব্যাটা মনে হয় গুলবুদ্দিন হেকমাতিয়ার।”
     
    গুলবুদ্দিন হেকমাতিয়ার আফগানিস্তানের জঙ্গী রাজনৈতিক নেতা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও বটে। সেই ১৯৯৬ সালে ওনার গোষ্ঠীর সাথে তালিবানদের প্রবল সংঘর্ষ চলছিল। তালিবান যোদ্ধারা ক্রমশঃ ক্ষমতা দখল করে নিচ্ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষে গদিচ্যুত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাজিবুল্লাকে নির্মমভাবে হত্যা করে তালিবান। তাদের শত্রু হেকমাতিয়ার পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কেউ কেউ বলছিল তিনি ভারতে চলে এসেছেন। সেই জন্যই তথা লোকটাকে হেকমাতিয়ার বলেছিল। পরে অবশ্য দেখা যায় তিনি ইরানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
     
    আফগানিস্তানে নাজিবুল্লা সরকার গড়ার পিছনে হাত ছিল রাশিয়ার। ১৯৭৮-এ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ দাউদ খানকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিউনিস্টরা। তার পর চলল গৃহযুদ্ধ, তাতে নাকি কয়েক লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। পরে ১৯৯৬ সালে তালিবান কাবুল দখল করে, আর তাদের গোঁড়া ইসলামী নিয়মনীতি চাপিয়ে দেয় মানুষের ওপর।
     
    আফগানিস্তানের তথাকথিত হেকমাতিয়ার যদি দিল্লিতে আসতে পারে, তাহলে রাশিয়ানরা কি দূরে থাকতে পারে? না না, দূতাবাসের রাশিয়ানদের কথা হচ্ছে না, বলছি এমন এক জনের কথা যাকে পেয়েছিলাম মাণ্ডি হাউস সাত মাথার মোড়ের কাছে ফুটপাথের এক চায়ের দোকানে। না, তিনি সেখানে খেতে আসেননি, ফুটপাথে বসে গরম চা, বিস্কুট ইত্যাদি বিক্রি করছিলেন।
     
    কোনও কারণে ওখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আসছিলাম, হঠাৎ দেখি নীল চোখ, সোনালী চুলের এক সাহেব ফুটপাথের দোকানে বসে চা বেচছে। গায়ে ময়লা হয়ে যাওয়া প্যান্ট-শার্ট, কালো জুতো আর ছেঁড়াখোঁড়া জ্যাকেট। হাতে সময় ছিল, এক গ্লাস চা চাইলাম, হাত বাড়িয়ে এগিয়ে দিল সে। দেখলাম সাহেবের মুখের ফর্সা রঙ রোদে পুড়ে কিঞ্চিৎ বাদামী হয়ে গেছে। দোকানের মালকিনকে জিজ্ঞাসা করলাম, এনাকে কোথায় পেলেন তিনি।
     
    ভদ্রমহিলা বললেন মাস খানেক আগে ফুটপাথ দিয়ে যেতে যেতে সাহেব দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যায়, তাকিয়ে থাকে বিস্কুটের দিকে। “ভাবলাম ওনার খিদে পেয়েছে। কিছু দেব কি না জিজ্ঞেস করায় বললেন পয়সা নেই। বললাম ঠিক আছে, তুমি খাও। পরে পয়সা দিও। পর পর কয়েকটা বিস্কুট খেল, সত্যিই ওনার খুব খিদে পেয়েছিল। সেই থেকে এখানেই আছে, আমাদের সাথেই থাকে, খায়, দোকান সামলায়।” কত মাইনে দেন সাহেবকে? প্রশ্ন শুনে খুব হাসলেন ভদ্রমহিলা, জানালেন টাকাপয়সা কিছুই নেন না উনি, উলটে বরং মাঝে মাঝে দোকানের ক্যাশ বাক্স সামলান।
     
    সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম ইংরেজি বলতে পারেন কি না। হিন্দিতে উত্তর পেলাম “থোড়া থোড়া”। একটু কথা বলতে চাইলে রাজী হয়ে গেলেন। পাশপোর্ট দেখাতেও দ্বিধা করলেন না। সাদিকভ অ্যালবার্ট-এর বয়স ৩৬, বাড়ি উফা শহরে। তবে সেখান থেকে কী ভাবে এলেন, কেনই বা এলেন, দেশে থাকতে কী করতেন, পরিবারে কে কে আছে, সে সব নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইলেন না ভদ্রলোক। নিজেকে ‘পৃথিবীর নাগরিক’ বলে ডাকা সাদিকভ দিল্লি এসেছেন আগস্ট ১৯৯৫-তে, সেখান থেকে গেছেন পন্ডিচেরির অরবিন্দ আশ্রমে। দু মাস পরে ফিরে এসে নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে বসবাস প্রায় এক বছর। কী করে চলত আপনার? হাসলেন তিনিঃ “এই রকমই কিছু ধরে নিন না।” বেশি কিছু জিজ্ঞেস করলেই ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে উত্তর আসে, “টিচার জানেন”। কে এই রহস্যময় শিক্ষক? উপরের দিকে আঙুল তুলে দেখালেন সাদিকভ। এর পর কোথায়? “আমেরিকা যাব।” কবে যাবেন, যাওয়ার খরচ কোথা থেকে আসবে সবই টিচার জানেন। সব কিছুই সেই শিক্ষকের ওপর ছেড়ে দিয়ে দূর দেশের সাদিকভ অ্যালবার্ট দিল্লির ফুটপাথে সসপ্যানে জল গরম করেন, চা বানান, খদ্দের সামলান, বাসন ধুয়ে রাখেন, মালকিনের বাচ্চার সাথে খেলাও করেন। আর দোকানের মালকিন হাতে একটু বেশি সময় পেয়ে ছেলের জন্য সোয়েটার বুনতে থাকেন। দুনিয়া ঘুরতে থাকে আপন তালে।
     
    খলিল জিব্রান বলেছিলেন, “ভুলে যেও না পৃথিবী তোমার খালি পায়ের স্পর্শ পেলে আনন্দিত হয়, আর বাতাস তোমার চুলের মধ্যে দিয়ে খেলে যাওয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকে।” আমরাও কলকাতার মাটি আর বাতাসের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। তবু সেই সুসময় কবে আসবে জানা নেই, রেজাল্ট এখনও বেরোয়নি। দাশগুপ্ত সাহেব বেশ ভয় পেয়ে গেছেন, তাঁর ধারণা ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে যে আমাদের হয়তো আর কলকাতায় ফেরা হবে না।
    ভয় পাওয়া যে কাকে বলে, সেটা অবশ্য টের পেলাম কয়েক দিন পরে বাসে করে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১০ মে ২০২৩ | ১০১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:502:e060:3b4e:e4b:3735:6032 | ১০ মে ২০২৩ ০১:৫৮519631
  • যথারীতি অভিনব। তবে এই পর্বটা একটু যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো। "টিচার জানেন" -- এই সলিড ফেইথ যাঁরা পান, কী করে পান? জানতে ইচ্ছে করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন