এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দেশটাকে গোল্লায় পাঠাচ্ছে সরকারী কর্মচারীরা আর আমরা।

    santanu
    অন্যান্য | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ | ৭২৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santanu | 198.36.34.57 | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ ১১:০৮385300
  • এটা সুতোটা কালকের পাসপোর্ট এর ঘটনা থেকে অনুপ্রানিত।

    পুলিশ পিভি টা পাঠায় নি আর ওয়েট করে আছে কবে ভদ্রলোক পয়্‌সা নিয়ে আসবেন। যতো দেরী ততো বেশী পয়্‌সা পাবার সম্ভাবনা।

    আবার ৯১ দিনের মাথায় সমস্ত কাগজ নিয়ে Regional Passport Officer (not Commissioner) এর সাথে লাইন দিয়ে নিজে দেখা করলে, কাগজ্‌পত্রে কোনো ঘাপলা না থাকলে, ঐ খানিক্‌খন মুখ দেখে আর কাগজ দেখে সেই দিন এই অর্ডার করে দেন। এই টা আমরা হয় জানিনা আর না হয় চেষ্টা করি না। সরকারী অফিস ও আমাদের এই right টা জানায় না।

    কয়েকদিন আগে একটা Talk Show দেখেছিলাম। তাতে এক সাংসদ বলেছিলেন " আরে আমাদের তাও ৫ বছর অন্তর বদলে যাবার ভয় আছে, এই সরকারী কর্মচারী রা চাকরি তে ঢুকে গেলে ৩০ বছর নিশ্চিন্ত।"

    আর এই সরকারী কর্মচারী রা আমাদের খুব নিকট লোক, ভালো মানুষ। কিন্তু তারাই কর্মস্থলে ঘুষ খায়, কাজ করে না, খারাপ ব্যবহার করে।

  • S | 10.13.74.166, 202.56.215.9 | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ ১২:২৫385322
  • সব সরকারী কর্মচারীএ এক ক্যাটেগরিতে ফেলা ঠিক হবে না।

    সরকারী কর্মচারী দুই প্রকার হয়। এক, যাদের পাবলিক ডিলিং করতে হয়। দুই, যাদের পাবলিক ডিলিং করতে হয় না। তো, আমাদের মূল ক্ষোভ সেই সমস্ত সরকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধেই হয়, যাদের দ্বারা আমরা ডিলায়িত হই। মানে, যাদের মুখোমুখি আমাদের হতে হয়, প্রধানত এক নম্বর।

    দুই নম্বরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ থাকে, কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কলকাঠি নাড়ে এরাই।
  • Arijit | 128.240.233.197, 128.240.229.67 | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ ১৩:৫২385333
  • সরকারি সংস্থা = ঘুঘুর বাসা, এটা মোটামুটি সব দেশেই সত্যি। ইংল্যাণ্ডের হোম অফিস, আম্রিকার ফেডারাল আপিসগুলো...
  • pipi | 141.80.168.31 | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ ১৭:৩৮385344
  • আমার পাসপোর্টের কাহিনীর সাথে আরো চাড্ডি কাহিনী জড়িয়ে। সেসব বলতে গেলে মহাভারত। যাক গে। তবে বাইরে আসার কোন ইচ্ছে আমার কস্মিন কালে ছিল না। শান্তিনিকেতনের ঐ ল্যাবে ঝলসে না গেলে আসতামও না। বাংলার অন্যান্য বহুবিধ কুলীন, নৈকষ্য কুলীন অকুলীন গবেষণাগারগুলোর দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে যখন হাত ব্যাথা আর অভিজ্ঞতার ভারে মরম তিক্ত তখন তিতিবিরক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নেই বাইরে যাবার। সে বড় সহজ কাজ ছিল না। এক তো ম্যাডামের মন যোগাতে সারাদিন রাত ল্যাবে পড়ে থাকা মানে জি আর ই-র প্রেপ শিকেয়, উল্টে ম্যাডাম কিম্বা তাঁর তাঁবেদাররা যদি ঘূণাক্ষরেও আঁচ করতে পারে যে বাইরে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছি তাহলে বোধহয় আমাকে আর আস্ত রাখা হত না। উপায়? গুগলকাকুকে ধর, ইউরোপে পজিশন খোঁজ কারণ সেখানে জি আর ই লাগে না, গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। ডিপোর সবেধন নীলমণি নেট সেন্টারে প্রায় সবসময়ই ভীড় তায় সেখানে যদি কেউ জেনে ফেলে আমার উদ্দেশ্য বিধেয় তো ম্যাডামের কানে উঠতে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। অতএব ছোট সেই সুরুলের ওদিকে একটা দোকানে। সেখানে ঘন্টায় ষাটটি টাকা ফেল, তেল মাখ।
    স্টাইপেণ্ড পেতাম সাকুল্যে ৩৬০০/-, দিনে গড়ে দু তিনঘন্টা নেট সার্চ। মাসের অদ্ধেক হতে না হতেই টাকা শেষ। বাকী দিনগুলোয় খাওয়াও জুটত না। কখনো আধপেটা, কখনো খালিপেটা আর নইলে বাড়ি থেকে আনা বিস্কুটগুলো সঙ্গী। খিদের কষ্ট, ল্যাবের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তার উপর ম্যাডামের নিরবচ্ছিন্ন গালাগাল - পেগলেই গেছিলাম প্রায়। অবস্থা দেখে দোকানদার করুণা করে রেট ঘন্টায় ৫০ করে দিল তবুও তার খাতায় ধার জমতে লাগল লাফিয়ে লাফিয়ে। বাড়িতেও জানাই নি প্লাস বাড়ি থেকে টাকা নেব না ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা।
    বুধবার শান্তিনিকেতনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সেদিনও হাজিরা খাতায় মুখ দেখাতে হয় যদিও তবুও শরীর খারাপের বাহানা করে না গিয়ে কলকাতায় এসে ফর্ম তুলে ফিল আপ করে জমা দিয়ে সেদিনই ফেরা। সেটা ছিল জুলাই মাস। বাড়িতে যখন পুলিশ গেল তখন বাড়ির লোক প্রথম জানতে পারল পাসপোর্টের জন্য অ্যাপ্লাই করেছি।
    মেয়ে কোথায়? ঠিকানা তো এখানকার, বাড়িতে নেই কেন? অন্য কোথাও থাকে নাকি? সেখানকার ঠিকানা দেয় নি কেন? ঠিকানা দিন। মা সেদিন আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছিল। বলেছিল যে ওর বাড়িতো এটা, আপনাদের তো ঠিকানা ভেরিফিকেশন নিয়ে কথা, হস্টেলের ঠিকানার কি দরকার। তাছাড়া হঠাৎ করে মেয়েদের হস্টেলে পুলিশ গেলে তো নানা ঝামেলাও হতে পরে। আর ও তো আজই বিকেলে আসবে। কাল না হয় ওকে থানায় যেতে বলব। যা জানবার ওর কাছ থেকে জেনে নেবেন।
    কি জানি কি মনে হয়েছিল, পুলিশ দুজন আর কথা বাড়ায় নি। আমাকেও যেতে হয় নি থানায় তবে জলপাণির কিছু আশা করেছিল হয়তো, বাবা তাতে জল ঢেলে দিয়েছিলেন।
    এটা আগস্টের প্রথম সপ্তাহের কথা।

    সেপ্টেম্বর অক্টোবর চলে গেল। অক্টোবরের শেষে এই ল্যাবে ঠাঁই হল। বস বলল নভেম্বরেই চলে এস। আসব কি করে, পাসপোর্টের তো টিকিও দেখছি না। বসকে সেকথা বলতেও পারছি না যে আমার পসপোর্টই তৈরী হয় নি। খালি সময় চাইছি। পূজোর পর থেকে আর শান্তিনিকেতনে ফিরে যাই নি। তখন থেকে খালি একবার কলকাতা, একবার চন্দননগর ফাঁড়ি, একবার চুঁচড়োর ডি আই অফিস - মাকুর মত খালি এপাশ আর ওপাশ। সব জায়গাতেই এক কথা, আমাদের কাছে নেই, আমাদের কাছে নেই। ওদিকে বসের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। সাফ জানিয়ে দিয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি আসতে পার তো এসো নইলে আসতে হবে না। পাসপোর্ট আপিসে একদিন কমপ্লেন জমা করে এলাম, স্লিপও নিয়ে এলাম তবে ঐ RPO-র সাথে দেখা হয় নি মানে জানতামই না যে ওঁর কাছে কমপ্লেন করলে কাজ হয়। সেই স্লিপ নিয়েও প্রায় দিন ধর্ণা দিতে যাই - কাজের কাজ কিছু হয় না।
    এইরকম এক সময়ে একদিন চন্দননগর ফাঁড়ি থেকে নিরাশ মুখে বেরোচ্ছি কারণ কর্তা অ্যাজ ইউজুয়াল অনুপস্থিত মানে ডিউটিতে গেছেন আর কি, হঠাৎ কে একজন বলল ঐ তো স্যার এসে গেছেন। শুঁটকো মত একটা লোক, তাকে বললাম সব। জিজ্ঞাসা করলাম আমার পিভি রিপোর্ট আসলেই কোথায় পড়ে আছে?
    আমার জিনিসগুলো ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎই বললেন - ভটচাজ? বড় বাজারে থাক? (পুলিশরা কখনো আপনি বলে না আমার অভিজ্ঞতায়)। কে এস ভটচাজের কেউ হও নাকি?
    জ্যেঠুর নামটা পারতপক্ষে কাউকে জানাই না কিন্তু সেদিন বলতেই হল হ্যাঁ। শুনে ভদ্রলোকের কি চওড়া স্মাইল। - আরে ওনার হাতেই তো কদিন আগে আমাদের বড়সাহেবের অপারেশন হল (এনার উপরেও তাহলে আরেকজন সাহেব আছে?)। বড়সাহেবকে বল, কাজ হয়ে যাবে।
    বাবা রাজি হন নি জ্যেঠুকে বলতে, অগত্যা আমিই গিয়ে ঝুলে পড়লাম। একটি ফোন ঘোরানো হল, সুড়সুড় করে ৮ দিনের মাথায় আমার পাসপোর্ট চলে এল।

    একে কি বলব? সময়ের অনেক আগেই তো আমি অ্যাপ্লাই করেছিলাম তাও চার মাসের উপর আমায় পাসপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হল। তাও আসত না যদি না ঐ বড়সাহেব...... অবশ্য RPOর কাছে অভিযোগ করা যায় বা করলে কাজ হয় সেটাই আজ অবধি জানতাম না।
    ও, আসবার আগে সুরুলের সেই দোকানের সমস্ত ধার কড়ায় গণ্ডায় চুকিয়ে আসতে ভুলি নি সাথে এক বাক্স সুযযিমোদকের জলভরা।
  • santanu | 198.36.34.57 | ২৬ এপ্রিল ২০০৭ ১১:০৮385355
  • প্রচুর সরকারী নিয়ম আছে যা আমরা জানি না, হয় জানতে চাই না বলে বা জানতে পাই না বলে। আর অনেক সময় জেনেও ভাবি, কি দরকার, ম্যানেজ করে নেব। tatkaal এর টিকিট কেটে Train এ উঠেছি কিন্তু identification নেই, আবার গলা বাড়িয়ে ঝগড়া, অনেক করেছি।

    আমরা বহু সময় মনেপ্রানে প্রস্তুত থাকি ঘুষ দেব বলে আর তারপর বলি এইসব ঘুষখোর দের জন্যে দেশটার কিছু হবে না। Tax Assessor inspection এ এলে আগে আমরা খাম রেডি রাখি যদি আমার বাড়ির Tax টা একটু কম হয়।

    এই কারনেই, ঘুষ খাওয়াটা সামাজিক অপরাধ বলে আমরা ভাবতে পারিনা। এক বর্ষা তেই যখন নতুন রাস্তায় গর্ত হয়ে যায়, আমরা আমাদের প্রতিবেশী, আত্মীয় বা বন্ধুর ছেলেকে বলতে পারি না, "দেখ, এই গর্ত টা ক্যনো জানো ভাই, কারন তোমার বাবা বিটুমেন এর পয়্‌সাটা খেয়ে ফেলেছে। হয়ত সেই বিটুমেন এর পয়সায় তোমার এই ঝক্কাস মোবাইল টা হয়েছে।"
  • Suvajit | 60.229.111.32 | ২৬ এপ্রিল ২০০৭ ২০:২০385366
  • দুর্নীতি যদি ছেড়েও দি, কতজন সরকারি কর্মচারী ঠিক সময়ে অফিস যান বলুন তো? রাজ্য সরকারি কর্মিদের তো বোধহয় হাতে গোনা যাবে যারা নিয়মিত ঠিক সময়ে অফিস যান ও অফিসের সময়ে অফিস থাকেন।
    সবচেয়ে মুস্কিল হলো, সরকারি কর্মচারীদের স্যাক করা বিশাল হ্যাপা, বড়জোর বদলি বা সাসপেন্ড করা যেতে পারে, তাও আবার নাড়া বাঁধা থাকলে হাতই দেওয়া যাবে না।
  • santanu | 172.22.0.11, 127.0.0.12, 62.68.68.230 | ২৭ এপ্রিল ২০০৭ ১৭:৩৯385377
  • সরকারী কর্মচারীদের স্যক করা সত্যি বিশাল হ্যাপা, কিন্তু আরো হ্যাপা বোধ্‌হয় এই নিয়ে কথা বলতেও....

    আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের চেনাজানা কেউ কৃষক বা পলিটিসিয়ান বা পুলিশ নয়, আমরা নন্দিগ্রাম এর মৃত্যু নিয়ে গলা ফাঠাতে কার্পন্য করি না কিন্তু এই সব লোকেদের কথা বলতে গেলেই মনে পড়ে যায়, আরে আমার ছোটোকাকাই তো সকাল ১১ টায় অফিস যায় আর ৫ টার আগে ফিরে মেয়েকে পড়াতে বসায়।
  • S | 122.162.82.109 | ২৭ এপ্রিল ২০০৭ ২২:৫৩385379
  • শান্তনু শুভজিৎ,

    বাজে ফান্ডা মারছো বস। আমার বাবা প্রক্তন সরকারি কর্মচারী, বউ বর্তমান। বাবা রা স চা ছিল, বউ প্রাক্তন রা স চা, বর্তমান কে স চা।

    কাউকেই স্যাক করা কঠিন নয়। আর পোচুর সরকারি কর্মচারি আছে, যারা ঠিক টাইমে অফিস যায়, দরকার পড়লে নাইট আউটও মারে অফিসে। আর দেরি করে অফিস অনেক প্রাইভেট কর্মচারিও যায়। এর জন্য সরকারি কর্মচারিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
  • Blank | 59.93.203.30 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০০:০০385301
  • দেশ টা কে গোল্লায় পাঠানো টাকেই তো বিশ্বায়ন বলে। বিশ্ব টা তো গোল। যত জলদি আমরা গোল্লায় পাঠাবো তত তাড়া তাড়ি আমরা মিনি বিশ্ব হয়ে যাবো।
  • aatagaachhe totapakhi | 141.211.197.149 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০২:২০385302
  • এবং সেই গোল বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারী কর্মচারীদের একই অবস্থা। অরিজিত এক্কেবারে ঠিক বলেছে।

    আমেরিকাতে সরকারী অফিসগুলো তে মাঝে মাঝে কম নাজেহাল হতে হয় না। এখানের অনেক সরকারী পদে তো কিছু নিরেট গোমুখ্য কে বসিয়ে রেখেছে।
  • Arijit | 82.39.106.133 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৪৪385303
  • এখানে হোম আপিসের উদাহরণ দিই।

    মাঝে আমার প্রোজেক্টে ফাণ্ডিং থাকবে কি থাকবে না সেই নিয়ে পোচুর সন্দেহ ছিলো। তিনমাস-চারমাস করে এক্সটেনশন হচ্ছে, আর আমি টেনশনে। ওদিকে শিবিলের বেজায় ডিমাণ্ড, আর স্কট উইলসন বল্ল সুমনার ওয়ার্ক পারমিট বানিয়ে দেবে। এমনিতে সুমনার ওয়ার্ক পারমিট লাগে না (এখানে একজনের থাকলে স্পাউস এমনিতেই কাজ করতে পারে - আর চাকরিও পাল্টাতে পারে - বরং যার ওয়ার্ক পারমিট আছে সে চাকরি পাল্টাতে পারে না)। তো হোম আপিসে যোগাযোগ করা হল, পুরো সিচুয়েশন ওদের সাথে মেলে ডিসকাস করা হল, স্কট উইলসন অ্যাপ্লাই করলো - অ্যাপ্রুভালও এসে গেল।

    এবার ছাপ মারা। বাই-পোস্ট করলে তিনশো না কত পাউন্ড, এক্সপ্রেস সার্ভিস - যেদিন জমা দেবে সেদিনই হয়ে যাবে - পাঁচশো পাউন্ড। ক্রয়ডনের আপিসে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হল - সব ডিটেলস বলে, যে আমার ওয়ার্ক পারমিট আছে, তাই সুমনা চাকরি করে, এবার ওর এমপ্লয়ার ওর ওয়ার্ক পারমিট করাতে চায় (মানে আমাদের তাল ছিলো সুমনার লম্বা ওয়ার্ক পারমিট হয়ে গেলে আমি ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাবো - তাইলে আমার আর ওয়ার্ক পারমিট লাগবে না)। ক্রয়ডন আপিসের লোক অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিলো - সুমনা একদিন সব ডকু নিয়ে ঠেঙিয়ে ক্রয়ডন গেলো - সে লণ্ডন ছাড়িয়ে - ট্রেনভাড়াই প্রায় একশো পাউন্ড।

    হোম আপিসে টাকা জমা দিলো। তাপ্পর ওপরে ডাকলো যখন, তখন গেছে - সেখানে বলে কিনা এটা তো হবে না!!! কেন? এই সুইচিং নাকি ইংল্যান্ডের মধ্যে হয় না। স্কট উইলসনকে অ্যাপ্লাই করতে হবে অ্যাজ ইফ সুমনা ভারতে আছে, তারপর সেখান থেকে ছাপ মারিয়ে আনতে হবে। তখন জিগ্গেস করেছে যে এসব তোমরা যখন সব অ্যাপ্রুভাল করানো হল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হল তখন বল্লে না কেন? কোন উত্তর নেই। টেনভাড়াটা গেলো, তবে পঁচশো পাউন্ড ফেরত দিয়েছিলো।

    ব্যুরোক্রেসী রি রকম হয়। এক তো অ্যাপ্রুভালের সময় কিছুই বলেনি - তাইলে করলোটা কি?

    আর দুই - কেউ যেচে ফ্লেক্সিবল থেকে রিজিড সিস্টেমে যেতে চাইছে - মানে ওয়ার্ক পারমিট হলেই তো চাকরির সাথে টায়েড - তাতেও এদের অসুবিধা।

    বোজলা? সরকারি আপিস। তাও তো NHS-এর কথা বলিনি।
  • appan | 80.41.59.59 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:৫৭385304
  • NHS'র অভিজ্ঞতা আমার খারাপ নয়, বরং বেশ ভালো। তবে NHS'র সাথে কি আর এম্নি যেকোন সরকারি পরিষেবার তুলনা টানা যায়? ওটার সাথে কলকাতার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবার তুলনা চলে।

    দেখি আগে অজ্জিত কী লেখে।
  • Arijit | 82.39.106.133 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:০৯385305
  • ও নানা - সেরকম কোন অভিযোগ নাই - সব কাগজে পড়া।
  • LCM | 70.132.14.146 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ০৮:০৫385306
  • কেন, সরকারি কর্মচারী তো মানুষই। আমার আপনার পরিচিত মানুষ। আর বেসরকারি কর্মচারীরা দেশোদ্ধার কিছু করছে না।
    যদি, জালি, ঘুষ, নীতি, দুর্নীতি, এসব নিয়ে কথা হয় - তহলে তো সেই বেসিক প্রশ্নটা আসে -
    সারা দেশে ডাক্তার, শিক্ষক, কেরানি, দোকানদার, আই টি প্রোগ্রামার, দুধওয়ালা, খেলোয়াড়, অভিনেতা... সবাই সাধু, শুধু সরকারি কর্মচারীরা অসৎ তা কি করে হবে। দেশ যেখানে যাচ্ছে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেইই যাচ্ছে, সে গোল্লা/ জাহান্নাম/মরুদ্যান যেখানেই হোক।
  • Suvajit | 203.51.54.73 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ১৯:৫৯385307
  • S কে বলি। সরকারি কর্মচারীদের কি করে সহজে স্যাক করা যাবে সেটা জানালে বিশেষ বাধিত হবো।
    কর্মসুত্রে এককালে আমাকে বহুবার সল্টলেকের অনেক ভবনে যাতায়াত করতে হয়েছে, কর্পোরেশনেও গেছি বহুবার। এছাড়া লালবাড়ী, বিভিন্ন মন্ত্রক, হাসপাতাল ইত্যাদিতেও আভিজ্ঞতা যথেষ্ট। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্দ্ধিধায় বলা যায়, সরকারী কর্মচারীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও নিয়মানুবর্তিতায় চুরান্ত অপেশাদার। দুর্নীতি তো এর পরের ব্যপার।
    আপনার পরিবারের লোকজন যদি এর ব্যতিক্রম হন তাহলে তাঁরা আমার বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন, শুধু তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব ঠিকমতো করছেন বলে নয়, যেখানে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোটাই চল সেখানে থেকেও তাঁরা ব্যতিক্রমি চরিত্র দেখাতে পেরেছেন বলে।
    LCM কে বলি, বেসরকারি কর্মী হিসাবে আমি দেশের জন্য অনেক কাজ করেছি। পশ্চিমবংগ, ঊড়িষ্যা, কেরালা, জম্মু, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম আর আসাম এই সব রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে এককালে রাস্তা তৈরি করেছি। এছাড়া ভি আই পি রোড, বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচওয়ে, পার্ক স্ট্রিট ও কলকাতার আরো অনেক রাস্তায় ম্যাস্টিকের কাজ করিয়েছি। স্টেট ব্যাংকের যে নতুন বিল্ডিং হয়েছে স্ট্যান্ড রোডের ওপর তাতেও আমার কিছু অবদান ছিলো। এই কার্যকালে দেখেছি সরকারি পি ডব্লু ডি অফিসারদের থেকে কর্পোরেশনের কেরানি পর্যন্ত কি বহুপ্রসারিত দুর্নীতি, লোভ, লালসা।
    যাই হোক এখন আইটিতে কাজ করলেও আমার প্রথম কয়েক বছর সিভিল লাইনের সেই কাজগুলো মনে করে এখনো গর্বিত বোধ করি। এটা দেশোদ্ধার কিনা অবশ্য আপনারাই বিচার করবেন।

    বেসরকারি কর্মচারিরা সব সাধু সে দাবি কেউই করবেন না। কিন্তু এটা সন্দেহাতীত যে বেসরকারি ক্ষেত্রে এমন সর্বস্তরে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই, আর শাস্তির ভয়ও আছে। আর আই টির কথা দ করে তুলনায় আনবেন না। এই আই টি বোধহয় একমাত্র ক্ষেত্র যেখানে ভারতীয় কর্মিদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সততা সারা পৃথিবীর কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
  • Suvajit | 203.51.54.73 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ২০:০২385308
  • *দয়া
    y এর পর A দিলে আ ফলা আসছে না। মামুর বাগলিস্ট ডাটাবেসটা কোথায়?
  • santanu | 198.36.34.57 | ২৮ এপ্রিল ২০০৭ ২০:২২385309
  • বেসরকারী কর্মচারী কাজ না করলে সে বুঝবে আর তার মালিক, সরকারী লোকজন কাজ না করলে, খারাপ ব্যবহার করলে, পুরো ভোগান্তি টাই যে আমাদের। তাই এই তুলনা টা ঠিক হবে কি?

    তবে আমি ও আছি দোষের ভাগী, প্রথমেই ভেবে নি, ঐ ম্যানেজ করে নেবো, একটু চালাকি, কিছু ঘুষ দিয়ে ...
  • LCM | 24.4.0.122 | ২৯ এপ্রিল ২০০৭ ০২:০৬385310
  • দেশ-কে কারা গোল্লায় পাঠাচ্ছে সেই লিস্ট-এ কিন্তু সমাজের সর্বস্তরের মানুষ-এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ থাকে।
    সাধারনত, নিম্নবিত্ত মানুষ বেশী পেশাদার, তুলনামূলকভাবে কম দুর্নীতিপরায়ন হন।

    র‌্যান্ডম স্যাম্পেল নাও -
    - এক হাজার বেসরকারি ডাক্তার
    - এক হাজার সরকারি কর্মচারী
    - এক হাজার বাড়ির কাজের লোক
    - এক হাজার হাইস্কুল শিক্ষক
    - এক হাজার বেসরকারি কোম্পানীর অফিসার
    - এক হাজার অটো/রিক্সা চালক

    এক বছর ধরে দুর্নীতির ডেটা কালেক্ট করো। কি মনে হয়? কাদের বেশী হবে? শুধুতো কম বেশী নয়, কাদের দুর্নীতি দেশ-কে বেশী গোল্লায় পাঠাবে?

    আর, ভারতীয় আইটি-র লোকজন দক্ষ ঠিক, কিন্তু তারা সৎ এবং কর্মক্ষেত্রে একেবারে জালি করেন না, মিথ্যার আশ্রয় নেন না, এরকমটি বলা মুশকিল।

  • rimi | 168.26.191.117 | ২৯ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৪১385312
  • আমি একজন আইটির হোমরাচোমরা লোককে জানি যার বৌ আমাকে প্রায়ই খাওয়াতে নিয়ে যেত আর দামটা সবসময়েই সেই দিত। আমার খুব লজ্জা করত। একদিন আমি দাম দেব বলে খুব জোর করায় সে মুখ ফসকে বলে ফেলল "আরে এইসব বিল তো ওর কম্পানি দেয়".... শুনে আমি হাঁ। অবশ্য জানি না যে আইটিতে ঐরকম উঁচু পদে গেলে সত্যিই বৌএর বন্ধুকে খাওয়ানোর বিল পার্কসের মধ্যে পড়ে কি না।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.215.9 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:১৬385313
  • তার আগে শুভজিৎকে জিজ্ঞেস করি, সরকারি কর্মচারিদের স্যাক করা যে খুব কঠিন, সেটাই বা আপনি কী করে জানলেন? চেষ্টা করেছিলেন কি? আপনি যেভাবে বুঝলেন, ব্যাপারটা খুব কঠিন, আমিও সেই ভাবেই জেনেছি, ব্যাপারটা খুব কঠিন নয়।

    দুর্নীতি ঠিকঠাক ভাবে প্রমাণ করতে পারলে যে কারুর বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেওয়া যায়, সরকারি হোক বা বেসরকারি। হ্যাঁ, এটা ঘটনা যে সরকারি প্রসিডিওর অনেক রকমের দীর্ঘসুত্রিতায় আবদ্ধ তাই ফাইল চালাচালিতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত কারুর বিরুদ্ধে চাকরি খাবার মত অ্যাক্‌শন নিতে সরকারে সময় লেগে যায়। কিন্তু খাওয়া যায়, প্রপার চ্যানেলেই যায়।

    এ বার সহজ কঠিনের ব্যাপারটা, আবার আপেক্ষিক, এয়ার হোস্টেসের ওজন বাড়লে বা পাইলট মোটা গোঁফ দাড়ি রাখলেই তার চাকরি চলে যায়। খুব এফিশিয়েন্ট প্রাইভেট কম্পানি প্রপার কোনও অভিযোগ পেলে, এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের চাকরি খেতে পারে। সরকারেও কারুর বিরুদ্ধে গ্রিভ্যান্স সেলে অভিযোগ জানালে তার বিরুদ্ধে শো কজ ধরানো হয়, তার উত্তর বের করার জন্য ভিজিলেন্স কমিশন আছে, আরও অনেক প্রসিডিওর আছে।

    সরকারি কর্মচারির চাকরি খাবার প্রসেসটা অনেক দীর্ঘায়িত, এটাই ঘুরিয়ে বললে, সরকারি চাকরিতে জব সিকিওরিটি অনেক বেশি (অবশ্য সে দিনও আর বেশিদিন নেই)। কেবল এই কারণেই মার্কেট রেটের থেকে অনেক কম মাইনে পেয়েও লাখ লাখ লোক সরকারি চাকরি করে। কারণ এ চকরি সহজে যায় না। পাঁচ বছর পর্যন্ত চাকরি বজায় রেখে ছুটি পাওয়া যায়।

    LCM, আপনার র‌্যান্ডম স্যাম্পলিংয়ের লিস্টিতে আরেকটা ক্লাসের নাম তো বাদই দিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ। ভারতীয় পুলিশ। এদেরও জোড়া উচিত।
  • Arijit | 128.240.233.197, 128.240.229.6 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:১০385314
  • ভারতীয় আইটি কোম্পানির সিভি বিক্রির পদ্ধতিটা জালি দিয়েই শুরু। আইটির ঠ্রেডে ACM থেকে লাইন তুলে দিয়েছিলাম - ACM কোড অব কনডাক্টের ধজ্জিয়াঁ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
  • d | 202.142.6.253 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৩২385315
  • আই টি সহ অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানিতে মেডিকেল বি, টি এ বিলের অধিকাংশটাই তো জালি বিলে ভর্তি থাকে। তাছাড়া অফিসের জিনিষ বাড়ী নিয়ে যাওয়া ইত্যাদিও আছে। এই নিয়ে 'আমাদের চুরি জালিয়াতি' থ্রেডে লিখেছিলাম, তো জনগণের কি রাগ।
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৩৫385316
  • প্রোজেক্ট সাইজিং এ যে কত জল মেশাই প্রতিদিন আর কত যে এক্সট্রা বিল করি আর ডিফেক্ট গুলো জালি করে এসক্যালেট করি তার ঠিক নেই।
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৪৯385317
  • তবে সরকারি কর্মচারীরাও ভয় টয় পায়। প্রায় বছর দুয়েক আগের কথা বলছি। শিয়ালদহ স্টেশানে (নর্থ) টিকিট কাউন্টারে দাড়িয়ে আছি আমরা দুই বন্ধু। বেশ বড় লাইন। হেলে দুলে এগিয়ে লাইন যখন গিয়ে পৌছলো কাউন্টারের মুখে, তখন সেই টিকিট বাবু টি দিলেন কাউন্টার বন্ধ করে। ওনার ডিউটি শেষ। পরিষ্কার বলে দিলেন অন্য কাউন্টারে যেতে। এদিকে বাকি কাউন্টার গুলোতেও তখন লম্বা লাইন। মানে আবার একবার আমাদের লাইনে দাড়াতে হবে।

    বাধ্য হয়ে বললাম যে আপনি তাহলে ব্যবস্থা করে দিন কোনো, না হলে তো আবার আমাদের লাইনে দাঁড়াতে হবে। একদম সরকারী কর্মচারী মার্কা মেজাজ নিয়ে তিনি জানালেন যে নিজের ব্যবস্থা নিজেকে করে নিতে। ওনার ডিউটি শেষ। গেল মাথা বিগড়ে।

    চেঁচা মেঁচি, কাঁচের ওপোর দুম দাম করলাম কিছুক্ষন। লাভ হলো না। তারপর বললাম এর নামে রিপোর্ট করবো। কিছুক্ষন ঘোরা ঘুরি, শিয়ালদাহ স্টেশান মাস্টারের ঘর, হ্যানা ত্যানা চললো। স্টেশান মাস্টার বললো যে আমি এনে দিচ্ছি আপনাদের টিকিট। কিন্তু তখন কে কার কথা শোনে। রিপোর্ট আমি করবৈ।

    শেষে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো রিপোর্ট করার জায়গায়। ডিটেলস লিখে রিপোর্ট করলাম। ওরা রিসিট দিল আর জানালো যে এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়িতে চিঠি যাবে ডিটেলস action জানিয়ে।

    তারপর যেই সেখান থেকে বেড়োবো, ততক্ষনে সেই টিকিট কাউন্টারের ভদ্রলোক এসে গেছেন সামনে। গলার ভয়েস পুরো পালে্‌ত গেছে। প্রায়ে হাতে পায়ে ধরা। ওনার এত বছরের চাকুরি জীবনে কোনোদিন কোনো দাগ লাগে নি। এই রিপোর্ট জমা পরলে নাকি এক্ষুনি শোকজ হবে। ওনার প্রচুর সমস্যা হবে। বাড়ির অবস্থা ভাল না। যদি মাইনে পত্তরে চাপ হয় তো খুব চাপ etc

    খুব বাজে একটা সিচুয়েশান, আশে পাশের সবাই বলছে যে ছেরে দিন ছেরে দিন এবারের মতন। শেষে বাধ্য হয়ে ওখানে আবার নতুন করে ফর্ম ভরে রিপোর্ট withdraw করলাম আমরা।

    আসলে ঠিক জায়গায় ঠিক করে ঝামেলা টা করতে পারলেই কাজ হয়। আর ঐ ভদ্রলোক যে রকম ভয় পেয়েছিলেন তাতে এটা পরিষ্কার যে রিপোর্ট জমা পড়লে ওনার বেশ চাপ হতো।
  • santanu | 198.36.34.57 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:০৪385318
  • বা: Blank এর টিকিট কাটার ঘটনাটা ভালো।

    আমাদের অধিকার গুলো ঠিকঠাক জানতে পারলে আর apply করতে চাইলে মাঝে মাঝে এই সরকারী কর্মচারী দের মনে করিয়ে দেওয়া যায় যে তাদের কাজ সাধারন মানুষের কিছু সুবিধা করা, বিব্রত করা নয়।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:১৬385319
  • একটু হলেও চাকাটা কি ঘুরছে?

    http://www.anandabazar.com/30cal4.htm
  • Blank | 203.99.212.224 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:২৫385320
  • আমরা ঘুরে দাঁড়ালে চাকা টা ঘুরবে নি:সন্দেহে।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.215.9 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:৩৪385321
  • দারুণ, ফাঁকা!

    কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক কি সরকারি হয়? নাকি সরকার আন্ডারটেক্‌ন হয়? হুগলি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে প্রায় এই রকমেরই এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাবার। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর যখন কাউন্টারের সামনে পৌঁছয়, কাউন্টারের ওপাশের লোকটা তখনই কাউন্টার বন্ধ করে দেয় এবং বাবার অনুরোধের জবাবে দুর্ব্যবহার করে। অন্য কাউন্টার থেকে কাজ সেরে নিয়ে বাড়ি ফিরে বাবা কোঅপারেটিভের ম্যানেজারকে চিঠি লিখে ঘটনা বিস্তারিত জানায়। ঠিক পনের দিনের মধ্যে চিঠির উত্তর আসে, ম্যানেজার বাবাকে ডেকে পাঠান, অভিযুক্তকে আইডেন্টিফাই করার জন্য।

    বাবা ম্যানেজারের কাছে আর যায় নি। সেই লোকটার সাথে দেখা করে তাকে চিঠিটা দেখিয়েছিল। লোকটা তাতে খুব ভয় পেয়ে বাবার প্রায় পা জড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছিল।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.215.9 | ৩০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:৩৬385323
  • চাকা অবশ্যই ঘুরছে। ছোটবেলা থেকে অনেক কিছু দেখে সয়ে অভ্যস্ত ছিলাম, তার অনেককিছুই পাল্টাচ্ছে এখন। হালফিলের RTI অনেক কিছু তুলে আনছে চোখের সামনে।

    (বাংলা লেখার নতুন কলে সব আসছে, কেবল নীল রংটাই হাওয়া। ব্যাবাক সাদা)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন