এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুকি | 49.207.213.122 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১১734958
  • নূর অল হাসান থাকে অষ্ট্রেলিয়ায়।  ই-বুকের জন্য অপেক্ষা করছে।  খোঁজও নিয়েছে অনেকবার। এর মধ্যেই হার্ড কপি কিনে নিজের দেশের বাড়িতে পাঠিয়েছে। সেদিন লিখলঃ 
     
    "দাদা, আপনাকে একটা ঘটনা জানাবো – আপনার বই এর উপরে।  বাড়িতে পড়ে আর আমি মোবাইলে শুনি কল করে।  চাষার ছেলে পর্যন্ত শোনা হয়েছে আপাতত।  একটা ই-বুকের অপশন রাখুন, না হলে পুরো শুনতে শুনতে অনেক টাইম লেগে যাবে আমার।  ইন্টারনেট কল বলে ফ্রী-তে শোনা হয়ে যাচ্ছে, না হলে কি হত বলুন তো!"  
     
  • সুকি | 49.207.213.122 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৩734960
  • "নিমো গ্রামের গল্প" নিয়ে মনোজ রায় লিখলেনঃ
    প্রায় অর্ধেক পড়লাম। একটু punctuation আর typo ছাড়া একদম ঝাক্কাস চলছে।
  • সুকি | 49.207.213.122 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৬734961
  • "নিমো গ্রামের গল্প" নিয়ে আরো অনেকে যা লিখলেনঃ
     
    সুবীর রায়
     
    ডেলিভারি অনেক দিন পরে পেয়েছি, পড়াও হয়ে গেছে. চমৎকার লেগেছে. আমি গ্রামের ছেলে নয়, কিন্তু শৈশব এবং তরুণ বয়স প্রায় পুরোটাই মফস্বল এ কেটেছে, তাই আমার চেনা প্রচুর চরিত্রের মিল পেয়েছি, তাই আরো ভালো লেগেছে. খুব সাবলীল লেখা, চালিয়ে যান,আরো এরকম লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
     
     
    রীণা চৌধুরী
     
    আমি ও পেয়ে গেছি, শুধু মাত্র হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ই।
    আর আপনার লেখা ফেসবুকে পড়ে এতো মজা লাগতো সেই জন্য ই বই টা পাওয়ার জন্য এতো আগ্রহ ছিলো।
    এখন বৃষ্টি বাদল দিনে জমিয়ে পড়ছি।
    আরো অনেক লেখা র আশায় রইলাম।
     
     
    অর্ণব ব্যানার্জী
     
    বই পেয়ে গেছি।  আমার মেয়ে এবং বৌ একটু কনসার্ণড।  মাঝে মাঝেই আমার ঘর থেকে খ্যাক খ্যাক করে হাসির আওয়াজ পাচ্ছে কাল রাত থেকে –
     
     
    সোমরিতা  
     
    সকালে আপনাকে লিখলাম (যে বই আসতে কত দেরী এখনো) – আর দুপুরে বই সময়ের আগেই চল এল।  নিরাশ তো করে বা নাই এই বই – কারণ অনেক গল্প পরেছি ফেসবুকেই। আর নিমো গ্রামের গল্পের ভক্ত হয়ে গেছি। 
     
     
    প্রমিতা শ্রীমণি
     
    ফেসবুক গ্রুপ এর লেখা গুলো পড়ে ভালোলাগে বলে আপনার বইটি অর্ডার করেছিলাম।  গ্রুপ এর একটি পোস্ট এর কমেন্টে সে কথা জানিয়েছিলাম ও। আজ বইটি হাতে পেলাম। 
    'চাষার ছেলে' থেকেই পড়া শুরু করলাম। যদিও ভূমিকা, শুরুর আগের কথাটুকু আর সূচিপত্র ও পড়ে ফেলেছি
  • সুকি | 49.207.212.122 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০২734975
  • নিমো গ্রামের গল্প শুনতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনুপম। ব্যাঙ্গালোরে বসে বই হাতে পেয়ে খুশী। ইন্টারেষ্টিং হল সে আসামের ছেলে, বাংলা বই পড়তে ভালোবাসে। আমার অফিসে কাজ করে, বই বেরিয়েছে শুনে কিনে ফেলেছে৷ এবং 
    পড়েও ফেলেছে - আমি প্রথমে ঠিক বিশ্বাস করি নি৷ কিন্তু পরে দেখলাম কথা প্রসঙ্গে নিমোর নানা গল্পের রেফারেন্স দিচ্ছে! জব্বর বই হয়েছে বলল
     
    অনুপমের বাড়ি চা বাগানের পাশে এক গ্রামে, নিমোর গল্পে সে নিজের গ্রামের অনেক স্পর্শ পেয়েছে জানালো৷ অনুপমের নিজের গল্পও খুব ইন্টারেষ্টিং, সেই নিয়ে কোন একসময় লিখব
     
    নিমোর গল্প বাংলার ভৌগলিক এবং সাংস্কৃতিক সীমানা ছাড়িয়ে বাইরে এখন
     
  • সুকি | 49.207.214.60 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫১734981
  • কয়েকদিন আগে ফেসবুকে সৈকতদা লিখেছিলঃ
     
    "সুখবর সুখবর। সুকি ওরফে Sukanta Ghosh এর নিমো এক্সপ্রেস যে গতিতে দৌড়চ্ছে, তার সঙ্গে তাল রাখা যাচ্ছেনা। বইয়ের পোশাকি নাম অবশ্য নিমো গ্রামের গল্প। সে এক অদ্ভুত গ্রাম। হাওড়া আর মেমারির মাঝখানে কোনো এক জায়গায়। সেই অখ্যাত জায়গার অনন্যসাধারণ গপ্পো, যাকে স্মৃতিকথা বললেও হয়, নিখাদ সত্যকথন বললেও হয়, এমনকি নেহাৎই গালগপ্পো বললেও সুকি মনে হয় আপত্তি করবেনা। সুকির কল্যাণে সেই জায়গা ক্রমে মুজতবাবর্ণিত কাবুলের চেয়েও বেশি বিখ্যাত হয়ে যাবে বলে সন্দেহ হচ্ছে। কারণ, বইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছিলাম কবে? এই তো জুলাই মাসে। তারপর ধরে-বেঁধে ছাপার তোড়জোড়, ছাপাছাপি প্রকাশ, মাসখানেকও হয়নি, তার মধ্যেই প্রথম সংস্করণ খতম। তাতে অবশ্য ঘাবড়ানোর কিছু নেই, দ্বিতীয় সংস্করণও বাজারে আসছে খুবই তাড়াতাড়ি। ছাপতে চলে গেছে। নিমো এক্সপ্রেসের প্রথম স্টপ  যাঁরা মিস করেছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় পরের স্টেশনে দাঁড়ান। গাড়ি এখনই আসবে। অর্থাৎ কিনা নির্দ্বিধায় অর্ডার করে ফেলুন। "
     
    তো এটা পড়ে জানতে পারলাম "নিমো গ্রামের গল্প"-এর প্রথম সংস্করণ শেষ! খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে দ্বিতীয় সংস্করণ। 
     
    সত্যি কথা বলতে কি নিমোর বই বিক্রী নিয়ে আমি নিজেই স্কেপ্টিক্যাল ছিলাম। ফেসবুকে লাইক সবাই দেয়, কেউই কেনে না - এটা ছিল আমার বেস আইডিয়া। কিন্তু নিমোর বই অনেক লোকে কিনছে, অনেক স্প্রেড কাষ্টমার। এবং সবচেয়ে ভালো লেগেছে ব্যক্তিগত ভাবে এই দেখে যে বই যাঁরা কিনেছেন তাঁরা বেশীর ভাগই কিনেছেন বই ভালোবেসে, গল্প ভালোবেসে, নিমোকে ভালোবেসে। 
     
    পাঠক ম্যাসেজ করছে - সে বিদেশে থাকে, বই কিনে দেশের বাড়িতে পাঠিয়েছে - বাড়িতে যখন ফোন করে তখন বাড়ির লোকের কাছে বই পড়া বা গল্প শোনে। 
     
    অন্য একজন জানালেন বাড়িতে ফোন করে তাঁর মা-কে শোনান গল্প। একদিন না বললে, মা উলটে প্রশ্ন করেন, কি রে আজ কি গল্প শোনাবি না?
     
    মনটা অনেক কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে - এই তো ছিল চেয়েছিলাম যে পাঠক এমন করে পড়বে। 
     
    "তুমি আমার বই কেনো, আমি তোমারটা কিনব" - এই ধারণার বাইরে নিমোর বইকে বেরুতে সাহায্য করার জন্য প্রকাশক গুরুচন্ডালি কে ধন্যবাদ
  • সুকি | 49.207.214.60 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০১734982
  • কেরলের ছেলে অরিজিন্যালি, কিন্তু প্রায় তিরিশ বছর ধরে রঘু আমেরিকার বাসিন্দা, আর পঁয়তিরিশ বছর আগে দুর্গাপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশুনা শেষ করেছিল। 
     
    এখনো বাংলা পড়তে পারে, তার থেকেও বড় কথা এত বছর পরেও বর্ধমানের অনেক কথাই ভোলে নি। আর  যা বুঝলুম দোলের বা পৌষমেলার  সময় কলেজের ছেলেদের শান্তিনিকেতন যাবার মূল কারণও বদলায় নি এই পঁয়তিরিশ বছরে
     
    বর্ধমান জেলার গল্প ঝালিয়ে নিতে 'নিমো গ্রামের গল্প' রঘুর হাতে
     
    ভারতের মাটি ছেড়ে নিমোর গল্প পাড়ি দিয়েছিল সেদিন  আমেরিকায়
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f820:6952:53eb:5410 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪৪734983
  • প্রথম সংস্করণ এর মধ্যেই শেষ, এ তো দারুণ খবর। বিক্রির রেকর্ড করবে এ বই, প্রত্যাশিত ভাবেই  
  • সুকি | 49.207.213.122 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৫২734990
  • "নিমো গ্রামের গল্প" নিয়ে ঋতুপর্ণা মিত্র লিখলেনঃ
     
    "আপনার 'নিমো গ্রামের গল্প' বইটি এখন আমি পড়ছি। গ্রামীণ জীবন সম্পর্কে সত্যি আমার ধারণা খুব কম। গ্রাম মানে আমার কাছে ঐ ট্রেনে যেতে গিয়ে যে সবুজ জমি চলে যায় আর বড়ো বড়ো পুকুর দেখা যায় তার মধ্যেই  সীমাবদ্ধ। আমার বাবার মামার বাড়ি গুড়াপ এ হওয়ার কারণে এবং সেই মামার বাড়িতে বাবার নিয়মিত যাতাযাতের কারণে এরকম অনেক গল্প আমি শুনেছি যার সাথে আপনার লেখার অনেক মিল পেলাম। পড়তে ভীষণ ভালো লাগছে। 
     
    আশা রাখি এই বইটির পরে আপনি আপনার এই খাওয়া দাওয়া সংক্রান্ত অভিজ্ঞতাগুলো বই হিসাবে প্রকাশ করার কথা ভাববেন"। 
     
  • সুকি | 49.207.213.122 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৫734991
  • মৃণাল মন্ডল
     
    "Order করে ফেললাম, পরে ছেলেপুলেদের বলতে পারবো। এই লোকটাব় লেখা বিখ্যাত এবং পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক হওয়ার আগে থেকে পড়তাম, এবং ভালবাসতাম। আমিও বোধ হয় একবার আপনাকে বই লেখার অনুরোধ করেছিলাম। কারণ আমি আমার পরবর্তী প্রজন্ম কে আপনার লেখা পড়াতে চাই। স্বার্থে টা ব্যক্তিগত ই। খুব ভাল খবর সুকান্ত বাবু। আরো লেখা ছাপার অক্ষরে এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পড়ার আশায় রইলাম।"
     
    সৌরভ দাস
     
    "বইয়ের ছাপা, পাতা এবং বাঁধাই বেশ ভালো! প্রচ্ছদ, ব্লারব, ভূমিকা সবই পড়া শুরু করার জন্য (যিনি আগে আপনার নিমোর স্বাদ পাননি, তাঁর ক্ষেত্রে) দারুণ আকর্ষক! লেখা কেমন বলে লাভ নেই, ওটা আপনি জানেন, ওই হোমিওপ্যাথি বা ধাতুক্ষয়বিদ্যার মতোই!
  • সুকি | 49.207.207.154 | ০৪ অক্টোবর ২০২১ ১৮:২৮735015
  • ছোটমামা
    ----------------
    আমার ছোটমামার কথা তো ‘নিমো গ্রামের গল্প’ বইতে লিখেইছি। এখন একটু বয়স হয়েছে বলে চেহারা অল্প ভারী হয়ে গেছে – না হলে বলতে নেই, মামা আমার সেই যৌবন বেলা থেকেই হিরো হিরো দেখতে। ফ্যাশন জগতে মামার অবদানও অনেক – যেমন, জানালা-দরজার পর্দার ছিট দিয়ে জামা বানানো, জমিতে দেবার সার পটাশের হলুদ রঙের বস্তা কেটে কলেজ যাবার ব্যাগ ইত্যাদি ইত্যাদি।
     
    তবে কিনা ছোটমামা নরম মনের মানুষ – চিৎকার, চেঁচামেচি করতে পারে না – সাধনের সাথে বাড়ির বারান্দায় বসে খুনসুটী করে দিন কাটায়। তো বিয়ের পর দেখা গেল মামার শ্বশুর আবার এক কাঠি ওপরের নরম মানুষ। আমাদের গ্রামের দিকে বিয়ে আপনি যত ধূমধাম করেই দিন, বা যত রাজকীয় খাবারের ব্যবস্থাই করুন – কিন্তু খাবার সময় প্যান্ডেলে যদি গিয়ে টহল মেরে সবার সাথে দেখা না করে আসেন, তাহলেই কেলো।
     
    বিয়ের দিন গ্রামের লোক কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে, মামার শ্বশুর গ্যাছে প্যান্ডেলে – সবার কাছে ঘুরে ঘুরে ‘নিজের মত করে চেয়ে চিন্তে নেবেন দাদা’, মানে মামার শ্বাশুড়ি যা শিখিয়ে দিয়েছে সেই সব স্ট্যান্ডার্ড কথা মুখস্ত বলে যাচ্ছে। এবার গ্রামের এক জ্যাঠার কাছে এলে, সে বলে ওঠে, “আর খাবার কথা বোলো না আলাদা করে – বিয়ের খাবার তো একই রকম। কিন্তু কি জামাই করেছো গো তুমি! এ জিনিস পেলে কোথায়? চোখ ফেরানো যাচ্ছে না তো!”
     
    সেই শুনে মামার শ্বশুরের চোখে জল চলে আসে – খাবার প্যান্ডালেই কাঁদতে শুরু করে দেয়, বুঝতেই পারছেন আনন্দে। তখন পাশের সবাই বলে ওঠে,
     
    “আজকের দিনে কাঁদতে নেই মানুদা, এখনো লগ্ন বসে নি – কন্যার অমঙ্গল হবে। তাছাড়া কাল মেয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবার সময় পুরো সকালটাই তো পড়ে আছে। জামাইয়ের বাড়ি তো খুব দূরে নয় – কেঁদো তুমি না হয় বেলা এগারোটা পর্যন্ত”!
     
    মামার শ্বশুর তখন, “আচ্ছা তোমরা বলছ যখন, কাল সকালেই কাঁদব না হয়” বলে চুপ করে।
     
    এই সব কথা মনে এল কারণ কেন মামা গত পরশু মেমারীতে পুজোর বাজার করতে এসেছিল – বিশাল স্পেসিফিক রিকোয়ারমেন্ট ছিল মামার – এবারে নাকি ক্রীম কালারের জামা পরার ইচ্ছে হয়েছে পুজোতে। মেমারীর অনেক দোকান খুঁজে মনের মত ক্রীম কালারের জামা আর পায় না। দুপুরে আমাদের বাড়িতে এলে মা বলে, “তাহলে চাঁদু তোর এবারে পুজোর জামা প্যান্ট কিছুই হল না? এই দ্যাখ না আমার জামাইও কিছু নিল না এবারে আলুর দাম কম বলে”
     
    মামা বলে, “শোন দিদি, আমরা হচ্ছি ধূপের জাত। নিজেরা জ্বলব, কিন্তু চারিদিকের সবাইকে সুগন্ধ বিলিয়ে যাব। তুই ওই সব নিয়ে চিন্তা করিস না”।
     
    অবশ্য মা যে ধূপের জ্বলা নিয়ে চিন্তিত এমন নয়। কথা বলে যা বুঝলাম মায়ের চিন্তা এখন একটাই – কমলদা কবে নারকেল গাছ থেকে নারকেল পেড়ে দেবে, তার পরে নাড়ু বানাবে। পুজো চলে এল – এদিকে কমলদা গাছে ওঠার নাম করছে না এখনো! কি হবে কে জানে!
  • সুকি | 117.214.47.172 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:০০735032
  • "নিমো গ্রামের গল্প" পড়ে মানস রায় লিখলেনঃ
     
    ৯০এর দশকে শিবে জ্যাঠা থেকে হালফিলের নিমোর শিল্পপতি রাজু;স্কুলে শুধু পাস করার খবরে সন্তুষ্ট অভিভাবক থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের প্রভাবে rank করা হাইব্রিড ছোকরা। ভারত সেবক সংঘের হাত ধরে গঞ্জিকা সেবন থেকে সোমরসে উত্তরণ এবং তার বিবর্তন এবং সমস্ত জড়তা,ভয় কাটিয়ে পালপাড়ার সর্বহারা কাকার  বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান এই হল গিয়ে দুর্গা কুন্ডু স্যারের মত অনুযায়ী নিমো গ্রামের গল্পের 'সামারি'। নিমো গ্রামের টুকরো টুকরো ঘটনা গুলির 'জাদুবাস্তব' রূপ আমাদের চোখে ধরায় পড়ত না সুকান্ত দার অনবদ্য লেখনী ছাড়া। অন্য লেখকদের লেখায় যেভাবে কল্পনার জাল বিস্তার ঘটে ' নিমো গ্রামের গল্পে সেই কল্পনা নেই বললেই চলে।সামান্য ঘটনা অসামান্য রূপে ফুটে উঠেছে শুধুমাত্র লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির দৌলতে। আর গল্পের আড়ালে সেই অজানা মানুষটি আমাদের কাছে আরও পরিচিত ও আপনজন হয়ে উঠেছে। নিমো আজ যার লেখনীর কারণে  আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করতে চলেছে, সব গ্রামে এরকম একজন সুকান্ত কে চাই।যাদের জন্য গর্বিত হবে গ্রামবাসী।গর্বিত হবে গ্রামীন সমাজ। 'বাপ ঠাকুরদার ভিটে' ছেড়ে উঠে যাবেনা কেউ।
     
    সব ভালোর মাঝেও মন খারাপ হয়ে যায় সেই খোলা ছাদ আর বারান্দার কথা ভেবে। তবু আয়তাকার বারান্দা গোল করে দিও। যদি কখনো সম্ভব হয়। মেহুল বড় হোক।নিমো গ্রামের গল্পের পরবর্তী কাহিনী তার কাছেও শুনব।ভালো থেকো সুকান্ত দা।নিমো গ্রামের নাম আরও উজ্জ্বল হোক।
     
     
     
  • সুকি | 117.214.44.244 | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ২০:৩৪735051
  • গত পরশুদিন ছিল নিমোর ঠাকুর বিসর্জন -  পাড়ার একদাদা গতকাল সকালে শুনলাম তার ছেলেকে খুব ঝাড় দিয়েছে:
     
    - তুই শেষে ক্যাপ্টেন খেলি? মান সম্মান আর কিছু রাখলি না! ঘরে বাকার্ডি থেকে এটা সেটা ছড়াছড়ি, আর তুই খেলি কিনা ক্যাপ্টেন! তাও খেয়ে "আমার বুক জ্বলে গেল, হার্টে চাপ আসছে" - বাড়ি মাত করে ফেললি। বাঁড়া এই জোর নিয়ে খেতে যাওয়া কেন? তুই আমার থেকে তিরিশ বছরের ছোট। সব মিশিয়ে খেলাম সন্ধ্যে থেকে, রাত আড়াইটেয় ঠাকুর  জলে ফেলে, খিচুড়ি খেয়ে ফিরলাম। কিছু হয়েছে আমার?
     
    আমি কাল সন্ধ্যেয় সেই ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, হ্যাঁরে, তোর বুক জ্বলছিল? 
     
    - আর বোলো না দাদা, সকালে উঠে ডাবের সন্ধানে ছুটেছি, ও না খেলে জ্বলা কমবে না। আমার গাছে ডাব আছে, কিন্তু পাড়ার লোক নেই। শেষে বাঁদরের বীচির মত দুটো ডাব 40 টাকা করে পিস কিনে খেলাম
     
    - জ্বলা কমল?
     
    - বললাম না বীচির সাইজের ডাব, এক কাপ জল হয় না বাঁড়া! ওতে কাজ হয়!
     
    যা বুঝলুম ক্যাপ্টেনের জ্বলুনি ডাবের জল প্রশমিত করতে পারে নি!
  • সুকি | 117.214.44.244 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১২:২৯735052
  • নিমোতে ঠাকুর বিসর্জন করতে গিয়ে শেষ মুহুর্তেও বেশ ঝামেলা লেগে গেল। রাত তখন দুটোর দিকে - ওদিকে ট্যামেটো, গাজর, পেঁপে এই সব মোক্ষম জিনিস দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি প্রায় জমাট বেঁধে যাচ্ছে
     
    এই সব দেখে ঠাকুর জলে ফেলার আগে সাত পাক ঘোরানো কমিয়ে তিন পাকে আনা হল। আর তার ঠিক আগে দুর্গা মায়ের কানে কানে "আবার এসো মা" বলতে হয়, সেই বলা সম্পন্ন করল এক ভাই, যার তখনো পর্যন্ত হালকা জ্ঞান ছিল
     
    সেই দেখে ক্যাপ্টেন খাওয়া ভাই বিশাল খচে গিয়ে তুলকালাম, "শুধু দুর্গাকে বললেই হবে? অসুর কি দোষ করল? তুই অসুরের কানে কানে বল তাকেও আসতে হবে"
     
    এই বলে সে গিয়ে অসুরকে গিয়ে জাপ্টে ধরে "লাভ ইউ অসুর ভাই" বসে রইল। আর ছাড়ানো যায় না তাকে। আবার চিল্লে চিল্লে বলছে, "তোমার মত শক্তি দাও আমাকে অসুর ভাই যাতে সব কটাকে কেলিয়ে পাট করে দিতে পারি - এ অনাচার আর সইতে পারছি না"
     
    ক্যাপ্টেন খাওয়া শরীর অসুরের শক্তি নিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার!
  • সুকি | 117.214.44.244 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১২:৩১735053
  • সেদিন ছোটমামার সাথে দেখা করে এলাম। মামা মুসম্বি লেবুর গাছ লাগিয়েছে দেখে অবাক হলাম, সেই গাছে বড় বড় লেবু ফলেছে দেখে আরো অবাক। মেহুল ইচ্ছে মত লেবু পাড়ল গাছ থেকে। 
     
    তবে সব থেকে বেশী অবাক হলাম সাধন-রুবির সাথে ছোটমামিমার কমিউনিকেশন পদ্ধতি দেখে! সাধনের সাথে বেশী বকা মানে ইনার্জী নষ্ট, আর এদিকে রুবি নাকি আজকাল কানে কম শুনছে! ফলে পুরো কাজকারবার চলছে আকার ইঙ্গিতে
     
    একসময় দেখলাম মামিমা ক্রিকেট আম্পায়ারের মত রুবিকে চার রানের সিগন্যাল দ্যাখালো। বললাম এর মানে? ছোট মামিমা বলল, রুবিকে মেঝেটা মুছে দিতে বললাম!
     
    খানিক পরে দেখলাম রুবিকে থার্ড আম্পায়ারের রিভিউ সিগন্যাল দেখানো হল। এটাতে জানলাম চায়ের ট্রে টা মেজে দেবার ইঙ্গিত!
     
    এবার মঞ্চে ঢুকল সাধন। ছোট মামিমা দেখলাম যেমন ভাবে মাটিতে ত্রিশূল গাঁথে তেমন দেখিয়ে তারপর দুহাতে কিছু ফেঁড়ে ফেলার ইঙ্গিত দিল। আমি ভয়ে কিছু আর জিজ্ঞেস করলাম না - সম্পত্তি রক্ষার জন্য অনেক কঠিন কাজ করাতে হয় লোক দিয়ে। চুপিচুপি সাধনকে ফলো করে দেখলাম সে দুটো ঝুনো নারকেল বের করে সাঁড়াশি দিয়ে ছাড়াতে বসল!
     
    এই সব দেখে ভাবলাম হ্যান্ড সিগন্যাল অনেকটা আয়ত্বে এনেছি। মামি সাধনকে হাতের ইঙ্গিতে লাড্ডু দেখালে আমি আগবাড়িয়ে বললাম, "সাধনকে আর মিষ্টি কিনতে পাঠাতে হবে না, প্রচুর মিষ্টি খাচ্ছি কয়েকদিন"
     
    মামি বিশাল অবাক, "মিষ্টি আনতে পাঠাবো কেন? আমি তো সাধনকে মাছের চাকাগুলো বড় বড় করতে বললাম আজ!"
  • সুকি | 49.207.192.161 | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০১735071
  • লিখতে ভুলে গেছি, "নিমো গ্রামের গল্প" বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ হাতে পেলাম কিছুদিন আগে। আই এস বি এন নম্বর সহ অন্য প্রেস থেকে মুদ্রিত। ওভারঅল প্রোডাকশন কোয়ালিটি হয়েছে আরো ভালো।
     
     
     
     
    বই এখন পাওয়া যাচ্ছে পুরোদমে, পুজোর পরে ডেলিভারিও চালু হয়েছে আবার।
     
    অন লাইনে বইটি অর্ডার করা যাচ্ছে এখান থেকেঃ
    হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার করা যাচ্ছে এই নাম্বারে 9330308043
  • সুকি | 49.207.207.49 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:১০735171
  • "নিমো গ্রামের গল্প" বইটি পড়ে গোপা সরকার জানালেনঃ 
     
    কয়েক দিন হলো পড়া হয়ে গেছে, অথচ এখনও যেনো নিমো গ্রামেই ঘুরে বেড়াচ্ছি, মনে হচ্ছে বড়ো আপন সে জায়গা।
     
    আমি মফস্বল এর মেয়ে হলেও সে মফস্বলে স্টেশন এর আশেপাশের এলাকা ছাড়া বাকি অঞ্চলে গ্রাম্য আদব কায়দা ও রীতিনীতির ই চল ছিল, গোটা পাড়া টায় বাড়ির মতন, সকলেই অভিভাবক, একটা গোটা শৈশব এ ফিরে গিয়েছিলাম।আপনি নতুন করে নিমো গল্পের মাধ্যমে সেই দিনগুলি ফিরিয়ে দিয়েছেন। নিমো র চরিত্র দের সাথে পরিচয় হচ্ছে যখন, বসে তাদের নিয়ে ভেবেছি যখন, পাশাপাশি আমার মফস্বল এর তৎসম, অথবা বিপরীত ধর্মী চরিত্র রা যারা আমার স্মৃতির অনেক তলদেশে চাপা পড়ে যাচ্ছিল , পুনরায় দেখা করে গেছে যেনো। ধন্যবাদ আপনাকে।
     
    আপনার ভ্রমণের লেখাগুলো ও ছবি দেখে আপনার লেখা পড়ার সূত্রপাত,নিজের চেষ্টায় কৃতী হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, এজন্য আপনাকে আমি ভাগ্যবান বলেছিলাম,হয়তো লেখাতে পাবেন ও, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, নিমো গ্রামে জন্মনো ও বেড়ে ওঠা ও আরো বড়ো সৌভাগ্যের। তবে নিমো র ও সৌভাগ্য যে ভালোবাসায় আপনাকে ভরিয়েছে,আপনি ও সুদে আসলে তাকে ফেরৎ দিয়েছেন অনেক টা। আপনি নিমো র অমূল্য সম্পদ।
     
    লেখা নিয়ে কি বলবো, খুব সুন্দর।সহজ, সরল, সাবলীল। আর" সে গল্প অন্য কোনো দিন,"   এর গল্প গুলি যদি প্রকাশিত হয়, এই পাঠিকা অবশ্যই পড়বে।
     
    ধন্যবাদ
  • সুকি | 49.207.195.10 | ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:১৩735346
  • শীতকালে নিমোতে গেলে একটা হালকা করে পিকনিক হবে না সেটা কি আর হয়! আজকাল হাতে সময় কম থাকার জন্য প্ল্যান করে দামোদরের ধারে ইত্যাদি জায়গায় যাওয়া হয় না। যেটা হয় তা হল গ্রামের মধ্যেই কোন একজায়গায় রাতের দিকে রান্না-বান্না, খাওয়া দাওয়া এবং তার সাথে জমিয়ে ভাট।   

     
    বয়স হচ্ছে বলে আজকাল আর জিনিস পত্র বাজার করা বা রান্না বা অ্যারেঞ্জমেন্ট কিছুতেই হাত লাগাতে হয় না আমাকে।  সব ভার ক্রমে তুলে নিয়েছে জুনিয়ার ছেলে পুলেরা।  মানে আমার কাজ কাজ শুধু খাওয়া এবং অনন্ত ভাটে অংশগ্রহণ করা।
     
    আর একটা ব্যাপার আছে – ফেসবুকের এত বেশী প্রসার বেড়ে গেছে আর কি বলব! সবার হাতে সব সময় আপডেট – আমি কেউকেটা কেউ লোক নয়, সেই আমাকেও নাকি ‘ফলো’ করা হয়! এই ফলো করা ফলতঃ অসুবিধাও দেখা দিয়েছে অল্প।  আমাকে নিমোর আপডেট দিতে ছেলেপুলে ইতস্তত করছে – সেদিন সন্ধ্যেয় জাঁকিয়ে বসে গল্প শুরু হয়েছে, এমন সময় পুলিশ ভাই বলল, “ওরে বাঁড়া তোরা দাদা-কে আর গল্প শোনাস না! এক্ষুণি গিয়ে ফেসবুকে লিখে দেবে।  তারপর আবার নাম না বদলে লিখে আরেকটু হলে আমার চাকরীটা যাচ্ছিল আর কি!” তবে গল্প প্রবাহ রোধিবে কে! সব গল্পই হচ্ছিল – আর শেষে ডিসক্লেমার, “প্লীজ দাদা এটা লিখো না কিন্তু নাম না পাল্টে”। 
     
    যাই হোক – এবারে ভাটের মাঝে দুই-খান পরামর্শ দিলাম বাড়ি করার ব্যাপারে।  একজনের বাড়ি শুরু হবে তার প্ল্যান নিয়ে আর একজনের ইন্টিরিয়র করবে সেই নিয়ে। বুঝতেই পারছেন আম্র এই সব বিষয়ে পরামর্শ কোন কাজের নয় – তবু ছেলে ভালোবাসে বলে জিজ্ঞেস করে, সেই নিয়ে আলোচনা করা টাইম পাস হয়।  এরা সবাই বৈষয়িক ব্যাপারে আমার থেকে অনেক পোক্ত – তাই যা করার সব নিজেরাই ঠিক করব সঠিক ভাবে।
     
    সিমেণ্টের দাম কমেছে বলে ম্যানেজার বলেছে সিমেন্ট কিনে রাখতে। কিন্তু ২৭৫ বস্তা সিমেন্ট কিনে কোথায় রাখা হবে সেই নিয়ে ব্রেন স্টর্মিং হল খানিক।  অজয়ের বালি নাকি দামোদরের সেই নিয়েও টানাপোড়েন।  আমাদের চেনা যে বালির ব্যবসা করে সে নাকি প্রমিস করেছে চিনির দানার মত দামোদরের বালি দেবে।  তাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হল “তুই তো বাঁড়া শুধু বালির গাদার উপরে চিনির দানা ছড়িয়ে রেখেছিস – ভিতরের মাল সব কি জানা আছে”।  সে ছেলে দাবী করল গাদার ভিতরের দিক থেকে বালি বের করে দেখাবে। এই বলে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে যেমন করে পেট ফাঁসিয়ে মার্ডার করা হয় – তেমন ভাবে বালির ভিতর জিনিস ঢুকিয়ে স্যাম্পেল বের করা হল। 
     
    ওদিকে অন্য ভাইয়ের শখ হয়েছে বাড়ির বাথরুমে বিশাল বাথটব বসাবে – সেই ভেবে ১৬*১৪ ফুটের বাথরুম ফেঁদে বসেছে।  বাঁশতলার দিকে আট ফুটের জানালা করে সে নাকি বাইরের দিকে তাকিয়ে বাথটবে গলা ডুবিয়ে বসে থাকবে।  আমাকে জিজ্ঞেস করা হল, “সুকান্ত-দা, তুমি এবার শুধু বলো, আমি বাথটবে মাথাটা কোনদিকে করব?”।  এর উত্তর অবশ্য খুব সোজা, বললাম, যেদিকেই করিস যেদিকে কমোড থাকবে শুধু সেদিকে মাথা করিস না।  বাথটবে শুয়ে শুয়ে যে এলিভেশনে তাকাবি তাতে করে কমোডের কানার তলায় লুকিয়ে থাকা হাগার ছিটে দেখবি কেবল!
     
    এমন আরো নানা বিধ গল্প হল।  এক ভাই আবার এর মধ্যে হঠাৎ ট্রিপে ভাইজ্যাগ গিয়েছিল।  সেখানে বীচের ধারে অনস্পট হোটেল দেখে ঠিক করতে গিয়ে তাকে নাকি প্রচুর উঁচু-নীচু জায়গায় হাঁটতে হয়েছে লাগেজ নিয়ে। তাই এত গায়ে ব্যাথা হয়েছিল যে পরের দিনগুলোতে সে ভাইজ্যাগ দেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
     
    এই করতে করতে রান্না হয়ে এল।  রান্নার সিম্পল – ভাত, আলু-বাঁধাকপির তরকারি, খাসির মাংস এবং শেষ পাতে নলেন গুরের রসগোল্লা। 
     
     
    কাঠমিস্ত্রী রবি রসুন ছাড়াতে ব্যস্ত ছিল, কিন্তু অন্যমনষ্ক। কোথায় একটা সোনাঝুরি গাছ দেখে এসেছে - সেটা কি করে কম পয়সায় হস্তগত করা যায় সেই নিয়ে হালকা চিন্তায় আছে বলল।
     
     
    তবে এবারে তাপস ভাতের ব্যাপারে খুব দাগা দিয়েছিল আমার মনে – বাঁশকাঠি চালের ভার না করে মীনীকিট ব্যবহার করা হয়েছিল! এটুকুই যা দুঃখ রয়ে গেল সেদিনের পিকনিকে!
     
  • সুকি | 49.207.195.10 | ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:১৭735347
  • "নিমো গ্রামের গল্প" বইটি পড়ে শিউলি সাহা জানালেনঃ 
     
    আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য দাদা।  এত সুন্দর একটা বই লেখার জন‍্য।  বহু দিন থেকেই আপনার লেখা চেটেপুটে উপভোগ করি। ফেসবুকের সব লেখাই বোধহয় পড়েছি।  আর এই বই আমাদের জন‍্য মানে আমি বা আমরা যাঁরা আপনার লেখা পড়তে ভালোবাসি তাঁরা ও বোধ করি একমত হবেন যে এই বই পড়তে পড়তে নিমো গ্রাম কে সবাই এককথায় ভালোবাসতে বাধ‍্য। গল্প হলেও সত্যি..এককথায় অসাধারণ হয়েছে বইটি।  এখনও তো রাতে ঘুমাবার আগে, বিকেলে চায়ের সাথে চলছে তো চলছে...বারে বারে পড়লে ও একঘেয়ে লাগবে না।
    দ্বিতীয় পার্টের অপেক্ষা থাকব। 
     
  • সুকি | 49.207.213.26 | ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৩৬735390
  • একটু নিজের ঢাক নিজে পেটাচ্ছি, যাঁরা এসব পছন্দ করেন না বা যাদের ফিলসফি অন্য, তাঁরা একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে নিন প্লীজ ব্যাপারটা - 
     
    কেবল নিজের জন্যই লিখি - এই মতে সাবস্ক্রাইব করি নি কোনদিন। নিজে যা ভালো লাগে লিখেছি, কেউ সেগুলো ভালোবাসলে খুব খুশী হয়েছি। 
     
    কয়েক বছর আগে যখন নিমোর গল্প লেখা শুরু করি তখন ভাবতেও পারি নি যে এত জনের ভালোবাসা পাব। নিমোর কথা লিখতে শুরু করেছিলাম নিজের তাগিদে - ক্রমে অনেকেই নিজের করে নিয়েছে সেই গ্রাম ও তার মানুষদের। 
     
    গুরুচন্ডালি কর্তৃপক্ষ, যাঁরা ভালোবেসে বইটি দত্তক (ব্যায়ভার) নিয়েছিলেন এবং সর্বোপরি ঈপ্সিতাকে যার তাগাদায় সব লেখা একজায়গায় করা শুরু - এরা ছাড়া  "নিমো গ্রামের গল্প" বইটির কথা শেষ হয় না। 
     
    সৃষ্টিসুখ আয়োজিত এই সাহিত্য সম্মাননা একপ্রকার অপ্রত্যাশিত পাওয়াই। উনাদের ধন্যবাদ বইটিকে সম্মাননার উপযুক্ত মনে করার জন্য
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:81c:39c8:9f96:f636 | ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:১৩735391
  • খুব ভাল খবর . অভিনন্দন সুকি 
  • সুকি | 117.194.119.67 | ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০২738581
  • বহুদিন নিমোর আপডেট দেওয়া হয় নি, তাই ভাবলাম দু কথা কই
     
     
     
    আনন্দের সাথে বিশাল আয়োজন বা দিস্তে দিস্তে পরিকল্পনার সমানুপাতিক সম্পর্ক থাকে না প্রায়ই। ছোট খাট জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা আনন্দ খুঁজে নিতে পারলে বেঁচে থাকা অনেক বর্ণময় হয়ে ওঠে - 

    কাল রাতে নিমোর বারোয়ারী ঠাকুর বিসর্জন হল। রাত সাড়ে দশটার সময় চতুর্থ রাউন্ড মদের জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছে। বাইক নিয়ে দুই মাতাল মদ কিনতে যাচ্ছে - রোড সেফটি এবং আরো হাজারো সেফটি ট্রেনিং করা আমি বললাম, "মদ খেয়ে বাইক চালাস না ভাই"। একজন বলল, "বিদেশ ঘুরে ঘুরে তোমার বাঁড়া মাথাটা গেছে সুকানদা"

    রয়েল স্ট্যাগ ৮০০, বিপি সাড়ে এগারো - যেমন চাঁদা তেমন মদ। খানিক আগে রেল ফটকের কাছে আমাদের মাঠে কাজ করে এক দাদা তিরিশ টাকা নিল এক ভাঁড় দেশী খাবে বলে।

    মাতাল হলেও বাওয়ালি, না হলেও বাওয়ালি - এতেই আনন্দ। তাই মদ খেয়ে বাওয়ালি করাই বেটার

    মাতালের রুটিন সব এক - রিয়েলিটি শো এর মত ছেলে পুলের মাতলামো প্রায় স্ক্রিপ্টেড। পাল পাড়ার ভাইয়ের এবারে নতুন বিয়ে হয়েছে, গর্বিত স্ত্রী দেখলাম সেই মাতাল ভাইয়ের নাচের ভিডিও করছে। দেখে মনটা ভরে গেল - বউ স্পোর্টিংলি নিচ্ছে ব্যাপারটা

    একজন আমার কাকার ছেলের উদাহরণ টেনে আমাকে বলল, "দাদা, তুমি ভাগ্য করে ভাই পেয়েছো বটে! বউয়ের আঁচলের তলা থেকে বেরুচ্ছেই না! আর আমাদের দেখো! শুধু বউ নয়, মেয়েও আছে। কিন্তু তাতে কি নাচ আটকাচ্ছে"

    প্রতিবারের মত এবারেও সেই ভাইকে বলা হল তার গলার দু ভরি সোনার হারটা খুলে নাচতে। প্রতিবারে মত এবারেও তার রিপ্লাই, "কেন বাঁড়া হারটা কি তোরা কিনে দিয়েছিস? আর আমি কি মাতাল?" এই বলতে বলতে বমি করতে লাগলো

    রেলে চকুরী করা একটু সিনিয়র দাদা এবার এল মদ চাইতে। তার ছেলে এদিকে আমাদের বারণ করে গেছে বাপকে মদ না দিতে, কদিন আগে স্ট্রোক হয়েছিল। দাদাকে সেই মত বলা হল যে তোমার শরীর খারাপ, এবারে খেও না। সে রেগে ফায়ার 

    "ওরে আমার শরীর নিয়ে তোদের ভাবতে হবে না। ব্যাগ রেডি করাই আছে। শরীর খারাপ হবে, ব্যাগ নিয়ে সোজা শিয়ালদায় আমাদের রেলের হাসপাতাল বি আর সিং এ গিয়ে ঢুকবো। পরিষ্কার হাসপাতাল, বাড়ির থেকে ভালো। তাই তোদের অত মারাতে হবে না, মদ দে"

    এমন সময় আরেক দাদা মদ খেয়ে সাইকেল চালিয়ে ফিরছিল, শিবতলার বাঁক ঘুরতে গিয়ে নর্দমায় পুরো ঢুকে গেল। টেনে না তুললে সে পচা ড্রেনেই ডুবে মরত। ধরে তোলা হলে সেই দাদার সাফাই, "আমি তো গত মাসে গরাঙ্গের পাড়ে সুবানের বডি পোড়াতে গিয়ে বলেই দিয়েছিলাম যে পরের বডি এই শ্মশানে আমারই পুড়বে। কথার খেলাপ আমি করব না"

    জীবন - মৃত্যু - আনন্দ সব মিলে মিশে আরো এক পুজো পেরিয়ে গেল -
  • সুকি | 117.194.119.67 | ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৪738582
  •  
    ঘাড়ের কাছটা সুরসুর করছিল থেকে থেকেই। এদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখব সেই অবস্থায় নেই তখন। ওদিকে বিকেল হয়ে আসছে, যদিও এসেছি বেশ খানিক আগে। গরম না থাকলেও কপালের ঘাম টপটপ করে পড়ার শব্দ পাচ্ছি এমন স্তব্ধতা চারিদিকে। 

    আর থাকতে না পেরে মাথা ঘুরিয়ে যা দেখলাম তাতে মনে হল না তাকালেই হত। হাত পা অবশ হয়ে আসছে, যদি হাত ছেড়ে যায়, এই উঁচু থেকে পড়ে নির্ঘাত মৃত্যু, নিদেনপক্ষে নিদারুণ যখম। বারে বারেই মনে হচ্ছিল, একা আসা এখানে একদমই উচিত হয় নি।

    দুর্গাপুজোর নবমীর হোমের জন্য যজ্ঞডুমুর গাছের ডাল সংগ্রহ করতে গেছি সেদিন। গ্রামের একমাত্র যজ্ঞডুমুর গাছটি ছিল গ্রামের মাঠের পাশের ক্যানেলের ধারে এক ছোট্ট জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুন্ডি আসনের পাশে। যাঁরা জানেন না তাঁদের বলে রাখি, পঞ্চমুন্ডি আসন নাকি তান্ত্রিক মতে বিশাল পাওয়ারফুল জিনিস – এই আসনের পাশে যাওয়াও চাপ, আর বসা তো দূরের কথা! পঞ্চমুন্ডি আসনে বসতে এলেম লাগে। বুঝতেই পারছেন নাম শুনে যে পাঁচটা মুন্ডু মাটিতে পুঁতে তার উপরে বসে তন্ত্র-মন্ত্র করা। 

    কিসের কিসের মু্ণডু? একটু রিভিসন দিয়ে নেওয়া যাক – ১) চণ্ডালের মাথা, ২) বিষধর সাপের মাথা, ৩) শেয়াল অথবা বেজির মাথা, ৪) হনুমানের মাথা, এবং ৫) অপঘাতে অর্থাৎ কোনো দুর্ঘটনায় মৃত মানুষের মাথা। 

    এগুলো সব জানা ছিল, সেখানে গিয়ে পার্থিব জিনিস কি দেখা যেতে পারে তাও জানা ছিল। কিন্তু তার বাইরেও যে কিছু থাকতে পারে সেটা সেদিনের আগে ভাবনায় আনি নি।

    ক্যানাল পেরিয়ে আলুজমি ডিঙিয়ে সেই বনে যখন প্রবেশ করলাম আশে পাশে কেউ নেই। এখন ধানের সময়, কোমর পর্যন্ত ধানে চারপাশ সব ঢাকা। জমিতে কাউকে কাজ করতে দেখলাম না। বনে প্রবেশ করেই শুকনো পাতায় পা দিয়ে নির্জনতা ভঙ্গ। সামনে কিছু ছড়ানো মাথার খুলি দেখলাম - আগের বারের থেকে সংখ্যায় বেড়েছে। কিছু ছোট আকারের মাথার খুলি, তাতে আবার সিঁদুর মাখানো। এগুলো এল কোথা থেকে? মৃত্যু, অপমৃত্যু নাকি কোন তান্ত্রিকের সিদ্ধিলাভের পথের চিহ্ন? ভাবতেই গা হিম হয়ে এল।

    খুলিগুলোর মাঝে কোনক্রমে চটি পরা পা রাখলাম। সাথে সাথে মনে হল গায়ের উপর দিয়ে শীতল বাতাস বয়ে গেল। আর খালি মনে হচ্ছে কেউ আমাকে দেখছে, দুজোড়া চোখ আমার প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে মেপে। তবুও এগিয়ে গেলাম - চটি খোলার সাহস করলাম না, মাটিতে আরো কিসের সব কাঁটা ছড়িয়ে আছে

    যজ্ঞডুমুর গাছটির দিকে এগুতে লাগলাম - গাছের পাতা তেমন নড়ছে না, কিন্তু বিপরীতের প্রবল বাতাসের মত কিছু একটা আমাকে আর এগুতে বাধা দিচ্ছে। গাছের ঝুড়ি মনে করে উপর থেকে নেমে আসা কিছু একটা আঁকড়ে ধরে নিজের শরীরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলাম - পিচ্ছিল আর স্যাঁতস্যেঁতে সেই ঝুড়ি হিস হিস শব্দ করে আমার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল

    বাইরে দুপুর পেরোচ্ছে, আর এদিকে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে কেমন এক আঁধারি জগতে। ভাবলাম গাছের উপর উঠলে হয়ত আবার আলো পাবো। যজ্ঞডুমুর গাছের গোড়ায় গিয়ে চটি খুলে গুঁড়িতে পা রাখলাম - মনে হল পা থেকে চিনচিন করে মাথায় কি একটা উঠে গেল

    ডান কানের গোড়ায় কে যেন ফিসফিস করে বলছে, "ওঠ না, ওঠ। কিচ্ছু হবে না"। বাঁ কানের গোড়ায় কে খিল খিল হেসেই যাচ্ছে। "লাল রঙ দেখেছিস? হাত দিয়েছিস কোনদিন?"

    ডান দিকের এ বাঁদিকের ওকে বলছে, "এ তো চুমুক না দিয়েই ছুঁতে চাইছে তোমায়!" বাঁদিকের ও হিমেল হাওয়া "আমার এখানে হাত দাও - এ শীতলতা, এ আঁধার, লাল শোণিত"

    হঠাৎ দেখি পায়ের নীচের গাছের পাতায় টুপ টুপ করে রক্তের ফোঁটা পড়ছে, কোথা থেকে ঝড়ছে রক্ত বুঝতে না পেরে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি আমার নিজের পায়ের পাতায় একটি বেল কাঁটা ঢুকানো আর তার থেকেই রক্ত গড়াচ্ছে। যজ্ঞডুমুর গাছে বেল কাঁটা এল কোথা থেকে আর আমিই বা যন্ত্রণা টের পাচ্ছি না কেন ভাবতে ভাবতে দেখি দ্রুত নিভে আসছে চারপাশের আলো। গাছের উপরের ডালটি যে ধরব তা সেই নিজের হাতের আঙুলগুলিই দেখতে পাচ্ছি না! খালি অনুভব করছি কেমন এক চ্যাটচ্যাটে তরলে ভরে যাচ্ছে আঙুলের ফাঁক

    কেবল মাথার কাছটুকু তখনো আবছা দেখা যাচ্ছে। ঘাড়ের কাছে সুড়সুড় করাতে ঘাড় ঘুরিয়ে যা দেখলাম তা না দেখলেই মনে হয় ভালো হত - 

    এই পর্যন্ত একটানা বলে নিমো স্টেশনে এক বন্ধুর কাছে থামলাম। সে শুনে বলল, "তুই তো নিমোতে থাকাকালীন গাঁজা খেতিস না। বাইরে গিয়ে ধরেছিস নাকি আজকাল?"
  • সুকি | 117.194.119.67 | ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৬738583
  •  
    পরশু মালেকের দোকান থেকে লেড়ো কিনে নিয়ে এলাম। ছোট প্যাকেট আছে কিনা জানতে চাওয়াতে মালেকের ছেলে জানালো, "ছোট প্যাকেটের লেড়োর টেষ্ট হবে না তেমন দাদা, তুমি বড় প্যাকেট নিয়ে যাও"। একই লেড়োর স্বাদ ছোট বা বড় প্যাকেটে ঢুকে কিভাবে বদলে যেতে পারে সেই সব অবিশ্বাসী টাইপের প্রশ্ন না করে প্রায় দুই কিলো লেড়োর প্যাকেট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম

    লেড়োর মত কিংবদন্তী খাবার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে দেখে মন খুবই ভারাক্রান্ত থাকে। সেই দুখী মন নিয়েই লেড়ো আর চা খেতে বসলাম

    চায়ে ভিজিয়ে লেড়োর স্বাদ একপ্রকার অবর্ণনীয় - যারা খেয়েছে তারাই জানে। তো হয়েছে কি সেদিন রাতের বেলা গেল ঘুম ভেঙে। নিমোতে ফুরফুরে হাওয়ায় বিনা ফ্যানেও দারুণ ঘুম হয়। তাই প্রথমে ঘুম ভাঙার কারণ বুঝতে পারলাম না। খানিক পরে টের পেলাম বহুত জলতেষ্টা পেয়েছে

    এবার মেথড অফ এলিমিনেশন এ বের করতে হল জল তেষ্টার কারণ। যা বুঝলুম, এর পিছনে ছিল ভুল ভাবে লেড়ো খাওয়া। আমি লেড়োগুলি পুরো পুরি চায়ে সম্পৃক্ত না করেই পেটে চালান করেছি। ফলত: তৃষ্ণার্ত লেড়োগুলি পাকস্থলীতে পৌঁছেও তাদের শোষণ জারি রেখেছিল। রাতের দিকে পেট শুকিয়ে কাঠ

    তাই যেটা বলার, লেড়ো খাবেন খান, কিন্তু পুরোপুরি ভিজিয়ে - আধভেজা লেড়ো একদম নয়।।

    তাহলে আধভেজা লেড়ো কি একদমই অকাজের? তা নয় একদম। কদিন পুজোয় উষ্টুম ধুষ্টুম খেয়েছেন, পেট বলছে যাব যাব, এমন অবস্থায় র‍্যানট্যাক, জেলিসুল, ইনো না খেয়ে লেড়ো খান। 

    ফোঁড়ার উপর জোঁক ছেড়ে দিলে যেমন সে বদরক্ত টেনে নেয়, ঠিক তেমন লেড়ো শুষে নেবে পুজোয় জমা হওয়া আপনার পেটের অবাঞ্ছিত ক্লেদ

    বিশ্বাস না হয় নিজেরা একবার ট্রাই করে দেখুন -
  • সুকি | 117.194.119.67 | ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৮738584
  • বাচ্ছার নাইট ড্রেস কেনা যে এত ঝামেলার কে জানত! তাও আবার পুজোর সময়!

    সবাই ঝকমকে জামা-প্যান্ট খুঁজছে, আমার তল্লাশী নাইট ড্রেসে। খুঁজে খুঁজে প্রায় ক্লান্ত হয়ে ঢুকলাম শ্রীরাম আর্কেডে। যেই ফ্লোরেই যাই, সেই ফ্লোরেই দেখি অন্য ফ্লোরের দোকানের বেশী ঝক্কাস অ্যাড। বলাই বাহুল্য, অ্যাডের সাথে দোকানের কোন মিল নেই। এক অ্যাড দেখে শিওর হলাম যে এখানে পাবই - দোকানের নাম্বার খুঁজে গিয়ে দেখি বাথরুমের পাশে এক গুমটি দোকান। চাচা তখন শসা মুড়ি খাচ্ছে। তবে চাচা ভালো লোক - আমার অবস্থা শুনে নিউ মার্কেটের দিকে ডাইরেক্ট করল

    নিউ মার্কেটে এবং হগ মার্কেটের অবস্থা আরো জটিল। কেউ আমার রিকোয়েষ্ট শুনে বলে, 'এ কে রে, পুজোর সময় নাইট ড্রেস খুঁজছে!" একজন বলল, "আপনি হাওড়া স্টেশনের সাবওয়েতে চলে যান, ঢেলে বিক্রী হচ্ছে"। আমি কেন জানি না ভুল করে বলে ফেললাম, "কাপড় কি আর ভালো হবে"। পাশের দোকানের ভীড় কম তখন, সে দাদা বলল, "গেঞ্জী কাপড়ের মত জিনিস হয় না দাদা। যা গরম পড়েছিল এবারে, গেঞ্জী কাপড় নাহলে আমার ইয়ে দুটোর কি অবস্থা হত ভাবলে গা শিউড়ে ওঠে"

    এই দোকানী বলল, "দাদা কিন্তু বাচ্ছার নাইট ড্রেস খুঁজছেন"

    উনি উদাস মুখে জবাব দিলেন, "চুলকানীর কি আর বয়স হয় রে ভাই"!

    সেখান থেকে বেরিয়ে একটু অন্য ধরণের সেলসম্যানের খপ্পরে, এ ঠিক ক্লীয়ার হল না আমার কাছে - পোষ্টমর্ডাণ ধোঁয়াশা। আমি বললাম, "নাইট ড্রেস খুঁজছি"। সে বলে, "যা বলবেন তাই পরবে, নাইট ড্রেস বললে নাইট ড্রেস, শাড়ি বললে শাড়ি, স্কার্ট চাইলে স্কার্ট"। 

    হালকা কনফিউজড হয়ে জানালাম, "স্কার্ট, শাড়ি কিচ্ছু চাই না - বাচ্ছার নাইট ড্রেস"

    সে বলল, "না দাদা, ইললিগ্যাল ব্যাপারে আমরা নেই। এসব এখানে পাওয়া যায় না। আপনি ঝামেলায় জড়িয়ে যাবেন"

    বাচ্ছার নাইট ড্রেস খোঁজা কেন ইললিগ্যাল হবে পুরো ধাঁধায় সত্যি জড়িয়ে গেলাম

    একটু সামনে গিয়ে রোলের দোকান পাশে কাপড়ের। বাইরের যে ছেলে চিৎকার করছে সে কার দলে ভুল ভেবে গিয়ে জিজ্ঞাসিলাম, "নাইট ড্রেস?" 

    এদের রসিকতা বোধ বিশাল, মুচকি হেসে বলে, "আমাদের দোকানের জিনিস খাওয়ালে, রাতে আর ওটা খোলা নিয়ে ভাবতে হবে না"

    ভাবলাম পেট ছাড়ার কথা বলছে, তাই বিষ্মিত আমি, "নিজের দোকানের খাবারের বদনাম করছো ভাই!"

    এবার সে ছেলে অবাক

    যাই হোক, নাইট ড্রেস অধরাই রয়ে গেল। পুজোর পর আর একবার ট্রাই নেব
  • সুকি | 117.194.119.67 | ১০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১৩738585
  • সেদিন নিমোতে মাষ্টার বলল, "সুকান, চশমা নিতে হল তো! মোবাইলের লেখা তা না হলে তো আর পড়তে পারছি না"! 

    বললাম, "বয়স তো হচ্ছে, আশ্চর্য কি?"

    মাষ্টার উত্তর দিল

    - সে না হয় হল, কিন্তু তুই আমাকে চশমার কাঁচ কালো কোথায় করা যায় বল

    - রিডিং গ্লাস আবার কালো করবি কেন?

    - ওরে কালো কাঁচই একমাত্র বাঁচাতে পারে আমাকে

    - কেস কি?

    - আর বলিস না, আমাদের ইস্কুলে জানালা তো বিশাল বড় সাইজের। আর এখন মোবাইলের যা ক্যামেরা হয়েছে! একদিন তো এক টিচার ক্লাসে ঢুলছিল, ব্যাস সেই ছবি এক গার্জেন তুলে নিয়ে ১৫ই আগষ্ট ইস্কুলে হাজির! কি অপমানই না করল আমাদের!

    - কিন্তু তুই কালো চশমা নিয়ে কি করবি?

    - যাতে চোখদুটো দেখা না যায়। আমি তো একপেট ভাত মেরে ইস্কুল যাই। সাড়ে এগারোটার দিকে ক্লাসের চেয়ারে বসে সুকান কি ঘুম পায় বাঁড়া তোকে কি বলব! সেই ছবি তুলে যদি কেউ বাজারে ছেড়ে দেয়!

    মাষ্টার এখন তার চশমার কাঁচ কালো করার জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে
  • সুকি | 49.206.133.2 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৭740801
  • অনেকদিন নিমোর আপডেট দেওয়া হয় না, তাই ভাবলাম দুকলম লিখে রাখি! 
    ------------------------
     
    বোনকে ফোন করলাম সেদিন। রিং হলে ফোন শুনে বোন বললো - "ও তুই ফোন করেছিস, আমি ভাবলাম সেই লোকটা আবার ফোন করেছে!"

    বললাম, "সেই লোকটা মানে কে"? 

    বোন বলল, "আর বলিস না, খানিক আগেই ফোন রিং হল - ধরলাম। কাকে চাই এই সব কিছু না জানতে চেয়েই অন্যদিকের লোকটা বলল, আপনার ছেলেকে ফোন দিন তো"! 

    বোন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, কোন ছেলে?

    সেই লোক রেগে গিয়ে বলে, "নিজের ছেলে কে সেটা জানেন না? আমি বলে দেব"!

    কি ব্যাপার খোলসা করে জানতে চায় বোন। সেই লোক ক্ষোভের সাথে জানায়, "আপনার ছেলে আমার গাঁজার প্যাকেট নিয়ে পালিয়ে গ্যাছে!"

    উত্তরে বোন জানায় তার ছেলে পাথফাইন্ডারে পড়তে গেছে, এলে জিজ্ঞেস করবে কার গাঁজা নিয়ে চলে এসেছে সে।

    সেই লোকটা থতমত খায়, "পড়তে গ্যাছে বললেন ছেলে? তাহলে দিদি মনে হচ্ছে রং নাম্বার কিছু মনে করবেন না"

    ফোনে কথা বলতে শুরু করলে সময়ই সময় বোনের হাতে। অনেক সুখ দু:খের কথা হয় সেই লোকটার সাথে। মুর্শিদাবাদের দিকে বাড়ি। ফোন রাখার আগে সে বলেছে, "ভালো গাঁজা লাগলে বলবেন দিদি, সঠিক দামে পৌঁছে দেব"
  • সুকি | 49.206.133.2 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩740802
  • আগে ভাবতাম সময় সুযোগ পেলে একটা জম্পেশ করে রেস্টুরেন্ট খুলবো তো ব্যবসার যে ইচ্ছা একটা তার মাধ্যমে পূরণ হবে। কিন্তু ইদানিং দেখছি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা থেকে অন্য একটা জিনিসের দিকে মনটা ঝুঁকেছে

    শহরের লোকেরা আজকাল গ্রাম গ্রাম করে খুব হাঁপিয়ে উঠছে। মাটির ঘর একটু দোয়ার দুটো হাঁস, মুরগি ছানা, পিছনের এককাঠা জমিতে আলু, কপি এসব থাকলেই করে লোক হই হই করে চলে আসছে। 

    গতবছর পুরুলিয়ায় এমনি এক মাটির ঘরের রিসর্টে গিয়েছিলাম। উপছে পড়ছে ভীড়। প্রবল বৃষ্টিতে চারিদিকে কাদা, প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে আমি সামনের খাটিয়ায় বসে আছি, আর শহরের লোকেরা 'কি সুইট জায়গা' ইত্যাদি বলে লাফান জুড়েছে। তখনি ভাবলাম এরা যখন পকেট খালি করার জন্য এতই ব্যস্ত, তাহলে হেল্প করা যেতেই পারে কিছু!

    তাছাড়া আজকাল দেখি লোকের হাতে পয়সার অভাব নেই। উইক এন্ড ছুটি ফুটি পেলি বা একটু বড় উইকেন্ড হলেই লোকেরা যে কোন টাকা দিয়ে থাকতে রাজি

    তো এইসব দেখেশুনে এখন ভাবছি নিমোর আশেপাশে জমি জায়গা দেখে একটা রিসর্ট খুললে কেমন হয়! মাটির চালের ঘর বানিয়ে দেব। আর উঠুন থাকবে, হরির মন্দির থাকবে, আমাদের বাড়িতে ছিল পুরনো ঢেঁকি ছিল তা আবা হবে। 

    ছোট  মামাকে বলব পোল্ট্রী থেকে মুরগী ছেড়ে দিয়ে যাবে কিছু, বেচাদাকে বলে ছটা জার্সি গরু প্রদর্শন এবং লাইভ দুধ দোয়া। নারকেল গাছে ছেলে উঠিয়ে নীচে ডাব ক্যাচ করে জলপান, ছিপ টিপের ব্যবস্থা তবলা, আলম এদেরকে বলে, মাছ ধরা পুকুরে। 

    সকালবেলায় জমিতে ট্যুর হয়ে যাবে। গামবুট কিনে দেবো হাঁটু পর্যন্ত গাম্বুট পড়ে ধান রোয়ার জমিতে নামিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের বাড়িতে যারা কাজ করে, কমলদা বা রামদার বউ ওদের সাথে পাঠিয়ে দেয়া হবে একদম হাতে কলমে ধান রুইতে। আলু তোলার সময় তো শীত শীত - টুরিষ্ট নিজে আলু ভেঙে নেবে জমি থেকে। চাইলে পাশেই আলু পোড়ানোর ব্যবস্থা বা পোদ্দেরের পাড়ে মুড়ির ফ্যাক্টরি থেকে গরম মুড়ি এনে নতুন আলুর দম। বিকেলে নিমো স্টেশন ভ্রমণ, পঞ্চমুন্ডি আসন দর্শন, নকুর দোকানের চপ এগরোল। 

    কেউ চাইলে টোটো বা ভ্যানে করে ক্যাম্পের বাজারে গিয়ে টাটকা সব্জী এবং ছেঁড়া পরোটা। গরাঙ্গের পাড়ে শ্মশানের ওদিকে অশোক আশ্রমে সকাল বা বিকেলে পতঞ্জলি ব্যায়াম

    আইডিয়া পুরো কিলবিল করছে। আর গ্রামের দুর্গাপুজো বা শীতলা পুজো মনসা পূজো, নিমোর ঝাপান, বিশেষ করে এই গাজন এগুলো হচ্ছে একদম পিক সিজন। একদম গ্রাম্য সংস্কৃতি আচার ও তার ঐতিহ্য এসব সব দেখিয়ে দেয়া হবে

    তো আমি ভাবছি লোকজন যা আজকাল হুজুগে হয়েছে মনে হয় না ব্যাপারটা খুব খারাপ হবে। কি বলেন?
  • সুকি | 49.206.133.2 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪৭740803
  • ক্ষমতা থাকলেই যে তার প্রকাশ করতে হবে তা একটা দেখনদারী কনসেপ্ট। ক্ষমতা থাকবে নিজের আয়ত্বে, শুধু দেখে সেই জিনিস টের পাওয়া যাবে না - তবেই না ক্লাসিক্যাল হবে ব্যাপারটা!

    এটা আমাদের নিমোর ছেলেপুলেরাও বিলক্ষণ জানে। সেদিন রাতের দিকে প্রবল ঠান্ডায় শিবতলার দিকে আড্ডা মারতে যাচ্ছি, এক ভাইয়ের সাথে দেখা। প্রবল ঠান্ডায় মাথায় কানঢাকা টুপি, গলার মাফলার, গায়ে জ্যাকেট ইত্যাদি পরে উল্টোদিকে আসছে -

    - আরে সুকানদা যে, কবে এলে?
    - তুই কোথায় রাতে?
    - এই তোমাদের খামারের দিকে যাচ্ছি আড্ডা মারতে।
    - হ্যাঁরে, মাঠের ধারে খামারে তো বিশাল ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে, জমে যাবি তো!
    - ওই জন্যই তো বিশাল চাপিয়েছি তো! দ্যাখো একবার
    - দেখছি তো! এত ছোট একটা পাতলা বারমুডা পরে তুই ওদিকে যাচ্ছিস!
    - এ হে, নীচের দিকটা একদম খেয়াল করা হয় নি!

    খানিক কথা হল। গাজনে আসব কিনা জানতে চাইলে দেখা যাক বলে আমি আড্ডায় গিয়ে ঠেকলাম

    গিয়ে জানতে চাইলাম ঠান্ডায় বারমুডা পরার রহস্য। যা হালকা ভাবছিলাম তাই। দিনের বেলা আট জন পিকনিক করেছে আমাদের খামারে। ছয় বোতল সাড়ে সাতশো বিপি খেয়ে শরীর গরম করেছে। কনফার্ম করতে চেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম

    - আট জনে ছয় বোতল বিপি খেল?
    - আট জনে কোথায়? দুজন তো খায় না, পার হেড একবোতল করে খেয়েছে

    হালকা অবাক হলাম, খানিক আগে একবোতল সাড়ে সাতশো খেয়ে মাতলামোর কোনই লক্ষণ নেই!

    - কিছুই তো টের পেলাম না রে যে খেয়েছে!
    - তুমি টের পাবে? তাও তো ওর বয়স হচ্ছে বলে বোতল শেষ করে একটু বেশী বকে, কিন্তু বাকিদের কোনই হেলদোল নেই!
    - বাহ, খুব ভালো লাগলো শুনে।
    - কেন তোমার মনে নেই যেবারে তোমাদের পাড়ার ওই দুজনের বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হল?
    - কবে রে?
    - ওই বছর সাত হল

    ঘটনা ঠিক মনে পড়ল না। আমাকে খুলে বলা হল

    সেবারে ছোকরা দুজন বাইকে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। একজনের পা ভেঙেছে, চারিদিকে চোট। অন্যজনের কিছু ভেঙেছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু হাতে পায়ের, দাবনার ছাল টাল উঠে বিশাল ফুলে গেছে।

    পাশে তাস খেলতে খেলতে একজন মাঝে ফোড়ন কাটল, "ওর নুনুর ছালও উঠে গিয়েছিল"

    যাই হোক, পাশের ঔষুধের দোকানে ইনজেকশন দিয়ে, পেনকিলার খাইয়ে মারুতি ভ্যানের অ্যাম্বুলেন্সে করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পা ভাঙার কাকার ছেলে মাথার গোড়ায়,

    - ভাই, আর ব্যাথা লাগছে?
    - ইঞ্জেকশন দিয়ে কমেছে মনে হচ্ছে
    - তাহলে একটু খাবি?
    - দে তাহলে মুখে ছিপি করে ঢেলে একটু একটু করে

    দাদা ভাইকে ছিপি করে খাইয়ে বোতল শেষ করে ফেলেছে। ভাই গেছে হতাশ হয়ে -

    - তুই বাঁড়া অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে দু বোতল বিপি আগে তোল! হাসপাতালে গিয়ে কি বাদ দিতে হবে অপারেশন করে, পরে আদৌ টেষ্ট পাব কিনা - খেয়ে নিই এখন

    অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে বিপি খেয়ে তবেই অপারেশন হয়েছিল সেদিন - 

    সেই ছেলেকে এমনি দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না তার এই ক্ষমতা, এত শান্ত আর ভদ্র
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e265:2806:f469:a336 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১740804
  • surprise
     
    বিপি কি?
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৫০740805
  • ব্লেন্ডার্স প্রাইড হুইস্কি। অতি উপাদেয় জিনিস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন