এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • বহু জাতি, বহু ভাষা, এক রাষ্ট্র  - স্বাধীনতার পরের কিছু বিস্মৃত টুকরো

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৬০০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে কিছু টুকরো কখনই উচ্চারিত হয়না। সব পক্ষই মোটের উপর চেপে গেছেন, বা ভুলে। সেইসব নিয়েই লিখতে শুরু করলাম। কোনদিক গড়াবে জানিনা। এখনও। বই গুলো ফিরে পড়ছি, আর টুকে রাখছি, এইরকমই, আপাতত।  
     
    ১। স্তালিন

    স্তালিনের মৃত্যুর পরেরদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহরু ভারতীয় সংসদে স্মৃতিচারণ করে লম্বা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেন, যে, স্তালিনের গুরুতর অসুস্থতার কথা যখন কানে আসে, তখন তিনি মস্কোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটা প্রতিবেদন পড়ছিলেন। সেই শেষ সাক্ষাৎকারে স্তালিন কথা বলেছিলেন ভারতের নানা ভাষা নিয়ে। তাদের শতকরা বিন্যাস, প্রভাব, সম্পর্ক, এইসব নিয়ে। এতটাই বিশদে, যে, নেহরু স্তালিনের জ্ঞানে কিঞ্চিৎ বিস্মিতও হন।(১)

    বহুভাষিকতা নিয়ে স্তালিনের এই জ্ঞানগম্যি একেবারেই আকস্মিক কিছু না। কাটাকুটি করে ভারত স্বাধীন হয় ৪৭ সালে, আর স্তালিন মারা যান ৫৩ সালে। এই ছ বছর, ভারতের, এবং সারা পৃথিবীর জাতি-ভাষা সমস্যা নিয়ে স্তালিন ধারাবাহিক ভাবে নির্দিষ্ট কিছু অবস্থান নিয়েছিলেন। আজকে যাঁরা মার্কসবাদ চর্চা করেন, তাঁদের সেই অবস্থানগুলো জেনে রাখা দরকার। ধ্রুপদী মার্কসবাদে একটা ধারণা আছে, যার নাম হল ভিত্তি  বনাম উপরিকাঠামো। মার্কসবাদী চিন্তায় কিছু জিনিস একদম সমাজের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, যেমন অর্থনীতি (আসলে উৎপাদন সম্পর্ক, কিন্তু এখানে অত জটিলতায় ঢোকার দরকার নেই)।  বাকি সবকিছুই, যেমন শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সবই, সেই ভিত্তির ফলাফল, তাদের বলা হয় উপরিকাঠানো। এখনও শুনবেন, বামপন্থীরা বলে থাকেন, মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলো আগে, বাকি সব পরে। এই ধারণাটা আসে ওই ভিত্তি-বনাম-উপরিকাঠামো থেকে। তা, ১৯৫০ সালে "মার্কসবাদ এবং ভাষা সমস্যা" নামে একটা প্রবন্ধে, স্তালিন খুব স্পষ্ট করে লেখেনঃ ১। ভাষাকে ভিত্তি না ভেবে উপরিকাঠামো ভাবাটা ভুল। ২। এরকম গুলিয়ে ফেললে সেটা খুব বড় ভুল হয়।

    এই নিয়ে লম্বা ব্যাখ্যাও দেন স্তালিন। আগ্রহীরা পুরো লেখাটাই পড়ে ফেলতে পারেন।(২) কিন্তু মোদ্দা কথা হল, ভাষা হল মানুষের চামড়া। সেটা শ্রেণীভিত্তির উপর নির্ভর করেনা, সরাসরি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছাপ ফেলে। উপরিকাঠামোর চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত এর প্রভাব। বস্তুত অসীম। এই "বস্তুত অসীম" টা স্তালিনের নিজের কথা, বাকিটা নিজের মতো করে লিখলাম। জিনিসটা খটোমটো লাগলে, আজকের পরিপ্রেক্ষিতে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। স্তালিনের সময় পরিষেবা, শিল্প হিসেবে পরিপক্ক হয়নি, কিন্তু আজ সেটাই একটা বিরাট ব্যাপার। আজ বিদেশের "আউটসোর্সড" কাজ কেউ করতে পারবেন কিনা, সেটা সরাসরি নির্ভর করে তিনি ইংরিজি বা অন্য বিদেশী ভাষা জানেন কিনা, তার উপরে। তার সঙ্গে সরাসরি অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের একটা যোগ আছে। একই ভাবে দেশীয় পরিষেবাকেন্দ্র বা কল-সেন্টারে কারা চাকরি করবেন, সেটা নির্ভর করছে তাঁর ভাষাজ্ঞানের উপর। উত্তর ভারতে সিনেমা-টিভি ইত্যাদি দিয়ে সরকারি উদ্যোগে সরাসরি হিন্দি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, অতএব পরিষেবাকেন্দ্রে শুধু হিন্দি জানলেই চলে যায়। ফলে হিন্দিভাষীরাই এই বিপুল কর্মক্ষেত্রে কাজ পাবেন, বাকিরা পাবেননা। কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে এর সরাসরি প্রভাব বিপুল। ফলে যদি কেউ নিজেকে স্তালিনপন্থী ভাবেন, তো তিনি এই বিষয়টা এড়িয়ে যেতে পারেন না। গেলে, স্তালিনেরই ভাষায়, খুব বড় ভুল হয়।

    এখানেই শেষ নয়, ৫২ সালে, মৃত্যুর কিছু আগে শেষ পার্টি কংগ্রেসের বক্তৃতায়, স্তালিন জাতীয়তাবাদ সম্পর্কেও সুস্পষ্ট মতামত রাখেন।(৩) কোনো অজ্ঞাত কারণে, আজ যাঁরা স্তালিনপন্থী হিসেবে পরিচিতি দেন, তাঁরাও জাতীয়তাকে বুর্জোয়াদের খুড়োর কল ভাবেন, যা আসলে শোষণের কাজে ব্যবহৃত হবে। স্তালিন বলছেন, ওরকম ছিল, একদা। এখন, অর্থাৎ, সেই ১৯৫২ সালেই অবস্থা বদলে গেছে। এখন বুর্জোয়াদের "জাতীয়তা" নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই। নিজেদের জাতির অধিকার এবং স্বাধীনতাকে ডলারের কাঞ্চনমূল্যেই বেচে দেয় তারা। এ পর্যন্ত বেশ চেনা-চেনা লাগে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাহলে জাতীয়তার আর কোনো অর্থ নেই আর? স্তালিন বলেন, অবশ্যই আছে। এবং সেখানেই শেষ নয়, সঙ্গে যোগ করেন, যে, কমিউনিস্ট এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোরই অবশ্যকর্তব্য হল জাতীয়তার পতাকাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা। কারণ, তুলে ধরার আর কেউ নেই।  

    আজকে দাঁড়িয়ে এটা ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। বেচে দেবার ব্যাপারটা আদানি ইত্যাদিকে দেখেই পরিষ্কার বুঝতে পাওয়া যায়। কিন্তু কথা হল ৫২ সালেও পরিস্থিতি আলাদা কিছু ছিলনা। ভারতের ইতিহাস যদি দেখেন, তো বহুপ্রশংসিত দেশোদ্ধারকারী টাটা গোষ্ঠী, চিরকালই ইংরেজের অনুগামী ছিল, স্বাধীনতার যুদ্ধে, এমনকি ন্যূনতম অর্থসাহায্য দিতেও তাদের সমস্যা ছিল। বিড়লা আবার কংগ্রেসকে প্রচুর টাকা দিতেন। কিন্তু সেটা মূলত ইংরেজ টাটার মতো তাঁকে পোষ্যপুত্র রাখেনি বলে। কংগ্রেসকে তিনি ব্যবহার করতেন দর-কষাকষির মঞ্চ হিসেবে। চল্লিশের দশক পর্যন্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, অবস্থা বদলায়। ভারতের স্বাধীনতা অনিবার্য হয়ে ওঠে। তখন টাটা-বিড়লা-ঠাকুরদাস মিলে তৈরি করেন একটা পরিকল্পনা, যার মূল কথা হল, দেশের মাটিতে তাঁদের ব্যবসার একচেটিয়া চাই। ইস্পাহানি ইত্যাদিকে জায়গা দেওয়া যাবেনা। সেজন্য ভারত-ভাগের প্রস্তাবও করেন বিড়লা, আস্ত একটা বই লিখে বিলিও করেছিলেন। সরকারি ভাবে কখনও স্বীকার করা হয়নি, কিন্তু অবিকল সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই দেশভাগ হয়। এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বস্তুত টাটা-বিড়লার বোম্বে পরিকল্পনার হুবহু প্রতিলিপি।

    এসব নিয়ে বিস্তারিত পরেও লেখা যাবে। কিন্তু কথা হল, পুঁজি এবং জাতীয়তার দৌড় নিয়ে স্তালিন ৫২ সালেই যথেষ্ট খবরাখবর রাখতেন। যেমন রাখতেন ভাষা নিয়ে। ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টিগুলো, সিপিআই বাদে, মূলত স্তালিনের সেই মতই এখনও অনুসরণ করে। সামান্য একটু-আধটু বদল সহ। কাজেই কোনো বামপন্থী দলের কোনো সদস্য যদি বলেন, "ধুর-ধুর ভাষা তো মৌলিক সমস্যা না", কিংবা "জাতীয়তা হল বুর্জোয়াদের শোষণের কল", তাহলে নির্দ্বিধায় জানবেন, তিনি না জেনে বলছেন। এবং অবশ্যই এই লেখাটা, সূত্র-টুত্র সমেত তাঁকে পাঠিয়ে দিন।

    (চলবে) 
     
    সূত্রঃ
    ১। https://www.marxists.org/subject/stalinism/1953/stalin.htm
    ২। https://www.marxists.org/reference/archive/stalin/works/1952/10/14.htm
    ৩। https://www.marxists.org/reference/archive/stalin/works/1952/10/14.htm
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৬০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • :|: | 174.251.162.88 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:১৫523281
  • দুটা বেয়াল্লিশ -- আপনিও গোটা বিশ্বকে নিজের দেখাতে পারেন। কেউ কিছু বলবে না। সেই কবে তিনি বলেছেন "স্বদেশ ভুবনত্রয়ম" কিন্তু কেউ পাসপোর্টের প্রশ্ন তোলেনি। 
  • guru | 103.211.133.252 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১২523286
  • @রঞ্জনবাবু 
     
                   দেখুন এই কলকাতা শহরের প্রচুর মাড়োয়ারি ব্যাবসায়ীদের জানি যারা চিনে প্রতি মাসে গিয়ে সেখান থেকে কম দামে প্রচুর জিনিস কিনে এখানে বেশি দামে বেচে | তাহলে কেন আমরা সরাসরি চীনাদের থেকে জিনিস কিনবোনা ?
     
                  অরুণাচল এর ব্যাপারটি হচ্ছে দিল্লীশ্বর দের সঙ্গে পেইচিং (বেজিং নয় পেইচিং) এর জিয়োপলিটিক্স | আমরা বাঙালিরা কেন সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবো ? দিল্লী আর পেইচিং লড়ে লড়ুক অরুণাচল নিয়ে আমরা বাঙালীরা নিজেদের মুনাফা নিয়ে ভাববো না কেন যেরকম মাড়োয়ারিরা ভাবে ? অরুণাচল নিয়ে বাঙালিদের আমি মনে করি নিরপেক্ষ ভাবে থেকে নিজের স্বার্থ দেখা উচিত |
  • এলেবেলে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৫523569
  • //দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, অবস্থা বদলায়। ভারতের স্বাধীনতা অনিবার্য হয়ে ওঠে। তখন টাটা-বিড়লা-ঠাকুরদাস মিলে তৈরি করেন একটা পরিকল্পনা, যার মূল কথা হল, দেশের মাটিতে তাঁদের ব্যবসার একচেটিয়া চাই। ইস্পাহানি ইত্যাদিকে জায়গা দেওয়া যাবেনা। সেজন্য ভারত-ভাগের প্রস্তাবও করেন বিড়লা, আস্ত একটা বই লিখে বিলিও করেছিলেন। সরকারি ভাবে কখনও স্বীকার করা হয়নি, কিন্তু অবিকল সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই দেশভাগ হয়। //
     
    ১. এই বিষয়টা আরও একটু বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইছি। মানে বম্বে প্ল্যান অনুযায়ীই দেশভাগ নাকি বিড়লার লেখা বই অনুযায়ী দেশভাগ? যত দূর জানি, বম্বে প্ল্যান প্রকাশিত হয় ১৯৪৪-এর জানুয়ারিতে মানে তখনও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পুরোদমে চলছে। 
     
    ২. //বিড়লা আবার কংগ্রেসকে প্রচুর টাকা দিতেন। কিন্তু সেটা মূলত ইংরেজ টাটার মতো তাঁকে পোষ্যপুত্র রাখেনি বলে।//
    তাই যদি হয়, তাহলে বেন্থালের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া বিড়লা, ১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইনকে মেনে নেওয়ার জন্য গান্ধী তথা কংগ্রেসকে চাপ দেওয়া বিড়লা (গান্ধীকে না জানিয়ে ভাইসরয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছিলেন, এমনটাও নয়) ব্রিটিশদের পোষ্যপুত্র হবেন না কেন?
     
    ৩.  //এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বস্তুত টাটা-বিড়লার বোম্বে পরিকল্পনার হুবহু প্রতিলিপি।//
     
    এই ছবিটা যদিও কিঞ্চিৎ অন্য কথা বলছে।
  • Sumit Roy | 103.166.166.29 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪১528297
  • ২য় ও ৩য় রেফারেন্স একই হয়ে গেছে। ৩য় রেফারেন্সটা ঠিকই আছে, জাতীয়তারটা, কিন্তু ২য় রেফারেন্সটা ভাষারটা নয়, ওটায় ৩য় রেফারেন্সই বসেছে, মানে জাতীয়তারটা। ওটা যদি ঠিকটা দিতেন ভাল হত।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন