এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলকাতা ফুটবল - ৭০ দশক .....

    Binary
    অন্যান্য | ১৬ জুন ২০০৭ | ৬৫৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • LCM | 24.4.0.122 | ২০ জুন ২০০৭ ০৭:৫৯389723
  • তীর্থ, তোর কি মনে আছে, ১৯৭৭-এর লিগে ইষ্ট-মোহন ম্যাচ। সেটাতে তো মনোরঞ্জন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠল, ফ্লাইং হেড জাতীয় কি সব জিনিস করল। সেটা তো লিগেই, নাকি শিল্ড ফাইনাল?
    বাপ্পা লিখলেন যে সেটা লিগ নয়, কিন্তু আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে ওটা লিগ-এর ম্যাচ। অবশ্য গুলিয়ে ফেলতেও পারি।
  • Tirthankar | 59.93.246.223 | ২০ জুন ২০০৭ ০৮:১১389724
  • সত্তর মিনিটের ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল সেই স্বপ্নের গোল যা পরবর্তীকালে অনেকটা কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। রাইট উইং দিয়ে দুরন্তগতিতে ঢুকে গায়ে লেগে থাকা সত্যজিৎ মিত্রকে এক ঝটকায় সরিয়ে ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি বক্সে বল ভাসিয়ে দিলেন সুভাষ ভৌমিক। ম্যাচে টিমটিম ক'রে জ্বলতে থাকা হাবিবের মাথা ছুঁয়ে সেই বল নেমে আসার মুহূর্তে নিজেদের গোলের দিকে মুখ ক'রে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যাম থাপা শরীরটা বাতাসে ভাসিয়ে নিলেন সেই দুরন্ত বাইসাইকেল কিক, যা ভাস্করের নাগাল এড়িয়ে আমার মত শত শত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের রক্ত জমিয়ে বরফ ক'রে দিয়ে জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের জালে। আমাদের আশা, আমাদের ভরসা, বহু ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আসা সাব্বির আলিকে সারা ম্যাচে একটা বলও ছুঁতে দিল না সুব্রত-প্রদীপের ডিফেন্স।

    পরের দিন স্কুলে গিয়ে লাঞ্ছনা আর অপমানের একশেষ। অবিমৃষ্যকারীর মত "সাবির আলি এসেছে, এবার দেখে নেবো' গোছের দুই একটা আলটপকা মন্তব্য করে ফেলার খেসারত ভালোভাবেই দিতে হল। "সাব্বির আলি / কাঠবেড়ালি / খেলতে নেমেছে / সবুজ মেরুন জার্সি দেখে কেঁদে ফেলেছে' বা "সাব্বির আলি / মোহনবাগানের মাঠের মালি' গোছের মন্তব্যে মোহনবাগানের সমর্থকরা আমাদের জীবন দুর্বিষহ ক'রে তুলল। বাড়ী এসে ভ্যাঁ করে কেঁদে বাবাকে বললাম, "সাব্বির কেন খেলতে পারল না বাবা-আ-আ-আ-আ'। বাবা অনেক বুঝিয়ে বললেন, "আহা, ও তো সবে এসেছে, কলকাতার হালচাল বুঝতে কিছুটা সময় তো ওকে দিতে হবে। শিল্ডে ও মোহনবাগানকে একেবারে শুইয়ে দেবে, তখন তুমিও বন্ধুদের বলবে, "সেই সাবির আলির ভয়ে তোরা ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলি?' সেই রঙীন স্বপ্নে বুঁদ হয়ে রইলাম বেশ কিছুকাল - কবে আসবে সেই প্রতিশোধের দিন!
  • LCM | 24.4.0.122 | ২০ জুন ২০০৭ ০৮:১৯389725
  • একবার, মাত্র একবারই, এক বন্ধুর(কট্টর মোহনবাগানী) সাথে মোহনবাগান সদস্য গ্যালারিতে বসে মোহনবাগান-রাজস্থান ম্যাচ দেখতে গেছিলাম। মাঠে ঢুকতে ঢুকতে, বন্ধু শোনাল - ওরে এটা মোহনবাগান সদস্য গ্যালারি, অনেক ভাগ্য করলে তবে এখানে বসে খেলা দেখা যায়, রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঐতিহ্য, এসব সাবেকি ব্যাপার ... ....
    তুই এসবের মাহাত্ম্য বুঝবি কি করে... ... শুধু ঐতিহ্য নয় রে, আধুনিকতা দ্যাখ - দ্যাখ ওটাকে বলে ফ্লাড লাইট, এটা হল কংক্রিট/সিমেন্ট (বলা বাহুল্য ইষ্টবেঙ্গল মাঠে ফ্লাড লাইট ছিল না, আর কংক্রিট-এর গ্যালারিও ছিল না)
    হাফটাইমের ঠিক আগে মোহনবাগান গোল খেল - সে সময় রাজস্থান বড় টিম গুলোকে যা বেগ দিত! ভেতরের চাপা খুশিটাকে কোনোমতে লুকিয়ে রেখে, ঝালমুড়ি কিনে বিষন্ন বন্ধুকে দিলাম।
    হাফটাইমের পর শুরু হল, খেলা শেষের দিকে গড়ায় গোল শোধ আর হয় না, সদস্য গ্যালারিতে থেকে থেকে কাঁচা গালাগাল ধেয়ে যাচ্ছে খলোয়াড়দের দিকে। শেষ মূহুর্তের গোলে ম্যাচ ড্র হল।
    একটি কথা হয় নি ইতিমধ্যে ওর সাথে। বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বললাম, ফ্লাড লাইট গুলো জ্বালালো না তো আজকে। হতাশ হয়ে বলল, তোকে নিয়ে এসেই ভুল করেছি, পয়েন্ট খোয়াতে হল।
  • Tirthankar | 59.93.246.223 | ২০ জুন ২০০৭ ০৮:১৯389726
  • LCM, বাপ্পাদা ঠিকই বলেছেন - সাতাত্তরের লীগের ম্যাচটায় মনোরঞ্জন খেলেনি, স্টপারে খেলেছিলেন শ্যামল ঘোষ ও রমেন ভট্টাচার্য। এ ব্যাপারে আমি একেবারে নিশ্চিত। তুই খুব সম্ভবত: শিল্ড ফাইনালের কথা বলছিস, যেটায় শ্যামের গোলে মোহনবাগান জিতেছিল - কিন্তু আমি খুব নিশ্চিত নই। লীগের ম্যাচটা আমার মনে যেরকম গেঁথে আছে (ওটা আমার দেখা প্রথম লাইভ টেলিকাস্ট), শিল্ডের ম্যাচটার কথা সে তুলনায় প্রায় কিছুই মনে নেই। তবে রোভার্স-ডুরান্ডের খেলা তো তখন লাইভ দেখা যেত না, সুতরাং লীগ না হ'লে শিল্ড হওয়াই স্বাভাবিক।
  • Bappa | 59.93.240.51 | ২০ জুন ২০০৭ ২৩:৫০389727
  • কল্লোল

    না, এ পাতাটা ঘেঁটে আমিও দেবো না, তবু ...। আপনি একটু ক্ষুন্ন হয়েছেন মনে হলো। আসলে কি, প্রাণ খুলে কথা এককালে আমি খুব বলেছি, তাড়সেই বলতে পারেন। সেই ভাট বকাতে পরিবারের কথাও অজস্রবার এসে পড়েছে, প্রবাসের একাকী জীবনে। সেই বলার ফলশ্রুতি খুব একটা প্রীতিপ্রদ হয় নি বহু সময়ই। কিছুটা সেই কারণেই এবং অবশ্যই সামনের পাতায় বেশী না উল্লেখ করার জন্যই আমার এড়িয়ে যাওয়া। চিঠিটার শুরুর ঝাঁঝের রেশও কিছুটা রয়ে গিয়েছিলো পরের অংশে। তাই হয়তো আমার প্রতিক্রিয়া আপনার একটু তীব্র লেগেছে।

    সহজভাবে বলতে গেলেও বলতে হয় যে আপনার উল্লিখিত নাম আমার দিদির নয়। দেবর্ষিদা আমাদের স্কুলেই পড়তেন, আমার ছোড়দার সহপাঠী ছিলেন তিনি। বছর কয়েক আগে যোগাযোগও হয়েছিলো, লিলুয়ায় ওঁর পৈতৃক কোম্পানী ড্রাগন এঞ্জিনিয়ারিংএর কারখানায়।

    সাহানগরের অরুণ রায়চৌধুরীদের পুরো গ্রুপটার সাথে আজও যোগাযোগ হয়। বাবু এখন বাসাবদল করে আমাদেরই পাড়াতে থাকে। এ ছাড়া সাহানগরের, নেপাল ভট্টাচার্য্যি স্ট্রীটের, মহামায়া লেনের অনেকের সাথে মাঝে মধ্যেই দেখা হয়। জয়নুদ্দী মিস্ত্রি লেনের শচীদা (যাকে বিহার থেকে অ্যারেস্ট করেছিলো পুলিশ) আর ডাক্তারদা(অলোক) প্রভৃতি অনেকের সাথেও।

    যাদবপুরে সুজাত (ভদ্র) আমাদের সাথে টেবিল টেনিস খেলতো, ওর সাথে ইদানীং অনেকবারই দেখা হয়েছে, দেখা হয় আরও অনেকের সাথে যাঁদের নামগুলো অনিবার্য কারণেই করলাম না।

    এঁদের সবাইকে বা অনেককেই আপনি চেনেন বলেই মনে হয়েছিলো। তাই ও কথা।
  • Bappa | 59.93.240.51 | ২১ জুন ২০০৭ ০০:১৩389728
  • LCM

    সাতাত্তরের সেই খেলাটার অন্য একটা বিরাট মানে ছিলো আমাদের কাছে। ছিয়াত্তরের খেলার বা খেলার পিছনের অনেক কিছুই ভুলতে পারছিল না ইস্ট্‌বেঙ্গল সমর্থকদের সিংহভাগ। তার উপরে সুধীর গৌতম শ্যাম থাপার বিনা কারণে মোহনবাগানে চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারে নি সে বছর। তরুণ বসু আর অশোক ব্যানার্জিও মহামেডানে চলে গেলেন। প্রায় নতুন দল আর তার কোচ অমল দত্ত। উল্টো দিকে পিকে, যাঁর ছিয়াত্তরের খেলার আগে পরে ইডেনে অঙ্গভঙ্গী অনেকেই মনে রেখেছিলো। সে জ্বালা জুড়োনোর ম্যাচ হয়েছিলো সেটা, আর মিডিয়া সে বছর এ খেলাকে ঘিরে যা করেছিলো তা সে সময় হতো না। তাই ছবির মতই অনেক কিছু গেঁথে রয়েছে আজও।

    তবুও শুধু স্মৃতিতে ভর না করে বাক্সো-প্যাঁটরা ঘাঁটলাম আজ। ছোটোবেলায় অভ্যেস ছিলো খবরের কাগজ কেটে পুরোনো প্র্যাক্টিকাল খাতায় সেঁটে রাখা, তাতে করে যে তথ্য বেরোলো, সেটা এরকম -

    সেই খেলায় খেলেছিলেন -

    ইস্ট্‌বেঙ্গল - ভাস্কর গাঙ্গুলী, চিন্ময় চ্যাটার্জী, রমেন ভট্টাচার্য(বলাই চক্রবর্তী, ১৪ মিনিট), শ্যামল ঘোষ, শ্যামল ব্যানার্জী, রতন দত্ত, সমরেশ চৌধুরী, উলগানাথন, মিহির বসু, রঞ্জিত মুখার্জী (জহর দাস, ৫৭ মিনিট) আর সুরজিৎ সেনগুপ্ত।

    মোহনবাগান - বিশ্বজিৎ দাস, সুধীর কর্মকার, সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রদীপ চৌধুরী, দিলীপ পালিত, গৌতম সরকার, প্রসুন ব্যানার্জী, সুভাষ ভৌমিক ( শ্যাম থাপা, ২৫ মিনিট, কম্প্‌টন দত্ত, ৫০ মিনিট), আকবর, হাবিব আর বিদেশ বসু।

    রেফারী : দিলীপ সেন।
    (আনন্দবাজার/যুগান্তর/সত্যযুগ - ১০ই জুলাই, ১৯৭৭)
    ***

    ডক্টর তীর্থঙ্কর - তোমার স্মৃতির উপর কলম চালানোর জো নেই আমার। অনেক অনেকবার বধাই হো। বকেয়া আর সুদ সমেত।
  • LCM | 128.48.203.128 | ২১ জুন ২০০৭ ০৩:০৫389729
  • বাপ্পা, তীর্থ,
    সত্যি ৭৭-এ ভাঙ্গা টিম নিয়ে লিগে মোহনবাগান-কে হারানোর স্মৃতি বড়ই মধুর। সেই স্মৃতি রোমন্থন বড়ই মধুর।

    দেখলাম কল্লোল উল্লেখ করেছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত-র কথা। সুরজিৎ-এর জন্য একটা সফট কর্নার ছিল। ড্রিবলিং শিল্প - সুরজিৎ আর ৮০-র দশকে কৃশানু।
  • kallol | 122.167.9.160 | ২১ জুন ২০০৭ ০৭:৫৭389730
  • বাপ্পা, সামান্য ক্ষুন্ন হয়েছিলাম ঠিকই। আসলে আমার লেখাটায় আমি প্রবীরের শহীদ হবার ঘটনা, সেদিন আমি যেমন ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি সেটা বিস্তারিতই লিখেছি। পরে ডু-এর একটা কথা প্রসঙ্গে (কেন মৃণাল সেনকে ১লা মে'র মিছিলে ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি) বলতে গিয়ে দেবর্ষির ২০শে জুলাই গ্রেপ্তার হওয়ার কথা আসে। সেখানে প্রবীরের কথাটা অপ্রাসঙ্গীক, তাই উল্লেখ করিনি।
    অরুন, বাবু আর সুজাত আমার বহুকালের বন্ধু। শচী আর ডাক্তারের সাথে আমার তেমন পরিচয় ছিলো না।
    যাক গে।
    লসাগু, সুরজিত আমাদের ভগবানের মত ছিলো। ও যেবার মহমডানে মনা বাদে প্রায় সবাইকে নিয়ে গেলো, তখনও।
    পরে যখন গান বাধছি, তখন ওকে নিয়ে একটা গানও বেধেছিলাম। কোথাও গাওয়া হয়নি, তেমন সুযোগ আসে নি।
    গানটা যতটা মনে আছে লিখছি :
    সে ছিলো শিল্পী এক
    সবুজ ক্যানভাসে যখন সে আঁকতো ছবি,
    ক্যানভাস জুড়ে সমুদ্র গর্জন
    মাটি থেকে আকাশ অবধি।
    তুলির টানে তার খেলে যেতো বিদ্যুত
    ক্যানভাসে আলপনা,
    ভেঙ্গে যেতো নিমেষে বাধার প্রাচীর সব
    যতই কঠিন হোক না।
    সু----রো,
    সুরো সুরো সুরো সুরো
    সু----রো।
    আমাদের ভালোবাসা কাঁদা হাসা
    পাগলামীতে ভাসা গান আর সুরও।
    কিন্তু আজ, আজকালের/অশোক দাশগুপ্তের/সিপিএমএর সুরজিতে বড় কষ্ট হয়।
  • Suvajit | 58.165.147.89 | ২১ জুন ২০০৭ ১৭:৩২389731
  • সুরজিৎ সেনগুপ্তের বিরাট ভক্ত ছিলাম আমিও। তখন আমরা যে বাড়ীতে ভাড়া থাকতাম সেই বাড়ীওয়ালারা চার ভাই, সবার বাড়ী পাশাপাশী, আর সবাই কট্টর ঘটি। মোহনবাগানের পতাকা টাঙ্গানো থেকে, রান্নায় ভয়ংকর মিষ্টি দেওয়া থেকে শুরু করে, করেচি, এয়েচি বলা ঘটি। আর আমি ইস্টবেঙ্গল অন্ত প্রান, কত যে কান্নাকাটি করতে হয়েছে ওদের ব্যঙ্গবিদ্রুপ শুনে তার ইয়ত্তা নেই।
    যাই হোক, সুরজিতের মোহনবাগানে যাওয়াটা জাস্ট মেনে নিতে পারি নি। তখন স্কুল থেকে ফিরে নিয়মিত রেডিওতে খেলার কমেϾট্র শুনতাম। সালটা মনে করতে পারছি না, মোহনবাগানের সঙ্গে উয়াড়ির খেলা ছিলো। উয়াড়ি ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান দুটোরই বড় গাঁট ছিলো। আমার জামাইবাবু সে বছর উয়াড়িতে খেলছে, গোলকীপার। (ভাস্করদা, কম্পটনদা, মনাদা এদের চিনতাম ওর সুবাদে।) তো সুরজিতের অনেকগুলো মুভ ও সেদিন ঠেকিয়ে দিয়ে ছিলো। উয়াড়িও দুরদান্ত খেলেছিলো। মোহনবাগান হয় ড্র করছিলো, নয় হারছিলো। এমন সময় সুরজিৎ মাথা গরম করে উয়ারির ব্যাককে মারধোর করে, রেফারি কার্ডও দেখায় সম্ভবত:। তারপর মোহনবাগার গ্যালারি থেকে উয়ারির প্লেয়ারদের দিকে ধেয়ে আসে ইঁট বৃষ্টি। আমার জামাইবাবু আর দু একজন উয়াড়ির প্লেয়ার গোলপোস্টের জালের ভিতর ঢুকে আত্মরক্ষা করতে যায়। মোহনবাগানের প্লেয়াররা সেই গোলে ঢুকে ওদের পেটাতে শুরু করে। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ওরা প্রাণে বেঁচে ফেরে সেদিন।
    সেই থেকে সুরজিতের ওপর থেকে ভক্তি ছেদ্দা অনেকটাই চটকে গেছিলো।

    এই লিংকটা আশাকরি দেখেছেন সবাই, তবু এই টইয়ের প্রসঙ্গে দিয়ে রাখলাম। http://www.eastbengalfootballclub.com/index.asp?CookieTest=true

  • Blank | 65.82.130.9 | ২১ জুন ২০০৭ ২৩:৪০389733
  • সাইট টা খুললেই বলছে কুকি অন করতে। এর থেকে আমাদের মোহনবাগানের সাইট অনেক ভালো। সনেক সুন্দর।
  • Bappa | 59.93.240.129 | ২১ জুন ২০০৭ ২৩:৫৯389734
  • সুরজিৎ প্রথম বড় দল বলতে এসেছিলো মোহনবাগানে, ১৯৭৩ সালে, খিদিরপুর থেকে। সেসময় খিদিরপুরের কোচ ময়দানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোচ অচ্যুৎ ব্যানার্জী, যাঁর নাম আজও অনেকেই বাঘা সোমের পরেই উচ্চারণ করেন। যিনি একাধারে রেলের আর উয়াড়ীর খেলোয়াড়দের নিজের হাতে তৈরী করতেন। তাঁরই হাতে গড়া কাজল আর পি কে। রিষড়ার সুধীর কর্মকার যেমন তাঁরই আবিষ্কার এবং সমরেশ চৌধুরীও যেমন তাঁরই হাতে তৈরী, তেমনই গৌতম সরকার, স্বপন সেনগুপ্ত আর সুরজিৎ সেনগুপ্ত তৈরী অচ্যুৎ ব্যানার্জীর হাতে।

    ষাটের দশকের কথা এসেছে যখন তখন একটু পিছনে গিয়ে পঞ্চাশের একটা কথা এই প্রসঙ্গে এসেই পড়লো। বাঘা সোমের একমাত্র ছেলে অসীম সোম, যাঁর ডাক নাম ছিলো নাট্‌কি, পঞ্চান্ন ছাপ্পান্নর সবচেয়ে ট্যালেণ্টেড ফরোয়ার্ড ছিলেন বলে আজও অনেকেই বলেন। ছেলেদের ফুটবল কোচিং স্কুলের কাজল স্যারের সাথে এক দিন যাদবপুর কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একদম পাশে বসে আলোচনায় উনি বলছিলেন নাট্‌কির কথা। ওই দশকের শেষে ইউরোপ সফরে নাটকি নাকি এগারো খানা গোল করেছিলো, যেখানে চুনীর গোল ছিলো শূন্য। এহেন নাট্‌কি এক দুর্ঘটনায় অকালে মারা গেল। অসম্ভব শোক সামলে তার কয়েক দিন পর থেকেই নাকি বাঘা সোম আরও ডুবে গিয়েছিলেন ফুটবলার তৈরি করতে।

    নিজের প্রিয় দলের খেলা দেখার নেশায় বুঁদ আমরা যখন আকাশবানীর দিক থেকে ইস্ট্‌বেঙ্গল সদস্য গ্যালারীর প্রধান ফটকের দিকে হেঁটে গেছি দিনের পর দিন, তখন অধিকাংশই দেখি নি বা দেখেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে পেরিয়ে গেছি এই দুই বৃদ্ধর দুজনের মধ্যে যে কোন একজনকে, আজ এঁকে তো কাল ওঁকে প্রায়ই, যাঁদের দুজনেরই হাতে থাকতো রাংচিতার বেড়ার একটা ডাল, আর পুলিশ টেণ্টের পাশের মাঠের চারদিক দিয়ে দৌড়ে সারাক্ষণ তাঁরা তাড়া করতেন প্রিয় ছাত্রদের। "এটা বল রিসিভ হোলো....?", "জায়গা নে, জায়গা নে ....", "এই ..... বল হোল্ড করছিস কেন এতক্ষণ, লোকে তোর খেলা পরে দেখবে, আগে দেখবে টিমের জেতা..."। মাথায় একটা ফেট্টি বাঁধা বাঘা সোম অথবা বিরলকেশ অচ্যুৎদা... একই ভঙ্গিমা, একই ভাষা।
    (চলবে)
  • Bappa | 59.93.240.129 | ২২ জুন ২০০৭ ০০:৫৫389735
  • সেই অচ্যুৎদর হাতে তৈরী সুরজিৎ আর সুব্রত চ্যাটার্জী(গদাই) একসঙ্গে এলো মোহনবাগানে, ১৯৭৩-এ। গদাই এসেছিলো বি এন আর থেকে। আরও এলো বাহাত্তরের ময়দান কাঁপানো ইস্ট্‌বেঙ্গলের সেরা হাফ, ভেটারেন্স ফুটবল ক্লাবের বিচারে (তখনকার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) বাহাত্তরের বেস্ট প্লেয়ার মোহন সিং। ভবানীপুর নর্দার্ণ পার্ক বাইশ পল্লী ক্লাবের ক্রিকেট ফুটবল দুয়েরই যাদুকর মোহন সিং।

    মোহনবাগান তোড়ে শুরু করেছিলো সে বছর। স্টপারে নয়িমুদ্দীন, সামনে সুরজিৎ আর হাফে গদাই মোহন-এর বন্যায় সবাই ভেসে গিয়েছিলো। ওদিকে ইস্ট্‌বেঙ্গলে গেছে মোহনবাগানের বাতিল, বাহাত্তরে কোন এক ছোটো খেলায় ড্র করার পর থুতু খাওয়া সুভাষ ভৌমিক। ভারী কোমর, নড়তে চড়তে ফিঙে রাজা। আর আরেক বাতিল লেফ্‌ট্‌ ব্যাক প্রবীর মজুমদার। সুভাষ ভৌমিক বা ভোম্বল ছিলো রায়গঞ্জের ছেলে, খুব উদ্ধত, রাফ ভাষা আর বোম্বাইয়া দাদা গোছের। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের শেষে যেখানে কেওড়াতলার দিকে রাস্তা বেঁকে যাচ্ছে, তার একটু আগে একটা লণ্ড্রী দোকানের সামনে আড্ডা মারতো সুভাষ, সুকল্যান আর প্রভাস শুর(পিণ্টু শুর)। রাজস্থান থেকে সুভাষ সুকল্যান একসাথে উঠলেও ১৯৬৯-এ সুভাষ গিয়েছিলো ইস্ট্‌বেঙ্গলে আর সুকল্যান মোহনবাগানে। দুর্দান্ত লেফ্‌ট্‌ আউট্‌ পিণ্টু শুর সব সময়েই বি এন আর-এ। (এঁর উল্লেখ কল্লোলের চিঠিতেও আছে)।

    সেসময়ের মোহনবাগান ( বা চিরকালই ) অনেকটাই ইংল্যাণ্ড ফুটবল দলের মতো। রানীর দেশের দল, দুটো ড্রিব্‌ল্‌ কেউ করলো কি না করলো, সবাই সম্ভাব্য বিশ্বকাপ জয়ী বলে ফতোয়া জারী করে দিলো। উত্তর কলকেতার বেল ফুল জড়ানো হাত, ট্রান্স্‌পারেণ্ট আদ্দির পাঞ্জাবীতে ঢাকা শরীর, পাউডার ভর্তি ঘাড় আর ছোটো ছোটো বই হাতে রেস কোর্স্‌ আর তরল ও পারফিউমের মিশ্র সুবাসে ঢেকে সান্ধ্যকালীন বৌবাজার যাত্রার আভিজাত্য, বনেদীয়ানার হুঙ্কারে "আলুওয়ালা, পটলওয়ালা"-র ইস্ট্‌বেঙ্গলী, রিফিউজি বাঙালদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। সঙ্গে আছেন কট্টর মোহনবাগানী মতি নন্দী যিনি বছর বছর মোহনবাগানের অন্তর্জলী যাত্রায় আনন্দবাজারের পিছনের পাতা ছেড়ে চতুর্থ পৃষ্ঠায় রণজিৎ রায়ের রাজধানী রাজনীতিকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি আকর্ষণে লিখে চলেছেন কাঁদো কাঁদো অবিচুয়ারী। তিয়াত্তরের এরকম এক লেখাতে এক মোহনবাগান সমর্থকের হাওয়াই চটি পরে কাঁদতে কাঁদতে গ্যালারী দিয়ে নামার মর্মস্পর্শী শোকগাথা পড়ে অজস্র ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরও মনে হয়েছিলো, না ছেড়ে দে, এবার ওদের জিততে দে। আমারও।

    আই এফ এ তখন বিজোড় তারিখে বাঙালরা জেতে বলে জোড় তারিখে খেলা ফেললো।
    কিন্তু ওই ব্যাটা সুভাষ ভৌমিক, রাসকেল, চোর, ঘুষখোর। ওটাই যত বাদ সাধলো। ইডেনের সেই ম্যাচটাতে আমি, মেজদা আর সোনাদা(আমার দুই মামাতো দাদা) গিয়েছিলাম। খেলা কিছুক্ষণ গড়িয়েছে, মোহনবাগান থেকে আসা প্রবীর মজুমদার বল মারতে গিয়ে ফসকালো আর মোহন সিং গো-ও-ও-ও-ল। মোহনবাগান ১ - ইস্ট্‌বেঙ্গল ০। খুব ঘামতাম আর বুক ধড়াস ধড়াস করতো এই খেলাটায়। মেজদা ছিলো বিরক্তিকর ঠাণ্ডা। কিছুক্ষণ পরে বললো, " দাঁড়া না, একটু পরেই 'মাচা'-দের দিচ্ছি। সেই সুভাষ ভৌমিক আর হাবিব। ইস্ট্‌বেঙ্গল ২-১ গোলে জিতলো ম্যাচটা। সেদিন রাইট আউট সুরজিৎকে নড়তে দিলো না প্রথমে ভুল করে ফেলা প্রবীর মজুমদার। বাঙালরা এতো আওয়াজ দিয়েছিলো, যে বেচারা দু বছরের মধ্যেই বেঙ্গলের ইষ্ট-দেবের শ্রী চরণে।

    আর সেই বছরের বাকি টুকু?? ফিরতি লীগে আবার এক গোলে ইস্ট্‌বেঙ্গল জিতলো, গোল দিলো সেই ভোম্বল। বেচারা ইংল্যাণ্ডের রানীর দল আবার শীল্ড সেমিফাইনালেই পড়লো আলুওয়ালা-পটলওয়ালা-দের সামনে।

    এবার ৩-০। গোল দিলো সুভাষ ১টি আর হাবিব ২টি। অর্থাৎ সব্বোসাকুল্লে সে বছর আলুওয়ালারা ৬ গোল দিলো রানীর দলকে। যার তিনটি সুভাষিত আর তিনটি বড়ে মিঞা।

    সুরজিৎ ফানুস চুপ্‌স্‌।

    (আরও আছে, দেখি কবে হয়??!!)
  • Tim | 71.67.115.14 | ২২ জুন ২০০৭ ০১:৪২389736
  • আহা! অপূর্ব।
  • i | 202.128.112.253 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:৩১389737
  • নাট্‌কি সোমের অকালমৃত্যুর কথা পড়েছিলাম চুণী গোস্বামীর আত্মজীবনীতে। নাট্‌কি খুব ফিট্‌ফাট্‌ ছেলে ছিল-ইস্ত্রি করা জামা প্যান্ট সব সময়, এই বুঝি প্যান্টের ক্রিজ নষ্ট হ'ল, শার্ট কুঁচকালো...
    প্রচন্ড ভীড়ের ট্রেনে বোধ হয় এই কারণেই সেইদিন দরজায় ঝুলছিল সে শরীর প্রায় ট্রেনের বাইরে রেখে-
  • i | 202.128.112.253 | ২২ জুন ২০০৭ ০৫:৪০389738
  • বাপ্পাদার লেখায় সন্তোষ ট্রফিতে সুরজিতের যে গোলের উল্লেখ দেখলাম সেটা কোন সালের ? পঞ্জাবকে ৩-১ হারিয়েছিল বাংলা -মনে আছে-৩ নংটা সুরজিতের ছিল-গোল করে বার ধরে ঝুলে পড়েছিল আনন্দে-সেই ছবি পরদিন সব কাগজে...
    আর একটা খেলা-শিল্ড সেমি ফাইনাল-ইস্টবেঙ্গল ভার্সেস কোরিয়ার একটা ক্লাব-নাকি ভুল বললাম-সেটা বোধ হয় ৮০র শুরু-সেখানেও সুরজিত অনবদ্য গোল করে-গ্যালারিতে শেষ বিকেলে প্রচুর মশাল জ্বলেছিল-পেট ব্যথার ছুতোয় ইশকুল কামাই করে টিভিতে দেখেছিলাম ম্যাচটা-সুরজিৎ আমারও হিরো ছিল-
  • i | 202.128.112.253 | ২২ জুন ২০০৭ ০৮:৩২389739
  • সরি। কল্লোলদার একটা পোস্টে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালটার উল্লেখ আছে। ৭৮এর।সুরজিতের বার ধরে ঝোলার কথাও লিখেছেন। মিস করে গেছিলাম।

    উলগানাথন, দিলীপ পালিত, বিজয় দিকপতি -এঁদের নিয়ে লেখা হোক। সত্তরের ফুটবলের আলোচনায় এঁরা আসবেন না?
  • Tim | 71.67.115.14 | ২২ জুন ২০০৭ ০৯:১৩389740
  • সত্তরের দশকে দীলিপ পালিত কোথায় খেলতেন? পরের দিকে তো জানতাম রাজস্থানে খেলেছেন। তখন রাজস্থান বড় গাঁট ছিল দুই প্রধানের।
  • i | 202.128.112.253 | ২২ জুন ২০০৭ ০৯:৩৩389741
  • দিলীপ পালিত ৭৯তে মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন ছিলেন-দিব্যি মনে আছে।আর কিছু মনে নেই।কাছাকাছি সময় আর একজনের নাম মনে পড়ে-নিমাই গোস্বামী।
    এসব আমার লেখার কথা যখন ছোটো ছিলাম-এর সুতো খুলে-
  • i | 202.128.112.253 | ২২ জুন ২০০৭ ০৯:৪৪389742
  • সেই সময়ের আনন্দমেলার একটা হেঁয়ালি মনে পড়ে গেল-সীতার অপর নাম জান কী টাইপ-
    -শান্ত শিষ্ট কাজটি কাহার?
    -সুধীর কর্মকার।
  • kallol | 192.77.110.18 | ২২ জুন ২০০৭ ১০:৪৭389744
  • তখন উৎকর্ষের দিক থেকে সকলেই যে সমমানের ছিলো তা তো নয়। বিজয় দিকপতি বোধহয় আলোচনায় আসার মত খেলতেন না। দিলীপ পালিত-এর কথা বড় ম্যাচে সুরজিতের যম হিসাবে আসে, বেশ রাফ খেলতো(টাফ নয়। মনা, সুব্রত এরা টাফ ছিলো, রাফ ছিলো না)।
    উলগা অবশ্যই আলোচনায় আসে। ওর একটা ক্রশ লেগড রান ছিলো। দৌড়ানোর মধ্যে বলটা অদ্ভুত ভাবে শিল্ড করতো।
    তবে আমার মনে হয়েছে কাজল মুখার্জিকে নিয়ে খুব কম আলোচনা হয়েছে। যা অল্প হয়েছে সেটা মারা যাবার পর।
    সাংঘাতিক স্কিলড ড্রিবলার। স্কিলের দিক থেকে দেখলে আমার মনে হয় সুরজিতের চেয়ে বড়, প্রায় চুনীর সমমানের। টেম্পারামেন্টের জন্য স্বীকৃতি পেলো না। দোষ (সব ভালো ড্রিবলারের যে দোষ) বল হোল্ড করতো বেশী। হেডিংটা কমজোরী ছিলো। সুরজিত বা পিকে-চুনী-বলরাম সেই কারনেই বড়।
    ৮০-র দশকে এক কৃশানু। অবশ্য বিদেশীদের বাদ দিলে। নইলে মজিদ, চিমা, এমেকা বেশ ভালো। ব্যাঙ্গালোর আসার দিন চিমা দিল্লী থেকে মুম্বাই যাচ্ছিলো। এয়ার্পোর্টে দেখা হলো। আমি গিয়ে কথা বললাম। দেখলাম কৃশানু নিয়ে প্রায় অবসেসট।

  • kallol | 192.77.110.18 | ২২ জুন ২০০৭ ১০:৪৯389745
  • এ: - ওটা অবসেসড হবে।
  • LCM | 24.4.0.122 | ২২ জুন ২০০৭ ১০:৫৬389746
  • দিলীপ পালিত আর বিদেশ বসু-র (খুব সম্ভবত) মারপিট থেকেই সূত্রপাত হয় ১৯৮০ জুলাই-এ ইডেন সেই ভয়াবহ ঘটনা। ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচে ১৬ জন সমর্থকের মৃত্যু।

    চিমা-র বিশেষত্ব ছিল গোলার মতন শট। সূক্ষ্ম ড্রিবলিং-এর ব্যাপারটা কম। কে একজন (অমল দত্ত বোধহয়) একবার বলেছিলেন যে ওর মস্তিষ্কটা হাঁটুর মধ্যে।
  • Tim | 71.67.115.14 | ২২ জুন ২০০৭ ১১:১৫389747
  • আশির দশকের কথা বললে চিমা-কৃশানু-বিকাশ এদের কথা আসবে। সুতোটা ঘেঁটে যাবে এই ভয়ে এখন কিছু বলছিনা।
  • Arpan | 80.44.129.93 | ২২ জুন ২০০৭ ১৩:৩৩389748
  • সুদীপ?
  • nam ki habe? | 140.181.70.110 | ২২ জুন ২০০৭ ১৪:১৩389749
  • এ: কল্লোলদা, মজিদ আর চিমা, এক লাইনে এসে গেল?
  • kallol | 192.77.110.18 | ২২ জুন ২০০৭ ১৪:৩৮389750
  • না না মজিদ আর চিমার কোনো তুলনাই হয় না। ঐ, ভালো বিদেশী বলতে গিয়ে একসাথে আসে। নইলে কি যেন বলে চাঁদে আর .......এ।
    তবে এই সুতোয় আর ৮০ নয়। ৭০-ই চলুক।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ২২ জুন ২০০৭ ১৪:৪৩389751
  • কল্লোলদ আশির দশকের তারকাদের সব দুচ্ছাই করে দিলেন? কৃশানু-বিকাশ-সুদীপ-বিশ্বজিৎ তো ছিলেনই, বিদেশীদের মধ্যে চিমার খুব কাছাকাছি থাকবেন এমেকা আর জামশিদ নাসিরি। বাবু মানি আর শিশির ঘোষকেই বা ভুলি কী করে?

    যাই হোক, এরা হয়ত এই টইতে অপ্রাসঙ্গিক। তবু ..
  • Arijit | 128.240.233.197 | ২২ জুন ২০০৭ ১৯:১৭389752
  • উলাগানাথনের দৌড় আমি দেখেছি - টিভিতে। তখন তো বাড়িতে টিভি ছিলো না, আর লাইভ আর রেকর্ডিং-এর তফাতও বুঝতুম না। এক বন্ধুর বাড়িতে গেছিলুম, দেখি মোহনবাগান আর মহামেডানের খেলা হচ্ছে - ৭৯-৮০ এরকম কিছুই হবে হয়তো, মনে নেই। তো সেই ম্যাচে উলাগানাথনের বল নিয়ে দৌড় দেখি। মোহনবাগান ২-০ জিতেছিলো, আর প্রথম গোল হতে আমি "গো-ও-ও-ও-ল' করে চেঁচিয়ে বেকুব - ওই তখনই লাইভ আর রেকর্ডিং কারে কয় শিখলুম।
  • Bappa | 59.93.210.196 | ২৩ জুন ২০০৭ ০২:২২389754
  • খেয়েছে। ইন্দ্রানী বিজয় দিকপতির কথা বললো কেন? মোহনবাগান তখন ইষ্টোবেঙ্গলের কাছে এমনই ন্যাজেগোবরে যে প্রতি বছর নতুন কোন ব্যাককে সই করাচ্ছে। এদের মধ্যে মারকুটে বলে টিঁকেছিলো বিজয় দিকপতি। গেম সেন্স্‌ খুব কম। ওরই ভুল ফাউলে ৭৫-এর শীল্ড ফাইনালে ইষ্টোবেঙ্গল প্লাণ্টিক পায়। বিজয় দিকপতি, সুব্রত ভট্টাচার্য, নিমাই গোস্বামী আর কল্যান সাহা, এরাই ছিলো নিয়মিত ব্যাক তখন।

    সমস্যা ছিলো মোহনবাগান যাদের নিয়মিত চান্স দিতো না, ইষ্টোবেঙ্গলে এসে প্রথম বছরেই তারা ফুল ফোটাতো। যেমন ব্যাকে প্রবীর মজুমদার, কাজল ঢালি, হাফে অকিঞ্চিৎকর বপুর রতন দত্ত, আর ফরোয়ার্ডে একমেবাদ্বিতীয়ম সুভাষ ভৌমিক। ব্যাপার হচ্ছে, কিছুটা এলিমেণ্টারি কিছু থাকলেই ইষ্টোবেঙ্গল নিতো, যেটা দিকপতির ছিলো না। পরবর্তীতে কম্প্‌টনকেও আমার ওরকমই লাগতো, যে শৈলেন মান্নার বদান্যতায় খেলে গেলো চিরকাল। বিজয় দিকপতির কথা যদি সত্তর দশকে করতে হয়, তাহলে তার অনেক আগে আসবে সত্তরের গোড়ায় খেলে যাওয়া সুনীল ভট্টাচার্য, একাত্তরের ক্যাপ্টেন, আর শান্ত মিত্রর রাজনীতির শিকার না হলে নি:সন্দেহে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাইড ব্যাকের কথা। জে সি গুহর রিক্রুট কোন মানের হোত আমরা সবাই জানি। কালীঘাট থেকে এসেই নয়িমুদ্দীনের পাশে নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া(তখন খেলা হোত ৩-২-৫ ফর্মেশনে) থেকেই তা পরিষ্কারও। পরে অবশ্য প্রশান্ত সিন্‌হার সাথে ৪-২-৪ পদ্ধতিতে স্টপারেও খেলেন। দিকপতির আগে আসা উচিত সত্তরের দ্বিতীয়ার্দ্ধে আসা সত্যজিৎ মিত্র, শ্যামল ব্যানার্জি আর তার গায়ে গায়ে একটু পরে আসা অলোক মুখার্জী। অলোক অনেক নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলো হয়তো ওর টাফনেসের জন্য, তবে শ্যামলের ট্যাকলিং অনেকটাই ছিলো সুধীরের মতো পরিচ্ছন্ন। ঠিক যেমন ইষ্টোবেঙ্গলের চিন্ময় চ্যাটার্জীকে অনেকটাই শান্ত মিত্র প্যাটার্ণের লাগতো। এফেক্টিভ হয়তো, কিন্তু শ্যামলের মত পরিষ্কার নয়, একটু তাড়ু গোছের।

    এদের প্রত্যেকের নাম বিজয় দিকপতির আগে আসবে। ইষ্টোবেঙ্গলে ওরকম ব্যাক ছিলো সলিল দাস, আবার কার পজিশনে? না, সুধীরের জায়গায়, রাইট ব্যাকে। কোনদিন নামলেই গ্যালারি আওয়াজ দিতো সলি-ই-ই-ল দা-আ-আ-স। প্রথমে চড়ায় তারপরে গলা নামিয়ে। বেচারা খেলতেই পারলো না। সেও বোধহয় মোহনবাগানে গেলে নিয়েমিত খেলতে পারতো।

    সত্তর বললে যখন ষাট আলতো করে আসে, তখন স্বাভাবিক ভাবে আশি এসেই পড়ে। আর এখানকার নিয়মিত ভাটুরেদের কৈশোরের দিকে তাকালে গড় বয়সে আশির প্রাবল্য ধীরে ধীরে বেশী হবে। তাতে টই ঘাঁটলে অন্য কথা, কিন্তু মজিদ বাসকার-এর মত সম্পূর্ণ আর অসামান্য খেলোয়াড় তো আশিই দেখালো। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ বিদেশী, বা শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়।

    চিমা ওকোরি বা ওকেরিকে কেউই পছন্দ না করলে কি হবে, বড়-ছোট সব ম্যাচেই দুই দলের সমর্থককে সবচেয়ে বেশী চেঁচানোর সুযোগ তো চিমাই করে দিতো। এটা ভুলি কি করে যে ওর গোলের সংখ্যা ভাঙতে আজ ২০০৭ অবধি লেগে গেলো।

    কলকাতায় চিমার প্রথম বড় ম্যাচ মহামেডানের হয়ে ইষ্টোবেঙ্গলের বিরুদ্ধে, সল্ট লেকে। আঠারো গজ বক্সের বাঁ কোনায় বল পেয়ে অত ছোট্ট জায়গার মধ্যে থেকে বারের ডান দিকে ইষ্টোবেঙ্গলকে প্রথম গোল ওই করেছিলো। সে খেলায় কৃশানু দশ থেকে পনেরো মিনিটের ওই বিস্ফোরক ফুটবল না খেললে ইষ্টোবেঙ্গলের সল্ট লেকের প্রথম হার অনেক আগেই দেখতে হতো।

    এমেকা এজুগো বা ইউজিগোর শিল্প/স্কিল বেশী ছিলো, আধুনিক ফুটবলের জন্য অতটা মন মাতানো হতো না হয়তো। তার নাম ছোট্ট করে সেরে দিলেন সবাই। এজুগোও প্রথম মোহনবাগানের কাছে সল্ট লেকে হার অনেক আগে আটকায় খেলার শেষ মুহূর্তে সোমনাথ প্রামানিককে দিয়ে গোল শোধ করিয়ে। ও গোল করানো যারা দেখেছে, তারা ওর স্কিল সম্বন্ধে বলবেই।

    আশি বলতে এলো না হরজিন্দারের নাম। মজিদ বাদে একমাত্র খেলোয়াড় যার দৌলতে ইষ্টোবেঙ্গল ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতেছে। হরজিন্দারের মাখনের মত বাঁ পা, যার যাদু আটাত্তরের কোয়ার্টার ফাইনালে জেভিয়ার পায়াস/নাজিবের কেরালার বিরুদ্ধে দেখি মোহনবাগান মাঠে। শুন্যে মাটি থেকে চার ফুট উপরে বলকে বাঁ পা দিয়ে অত ভালো রিসিভ করতে আমি কাজল মুখার্জী আর সমরেশ ছাড়া কাউকে দেখি নি। রিসিভিংএই বিপক্ষ কেটে যেতো।

    সুদীপ চ্যাটার্জীর নাম এসেছে, আসবেই। তবে সে তো আমাদের দেশের। তবে ভিন রাজ্যের একজনের নাম আসতে পারতো, সে কর্ণাটকের দেবরাজ, যার দৌলতেও ইষ্টোবেঙ্গল মোহনবাগানকে ত্রাহি ত্রাহি করে ছেড়েছিলো কোন এক সালে।

    কিন্তু অবাক লাগলো এটা দেখে যে বিদেশী খেলোয়াড়ের কথায় আসলো না আমার দেখা আরেক মাতাল করা, পাগলের মত ফুটবল সেন্স-সম্পন্ন, দেখতেও অপূর্ব বাংলাদেশের মুন্নার কথা। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের মুন্না, কুমিল্লার দেলোয়ার হোসেন বলেছিলো আমি মাইয়া হইলে অরে বিয়া করত্যাম। কত লোকের নয়নের মণি যে ছিলো মুন্না। আর এরকম মানুষ ছিলো সে যে কৃশানু মারা যাওয়াতে শেষ দেখার জন্য দৌড়ে চলে এসেছিলো এদেশে। ভেঙে পড়েছিলো কান্নায়।

    একগাদা কথা জমে যাচ্ছে....., সব ওভারল্যাপ আর ওভারল্যাপ......

    * কল্লোলের সুরজিৎএর সাথে কাজলের তুলনা নিয়ে পরে কথা বলবো, বলবো দিলীপ পালিতের সাথে মনা-সুব্রতর তুলনায় মনা-সুব্রতকে রাফ না বলা নিয়েও...:-)) LCMকে জানাই যে ও ঘটনাটায় বিদেশ বসুই ছিল, দিলীপ পালিত, কৃষ্ণেন্দু-রা তৈরীই হয়েছিলো বল প্লেয়ারকে পা চালানোর ভান করে ভয় দেখিয়ে কুঁকড়ে দেওয়াতে। কিন্তু কোন খেলোয়াড়ের জীবন শেষ করেছিলো বলে শুনি নি। যেটা করতে গিয়েছিলো ইষ্টোবেঙ্গলের সুরজিৎ উয়াড়ীর অধিনায়ক বিদ্যুৎ কুণ্ডুকে, ঠিক হাঁটুর ওপরের জয়েণ্টে বীভৎস ভাবে পা চালিয়ে। (সেই খেলাটায় যেটায় ব্যারাকপুরের পোর্ট ব্লেয়ার লাইনের বাসিন্দা উত্তম চক্রবর্তী বা রতন চক্রবর্তীর গোলে ইষ্টোবেঙ্গলকে উয়াড়ী হারায়। যে খেলাটার উল্লেখ তীর্থও করেছে)। আর সেদিন করতে গিয়েছিলো বিদেশ। সুরজিৎ-এর এ ব্যাপারে, বা ছোট দলের সাথে অসভ্যতার অনেক নজির আছে, বড় দলের রাইট বা লেফ্‌ট্‌ ব্যাককে মারার সাহস ওর ছিলো না। সমর্থকেরা ওগুওলোয় চোখ বন্ধ করে রাখি। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার বিদেশ সেদিন বড় খেলাতেই উঠে দাঁড়িয়ে শুয়ে থাকা দিলীপ পালিতের হাঁটুতে সজোরে লাথি না মারলে কিছুই হোত না।

    না:, আজ যাই।
  • Arpan | 80.44.148.209 | ২৩ জুন ২০০৭ ০২:৫২389755
  • বাপ্পাদকে অনেক ধন্যযোগ। ৮৪'র (যদ্দূর মনে পড়ে) সেই কিংবদন্তী ম্যাচ - ইস্টবেঙ্গল বনাম মহামেডান - কৃশানুর জীবনের সেরা ম্যাচ। আমার প্রথম টিভিতে খেলা দেখা। সমবয়সী মোহনবাগানী বন্ধুরা গলা ফাটিয়ে মহামেডানকে সমর্থন করে গিয়েছিল। সব মনে পড়ে গেল ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবির মত।

    সাব্বির আলির কথা কেউ বলল না? এক তীর্থ একটু ছুঁয়ে গেল।

    পাঞ্জাব থেকে এসেছিল কুলজিৎ সিং। পিএসইবিতে খেলত আর প্রচুর গোল করত। কিন্তু কেন জানি না বেশিদিন এখানে টিকতে পারেনি।

    আর মনে আছে ইস্টবেঙ্গল বহুদিন সল্টলেকে অপরাজিত ছিল, বাপ্পাদা যেটা বলেছে। প্রথম মোহনবাগান জেতে বছর তিন বা চারেক পরে, উত্তম মাঝি (?) গোল করেছিল সেই ম্যাচে। মাঝের সময়টুকু মোবারা হাল ছেড়ে দিয়েছিল সল্টলেকে খেলা হবে শুনলেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন