এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অফ শর্ট স্কার্টস এন্ড হাই হিলস

    নয়নতারা লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১২ জুন ২০১৭ | ১০৬৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নয়নতারা | ১২ জুন ২০১৭ ০৭:১৮366431
  • না, নতুন কিছুই লিখছি না।

    মিনি স্কার্ট আর প্রগতিশীল, এই দুটো যে এক নয়, সেইটে বোঝানোর আরেকটা প্রয়াস মাত্র। যদি বুঝে গিয়ে থাকেন, পাওয়ার টু ইউ। না বুঝলে, পড়ে দেখতে পারেন।

    লোকে বলে, আমিও বিশ্বাস করি, আমি আলট্রা কনসারভেটিভ। প্রচন্ড কিপ্টেমি বোধয় সেটার বহির্প্রকাশ। সত্যি বলছি, আমার ট্যাক্স-এর টাকা দু পয়সা ভুল খরচ হলেই ঝাঁট পিত্তি জ্বলে খাক হয়ে যায়। ২ লক্ষ্য টাকার লোন সানক্শন হলে ৫০ হাজার এর বাড়ি খুঁজি।

    কিন্তু এর সাথে রেপ কে গোলানো যায় না।

    আমি কনসারভেটিভ জামাকাপড় পছন্দ করি, নিজের পড়ার জন্য। ছেলে বা মেয়ে যতদিন না সাবালক হচ্ছে, তাদের সেই রকম জামাকাপড় পড়ার শিক্ষাই দেব, কারণ আমার কালচার, আমার আশেপাশে যাদের দেখে বড়ো হয়েছি, সেই কমফোর্ট জোনে থাকতেই পছন্দ করবো। আমি মনে করি শাড়ী পড়লে আমায় যত সুন্দর দেখতে লাগে, যত জাঙ্ক একসেসোরিজ ম্যাচিং করা যায়, তা অন্য কোনো জামাকাপড়ে হয় না, হতেই পারে না। এমনিতেই মোটা হওয়ার জন্য ফ্ল্যাব ঢাকার নানা উপায় বের করতে হয়। মাঝে মধ্যে মনে হয় বেকন এর স্লাইস কাটার মতো এদিক ওদিক থেকে মাংস আর চর্বি বাদ দি। রোজকার পোশাকে শাড়ী পড়া সময়সাপেক্ষ, তাই প্যান্ট আর টপ পরেই কাটাই, আর চুল আঁচড়ানোতে আলস্য, তাই সপ্তাহে হয়তো একদিন জট ছাড়াই। কিন্তু এর মধ্যে আমার শরীর নিয়ে কে কি ভাবছে, কার দেখে খারাপ বা ভালো লাগছে, সেই চিন্তা করার সময় পাইনা।

    তবে এই বিলাসিতা আমার দেশে থাকলে হতো না। দীর্ঘদীন পর দেশে ফিরে বেশ বুঝতে পারি, রাস্তায় বেরোলে সব চোখ আমার দিকে। আমি কাউকে দেখছি কিনা জানি না, আদ্ধেক সময় ব্যস্ত থাকি হোঁচট বা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি কিনা সেই সাবধানতা অবলম্বন করতে। কিন্তু অন্য লোকজন সবসময় মাপছে। কে কতটা দামি শাড়ী পড়েছে, কার ব্লাউস থেকে ব্রা এর স্ট্র্যাপ বেরিয়ে আছে, তার রং কি, সায়ার সাথে শাড়ী ম্যাচ করেছে কিনা, ফলস পারের রং টা আরেকটু হালকা হলে ভালো হতো বোধয়, পিঠের কাটটা লো, স্লিভলেস ব্লাউস অথচ বগল কামানো নেই, চুল উড়োখুড়ো। এমা ছিঃ ছিঃ, এ তো ভদ্রসমাজে পাতে ফেলা যাবে না ! দেখছে, আর মাপছে, ডিগ্রী অফ ভদ্রতা, লেভেল অফ সব্যতা। থুড়ি, সভ্যতা।

    এ হেনো মার্কেট ইকোনমিতে মিনি স্কার্ট আউট লাইয়ার। এরা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি কি ভাবে তাকে মাপবে। নামকরা বেসরকারি ইস্কুল থেকে যখন বিখ্যাত সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়তে যাই, প্রথম সপ্তাহে আমার হাতে একটা স্কেল দেয়া হয়েছিল। হাঁটুর ঠিক কয়-ইঞ্চি ওপরে আমার স্কুলের স্কার্ট ছিল, সেটা একদিন পরে আসতে হবে কলেজে, আর মেপে বলতে হবে। বিশ্বাস করুন, এইটে বেশি ট্রমাটিক ছিল, দ্যান "তুমি TB৬ দেখেচো?"

    আগের দুবছর পাবলিক ট্রান্সপোর্টে স্কুল স্কার্ট পরে ট্রাভেল করার ট্রমা তখনো জলজ্যান্ত। সকাল ৮-টায় লোকের কি করে বান্টু খাড়া হয়, আমার জানা নেই। ঘুম থেকে উঠে হিসি করলেই তো নেমে যাওয়ার কথা, তাই না? একটা স্কুল ইউনিফর্ম পড়া মেয়ের প্রতি কি মানসিকতা থাকলে গ্রোপ করার ইচ্ছে জাগে? শর্ট স্কার্ট? মিনি স্কার্ট? স্কার্ট? নাকি নিছক কিছু বলতে পারবে না, লজ্জা পাবে, তার অ্যাডভান্টেজ নেয়া? উন্মুক্ত উরু অব্দি লাগবে না, স্কার্ট-এর নিচে উরু আছে, এই ভেবেই বোধয় ছোটভাইয়ের ব্যাথা করে। এক নয়, একাধিকবার। একই লোক নয়, রোজ কোনো না কোনো নতুন পিশাচ। যাদবপুর পার্ক সার্কাস রুটে তেমন কোনো উপায় ও ছিলোনা যাতায়াত করার। আর যেই বাসেই উঠবেন, অফিসটাইমে লোকজন ভিড়, এসব থাকবেই। কিভাবে এইটে এভোইড করতাম, বলতে পারেন? স্কার্ট না পরে শাড়ী পড়লে বোধয় ইটা হতো না, তাই না? সেই চেষ্টাও করেছিলাম, প্রথমে স্লাক্স, পরে সালোয়ার পরে নিতাম স্কার্ট-এর নিচে, যাতে ডিটেরেন্ট-এর কাজ করে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, অজানা হাত আর বান্টু ঠিক ম্যাগনেট-এর মতো চলে আস্ত।

    এরকম দু তিন মাস যাতায়াতের পর রুটের কন্ডাকটর আর ড্রাইভার চেনা হয়ে গ্যালো। কন্ডাকটর দাদা কে বললাম, লোকজন "বিরক্ত" করে, দাদা তারপর থেকে আমি উঠলেই ড্রাইভার-এর পাশে যে জায়গা থাকে, ইঞ্জিনের ওপরের জায়গাটা, ওখানে একটা সিট ফাঁকা করে দিতো। আমার মতো স্কুলের মেয়েদের এইরকম অত্যাচারের থেকে বাঁচার, বাঁচাবার একটা ছোট্ট প্রচেষ্টা। স্কার্ট দেখে উরুর চিন্তা হওয়া বিদগ্ধ যুবক, কাকু, জেঠু, দাদুদের হাত আর হাতিয়ার আটকানোর প্রচেষ্টা। কদিন পরে সালোয়ার বাদ দিয়ে আরেকটা জিনিস ইউস করতে শুরু করেছিলাম, হাই হিলস। অজানা খোঁচা খেলেই আমিও বেশ তাক করে বুট, চপ্পল, হাওয়াই চটির ওপর স্টিলেট্টো মাড়িয়ে দিতাম। তারপরের "কোঁক" করে আওয়াজ মনে করে এখনো অর্গ্যাসমিক প্লেজার আসে।

    যারা এর পরেও বলবে, আমার মিনি স্কার্টই আমার মোলেস্টেশনের কারণ, আমাদের মোলেস্টেশনের কারণ, তাঁদের একটাই কথা। ফাক উ।

    আমি কনসারভেটিভ। এন্ড আই এন্ডোর্স শর্ট স্কার্ট। এন্ড হাই হিলস টু।
  • কল্লোল | 233.186.119.15 | ১২ জুন ২০১৭ ০৮:৩৪366442
  • আমার অনেকদিন ধরে এই প্রসঙ্গে, রাজনৈতিক্ভাবে অশুদ্ধ, কিছু কথা বলার ইচ্ছে হয়।
    নয়নতারা, আপনি লিখছেন, "আগের দুবছর পাবলিক ট্রান্সপোর্টে স্কুল স্কার্ট পরে ট্রাভেল করার ট্রমা তখনো জলজ্যান্ত। সকাল ৮-টায় লোকের কি করে বান্টু খাড়া হয়, আমার জানা নেই। ঘুম থেকে উঠে হিসি করলেই তো নেমে যাওয়ার কথা, তাই না? একটা স্কুল ইউনিফর্ম পড়া মেয়ের প্রতি কি মানসিকতা থাকলে গ্রোপ করার ইচ্ছে জাগে?" - আমি "মানসিকতা" শব্দটিতে তলদাগ ও মোটা হরফ দিলাম।
    অর্থাৎ আপনি মনে করেন পুরুষদের মানসিকতাই আসল কারন। মেয়েদের প্রতি পুরুষ দৃষ্টিভঙ্গী যারে বলে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা - এটাই দায়ী। আমি পুরোপুরি একমত। ফলে আপনি জানেন যে পুরুষমাত্রেই (ব্যাতিক্রম ছাড়া) হান্ডুরাস উত্থিত করে সুযোগ খোঁজে, যেকোন সময়, যেকোন অবস্থায়।
    এমত অবস্থায় কি কর্তব্য?
    আপনি নদীর পাড়ে বাস করলে ঘরের ভিত সাধারণ মাপের চাইতে উচুঁ করে নেন। আপনার বাসার আশেপাশে সাপের উপদ্রব থাকলে বাসার চারপাশে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দেন, আপনি গরম কোন পাত্র ধরতে গেলে হাতে গ্লাভস পরে নেন বা কাপড় দিয়ে ধরেন। কেন? কারন আপনি জানেন ওতে বিপদ আছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করেন। এতোসব সত্ত্বেও বানে ঘর ভাসে, সাপে মানুষ কাটে, লোকে ছ্যাঁকা খায়।
    তাহলে পুরুষের নারী লোলুপতার বিপদ থেকে বাঁচতে সাবধানতা চাই। পুরুষ কেন লোলুপ হবে বলে কি লাভ? যে ব্যবস্থা সারা পৃথিবী জুড়ে আছে (কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া) সেগুলি আদ্যন্ত পুরুষতান্ত্রিক। তাদের থেকে কিছু আশা করাটাই অবান্তর। ফলে যখন কেউ বলে, আমি আমার পছন্দ মত পোষাক পরবো, তাতে কার কি?" তখন তিনি ধরে নেন পুরুষেরা আর পুরুষতান্ত্রিক নেই। যেটা বোধহয় ঠিক নয়। ফলে সাবধানতা নিতেই হবে। তা সে গোলমরিচগুঁড়ো পিচকারীই হোক বা জুজুত্সু অথবা প্রলোভিত করার মতো পোষাক না পরা।
    তারপরেও বানে ঘর ভাসে, সাপে মানুষ কাটে, লোকে ছ্যাঁকা খায়।
    আমি জানি এরপরেই প্রশ্নবান আসবে, তবে আপনার মত কি? খুব পরিষ্কার - আপনি শাড়িই পড়ুন বা সুইমস্যুট, আপনাকে নিজেকে বাচাঁনোর ব্যবস্থা ভেবে রাখতে হবে, তা সে স্টিলেট্টো হোক বা গোলমরিচগুঁড়ো কিংবা জুজুৎসু।
  • নয়নতারা | ১২ জুন ২০১৭ ১১:২৩366453
  • "একটা স্কুল ইউনিফর্ম পড়া মেয়ের প্রতি কি মানসিকতা থাকলে গ্রোপ করার ইচ্ছে জাগে" ---- স্কুল ইউনিফর্ম এও মোটা দাগ দিন ।
    আর হ্যাঁ, মানসিকতা পাল্টানো যায় । সেই চেষ্টাই করছি, যাতে আপনি পুরো লেখা পড়তে সক্ষম হন । রাজনৈতিক্ভাবে অশুদ্ধ, কিছু কথা বলার ইচ্ছে থেকে ভুলভাল এনালাইসিস বার করবেন না ।
    সব শেষে একটা কথা । পুরুষতান্ত্রিক সমাজে লোলুপ হন, বিলুপ্ত হন, ক্ষতি নাই । খালি ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলবেন । ব্যাস ।
  • তাতিন | 213.110.242.21 | ১২ জুন ২০১৭ ১১:৫২366464
  • কলকাতা শহরের সব ইস্কুলের মধ্যে ঠিক কটা স্কুলে ওরকম ইঞ্চিমাপা স্কার্ট পরানো হয়? সেগুলি কোন মাধ্যমে পড়াশুনো করায়?
  • কল্লোল | 233.186.79.196 | ১২ জুন ২০১৭ ১৮:২৯366475
  • নয়নতারা। আপনি কিঞ্চিত রেগে গেছেন, তাই আমার যুক্তিটা অনুধাবন করতে পারেন নি।
    মানসিকতা নিশ্চই পাল্টানো যায়, কিন্তু সেটা ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে সত্যি। একটা গোটা সমাজের মানসিকতা পাল্টানো অনেক বড়ো ব্যাপার। সেটা যতোদিন না হয়, ততোদিন.......
    আপনি লিখছেন, "পুরুষতান্ত্রিক সমাজে লোলুপ হন, বিলুপ্ত হন, ক্ষতি নাই । খালি ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলবেন । ব্যাস ।"
    কাদের কাছে এটা আশা করছেন? যারা আপাদমস্তক পুরুষতান্ত্রিক মত্ততায় আচ্ছন্ন, তাদের কাছে? কেন? কিসের আশায়? হঠাৎ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষতন্ত্র উবে যাবে, এমনটা আশা করা কি খুব কাজের কথা?
    আবারও একটা উদাহরণ দেই। শহরের একটা জায়গা অন্ধকার ও দুবৃত্তদের আড্ডা। এবার আপনি গভীর রাতে সেখানেই যাবেন কোন সাবধানতা না নিয়ে। তাতে বিপদ ঘটবেই। আপনি যতই আশা করুন - পরের দ্রব্য জোর করে কেড়ে নেওয়া অন্যায় - একথা সবার মানা উচিৎ, বা আমার শরীরের অধিকার আমার, আমার অনুমতি ছাড়া সেই শরীর স্পর্শ করার অধিকার কারুর নেই - এটা সকলকে বুঝতে হবে - তাতে কোন কাজ হবে কি? হবে না। কারন আপনি দুবৃত্তদের কাছে এমন কিছু মূল্যবোধ আশা করছেন যা তারা মানেই না।
    পুরুষতন্ত্র মেয়েদের শুধুনাত্র ভোগের বস্তু বলেই মনে করে - বস্তু শব্দটিতে নজরটান দিলাম। তাদের কাছে আপনি আশা করছেন মেয়েদের সম্মান করতে, তাদের মানুষ বলে ভাবতে!! এখানেই আমার আপত্তি।
    আশা করি বোঝাতে পারলাম। উত্তেজিত না হয়ে একটু ভাবুন।
  • Ishan | 180.202.22.2 | ১২ জুন ২০১৭ ২১:২৪366486
  • কিন্তু এরকম কেন ভাববে? আমরা কি যুদ্ধে আছি?

    মানে মাওবাদী এলাকা দিয়ে যেতে হলে, আমি সতর্কতা নেব, ঠিকই আছে, ওখানে যুদ্ধ চলছে। ওয়াগন ব্রেকারদের এলাকায় গেলে সাবধানতা নেব, তাও ঠিক আছে, কারণ ওখানে আইনশৃঙ্খলা সমস্যা আছে। কোনো পুরুষের সঙ্গে প্রাইভেট স্পেসে একলা যেতে হলে সতর্কতা নিতেও হতে পারে, কারণ ওটা প্রাইভেট স্পেস, আইনশৃঙ্খলার প্রত্যক্ষ আওতায় আসেনা। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কেন নেব? সেখানেও কি যুদ্ধ চলছে, নাকি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা আছে?
  • cm | 127.247.201.121 | ১২ জুন ২০১৭ ২১:২৭366491
  • প্রকাশ্য দিবালোকে ঠিক কি কি করা যায় তার তালিকা পেলে তাকে অল্প অল্প ভায়োলেট করে দেখা যেত।
  • কল্লোল | 233.186.47.47 | ১২ জুন ২০১৭ ২২:৪১366492
  • ঈশেন।
    হ্যাঁ, যুদ্ধ তো আছেই। যেখানে গোটা সমাজটাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরুষতান্ত্রিক, যেখানে প্রতিনিয়ত টিভিতে বিজ্ঞাপনে মেয়েদের সুন্দর আরও সুন্দর, আকর্ষণীয় বস্তু হয়ে ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়, যেখানে অন্য জাতে প্রেম করলে বা শুধুই প্রেম করলে মেয়েরা মার খায়, যেখানে আজও সরকার থেকে বিজ্ঞাপন দেয় কন্যাভ্রুণ হত্যা না করার, যেখানে মেয়েদের "ম্যাট্রিক" পাশ করানোর জন্য সরকার প্রচার চালায়, যেখানে বিবাহিত মহিলার অন্য সম্পর্ক থাকলে তার মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয় - সেখানে মেয়েদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে না তো কি চলছে?
    সেখানে হঠাৎ ধরে নেওয়া হবে পুরুষরা সব এক মনোরম প্রভাতে মেয়েদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শুরু করে দিলো - এটা ঠিক হজম হয় না।
    মেয়েদের সম্মান, তাদের শরীরের অধিকার - এসব নিয়ে কথা বলতেই হবে, পছন্দের অধিকার নিয়ে কথা বলতেই হবে - লড়াই জারী থাকবে চূড়ান্ত জয়ের দিন পর্যন্ত। ততোদিন যুদ্ধাবস্থা থাকবে। তাই...............
  • pi | 57.29.210.215 | ১২ জুন ২০১৭ ২২:৪৬366493
  • কল্লোলদার পুরো সমাধানই তো এটাকে সত্যি ধরে নিয়ে 'পুরুষমাত্রেই (ব্যাতিক্রম ছাড়া) হান্ডুরাস উত্থিত করে সুযোগ খোঁজে, যেকোন সময়, যেকোন অবস্থায়।'
    এটাকি সত্যিই সত্যি মনে করার মত ? নাহলে ঐ সমাধানের যে সমস্যার উপরে দাঁড়িয়ে ,সেটাই থাকেনা, তাই সমাধানটাও আর ভ্যালিড থাকেনা।
  • Ishan | 180.202.22.2 | ১২ জুন ২০১৭ ২৩:৪১366433
  • যুদ্ধ চললে আর এত কথার মানে কী? মেয়েরা গেরিলা বাহিনী বানিয়ে যুদ্ধে নামুক। :-)
  • sm | 52.110.181.200 | ১২ জুন ২০১৭ ২৩:৪১366432
  • বাসে/ট্রেনে তো অনেক পুরুষ -মহিলা দের (বিশেষত বাচ্চা থাকলে )জায়গা ছেড়ে দেয়। এটা একজন সিটে বসা অন্য মহিলার চেয়েও পুরুষ যাত্রী দের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
    আর প্রকাশ্য দিবালোকেই বেশি পকেট মারি হয়,বই মেলা থেকে বই চুরি হয়।
    তাই সাবধানতা জীবনে চলার ক্ষেত্রে অপরিহার্য্য।
    বাসে উঠলে বুট জুতো পরেই ওঠা উচিত।কে জানে ভুল করে কেউ পা মাড়িয়ে দিতে পারে।স্টিলেট্টো দিয়ে খোঁচা দিতেও পারে।
  • pi | 57.29.210.215 | ১২ জুন ২০১৭ ২৩:৫৪366434
  • তাহলে মেয়েদেরও তো বুট পরেই ওঠা উচিত সবসময় ! নাকি মেয়েদের পায়ে অন্যদের খোঁচা লাগতে পারেনা ?
  • নয়নতারা | 175.91.227.94 | ১৩ জুন ২০১৭ ০২:৪৪366435
  • "পুরুষমাত্রেই (ব্যাতিক্রম ছাড়া) হান্ডুরাস উত্থিত করে সুযোগ খোঁজে, যেকোন সময়, যেকোন অবস্থায়।" --- আমি এটা মনে করিনা । ব্যতিক্রম ওই কয়েকজন, যারা মহিলাদের উত্তক্ত করে আনন্দ পায়ে । কিন্তু এর পেছনের কারণটা কি? এমনতো নয় যে এদের অপমানিত হতে হয়না । অনেক ক্ষেত্রেই গালাগালি করা হয়, মারধর ও দেয়া হয় । গোলমরিচের গুঁড়া ও দেয়া হতে পারে, তাতে কি? তারপরে কেউ আর করবে না? যুদ্ধ থেমে যাবে? আলাদা লেডিস সিট-এ বসে নিশ্চিন্তে যাওয়া যাবে? দুইটি দল করা থাকবে? লক্ষণরেখা কাটা থাকবে? কেউ কারোর সাথে সম্পর্কে যেতে পারবে না? জাটল্যান্ড?
  • Du | 182.56.7.154 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৩:১২366436
  • এসবই ঠিক। কিন্তু মেয়েদেরই ড্রেসের এত রকমফের পুরুষেরই বা কেন নেই কোন বাধা না থাকা সত্ত্বেও এই প্রশ্নটাও মনে আসে মাঝে মাঝে। ঊপরিউক্ত সিচুয়েশনের প্রেক্ষিতে নয় কিন্তু তাও প্রশ্নটার উত্তর জানা দরকার। মানে আছে বলেই কি পরা? নাকি পরতে চাই বলেই তৈরী হয়? কে পরায় আর কে আটকায়?
  • S | 184.45.155.75 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৩:২৭366437
  • হাই হিল্স আর শর্ট স্কার্ট দুটই মনে হয় আগে ছেলেদের জন্য তৈরী হয়েছিলো। পরে কেন মেয়েদের পড়তে বলা হলো সেই আলোচোনা এখানে করা যাবেনা।
  • S | 184.45.155.75 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৩:২৮366438
  • * হাই হিল্স আর স্কার্টস
  • Atoz | 161.141.85.8 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৩:৪০366439
  • ট্রেক নেক্স্ট জেন এর ফেরাঙ্গীদের কথাই মনে পড়ে। তাঁরা ভয়ানক স্পিসিস। ভয়ানক পুরুষতান্ত্রিক। মেয়েদের কোনো কাপড়ই পরতে দেয় না। পুরুষরা পোশাক টোশাক খুবই জাঁকজমক করে পরে আর মেয়েদের সম্পর্কে বলে, "মেয়েদের পোশাক পরার মতন মর্যাদা নেই।"
    ভাবুন একবার অবস্থাটা! সেইখানে গিয়ে পড়লেন দুই বিটাজয়েড মহিলা, যাঁরা কিনা আবার পুরোপুরো স্ত্রীতান্ত্রিক, মহিলারাই গ্রহ শাসন করেন।
  • নয়নতারা | 175.91.227.94 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৪:২৩366440
  • রকমফের নেই কে বললো? এক লুঙ্গি একই একশো । ঐরকম বিচ্ছিরি একটা পোশাক হয়না, এটা অনেকেরই মত । কিন্তু লুঙ্গির বিরুদ্ধে তেমন কোনো আন্দোলন, নিদেনপক্ষে ভিড় বাস এ সুযোগ পেয়ে গিট্ খুলে দেওয়ার একটাও এক্সাম্পল পাওয়া যায়নি ।
  • Ishan | 78.9.134.17 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৫:০৯366441
  • ধুর কোনো রকম ফেরই নেই। অন্য কিছু তো ছেড়েই দ্যান, আমি ভাবতেই পারিনা স্লিভলেস জামা কিংবা হাপ্প্যান্ট পরে আমি বাসে চড়ে কোথাও যাচ্ছি। লোকে স্রেফ চাউনি দিয়েই ভূত ভাগিয়ে দেবে। চেনা লোকেরা কী করবে, সে বাদই দিলাম।
  • amit | 213.0.3.2 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৫:৪৩366443
  • শুধু চাউনি দিলে বা ভ্রু কোঁচকালে তো সমস্যা ছিল না, কিন্তু কিছু মর্কট যে ভিড়ের সুযোগে মেয়েদের গায়ে এসে পড়ে, সুযোগ বুঝে হাত দেয় সেটাই তো সমস্যা।
  • নয়নতারা | 60.24.91.146 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৫:৫২366444
  • সেটাই বক্তব্য । চাহনির তোয়াক্কা করলে পড়বো না, নয়তো পড়বো, কিন্তু কি পড়লাম, তাতে গায়ে হাত দেওয়ার অনুমতি আসছে কোথা থেকে ?
  • কল্লোল | 233.186.96.205 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৬:২১366445
  • নয়নতারা। আপনি লিখেছেন -
    "পুরুষমাত্রেই (ব্যাতিক্রম ছাড়া) হান্ডুরাস উত্থিত করে সুযোগ খোঁজে, যেকোন সময়, যেকোন অবস্থায়।" --- আমি এটা মনে করিনা । ব্যতিক্রম ওই কয়েকজন, যারা মহিলাদের উত্তক্ত করে আনন্দ পায়ে ।
    পাইও প্রায় একই কথা মনে করে (আমি যদি ভুল না বুঝে থাকি)।

    মানে আমাদের এই ব্যবস্থায় মাত্র কিছু কিছু পুরুষই পুরুষতান্ত্রি মানসিকতার। বেশীরভাগই তা নয়।
    এই চিন্তার সাথে আমার বিরোধ আছে। আমি তা মনে করি না। আজকের দুনিয়ায় পুরুষেরা সাধারণভাবে এবং মহিলারাও ব্যাপকভাবে পুরুষতন্ত্রের শিকার। আর পুরুষতন্ত্র মেয়েদের মানুষ বলেই মনে করে না, মনে করে ভোগের বস্তু।

    পুরুষরা কতোটা পুরুষতান্ত্রিক? ঐ যে পুরুষটি ভিড় বসে-ট্রামে-ট্রেনে কম্মোটি করেন, তার সামনে তার বউ-মেয়ে-বোনকে অমন কম্মের শিকার হতে দেখলে সে সিংহের মতো গজ্জোন করে ওঠে। কেন? কেন? তার কি তখন মেয়েদের সম্মান, শরীরের অধিকার ইঃ ইঃ মনে পড়ে যায়? নাঃ কখনোই না। সে তখন গজ্জন করে কারন ঐ মেয়েদের সে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে তাই। একেবারেই তাই।
    আর পুরুষতান্ত্রিক মেয়েরা? তারা বলেন - তোর দরকার কি ঐ ব্যাটাছেলেদের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করতে!!!
    তাহলে ছেলেরা দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়ে না কেন? লোকলজ্জা, অন্যেরা সুযোগ পেলেই হিরো সাজবে, সে গ্যাঁড়া বনে যাবে। আর কোন কোন ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রতিরোধের ভয়ে। আর অধিকাংশেরই অতো সাহস নেই। তারা মেয়েদের চোখের দিকে তাকাতেই ক্যাবলা হয়ে যায়। সম্মানের জায়গা থেকে নয়, অচেনা জীব বা বস্তুর প্রতি যে অস্বস্তি থাকে তার থেকে।
  • pi | 57.29.241.77 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৭:০৭366446
  • প্রায় সব পুরুষই সব মেয়েদের উপর সুযোগ পেলেই ঝাঁপাতে চায়, এটা ধরে নিলে সত্যিই যুদ্ধ চলছে, ছেলে মেয়ে দুই যুযুধান পক্ষ, এটাই ধরে নিতে হয়!
  • S | 184.45.155.75 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৭:২০366447
  • দুটো কথা বলি। এক, হাই হিল্স বা শর্ট স্কার্টসের সাথে এই সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার তো মনে হয় যে সব মেয়েরা এইধরনের পোষাক পরেনা, তাদেরকেই বেশি টার্গেট করা হয় (হয়তো পুরুষগুলো এদেরকে ডোসাইল মনে করে)। দুই, পুরুষরা ভদ্র হবে এই আশা করাই ভুল। এইধরনের ক্ষেত্রে মহিলাটির উচিৎ সোজা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা। কিভাবে করবেন আপনার ব্যাপার। মানে হিল্স দিয়ে পা পাড়িয়ে দেবেন, নাকি কানের নীচে একটা সপাটে লাগাবেন, নাকি সেই লোককে ফলো করে বাড়ি গিয়ে পাড়া প্রতিবেশি ডেকে তাদের সামনে বলে আসবেন, নাকি তার মোবাইল ফোনটা নিয়ে বাসের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন - সেইটা আপনার ব্যাপার।

    পুরুষ মানুষঃ
  • T | 190.255.250.150 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৭:২১366448
  • যাক কল্লোলদা একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন যে অধিকাংশ লোকই ছাগল।
  • pi | 57.29.241.77 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৭:৪০366449
  • তাহলে কল্লোলদা এই মহিলার বক্তব্যের সাথেও সহমত?

    '
    ইদানীং শোনা যায় ,ছোট পোশাক পরাটাই নাকি আধুনিকতা,আজকের স্বাধীন মেয়েরা শাড়ি ছাড়াও অনেক কিছু পরবার সুযোগ পাচ্ছে।তবু তবু কেউ কেউ খুব ছোট স্কার্ট,যাকে মিনি বা মাইক্রোমিনি বলা যায় সেসব পরে আর বিকিনি টাইপের টপ পরে ধর্মতলা,এক্সাইড ,ঢাকুরিয়া আরো অনেক কলকাতার অলিগলি ধরে গটগট করে কোথায় হারিয়ে যায়, দেখে মনে হয় ড্রেসটা পরে একমাত্র প্রাইভেট চারচাকা গাড়িতে চলা উচিত,এই কলচার কলকাতা ছাড়িয়ে আক্রমণ করছে আজ শহরতলিকেও।এখন এসব মেয়েরা রেপড হলে সমাজ দোষ চাপিয়ে দেয় শুধুই ওই বিকৃতমনা ছেলেদের উপর ,সমাজের আর সমাজের ওই মেয়েগুলোর অভিভাবকদের কি কোন দোষ নেই ?সমান শাস্তি হওয়া উচিত!'
  • amit | 213.0.3.2 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৭:৪৮366450
  • ছাগল কেন হতে যাবে ? একটা মেয়ে যদি মিনি স্কার্ট পরে ওঠে, তার পা দেখে যদি কারোর উত্তেজনা জাগে, কেও একবার দেখে নিজেকে সামলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, কেও বার বার Uki মেরে দেখতে থাকে , কেও হা করে দেখতে থাকে। কথাটা সেটা নিয়ে হচ্ছে না। যে যেভাবে দেখতে চায় দেখুক, যদিও বাইরের দেশে হা করে দেখাটাও সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্ট এর মধ্যে পড়ে এবং পুলিশ নন স্টকিং অর্ডার দিতে পারে। কিন্তু দেখা তা এক জিনিস, আর ভিড়ের সুযোগে কারোর গায়ে হাত দেওয়া কিন্তু সরাসরি প্রাইভেট সস্পেস ভায়োলেশন।

    পিঙ্ক সিনেমাটা মনে পড়ে যাচ্ছে। সোজা কথা একটা মেয়ে যদি নিজের ইচ্ছেই কারোর সাথে যায়, সেটা তার নিজের শরীরের বা মনের অধিকার। কিন্তু তার সাথে দশটা লোকের সম্পর্ক আছে, তাই জন্য তাকে জোর করা যায় না, এস সিম্পল এস that
  • কল্লোল | 233.186.125.5 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৮:০৫366451
  • পাই। না আমি ঐ মহিলাদের সাথে একমত নই। পোষাক পড়ার স্বাধীনতা আসলে পছন্দের অধিকার। আমি সবসময়েই তার পক্ষে। কেউ যদি এমন পোষাক পরে যা পুরুষতান্ত্রিকদের হান্ডুরাস উত্থিত করে, তাকে সেই মতো তৈরী থাকতে হবে। সে একটা আপাদমস্তক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অংশ হয়ে আশা করবে যে পুরুষতন্ত্র তার বেলায় খাটবে না, সেটা বুদ্ধির পরিচয় নয়। এর পরেও যদি মেয়েটির শ্লীলতাহানী হয়, তার প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু তাতে মেয়েটির বুদ্ধিহীণতা মান্যতা পায় না।

    অমিত। আপনিই ভেবে দেখুন, চোখ দিয়ে মেয়েটির গা চাটা অব্দি আপনি মেনে নিচ্ছেন!!! জিভ বা হাত দিয়ে চাটলেই ব্যক্তিগত পরিসর লঙ্ঘিত হয়!! তাহলে আর যৌন হেনস্থা কাকে বলে??
    আপনি কোন নারীর রূপের প্রশংসা করছেন অযাচিতভাবে।
    - আপনার চুল কি সুন্দর - ঠিক আছে
    - আপনার চোখ, আহা - ঠিক আছে
    - আপনার বুক কি চমৎকার - ব্যাস ব্যক্তিগত পরিসর এসে গেল?
    কেন ? কেন / কেন?
  • pi | 57.29.241.77 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৮:০৬366452
  • দেখলে চেরিশ করা কি ভাল লাগা বা মনে মনে উত্তেজিত হওয়া নিয়েও বক্তব্য নেই, সেটা সব পুরুষের হয় এমন জেনেরালাইজেশনেও, পুরুষেরা যখন বলছেন হয়, হতে পারে, কিন্তু এই যে বলা হচ্ছে প্রায় সব পুরুষই ঝাঁপিয়ে পড়ে সুযোগ নেবার অপেক্ষায় থাকেন বা সেরকম সুযোগ পেলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, সেটা হজম করতে সমস্যা হচ্ছে। সেটা হলে যুযুধান পক্ষ বলতে হয়। নয়তো নয়।
  • কল্লোল | 233.186.91.194 | ১৩ জুন ২০১৭ ০৮:৪৫366454
  • অনেককাল আগে পড়া একটি ঐশী গল্প।

    ভগবান দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রামে রত। এমন সময় আদম আসিয়া উপস্থিত। ভগবান আদমকে আগমনের কারন জিজ্ঞাসিলে, সে বলিল
    - ঐ হিবাকে কিছু কত্তে বলুন, সব্বোসোমোয় তামিলনাড়ুদ্বয় আন্দোলিত হতে থাগলে আমি উত্তেজিত বোধ করি।
    ভগবান হিবাকে জোব্বা পরিতে আদেশ দেন, ও হিবা তা পালন করেন।
    আবারও ভগবান সমীপে আদম তাহার তুর্ক্স্থানটি উঁচাইয়া উপস্থিত।
    ভগবান বলিলেন - এবার আবার কি?
    - জোব্বার ভিতর দিয়া উহার বুন্দেলখন্ডদ্বয়ের আভাস আরোই উত্তেজক।
    ভগবান হিবাকে মোটা কাপড়ের খুব ঢোলা পোষাকে চক্ষু ছাড়া সারা দেহ আবৃত করিতে আদেশ দেন। হিবা আদেশ পালন করেন।
    আবারও ভগবান সমীপে আদম তাহার হন্ডুরাসটি বাগাইয়া উপস্থিত।
    ভগবান বলিলেন - এক্ষনে কি অসুবিধা হে!
    - ওফ ঐ চোখ দুটো! চাক্কু মার দি।
    ভগবান হিবাকে একটি লোহার সিন্দুকে ঢুকিয়া পড়িতে বলে। আদেশ পালিত হয়।
    আবারও ভগবান সমীপে আদম তাহার শ্রীলঙ্কটি টনটন করিয়া উপস্থিত।
    ভগবান ক্রুদ্ধ হলেন।
    - এবার আবার তুমি কি চাও???
    - আহা, লৌহ সিন্দুকটি কি মনোরম.......

    পাই। লিখছিস "দেখলে চেরিশ করা কি ভাল লাগা বা মনে মনে উত্তেজিত হওয়া নিয়েও বক্তব্য নেই, সেটা সব পুরুষের হয় এমন জেনেরালাইজেশনেও, পুরুষেরা যখন বলছেন হয়, হতে পারে, কিন্তু এই যে বলা হচ্ছে প্রায় সব পুরুষই ঝাঁপিয়ে পড়ে সুযোগ নেবার অপেক্ষায় থাকেন বা সেরকম সুযোগ পেলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, সেটা হজম করতে সমস্যা হচ্ছে।"
    আসলে পুরুষতন্ত্রের হান্ডুরাসটির অবস্থান নিয়ে সমস্যা। হান্ডুরাসটি দুপায়ের ফাঁকে থাকে না, কোনদিন না, কখনোই না। দুপায়ের ফাঁকে যেটি থাকে তা আসলে একটা যন্ত্র যার নিজের কোন ইচ্ছে-অনিচ্ছে নেই। যা অনেকটা ছেনির মতো। যা দিয়ে অসাধারণ শিল্পসৃষ্টি হয়, যা দিয়ে নারকীয়ভাবে খুনও করা যায়। হান্ডুরাসটি থাকে মানুষের মাথায়, আরও ভালোভাবে বললে মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সার্কিটে। চেরিশ করা কি ভাল লাগা বা মনে মনে উত্তেজিত হওয়া সবটাই উত্থিত হান্ডুরাস - শুধুমাত্র "গায়ে হাত দেওয়া"টাই নয়। পুরুষতন্ত্র ওখানেই কাজ করে সংখ্যাগুরু ছেলেদের এবং সংখ্যাগুরু মেয়েদেরও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন