এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সব্যসাচী মুখার্জি | 785612.40.6756.170 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:৪৬380495
  • আজকের ব্রিগেড সমাবেশে সারাদিন ধরে মূলত দুটো বিষয় চোখে পড়লো । এক , ডিম্ভাত (পড়ুন ডিম ভাত) ও 'অশিক্ষিত' লোকের সমবেশ ; দুই , তৃণমূল তথা মমতা ব্যানার্জি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য মুখ হতে পারেন না ।
    প্রথমটা থেকে শুরু করা যাক । ডিম ভাত খাওয়ানো নিয়ে খিল্লি করাটা ঠিক কোন সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে ? রাজনৈতিক সমাবেশে গেলে কি কারও খিদে পেতে পারে না ? নাকি রাজনৈতিক সমাবেশে যোগদানকারীদের খাওয়ানো এই প্রথম হলো ? অন্যদল খাওয়ায় না ? অনেকসময় এইজন্য বহুদল আগে থেকে চাঁদা তোলে । তাহলে এই খিল্লি কি শুধুই এলিটিজম থেকে ? এটা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো সাজছেন বটে , কিন্তু আদতে ওই সাধারণ মানুষদের থেকে দূরেই যাচ্ছেন ।
    আরও একটা বিষয় বেশ ফলাও করে বলা হচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা থেকে আজকের ব্রিগেডের জনসমাবেশের সংখ্যা বাদ দিলে শিক্ষিত মানুষদের সংখ্যা পাওয়া যাবে । কয়েকজন তো বলছেন দেখলাম আজকে যারা গেছিলো তারা সবাই চোর চিটিংবাজ । এটাও আসছে ওই এলিটিজম থেকেই । অথচ এঁরাই একসময় বামেদের ব্রিগেডে গেছেন । ভবিষ্যতেও যাবেন । তখন এনারা চোর থেকে সাধু এবং অশিক্ষিত থেকে শিক্ষিত হয়ে যাবেন । এরকম চিন্তাভাবনা বেশ প্রগতিশীল সন্দেহ নেই ।

    দ্বিতীয় ইস্যুটি বেশ গম্ভীর । মূলত ফেসবুকিয় বুদ্ধিজীবিদের মতে মমতা ব্যানার্জি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য মুখ হতে পারেন না । কেন ? কারণ তিনি এনডিএ সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং মমতা ব্যানার্জিও ধর্মের নামে তোষণ করেন । কংগ্রেস , সিপিএম কেউ বিজেপির সাথে জোট করেনি । তা বটে । জনতা ঐক্যের কথা বাদ দিয়েই একটু বিষয়টা দেখা ভালো । কারণ জনতা দল বিজেপি নয় । প্রথমে এটা জানা দরকার যে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুখ কারা হতে পারে ? "ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক" জোটের কথা বলা লোকজন কংগ্রেসকেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুখ হিসাবে তুলে ধরছেন । আরও পরিষ্কার করে বললে বলা যায় সিপিএম তথা বামেরা , যারা বারবার কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে সমদূরত্ব রাখার কথা বলে কংগ্রেসের সাথে জোটের বার্তা দিচ্ছেন এবং সেই সেই জোটকে "ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক" বলে তকমা দিয়ে কংগ্রেসকে ধর্মনিরপেক্ষ দল বলে দাবী করছেন । কোন কংগ্রেস ? যারা কোনোদিনই ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসাবে গড়ে ওঠেনি । সম্প্রতি "গণদাবী" পত্রিকায় এই বিষয়ে একটি অসামান্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন । ১৯৮৪ সালে কংগ্রেস সমগ্র হিন্দু ভোটকে পোলারাইজ করেছিলো । তখন কংগ্রেসের নেতাদের সমর্থনে শিখ নিধন চলেছিল অবাধে । শিখদের পৃথক হোমল্যান্ড তৈরির বিরোধিতা করা ছিলো কংগ্রেসের মূল কাজ এবং এইভাবে হিন্দুদের মনে ভয় ধরিয়ে হিন্দু ভোট টেনেছিলো কংগ্রেস । বর্তমানে বিজেপি মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ঠিক এইধরণের ভয় দেখায় । আরএসএস এর সঙ্গেও কংগ্রেসের সখ্যতা নতুন বিষয় নয় । "দ্য টেলিগ্রাফ" সংবাদপত্রের সহকারি সম্পাদক রশিদ কিদওয়াইয়ের "ব্যালট– টেন এপিসোডস দ্যাট শেপড ইন্ডিয়াজ ডেমোক্রেসি" বইতে এর কথা বলা হয়েছে স্পষ্টভাবে । ওই বইতে বলা হচ্ছে , "নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাজীব গান্ধী কংগ্রেসের পক্ষে আরএসএস–এর সমর্থন চেয়ে নাগপুরের কংগ্রেস এমপি বনোয়ারিলাল পুরোহিতের মাধ্যমে তৎকালীন সরসঙঘচালক বালাসাহেব দেওরসের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছিলেন" । আর ওই সমর্থনের বিনিময়ে আরএসএস অযোধ্যায় রামজন্মভূমি শিলান্যাসের অনুমতি চেয়েছিল ৷ সেই নির্বাচনে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সত্ত্বেও আরএসএস তার পাশে না দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে দু’হাত তুলে সমর্থন করেছিল ৷ রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ নেহেরু এক সাপ্তাহিকীতে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘১৯৮৬ সালের প্রথম দিকে ‘মুসলিম কার্ড’ খেলতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ‘মুসলিম মহিলা বিল’ পাশ করানো হয়েছিল এবং তারপর ‘হিন্দু কার্ড’ খেলার জন্য অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের তালা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷’’ তিনি আরও বলেছিলেন , ‘‘মসজিদের তালা খোলার দু’দিন পর এক সন্ধ্যায় আমি রাজীব গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাই৷ তিনি তখন দূরদর্শনে দেখছিলেন মসজিদের ভিতরে রামলালার পূজা চলছে৷ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম , কে এসব জিনিস দূরদর্শনে দেখানোর ব্যবস্থা করেছে ? তিনি কোনও উত্তর দেননি, মৃদু মৃদু হাসছিলেন, আর পূজা দেখছিলেন৷ আমি তারপর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরবাহাদুর সিংকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলাম যে, কে এইসব ব্যবস্থা করেছেন ৷ তিনি উত্তরে জানান, আপনি প্রধানমন্ত্রীকেই জিজ্ঞাসা করুন ৷’’
    তারপর ১৯৮৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোট আরও নিশ্চিত করতে রাজীব গান্ধী আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে বাবরি মসজিদের কাছেই রামমন্দিরের শিলান্যাসের অনুমতি দেন ৷ রামমন্দির ইস্যু অতি দ্রুত কংগ্রেসের হাত থেকে সংঘ পরিবারের হাতে চলে যায়৷ বস্তুত ওই শিলান্যাসই ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ভাঙা ও তার পরবর্তী ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বীজ বপন করেছিল ৷
    কংগ্রেসের সঙ্গে আরএসএসের গভীর সম্পর্কের আরও উদাহরণ পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গ , উত্তরপ্রদেশ ও সিকিমের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি–র প্রাক্তন প্রধান টি ভি রাজেশ্বরের বই ‘দ্য ক্রুসিয়াল ইয়ার্স’–এ ৷ ওই বইতে বলা হয়েছে বালাসাহেব দেওরস ইন্দিরা গান্ধী ঘোষিত জরুরি অবস্থার বহু পদক্ষেপের দৃঢ় সমর্থক ছিলেন ৷ রাজেশ্বর বলেছিলেন , ‘‘তাঁরা (আরএসএস) জরুরি অবস্থার কেবল সমর্থক ছিলেন তাই নয়, সেই সমর্থন প্রকাশ করার জন্য দেওরস এমনকী ইন্দিরা গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন’’৷ ওই বইতে বলা হয়েছে, আরএসএস ইন্দিরা গান্ধীকে ভোটের সময় সমর্থন করতে চেয়েছিল এবং তা জানানোর জন্যও সরসঙঘচালকের প্রয়োজন ছিল ইন্দিরা ও সঞ্জয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ৷

    অর্থাৎ , আরএসএস মমতাকে দুর্গা বলেছিলো বলে মমতা আরএসএস বিরোধী নয় আর কংগ্রেস মারাত্মক আরএসএস বিরোধী - এরকম চিন্তার ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই । সদ্য পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও নির্বাচনী ইস্তেহারে যারা গো শালা , গরু সংরক্ষণের কথা বলেছে ; অন্যদিকে রাহুল গান্ধী একবার পৈতে পরে মন্দিরে ছুটছেন , একবার নিজের গোত্র জানাচ্ছেন তো একবার মসজিদে ছুটছেন । কদিন আগে সিপিএমের মুখপত্র "পিপলস ডেমোক্রেসি" তে একটা অসাধারণ বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছিলো এই বিষয়ে । সেই প্রবন্ধে বলা হয়েছিলো যে কংগ্রেস বিজেপির থেকেও বেশি হিন্দু হতে চাইছে । নানা ঘটনা থেকে সেটা পরিষ্কার । অতএব কংগ্রেস আদৌ ধর্মনিরপেক্ষ দল নয় এটা বামেরা পাকেপ্রকারে মেনে নিয়েও , পার্টি কংগ্রেসে কংগ্রেস এবং বিজেপির সাথে সমদূরত্ব রাখার কথা বলেও কংগ্রেসের সাথে জোটের আহ্বান করে এই সেই জোটকে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল বলে দাবী করে কংগ্রেসের মতো একটা সাম্প্রদায়িক দলকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করছেন ।

    এবার আসা যাক ভোটের রাজনীতির ইস্যুতে । বাস্তবিক একথা সত্যি যে বিজেপিকে আটকাতে হবে । তারজন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে একজোট হতে হবে । সেদিক থেকে দেখতে গেলে জাতীয় রাজনীতিতে দুটো বৃহৎ জাতীয় দলের মধ্যে জোট সম্ভব নয় বলে বিজেপি কংগ্রেস কখনও জোট হয়নি । অতএব কংগ্রেসের সাথে বিজেপি বিরোধী জোট করা যায় । সেই দিক থেকে তৃণমূলের সাথে সেই জোট করা যায় না কারণ মমতা ব্যানার্জি এনডিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন । বেশ ভালো কথা । কিন্তু এই কথা বললে তো অনেক আঞ্চলিক দলের সাথেই জোট করা যায় না । কয়েকমাস আগে এনডিএতে ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু । তাকে নিয়ে বিরোধিতা হচ্ছে না । কেন ? সেইভাবে দেখতে গেলে টিডিপিকেও জোট থেকে বাদ দিতে হয় । আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে বিজেপির জোট তো নতুন কোনো ঘটনা নয় । এআইএডিএমকে ১৯৯৮ সালে বিজেপির সাথে জোট করেছিলো । এবার যদি সমস্ত ইতিহাস ঘেঁটে জোট করতে হয় তাহলে অনেক আঞ্চলিক দলকেই জোট থেকে বাদ দিতে হয় এবং সেটা হলে বিজেপির সুবিধা হয় । অতএব আলাদা করে তৃণমূল কংগ্রেস কোথায় অন্যান্য আঞ্চলিক দল বা নৈতিকভাবে কংগ্রেসের সাথে কোথায় আলাদা ; সেটা বোঝা যায় না । নৈতিকতার বিচার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক ভাবে লড়াই করতে হলে সেটা এক এবং একমাত্র বামেদেরই করতে হবে সমস্ত দক্ষিণপন্থী দলকে বাদ দিয়ে । সেটা হলে সবথেকে ভালো হয় । আর ভোটের রাজনীতিতে দেখতে গেলে একটা খুব পুরোনো কথার দিকে তাকাতে হয় । "ভোটের রাজনীতিতে চিরশত্রু বলে কিছু নেই ।" সত্যিই তো । সেটা না হলে মমতা ব্যানার্জি ; যাঁর জীবনের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য ছিলো সিপিএম বিরোধিতা ; তাঁকেও আজ বলতে হয় "ইনকিলাব জিন্দাবাদ যাদের স্লোগান তাঁদেরও আমরা শ্রদ্ধা করি !" আজকে মমতা , স্ট্যালিন , অখিলেশ সবাই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম না বলে লড়াইটাকে রাজ্যস্তরে নিয়ে আসতে চাইছেন । আর আঞ্চলিক দল থেকে প্রধানমন্ত্রী যে কখনও হয়নি এমনটা তো নয় । "কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে তুলে মমতা বিজেপির সুবিধা করছেন" - এই কথাও বোধহয় আর খাটে না । কারণ কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বও বোধহয় সেই কথা মানেন না । আর সেজন্যই মল্লিকার্জুন খাড়গে বা অভিষেক মনু সিংভি এসে ব্রিগেডে বক্তব্য রাখেন এবং রাহুল গান্ধী এই মিটিংয়ের সাফল্যকামনা করে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান । প্রেস কনফারেন্সে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন , মতের মিল না থাকলেও হাত ধরতে হবে । আর আজকের সমাবেশের পর মমতা যদি এনডিএতে যোগ দেন ; তাহলে গোটাদেশব্যাপী তিনি খোরাকে পরিণত হবেন ; এটা উনি নিশ্চয়ই বোঝেন । তৃণমূল দালাল বলে আমাকে দাগিয়ে দেওয়া হতে পারে । কিন্তু দেশের একজন বিজেপি বিরোধী নাগরিক হিসাবে বিজেপি বিরোধী এতো বৃহৎ সমাবেশ দেখে আমি খুশি । আশা করি এর প্রভাব ইভিএমেও পড়বে এবং ২০১৯ এ কেন্দ্রে একটি অবিজেপি সরকার গঠিত হবে ।
  • S | 458912.167.34.76 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:০১380506
  • কি জঘণ্য লেখা।
  • Unknown | 90045.206.7812.223 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:১৩380517
  • TMC র থেকে কত মাল্লু পেলেন এই লেখাটার জন্যে ?
  • dc | 232312.164.230112.13 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:২২380528
  • একমত, প্রায় এই কথাগুলোই অন্য টইতে লিখলাম। তবে যদি নির্বাচনে বিজেপিকে আটকানো যায় আর মিলিজুলি সরকার আসে তাহলে মা সারদার কৃপা কেন্দ্র সরকারে না এলেই খুশী হবো। আর যদি আসেই তো মোদি-শাহ জুটির থেকে আমি মা সারদা প্রেফার করবো।
  • সিকি | 894512.168.0145.123 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৪১380539
  • বিয়েবাড়িতে একটা খাবারদাবারের ব্যবস্থাপনা থাকে, সবাই জানে। তাই বলে কেউ যদি বিয়ের কার্ডে লেখেঃ মেনুতে থাগবে মোগলাই আর আর্সালানের বিরিয়ানি - লোকে খিল্লি করবেই।

    মুলোদের "বিগ্রেড" সমাবেশের মেনু ছিল ডিম্ভাত - সেটা দেওয়াল লিখন থেকে জানা গেছে। লোকে খিল্লি করেছে। বেশ করেছে। এর সাথে এলিটিজম ফিজমের কোনও সম্পর্ক নেই।

    কংগ্রেস ছিল উচ্চবংশীয় বর্ণহিন্দুদের দল। জন্মলগ্ন থেকেই। হিন্দুত্বের ক্যাওড়ামোগুলো একটু রেখেঢেকে করা পছন্দ করত বলে কট্টর হিন্দু কংগ্রেসীদের পছন্দ হয় নি, কংগ্রেস থেকে তারা আলাদা হয়ে গঠন করে হিন্দু মহাসভা। একদিনে হয় নি, একা কংগ্রেসের দোষেও হয় নি, আরও বেশ কিছু ক্যাটালিস্ট ছিল - মুসলিম লীগের গঠন (অতএব, হিন্দু খতরেঁ মে হ্যায়), মোর্লে-মিন্টো সংশোধনী (হিন্দুদের আলাদা ইলেক্টরেট, মুসলমানদের আলাদা) ইত্যাদি। তা, জন্মলগ্ন থেকেই কংগ্রেস সফট হিন্দুত্ব নিয়ে খেলতে পছন্দ করে আর নিজেদের সংখ্যালঘুদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মুখ হিসেবে দেখাবার চেষ্টা করে, সেই জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত। আদতে কংগ্রেস কতটা বদলেছে গত একশো সোয়া-শো বছরে, সে সম্প্রতি কয়েকটা রাজ্যে বিধানসভা জেতার পরেই দেখা গেছে। খুনী ইতর কল্লুরিকে আবার ছত্তিশগড়ের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে, আরেক খুনী কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, দুদিন আগেই জগদীশ টাইটলারকে স্টেজে নিজের পাশে বসিয়েছিলেন শীলা দীক্ষিত, শবরীমালা নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান বিজেপির থেকে বিশেষ কিছুই আলাদা নয়, শশী তারুর পাবলিক স্পেসে হিন্দুত্বের ঐতিহ্যের জাল বুনছেন, আর কংগ্রেস যথাসম্ভব রেখেঢেকে তাতে ধুনো জুগিয়ে যাচ্ছে।

    এই তো কংগ্রেস। কংগ্রেস পার্টির বয়েস বেশি তাই তাদের নিয়ে ইতিহাসের উপাদানও বেশি। মুলোদের বয়েস কম, আট বছরেই তারা (পড়ুন "তিনি") যা ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছেন, সেও বড় কম নয়। এর পর - জল ঘোলা হ্যাজ, জলে মাছ হ্যাজ, সবার কাছে বিভিন্ন টাইপের ছিপ হ্যাজ - যে যেমন পারে গ্রুপ বানিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরবে। আপনি আমি ভোট দেব। এত প্যাচাল কীসের?
  • S | 458912.167.34.76 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৫৩380550
  • লেখক লিখেছেন "দ্বিতীয় ইস্যুটি বেশ গম্ভীর ।"
    ইস্যুটা কি? "তৃণমূল তথা মমতা ব্যানার্জি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য মুখ হতে পারেন না ।"
    লেখক প্রমাণ করেছেন? "অতএব কংগ্রেস আদৌ ধর্মনিরপেক্ষ দল নয় "
    কারণঃ রাজীব গান্ধীর কীর্তিকলাপ।

    তা রাজীব গান্ধী যখন এইসব জঘণ্য কাজ করছিলেন, দিদি তখন কি করছিলেন?
    বা মসজিদ ভাঙার পরে দিদি বিজেপির সাথে নিস্চই আর কোনো সম্পক্ক রাখেননি?
    বা গুজরাট রায়টের পরে দিদি নিস্চই এনডিএ ছেড়ে দিয়েছিলেন?

    এসব বোধয় দিদির কেলাসে পড়ানো হয়নি?
  • রিভু | 450112.191.564523.191 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:১২380554
  • মুলোদের "বিগ্রেড" সমাবেশের মেনু ছিল ডিম্ভাত - সেটা দেওয়াল লিখন থেকে জানা গেছে। লোকে খিল্লি করেছে। বেশ করেছে। এর সাথে এলিটিজম ফিজমের কোনও সম্পর্ক নেই।

    অবশ্যই আছে। সব সমাবেশেই খাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হয়। সিপিএম ও রাখতো। সেই ডিমভাত খাওয়ানো নিয়ে সিপিএম খিল্লি করছে দেখলে অবাক লাগে বৈকি।
  • bd | 1256.38.90067.128 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:১৫380555
  • সিপিএম তখন মধ্যগগনে। ব্রিগেডে সাত কোটি বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশ। জ্যোতিবাবু দীর্ঘ বক্তৃতার মধ্যে হঠাৎ জনতার সমবেত 'মার্কসবাদ মার্কসবাদ' চিৎকারে অভিভূত হয়ে বসে পড়তে পড়তে সুভাষ চক্কোত্তিকে বললেন - "বিপ্লব ঘরের দোরগোড়ায় এসে গেল, আর আমাকে একটা খবর দাওনি হে সুভাষ?" সুভাষ দাঁত কিড়মিড় করে স্বগতোক্তি করলেন - "উঃ শালার পাবলিক! এতটুকু ধৈর্য নেই, মাছভাত মাছভাত করে চেল্লাতে লেগেছে।" তারপর টুপি খুলে জ্যোতিবাবুকে সেলাম করে রান্নাবান্নার আসরের দিকে গেলেন।
    এই সেই বাংলার মাটি। 'আমার সন্তান যেন থাকে মাছেভাতে' এই বামপন্থী প্রার্থনা এখানে চিরসত্য। মাছভাতের জায়গায় যারা ডিমভাত আমদানি করে বাংলার চরিত্র বদলে দিতে চায়, তাদের নিয়ে তো খিল্লি হবেই।
  • dc | 232312.164.230112.13 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২১380556
  • সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হতো বোধায়। এরকম কিছু একটা শুনেছিলাম। নাকি শুধু টাকা দেওয়া হতো, খাবার দেওয়া হতো না?
  • সিকি | 894512.168.0145.123 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২৬380496
  • শিপিয়েম দেওয়ালে লিখত না বোধ হয়, মেনুঃ মাছভাত, বা রুটিতরকারি। কাউকেই লিখতে দেখি নি। মুলোরা লিখেছে, লোকে খিল্লি করেছে। বেশ করেছে। আমি শিপিয়েম নই, তাও খিল্লি করেছি। বেশ করেছি। আবারও বলছি, এর সাথে এলিটিজমের সম্পক্কো নেই।
  • Ekak | 340112.124.566712.226 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২৭380497
  • খাবার দিয়ে দলে টানা কি বাঙালি প্রথম দেখলো ? আমাদের সেরার সেরা সিনেমাতেই তো মন্ডা মিঠাই হাঁড়ি হাঁড়ির লোভ দেখিয়ে সৈন্যদের দলে টানা হয় । হীরার লোভে মন্ত্রী ও আমলারা রাতারাতি দিক বদলে ফ্যালে ।

    পেটে অতটা খিদে , পকেটে অতটা টান না থাকলে এই কল্পনাও কি আস্ত গল্পে ? দারিদ্র/ অসাম্য যেখানে সত্যি সেখানে এসব ও থাকবে ।
  • dc | 232312.164.230112.13 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৪৩380498
  • তামিল নাড়ুতে দেয় একটা করে বিরিয়ানির প্যাকেট আর মদের বোতল। আর পাঁচশো না হাজার টাকা।
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:০৭380499
  • সিপিএম আর আমলে,মার্ক্স্ এর দু ভল্যুম বই পড়ে, জনতা মিছিলে আসতো। সে এক সময় ছিল বটে!
    বাঙালি ইন্টেলেকচ্যুয়ালিটির হদ্দ মুদ্দ।
    রাজনীতি তে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসতে হবে।
    খালি সেক্যুলার সেক্যুলার বলে চেঁচালে তো সরকারে আসা যাবে না।কংগ্রেস এমন চেঁচাতে চেঁচাতে গলা বসিয়ে ফেলেছে।
    ইদিকে কোন এক আমেরিকান এক্সপার্ট নাকি ইভিএম মেশিন সম্পর্কে কি বলেছে।
  • PT | 340123.110.234523.7 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৫380501
  • .....শুধু ২ টাকা কিলোর চালকে ভিক্ষান্ন বললেই অসম্মান হয়!!
  • | 453412.159.896712.72 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৫380500
  • নব্বইয়ের দশকে পাড়ায় সিপিএমের লোকজন এসে ব্রিগেডে গেলেমাংস্ভাতের ব্যবস্থা থাকবে একথা মৌখিক জানিয়ে যেত। দেওয়ালে লিখত না। এই নিয়ে বরুণ সেনগুপ্তর 'মাছভাত' টাইপ খিল্লিটাও যেমন কুরুিকর এই 'ডিমভাত' খিল্লিও সেরকমই কুরুচিকর। দুটোই কুৎসিৎ। সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচনের পর একটা ভিডিও নিয়ে খুব খিল্লি হতে দেখছিলাম, কয়েকজঙ্গ্রাম্য়্মহিলাকে জিগ্যুএস করা হচ্ছে ভোট দিতে আসা বিষয়ে কেন এসেছেন, তা তাঁরা বলছেন 'এই মনে করেন ভাল্লাগে ঠ্যালায়, ঘোরতে' সেটা নিয়েও খিল্লির ঝড় দেখে একইরকম খারাপ লেগেছিল।

    এটা আর মমতার বিজেপী বিরোধীতা(?) একেবারে আলাদা ইস্যু। এদুটো একসাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। অন্য টইতে যেটা লিখলাম, মমতাকে পাশে সামনে পিছনে কোত্থাও নিয়ে বিজেপী বিরোধীতা হয় না, জাস্ট হয় না। শর্ট টার্ম মোদী বিরোধীতা হতে পারে। তাতে গড়কড়ি আসার পথ পরিস্কার হবে। মমতা ব্যানার্জীর জন্যই পশ্চিমবঙ্গে সৌদীর টাকা ঢুকেছে আর সেইটা আবার আর এস এস শাখার প্রসার ফুলে ফলে প্রসার ঘটাতে সাহায্য করেছে যেটা পশ্চিমবঙ্গকে বেশ বিপজ্জনক একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
  • | 453412.159.896712.72 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৭380502
  • *মাংসভাত
    *কয়েকজন গ্রামের মহিলাকে জিগ্যেস
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:২৬380503
  • মমতা কে দিয়ে বিজেপি বিরোধিতা হয় না ;কিন্তু অলমোস্ট সব বিরোধী দলকেই ব্রিগ্রেড এ আস্তে হচ্ছে। মান্নান, তিনোরা খারাপ বলে চেঁচিয়ে চলেছে; আর রাহুল বাবা ,দিদি কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
    ছোড়দা,এক কোনদিক সামলাবে?--))
  • s | 568912.100.7889.206 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৪৭380504
  • যারা ভোটের পর বিজেপির হাত ধরার রাস্তা খোলা রাখতে চায়, তারা বিজেপিবিরোধী সমাবেশে আসতে যাবে কেন? তার চেয়ে ইহা ছহি বিজেপিবিরোধিতা নহে বলে ২টাকা কিলোর চাল আর ডিম্ভাতকে খিল্লি করে বাড়িতে মাংসভাত খাওয়া ভাল না?
  • S | 458912.167.34.76 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৪৮380505
  • কি বুদ্ধি।
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৩380507
  • আপনি বড় এস তাবলে ছোট এস কে উপহাস করবেন না।দুজনেই এস।বড় আর ছোট।
    বামেরা চিরটা কাল এই সাম্যতা নিয়ে লড়ে গেল।
  • PT | 340123.110.234523.10 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:০৮380508
  • বিজেপিবিরোধী না মোদীবিরোধী সেটা আগে পরিষ্কার হোক। আপাততঃ বিজেপি=মোদী চলছে.....সেই সমীকরণ কিছুদিন বাদে বদলাতে পারে।
    "'Potato and Potato Chips Not Same': For Mamata, Not All BJP Leaders are Bad, Sushma and Rajnath 'Good'"
  • S | 458912.167.34.76 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১০380509
  • দাঁড়ান। কয়দিন পরে মোদিও গুড হয়ে যেতে পারে।
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৩380510
  • আপাতত ধরে নিন মোদি বিরোধিতা। ভোটে জিতলে লোকজন সেটাকেই বিজেপি বিরোধিতা বলবে।
    বিজেপির মধ্যে ভালো লোক আছে তো।
    এই যেমন শত্রুঘ্ন সিনহা,যশবন্ত সিনহা,ইত্যাদি।
    এঁদের তো মঞ্চেই দেখা গেলো।

    ইস দুনিয়া মে কই পারফেক্ট নেহি হোতা হ্যায় স্যর
  • সিকি | 562312.19.4534.88 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৮380511
  • গাল টিপে উলিবাবালি মোমেন্ট। :)
  • PT | 340123.110.234523.10 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:১৯380512
  • শত্রুঘ্ন সিনহা,যশবন্ত সিনহা বাবড়ি ধ্বংস আর গোধরার দাঙ্গার সময়ে কি অবস্থান নিয়েছিল? আপাততঃ ভাল/মন্দ মাপার জন্য ঐ দুটো ঘটনাকেই গজ-ফিতে ধরা যাক।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:২২380513
  • বোঝো! মমতার সভায় স্তালিন এসেছিল...

    At Mamata rally, 25 Opposition leaders vow to oust Modi govt



    Opposition leaders at the rally in Kolkata on Saturday
  • | 453412.159.896712.72 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৮380514
  • উদিকে স্ট্যলিন আর তেজস্বী ফিরে গিয়েই রাউলবাবাকে পোধানমন্তিরি দেখতে চেয়েছে। :) মমতাকে দেখেই কি হল রে বাবা! :-p
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৪২380515
  • কলকাতায় এক ট্যাক্সি ড্রাইভার বলল - সিএম ওয়ালা পোস্ট দিদি ভাতিজা কো দে দেঙ্গে, আউর খুদ পিএম বানেঙ্গে, কোশিশ কর রহা হ্যায়

    আর এক্জন ড্রাইভার বলল - অগর নেহেরুজি কা টাইম সে মোদিজি প্রাইম মিনিস্টার হোতা তো আজ দেশ কা হাল আউর কুছ হোতা, আচ্ছা কুছ করনে মে টাইম লাগতা হ্যায়
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৪৬380516
  • স্ট্যালিন এর মধ্যে রাহুলকে পি এম হতেই হবে বক্তব্য থেকে সরে এসেছে।
    তেজস্বী রাহুল কে পি এম হতেই হবে এমন কিছু বলে নি। বলেছে ,কংগ্রেস বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেবার প্রধান দাবিদার।
    বাকি রইলো খোদ কংগ্রেস।
    কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকে বলা হয়েছে,ভোটে জিতলে কে পি এম হবে,সেটা বিরোধী জোটের কম্বাইন্ড ডিসিশন হবে।কংগ্রেস এর তরফ থেকে অবশ্যই রাহুলের নাম সাজেস্ট করা হইবেক।
  • sm | 2345.110.9002312.186 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৫০380518
  • কি আশ্চর্য্য। এল সি এম এর কলকাতায় মিট করা দুজন চালকই হিন্দিভাষী!
    আমার কিন্তু কলকাতার এই এটিচিউডটা খুব ভালো লাগে।
    আরো ভালো লাগতো, মুম্বই বা দিল্লী গিয়ে বাঙালি ট্যাক্সি ড্রাইভার এর সংখ্যা বেশি দেখলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন