এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শিক্ষক দিবস --  শিক্ষার অর্থ কী?

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩৪৭ বার পঠিত
  • আমাদের দেশে -- ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি জায়গায় -- শিক্ষা হলো প্রধানতঃ চাকরিবাকরি, কাজকর্ম পাওয়ার একটা রাস্তা। এবং মালিকদের ও শাসকদের নির্ধারিত পথ অন্ধভাবে অনুসরণ করার যোগ্যতা অর্জন করা।

    কিন্তু এ শিক্ষা কোনো শিক্ষাই নয়।

    শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হলো যোগ্যতা অর্জন করা, যাতে প্রশ্ন করার, গবেষণা করার, চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা জন্মায়। ক্রিটিকাল থিঙ্কিং অর্থাৎ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করা যায়। কেউ যদি বলে, মহাভারতের সময়েই ইন্টারনেট ছিল, কিংবা গরুর কুঁজে সোনা থাকে, তাহলে মাথা গরম না করে ঠাণ্ডা মাথায় যুক্তি দিয়ে যেন বুঝিয়ে দেওয়া যায় এসব হলো খাঁটি গো-চোনা, যাকে ইংরিজি ভাষায় বলে বুলশিট।
    কিন্তু সেটা করতে গেলে মিথ্যার সঙ্গে সত্যের পার্থক্য খুঁজে বের করার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

    প্রশ্ন করলে, চ্যালেঞ্জ করলে শাস্তি হবেনা কখনো। পরীক্ষায় নম্বর কেটে নেবেনা কেউ। ক্লাসে টিচার সবার সামনে দাঁড় করিয়ে চড় খাওয়াবেনা অন্যদের দিয়ে।

    আমেরিকা, ইংল্যাণ্ড বা ইউরোপ-প্রভাবিত ভারতে মুক্তচিন্তার একটা অবকাশ এতদিন ছিল। ভারতে এখন আর নেই। ফ্যাসিস্টরা দরজায় কড়া নাড়ছে। হিটলারের অনুসারীরা ভারত ধ্বংসের রাজপথে খোলা তরোয়াল হাতে মারো মারো হাঁক দিচ্ছে রোজ।

    আমেরিকায় প্রায় চল্লিশ বছর কাটিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। এবং শিক্ষাব্যবস্থায় মুক্তচিন্তা এবং বাক-স্বাধীনতা থাকার কারণে এমনভাবে ভাবনাচিন্তা করতে শিখেছি, যা দেশে থাকতে কখনো সম্ভব হয়নি। ওখানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে মূলতঃ, ওই যে বললাম, অন্ধভাবে ইন্সট্রাকশন ফলো করার শিক্ষা।

    কিছু ব্যতিক্রমী শিক্ষক ও শিক্ষিকা অবশ্যই আমরা পেয়েছি। যাঁরা সিলেবাসের মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ রাখেননি। ক্লাসরুমে এসে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে গানের লড়াই খেলা খেলেছেন। সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতা শিখিয়েছেন। কেমিস্ট্রি পড়াতে এসে টাইম মেশিনের গল্প বলে শুনিয়েছেন। মনের দরজা খুলে দিয়েছেন তাঁরা।

    কিন্তু এডুকেশন সিস্টেমটাই ছিল সিলেবাস-কেন্দ্রিক। এবং শাস্তিকেন্দ্রিক। যাকে ইংরিজিতে বলে পিউনিটিভ। প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য রক্তচক্ষু চারদিকে ঘুরে বেড়াতো। বাড়ির মধ্যে, রাস্তায়, সমাজে, স্কুলে, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে। ছেলেদের জন্যে একরকম শাস্তি। মেয়েদের জন্যে আর একরকম।

    পরীক্ষার ভীতির মধ্যে আমরা বড় হয়েছি। এবং অতি প্রাচীনপন্থী, বাজে সিলেবাস। যেখানে বাংলা টেক্সট বইতে পনেরোটা পীসের মধ্যে ছটা রবীন্দ্রনাথ, তারপর শিবনাথ শাস্ত্রী, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, ইত্যাদি। তাঁদের নমস্কার জানিয়েও বলছি, গুরুদেবরা, আপনারা বিলক্ষণ জ্ঞানী মানুষ। আমাদের সৌরজগতের জ্যোতিষ্ক। কিন্তু শিশু মনের, কিশোর কিশোরী, বালক বালিকার মনের ফান আপনারা কিছুই জানতেন না।

    এবং আপনাদের অন্ধভাবে অনুসরণ করা ওই শিক্ষাব্যবস্থার কর্তারা। শিক্ষা যে পরীক্ষাভীতি নয়, আর কেবল জ্ঞানের বাণী নয়, তা আপনারা বোঝেন নি।

    আমাদের বাংলা বইতে একটা শিবরাম, একটা টেনিদা, একটা লীলা মজুমদার, পরশুরাম, আর একটা সত্যজিৎ রায় অবশ্যই থাকা উচিৎ ছিল। থাকেনি।

    মুসলমান লেখকদের, প্রান্তিক জাতির লেখক কবিদের রচনা অবশ্যই থাকা উচিৎ ছিল। কখনো থাকেনি। তাই আমরা তাঁদের কখনো সম্মান করতেও শিখিনি।

    সত্যি কথা বলতে আমেরিকায় এসে প্রথমে বিজ্ঞান এবং তারপর হিউম্যানিটিজ নিয়ে পড়াশোনা করে, এবং বহু বছর পড়িয়ে রপ্ত করেছি শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য।

    আমার গুরু নোম চমস্কি, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিক্টর নাভাস্কি এবং জেমস ক্যারি, সাদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটির ল্যারি ম্যাটেন এবং বারবারা স্টটলার -- এঁদের কথা আজ খুব বেশি মনে পড়ে। শিক্ষক দিবস বলে যদি কিছু পালন করতেই হয়, সেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনে করবো, যাঁরা শুধু উৎসাহিত করেছেন।

    যাঁদের সঙ্গে ভুল ইংরিজিতে কথা বলতেও কখনো ভয় করেনি।

    যাঁরা বলেছেন, এগিয়ে যাও। প্রশ্ন করো। চ্যালেঞ্জ করো। যাঁরা বলেছেন, আর যাই করো, আমার সঙ্গে কথা বলতে এসে পায়ে লুটিয়ে পোড়োনা। ওসব আমরা পছন্দ করিনা। এমন কি, আমাদের নাম ধরেও ডাকতে পারো।

    জগদ্বিখ্যাত দার্শনিক নোম চমস্কি আমাকে বলেছেন, পার্থ, আমাকে প্রফেসর চমস্কি বলে ডেকোনা। ওসব কলোনিয়াল সেন্টিমেন্ট আমার ভালো লাগেনা।

    তাঁকে গত দশ বছর ধরে নোম বলেই ডেকে এসেছি।
    ____________
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হেহে | 162.245.239.130 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১০523393
  • পোল্টিকে ওর আম্রিগান বাপেরা পয়সা দিচ্চে না, গ্রেজুয়েট স্টুডেন্ট জোটাতে পারছে না বলে ডিসিকে ধরে বেগার খাটিয়ে নিতে চাইছে!
  • dc | 2401:4900:2318:1c77:7191:e7bf:dc10:6a72 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১২523395
  • এরকম কমেন্ট না করলে ভালো হয়। 
  • Bratin Das | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১২523394
  • পপুলেশন কে নরম্যাল কেন হতে হবে ?
     
    সেইজন্যে ই তো১ ৫০ বছরের <Regression> , <Logistic Regression> , Fisher's LDA> ছেড়ে আমরা 
     
    সেদিকে ঝুঁকলাম যেখানে< Underlying distribution টা matter করে না 
  • r2h | 208.127.71.79 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৪523396
  • হিসেবটা খুব জটিল হয়ে গেল।

    ধরা যাক আমেরিকায় তেত্রিশ কোটি লোক। তার মধ্যে পাঁচ কোটি ভারতীয় (ওয়ার্ক ও ফ্যামিলি ভিসা এবং ন্যাচারালাইজড)।
    সেই পাঁচ কোটির মধ্যে তিন কোটি রোজগার করে এবং পরিবার বা হাউসহোল্ডের সংখ্যা চার কোটি।
    হিসেবটা এইসব ফ্যাক্টরের ওপর হওয়া উচিত না?

    কে কোথায় থাকে, কার কী ডিগ্রি - সেসব তো অন্য দিকে চলে গেল। মানে, ভারতীয় আমেরিকান অভিবাসী পুরনো আমেরিকানের তুলনায় বেশি সচ্ছল কিনা, তার হিসেবে এসব কেন আসবে বুঝলাম না। কোথায় থাকাটা একেবারেই লাইফস্টাইলের ব্যাপার। দুলাখ রোজগার করে আড়াই লাখ খরচ করলে সেটা পঞ্চাশ হাজার রোজগার করে তিরিশ খরচ করার থেকে খারাপ থাকা, কিন্তু রোজগারটা বেশি সেটাও বাস্তব।
    আর ডিগ্রির হিসেবটা হল, 'সমপর্যায়ের' আমেরিকানের তুলনায় সচ্ছল কিনা।
  • dc | 2401:4900:2318:1c77:1c60:179f:5190:b971 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১২523398
  • ব্রতীনবাবু, হ্যাঁ, ডিসট্রিবিউশান ফ্রি মডেলও বানানো যায়। এখানে যেহেতু প্রথমদিকে রিগ্রেশান মডেল নিয়ে কিছু কথা হয়েছিল, তাই আলোচনাটা ওদিকে ঘুরে গেছে। নাহলে খুব সিম্পল টেস্ট হলো প্রতিটা গ্রুপের আলাদা আলাদা মুড মেডিয়ান টেস্ট বা ম্যান হুইটনি টেস্ট করে দেখা ডিফারেন্সগুলো সিগনিফিক্যান্ট কিনা। 
     
     r2h, নানান লেভেলে অ্যানালিসিস করা যায়। সব ভারতীয় আর সব সাদাদের নিয়ে দেখা যায়, যেমন আপনি বললেন। আবার পলিটিশিয়ান যেমন বলেছেন, প্রতিটা ডেমোগ্রাফিক গ্রুপ ম্যাচ করে করে দেখা যায়। তখন ডিগ্রি, এজ, গেন্ডার, এক্সপি, লোকেশান ইত্যাদি ইত্যাদি নানাভাবে স্লাইস করা যায়। 
     
    এই সব আর কি। 
  • Bratin Das | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:১৭523400
  • ম্যান হুটিননি কেন?
     
    বাংলা যদি   Random Forest হয়?
     
    Internally algo চালিয়ে < mtree>  অনুযায়ী  বেস্ট ফ্যাক্টর  গুলো তুললো। তারপরে bagging technique. Major's vote....
  • Bratin Das | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:২৮523401
  • সেক্ষেত্রে  ক্ল্যারিফিকেশন  হিসাবে  প্রবলেম টা ফর্ম করতে হবে।
     
    ভারতীয়  বনাম আমেরিকান
     
    Row sampling এবং Column sampling with replacement ব্যাগিং এর সময়
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:509f:56ae:643b:98fc | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৪৯523402
  • কোথায় থাকে, ডিগ্রী, কোন কলেজ থেকে ডিগ্রী, কোন বিষয়ে ডিগ্রী এসবের সাথে আয়ের স্ট্রং এমপিরিক্যাল ও কজাল রিলেশন আছে। তাই স্ট্র্যাটিফিকেশনের জন্য ওগুলো দরকার। নইলে পিয়ার গ্রূপ ঠিক হবেনা।
  • dc | 2401:4900:2318:1c77:2080:bf70:a0de:e67f | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৬523404
  • বাঃ ব্রতীনবাবু একেবারে আমার পাউরুটি আর মাখন এর জায়গায় ঢুকে পড়েছেন। র‌্যান্ডম ফরেস্ট আর বাওবাব ট্রি! :-)
  • guru | 103.175.62.251 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০০523476
  • একটা প্রশ্ন | "ভারতীয়" খুবই জেনেরিক একটা ক্লাসিফিকেশন | এতো বড়ো দেশের মধ্যে সব এথনিক কমুনিটির ইনকাম কি আমেরিকাতে একই ? পাঞ্জাবি গুজরাটি বিহারি তেলেগু তামিল কানাড়া মারাঠা বাঙালী এদের ইনকাম তো ভারতেই এক নয় তাহলে আমেরিকাতে কি একই হবে তাদের ইনকাম ?? এই ব্যাপারটি একটু এক্সপ্লেইন করলে ভালো হয় |
  • র২হ | 2607:fb91:ded:8caf:6cfa:8062:4875:8b08 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১৪523479
  • একই কেন বা কী করে হবে? কিন্তু যেহেতু রোজগেরে ভারতীয়দের অধিকাংশ আমেরিকাতে ওয়ার্ক ভিসায় যায় তাই তাদের আয়ের একটা নিম্নসীমা আছে, কী কী ধরনের কাজ করতে পারবে তারও বিধিনিষেধ আছে।
  • দীপ | 42.110.146.101 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪523706
  • দীপ | 42.110.146.101 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪523707
  • শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি!
  • দীপ | 2401:4900:3fcb:9da8:679b:2764:ae76:7fa2 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৩৫523723
  • পশ্চিমবঙ্গের সিনেমাতে মুসলমান অভিনেতা অভিনেত্রী থাকেনা কেন, এই প্রশ্ন উত্তম সুচিত্রার যুগেও কেউ করেনি, আর আজ তো করবেই না। বলবে, ওই তো নুসরাত আছে, জয়া আহসান আছে। আসলে কেউ নেই। আকাশবাণী রেডিওর মতো সরকারি মিডিয়াতে কেন কেবল হিন্দুধর্মের অনুষ্ঠান হয়? সংগীতাঞ্জলি, কিংবা মহিষাসুরমর্দিনী। কোনোদিন আকাশবাণীতে মুসলমান, খৃস্টান, বৌদ্ধ বা অন্য কোনো ধর্মের অনুষ্ঠান শুনেছেন? আমি শুনিনি। প্রাইমারি স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত বাংলা পাঠ্য সিলেবাসে কজন মুসলমান লেখক লেখিকার গল্প বা কবিতা পড়েছেন? শুধু মুসলমান নয়। দেশজ, আঞ্চলিক বা আদিবাসী — কোনো সম্প্রদায়ের কোনো সাহিত্য আমরা কখনো পড়িনি। অর্থাৎ, শৈশব থেকে আমাদের মগজধোলাই করা হয়েছে যে উচ্চবর্ণের বা উচ্চশ্রেণীর হিন্দু (৯৫% পুরুষ) — যেমন বিভূতিভূষণ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম থেকে বুদ্ধদেব বসু, সুনীল, নীরেন্দ্রনাথ, এবং “হিন্দুর মতো যারা” — যেমন রবীন্দ্রনাথ বা শিবনাথ শাস্ত্রী — তাঁরাই শ্রেষ্ঠ সাহিত্য, আর এছাড়া কোনো সাহিত্য নেই। পড়ার কোনো দরকার নেই। ওই টোকেনের মতো দু একটা নজরুল, জসিমুদ্দিন, ওয়াজেদ আলীর একটা খুব সাধারণ লেখা, আর এদিক ওদিক একটা মুজতবা আলী ইত্যাদি। সম্পূর্ণ শিক্ষাজগৎ, মিডিয়াজগৎ আর বিনোদনের জগৎ পশ্চিমবঙ্গে ১৯৪৭ বা তারও আগে থেকেই উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষপ্রধান। মানুষের মন ও মগজ জানেই না এবং ভাবতেই পারেনা এ এক অবিশ্বাস্য আধিপত্যবাদ। সুতরাং, আজকে হিন্দুত্ব ফ্যাসিজম ও ঘৃণা হিংসা এতো মাথা চাড়া দিয়েছে রাতারাতি নয়। দীর্ঘকাল ধরেই এই বীজ পোঁতা আছে মাটিতে। এমন কী বামফ্রন্টের, কমিউনিস্ট পার্টির তিনদশকেও টপ লীডার প্রায় সবাই উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষ। পরিবর্তনটা আসবে কোথা থেকে?
     
    লিখেছেন পার্থ ব‍্যানার্জী নামে এক বিশিষ্ট প্রবাসী বাঙালি।
  • দীপ | 2401:4900:3fcb:9da8:679b:2764:ae76:7fa2 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৪৮523724
  • দাদা আমাদের বাংলা সাহিত্য পড়েন না, হিন্দু-মুসলমান পড়েন! 
    তা দাদার দাবীটা কি? মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে? 
    বাংলা সাহিত্যের ক্লাসে বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, মানিক, আশাপূর্ণা দেবী, মহাশ্বেতা দেবীর লেখা পড়ানো চলবে না? 
    দাদা আগে আর এস এসের ল্যাজ ধরে ঝুলতেন, এখন আবার অন্য ভেক ধরেছেন! 
     
    বহুরূপে সম্মুখে তোমার......
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f628:503c:ac93:88e8 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:৪১523725
  • দীপ | 42.110.147.149 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৩523950
  • দীপ | 42.110.147.149 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:২৬523951
  • আজ সারদা মিশন পরিচালিত মহাবিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন শিক্ষক দিবস রূপে পালিত হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন