এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ইউনিফায়েড থিওরি: একটি আপাত অসম্ভব মিলনান্ত কাহিনী

    Tim
    বইপত্তর | ০৫ আগস্ট ২০০৭ | ৪৬৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ১০:২৮390623
  • প্রথমেই বলে নেওয়া যাক, এই সুতো মূলত আধুনিক তাঙ্কিÄক পদার্থবিদ্যার সমস্যা এবং অধরা স্বপ্ন নিয়ে লেখা দুটি ভিন্ন বই সম্পর্কে বলার উদ্দেশ্যে শুরু করা হল।
    এর মধ্যে তুলনায় পুরোনো বইটি স্টিভেন ওয়েনবার্গের Dreams of a final theory, ১৯৯২ সালে প্রকাশিত। অন্যটি নবীন, মাত্রই গতবছরের, নাম The trouble with physics, লেখক লি স্মোলিন।
    ওয়েনবার্গ ১৯৭৯ সালে নোবেলপ্রাপক, এবং বিভিন্ন তঙ্কেÄর সমন্বয়ের যে সমস্যা এই মুহুর্তে তাঙ্কিÄক পদার্থবিজ্ঞানীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার সমাধানের একটা বড় ধাপ এনারই দেখানো।
    অন্যদিকে স্মোলিন সমকালীন তাঙ্কিÄক, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ এবং গভীর অন্তর্দৃষ্টির জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর বেশ নামডাক। স্মোলিন সম্পর্কে পেনরোজের বক্তব্য ""...Smolin's understanding of theoretical physics is unusually broad and deep,...."
    তো... এহেন বিজ্ঞানীদের বই নিয়ে কাটাকুটি করা আমার সাধ্যাতীত। সুতরাং , সেই স্পর্ধা না করে, দেখা যাক তাঁদের বক্তব্য আমরা কতটা বুঝি, আর বুঝলে, সমর্থন করি কিনা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ১১:১৯390645
  • প্রবীণ ওয়েনবার্গের লেখা বইটি আসলে অনেকটাই ফেলে আসা পথের টুকরো টুকরো ছবি, নিজের জানাশোনার জগৎকে প্রশ্ন করা, আর সেইসব প্রশ্নের উত্তরসন্ধানের কোলাজ। প্রথমে সেই কোলাজের কিছু নমুনা সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
    বিজ্ঞানীদের কাজই হল ক্রমাগত প্রশ্ন করা। তারপর উপযুক্ত উপায়ে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে তাকে মূল কাঠামোর সাথে জুড়ে দেওয়া। কারণ, বিজ্ঞান কতগুলো নির্জন দ্বীপের মত বিচ্ছিন্ন ঘটনার যোগফল নয়, তা আসলে এক অখন্ড সত্য। এটা যেন অনেকটা এক প্রাচীন সভ্যতার কোন শহরকে খননের মাধ্যমে পুনরাবিষ্কার। যেখানে বহুলোক দিবারাত্র খেটেখুটে মূল কাঠামোটা বুঝতে চেষ্টা করছে। এখন, ""খোঁড়াখুঁড়ি"" ঠিকপথে এগোলে সবার সাথে সবার আবিষ্কার মিলে যাবে, আর স্পষ্ট হবে সমগ্র ছবিটা। না মিললেই মুশকিল। তখন আবার নতুন চিন্তাপথের সন্ধান।
    তাই যেকোন আবিষ্কার সব সময় জন্ম দেয় নতুন প্রশ্নের। এইভাবে ব্যাখ্যা গভীর থেকে গভীরতর হয়, ধীরে ধীরে আমরা সত্যের আরো কাছে পৌঁছাতে পারি।
    উদাহরণ স্বরূপ, ধরা যাক, এক টুকরো চক দেখলাম। প্রথম প্রশ্ন, চক সাদা কেন? সেই প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে পড়বে আলোর প্রতিফলন আর শোষণের (absorption) নিয়ম কানুন, বিভিন্ন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের গল্প। তারপর যেই প্রশ্ন উঠবে, কেন এক বা একাধিক বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পদার্থ দ্বারা তীব্রভাবে শোষিত হয়, তখনই ডাক পড়বে আরো দুজন বিজ্ঞানীর। নিজের নিজের তঙ্কÄ নিয়ে হাজির হবেন আইনস্টাইন আর নিলস বোর, বুঝিয়ে দেবেন ""ফোটন"" কি, অণু-পরমাণুর আভ্যন্তরীন গঠন, আর কিভাবে সেই গঠনের তারতম্যের ওপর নির্ভর করে পদার্থের শোষণক্ষমতা পাল্টে যায়। উঠে আসবে একে একে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশান এর কথা, পরমাণুর ভেতরের ইলেক্ট্রন বিন্যাসের ছবি আঁকা হবে, জানা যাবে সেইসব কণারা নির্দিষ্ট শক্তিস্তর ছাড়া বাঁচতেই পারেনা। এবং প্রশ্ন উঠবে ""কেন পারেনা?""।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ১২:০৪390656
  • এই শেষ ""কেন""'র উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১৯২০ মাঝামাঝি পর্যন্ত, যদ্দিন না আবির্ভূত হয় কোয়ান্টাম মেকানিক্স। তখন বোঝা যাবে পদার্থের আভ্যন্তরীন কণাগুলির বিন্যাস আসলে কোয়ান্টাম ওয়েভ ফাংশানের ছকে বাঁধা। শব্দতরঙ্গের যেরকম নির্দিষ্ট কিছু মোড থাকে, সেইসাথে থাকে নির্দিষ্ট কিছু তরঙ্গদৈর্ঘ্য, পরমাণুর মধ্যেকার কণাগুলিও ঠিক সেরকম নির্দিষ্ট কিছু ""কোয়ান্টাম স্টেট্‌স"" এ থাকতে পারে।
    এই প্রসঙ্গেই জানা গেছে আলোর স্বরূপ। দেখা গেছে, আলো-ও পদার্থের মতই কোয়ান্টাইজ্‌ড। এইসবের অনেক আগেই অবশ্য আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি থিওরি (১৯০৫, ১৯১৫) এসে গেছে। এবার দেখা দিল নতুন সমস্যা। কোয়ান্টাম আর রিলেটিভিটি থিওরিকে মেলাতে বিজ্ঞানীরা হিমসিম। তখন ভাবা হল একটা স্ট্যান্ডার্ড মডেল, যা একই চারটে ফোর্স আর সমস্ত মূল কণাদের একসূত্রে গাঁথবে। শুরু হল নতুন উদ্যমে পথ চলা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ২৩:৩৬390667
  • ইউনিফায়েড থিওরি কি ও কেন, তা আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ওয়েনবার্গ এবং স্মোলিনের বইদুটো ১৪ বছরের ব্যবধানে লিখিত। প্রথম বইতে যে স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বইতে রয়েছে সেই স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা আর পোস্টমর্টেম।
    ওয়েনবার্গের আশা ছিল, সমস্ত প্রাকৃতিক ঘটনাবলী একটিমাত্র তঙ্কেÄর আওতায় এনে ফেলা যাবে। সেই সুবাদেই দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রিং থিওরিস্টরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বাস্তবে যা হয়নি। আর এই জায়গাটা ধরেই টান দিয়েছেন স্মোলিন। তাঁর অভিযোগ, বিগত বছরগুলির গবেষণা আমাদের নতুন নতুন আইডিয়া দিয়েছে, অসামান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা প্রাত্যহিক জীবনকে মসৃণতর করেছি, কিন্তু সেইসব বিচ্ছিন্ন জ্ঞানকে জুড়ে জুড়ে অখন্ড সত্যের কাছে পৌঁছতে পারিনি, laws of nature পঁচিশ বছর আগেও যেখানে ছিল, এখনও সেখানেই থেকে গেছে প্রায়। অথচ ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে তার আগে প্রায় ২০০ বছর ধরে ফিজিক্স লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়েছে। কেন এমন হল? এই উত্তর খোঁজার চেষ্টায় লেখা হয়েছে স্মোলিনের The trouble with physics
  • tan | 131.95.121.132 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৫:১৩390678
  • চমৎকার হচ্ছে টিম,এগিয়ে চলো।খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৬:০৭390689
  • স্মোলিনের কথাটা উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় মোটেই। ওয়েনবার্গ যে সমস্যার কথা বলেছিলেন সেই '৯২ তে, সেটাই '০৬এ স্মোলিন আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। স্মোলিনের মতে, পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এ এক সন্ধিক্ষণ। এরকম সন্ধিক্ষণ আরো এসেছে, আর প্রত্যেকবার কেউ না কেউ এগিয়ে এসেছেন তাঁদের যুগান্তকারী আবিষ্কার নিয়ে। অনেকেই বলবেন, এরকম সময় যদি আগে এসে থাকে তাহলে এটা নিয়ে এত হইচই করার কি আছে? তাঁদের জন্যে স্মোলিনের উত্তর, আধুনিক গবেষণাকেন্দ্রগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন। প্রচুর সুযোগ সুবিধে, উন্নত প্রযুক্তি আর অসাধারণ মেধাবী কিছু মানুষ মিলে সেখানে কাজ করছেন। কোনকিছুর অভাব নেই। তবু সাফল্য আসছে না। কেন? রাস্তাটাই ভুল নয়ত? তাঙ্কিÄক জটিলতার ফাঁসে আটকে বিজ্ঞান থেমে যাচ্ছে না তো?
    স্মোলিনের এইসব প্রশ্ন মনে করিয়ে দেয় ওয়েনবার্গের দেওয়া সেই চকের উদাহরণ। যেখানে কতগুলি আপাত সরল প্রশ্নের মাধ্যমে জানাশোনার পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
    সমস্ত তঙ্কেÄর একীকরণের যে স্বপ্ন ওয়েনবার্গ দেখেছিলেন, সেখানে রিলেটিভিটির সাধারণ তঙ্কÄ আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের যে বিরোধ ছিল, স্মোলিনের মতে, সেটাই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম বড় সমস্যা। এরকম মোট পাঁচটি সমস্যার সমাধানে সক্ষম হলে তবেই সেই থিওরি সর্বজনগ্রাহ্য হওয়া উচিত, নচেৎ নয়। তা সে যতই সে থিওরির স্ফুলিঙ্গ আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিক। বলা বাহুল্য, স্মোলিনের ইঙ্গিত স্ট্রিং থিওরির দিকে। এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, স্মোলিনকথিত সমস্যাগুলো কি কি।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৬:২৭390700
  • স্মোলিনের সমস্যাতালিকা :

    ১) কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটির সমস্যা:- একটা থিওরিকে তখনই সম্পূর্ণ বলা যাবে, যখন তা কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং সাধারণ আপেক্ষিকতাকে একসুতোয় গাঁথতে পারবে।
    আবার প্রশ্ন উঠবে, কেন?
    প্রথমত, প্রকৃতি এক অখন্ড সঙ্কÄ¡। এই মহাবিশ্বের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে যে যোগসূত্র আছে তা আমরা প্রতিপলে অনুভব করি। সেক্ষেত্রে এরকমটা ভাবা বোকামি হবে যে দুটো পরষ্পর নিরপেক্ষ থিওরি আলাদা আলাদা করে দুটো ভিন্ন শ্রেণীর ঘটনা ব্যাখ্যা করবে।
    দ্বিতীয়ত, আলোচ্য দুটি তঙ্কেÄই কিছু না কিছু অসংগতি আছে। অতীতে দেখা গেছে, যখনই একাধিক আপাত নিখুঁত তঙ্কেÄর বিরোধ ঘটেছে, তখনই তার মীমাংসা হয়েছে দুটোর তাদের মধ্যেকার যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা থেকে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এবারেও সেদিক থেকেই সমাধান আসার সম্ভাবনা প্রবল।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৭:৩০390711
  • ২) নতুন তঙ্কÄ একইসঙ্গে কোয়ান্টাম থিওরির একান্তই নিজস্ব কিছু সমস্যার সমাধান করবে, হয় থিওরির ব্যাখ্যার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করে, অথবা প্রয়োজনীয় কিছু রদবদল করে।
    কি এই ""একান্তই নিজস্ব "" সমস্যা?
    কোয়ান্টাম থিওরি সৃষ্টির গোড়ার দিনগুলো থেকেই একটা খটকা তাঙ্কিÄকদের বিব্রত করে। তা হল, পরীক্ষা করে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাই কি বাস্তব? নাকি পরীক্ষা করার সময় আমরা বাস্তবকেই পাল্টে ফেলছি অজান্তে? কোয়ান্টাম থিওরিতে এখনো পর্যন্ত পরীক্ষককে পরীক্ষাধীন সিস্টেমের ভেতরে ধরা হয়না। সেখানে সর্বদাই দুটো আলাদা বিভাজন, একটা পর্যবেক্ষকের, অন্যটায় থাকছে পরীক্ষাধীন বস্তু ও প্রয়োজনীয় সমস্ত যন্ত্রপাতিসমূহ। ফলে অজান্তেই পরীক্ষাটা হয়ে উঠছে দুটো পৃথক সিস্টেমের ইন্টার‌্যাকশানের গল্প। এর ফলে যে ফ্যাক্টস উঠে আসছে, পরীক্ষকের এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির অনুপস্থিতিতে তা পাল্টে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
    স্মোলিনের আক্ষেপ, খুব বেশি বিজ্ঞানী এই ফিল্ডে কাজ করছেন না, যার দুটো মানে হয়। এক, সমস্যাটা তেমন বড় নয়। দুই, সমস্যাটার সমাধান হতে বেশি বাকি নেই। দুটো-ই ভয়ানক মিথ্যে। আসলে সমস্যাটা এতই গভীর এবং কঠিন যে খুব আস্তে আস্তে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে। হয়ত আরো বেশি বিজ্ঞানী এটা নিয়ে কাজ করলে আরো দ্রুত কাজ এগোত। অভিযোগ, স্ট্রিং থিওরির তথাকথিত ""গ্ল্যামার"" অনেককেই ভুলপথে চালিত করেছে। প্রচুর সময়, মেধা এবং অর্থের অপচয় হলেও কাজের কাজ এগোয়নি তেমন।

    স্মোলিনের এই বক্তব্যে স্ট্রিং থিওরিস্টরা যে খুশি হননি সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে সমর্থন করি বা না করি, কথাটা ভেবে দেখার।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৮:০০390722
  • ৩) এটা নির্ধারিত করা হোক, যে, সমস্ত কণা এবং ফোর্সদের একসাথে করে আদৌ কোন তঙ্কÄ সম্ভব কিনা। এই সমস্যা ""একীকরণের সমস্যা"" নামে পরিচিত।
    এই সমস্যার সাথে জড়িয়ে আছে আসলে অন্য একটা প্রশ্ন। যথার্থ ইউনিফিকেশান বলতে কি বোঝায়? প্রাথমিকভাবে সবার মনে হবে একটা সার্বজনীন সুত্রে সবাইকে বেঁধে ফেলাই ইউনিফিকেশান। কিন্তু এটা অন্যভাবেও কি হয় না? আইনস্টাইন সমস্ত থিওরিদের দুটো আলাদা ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন, থিওরিজ অফ প্রিন্সিপল্‌স এবং কনস্ট্রাকটিভ থিওরিজ। প্রথম ভাগের থিওরিরা আমাদের প্রাকৃতিক ঘটনাবলী বুঝতে সাহায্য করে, যেমন কিনা GTR বা কোয়ান্টাম থিওরি। এখন, যেহেতু পৃথিবীর সমস্ত কিছুই একে অন্যের সাথে ইন্টার‌্যাক্ট করছে, তাই এই দুই থিওরির আলাদা হয়ে থাকা অবাস্তব। এবং সেক্ষেত্রে ইউনিফিকেশান অনিবার্য।
    অন্যদিকে, কনস্ট্রাকটিভ থিওরিরা কিন্তু একে অন্যের সাথে গা ঘষাঘষি না করেও টিকে থাকতে পারে। যেমন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক থিওরি মেনে চললে সাব-অ্যাটমিক পার্টিকলদের অস্তিত্ব আছে কি নেই, তা না জানলেও চলে, ডার্ক ম্যাটার থাকলে বা না থাকলেও EM থিওরিতে কোন বদল আসবে না, অর্থাৎ এইসব তঙ্কÄগুলো একে আরেকজনের সাথে ইন্টার‌্যাক্টই করেনা। তাই ইউনিফিকেশান ছাড়াই দিব্যি টিকে থাকে।
    এতকিছু বলার পরেও স্মোলিনের আশা, হয়ত সত্যি-ই সবাইকে একসাথে বেঁধে ফেলা সম্ভব হবে। তবে অন্তত এই মুহুর্তে আমাদের হাতে তেমন প্রমাণ নেই, যে এটা অবশ্যম্ভাবী।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১০:৩৮390624
  • ৪) পার্টিকল ফিজিক্সে যে সমস্ত ধ্রুবক ব্যবহার কতা হয়, সেগুলোর মান নির্বাচনের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করতে হবে নতুন থিওরিকে।
    গত একশো বছরে পার্টিকল ফিজিক্সে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন আমরা জানি মাত্র দুরকম কণা দিয়েই সমস্ত তৈরী, কোয়ার্ক এবং লেপ্টন। কোয়ার্ক দিয়ে তৈরী আমাদের চেনাজানা প্রোটন, নিউট্রন এবং এরকম আরো কিছু সমগোত্রীয় কণা। এইসব কোয়ার্কজাত কণাদের বাদ দিলে যারা পড়ে থাকে, তারা লেপ্টন দিয়ে তৈরী। যেমন ইলেকট্রন বা নিউট্রিনো। মোট ৬ রকম কোয়ার্ক আর ৬ রকম লেপ্টন নিয়ে আমাদের ভুবন, আর তাদের পারষ্পরিক ইন্টার‌্যাকশান চলে মোট চাররকমের বল বা ফোর্স দিয়ে, অভিকর্ষ, তড়িৎচুম্বকীয়, স্ট্রং এবং উইক নিউক্লিয়ার ফোর্স। অর্থাৎ, এই বারোটা কণা আর চারটে বলকে এক ছাতার তলায় আনাই ইউনিফিকেশান থিওরির লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে '৭০ সাল নাগাদ তৈরী হল standard model of elementary-particle physics। ভাবা হচ্ছিল, আর কয়েক বছরেই সমস্ত সমস্যার সমধান হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। কারন, স্ট্যান্ডার্ড মডেলেও একটা ত্রুটি ছিল। এই মডেলে কনস্ট্যান্ট বা ধ্রুবকসমূহের মান কি হবে তা কোথাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া নেই, সবই পরীক্ষালব্ধ মান। এখন, এই ধ্রুবকের মানের ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন কোয়ার্ক বা লেপ্টনের ভরের হিসেব করা হয়, ফোর্স ক্যালকুলেশান চলে। সুতরাং, এইরকম প্রায় ২০ টি ধ্রুবক, যাদের সঠিক বা ভুল মানের সাথে পদার্থের নিজস্ব ভৌত ধর্ম জড়িত, তাদের সম্পর্কে নতুন থিওরিতে যেন স্পষ্ট নির্দেশ থাকে।
  • Blank | 74.130.207.245 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১০:৫১390635
  • কোয়ার্ক আর লেপ্টন কি অবিভাজ্য? সেক্ষেত্রে তাদের এই '৬ রকম' টা আসে কি করে ?
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১১:১৫390637
  • ৫) ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি, এই দুটো জিনিস খায় না মাথায় মাখে, নতুন থিওরি সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেবে। যদি এই দুইয়ের অস্তিত্ব নতুন থিওরি অস্বীকার করে, তাহলে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন ও কিভাবে সৃষ্টিতঙ্কেÄর ক্যালকুলেশানে মহাকর্ষের পরিবর্তনটার হিসেব দেওয়া সম্ভব। কারন, ঐ হিসেব-নিকেশে ডার্ক এনার্জির একটা ভূমিকা আছে।
    পার্টিকল ফিজিক্সের মতই গত একশো বছরে অ্যাস্ট্রোনমিও অনেক এগিয়েছে। বেশ কিছু গ্যালাক্সি নিয়ে পরীক্ষা করে মহাকাশবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কোন একটি গ্যালাক্সির মোট ভরের প্রত্যক্ষ হিসেব আর অঙ্ক করে পাওয়া ফলের আকাশ পাতাল তফাৎ হচ্ছে। অর্থাৎ থিওরিকে মেলানোর জন্য সব সময়েই বিরাট একটা পরিমাণ ধরে নিতে হচ্ছে (প্রায় ১০: ১ অনুপাতে)। সাধারণত যেকোন পদার্থই কিছু না কিছু আলো দেয়, সে নিজের আলো-ই হোক, বা অন্যের থেকে পাওয়া প্রতিফলিতই হোক। কিন্তু এই বিরাট পরিমাণ পদার্থকে কিছুতেই হিসেবে আনা যাচ্ছে না বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে এরা আলো তৈরীও করে না, প্রতিফলিত-ও করেনা। সেই সূত্রেই এদের নাম হয়েছে ডার্ক ম্যাটার।
    এখানেই শেষ নয়, হিসেবের স্কেল যতই বাড়তে থাকে, ততই গরমিলের পরিমাণ-ও বাড়তে থাকে। তাই বিলিয়ন আলোকবর্ষের দূরত্ব নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা গেল ডার্ক ম্যাটারের ""গোঁজামিল"" এও কাজ হচ্ছে না। তখন আমদানী হল ডার্ক এনার্জি কন্সেপ্টের। সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হল মহাবিশ্বে প্রচুর পরিমাণ এনার্জির লুকিয়ে থাকার কথা, নাম দেওয়া হল ডার্ক এনার্জি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এইসব গোঁজামিল কেনই বা দেওয়া হল? দেওয়া হল কারন নাহলে জেনেরাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি-কেই মিথ্যে হতে হয়, এবং ধরে নিতে হয় মহাবিশ্ব সংকোচনশীল। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, আজকে যা গোঁজামিল বলে মনে হচ্ছে, কাল তার-ই নির্দিষ্ট হিসেব পাওয়া যাবে। ইউনিফিকেশানের এটাও একটা বড় লক্ষ্য।
    স্মোলিনের দেওয়া প্রেসক্রিপশান মেনে নিলে, এই পাঁচটা প্রশ্নের উত্তরের ওপরেই নির্ভর করছে তাঙ্কিÄক পদার্থবিজ্ঞানের ভবিষ্যৎ।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১১:৩১390638
  • কোয়ার্ক এবং লেপ্টন অবিভাজ্য। এই ৬ রকম আসলে তিন জোড়া করে কণাকে রেফার করে।
    যেমন, আপ-ডাউন, চার্ম-স্ট্রেঞ্জ, টপ-বটম। এই নামগুলো মূলত মনে রাখার সুবিধের জন্যে দেওয়া, এর সাথে অন্য কোন তাৎপর্য্য জড়িয়ে নেই। আর একই কণার এই তারতম্যের কারন এক কথায় তাদের ভর ও স্পিনের রকমফের। এই তিনজোড়া কোয়ার্কের মধ্যে আপ-চার্ম-টপ কে একসাথে কখনো কখনো ""up-type"" বলে। অন্য গ্রুপটাকে বলে down-type
  • Blank | 74.130.207.245 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১১:৩৪390639
  • ভরের রকম ফের টা মাথার ওপর দিয়ে গেলো। স্পিন পাল্টানো না হয় হলো, ভর আলাদা হয় কেমন করে? তারা যদি অবি ভাজ্য ও এক রকমের হয়।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১১:৩৬390640
  • ওহ, বলতে ভুলে গেলাম, ঐ নামগুলো শুধুই কোয়ার্কের জন্যে। লেপ্টনদের নামগুলো হল, ইলেকট্রন , মিউঅন , টাও-লেপ্টন এবং তাদের নিউট্রিনোসমূহ।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১১:৪৭390641
  • এক কথায় ব্যাপারটা বলা ঠিক হয়নি। :)
    কারন সাব-অ্যাটমিক পার্টিকলের রকমফের ঠিক করার জন্যে বেশ কয়েকটা কোয়ান্টাম নাম্বার আছে। সেগুলোর পরিবর্তনের ভিত্তিতেই এই বিভিন্ন রকমফের, এই বিভিন্ন রকমকে বলে "" ফ্লেভার্স""। চার্জ, স্পিন ছাড়াও আরো উদ্ভট কিছু কোয়ান্টাম নাম্বার আছে, যেমন লেপ্টন নাম্বার, বেরিয়ন নাম্বার ইত্যাদি । এরকম মোট নটা সংখ্যার তারতম্য দিয়ে একটা সাব-অ্যাটমিক কণাকে আলাদা করা হয় অন্যদের থেকে।
  • tan | 131.95.219.197 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১৯:৫২390642
  • টিম,
    দুর্দান্ত হচ্ছে। চালিয়ে যাও।

  • tan | 131.95.219.197 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ১৯:৫৭390643
  • বলবাহী বোসনগুলোকে ভুলো না টিম---গ্লুওন,ডাব্লুপ্লাস মাইনাস,জেডনট(W+,W-,Z0),গ্রাভিটন,ফোটন-এরা কোয়ার্ক বা লেপ্টন নয়।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২০:২০390644
  • হ্যাঁ। এদের কথাও বলতে হবে। এইসব কণাদের বলে ফিল্ড পার্টিকল। পার্টিকল ফিজিক্সের খুঁটিনাটি বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। তাই সংক্ষেপে সারছি। অবশ্যই কারুর কোন প্রশ্ন থাকলে এই বিষয়ে আরো বলার চেষ্টা করব।
  • Blank | 65.82.130.9 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২০:৪১390646
  • প্রশ্ন তোলার কোনো প্রশ্ন ই নেই? হঠাৎ করে এই নতুন কাদের নাম শুনে সব ঘেঁটে ঘুগনি হয়ে গেলো।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২১:০৫390647
  • আচ্ছা, গুছিয়ে বলার চেষ্টা করছি এই নতুনদের কথাও।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২১:০৬390648
  • ঘুঘনির কিছু নাই ব্ল্যাংক, এরা এক্সচেনজ পার্টিকল, যেকোনো ইন্টার অ্যাকশন ঘটতে গেলে এরা এক্সচেঞ্জড হয় কোয়ার্ক/লেপ্টনদের মধ্যে।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২১:২৩390649
  • অবিভাজ্য হলে একরকমের হবে কেন? এরা পৃথক পৃথক কোয়ার্ক,এদের ম্যাস,স্পিন,""ফ্লেভার"",""কালার""-সব আলাদা।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২১:৩২390650
  • কোয়ার্ক বা লেপ্টন হল ম্যাটার পার্টিকল, যা দিয়ে পদার্থ তৈরী। আর এইসব পদার্থকণা যখন নিজেদের মধ্যে দড়ি টানাটানি করে, তা হয় কিছু ফিল্ডের মাধ্যমে, সংশ্লিষ্ট বলটিকেও ঐ ফিল্ডের নামেই ডাকা হয়, যেমন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স, বা গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স ইত্যাদি। স্ট্যান্ডার্ড মডেল বলে, পদার্থকণারা যখন নিজেদের মধ্যে বলপ্রয়োগ করে, তখন আসলে তারা আরেকধরণের কণা নিজেদের মধ্যে বিনিময় করে। এই দ্বিতীয়প্রকার কণারাই হল ফিল্ড বা ফোর্স মেডিয়েটিং পার্টিকল। ফোটন, W+, W-, Z0, গ্লুয়ন এরাসবই এই ধরণের। ফোটন EM ফিল্ডের সাথে জড়িত, W+,W-, Z0 এইতিন বোসন এবং ফোটন মিলে ইলেকট্রৌইক ফোর্সকে সামলায়, আর আটটা গ্লুঅন মিলে দেখে স্ট্রং নিউক্লিয়ার ফোর্স। এর বাইরে পড়ে রইল শুধু গ্র্যাভিটেশানাল ফোর্স, যাকে ইনক্লুড করা যায়নি বলেই ইউনিফিকেশান অসম্পূর্ণ।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ২১:৩৯390651
  • এই অসম্পূর্নতা ঢাকতে, গ্রাভিটনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, যাকে গ্র্যাভিটির জন্যে দায়ী করে ষোলোকলা পুর্ণ করা যায়। কিন্তু এর অস্তিত্ব নিয়ে নানা বিতর্ক।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৭:৩৩390652
  • তারপরে আর কিছু লিখছো না কেন টিম?
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৮:১৩390653
  • স্মোলিনের ঐ প্রশ্নাবলী যে কষ্টিপাথরের কথা বলে, তা আসলে ঘুরপথে আমাদের নিজস্ব বিচারক্ষমতা। কোনটা ঠিক ইউনিফিকেশান, আর কোনটা অসম্ভব চিন্তা , তা বিজ্ঞানীদেরকেই বুঝে নিতে হবে। একটা সময় বলা হয়েছিল, তাপ-ও একধরণের পদার্থ। সেকথা সত্যি হলে সেটাও এক ধরণের একীকরণ-ই হত। কিন্তু তা হয়নি। কারণ তাপ আর পদার্থকে ঐভাবে একদলে আনা যায় না। পরে যখন দেখা গেল যে তাপ আসলে পদার্থের গতিশীল অবস্থার ফল, তখন তার অন্তর্নিহিত ইউনিফিকেশান আপনা থেকেই সবাই বুঝলেন, সেজন্যে কাঠখড় পোড়াতে হলনা। সুতরাং ইউনিফিকেশানের যথার্থ রূপটি অনুধাবন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৮:২০390654
  • আর... কি আশ্চর্য্য! ওয়েনবার্গের বইতেও ঠিক এইকথাই বলা আছে। সেই ""পাওয়ার অফ জাজমেন্ট"", যা একটা দিনের শেষে পরের দিনের কার্য্যক্রম নির্দেশ করে দেয়। কোনটা বিজ্ঞান, এবং, অতএব গবেষণাযোগ্য, আর কোনটা নয়, সেটা ঠিক করার কথা আছে এখানেও। সমস্ত পেশার সফল এবং অগ্রনী মানুষেরাই প্রতিদিন অসংখ্য প্রস্তাব পান। তার মধ্যে থেকে ফিল্টার করে নিয়ে তবেই তাঁরা সাড়া দেন প্রস্তাবককে। বৈজ্ঞানিকরাও এর ব্যতিক্রম নন। এবং সেটাই উচিত, অভিমত ওয়েনবার্গের।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৮:২৮390655
  • বিচারক্ষমতার সাথে হাত ধরাধরি করে আসে রিডাকশনিজম। অল্পস্বল্প ভুলচুক হলেও এই অস্ত্রেই বিজ্ঞানীরা হাজার আইডিয়ার ভিড় থেকে একটি বা দুটি মণিমুক্তো খুঁজে নেন। তারপরে সেইপথে চলে অন্বেষণ।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৮:৪৮390657
  • ইউনিফিকেশান থিওরি নিয়ে কাজ করার মস্ত সুবিধে হল, থিওরিটা যদি কাজ না করে, তাহলেও তা গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। এরকম-ই এক ভ্রান্ত গবেষণার কথা ইতিহাসে আছে, যার নাম knot theory। অণু-পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করতে ১৮৬৭ সালে লর্ড কেলভিন এই থিওরির কথা বলেন। বহু গবেষণার পর এই তঙ্কÄ বাতিল হয়, কিন্তু ততদিনে গণিতজ্ঞরা নতুন বিষয় হিসেবে নট থিওরিকে লুফে নিয়েছেন।
    আবার এই যে ইউনিফিকেশানের উপায় নিয়ে বিজ্ঞানীমহলের প্রবল বিরোধ, এই ব্যাপারটাও নতুন নয়। আগেও যতবারই এরকম চেষ্টা হয়েছে, ততবারই শেষে গিয়ে একটা তঙ্কÄকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। যেমন সেই একদা বিখ্যাত ""ইথার""এর অস্তিত্ব সম্পর্কিত তঙ্কÄ, যা আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি থিওরি এসে বাতিল করে দেয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন