এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এগারোই সেপ্টেম্বরের ব্যক্তিগত স্মৃতি। এবং কিছু জানা-অজানা কথা।  

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৭০ বার পঠিত
  • যাঁরা এখনো মনে রেখেছেন, তাঁদের জন্যে। আমরা কখনো ভুলতে পারিনি, কারণ বড্ড বেশি রিয়েল, র আর রাফ ছিল সেই দিনটা। এখানে এই নিউ ইয়র্কে। 

    এই নিয়ে অনেক লিখেছি। কিন্তু মনে হয় গুরুচণ্ডালির পাঠক পাঠিকাদের জন্যে লেখা হয়নি। তাই আজ একটু লিখলাম। 
     
    আমি তখন নিউ জার্সিতে মেডিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতাম পারসিপেনি বলে একটা জায়গায়। দু হাজার সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজমের ডিগ্ৰী করে বেরোনোর পর সেই চল্লিশ বছর বয়েসে কে আমাকে আর হঠাৎ কাজ দেবে? তাই পুরোনো সায়েন্সের ডিগ্রী আর লেখার দক্ষতার ওপর ভিত্তি করেই কাজ খুঁজে নিতে হলো। নিউ ইয়র্ক শহরে ভদ্রভাবে ফ্যামিলি নিয়ে বাঁচতে গেলে ভালো কাজ একেবারে জরুরি। 
     
    এখানে বাঁচার খরচ বড্ড বেশি। 

    আমি সকাল সাতটায় গাড়ি নিয়ে ব্রুকলিন থেকে বেরিয়ে যেতাম, আর দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করে সাড়ে আটটার সময়ে আমার অফিসে গিয়ে পৌঁছতাম। ফেরার সময়ে রাশ আওয়ারে দুই বা আড়াই ঘন্টাও লেগে যেত। 

    আমার স্ত্রী সেই সময়টা বাড়িতেই থাকতেন। অলব্যানি থেকে নিউ ইয়র্কে আসার পর নতুন শহরে নতুন কাজ খুঁজে নিতে একটু সময় লাগছিলো। সেই সময়ে আমাদের কন্যা যাতে এই টাফ পরিবেশে এসে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, এবং একটা ভালো হাই স্কুলে ভর্তি হতে পারে, তার জন্যে মেয়ের সঙ্গে ঘরে থাকার প্রয়োজন ছিল। 
     
    হয়তো জানেন না, নিউ ইয়র্কে যেমন দারুণ ভালো ভালো স্কুল আছে, তেমনি আবার একেবারে শোচনীয়, বিপর্যস্ত অবস্থার স্কুলও অনেক আছে। তার সংখ্যাই বেশি। ঠিকমতো পরিবেশে মানুষ না করতে পারলে, এবং ভালো স্কুলে না যেতে পারলে নিউ ইয়র্কে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ড্রাগ, বন্দুক, জেল। স্কুল টু প্রিজন পাইপলাইন। 

    আমাদের মেয়ে খুব প্রতিযোগিতামূলক একটা ভর্তির পরীক্ষা দিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরের নামকরা সরকারি স্কুল স্টাইভেসেন্টে ভর্তি হয়ে আমাদের নিশ্চিন্ত করেছিল। 

    এগারোই সেপ্টেম্বর, দুহাজার এক সাল। মঙ্গলবার। 

    ঠিক আগের সপ্তাহে নতুন স্কুলবর্ষ শুরু হয়েছে। আমি প্রথম দু একদিন মেয়ের সঙ্গে সাবওয়ে ট্রেনে করে গিয়ে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে এসেছি। বোধহয় আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। এবং তারপর সোমবার সে নিজেই গেছে স্কুলে। মঙ্গলবারও। আমি সকালে গাড়ি চালিয়ে চলে গেছি নিউ জার্সি। 

    নটার একটু পরেই আমাদের কাজের জায়গায় একটি মেয়ে বললো, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ওপরে নাকি একটা প্লেন আক্রমণ করেছে। এখনো ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা আসল ব্যাপারটা কী। টিভিতে কিছু দেখাচ্ছে না। আরো পনেরো কুড়ি মিনিট পর থেকে আসল ব্যাপারটা জানতে পারা গেলো। এবং ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা সবাই হতচকিত হয়ে পড়লাম। এ কী ব্যাপার! তারপর শুরু হলো টিভিতে একটানা ঘটনার বর্ণনা। টিভি স্ক্রীনে নিচের দিকে স্ক্রোল করে যেতে লাগলো ধারাবাহিক বর্ণনা। এবং একটু পরেই এক এক করে দুটো টাওয়ার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো। অবিশ্বাস্য ধুলোর ঝড়। একটানা অ্যামবুলেন্স, পুলিশের নানারকম গাড়ি, এবং ফায়ার ইঞ্জিনের নিরবচ্ছিন্ন সাইরেন। ঘটনার বীভৎসতায় আমরা সবাই স্তম্ভিত। 

    এর পরে প্রথমেই যেটা মনে হলো, তা হলো, আমার মেয়ে কোথায় গেলো? সে নিরাপদে আছে তো? কিন্তু তা জানার আর কোনো উপায় নেই। সেল ফোন কাজ করছেনা, টিভিও মাঝে মাঝেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবার চালু হলেও স্টাইভেসেন্ট হাই স্কুল সম্পর্কে কোনো খবর আমরা পাচ্ছিনা। আমি বাড়িতে বারবার ফোন করে খোঁজ নিচ্ছি আমার স্ত্রীর কাছে। সেও উৎকণ্ঠা, উদ্বেগে আকুল। মেয়ের নতুন বন্ধুদের দু একজনের বাবামায়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল গত কয়েক মাস ব্রুকলিন অঞ্চলে থাকা এবং ক্লাস এইটে শেষের কয়েকটা মাস পড়ার সুবাদে নতুন শহরের সঙ্গে একটু পরিচিতি। আমরা সেই অভিভাবকদের ফোন করছি। তারাও কিছুই জানেনা। এইভাবে কেটে গেলো দুপুর বারোটা অথবা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।  

    আমি এর মধ্যে আমার পুরোনো দু একজন সহকর্মী -- যারা ম্যানহ্যাটানে কাজ করতো -- তাদের ইমেল করেছি। কার্ট এপস্টাইন বলে আমার এক প্রাক্তন সহকর্মী ছিল তাকে লিখলাম, “ব্রাদার কার্ট, তুমি একটু খোঁজ নেবে স্টাইভেসেন্টের কী অবস্থা? ওখানকার ছেলেমেয়েরা কেমন আছে? আমার মেয়েও ওখানে আটকে গেছে মনে হয়। তুমি একটু দেখবে?”

    কার্ট চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওকে পুলিশ ওই এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। কারুকেই ঢুকতে দিচ্ছিলনা। সে জায়গা ততক্ষণে একেবারেই যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। 
     
    ধোঁয়া এবং ধুলোর ঝড়। মানুষ দিশেহারা হয়ে, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পালাচ্ছে। চতুর্দিকে বিষাক্ত একটা গন্ধ। বাতাসে হাজার বিষাক্ত, ভয়ঙ্কর রাসায়নিক পদার্থ ভেসে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যেই পুলিশ, মিলিটারি, ফায়ারফাইটাররা, মেডিকেল কর্মীরা, এবং অগণিত স্বেচ্ছাসেবক দৌড়োদৌড়ি করছে। মৃতদেহ বয়ে বয়ে নিয়ে আসছে অনেকে।

    আহত অসংখ্য। মুখ থেকে পা পর্যন্ত ছাইতে ঢাকা পুরুষ ও নারীর দল ছুটোছুটি করছে। কেউ কেউ চীৎকার করে কাঁদছে। কেউ কেউ অভিশাপ দিচ্ছে। আর কেউ বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে। 

    এসব অবশ্য আমি নিজের চোখে দেখিনি। কার্ট কিছুটা বলেছিলো। আর বাকীটা শুনেছি আমার মেয়ের কাছে, অনেক পরে। 

    আমার মেয়ে নিজের চোখে তার নতলার কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি থেকে দেখেছিলো, অসহায় মানুষরা সব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একেবারে উপর থেকে লাফিয়ে পড়ছে। সেসব দৃশ্য দেখে তার কয়েকজন বান্ধবী ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছিল। কয়েকজন স্কুল ছেড়ে দিয়েও চলে গিয়েছিলো।

    প্রথম টাওয়ার আক্রান্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে আমরা প্রথম টিভিতে খবর পেলাম, স্টাইভেসেন্টের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলে নিরাপদে আছে। কিন্তু আমার মেয়ে ও তার বন্ধুদের কাছে আমরা জেনেছি, এতো বড় স্কুলের প্রায় বারোশো ছাত্রছাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে -- ইভ্যাকুয়েট করার জন্যে -- কোনো সরকারি ব্যবস্থা ছিলনা। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেউ বলতে গেলে তাদের কথা তেমন করে ভাবেই নি। সে সময়ে ওদের স্কুলে ট্রিয়াজ সেন্টার করা হয়েছে। অর্থাৎ, আহত ও পঙ্গু মানুষদের নিয়ে এসে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলের স্টুডেন্টদের বলে দেওয়া হলো, তোমরা দল বেঁধে উত্তর দিকে হাঁটতে থাকো। অর্থাৎ, সামনেই ঘটতে থাকা নারকীয় অবস্থা থেকে যতটা সম্ভব দূরে চলে যাওয়া যায়। ব্যস, এই পর্যন্ত। 

    আবার আমরা মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেললাম। আসলে, সকালের পর থেকে কোনোভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কোনো ফোন কাজ করছিলো না। এসব ঘটনা আমরা পরে জেনেছি। 

    রাত দশটার কিছু পরে আপাদমস্তক ধুলোমাখা আমাদের মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পাঁচ মাইল হেঁটে, কিছুটা এক বান্ধবীর মায়ের গাড়িতে, হেঁটে ব্রুকলিন ব্রিজ পার হয়ে -- বাড়ি ফিরে এলো তার মায়ের কাছে। 

    আমি সেদিন নিউ জার্সি থেকে বাড়ি ফিরে আসতে পারিনি। সব ট্রেন, সব যানবাহন সম্পূর্ণ বন্ধ। একদিন এক সহকর্মীর বাড়িতে কোনোরকমে রাতটা কাটিয়ে পরের দিন দুপুরবেলা ব্রুকলিন ফিরে এসেছিলাম। গাড়ি রেখে এসেছিলাম সহকর্মীর বাড়িতেই। গাড়ি নিয়ে নিউ ইয়র্কে ঢোকা আমার মতো একজন “আরব-জাতীয়-দেখতে” লোকের পক্ষে মোটেই নিরাপদ ছিলনা। 
     
    "মুসলমান-মুসলমান চেহারার লোক" আমরা। শিখদের পর্যন্ত মারছে ধরে ধরে। 

    একদিন ছুটি দিয়েছিলো আমাদের মেডিকেল রাইটিং কোম্পানি। আহা, কী বদান্যতা। ভাবলেই চোখে জল আসে আজও। 

    নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির সদাশয় সরকার বাহাদুর ট্রেন ও বাসের ভাড়া মকুব করে দিয়েছিলেন কয়েকদিনের জন্যে। 

    আহা, কী বদান্যতা। ভাবলেই চোখে জল আসে আজও। 

    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৩523510
  • আপনাদের ওখানে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ইস্কুলে ভর্তি হতে হয়? ভালো ইস্কুল খারাপ ইস্কুল এরকম বিভাজনও আছে?
    আমাদের এদিকে কিন্তু বাড়ির নিকটতম সরকারি ইস্কুলেই ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক। সবটাই অবৈতনিক। ইস্কুল মোটামুটি হেঁটে পৌঁছনোর দূরত্বে থাকে শহরে। আপনাদের অতবড় নিউইয়র্ক শহরে ইস্কুল পাঁচমাইল দূরে? শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকার নয়? যত জানছি তত তাজ্জব হচ্ছি। উন্নত দেশের ইস্কুল শিক্ষার এই নমুনা!
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৫523511
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাও প্রায় অবৈতনিক এদিকটায়। তবে সেখানে নিজস্ব পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
  • :|: | 174.251.162.60 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫০523512
  • মৌলিক অধিকার হলেও জারমানিতে শুনেছি ইস্কুল ঠিক করে দেয় কে কোন বিষয় পড়বে। অবিভাবক তো দূরের কথা ছাত্রছাত্রীদের পছন্দই/মতামতই কাউন্টেড হয়না। তথাকথিত "লোপ্রোফাইল" পরিবারের কিশোর কিশোরীদের হাবাজাবা বিষয় গছিয়ে দেওয়া হয়। ইউক্রেনাগত শরণার্থীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এইসব দেখার পর এবং নিজের বাচ্চাটির একই ব্যাপার লক্ষ্য করার এক পরিচিত মেয়ের স্কুলিংয়ের জন্য বিশেষ করে সে যাতে নিজের পছন্দের বিষয় পড়তে পারে সেজন্য কার্য সূত্রে জারমানি গিয়েও আমেরিকায় ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি। যাঁরা থাকেন তাঁরা নিশ্চয়ই আসল ঘটনা আরও ভালো বলতে পারবেন।   
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৩523513
  • জারমান ভাষা তো শিখতে হবে। ওখানে ইংরিজি চলবে না ইস্কুলে। তারপরে কে কোন বিষয়টা তাড়াতাড়ি নিতে পারছে, অকৃতকার্য হচ্ছে কি না, সেসব তথ্য জানলে তবেই মূল কারনটা জানা যায়। ভাষাটা ইংরিজির তুলনায় রপ্ত করা একটু শক্ত, স্ট্যান্ডার্ডও একটু হাই। পাশ না করলে  ওরকম অনেকেই বলে। এ গল্প নতুন কিছু নয়। উঠোন নিয়ে কী একটা প্রবাদ আছে না? সেইটা। কম তো দেখলাম না।
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩২523514
  • প্রচুর রিফিউজি যায় জারমানিতে। আমাদের এখানেও একটা বিরাট ওয়ার্কফোর্স রিফিউজি। তামিল রিফিউজিরা সংখ্যায় অনেক। তাদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাশ করে করে সুপ্রতিষ্ঠিত। মন দিয়ে পড়াশুনো করলে, একটু বেশি এফর্ট দিয়ে ভাষাটা শিখলে তো আখেরেই সুফল। আবার সুযোগ পেয়েও অনেকে হেলায় সে সুযোগ হারায়। বাড়িতে যদি পড়াশুনোর পরিবেশ না থাকে, বাপ মা ঝগড়া মারপিট করে, এমন ঘটনার উদাহরণ তো আগে দিয়েছি একটা বাংলাদেশি পরিবারের, তাহলে ছেলেমেয়েও পড়াশুনোর থেকে অন্যদিকে মন দেবে, ইস্কুলও নাম কাটিয়ে অনয ইস্কুলে এনরোল করিয়ে দেবে। তবে মূল কথা একটাই, যোগ্যতা না থাকলে হবে না। ভাষা শিখতেই হবে, পড়াশুনো মন দিয়ে করতে হবে। ঐটাই আসল। পড়াশুনো সম্পূর্ণ অবৈতনিক। তাছাড়া স্ট্যান্ডার্ড যথেষ্ট হাই। সেদিকটায় অবহেলা করলে চলবে না।
  • :|: | 174.251.162.60 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৫523515
  • পড়া লেখায় ভালো। উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান। জানিনা জারমান পিকআপ কতটা করতে পেরেছিলো। কিন্তু অত ছোটো বেলাতেই ইস্কুল কেন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে যে এক বছর কোনও কারণে অঙ্ক ভালো পারছে না বলে সে বেচারী আর জীবনেও বিজ্ঞান পড়তে পারবে না। তাকে কাঠমিস্ত্রী হয়ে থাকতে হবে! স্কুল মানুষই ​​​​​​​চালায়। ​​​​​​​জগতে ​​​​​​​পক্ষপাত ​​​দোষহীন ​​​​​​​হওয়াও ​​​​​​​এত ​​​​​​​সোজা ​​​​​​​না। ​​​​​​​কম ​​​​​​​কি ​​​​​​​আর ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​হলো? 
    ডি: বিষয়গুলি জাস্ট উদাহরণ স্বরূপ বললাম। ভালো খারাপ হিসেবে না। উল্টোপাল্টা করে নিলেও মানেটা একই থাকবে -- পছন্দের বিষয় পড়ার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। 
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৯523516
  • জারমানিতে ক্লাস ফাইভ থেকে গিমনাজিউম শুরু হয়। ঐ বাচ্চাটির বয়স আমার জানা নেই। যত বাচ্চা বয়স, ভাষা তত তাড়াতাড়ি পিকআপ করবে এটাই স্বাভাবিক। যদি ক্লাস ফাইবে ছুতোরমিস্ত্রির গ্রুপে ঢোকায় ( সম্পূর্ণ মিথ্যা, ঐ ক্লাসে ওভাবে ঢোকায় না) তাহলে কবছরের মধ্যেই সে ফল ভাল করে আবার বিষয় পরিবর্তন করতে পারে। গার্জেনরা মিথ্যা বলছে।
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪২523518
  •  
    এটা জারমানির
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৬523519
  • এইটে আমাদের কান্টনের ইস্কুল ও পরবর্তী শিক্ষার টাবলো।
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৯523520
  • পথ খোলা থাকে সকলের জন্য। কারো সময় ও চেষ্টা বেশি লাগবে। কারো সময় কম লাগে। যার যেমন যোগ্যতা। সকলের তো বুদ্ধি বা যোগ্যতা বা ধৈর্য সমান হয় না।
  • যোষিতা | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০২523521
  • আমার দেশে ইস্কুলে শুটিং হয় না, কোত্থাও মেটাল ডিটেক্টর থাকে না।
  • :|: | 174.251.162.60 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৩৪523527
  • অর্থাৎ আমার ভালো লাগে বলেই আমি ইচ্ছে মতো বিজ্ঞান পড়ে থাড্ডিভিশন বা সাপ্লিসহ পেতে পারিনা। আমাকে যোগ্যতা প্রমান করতে হবে। এমন স্কুল থাকতে বন্দুকের কী দরকার? 
    যাগ্গে ডায়াগ্রামগুলি দেবার জন্য ধন্যবাদ। জারমান তেমন বুঝিনা তাই যদিও লেখাটেখা পড়তে পারিনি বা বুঝতে পারিনি তবু আপনার বোঝাবার সৎ প্রচেষ্টাটা প্রশংসাযোগ্য। অনেক ধন্যবাদ জানবেন। নমস্কার। 
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৫২523528
  • "অর্থাৎ আমার ভালো লাগে বলেই আমি ইচ্ছে মতো বিজ্ঞান পড়ে থাড্ডিভিশন বা সাপ্লিসহ পেতে পারিনা। "
    এক্কেবারে ভুল। পারেন। সেই পথই দেওয়া আছে টেবিলে। অর্থাৎ একটু সময় বেশি নিয়ে। আপনি টেবিলটা বোঝবার চেষ্টা করুন, শক্ত কিছুই নয়। কেবল অনুবাদ করবার কষ্টটা করতে হবে। সেটা আপনার মর্জি, আপনি না পড়েই কেমন করে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে বুঝে নেবেন তার ওপরে।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:০৭523529
  • আমাদের এখানে নব্য আগত ইন্ডিয়ানরা (কেউ আমেরিকা কেউ ভারত থেকে) সপরিবারে যখন আসে চাকরি করতে, মানে উচ্চশিক্ষিত আইটিগাইজ, তারা যখন শোনে যে বাড়ির নিকটতম ইস্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করতে হবে, তখন "ভালো ইস্কুল" এর নিকটবর্তী অঞ্চলে ঘর ভাড়া নেবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সে কী নাপানাপি! অথচ ভালো ইস্কুল কনসেপ্ট এখানে নাইরে নাইরে নাই। কেউ কেউ তিন বছরের বাচ্চাকেও ভালো স্কুলে ভর্তি করবার চেষ্টায় ছটফটিয়ে মরে। তাদের বোঝালেও বুঝতে পারে না। ছবছরের আগে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করানো যাবে না শুনলে বাপমা হতাশায় ভোগে এমন কেসও আছে। জীবনের দুটো তিনটে বছর স্কুলে না গিয়ে বাচ্চাগুলোর কী ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা ভেবে ভেবেই এদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। বাড়িতে বাচ্চাদের সঙ্গে ইংলিশে কথা বলে। অথচ এখানে সবসময় রেকমেন্ড করে বাচ্চাকে চাপ দেবেন না, মারধোর করবেন না, বাড়িতে মাতৃভাষায় কথা বলুন। বাচ্চাকে প্যাঁদানোর খবর ইস্কুলে পৌঁছলে বাচ্চার ওপর অধিকারও হারাতে পারেন। অতয়েব সাধু সাবধান! এসবখানে হোম স্কুলিং নাই। বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে গেছে এমন ঘটনাও আছে। ফিরিয়ে আনতে অনেক দাসখত ও মুচলেকা দিতে হয়। ভারতীয় শিশু আবার নিজের ইচ্ছেয় কোনকালে ভবিষ্যৎ ঠিক করবার অধিকার পেয়েছে? আজব কথা শুনছি।
    আর রিফিউজি যে পরিবার জারমানি ছেড়ে অ্যামেরিকা গেছে, তাদের চলে যাবার ভিত্তি অন্য। হয়ত অ্যামেরিকাতোই সেটল করতে চেয়েছিল, ওটা জাস্ট অজুহাত।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:২০523530
  • আমার মেয়ে প্রায় বারো বছর বয়সে এদেশে এসেছিল। ঐ ওপরের ছবির একদম ডানদিকেরটা করেছে।
  • s | 100.36.114.105 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৩523531
  • নিউ ইয়র্ক সিটি আর জুরিখের পাবলিক স্কুলের তুলনা? গোটা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে ডাইভার্সিফায়েড স্কুল সিস্টেমের সাথে তুলনা হচ্ছে ওয়ান অফ দ্য লিস্ট ডাইভার্সিফায়েড অ্যান্ড হোমোজিনিয়াস স্কুল সিস্টেমের। দুটো জিনিস তুলনা করতে হলে একটা কমন রেফারেন্স ফ্রেম তো লাগে, নকি?
    নিউ ইয়র্ক সিটির K12 পাবলিক স্কুলের নাম্বার অফ স্টুডেন্ট এক মিলিয়নের বেশি আর জুরিখের পপুলেশন হল মেরেকেটে চারশ হাজার। তাহলে স্টুডেন্ট কতজন? দশ হাজার? কুড়ি হাজার? নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে কমকরে হলেও একশোর বেশি ভাষায় কথা বলা স্টুডেন্ট আছে। প্রচুর স্টুডেন্ট আছে যাদের মা বাবা তো বটেই, তারা নিজেরও একটা ইংরেজি শব্দ না জেনে স্কুলে এসেছে। তাদের জন্যে স্পেশাল ইংলিশ ক্লাস হয়। অনেক বাইলিঙ্গুয়াল স্কুল আছে, যেখানে ইংরেজির সাথে প্যারালালি অন্য ভাষায়, বিশেষ করে স্প্যানিশে ক্লাস হয়। ইংরেজি তো জানতেই হবে এই বলে স্টুডেন্টদের ভোকেশনাল ট্রেনিং এ পাঠিয়ে দেওয়া হয় না। স্কুল টু প্রিজন পাইপলাইন একটা দিক। অন্যদিকে এমন অনেক উদাহরণ যেখানে প্রজেক্টে বড় হওয়া আর সিটির পাবলিক স্কুলে পড়া ছেলেপুলে নিজের ফিল্ডে শাইন করেছে।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৫523532
  • "তথাকথিত "লোপ্রোফাইল" পরিবারের কিশোর কিশোরীদের হাবাজাবা বিষয় গছিয়ে দেওয়া হয়। "— সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখানে মিনিস্টারের সন্তানও কলের মিস্তিরি কি গাড়ির মেকানিক হয়েছে এমন উদাহরণ আছে। ইনফ্লুয়েন্স খাটানোর জন্য পার্থ বাবুরা (চ্যাটার্জি, যিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে জেলে) নেই, অ্যাটলিস্ট শিক্ষাক্ষেত্রে।
     
    আমি এ বিষয়ে যথেষ্ট খবর রাখি। একজন সাদা অ্যামেরিকান মহিলা যিনি ইংরিজির লেকচারার জুরিখ ইউনিতে, তাঁর স্বামী জারমান এবং স্বামীটি উচ্চপদস্থ ব্যাংকার — এঁগের একমাত্র সন্তান অ্যামেরিকা থেকে এসে এখানের ইস্কুলে একেবারেই কিছু পারছিল না, ফেল করছিল। এর পেছনে নানান কারন থাকতে পারে। পুরোন বন্ধুদের ছেড়ে আসবার জন্য মন বিক্ষিপ্ত, সিলেবাস কঠিন, এবং আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ভাষা শেখা। 
    এই তিন নম্বর সমস্যাটা ইংরিজিভাষা যাদের মূল ভাষা তাদের ক্ষেত্রে প্রবল। একজন বাংলাদেশি বা গ্রীক বা তামিল বা ভিয়েতনামিজ বা রাশিয়ান বা আফগান শিশু যত দ্রুত জারমান শিখতে পারবে এবং ইংরিজিভাষী শিশুর ক্ষেত্রে সময়টা একটু বেশি লাগবে। 
    এর পেছনে কারন আছে।
    এতদ্ব্যতীত ইন্ডিয়ান বাপ মা জারমানি বা অন্য কোনও দেশে যেখানে শিক্ষার মাধ্যম ইংরিজি নয়, সেদেশে এসেই চিরাচরিত অভ্যাসে বাচ্চার হোমওয়ার্ক করাতে ও পড়াতে তৎপর হয়ে ওঠে। তারা নিজেরাই ভাষাটা যিখে উঠতে পারে নি, তার ওপর শিশুর শিক্ষার ওপর ফোঁপরদালালি শিশুটির জন্য বড়ই কঠিন ব্যাপার। 
    ঐ ছোট বয়স থেকেই সন্তানকে ডাক্তার লইয়ার ব্যাংকার কি আইটিগাই বানানোর জন্য এত এফর্ট দিতে থাকেন যে সে চাপ বাচ্চার জন্য কষ্টকর হয়। বিশেষ করে বাপ মা যখন ভাষার ক্ষেত্রে মূর্খ।
    ইস্কুলের পড়ানোর সিস্টেম ভারতের মত নয়। শুধু তেল মশলা দিয়ে কষলে মাংস রান্না ভাল হতে পারে, কিন্তু গণিত যে শুধু কষলেই শেখা যায় না সেটা ইস্কুল স্তরেই শেখানো হয়ে থাকে। টপাটপ দাসমুখার্জির ক্যালকুলাসের অঙ্ক সলভ করতে পারার থেকে লিমিট কী বস্তু সেটার ধারণা তৈরি করার দিকেই এখানকার সিলেবাসের ফারাক। ভেক্টরের ক্ষেত্রেও এমন এমন অঙ্ক থাকে যেটা ট্রিনিটি থেকে পিএইচডি করা ইনজিনিয়ারেরো মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ঘটনা। অথচ সেই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে পাশ। ইস্কুলের অঙ্কে উত্তরমালা দেখে উত্তর মেলানোর গল্প নেই। উত্তর না মিললেও সমস্যা নেই। জিনিসটা বুঝতে পারাই আসল।
    দুবেলা ঘাড় ধরে বাচ্চাদের পড়াশুনো গিলিয়ে দেওয়া বাপমায়েদের জন্য বিশেষ সুবিধে হবার জায়গা এটা নয়। যেখানে খাপ খাওয়াতে পারবে, সেখানেই গেছে। 
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১৩523533
  • "স্কুল টু প্রিজন পাইপলাইন একটা দিক। "— বাবাগো!
     
    এখানে প্রত্যেকটি বিদেশি শিশুকে ভাষা যেখানো হয়, কথা বলতে শেখানোর মত করে। আমার মেয়ে এক বর্ণ জারমান জানত না। এক বর্ণ ফরাসী জানত না। স্কুলই শিখিয়েছে তারপর মূলস্রোতের ক্লাসে ঢুকিয়েছে। এটাই নিয়ম।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১৬523534
  • একটা হলিউডের সিনেমা দেখেছিলাম বছর আষ্টেক আগে, নাম মনে পড়ছে না। নিউইয়র্কের একটা ইস্কুলের মেয়ের ওপর। সেটা মনে পড়ল। 
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১৯523535
  • s পুরো স্বমহিমায় এসে মুখে কথা বসাচ্ছে। আগে যেমনটা করত চাগ্রীর গপ্পোর টইয়ে। হিংসুটিপনা এত বছরেও একটুও কমেনি। ম্যাগোঃ!
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:২১523536
  • অত ভালো সিস্টেম বলেই তো অ্যামেরিকা থেকে লোটা কম্বল নিয়ে দলে দলে ইয়োরোপে আসছে সব।
  • s | 100.36.114.105 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩০523537
  • জুরিখ- ক্লাসে একশ জন স্টুডেন্ট। একজন জার্মান বা ফরাসি জানে না। স্কুল তাকে কিছুদিনের মধ্যে জার্মান শিখিয়ে দিল।

    নিউ ইয়র্ক সিটি - ক্লাসে একশ হাজার স্টুডেন্ট। তার মধ্যে দশ হাজার ইংরেজি জানে না কিন্তু স্প্যানিশ জানে, এক হাজার অ্যারাবিক জানে। পাঁচ হাজার সোয়াহিলি জানে আর একটু এক্টু জার্মান বোঝে। তিন হাজার গুজরাটি ফ্লুয়েন্টলি জানে আর অল্প হিন্দি। হাজার পাঁচেক জানে বাংলা। দেখা গেল বছরের শেষে যারা ইংরেজি জানত না, তাদের মধ্যে পনের হজার ইংরেজিতে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পেরেছে।
    দুটো কেস স্টাডি করে কনক্লুড করা হল জুরিখের স্কুল সিস্টেম ভাল। বেশ তাই সই। 

    আর ইয়ে, মানে চাগ্রীর গপ্পোর টই কোনটা? লিংক পাওয়া যাবে?
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮523538
  • একটা ক্লাসে একশো হাজার স্টুডেন্ট!? কতবড় ক্লাসরুম? সেই গোপাল ভাঁড়ের পুকুরের সাইজের কড়াইয়ের মত বুঝি?
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪২523539
  • ১৯% বিদেশি যদি হয়, এখানেও তার কম নয়। তবে একটা ক্লাসে একশ হাজারের গুল টা একটু বেশি হয়ে গেল না কি? যাগ্গে। আবেগতাড়িত হলে ওরকমই হয়। একটু রয়ে সয়ে গুলটা মারলে বিশ্বাস করার স্কোপ থাকত।
  • s | 100.36.114.105 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৫523540
  • জুরিখকে একশ জন স্টুডেন্ট রাখার জন্যে নিউ ইয়র্কে একশ হাজার স্টুডেন্ট রাখতে হল। নিউ ইয়র্কএ একশ রাখলে জুরিখে .1 রাখতে হত। তাতে হিসেবটা ভাল বোঝা যেত না।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৫523541
  • interner বলছে বিশজন। সেটা একশো হা জা র ...? হাজার হাজার ডক্টর হাজরা?
     
  • s | 100.36.114.105 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫২523542
  • https://www.bfs.admin.ch/bfs/en/home/statistics/education-science/pupils-students.html
    এই লিংকে বলছে গোটা সুইত্জার্ল্যান্ডে ২০২১-২২ তে ক্ম্পালসারি এডুকেশনের স্টুডেন্ট হচ্ছে এক মিলিয়নের একটু কম। আর শুধুমাত্র নিউ ইয়র্ক সিটিতেই পাবলিক স্কুল স্টুডেন্ট এক মিলিয়নের বেশি। ধুর, পিনাট্স।
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭523543
  • তাতে কী ?
  • যোষিতা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯523544
  • টিচারদের বেতন তাই বলে এত কম দেবে অ্যামেরিকায়?
    লিংক দেবো নাকি?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন