এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলকাতা ফুটবল - ৭০ দশক .....

    Binary
    অন্যান্য | ১৬ জুন ২০০৭ | ৬৫৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৬ জুন ২০০৭ ১২:৫২389690
  • সুরজিতের ব্যানানা কিক আর ভাস্করের গোলকিপিং। ভাস্কর অবশ্য মোহনবাগানের তরূণ বসু-র শিষ্য ছিলো। তবে , মোহনবাগানে ৫ গোল খাওয়া ভাস্কর, ইষ্টবেঙ্গলে এসে বাঘের বাচ্চা তৈরি হয়ে গেলো।
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৬ জুন ২০০৭ ১৩:০৪389691
  • ১৯৭৫ টা অতীব স্মরণিয়। ১) ইষ্টবেঙ্গলের ষষ্টবার লীগ জয় ২) কলকাতায় বিশ্ব টেবিলটেনিস ৩) চন্দ্রশেখরের শেষদিনের ভেল্কিতে -- ইডেনে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ জয়।

    তখন্‌কার দিকপাল ধারাভষ্যকার অজয় বসু আর পুষ্পেণ সরকার ...... মাঠে না গেলে ট্রানজিস্টার নিয়ে নেড়া ছাদে।
  • LCM | 24.4.0.122 | ১৬ জুন ২০০৭ ১৩:৪৪389692
  • ৭৭-এর লিগে ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান লিগের ম্যাচ, তুমুল বৃষ্টি। ইষ্টবেঙ্গল-এর হয়ে গোল করেন, মিহির বসু এবং সমরেশ চৌধুরী (সমরেশ-এর দূর থেকে নেওয়া লম্বা শট গোলে ঢোকে, মোহনবাগান-এর গোলকিপার ছিল বিশ্বজিৎ দাস, বেচারার বদনাম হয়ে যায় এর পর থেকে)। এই ম্যাচ থেকেই পাদপ্রদ্রীপের আলোয় উঠে এল মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। আজকাল থেকে পত্রিকা বেরোতো - "খেলা', যাতে ইষ্টবেঙ্গল-এর কোচ অমল দত্ত-র লেখা বেরোল - ইয়াং এন্ড ফাস্ট ইষ্টবেঙ্গল জিতছে, জিতবে।

    ঐ '৭৭-এই এল কসমস, মোহনবাগান-এর সাথে ইডেন-এ খেলা, পেলে-র পা থেকে বল তুলে নিল শিবাজী ব্যানার্জি।

    ৭৭-এ শিল্ডের ফাইনালে গৌতম সরকার-এর দুরপাল্লার শটে ভাস্কর পরাস্ত হল। মোহনবাগান জিতল ১-০। লিগ-এ হারের বদলা মোহনবাগান শিল্ডে নিল।
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৬ জুন ২০০৭ ২১:৫৬389693
  • তখন ময়দানে দুটো কাগজ বেরোতো, মোহনবাগানের খেলার্দিন 'গড়ের মাঠ' আর ইষ্টবেঙ্গলের দিন 'অলিম্পিক'। দলবদল আর ক্লাব কেচ্ছা ছাড়া .... ঐ কাগজ গ্যালারীর কাঠে পেতে বসা আর রোদ ঠেকানোর কাজ-ও হতো। ১৯৭৫-রে-ই বোধহয়, মোহনবাগান-মহমেডান ম্যাচের দিন ময়দানে বাজ পড়ে ৫ জন মারা যায়।

    তখন, ভিনরাজ্যএর প্লেয়ার আনার হিরিক পড়েছিল, এখন যেমন বিদেশীদের নিয়ে হয় আর কি ..... তো ইষ্টবেঙ্গলে পাঞ্জাব পুলিশ থেকে এলো হরজিন্দার, মনজিৎ আর গুরদেব। ময়দানে ওদের নাম হয়েছিলো ..... সখা সিং, সখি সিং আর সোজা সিং। সখা সখি কারণ ..... গা বাঁচিয়ে খেলতো বলে ..... আর গুরদেব স্টপারে খেলতো ...... ওর একটাই কাজ ছিল, বল আসলে গদাম করে সোজা ক্লিয়ার মারা ...... তাই সোজা সিং।
  • kallol | 58.68.28.178 | ১৬ জুন ২০০৭ ২২:০৪389694
  • এ:; তরুন বসু যদি মোহনবাগানের হয়, তবে সুরজিত খিদিরপুরের, মানস-বিদেশ এরিয়ান্সের।
    ৭৮-এ কলকাতার সন্তোষ-এর ফাইনালে সুরজিতের গোল। মাঝ মাঠ থেকে পরপর পাঁচ জনকে ভাঁজ মেরে, পাঞ্জাবের গোলকিপারটাকে (তার নামও বোধহয় সুরজিৎ) ফলস দিয়ে বল সুদ্ধু গোলে ঢুকে ক্রশবার ধরে ঝুলে পড়া..... ও: আমাদের মারাদোনার দরকার পরেনি।
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৬ জুন ২০০৭ ২২:১৪389695
  • সরি, আগে ৭৭ এর ম্যাচের স্কোরার বলেছিলাম মিহির আর গৌতম, ওটা মিহির আর পিন্টু চৌধুরী হবে। এল সি এম -কে ধন্যবাদ। গৌতম, ৭৭ রে-ই বিট্রে করে মোহনবাগানে গেছিলো।

    গৌতম ছিলো ময়দানের বেকেনবাউআর .....
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৬ জুন ২০০৭ ২২:২১389696
  • আরে না না ..... আমি বলেছিলাম .... ভাস্কর যখন মোহনবাগানে ৫ গোল খায় সেই সময়ের আগে তরুন মোহনবানে ছিলো একবছর বোধহয়। তবে স্ম্‌তি বিট্রেও করতে পারে এখানে।
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৭ জুন ২০০৭ ০৪:২০389697
  • মতি নন্দী-র কালজয়ী উপন্যাস (বাংলা ক্রীড়া সাহিত্যে আগে বা পরে কখনো হয়নি ..... আমার মতে) 'স্ট্রপার' আর স্ট্রাইকার'। হ্যাঁ, 'কোনি' , কে মনে রেখেও বলছি।

    মতি নন্দী-র উপন্যাসে লীগের বড় টীম হলো 'যুগের যাত্রী'। স্ট্রপারের ক্লাইম্যাস্ক পরিচ্ছদ ....... স্ম্‌তির উপর নির্ভর করে লিখছি ....

    যুগের যাত্রীর শেষ ম্যাচ শোভাবাজার স্পোর্টিং-এর সঙ্গে ... উপন্যাসের হিরো কমল গুহ-র (শোভাবাজার স্পোর্টিং-এর)জীবনের শেষ ম্যাচ ।

    যাত্রী এই ম্যাচ জিতলে চ্যাম্পিয়ান ...... খেলা ইষ্টবেঙ্গল মাঠে .....
    সদস্য গ্যালারীতে দুই ইষ্টবেঙ্গল, হঠাৎ আবিস্কার করে পাশে-ই বসে এক মোহনবাগানী ..... তো প্রথম ইষ্টবেঙ্গলী .... দ্বিতীয় জনকে .....
    ----- "ছারপোকা , আমাগো গ্যালারীতে ?
    দ্বিতীয় জন ....
    ----- "ছাইরা দে, অগো , আমাগো আইজ কমন ইন্টারেস্ট, ইংরাজী বোঝোস তো ?
    ----- চার ব্‌ৎসর আইএছছি, পরসি, ইন্টারেস্ট মানে সুদ, হেইডা বোঝুম না ......
  • d | 122.162.105.21 | ১৭ জুন ২০০৭ ১০:১৫389698
  • "স্ট্রপার' !!!!?????

    শব্দটি "স্টপার' = Stopper
  • Bappa | 59.93.212.223 | ১৭ জুন ২০০৭ ১৩:৩৯389700
  • হ্যাঁ, এও আরেক সত্তর দশক। কলকাতা ময়দানের সত্তর দশক, ভারতীয় জায়গায়ও কিছুটা। যার শুরু ইস্ট্‌বেঙ্গল দিয়েই। কেউই উল্লেখ করেন নি, সত্তর দশকের শুরুর জয়যাত্রার সবচেয়ে তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা ছিলো সত্তরের শীল্ড ফাইনালে ইরানের পাস ক্লাবকে পরিমল দের দেওয়া গোলে ইডেনে ইস্ট্‌বেঙ্গলের শীল্ড জেতা। ইরানের অসামান্য খেলোয়াড় দীর্ঘদেহী আসগর সরাফিকে খর্বকায় সুধীর কর্মকারের আটকে দেওয়া। আর এই ম্যাচই প্রথম যে ম্যাচের পর সারা গ্যালারি জুড়ে কাগজ পুড়িয়ে মশাল জ্বালানোর রীতি শুরু হয়েছিলো কলকাতাতে।

    উৎসাহ, উদ্দীপনা, আবেগ সব কিছু তখন পাশাপাশি চলতে থাকা আরেক লড়াইয়ের মত মাঠেও। স্বাভাবিক, পঞ্চাশ পাশ বা প্লাসদের স্মৃতিচারণেও আবেগের আতিশয্য থাকবেই। আর তজ্জনিত ভুলও।

    বিলাসপুরের রঞ্জন রায়েরও হয়েছিলো, এখানেও হচ্ছে। Binaryর প্রথম মিস পাসকে ঠিক করেছেন LCM, একটু জুড়ে দিই। চোদ্দ মিনিটে মিহির বসুর গোলার মত শটে গোল(যেরকম গোল অমল দত্তর খুব প্রিয় মিহির বসু পরবর্তীতে আর কোনদিনই করতে পারে নি, উল্টে পরের বছর খারাপ খেলার কারণে তুলে নেবার জন্য অমল দত্তর বিরুদ্ধেই রাগে মাঠে জার্সি খুলে ছুঁড়ে দিয়ে আসেন)। এর আট মিনিট পরে সমরেশ চৌধুরী মাঠের বাঁ প্রান্ত(মোহনবাগানের রাইট হাফ পজিশন) থেকে প্রায় ব্যানানা ফ্রি কিকে গোল করেছিলেন। ঠিক দূরপাল্লার শটে নয়।

    মিহির, সমরেশের তথ্যটা LCM ঠিক করলেও মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে ভুল করে ফেলেছেন। মনোরঞ্জন লীগের ওই খেলাটায় খেলেনই নি। ইস্ট্‌বেঙ্গলের ব্যাকে খেলতে নেমেছিলেন চিন্ময় চ্যাটার্জী, শ্যামল ঘোষ(অধিনায়ক সে বছর), রমেন ভট্টাচার্য আর শ্যামল ব্যানার্জী। রমেনকে তখন সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিবান স্টপার ভাবা হোত। দশ মিনিটের মাথায় রমেন বলের উপর দিয়ে পা চালিয়ে মিস করাতে ভাস্করকে বারো গজের মধ্যে একা পেয়েছিলেন হাবিব(হাবিব আকবর সেবছর মহামেডান ছেড়ে মোহনবাগানে)। ভাস্কর গোল থেকে বেরিয়ে এসে অ্যাঙ্গল ন্যারো করে হাবিবের পা থেকে বল তুলে নিলেও, রমেনের উপর আর ভরসা রাখতে পারেন নি অমল দত্ত। নামিয়েছিলেন বলাই চক্রবর্তীকে। আর্টিলারী বা মিলিটারি(মারাত্মক টাফনেসের জন্য) নামে খ্যাত বলাই চক্রবর্তী আর হাফে রতন দত্ত সেদিন অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছিলেন। এই খেলার পরের খেলা কাস্টম্‌সের সাথেও বলাই নেমেছিলেন, কিন্তু তারপরের খেলায় পোর্টের সাথে রমেনের মত একই ভুল করার জন্য তার জায়গায় আসে মনোরঞ্জন, সেই ছিলো তার জয়যাত্রার শুরু। যদিও লীগের শুরুর দুটো ম্যাচ খেলেছিলো মনোরঞ্জন, কিন্তু এ খেলা থেকেই দলে পাকাপাকিভাবে তার জায়গা হয়ে যায়।

    এখানে বাঙাল ঘটি না আসলেই ভালো, যদিও কথা দুটো অঙ্গাঙ্গীভাবে এই দুটো ক্লাবের সাথে জড়িয়ে গেছে। কিন্তু ভুলে যাই কি করে যে গোষ্ঠ পালও বাঙালই ছিলেন, ১৯১১-র মোহনবাগান দলেও ন নজন খেলোয়াড়ই বাঙাল। ইস্ট্‌বেঙ্গল জন্মালোই তো ১৯২০তে আর মোহনবাগান ১৮৮৯-এ জন্মে তখন প্রসিদ্ধ। আর দুজনের খেলার মাঠও ছিলো একখানাই। আজকে যেটা ইস্ট্‌বেঙ্গল-এরিয়ান মাঠ সেটাতেই দুদল ছিলো ১৯৬৩ অবধি। এর পরে মোহনবাগান ক্যালকাটা গ্রাউণ্ডের অংশীদার হয়ে চলে যায় ১৯৬৪তে।

    বোঝাই যাচ্ছে Binary খুব উত্তেজিত, সে উত্তেজনা যৌক্তিকও। উত্তেজনায় অজস্র গণ্ডগোল হচ্ছে। আগের ভুলটা ছাড়াও

    ১) হাবিব আকবর পঁচাত্তর নয়, চুয়াত্তরে মহামেডানে গিয়েছিলেন ইস্ট্‌বেঙ্গলের টানা পাঁচ বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকাতে। কারণ তার আগে মহামেডানই একমাত্র দল ছিলো যারা ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ কলকাতা লীগ জেতে।

    ২) চুয়াত্তরে নয়, বাহাত্তরের শীল্ড ফাইনালে মোহানবাগান মাঠে খেলায় সুকল্যান ঘোষ দস্তিদারের দেওয়া গোলে মোহনবাগান এক গোলে এগিয়ে থাকার সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। হাবিব, আকবর, স্বপন সেনগুপ্তর আক্রমণে মোহনবাগান তখন দিশেহারা। বল গোলকীপার তরুন বসুকে পরাস্ত করেও হাইকোর্ট প্রান্তের গোলের সামনে জলে দাঁড়িয়ে/আটকে যাচ্ছে। সাইডলাইনের চুনও গলে গেছে। তখন লাইনের ধারেই আধা-কুচো কর্মকর্তারা বসতো। লাইনের দাগ মুছে যাওয়ায় তারা আরও এগিয়ে আসে। তাদেরই একজন ছাতার বাঁট দিয়ে সুধীর কর্মকারের পা টেনে দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে ঢিল পড়ে। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা সুধীর কর্মকারের বিষয়টিকে নিয়ে রেফারী বিশ্বনাথ দত্তকে ঘিরে কর্মকর্তাদের মাঠ থেকে বের করার আবেদন চালাতে থাকে। অতিরিক্ত Involved থাকার কারণে সবসময়ের মতই সবচেয়ে বেশী উত্তেজিত ছিলেন হাবিব। কর্মকর্তাদের বার করার সাহস কোনদিনই কারুর ছিলো না, আজও নেই। রেফারী লাইন্স্‌ম্যানদের নিয়ে লাইন পরীক্ষা করতে থাকেন আর বল লাইনের উপর ভাসছে কিনা দেখেন। আর এর পরেই ইস্ট্‌বেঙ্গলের সমস্ত সমর্থকদের হতাশ করে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। সুকল্যান হঠাৎই অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে রেফারী বিশ্বনাথ দত্তকে ঘুঁষি মারেন। ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয় মাঠে। শান্তি দাস নামের একজন মহিলা ইঁটের আঘাতে হস্‌পিটালাইজ্‌ড্‌ হন। বিশ্বনাথ দত্ত একটি চোখও হারান।

    ৩) এটা ভুল নয়, চুয়াত্তরে শঙ্কর ব্যানার্জি সুভাষ ভৌমিককে ট্যাক্‌ল্‌ করতে গিয়ে পড়ে যান। সুভাষ ভৌমিক যে মোমেণ্টাম নিয়ে আসতেন সে সময়, তাই নিয়ে ওর হাঁটুতে পড়েন। ওর হাঁটু ঘুরে যায়। এই নিয়ে পরবর্তী কালে শঙ্কর ব্যানার্জি অনেকবার সুভাষ ভৌমিকের পক্ষে দাঁড়িয়ে স্টেট্‌মেণ্টও দিয়েছেন।

    ৪) ছিয়াত্তরের লীগে আকবরের গোলটা হয়েছিল সতেরো সেকেণ্ডে, ছ সেকেণ্ডে নয়।

    ৫) তরুন বসু মোহনবাগানে আসেন একাত্তর সালে, তখন বলাই দে মোহনবাগানের এক নম্বর গোল কীপার। লীগের খেলায় শান্ত মিত্রর ফ্রি কিকে গোল খাওয়ার পর বলাই দে নার্ভাস হয়ে পড়েন, বহুবার পরিস্থিতি সামাল দেয় চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ, কল্যান সাহা। ওরকম সময়েই নামে তরুণ। আমার দেখা ময়দানের প্রথম গোলকীপার যে টুপি পরে গোলকীপীং করতো। নামার একুশ সেকেণ্ডে হাবিবের যে প্লেসিং তরুন বাঁচিয়েছিলো তা যাঁরাই খেলা দেখেছেন তাঁদের মনে থাকা উচিত। খেলাটা এক-এক শেষ হয়েছিলো, মোহনবাগানের হয়ে গোল করেছিলেন পুঙ্গম কান্নান, ইস্টবেঙ্গল গোলকীপার কানাই সরকারকে সুন্দর ফল্‌সে ফ্লাইট্‌ মিস করিয়ে।

    ৬) তরুন বসুর প্রস্তাবে পঁচাত্তরে ভাস্কর গাঙ্গুলী আসেন মোহনবাগানে। কারণ তরুন তখন ইস্টবেঙ্গলের এক নম্বর জায়গায়। তখন মোহনবাগানের এক নম্বর গোলকীপার প্রশান্ত মিত্র। পঁচাত্তরে দল মোটামুটি শক্তিশালী হবার জন্যই অথবা লীগে প্রায় জেতা ম্যাচ শ্যাম থাপার অবিশ্বাস্য গোলে হেরে যাওয়ায় হয়তো কিছুটা আত্মবিশ্বাসী ছিলো মোহনবাগান। কিন্তু সব হিসেব গোলমাল করার জন্য মোহনবাগানের অপমানের জ্বালা না জুড়োনো সুভাষ ভৌমিকের যে খিদে তখনও মরে নি, তা তারা ভুলে যান। সুভাষ ভৌমিকের হাত নাড়িয়ে বা ঘুরিয়ে(যেটাকে আজও অনেকে "ডেকে ডেকে গোল" বলে) অনবদ্য সেণ্টারে সুরজিৎকে দিয়ে গোল করানোটা ছিলো ইস্ট্‌বেঙ্গলের তিন নম্বর গোল। তার আগে প্রথম গোল করেছেন খড়দহের রঞ্জিত মুখার্জী, আর তারপরে একখানা পেনাল্টি মিস করেও গোল করে কিছুটা পাপ ধুয়ে দ্বিতীয় গোল করেছেন শ্যাম থাপা। হাফ টাইমের পর শ্যাম থাপা আবার গোল করে চার গোলে এগিয়ে দেন দলকে।

    তখন কিন্তু গোলকীপার বদলায় মোহনবাগান। তারা নামায় প্রশান্ত মিত্রকে। তখনও গোল আরও বাড়াতে পারতো হয়তো ইস্ট্‌বেঙ্গল, কিন্তু সমরেশ চৌধুরী প্রশান্ত মিত্রকে কাটিয়ে ফাঁকা গোলের সামনে গিয়ে ইচ্ছে করেই ব্যাক পাস করে দুরূহ জায়গায় থাকা শুভঙ্কর সান্যালকে। শুভঙ্কর তখন কিছুক্ষণ হলো নেমেছে। সে রেগে গিয়ে কিছু বলেও সমরেশকে। আর তারপরে কফিনের শেষ পেরেকটা মারে নিজে পঞ্চম গোলটা করে।

    অর্থাৎ চার গোল খেয়েছিলো ভাস্কর আর এক গোল প্রশান্ত মিত্র।

    ৭) ভিনদেশী খেলোয়াড়েরা আসছেন কলকাতা লীগের শুরুর দিন থেকেই। নয়তো পঞ্চপাণ্ডব আমেদ, আপ্পারাও, ধনরাজ, ভেঙ্কটেশ, সালে চল্লিশের, লক্ষ্মীনারায়ন, মুর্গেশ, মজিদ, ছত্রিশের, সামাদও তাই, পরের দিকের নাম তো মনে থাকার কথা বাচ্চাদেরও, জার্ণেল, উলগানাথন, কান্নন, কেম্পিয়া, নার্সিয়া, রামবাহাদুর, সাদাতুল্লা, নয়িম, হাবিব, সর্দার খান, পাপ্পানা, রামানা, লায়োনেল, আপ্পালারাজু, রাজেন্দ্রমোহন, অজস্র অজস্র....

    আর সেই নায়ার যাঁর মাত্র চোদ্দটা খেলায় করা পঁয়ত্রিশটা গোল(তাও ইস্ট্‌বেঙ্গলের হয়েই) আজও কেউ ছুঁতে পারলো না, যিনি তার গোবরার বাড়িতে প্রায় না খেয়ে থাকতে থাকতে হয়তো মারাই গেছেন।

    (আরও আছে)
    ********************

  • B | 59.93.212.223 | ১৭ জুন ২০০৭ ১৩:৪৪389701
  • * সত্তরের প্রথম পাঁচ বছরে ইস্ট্‌বেঙ্গলের অধিনায়কদের নামের মধ্যেও একটা অদ্ভূত মিল ছিলো। সবারই নামের শুরু ছিলো S আদ্যোক্ষর দিয়ে। সত্তর - শান্ত মিত্র, একাত্তর - সুনীল ভট্টাচার্য, বাহাত্তর - সুধীর কর্মকার, তিয়াত্তর - স্বপন সেনগুপ্ত, চুয়াত্তর - সমরেশ চৌধুরী। এই জন্য ষষ্ঠবারে অধিনায়কের নাম A দিয়ে অশোকলাল ব্যানার্জী হওয়ায় অনেকে অনেক কথা বলতো। ছিয়াত্তরের গৌতম সরকারের পরের বছরেই আবার শ্যামল ঘোষ আর আটাত্তরে সুরজিৎ সেনগুপ্ত, তারাও S আদ্যোক্ষর-বিশিষ্ট নামের।

    হায় এখানেই এক Sকে দেখি যে খেলার ব্যাপারে ক্যালানেই হয়ে রইলো।

    মোহনবাগানের জন্য বড় ঘটনা ছিলো সাতাত্তরে এককভাবে ত্রিমুকুট জয়। শীল্ড, রোভার্স আর ডুরাণ্ড। সাতাত্তরের দশই সেপ্টেম্বরই বোধহয়(মনে নেই) কসমসের সাথে খেলা। বৃষ্টি মাঠে জোর করে পেলে-কে নামানো। কিন্তু মোহনবাগানের কথা বলার জন্য কেউ এগিয়ে আসুক।

    না আর্কাইভ দেখে নয়, স্মৃতি থেকে লিখুন।

    নয়তো...., অগত্যা.... এই জার্মানই আছে তাদের জয়গানগাথাও শোনাতে।
  • Binary | 70.64.50.83 | ১৭ জুন ২০০৭ ২০:১৮389702
  • হ্যাঁ , ভুলগুলো স্বীকার করেও বলি, আমি এখনো চল্লিশের আশ্‌পাশে, পঞ্চাশ এখোনো বহু দুর, তাই ৭০ এর স্ম্‌তি গুলো আমার নেহাতি-ই খুব-ই বালক বয়সের, ভুলগুলো বোধহয় সেইজন্য-ই
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৭ জুন ২০০৭ ২০:৩৫389703
  • একটা কথা খুব মনে হচ্ছে - কলকাতা ফুটবল-র ৭০ নিয়ে খুব কথা হয়। হওয়া উচিৎও। কিন্তু আমার মনে হয় কলকাতা ফুটবলে ৬০ও কম যায় না। চুনী, বলরাম, পিকে, অরুণ ঘোষ, জার্নাল, কেম্পিয়া, রামবাহাদুর, থঙ্গরাজ, মুস্তাফা, সনৎ শেঠ এমনকি চিরকাল রাজস্থান ক্লাবে খেলে যাওয়া ফেন, শান্ত মিত্র, নঈম, সেই অর্থে শ্যাম থাপা আর হাবিবও ......। তখন কলকাতার বাইরে প্লেয়ার বলতে একমাত্র অন্ধ্রের ইউসুফ খান, আর পরে ৭০-এ ইন্দার সিং - এরা কেন জানি না কোনদিনই কলকাতার ক্লাবে খেললেন না।
  • Bappa | 59.93.196.6 | ১৭ জুন ২০০৭ ২৩:৫৬389704
  • ১৯৬০ মানে ৬০-এর দশকের শুরু? তখন আমি চার বছরের। ও ব্যাপারে লিখতে গেলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আমার প্রথম ময়দানে, বা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে যাওয়া সম্ভবত: একষট্টি/বাষট্টিতে। সেই যখন গাগারিন এলেন, বুলগানিন - তখন। কিছু কি বুঝতাম নাকি তখন? কত দূরে কত ছোটো ছোটো সমস্ত।

    খেলা দেখতে গেলাম প্রথম বাবার সাথে, ইস্ট্‌বেঙ্গল মাঠে ১৯৬৬ সালে। রাজস্থানের সাথে খেলা। পরিমল দে একটা গোল আর গুরুকৃপাল সিং হ্যাট্‌ট্রিক করে তিন গোল করেছিলেন। চার গোলে জিতেছিলো ইস্ট্‌বেঙ্গল। তারপরের খেলা দেখা এভারেডির উদ্যোগে স্টেডিয়ামে(রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামকেই তখন স্টেডিয়াম বলা হোত) ইস্টার্ণ রেলের সাথে। টিকিট দিয়েছিলো ইশকুল ( ভবানীপুর মিত্র ইন্‌স্টিটিউশন ) থেকে। পরিমল দে তখন অদ্ভূত ফ্রি কিক নিতেন। বলটা অনেকটা সোয়ার্ভ করে গোলে চলে যেতো। পরে জানলাম এটাকেই ব্যানানা ফ্রি কিক বলে। সেরকমই একটা ফ্রি কিকে জিতলো ইস্ট্‌বেঙ্গল। সেটা ছিলো প্রদর্শনী ম্যাচ।

    সে বছরই প্রথম ইস্ট্‌বেঙ্গল সদস্য গ্যালারীতে বসা। সেটাও ইস্ট্‌বেঙ্গল-ইস্টার্ণ রেল ম্যাচ। দশ বছরের বড় দিদি তখন অ্যাথ্‌লেটিক্সে প্রচুর নাম করেছে। স্কুল লেভেলে ২০০ মিটারে রেকর্ড, একশো মিটারে রেকর্ডকে ছোঁয়া, যোগমায়া দেবী কলেজের পরপর দু বছর ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন, জ্যাভেলিন ছুঁড়ছে, লং জাম্প দিচ্ছে, হপ স্টেপ অ্যাণ্ড জাম্প(এখন নাম ট্রিপ্‌ল্‌ জাম্প্‌) আর হার্ড্‌ল্‌স্‌..., আহা সেই দৃশ্যগুলো চোখে ভেসে আছে। এর ফলে রাজ্য অ্যাথ্‌লেটিক্স মিটে দিদি থাকতোই আর বড় ক্লাবগুলোতে ডাকও পেতো। সেই খেলাটায় এভাবেই ভি আই পি হয়ে গিয়েছিলাম।

    কিন্তু খেলা হোলো কই? ইস্টার্ণ রেল তখন ইস্ট্‌বেঙ্গলের গাঁট। মীরকাশিম, কাজল মুখার্জী, ইউ এস চৌধুরী আর পি কে ব্যানার্জি সমেত দলটা এলো চল্লিশ মিনিট পর। মাঠে খুব গণ্ডগোল হয়েছিলো। রেফারী ইস্ট্‌বেঙ্গলকে ওয়াক ওভার দেয়। তখনকার ৯০ পয়সার গ্যালারিতে আগুনও ধরিয়ে দেয় কেউ। যা:, খেলা দেখা হোলো না। ফিরতি লীগে পি কের অসামান্য গোলে ইস্ট্‌বেঙ্গল হেরে যায়। অনেক দূর থেকে অদ্ভূত সোয়ার্ভিং শটে পি কে বিরাট লম্বা থঙ্গরাজকে হার মানান। সে খেলা আমি দেখি নি। তবে ও গোলের ছবিটা অনেক দিন ধরে দাদার প্র্যাক্‌টিকাল খাতায় রাখা ছিলো। আজও হয়তো হাঁটকে পাঁটকে পাওয়া যেতে পারে। সে বছর অবশ্য লীগ জিতেছিলো ইস্টবেঙ্গলই।

    সেই বছরই ইস্ট্‌বেঙ্গলে ভিন রাজ্য থেকে ছ ছ জন খেলোয়াড় এসেছিলেন। নইম, হাবিব, আফজল খাঁ, কে ডি শর্মা, শ্যাম থাপা আর গুরুকৃপাল সিং। আগে থেকেই দলে ছিলেন থঙ্গরাজ আর রামবাহাদুরও।

    মোহনবাগানেও তখন ছিলেন জার্ণেল সিং(পাঞ্জাব), অরুময়নৈগম(মাদ্রাজ), চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ(বিহার), রহমান(কেরালা)।

    এ ছাড়া মহামেডানে খেলতেন পাপ্পানা, রামানা, গোলে মুস্তাফা, বি এন আর-এ রাজেন্দ্রমোহন, আপ্পালারাজু, অ্যাণ্টনী অ্যাম্‌ব্রোজ্‌, কল্যান টিরকে, ইস্টার্ণ রেলে মীরকাশিম,....

    কলকাতা মাঠে ভিন রাজ্যের খেলোয়াড় তাহলে কজন হলেন?

    ******

    ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হাফদের অন্যতম অন্ধ্র পুলিশের ইউসুফ খানের মত বা পাঞ্জাবের জলন্ধরের লীডার্স ক্লাব ও পরে জে সিটি-র ইন্দর সিংএর মতই কলকাতায় কখনই খেলতে আসেন নি ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলা বম্বের মফৎলালের অমরবাহাদুর, রঞ্জিত থাপা, মারেটো গ্রেসিয়াস, নেভিল ডিসুজা(এঁর ভাই ফ্রান্সিস ডিসুজা অবশ্য পরে কেরালা থেকে এসে মোহনবাগানে খেলেছেন) যদিও প্রতি বছরই এদের নিয়ে ময়দানের আকাশ বাতাস গুজবে মশগুল হয়ে উঠতো।

    *****

    সন্তোষ ট্রফির যে ফাইনাল খেলায় সুরজিৎ সেই গোলটা করেছিলেন, তারই সেমিফাইনালে দুরন্ত খেলে যাওয়া কেরালার জেভিয়ার পায়াস পরে মোহনবাগানে এসে দারুণ খেলে গেছেন।
    *****

    অপ্রাসঙ্গিক??!! বলতে পারবো না। কারাগার, বধ্যভূমি....তে উল্লিখিত রাসবিহারীর বা সাহানগরের অরুনদা, বা গুরুদ্বারের উল্টো দিকের বাবুদারা কিন্তু এককালে বা সেই সময়ও ইস্টবেঙ্গল মাঠের নিয়মিত দর্শক ছিলেন। একসাথে খেলা দেখতে দেখতে এটুকু খুব বুঝতাম যে খুব Witty দর্শকদের মধ্যেই পড়তেন তারা।

  • tan | 131.95.121.132 | ১৮ জুন ২০০৭ ০১:৫১389705
  • B,
    তারপরে কি করলেন উনি? সেই দিদি? আরো খেললেন? দৌড়োলেন? হাইজাম্প লংজাম্প দিলেন? জ্যাভেলিন ছুঁড়লেন? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলায়?

  • Tim | 71.67.115.14 | ১৮ জুন ২০০৭ ০২:৪২389706
  • মিত্র ইন্সটিটিউটের নাম শুনে রোমাঞ্চিত হলাম। আরেকটা অপ্রাসঙ্গিক কথা। সাহু মেওয়ালাল ও ৭০ এর দশকের না?
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ০৯:৪৬389707
  • অ্যাই টিম ইয়ার্কি হচ্ছে - সাহু মেওয়ালাল ৭০-এ!!!
    আহা বাপ্পারে - ভাই তুই স্টুডেন্টস হেলথ হোমের জন্য যে ম্যাচটা হতো স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল-ইস্টার্ন রেল সেইটার কথা বলছিস ? ঐ ম্যাচটা দিয়ে মশুম শুরু হত। স্কুলে স্কুলে টিকিট পাওয়া যেত ১৯ আর ২৫ পয়সার। ও: জংলার ফ্রি কিকটা মনে আছে (অবশ্য যে দেখেছে সে জীবনে ভুলবে না)। আমাদের বেকহ্যাম লাগতো না।
    মনে পড়ল - ইস্টার্ন রেলের মাঠে নামা। সেন্টার লাইন ধরে দৌড়ে সেন্টারের সার্কেল ধরে গোল হয়ে, দর্শকদের দিকে মুখ করে, মাথা নীচু করে বাও করতো। এরকম আর কোনো দল করতো না।
    ৬০-এর দুজনের নাম করিনি, ও: বাপ্পারে তুই নাম দুটো করে আমায় রৌরব নরক থেকে বাঁচালি - অরুময় আর কাজলা (কাজল মুখার্জি)। পিন্টু আর কাজল যদি সুদীপকে মাঝে নিয়ে খেলতে পারতো বোধহয় ভারতের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মঝমাঠ হতো।
    একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন - বাপ্পা তুই কি চেৎলার ? মানে রিতার ভাই ?
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ০৯:৫২389708
  • ফুটবল, বিশেষ করে ৬০-৭০এর কলকাতার ফুটবল শুনলে/দেখলে/বললে মাথার ঠিক থাকে না। বাপ্পা, তুই বলে ফেলেছি কিছু মনে করিস না রে।
  • Tim | 71.67.115.14 | ১৮ জুন ২০০৭ ১০:৩৩389709
  • সরি কল্লোলদা। মেওয়ালাল তবে কোন সময়ের? আমরা যখন থেকে খেলা দেখছি (৮০র শেষ) তখন তো উনি প্রাক্তন। তাই মনে হয়েছিল ৭০ এর।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ১১:৩১389711
  • মেওয়ালাল ৫০-এর।
  • Tim | 71.67.115.14 | ১৮ জুন ২০০৭ ১১:৪৩389712
  • থ্যংকু দাদা । উনি আমাদের মাঝে মাঝে শেখাতে আসতেন। দেখে কিচ্ছুটি বোঝার উপায় ছিলোনা কত বয়স।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৫:২০389713
  • .
  • Binary | 198.169.6.69 | ১৯ জুন ২০০৭ ২৩:০২389714
  • ১৯৭৪ এশিয়ান গেমসে, ভারত চীনের কাছে ৭-১ গোলে হারে, মনে রাখতে হবে তার আগের গেমসে, ভারত ব্রোঞ্জ পেয়েছিলো ..... আমার এক পাড়াতুতো বাঙ্গালদাদা (যার হাত ধরে, আমার ময়দানে ঘোরাফেরা) ..... সেই ম্যাচের পড়ে বললেন, 'শালারা সুধু ইষ্টবেঙ্গল টীমটাকে পাঠাতে পারতো, কিছু নাহোক, আরো তিন/চারটে গোল মারতে পারতো ... "

    (সন তারিখের হিসাবটা এখনে বোধহয় ঠিক আছে)

    পরেরটা সম্পূর্ন শোনা গল্প, কতোটা সত্যি জানিনা।
    সুভাষ ভৌমিক, ১৯৭৬ - ১৯৭৮ এ ইষ্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগান যায়। সেইসময় কোনো ইষ্টবেঙ্গল ম্যাচে ওর একটা দূরপাল্লার সট, ইষ্টবেঙ্গলের গোলের ক্রশবারে লেগে ফিরে আসে। কোনো এক মোহনবাগান কর্তা তাই দেখে পি.কে-কে (পি.কে তখন, মোহনবাগান কোচ), বলেছিলেন -- "ইষ্টবেঙ্গলের সুভাষ, ইচ্ছাকরে গোল দিলনা"। সুভাষ তখন ক্যারিয়ারের শেষ অর্ধে ...... তো পি.কে তার উত্তরে বলেছিলেন , "যে ইচ্ছা করে হাফ লাইন থেকে ক্রশবারে মারতে পারে, তাকে আমি এখনো, ভারতের সেরা স্ট্রাইকার বলবো"।

  • Bappa | 59.93.255.159 | ২০ জুন ২০০৭ ০১:৫৫389715
  • যা:, এতো রাত্তিরে পরপর দুদিন ভোর চারটেয় উঠে টেরেন ধরা, একবার কলকেতা থেকে একবার আসামশোল থেকে, .... বাধ্য হয়েই রাত্তিরে আহ্নিকের সময়টাকে বাড়িয়ে দিলুম। বলি শরীরটাকে তো রাখতে হবে....

    ঘোলা চোখে রাতে পড়তে এলুম, আর এরা সবাই মিলে সব গুলিয়ে দিলো।

    এখানকার ডালে-ঝোলে-অম্বলে তনুদির প্রশ্নই প্রথম, তাই দ্য পার্মেণ্ট উও টু মেনি মেন তনুদিকেই প্রথম উত্তর-

    না গো বালিকে, আন্তর্জাতিক স্তরে যাবার জন্য যে অনেক ঝড় সইতে হয়, মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলেকে চল তোরে দিয়ে আসি রাজনীতির সাগরের জলে করে আর সেটা সম্ভব হয় নি। তবে সেই দিদি, আজও যার নাম ভবানীপুর বেলতলা গার্ল্‌স্‌ হাই ইশকুলে সবাই অ্যাথ্‌লীট .... বলে জানে, তিনি আজ ষাট বছর অতিক্রান্ত হয়েও নেমে পড়েন ম্যারাথনে, বা হাইকোর্টের অ্যাথ্‌লেটিক মিটে। আর বাড়ির বাচ্চারা মেডেল আর কাপগুলো পরিষ্কার করে আলমারীর উপর, র‌্যাকের উপর সাজিয়ে রাখে।

    যত বয়সই হোক, তাঁর কাছে, হয়তো আমাদের বাড়ির সবার কাছেই, এখনও খেলাধুলোর উপর কিছুই নেই বলে মনে হয়।

    ঘাস-মাঠের কাছাকাছি থেকে গরু-মোষ হয়ে থাকা যে আকথায়-কুকথায়, মানে না বুঝে হিংস্র আক্রমণে ব্যস্ত কুটিলতায় ভরা নক্তচারী প্রাণী বলে পরিচিত হওয়ার থেকে অনেক ভালো, তা এ পাতা পড়ে আর কে না বুঝবে?

    হঠাৎ ম্যাচিওরিটিতে উন্নীত হওয়া তনয়া বালিকে!! নোংরা কুৎসিত মানসিকতায় ভরা কুৎসিত বাক্যের ঢাল হয়ে, "গুরুচণ্ডালিতে গুরুগিরি"-র মাস্তানীতে বিভ্রান্ত হয়ে, থতমত খেয়ে বাধ্যতামূলক ধুয়াধারিনীর মত সব বোঝার ভান করা উত্তর না দিয়ে একবার ভিক্টর হ্যুগো-র "দ্য ম্যান হু লাফ্‌স্‌" টা পড়ে নিও।

    ও গল্পের গিয়েলুম্‌ আর "হাঞ্চ ব্যাক্‌ অব্‌ নোৎর্‌ডাম" এর কোয়াসিমোদো-র চরিত্র দুটি আজও আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র দুটির অন্যতম।

    আর যদি সত্যি হৃদয় দিয়ে পড়তে পারো ও দুটি গল্পো, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে এ পাতা ও পাতাতে কত চরিত্র দেখার, আর বাস্তবে না পরিচয় হয়েই চারিত্রিক সব কিছু বুঝে ফেলার ধুয়াধারী - ইয়েস্‌ ম্যাডাম্‌ গোছের কন্‌ভিনিয়েন্ট্‌ মাথা নাড়া দিয়ে কুৎসিৎ চিঠির উত্তরে আমলাতান্ত্রিক ঘুষ-চিঠিগুলো বন্ধ করবে।

    অন্যথা, জানি না, হয়তো আরও বেশী ম্যাচিওরিটির আরও বড় তকমা লাগিয়ে আরও কিছু অনুরূপ কাজে লিপ্ত হবে। সে তোমার অভিরুচি।

    *****

    না কল্লোল, আমার দিদির নাম রীতা নয়। চেৎলায় আমার মামার বাড়িও বটে, তেমনই আমার বাবার বড়মাসীরও। ওই যে রাখী সঙ্ঘ, তার প্রতিষ্ঠাতাও তাঁরাই। আর তার লোগোটিও বানানো আমার বাবার হাতেই।

    অনেক পারিবারিক পরিচয় দিয়ে দিলাম, আর দেবার দরকার কি? আপনি বরং সাহানগরের অরুণ রায়চৌধুরী, বা বিশে জুলাই কমিটিতে হঠাৎ আসা দেবর্ষিদা ( যাঁদের নামের উল্লেখ রয়েছে অন্য থ্রেডে আপনার কোন কোন চিঠিতে ), তাঁদেরকে জিগায়েন। পেয়ে যাবেন সব পরিচয়।

    তবে না বলে পারলাম না বলে এই থ্রেডেই লিখলাম, ওই থ্রেডে লিখতে মন সরলো না। ওই দেবর্ষিদাকে ধরতে এসে পুলিশ যে বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান প্রবীরকে মেরে ফেলে, তার উল্লেখ অতি অবশ্যই হওয়া উচিত ছিলো আপনার চিঠিতে।

    *****

    ষাটের দশকের কথায়ও প্রথমে আসা উচিত ছিলো বলরামের নাম, যাঁর নাম আমিও লিখি নি। তাঁরই দৌলতে ইস্ট্‌বেঙ্গল ৬-১ গোলে হারিয়েছিলো মহামেডানকে, ১৯৬১তে।

    তাঁর নাম না করলে কোনো নরকেও আমার স্থান হবে না, তা আমি বিলক্ষণ বুঝি।

    আরেকজন.... মাথামোটা বলে পরিচিত, রেলের লাইট মোছামুছি করার কাজ করা নিতান্ত গরীব পরিবারের অসীম মৌলিকের মত স্কোরারের নাম না করলে কি হবে সে খুদায় জানেন। আরেকজন দুর্দান্ত স্কোরার মঙ্গল পুরকায়স্থর আগেই। হয়তো তবুও ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত সীতেশ দাসের নামটা করা যেতো। ১৯৬৭-র শীল্ড কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য অন্তত:।
  • kallol | 122.167.76.164 | ২০ জুন ২০০৭ ০২:০২389716
  • পিকে আর ভোম্বলদার একটা অদ্ভুত সম্পর্ক ছিলো। ভোম্বলদা এভিনিউ সম্মিলনীর ছেলে। রাসবিহারী-কেওড়াতলায় রাজনীতি করার সুবাদে এভিনিউ আমারও ক্লাব। খুব কাছ থেকে দেখেছি পিন্টুদা (পিন্টু সুর - বি এন আর-এ খেলতন ৬০এর দশকে), ভোম্বলদাকে। ভোম্বলদা পিনাকীদার (ডিউক-পিনাকী) বোনকে বিয়ে করে। ফলে সেখানেও খুব কাছ থেকে দেখেছি। যেদিন বুম্বা চলে গেলো, সেদিন ভোম্বলদা-বৌদির চেয়েও বেশী ভেঙ্গে পড়েছিলেন পিকে আর শ্যাম থাপা।
    সে যাকগে। যা বলছিলাম। ৮৪-তে খেলা পত্রিকার মজিদ বাসকার সংখ্যায়, পিকে লিখেছিলেন টপ ফর্মের সুভাষ ভৌমিক মজিদের চেয়ে বড় স্ট্রাইকার। যদিও আমি কোনোভবেই একমত নই।
  • kallol | 122.167.76.164 | ২০ জুন ২০০৭ ০২:২২389717
  • বাপ্পা - এই সুতোয় তোমার দেবর্ষি সংক্রান্ত অনুযোগের জবাব দেবো না। তহলে এই সুতোটা ঘেঁটে যাবে।
    কারাগার, বধ্যভূমি.....র, ৫ পাতার ২৭ থেকে ২৯ নম্বর পোস্ট পড়ে নিলে এই অনুযোগটা হয়তো করতে না।
    কলকাতা থেকে বহু দুরে আছি। আমার কেওড়াতলার কোন বন্ধুরই ইমেল নেই বোধহয়, বা থাকলেও আমি জানি না। আসলে, জানার দরকারও পড়ে নি। দেবর্ষির সাথেও বহুকাল যোগযোগ নেই, তাই তোমার পরিচয় অজানাই থাকলো। তাতে কিই বা আসে যায়।
    ভালো থেকো।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ জুন ২০০৭ ০৩:২৬389718
  • একটা মজার কথা হঠাৎ মনে হলো। সে সময়, আকাশবানী-র অন্যতম ধারাভাষ্যকার ছিলেন সুকুমার সমাজপতি। যদি আবার গন্ডগোল হয়, তাই সন তারিখে যাচ্ছি না, কিন্ত সুকুমার সমাজপতি ৬০ এর দশকে ইষ্টবেঙ্গলে খেলে গিয়েছেন। তো, উনি যখন ভাষ্য দিতেন, কোনো একটা মুভ, আগেথেকে আঁচ করতে চাইতেন ...... ফলে ওনার ভাষ্যতে প্রচুর 'না' থাকতো ...... যেমন .....

    --- প্রবীর (মজুমদার) বল ধরেছেন ....সামনে ফাঁকা জমি .... এগোবেন কি ... না .... হাবিব-কে পাস করলেন । হাবিব এবার কি করবেন .... গোলমুখে সেন্টার করবেন ? .... না না ..... সুভাষকে দিয়েছেন .....

    এইরকম চলতো
  • Binary | 198.169.6.69 | ২০ জুন ২০০৭ ০৩:৫৪389719
  • বালিগঞ্জ লেকে অ্যানডারসন ক্লাব (Calcutta Life saving Society) আর ক্যালকাটা স্পোর্স অ্যাসোসিয়েসন (এখানেই আমার সাঁতার শেখা) মাঝে একটা কাদা জবজবে মাঠ ছিল। সেখানে আগস্ট মাসে স্বাধিনতা দিবসের দিন ওয়ান-ডে পাড়াতুতো ফুটবল টুর্নামেন্ট হতো ..... আমরা ছিলাম পাড়ার টীমের হল্লা পার্টি ..... অনেকটা এদেশের Cheer Leaders দের মতো। একদিনে ২০ - ২৫ টা ম্যাচ হতো প্রতিটা ২০ মিনিট করে। জিতলে একটা কাপ পাওয়া যেতো। সেই টুর্নামেন্ট -এর আনন্দ ময়দানের থেকে কম ছিলোনা ।
  • Tirthankar | 59.93.246.223 | ২০ জুন ২০০৭ ০৭:০৫389720
  • ফ্ল্যাশব্যাক: ১৯৭৮

    ইস্টবেঙ্গল লীগের তৃতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল উয়াড়ির কাছে ০-১ গোলে হেরে। ইস্টবেঙ্গলের জালে বল পাঠিয়ে উত্তম চক্রবর্তী নামে এক অখ্যাত স্ট্রাইকের নাম কাগজের হেডলাইনে উঠে এল। পরের ম্যাচে পোর্ট ট্রাস্ট আবার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে ১-১ গোলে আটকে রাখল ইস্টবেঙ্গলকে। পোর্টের গোলদাতা ছিলেন অশোক চন্দ। ঐ দুটো ম্যাচেই লীগের ফয়সালা মোটামুটি হয়ে গেল। কারণ পি কে'র সুদক্ষ পরিচালনায় ও প্রসূন ব্যানার্জীর নেতৃত্বে মোহনবাগানের রথ সেবার দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। সুব্রত-প্রদীপকে ডিঙিয়ে গোল করা দু:সাধ্য হয়ে উঠছে, মাঝমাঠে গৌতম-প্রসূন জুটি তেলখাওয়া মেশিনের মত অপারেট করছে, সামনে দুই উইং দিয়ে ঝড় তুলছে মানস-বিদেশ (এবং সুভাষ ভৌমিক), গোলের ফোয়ারা ছোটাচ্ছে আকবর ও শ্যাম। স্মৃতি থেকে সেবারের দুই বড় টিমের প্রথম লাইন-আপ লিখে ফেলা যাক, ভুল হলে বিগ বি শুধরে দেবেন।

    ইস্টবেঙ্গল: ভাষ্কর গাঙ্গুলী; চিন্ময় চ্যাটার্জী, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, শ্যামল ঘোষ, সত্যজিৎ মিত্র; সমরেশ চৌধুরী, প্রশান্ত ব্যানার্জী; সুরজিৎ সেনগুপ্ত (অধিনায়ক), মিহির বসু, রঞ্জিত মুখার্জী, উলাগানাথন।

    মোহনবাগান: শিবাজী ব্যানার্জী; দিলীপ পালিত/কম্পটন দত্ত, সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রদীপ চৌধুরী, শ্যামল ব্যানার্জী; গৌতম সরকার, প্রসূন ব্যানার্জী (অধিনায়ক); সুভাষ ভৌমিক (মানস ভট্টাচার্য), আকবর, শ্যাম থাপা (হাবিব), বিদেশ বসু।

    সব টিমই তখন খেলত ৪-২-৪ ফর্মেশনে। দেখা যাচ্ছে, ধারে এবং ভারে বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। যে টিমে হাবিব-সুভাষকে মাঝে মাঝে প্রথম টিমে রাখা যেত না, তাদের শক্তি সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। ওদিকে ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকিং ফোর্সে সাতাত্তরের লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রঞ্জিত মুখার্জীর ফর্ম তখন পড়তির দিকে। কর্তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন বোম্বাই থেকে সাব্বির আলিকে নিয়ে এসে দলকে শক্তিশালী ক'রে তোলার।

  • Tirthankar | 59.93.246.223 | ২০ জুন ২০০৭ ০৭:৩৯389722
  • ইস্টবেঙ্গল যখন মোহনবাগানের মুখোমুখি হল, তখন দুই প্রধানের কারোরই আর বেশি ম্যাচ অবশিষ্ট নেই। এক পয়েন্টও না খোয়ানো মোহনবাগানকে রুখতে তিন পয়েন্ট খোয়ানো ইস্টবেঙ্গলের সেরা বাজি সদ্য বোম্বাই থেকে আগত সাব্বির আলি। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে তখন স্লোগান, "লীগ চাই না, মোহনবাগানকে হারাতে চাই!'

    তখন বাড়ীতে টিভি আসেনি। বাবার সাথে সেই ম্যাচের সম্প্রসারণ দেখতে গেছি এক আত্মীয়ের বাড়ীতে। ঘরভর্তি দর্শক, বেশিরভাগই কট্টর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। "ঘটিদের আজ শুইয়ে দেবো' গোছের আস্ফালন মাঝে মধ্যেই কানে আসছে। কলকাতা দূরদর্শনের স্পোর্টস স্পেশ্যালের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা দুর্দান্ত লাগত। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি দুই টিমের মাঠে নামার জন্য। সাদা-কালো পর্দার ঝিরিঝিরি ছবিতে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝেমধ্যেই আলাদা করে চিনতে হত শর্টসের রং দেখে - লাল হলুদ আর সবুজ মেরুন দুই-ই একেবারে লেপাপোঁছা।

    কিন্তু খেলোয়াড়েরা কই? কই সেই গগনভেদী চিৎকার যা খেলোয়াড়রা মাঠে পা রাখা সাথে সাথে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়? রেফারি সুধীন চ্যাটার্জী মাঠের মধ্যে অপেক্ষা করছেন দুই লাইন্সম্যানকে নিয়ে, কিন্তু খেলোয়াড়দের টিকির দেখা নেই। সকলে অধৈর্য হয়ে উঠছেন, ভাষ্যকারদের গলায় সংশয় ও বিভ্রান্তি। রেফারি ঘন ঘন বাঁশি বাজিয়ে ডাকছেন দুই দলের খেলোয়াড়দের। মিনিট পঁয়তাল্লিশ পরে অবস্থা যখন চরমে, রেফারি খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে উদ্যত তখন দেখা গেল একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে ঢুকছে দুই অধিনায়ক প্রসূন ও সুরজিৎ; পেছনে বাকি খেলোয়াড়েরা।

    ব্যাপার বোঝা গেল এরপর। "বড় ম্যাচে যে আগে মাঠে নামে সে হারে" এই সংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে দুই দলই আগে মাঠে নামতে অস্বীকার করে। সাতাত্তরের লীগে মোহনবাগান আগে মাঠে নেমে হেরেছিল; শিল্ড ফাইনালে একই ঘটনা ঘটে ইস্টবেঙ্গলের সাথে। বারংবার অনুরোধের পরও দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে এক পুলিশ অফিসার পি কে ব্যানার্জীকে অনুরোধ করেন টিম নামাতে। তাতে নাকি পি কে বজ্রগম্ভীর স্বরে বলে ওঠেন, "আমরা কেন বার বার সাফার করব! ওরাই আগে নামুক না!'

    অবশেষে কিছুটা শুভবুদ্ধির উদয় হয় প্রসূন ব্যানার্জীর মনে। সুরজিতের সাথে কথাবার্তা বলে নিজের নিজের টিমকে নিয়ে দুই অধিনায়ক একই সাথে মাঠে পা দেয় দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে। মাঠে তখন ছায়া লম্বা হ'তে শুরু করেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন